জয়নাল আবেদীন খান, ঢাকা
নতুন বছরের শুরুর দিনেই বিদায়ী বছরের অনিরীক্ষিত পরিচালনা মুনাফা আনুষ্ঠানিকভাবে প্রকাশ করেছে রাষ্ট্রায়ত্ত সোনালী ব্যাংক পিএলসি। মুনাফা জানাতে প্রতিষ্ঠানটি অনেকটা ঢাকঢোল পিটিয়ে প্রধান কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনের আয়োজনও করে। ব্যাংকের পক্ষে থেকে জানানো হয়, গত বছরে (২০২৩ সাল) ৩ হাজার ৭২৭ কোটি টাকা পরিচালন মুনাফা করেছে ব্যাংকটি।
কিন্তু ব্যাংকের পরিচালনা বাবদ সঠিক ব্যয়ের নিরীক্ষিত তথ্য, ঋণের বিপরীতে প্রভিশন সংরক্ষণ বকেয়া এবং ৩৫ শতাংশ করপোরেট ট্যাক্স কর্তন বাদ দেওয়া হয়নি। এসব বাদ দিয়ে মূলত নিট মুনাফা হিসাব করা হয়। এসব খরচ বাদ দিলে ব্যাংকের প্রকৃত মুনাফা কিছুই থাকবে না। প্রকৃত হিসাবে ব্যাংকটির দেখানো মুনাফা নিট লসে পরিণত হবে।
সোনালী ব্যাংকের দেওয়া তথ্য পর্যালোচনা করে দেখা গেছে, সরকারি পরিচালনায় দেশের সর্ববৃহৎ সোনালী ব্যাংকের কাছে বাংলাদেশ ব্যাংকের বকেয়া (ডেফারেল) পাওনা রয়েছে ৩ হাজার ৭০০ কোটি টাকা। এটা মূলত খেলাপি ঋণের প্রভিশন সংরক্ষণ খাতের ডেফারেলের বকেয়া পাওনা; যা আগে পরিশোধ করার কথা ছিল। এটা নিট মুনাফায় দেখানোর সুযোগ নেই। এই অর্থ বাদ যাওয়ার কথা। অর্থাৎ খেলাপির বিপরীতে প্রভিশন রাখার পর নিট মুনাফার বিপরীতে লোকসানে পড়বে ব্যাংকটি।
তবে অনিরীক্ষিত মুনাফা লোকসান হওয়ার বিষয়ে জানতে চাইলে সোনালী ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও সিইও মো. আফজাল করিম আজকের পত্রিকাকে বলেন, নানা চ্যালেঞ্জের মধ্য দিয়ে সোনালী ব্যাংক ব্যাপক মুনাফা করেছে। এটা সবার চেষ্টায় হয়েছে। এটি ব্যাংকের বড় অর্জন। তবে ৩ হাজার ৩৭১ কোটি টাকা নিট মুনাফা নয়। এখান থেকে ঋণের বিপরীতে প্রভিশন সংরক্ষণ এবং সরকারি করপোরেট ট্যাক্স কর্তন এবং অন্যান্য খরচ বাদ যাবে। এসব বাদ দিয়ে মূলত নিট মুনাফা বা প্রকৃত হিসাব পাওয়া যাবে। আর বাদ দেওয়ার ক্ষেত্রে বাংলাদেশ ব্যাংকের সঙ্গে বিশেষ একটা কিছু করা হবে। এ রকমটা হলে মুনাফা কোনোভাবে লোকসানে যাওয়ার কথা নয়। ২০২২ সালে সোনালী ব্যাংকের নিট মুনাফা ছিল ৩৭১ কোটি টাকা।
বাংলাদেশ ব্যাংকের হালনাগাদ তথ্য অনুযায়ী, ২০২৩ সালের সেপ্টেম্বর শেষে সোনালী ব্যাংকের খেলাপি ঋণের পরিমাণ ছিল ১৩ হাজার ৯৯২ কোটি ৬৩ লাখ টাকা; যা বিতরণকৃত মোট ঋণের ১৫ দশমিক ৯৯ শতাংশ।
এ বিষয়ে পলিসি রিসার্চ ইনস্টিটিউটের (পিআরআই) নির্বাহী পরিচালক ড. আহসান এইচ মনসুর বলেন, ‘দেশের রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাংকের মধ্য সোনালী ব্যাংক অন্যতম। তাদের আমানত ও গ্রাহক অনেক। এটা ভালো হলে ব্যাংক খাতে ভালো হবে। তবে দুঃখের বিষয় হলমার্কসহ বড় আর্থিক কেলেঙ্কারি এই ব্যাংক থেকে হয়েছে। এ জন্য জবাবদিহি বাড়াতে হবে। সঠিক প্রভিশনিং করতে হবে। প্রভিশনিং বকেয়া রেখে মুনাফা দেখানোর সুযোগ নেই।’
সোনালী ব্যাংকের সংবাদ সম্মেলনে সরবরাহকৃত কাগজপত্র বিশ্লেষণ করে জানা গেছে, ২০২৩ সাল শেষে ১ লাখ ৫০ হাজার ৭৩২ কোটি টাকার আমানত সংগ্রহ করেছে ব্যাংকটি। এর মধ্যে ১ লাখ ৮০৯ কোটি টাকার ঋণ বিতরণ করা হয়েছে। হিসাব অনুযায়ী অ্যাডভান্স ডিপোজিট রেশিও (এডিআর) দাঁড়ায় ৬৬ দশমিক ৮৮ শতাংশ; যা আগের যেকোনো বছরের তুলনায় অনেক বেশি। আর গত বছরে ব্যাংকের পরিচালন মুনাফা হয়েছে ৩ হাজার ৭২৭ কোটি টাকা; যা আগের একই বছরের তুলনায় ১ হাজার ৩৪৫ কোটি টাকা বেশি। আবার গত বছরে ৫৬৭ কোটি টাকা নগদ আদায় সম্ভব হয়েছে।
নতুন বছরের শুরুর দিনেই বিদায়ী বছরের অনিরীক্ষিত পরিচালনা মুনাফা আনুষ্ঠানিকভাবে প্রকাশ করেছে রাষ্ট্রায়ত্ত সোনালী ব্যাংক পিএলসি। মুনাফা জানাতে প্রতিষ্ঠানটি অনেকটা ঢাকঢোল পিটিয়ে প্রধান কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনের আয়োজনও করে। ব্যাংকের পক্ষে থেকে জানানো হয়, গত বছরে (২০২৩ সাল) ৩ হাজার ৭২৭ কোটি টাকা পরিচালন মুনাফা করেছে ব্যাংকটি।
কিন্তু ব্যাংকের পরিচালনা বাবদ সঠিক ব্যয়ের নিরীক্ষিত তথ্য, ঋণের বিপরীতে প্রভিশন সংরক্ষণ বকেয়া এবং ৩৫ শতাংশ করপোরেট ট্যাক্স কর্তন বাদ দেওয়া হয়নি। এসব বাদ দিয়ে মূলত নিট মুনাফা হিসাব করা হয়। এসব খরচ বাদ দিলে ব্যাংকের প্রকৃত মুনাফা কিছুই থাকবে না। প্রকৃত হিসাবে ব্যাংকটির দেখানো মুনাফা নিট লসে পরিণত হবে।
সোনালী ব্যাংকের দেওয়া তথ্য পর্যালোচনা করে দেখা গেছে, সরকারি পরিচালনায় দেশের সর্ববৃহৎ সোনালী ব্যাংকের কাছে বাংলাদেশ ব্যাংকের বকেয়া (ডেফারেল) পাওনা রয়েছে ৩ হাজার ৭০০ কোটি টাকা। এটা মূলত খেলাপি ঋণের প্রভিশন সংরক্ষণ খাতের ডেফারেলের বকেয়া পাওনা; যা আগে পরিশোধ করার কথা ছিল। এটা নিট মুনাফায় দেখানোর সুযোগ নেই। এই অর্থ বাদ যাওয়ার কথা। অর্থাৎ খেলাপির বিপরীতে প্রভিশন রাখার পর নিট মুনাফার বিপরীতে লোকসানে পড়বে ব্যাংকটি।
তবে অনিরীক্ষিত মুনাফা লোকসান হওয়ার বিষয়ে জানতে চাইলে সোনালী ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও সিইও মো. আফজাল করিম আজকের পত্রিকাকে বলেন, নানা চ্যালেঞ্জের মধ্য দিয়ে সোনালী ব্যাংক ব্যাপক মুনাফা করেছে। এটা সবার চেষ্টায় হয়েছে। এটি ব্যাংকের বড় অর্জন। তবে ৩ হাজার ৩৭১ কোটি টাকা নিট মুনাফা নয়। এখান থেকে ঋণের বিপরীতে প্রভিশন সংরক্ষণ এবং সরকারি করপোরেট ট্যাক্স কর্তন এবং অন্যান্য খরচ বাদ যাবে। এসব বাদ দিয়ে মূলত নিট মুনাফা বা প্রকৃত হিসাব পাওয়া যাবে। আর বাদ দেওয়ার ক্ষেত্রে বাংলাদেশ ব্যাংকের সঙ্গে বিশেষ একটা কিছু করা হবে। এ রকমটা হলে মুনাফা কোনোভাবে লোকসানে যাওয়ার কথা নয়। ২০২২ সালে সোনালী ব্যাংকের নিট মুনাফা ছিল ৩৭১ কোটি টাকা।
বাংলাদেশ ব্যাংকের হালনাগাদ তথ্য অনুযায়ী, ২০২৩ সালের সেপ্টেম্বর শেষে সোনালী ব্যাংকের খেলাপি ঋণের পরিমাণ ছিল ১৩ হাজার ৯৯২ কোটি ৬৩ লাখ টাকা; যা বিতরণকৃত মোট ঋণের ১৫ দশমিক ৯৯ শতাংশ।
এ বিষয়ে পলিসি রিসার্চ ইনস্টিটিউটের (পিআরআই) নির্বাহী পরিচালক ড. আহসান এইচ মনসুর বলেন, ‘দেশের রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাংকের মধ্য সোনালী ব্যাংক অন্যতম। তাদের আমানত ও গ্রাহক অনেক। এটা ভালো হলে ব্যাংক খাতে ভালো হবে। তবে দুঃখের বিষয় হলমার্কসহ বড় আর্থিক কেলেঙ্কারি এই ব্যাংক থেকে হয়েছে। এ জন্য জবাবদিহি বাড়াতে হবে। সঠিক প্রভিশনিং করতে হবে। প্রভিশনিং বকেয়া রেখে মুনাফা দেখানোর সুযোগ নেই।’
সোনালী ব্যাংকের সংবাদ সম্মেলনে সরবরাহকৃত কাগজপত্র বিশ্লেষণ করে জানা গেছে, ২০২৩ সাল শেষে ১ লাখ ৫০ হাজার ৭৩২ কোটি টাকার আমানত সংগ্রহ করেছে ব্যাংকটি। এর মধ্যে ১ লাখ ৮০৯ কোটি টাকার ঋণ বিতরণ করা হয়েছে। হিসাব অনুযায়ী অ্যাডভান্স ডিপোজিট রেশিও (এডিআর) দাঁড়ায় ৬৬ দশমিক ৮৮ শতাংশ; যা আগের যেকোনো বছরের তুলনায় অনেক বেশি। আর গত বছরে ব্যাংকের পরিচালন মুনাফা হয়েছে ৩ হাজার ৭২৭ কোটি টাকা; যা আগের একই বছরের তুলনায় ১ হাজার ৩৪৫ কোটি টাকা বেশি। আবার গত বছরে ৫৬৭ কোটি টাকা নগদ আদায় সম্ভব হয়েছে।
আন্তর্জাতিক বাজারে সোনার দাম ইতিহাস গড়ে আউন্সপ্রতি ৪ হাজার ডলার ছাড়িয়েছে। আজ বুধবার এই রেকর্ড তৈরি হয়েছে। বাজার বিশ্লেষকেরা বলছেন, অর্থনৈতিক ও ভূরাজনৈতিক অনিশ্চয়তার মধ্যে নিরাপদ আশ্রয় খুঁজতে বিনিয়োগকারীরা সোনায় ঝুঁকছেন। পাশাপাশি যুক্তরাষ্ট্রের কেন্দ্রীয় ব্যাংক ফেডারেল রিজার্ভ শিগগির সুদের
৭ ঘণ্টা আগেবাংলাদেশের জিডিপি প্রবৃদ্ধি বাড়ার সম্ভাবনা থাকলেও বড় উদ্বেগ রয়ে গেছে কর্মসংস্থান সংকোচন এবং দারিদ্র্যের হার বৃদ্ধিতে; মূল্যস্ফীতির স্তর এখনো উচ্চপর্যায়ে রয়ে গেছে। এতে দীর্ঘ মেয়াদে বৈষম্য বাড়ার আশঙ্কা আছে। গতকাল মঙ্গলবার বিশ্বব্যাংক জানাল এমন তথ্য। সংস্থাটির ‘বাংলাদেশ আপডেট’ শীর্ষক প্রতিবেদন বলছে
১৫ ঘণ্টা আগেগত অর্থবছরের (২০২৪–২৫) প্রথম ছয় মাসের বিপর্যয় কাটিয়ে ঘুরে দাঁড়িয়েছে বাংলাদেশের বাংলাদেশের অর্থনীতি। জোরালো রপ্তানি আয়, ইতিহাসের সর্বোচ্চ রেমিট্যান্স এবং বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভের বৃদ্ধি এতে সহায়ক ভূমিকা পালন করেছে। আজ মঙ্গলবার প্রকাশিত বিশ্বব্যাংকে হালনাগাদ প্রতিবেদনে এ তথ্য তুলে ধরা হয়েছে।
১৮ ঘণ্টা আগেদেশের বাজারে সোনার ভরির দাম প্রথমবারের মতো ২ লাখ টাকা ছাড়ানোর এক দিনের মধ্যে আবার দাম বাড়ল। সবচেয়ে ভালো মানের সোনার দাম ভরিতে সর্বোচ্চ ১ হাজার ৪৬৯ টাকা বেড়ে ২ লাখ ২ হাজার ১৯৫ টাকায় দাঁড়িয়েছে। আজ মঙ্গলবার (৭ অক্টোবর) সন্ধ্যায় বাংলাদেশ জুয়েলার্স সমিতি (বাজুস) আরেক দফা সোনার দাম বাড়ার ঘোষণা দেয়।
১৯ ঘণ্টা আগে