জয়নাল আবেদীন খান, ঢাকা
সরকারি ব্যাংকগুলোর পদোন্নতি বৈষম্য বেশ দীর্ঘদিনের। বিশেষ করে যেসব ব্যাংকে দ্রুত পদোন্নতি হয় এবং বিলম্বে পদোন্নতি হয় সেইসব ব্যাংকের মধ্যে বিদ্যমান বৈষম্য প্রকট আকার ধারণ করছে। এমন পরিস্থিতিতি জেনারেল ম্যানেজার (জিএম) থেকে তদূর্ধ্ব পদগুলো ভিন্ন ব্যাংক থেকে যদি পূরণ করা হয়, তবে তা বঞ্চনার শিকার ব্যাংকের কর্মকর্তাদের কাছে ‘কাটা ঘায়ে নূনের ছিটার’ মত কাজ করে। এমন নীতিমালার পরিবর্তন করে বৈষম্য দূর করতে দীর্ঘদিন ধরে দাবি জানিয়ে আসছিলেন বিলম্বে পদোন্নতি হয় এমন কিন্তু কর্তৃপক্ষ তাদের দাবির বিষয়ে বরাবরের মত উদাসীনতা দেখিয়ে আসছে। এবার জিএম পদে নিয়োগের জন্য ২৫৮ জনের সাক্ষাৎকার আগামীকাল বুধবার শেষ হবে। পদোন্নতি পেয়ে স্ব স্ব প্রতিষ্ঠানের জিএম হিসেবে পদায়নের দাবি জানিয়েছেন তাঁরা।
ব্যাংকারদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগ (এফআইডি) এবার সরকারি ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলোয় উপ-মহাব্যবস্থাপক (ডিজিএম) থেকে মহাব্যবস্থাপক (জিএম) পদে পদোন্নতির জন্য ২৫৮ জনের প্যানেল চূড়ান্ত করেছে অর্থ মন্ত্রণালয়ের আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগ। গত ৪ নভেম্বর থেকে পদোন্নতির জন্য সাক্ষাৎকার নেওয়া শুরু হয় এবং আজ (২৭ নভেম্বর) শেষ হতে যাচ্ছে। যদিও একই ব্যবস্থাপনার মাধ্যমে নিয়োগ প্রাপ্ত ১৯৯৮, ২০০০ এবং ২০০৪ ব্যাচের কর্মকর্তাদের সাক্ষাৎকারের জন্য ডাকা হয়েছে। সেখানে রূপালী ব্যাংকের সর্বাচ্চ ৭১ জন এবং জনতা ব্যাংকের মাত্র ৯ জনকে ভাইভার জন্য ডাকা হয়েছে। এমন বৈষম্যের কারণে ব্যাংক কর্মকতাদের মধ্যে অসন্তোষ দেখা দিয়েছে। যদি এবারো রূপালী কিংবা সোনালী ব্যাংকের পদন্নোতিপ্রাপ্ত কর্মকর্তাদের জনতাসহ অন্যান্য ব্যাংকের জিএম পদ পূরণ করা হয়। তবে যেসব ব্যাংকে নিচের দিকে বিলম্বে পদোন্নতি হয়, সেসব ব্যাংকের কর্মকর্তাদের পদোন্নতিজনিত বৈষম্য আরও বাড়বে।
তাঁরা বলছেন, শুধু নীতিমালার ত্রুটির কারণে কারণে সমান যোগ্যতা থাকার পরও একই ব্যাচের কোনো ব্যাংকের কর্মকর্তা জিএম, ডিএমড ও এমডি হবেন। আর নিচের দিকে বিলম্বে পদোন্নতি পাওয়া কিছু ব্যাংকের কর্মকর্তারা কখনো জিএম হওয়ার সুযোগ পাবেন না। এমনকি নিচের দিকের পদোন্নতিও বাধাগ্রস্ত হবে, যা নিয়ে পদোন্নতিবঞ্চিত ব্যাংকের কর্মকর্তাদের মধ্যে হতাশা বাড়বে এবং কাজের পরিবেশ বিঘ্নিত হওয়ার শঙ্কা দেখা যাবে।
জিএম পদে সাক্ষাৎকারে অংশ নেওয়া এক ডিজিএম নামপ্রকাশ না করার শর্তে আজকের পত্রিকাকে বলেন, চলতি নভেম্বরে সাক্ষাৎকার শেষে জিএম পদে পদোন্নতিতে জারিকৃত বিদ্যমান নীতিমালা বাস্তবায়িত হলে অনেক যোগ্য, অভিজ্ঞ ও ত্যাগী কর্মকর্তা পদোন্নতি পাবেন না। আবার ব্যাংকভেদে অনেক সহকর্মী পদোন্নতি বঞ্চিত হবেন। ইতোমধ্যে ১৯৯৮ ব্যাচের কর্মকতাদের মধ্যে দ্রুত পদোন্নতি হওয়া একটি ব্যাংক থেকে ৪ জন এমডি এবং ৮ জন ডিএমডি হয়েছেন। তাদের অধীনে কাজ করতে হয়েছে। এবার তো জুনিয়রদের অধীনে কাজ করতে হবে। এজন্য দায়ী ব্যাংকের পদোন্নতি নীতিমালা, কোনো যোগ্যতার ঘাটতি না।
পদোন্নতি প্রত্যাশী আরেক ব্যাংক কর্মকর্তা বলেন, ‘শুধুমাত্র একটি বিশেষ গোষ্ঠীকে সুবিধা দেওয়ার জন্য বালাদেশ ব্যাংকের সাবেক গভর্নর আব্দুর রউফ তালুকদার এসব আত্মঘাতী সিদ্ধান্ত নেন। সেই সময় জারি করা নীতিমালার জন্য ব্যাংকের অনেক কর্মকর্তাদের মেধা, অভিজ্ঞতা ও জ্যেষ্ঠতার মূল্যায়ন লঙ্ঘিত হচ্ছে, যা সার্বিকভাবে ব্যাংকিং খাতে সংকট সৃষ্টি করবে। আবার অন্য ব্যাংক থেকে পদায়ন হওয়ায় সংশ্লিষ্ট ব্যাংকের অভিজ্ঞতা না থাকায় কাজ যথাযথবাবে সম্পন্ন হতে সমস্যা হয়।’
এ বিষয়ে বাংলাদেশ ব্যাংকের মুখপাত্র ও নির্বাহী পরিচালক হুসনে আরা শিখা আজকের পত্রিকাকে বলেন, নীতিমালাকে ‘চাপানো’ আখ্যায়িত করে তা ব্যাংকারদের পক্ষ থেকে বাতিল চেয়ে গভর্নর বরাবর চিঠি দেওয়া হয়েছে। তাদের দাবি যাচাই-বাছাই এবং পরবর্তী সিদ্ধান্ত গ্রহণে কমিটি গঠন করা হয়েছে। কমিটির সুপারিশ পেলে পরবর্তী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগের নীতিমালা অনুযায়ী, সরকারি খাতের ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি), উপব্যবস্থাপনা পরিচালক (ডিএমডি) ও জিএম পদে পদোন্নতি নীতিমালা অনুযায়ী একটি ব্যাংকের কর্মকর্তাদের মধ্যে অন্য ব্যাংকে পদাযন করার বিধান রয়েছে।
আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগের অতিরিক্ত সচিব (ব্যাংকিং অনুবিভাগ) বদরে মুনির ফেরদৌস আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘জিএম পদে পদোন্নতির বিদ্যমান নীতিমালা অনুযায়ী সরকারী ব্যাংকের ২৫৮ জনকে ভাইভার জন্য ডাকা হয়েছে। নীতিমালায় পরিবর্তন হলে তাদের পদোন্নতিতে নতুন সিদ্ধান্ত কার্যকর করা হবে।’
সরকারি ব্যাংকগুলোর পদোন্নতি বৈষম্য বেশ দীর্ঘদিনের। বিশেষ করে যেসব ব্যাংকে দ্রুত পদোন্নতি হয় এবং বিলম্বে পদোন্নতি হয় সেইসব ব্যাংকের মধ্যে বিদ্যমান বৈষম্য প্রকট আকার ধারণ করছে। এমন পরিস্থিতিতি জেনারেল ম্যানেজার (জিএম) থেকে তদূর্ধ্ব পদগুলো ভিন্ন ব্যাংক থেকে যদি পূরণ করা হয়, তবে তা বঞ্চনার শিকার ব্যাংকের কর্মকর্তাদের কাছে ‘কাটা ঘায়ে নূনের ছিটার’ মত কাজ করে। এমন নীতিমালার পরিবর্তন করে বৈষম্য দূর করতে দীর্ঘদিন ধরে দাবি জানিয়ে আসছিলেন বিলম্বে পদোন্নতি হয় এমন কিন্তু কর্তৃপক্ষ তাদের দাবির বিষয়ে বরাবরের মত উদাসীনতা দেখিয়ে আসছে। এবার জিএম পদে নিয়োগের জন্য ২৫৮ জনের সাক্ষাৎকার আগামীকাল বুধবার শেষ হবে। পদোন্নতি পেয়ে স্ব স্ব প্রতিষ্ঠানের জিএম হিসেবে পদায়নের দাবি জানিয়েছেন তাঁরা।
ব্যাংকারদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগ (এফআইডি) এবার সরকারি ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলোয় উপ-মহাব্যবস্থাপক (ডিজিএম) থেকে মহাব্যবস্থাপক (জিএম) পদে পদোন্নতির জন্য ২৫৮ জনের প্যানেল চূড়ান্ত করেছে অর্থ মন্ত্রণালয়ের আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগ। গত ৪ নভেম্বর থেকে পদোন্নতির জন্য সাক্ষাৎকার নেওয়া শুরু হয় এবং আজ (২৭ নভেম্বর) শেষ হতে যাচ্ছে। যদিও একই ব্যবস্থাপনার মাধ্যমে নিয়োগ প্রাপ্ত ১৯৯৮, ২০০০ এবং ২০০৪ ব্যাচের কর্মকর্তাদের সাক্ষাৎকারের জন্য ডাকা হয়েছে। সেখানে রূপালী ব্যাংকের সর্বাচ্চ ৭১ জন এবং জনতা ব্যাংকের মাত্র ৯ জনকে ভাইভার জন্য ডাকা হয়েছে। এমন বৈষম্যের কারণে ব্যাংক কর্মকতাদের মধ্যে অসন্তোষ দেখা দিয়েছে। যদি এবারো রূপালী কিংবা সোনালী ব্যাংকের পদন্নোতিপ্রাপ্ত কর্মকর্তাদের জনতাসহ অন্যান্য ব্যাংকের জিএম পদ পূরণ করা হয়। তবে যেসব ব্যাংকে নিচের দিকে বিলম্বে পদোন্নতি হয়, সেসব ব্যাংকের কর্মকর্তাদের পদোন্নতিজনিত বৈষম্য আরও বাড়বে।
তাঁরা বলছেন, শুধু নীতিমালার ত্রুটির কারণে কারণে সমান যোগ্যতা থাকার পরও একই ব্যাচের কোনো ব্যাংকের কর্মকর্তা জিএম, ডিএমড ও এমডি হবেন। আর নিচের দিকে বিলম্বে পদোন্নতি পাওয়া কিছু ব্যাংকের কর্মকর্তারা কখনো জিএম হওয়ার সুযোগ পাবেন না। এমনকি নিচের দিকের পদোন্নতিও বাধাগ্রস্ত হবে, যা নিয়ে পদোন্নতিবঞ্চিত ব্যাংকের কর্মকর্তাদের মধ্যে হতাশা বাড়বে এবং কাজের পরিবেশ বিঘ্নিত হওয়ার শঙ্কা দেখা যাবে।
জিএম পদে সাক্ষাৎকারে অংশ নেওয়া এক ডিজিএম নামপ্রকাশ না করার শর্তে আজকের পত্রিকাকে বলেন, চলতি নভেম্বরে সাক্ষাৎকার শেষে জিএম পদে পদোন্নতিতে জারিকৃত বিদ্যমান নীতিমালা বাস্তবায়িত হলে অনেক যোগ্য, অভিজ্ঞ ও ত্যাগী কর্মকর্তা পদোন্নতি পাবেন না। আবার ব্যাংকভেদে অনেক সহকর্মী পদোন্নতি বঞ্চিত হবেন। ইতোমধ্যে ১৯৯৮ ব্যাচের কর্মকতাদের মধ্যে দ্রুত পদোন্নতি হওয়া একটি ব্যাংক থেকে ৪ জন এমডি এবং ৮ জন ডিএমডি হয়েছেন। তাদের অধীনে কাজ করতে হয়েছে। এবার তো জুনিয়রদের অধীনে কাজ করতে হবে। এজন্য দায়ী ব্যাংকের পদোন্নতি নীতিমালা, কোনো যোগ্যতার ঘাটতি না।
পদোন্নতি প্রত্যাশী আরেক ব্যাংক কর্মকর্তা বলেন, ‘শুধুমাত্র একটি বিশেষ গোষ্ঠীকে সুবিধা দেওয়ার জন্য বালাদেশ ব্যাংকের সাবেক গভর্নর আব্দুর রউফ তালুকদার এসব আত্মঘাতী সিদ্ধান্ত নেন। সেই সময় জারি করা নীতিমালার জন্য ব্যাংকের অনেক কর্মকর্তাদের মেধা, অভিজ্ঞতা ও জ্যেষ্ঠতার মূল্যায়ন লঙ্ঘিত হচ্ছে, যা সার্বিকভাবে ব্যাংকিং খাতে সংকট সৃষ্টি করবে। আবার অন্য ব্যাংক থেকে পদায়ন হওয়ায় সংশ্লিষ্ট ব্যাংকের অভিজ্ঞতা না থাকায় কাজ যথাযথবাবে সম্পন্ন হতে সমস্যা হয়।’
এ বিষয়ে বাংলাদেশ ব্যাংকের মুখপাত্র ও নির্বাহী পরিচালক হুসনে আরা শিখা আজকের পত্রিকাকে বলেন, নীতিমালাকে ‘চাপানো’ আখ্যায়িত করে তা ব্যাংকারদের পক্ষ থেকে বাতিল চেয়ে গভর্নর বরাবর চিঠি দেওয়া হয়েছে। তাদের দাবি যাচাই-বাছাই এবং পরবর্তী সিদ্ধান্ত গ্রহণে কমিটি গঠন করা হয়েছে। কমিটির সুপারিশ পেলে পরবর্তী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগের নীতিমালা অনুযায়ী, সরকারি খাতের ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি), উপব্যবস্থাপনা পরিচালক (ডিএমডি) ও জিএম পদে পদোন্নতি নীতিমালা অনুযায়ী একটি ব্যাংকের কর্মকর্তাদের মধ্যে অন্য ব্যাংকে পদাযন করার বিধান রয়েছে।
আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগের অতিরিক্ত সচিব (ব্যাংকিং অনুবিভাগ) বদরে মুনির ফেরদৌস আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘জিএম পদে পদোন্নতির বিদ্যমান নীতিমালা অনুযায়ী সরকারী ব্যাংকের ২৫৮ জনকে ভাইভার জন্য ডাকা হয়েছে। নীতিমালায় পরিবর্তন হলে তাদের পদোন্নতিতে নতুন সিদ্ধান্ত কার্যকর করা হবে।’
রাজধানীর মোহাম্মদপুরে রামচন্দ্রপুর খালে দুই দিনের পরিচ্ছন্নতা কার্যক্রম পরিচালিত হয়েছে। গত ২০ ও ২১ জুন তারিখে পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়, ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন (ডিএনসিসি), ফুটস্টেপস বাংলাদেশের সঙ্গে যৌথভাবে এই কার্যক্রমে অংশ নেয় আইডিএলসি ফাইন্যান্স।
১৫ মিনিট আগেঅন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠকে ৭ লাখ ৯০ হাজার কোটি টাকার বাজেট অনুমোদিত হয়েছে। আজ রোববার এ বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়।
১ ঘণ্টা আগেদেশীয় মৌসুমি ফলের সরবরাহ বেড়ে যাওয়ায় রাজধানীর ফলের বাজারে নেমেছে স্বস্তির ছোঁয়া। আম, কাঁঠাল, লিচু, লটকন, পেয়ারা, আনারস, ড্রাগনের মতো ফলের প্রাচুর্যে শুধু দেশীয় ফল নয়; দাম কমেছে আমদানিকৃত আপেল, মাল্টা, আঙুরেরও।
১০ ঘণ্টা আগেবেনাপোল স্থলবন্দরে আমদানি-রপ্তানি কার্যক্রমে ব্যবসায়ীদের খরচ বাড়ছে। হ্যান্ডলিংয়ের আগে পণ্য চালান পরীক্ষার নামে এই অতিরিক্ত খরচ চাপ দিচ্ছে। প্রতিটি চালানে ১৫-২৫ হাজার টাকা পর্যন্ত অতিরিক্ত ব্যয় হচ্ছে। কখনো কখনো রিপোর্ট পেতে সময় লাগছে এক মাসেরও বেশি, আর ওই সময় পণ্য বন্দরে আটকা পড়ে।
১৪ ঘণ্টা আগে