মাহফুজুল ইসলাম, ঢাকা
দেশে ইলিশ উৎপাদন ও সরবরাহ বাড়িয়ে বাজারে দাম সাধারণের নাগালের মধ্যে রাখার লক্ষ্য নিয়েই সরকার ২০১৯-২০ অর্থবছরে হাতে নেয় ‘ইলিশ সম্পদ উন্নয়ন ও ব্যবস্থাপনা’ প্রকল্প। তখন দেশে ইলিশের বার্ষিক উৎপাদন ছিল প্রায় ৫ লাখ ৫০ হাজার টন। সরকারের পরিকল্পনা ছিল পাঁচ বছরের মধ্যে উৎপাদন আরও ৭০ হাজার টন বাড়িয়ে ২০২৪-২৫ অর্থবছরে ৬ লাখ ২০ হাজার টনে উন্নীত করা। প্রকল্পের মাধ্যমে জাটকা সংরক্ষণ, প্রজনন মৌসুমে ইলিশ রক্ষা, বিকল্প জীবিকার সুযোগ সৃষ্টি এবং নদীর ইকোসিস্টেম পুনরুদ্ধারের মতো উদ্যোগ নেওয়ার কথা ছিল।
কিন্তু সময় গড়িয়েছে, ব্যয় বেড়েছে, প্রকল্পের মেয়াদও বাড়ানো হয়েছে—তবু লক্ষ্যমাত্রার কাছে যাওয়া সম্ভব হয়নি। বরং মাঠপর্যায়ের বাস্তবতায় দেখা দিয়েছে নানা জটিলতা। নদী ভরাট হয়ে কমে গেছে ইলিশের প্রজনন এলাকা, জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাবে বদলে গেছে প্রাকৃতিক আবাসস্থল। ডিম ছাড়ার সময়কার সুরক্ষা কার্যক্রমে ধরা পড়েছে অনিয়ম, নিষেধাজ্ঞার সময়েও চলেছে জাটকা নিধন। ফলে প্রকল্পে ২৪৬ কোটি টাকার প্রকল্প ব্যয় বেড়ে ২৭৬ কোটিতে পৌঁছালেও কার্যত ইলিশের পরিমাণ কমেছে, দাম বেড়েছে, আর উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা রয়ে গেছে কেবল কাগজের হিসাবে। খোদ সরকারি পরিসংখ্যান বলছে, ইলিশ উৎপাদন ৫ লাখ ৫০ হাজার টন থেকে নেমে এসেছে ৫ লাখ ৩৩ হাজার টনে।
মৎস্য অধিদপ্তরের একাধিক কর্মকর্তা জানিয়েছেন, মাঠপর্যায়ের কার্যক্রম সঠিকভাবে সমন্বিত না হওয়ায় প্রকল্পের ফলাফল দৃশ্যমান নয়। বরাদ্দের বড় অংশ ব্যয় হয়েছে প্রশিক্ষণ, প্রচারাভিযান ও যন্ত্রপাতি ক্রয়ে, কিন্তু নদী ও ইকোসিস্টেম পুনরুদ্ধারে তেমন কোনো কার্যকর অগ্রগতি হয়নি।
পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ের বাস্তবায়ন, পরিবীক্ষণ ও মূল্যায়ন বিভাগ (আইএমইডি) তাদের সাম্প্রতিক প্রতিবেদনে বলেছে, প্রকল্পের আগে কোনো পূর্ণাঙ্গ বেসলাইন সার্ভে করা হয়নি। উৎপাদনের বাস্তব পরিসংখ্যান, জলাশয়ের অবস্থা কিংবা জেলেদের সামাজিক-অর্থনৈতিক বাস্তবতা যাচাই না করেই প্রকল্পের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়, যা পরে ফলাফলে বড় ঘাটতি তৈরি করেছে।
এ প্রসঙ্গে জানতে চাইলে প্রকল্প পরিচালক মোল্লা এমদাদুল্যাহ আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘প্রাকৃতিক ও মানবসৃষ্ট বিপর্যয়ের কারণেই ইলিশের উৎপাদন বাড়ানো কঠিন হয়ে পড়েছে। এসবের সমাধান না হলে ইলিশ উৎপাদন বাড়বে না।’ তিনি জানান, অভীষ্ট লক্ষ্যে পৌঁছাতে ইতিমধ্যে প্রকল্পের মেয়াদ বাড়ানো হয়েছে, পাশাপাশি নতুন করে আরেকটি প্রকল্প গ্রহণের পরিকল্পনাও চলছে।
দেশের মোট মৎস্য উৎপাদনের ১১ শতাংশ আসে ইলিশ থেকে। সরাসরি ৫ লাখ এবং পরোক্ষভাবে ২০-২৫ লাখ মানুষ যুক্ত এই খাতে। নবায়নযোগ্য এই সম্পদের স্থায়িত্ব নিশ্চিত করার জন্যই প্রকল্পটি নেওয়া হয়েছিল। তবে আইএমইডির ভাষায়, ‘তথ্যভিত্তিক সিদ্ধান্ত না থাকায় প্রকল্পের লক্ষ্য ও বাস্তবতার মধ্যে এক বিরাট ব্যবধান তৈরি হয়েছে।’ সংস্থাটি আরও জানায়, মাঠপর্যায়ে প্রকল্প কর্মকর্তাদের তদারকি দুর্বল ছিল, ফলে নির্ধারিত কর্মসূচির অনেকগুলোই সময়মতো বাস্তবায়িত হয়নি। বিশেষ করে নিষিদ্ধ মৌসুমে জেলেদের বিকল্প কর্মসংস্থান নিশ্চিত না করায় তাঁরা বাধ্য হয়ে নদীতে নামছেন, যা জাটকা নিধনের প্রবণতা আরও বাড়িয়েছে।
স্থানীয় পর্যায়ের জেলেরা বলছেন, নদীতে এখন আগের মতো ইলিশ পাওয়া যায় না। বর্ষার সময় নদীতে পানিপ্রবাহ থাকলেও শুষ্ক মৌসুমে ইলিশের বিচরণপথ বাধাগ্রস্ত হচ্ছে। নদীদূষণ ও অপরিকল্পিত বাঁধ নির্মাণও ইলিশ প্রজননের জন্য হুমকি হয়ে দাঁড়িয়েছে। উৎপাদন কমে যাওয়ার প্রভাব সরাসরি পাইকারি ও খুচরা বাজারে গিয়ে পড়েছে। ইলিশের দাম এখন রেকর্ড উচ্চতায়।
কিছুদিন আগে রাজধানীর বাজারে ছোট ইলিশ বিক্রি হয় কেজি ১,২০০ টাকা, মাঝারি ২,২০০ টাকা আর ১ কেজি ওজনের ইলিশ ৩,০০০ টাকায়।
বিশেষজ্ঞদের মতে, প্রকল্পের মূল ত্রুটি ছিল পরিকল্পনা পর্যায়ে। এ প্রসঙ্গে আইএমইডির সাবেক সচিব মো. কামাল উদ্দিন (দায়িত্ব পালনের সময়) আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘নিয়ম অনুযায়ী কোনো প্রকল্প নেওয়ার আগে সমীক্ষা করা বাধ্যতামূলক। কিন্তু এই প্রকল্পে তা করা হয়নি, যা খুবই অস্বাভাবিক। নদী ব্যবস্থাপনা, জলবায়ু প্রভাব ও জেলেদের জীবনধারার মতো বিষয়গুলো বিবেচনায় না নিলে টেকসই ফল পাওয়া যায় না।’
আইএমইডি বলছে, ইলিশ অভয়াশ্রমে লাল পতাকা বা সাইনবোর্ড স্থাপন, অবৈধ জাল রোধে যৌথ অভিযান ও চেকপোস্ট গঠন এবং জেলেদের নিয়ে কমিউনিটি সংগঠন তৈরির মাধ্যমে প্রকল্পের কার্যকারিতা বাড়ানো সম্ভব। পাশাপাশি শুধু বকনা বাছুর নয়, হাঁস-মুরগি পালনের সুযোগ দিলে বিকল্প আয়ের পথও খুলে যেতে পারে।
এই বাস্তবতায় সরকার এখন নতুনভাবে সমুদ্রভিত্তিক ইলিশ আহরণ প্রকল্পের কথা ভাবছে, যাতে গভীর সমুদ্রে ইলিশের সম্ভাবনা কাজে লাগানো যায়। তবে আইএমইডির প্রতিবেদনে সতর্ক করা হয়েছে, আগের প্রকল্পের ব্যর্থতা বিশ্লেষণ না করে নতুন প্রকল্প শুরু করলে একই ভুল পুনরাবৃত্তির আশঙ্কা থেকেই যায়।
দেশে ইলিশ উৎপাদন ও সরবরাহ বাড়িয়ে বাজারে দাম সাধারণের নাগালের মধ্যে রাখার লক্ষ্য নিয়েই সরকার ২০১৯-২০ অর্থবছরে হাতে নেয় ‘ইলিশ সম্পদ উন্নয়ন ও ব্যবস্থাপনা’ প্রকল্প। তখন দেশে ইলিশের বার্ষিক উৎপাদন ছিল প্রায় ৫ লাখ ৫০ হাজার টন। সরকারের পরিকল্পনা ছিল পাঁচ বছরের মধ্যে উৎপাদন আরও ৭০ হাজার টন বাড়িয়ে ২০২৪-২৫ অর্থবছরে ৬ লাখ ২০ হাজার টনে উন্নীত করা। প্রকল্পের মাধ্যমে জাটকা সংরক্ষণ, প্রজনন মৌসুমে ইলিশ রক্ষা, বিকল্প জীবিকার সুযোগ সৃষ্টি এবং নদীর ইকোসিস্টেম পুনরুদ্ধারের মতো উদ্যোগ নেওয়ার কথা ছিল।
কিন্তু সময় গড়িয়েছে, ব্যয় বেড়েছে, প্রকল্পের মেয়াদও বাড়ানো হয়েছে—তবু লক্ষ্যমাত্রার কাছে যাওয়া সম্ভব হয়নি। বরং মাঠপর্যায়ের বাস্তবতায় দেখা দিয়েছে নানা জটিলতা। নদী ভরাট হয়ে কমে গেছে ইলিশের প্রজনন এলাকা, জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাবে বদলে গেছে প্রাকৃতিক আবাসস্থল। ডিম ছাড়ার সময়কার সুরক্ষা কার্যক্রমে ধরা পড়েছে অনিয়ম, নিষেধাজ্ঞার সময়েও চলেছে জাটকা নিধন। ফলে প্রকল্পে ২৪৬ কোটি টাকার প্রকল্প ব্যয় বেড়ে ২৭৬ কোটিতে পৌঁছালেও কার্যত ইলিশের পরিমাণ কমেছে, দাম বেড়েছে, আর উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা রয়ে গেছে কেবল কাগজের হিসাবে। খোদ সরকারি পরিসংখ্যান বলছে, ইলিশ উৎপাদন ৫ লাখ ৫০ হাজার টন থেকে নেমে এসেছে ৫ লাখ ৩৩ হাজার টনে।
মৎস্য অধিদপ্তরের একাধিক কর্মকর্তা জানিয়েছেন, মাঠপর্যায়ের কার্যক্রম সঠিকভাবে সমন্বিত না হওয়ায় প্রকল্পের ফলাফল দৃশ্যমান নয়। বরাদ্দের বড় অংশ ব্যয় হয়েছে প্রশিক্ষণ, প্রচারাভিযান ও যন্ত্রপাতি ক্রয়ে, কিন্তু নদী ও ইকোসিস্টেম পুনরুদ্ধারে তেমন কোনো কার্যকর অগ্রগতি হয়নি।
পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ের বাস্তবায়ন, পরিবীক্ষণ ও মূল্যায়ন বিভাগ (আইএমইডি) তাদের সাম্প্রতিক প্রতিবেদনে বলেছে, প্রকল্পের আগে কোনো পূর্ণাঙ্গ বেসলাইন সার্ভে করা হয়নি। উৎপাদনের বাস্তব পরিসংখ্যান, জলাশয়ের অবস্থা কিংবা জেলেদের সামাজিক-অর্থনৈতিক বাস্তবতা যাচাই না করেই প্রকল্পের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়, যা পরে ফলাফলে বড় ঘাটতি তৈরি করেছে।
এ প্রসঙ্গে জানতে চাইলে প্রকল্প পরিচালক মোল্লা এমদাদুল্যাহ আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘প্রাকৃতিক ও মানবসৃষ্ট বিপর্যয়ের কারণেই ইলিশের উৎপাদন বাড়ানো কঠিন হয়ে পড়েছে। এসবের সমাধান না হলে ইলিশ উৎপাদন বাড়বে না।’ তিনি জানান, অভীষ্ট লক্ষ্যে পৌঁছাতে ইতিমধ্যে প্রকল্পের মেয়াদ বাড়ানো হয়েছে, পাশাপাশি নতুন করে আরেকটি প্রকল্প গ্রহণের পরিকল্পনাও চলছে।
দেশের মোট মৎস্য উৎপাদনের ১১ শতাংশ আসে ইলিশ থেকে। সরাসরি ৫ লাখ এবং পরোক্ষভাবে ২০-২৫ লাখ মানুষ যুক্ত এই খাতে। নবায়নযোগ্য এই সম্পদের স্থায়িত্ব নিশ্চিত করার জন্যই প্রকল্পটি নেওয়া হয়েছিল। তবে আইএমইডির ভাষায়, ‘তথ্যভিত্তিক সিদ্ধান্ত না থাকায় প্রকল্পের লক্ষ্য ও বাস্তবতার মধ্যে এক বিরাট ব্যবধান তৈরি হয়েছে।’ সংস্থাটি আরও জানায়, মাঠপর্যায়ে প্রকল্প কর্মকর্তাদের তদারকি দুর্বল ছিল, ফলে নির্ধারিত কর্মসূচির অনেকগুলোই সময়মতো বাস্তবায়িত হয়নি। বিশেষ করে নিষিদ্ধ মৌসুমে জেলেদের বিকল্প কর্মসংস্থান নিশ্চিত না করায় তাঁরা বাধ্য হয়ে নদীতে নামছেন, যা জাটকা নিধনের প্রবণতা আরও বাড়িয়েছে।
স্থানীয় পর্যায়ের জেলেরা বলছেন, নদীতে এখন আগের মতো ইলিশ পাওয়া যায় না। বর্ষার সময় নদীতে পানিপ্রবাহ থাকলেও শুষ্ক মৌসুমে ইলিশের বিচরণপথ বাধাগ্রস্ত হচ্ছে। নদীদূষণ ও অপরিকল্পিত বাঁধ নির্মাণও ইলিশ প্রজননের জন্য হুমকি হয়ে দাঁড়িয়েছে। উৎপাদন কমে যাওয়ার প্রভাব সরাসরি পাইকারি ও খুচরা বাজারে গিয়ে পড়েছে। ইলিশের দাম এখন রেকর্ড উচ্চতায়।
কিছুদিন আগে রাজধানীর বাজারে ছোট ইলিশ বিক্রি হয় কেজি ১,২০০ টাকা, মাঝারি ২,২০০ টাকা আর ১ কেজি ওজনের ইলিশ ৩,০০০ টাকায়।
বিশেষজ্ঞদের মতে, প্রকল্পের মূল ত্রুটি ছিল পরিকল্পনা পর্যায়ে। এ প্রসঙ্গে আইএমইডির সাবেক সচিব মো. কামাল উদ্দিন (দায়িত্ব পালনের সময়) আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘নিয়ম অনুযায়ী কোনো প্রকল্প নেওয়ার আগে সমীক্ষা করা বাধ্যতামূলক। কিন্তু এই প্রকল্পে তা করা হয়নি, যা খুবই অস্বাভাবিক। নদী ব্যবস্থাপনা, জলবায়ু প্রভাব ও জেলেদের জীবনধারার মতো বিষয়গুলো বিবেচনায় না নিলে টেকসই ফল পাওয়া যায় না।’
আইএমইডি বলছে, ইলিশ অভয়াশ্রমে লাল পতাকা বা সাইনবোর্ড স্থাপন, অবৈধ জাল রোধে যৌথ অভিযান ও চেকপোস্ট গঠন এবং জেলেদের নিয়ে কমিউনিটি সংগঠন তৈরির মাধ্যমে প্রকল্পের কার্যকারিতা বাড়ানো সম্ভব। পাশাপাশি শুধু বকনা বাছুর নয়, হাঁস-মুরগি পালনের সুযোগ দিলে বিকল্প আয়ের পথও খুলে যেতে পারে।
এই বাস্তবতায় সরকার এখন নতুনভাবে সমুদ্রভিত্তিক ইলিশ আহরণ প্রকল্পের কথা ভাবছে, যাতে গভীর সমুদ্রে ইলিশের সম্ভাবনা কাজে লাগানো যায়। তবে আইএমইডির প্রতিবেদনে সতর্ক করা হয়েছে, আগের প্রকল্পের ব্যর্থতা বিশ্লেষণ না করে নতুন প্রকল্প শুরু করলে একই ভুল পুনরাবৃত্তির আশঙ্কা থেকেই যায়।
মাহফুজুল ইসলাম, ঢাকা
দেশে ইলিশ উৎপাদন ও সরবরাহ বাড়িয়ে বাজারে দাম সাধারণের নাগালের মধ্যে রাখার লক্ষ্য নিয়েই সরকার ২০১৯-২০ অর্থবছরে হাতে নেয় ‘ইলিশ সম্পদ উন্নয়ন ও ব্যবস্থাপনা’ প্রকল্প। তখন দেশে ইলিশের বার্ষিক উৎপাদন ছিল প্রায় ৫ লাখ ৫০ হাজার টন। সরকারের পরিকল্পনা ছিল পাঁচ বছরের মধ্যে উৎপাদন আরও ৭০ হাজার টন বাড়িয়ে ২০২৪-২৫ অর্থবছরে ৬ লাখ ২০ হাজার টনে উন্নীত করা। প্রকল্পের মাধ্যমে জাটকা সংরক্ষণ, প্রজনন মৌসুমে ইলিশ রক্ষা, বিকল্প জীবিকার সুযোগ সৃষ্টি এবং নদীর ইকোসিস্টেম পুনরুদ্ধারের মতো উদ্যোগ নেওয়ার কথা ছিল।
কিন্তু সময় গড়িয়েছে, ব্যয় বেড়েছে, প্রকল্পের মেয়াদও বাড়ানো হয়েছে—তবু লক্ষ্যমাত্রার কাছে যাওয়া সম্ভব হয়নি। বরং মাঠপর্যায়ের বাস্তবতায় দেখা দিয়েছে নানা জটিলতা। নদী ভরাট হয়ে কমে গেছে ইলিশের প্রজনন এলাকা, জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাবে বদলে গেছে প্রাকৃতিক আবাসস্থল। ডিম ছাড়ার সময়কার সুরক্ষা কার্যক্রমে ধরা পড়েছে অনিয়ম, নিষেধাজ্ঞার সময়েও চলেছে জাটকা নিধন। ফলে প্রকল্পে ২৪৬ কোটি টাকার প্রকল্প ব্যয় বেড়ে ২৭৬ কোটিতে পৌঁছালেও কার্যত ইলিশের পরিমাণ কমেছে, দাম বেড়েছে, আর উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা রয়ে গেছে কেবল কাগজের হিসাবে। খোদ সরকারি পরিসংখ্যান বলছে, ইলিশ উৎপাদন ৫ লাখ ৫০ হাজার টন থেকে নেমে এসেছে ৫ লাখ ৩৩ হাজার টনে।
মৎস্য অধিদপ্তরের একাধিক কর্মকর্তা জানিয়েছেন, মাঠপর্যায়ের কার্যক্রম সঠিকভাবে সমন্বিত না হওয়ায় প্রকল্পের ফলাফল দৃশ্যমান নয়। বরাদ্দের বড় অংশ ব্যয় হয়েছে প্রশিক্ষণ, প্রচারাভিযান ও যন্ত্রপাতি ক্রয়ে, কিন্তু নদী ও ইকোসিস্টেম পুনরুদ্ধারে তেমন কোনো কার্যকর অগ্রগতি হয়নি।
পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ের বাস্তবায়ন, পরিবীক্ষণ ও মূল্যায়ন বিভাগ (আইএমইডি) তাদের সাম্প্রতিক প্রতিবেদনে বলেছে, প্রকল্পের আগে কোনো পূর্ণাঙ্গ বেসলাইন সার্ভে করা হয়নি। উৎপাদনের বাস্তব পরিসংখ্যান, জলাশয়ের অবস্থা কিংবা জেলেদের সামাজিক-অর্থনৈতিক বাস্তবতা যাচাই না করেই প্রকল্পের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়, যা পরে ফলাফলে বড় ঘাটতি তৈরি করেছে।
এ প্রসঙ্গে জানতে চাইলে প্রকল্প পরিচালক মোল্লা এমদাদুল্যাহ আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘প্রাকৃতিক ও মানবসৃষ্ট বিপর্যয়ের কারণেই ইলিশের উৎপাদন বাড়ানো কঠিন হয়ে পড়েছে। এসবের সমাধান না হলে ইলিশ উৎপাদন বাড়বে না।’ তিনি জানান, অভীষ্ট লক্ষ্যে পৌঁছাতে ইতিমধ্যে প্রকল্পের মেয়াদ বাড়ানো হয়েছে, পাশাপাশি নতুন করে আরেকটি প্রকল্প গ্রহণের পরিকল্পনাও চলছে।
দেশের মোট মৎস্য উৎপাদনের ১১ শতাংশ আসে ইলিশ থেকে। সরাসরি ৫ লাখ এবং পরোক্ষভাবে ২০-২৫ লাখ মানুষ যুক্ত এই খাতে। নবায়নযোগ্য এই সম্পদের স্থায়িত্ব নিশ্চিত করার জন্যই প্রকল্পটি নেওয়া হয়েছিল। তবে আইএমইডির ভাষায়, ‘তথ্যভিত্তিক সিদ্ধান্ত না থাকায় প্রকল্পের লক্ষ্য ও বাস্তবতার মধ্যে এক বিরাট ব্যবধান তৈরি হয়েছে।’ সংস্থাটি আরও জানায়, মাঠপর্যায়ে প্রকল্প কর্মকর্তাদের তদারকি দুর্বল ছিল, ফলে নির্ধারিত কর্মসূচির অনেকগুলোই সময়মতো বাস্তবায়িত হয়নি। বিশেষ করে নিষিদ্ধ মৌসুমে জেলেদের বিকল্প কর্মসংস্থান নিশ্চিত না করায় তাঁরা বাধ্য হয়ে নদীতে নামছেন, যা জাটকা নিধনের প্রবণতা আরও বাড়িয়েছে।
স্থানীয় পর্যায়ের জেলেরা বলছেন, নদীতে এখন আগের মতো ইলিশ পাওয়া যায় না। বর্ষার সময় নদীতে পানিপ্রবাহ থাকলেও শুষ্ক মৌসুমে ইলিশের বিচরণপথ বাধাগ্রস্ত হচ্ছে। নদীদূষণ ও অপরিকল্পিত বাঁধ নির্মাণও ইলিশ প্রজননের জন্য হুমকি হয়ে দাঁড়িয়েছে। উৎপাদন কমে যাওয়ার প্রভাব সরাসরি পাইকারি ও খুচরা বাজারে গিয়ে পড়েছে। ইলিশের দাম এখন রেকর্ড উচ্চতায়।
কিছুদিন আগে রাজধানীর বাজারে ছোট ইলিশ বিক্রি হয় কেজি ১,২০০ টাকা, মাঝারি ২,২০০ টাকা আর ১ কেজি ওজনের ইলিশ ৩,০০০ টাকায়।
বিশেষজ্ঞদের মতে, প্রকল্পের মূল ত্রুটি ছিল পরিকল্পনা পর্যায়ে। এ প্রসঙ্গে আইএমইডির সাবেক সচিব মো. কামাল উদ্দিন (দায়িত্ব পালনের সময়) আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘নিয়ম অনুযায়ী কোনো প্রকল্প নেওয়ার আগে সমীক্ষা করা বাধ্যতামূলক। কিন্তু এই প্রকল্পে তা করা হয়নি, যা খুবই অস্বাভাবিক। নদী ব্যবস্থাপনা, জলবায়ু প্রভাব ও জেলেদের জীবনধারার মতো বিষয়গুলো বিবেচনায় না নিলে টেকসই ফল পাওয়া যায় না।’
আইএমইডি বলছে, ইলিশ অভয়াশ্রমে লাল পতাকা বা সাইনবোর্ড স্থাপন, অবৈধ জাল রোধে যৌথ অভিযান ও চেকপোস্ট গঠন এবং জেলেদের নিয়ে কমিউনিটি সংগঠন তৈরির মাধ্যমে প্রকল্পের কার্যকারিতা বাড়ানো সম্ভব। পাশাপাশি শুধু বকনা বাছুর নয়, হাঁস-মুরগি পালনের সুযোগ দিলে বিকল্প আয়ের পথও খুলে যেতে পারে।
এই বাস্তবতায় সরকার এখন নতুনভাবে সমুদ্রভিত্তিক ইলিশ আহরণ প্রকল্পের কথা ভাবছে, যাতে গভীর সমুদ্রে ইলিশের সম্ভাবনা কাজে লাগানো যায়। তবে আইএমইডির প্রতিবেদনে সতর্ক করা হয়েছে, আগের প্রকল্পের ব্যর্থতা বিশ্লেষণ না করে নতুন প্রকল্প শুরু করলে একই ভুল পুনরাবৃত্তির আশঙ্কা থেকেই যায়।
দেশে ইলিশ উৎপাদন ও সরবরাহ বাড়িয়ে বাজারে দাম সাধারণের নাগালের মধ্যে রাখার লক্ষ্য নিয়েই সরকার ২০১৯-২০ অর্থবছরে হাতে নেয় ‘ইলিশ সম্পদ উন্নয়ন ও ব্যবস্থাপনা’ প্রকল্প। তখন দেশে ইলিশের বার্ষিক উৎপাদন ছিল প্রায় ৫ লাখ ৫০ হাজার টন। সরকারের পরিকল্পনা ছিল পাঁচ বছরের মধ্যে উৎপাদন আরও ৭০ হাজার টন বাড়িয়ে ২০২৪-২৫ অর্থবছরে ৬ লাখ ২০ হাজার টনে উন্নীত করা। প্রকল্পের মাধ্যমে জাটকা সংরক্ষণ, প্রজনন মৌসুমে ইলিশ রক্ষা, বিকল্প জীবিকার সুযোগ সৃষ্টি এবং নদীর ইকোসিস্টেম পুনরুদ্ধারের মতো উদ্যোগ নেওয়ার কথা ছিল।
কিন্তু সময় গড়িয়েছে, ব্যয় বেড়েছে, প্রকল্পের মেয়াদও বাড়ানো হয়েছে—তবু লক্ষ্যমাত্রার কাছে যাওয়া সম্ভব হয়নি। বরং মাঠপর্যায়ের বাস্তবতায় দেখা দিয়েছে নানা জটিলতা। নদী ভরাট হয়ে কমে গেছে ইলিশের প্রজনন এলাকা, জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাবে বদলে গেছে প্রাকৃতিক আবাসস্থল। ডিম ছাড়ার সময়কার সুরক্ষা কার্যক্রমে ধরা পড়েছে অনিয়ম, নিষেধাজ্ঞার সময়েও চলেছে জাটকা নিধন। ফলে প্রকল্পে ২৪৬ কোটি টাকার প্রকল্প ব্যয় বেড়ে ২৭৬ কোটিতে পৌঁছালেও কার্যত ইলিশের পরিমাণ কমেছে, দাম বেড়েছে, আর উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা রয়ে গেছে কেবল কাগজের হিসাবে। খোদ সরকারি পরিসংখ্যান বলছে, ইলিশ উৎপাদন ৫ লাখ ৫০ হাজার টন থেকে নেমে এসেছে ৫ লাখ ৩৩ হাজার টনে।
মৎস্য অধিদপ্তরের একাধিক কর্মকর্তা জানিয়েছেন, মাঠপর্যায়ের কার্যক্রম সঠিকভাবে সমন্বিত না হওয়ায় প্রকল্পের ফলাফল দৃশ্যমান নয়। বরাদ্দের বড় অংশ ব্যয় হয়েছে প্রশিক্ষণ, প্রচারাভিযান ও যন্ত্রপাতি ক্রয়ে, কিন্তু নদী ও ইকোসিস্টেম পুনরুদ্ধারে তেমন কোনো কার্যকর অগ্রগতি হয়নি।
পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ের বাস্তবায়ন, পরিবীক্ষণ ও মূল্যায়ন বিভাগ (আইএমইডি) তাদের সাম্প্রতিক প্রতিবেদনে বলেছে, প্রকল্পের আগে কোনো পূর্ণাঙ্গ বেসলাইন সার্ভে করা হয়নি। উৎপাদনের বাস্তব পরিসংখ্যান, জলাশয়ের অবস্থা কিংবা জেলেদের সামাজিক-অর্থনৈতিক বাস্তবতা যাচাই না করেই প্রকল্পের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়, যা পরে ফলাফলে বড় ঘাটতি তৈরি করেছে।
এ প্রসঙ্গে জানতে চাইলে প্রকল্প পরিচালক মোল্লা এমদাদুল্যাহ আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘প্রাকৃতিক ও মানবসৃষ্ট বিপর্যয়ের কারণেই ইলিশের উৎপাদন বাড়ানো কঠিন হয়ে পড়েছে। এসবের সমাধান না হলে ইলিশ উৎপাদন বাড়বে না।’ তিনি জানান, অভীষ্ট লক্ষ্যে পৌঁছাতে ইতিমধ্যে প্রকল্পের মেয়াদ বাড়ানো হয়েছে, পাশাপাশি নতুন করে আরেকটি প্রকল্প গ্রহণের পরিকল্পনাও চলছে।
দেশের মোট মৎস্য উৎপাদনের ১১ শতাংশ আসে ইলিশ থেকে। সরাসরি ৫ লাখ এবং পরোক্ষভাবে ২০-২৫ লাখ মানুষ যুক্ত এই খাতে। নবায়নযোগ্য এই সম্পদের স্থায়িত্ব নিশ্চিত করার জন্যই প্রকল্পটি নেওয়া হয়েছিল। তবে আইএমইডির ভাষায়, ‘তথ্যভিত্তিক সিদ্ধান্ত না থাকায় প্রকল্পের লক্ষ্য ও বাস্তবতার মধ্যে এক বিরাট ব্যবধান তৈরি হয়েছে।’ সংস্থাটি আরও জানায়, মাঠপর্যায়ে প্রকল্প কর্মকর্তাদের তদারকি দুর্বল ছিল, ফলে নির্ধারিত কর্মসূচির অনেকগুলোই সময়মতো বাস্তবায়িত হয়নি। বিশেষ করে নিষিদ্ধ মৌসুমে জেলেদের বিকল্প কর্মসংস্থান নিশ্চিত না করায় তাঁরা বাধ্য হয়ে নদীতে নামছেন, যা জাটকা নিধনের প্রবণতা আরও বাড়িয়েছে।
স্থানীয় পর্যায়ের জেলেরা বলছেন, নদীতে এখন আগের মতো ইলিশ পাওয়া যায় না। বর্ষার সময় নদীতে পানিপ্রবাহ থাকলেও শুষ্ক মৌসুমে ইলিশের বিচরণপথ বাধাগ্রস্ত হচ্ছে। নদীদূষণ ও অপরিকল্পিত বাঁধ নির্মাণও ইলিশ প্রজননের জন্য হুমকি হয়ে দাঁড়িয়েছে। উৎপাদন কমে যাওয়ার প্রভাব সরাসরি পাইকারি ও খুচরা বাজারে গিয়ে পড়েছে। ইলিশের দাম এখন রেকর্ড উচ্চতায়।
কিছুদিন আগে রাজধানীর বাজারে ছোট ইলিশ বিক্রি হয় কেজি ১,২০০ টাকা, মাঝারি ২,২০০ টাকা আর ১ কেজি ওজনের ইলিশ ৩,০০০ টাকায়।
বিশেষজ্ঞদের মতে, প্রকল্পের মূল ত্রুটি ছিল পরিকল্পনা পর্যায়ে। এ প্রসঙ্গে আইএমইডির সাবেক সচিব মো. কামাল উদ্দিন (দায়িত্ব পালনের সময়) আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘নিয়ম অনুযায়ী কোনো প্রকল্প নেওয়ার আগে সমীক্ষা করা বাধ্যতামূলক। কিন্তু এই প্রকল্পে তা করা হয়নি, যা খুবই অস্বাভাবিক। নদী ব্যবস্থাপনা, জলবায়ু প্রভাব ও জেলেদের জীবনধারার মতো বিষয়গুলো বিবেচনায় না নিলে টেকসই ফল পাওয়া যায় না।’
আইএমইডি বলছে, ইলিশ অভয়াশ্রমে লাল পতাকা বা সাইনবোর্ড স্থাপন, অবৈধ জাল রোধে যৌথ অভিযান ও চেকপোস্ট গঠন এবং জেলেদের নিয়ে কমিউনিটি সংগঠন তৈরির মাধ্যমে প্রকল্পের কার্যকারিতা বাড়ানো সম্ভব। পাশাপাশি শুধু বকনা বাছুর নয়, হাঁস-মুরগি পালনের সুযোগ দিলে বিকল্প আয়ের পথও খুলে যেতে পারে।
এই বাস্তবতায় সরকার এখন নতুনভাবে সমুদ্রভিত্তিক ইলিশ আহরণ প্রকল্পের কথা ভাবছে, যাতে গভীর সমুদ্রে ইলিশের সম্ভাবনা কাজে লাগানো যায়। তবে আইএমইডির প্রতিবেদনে সতর্ক করা হয়েছে, আগের প্রকল্পের ব্যর্থতা বিশ্লেষণ না করে নতুন প্রকল্প শুরু করলে একই ভুল পুনরাবৃত্তির আশঙ্কা থেকেই যায়।
দেশের প্রশিক্ষিত রন্ধনশিল্পীরা (শেফ) এখন থেকে পাবেন আন্তর্জাতিক মানের সনদ। রাজধানীর গুলশানের এক হোটেলে গতকাল শনিবার বাংলাদেশ ইন্টারন্যাশনাল কালিনারি ইনস্টিটিউট (আইসিআই) ও যুক্তরাজ্যের ওয়ার্ল্ড মাস্টার শেফসের (ডব্লিউএমসি) মধ্যে এক সমঝোতা স্মারক (এমওইউ) স্বাক্ষরিত হয়েছে।
৩ ঘণ্টা আগেগত সপ্তাহে দেশের প্রধান পুঁজিবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) ব্যাপক দরপতন হয়েছে। সপ্তাহজুড়ে মূল্যবৃদ্ধির তুলনায় দরপতন হয়েছে প্রায় ছয় গুণ বেশি। এমন ঢালাও পতনে সূচকের পাশাপাশি বাজার মূলধন কমেছে প্রায় ১৮ হাজার কোটি টাকা। কমেছে দৈনিক গড় লেনদেনের পরিমাণও।
৮ ঘণ্টা আগেহযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের কার্গো ভিলেজ এলাকায় অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় কাস্টমসের ক্ষয়ক্ষতি নিরূপণে ৫ সদস্যের কমিটি গঠন করা হয়েছে। আজ শনিবার (১৮ অক্টোবর) রাতে অর্থ মন্ত্রণালয়ের অভ্যন্তরীণ সম্পদ বিভাগ (আইআরডি) থেকে এ কমিটি গঠন করা হয়।
১৩ ঘণ্টা আগেহজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের কার্গো ভিলেজে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় ক্ষতির পরিমাণ জানার চেষ্টা করছেন রপ্তানিকারক প্রতিষ্ঠানের সংগঠনগুলো। এরই মধ্যে তাঁরা স্ব-স্ব সদস্যদের নির্ধারিত ফরম্যাটে ক্ষতি হওয়া পণ্যের তালিকা দিতে চিঠি দিয়েছে। এক দুদিনের মধ্যেই কার্গো ভিলেজে কি পরিমাণ পণ্য ছিল তার সঠিক তথ্য
১৫ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
রাজধানীর গুলশানের একটি হোটেলে গতকাল শনিবার বাংলাদেশের ইন্টারন্যাশনাল কালিনারি ইনস্টিটিউটের (আইসিআই) সঙ্গে যুক্তরাজ্যের ওয়ার্ল্ড মাস্টার শেফসের (ডব্লিউএমসি) এক সমঝোতা চুক্তি স্বাক্ষরিত (এমওইউ) হয়েছে। এই চুক্তির আওতায় রন্ধনশিল্পের সঙ্গে জড়িত বিশেষ করে আইসিআই থেকে প্রশিক্ষণপ্রাপ্তরা এখন থেকে আন্তর্জাতিক মানের সনদ পাবেন। এই সনদের মাধ্যমে তাঁরা বাংলাদেশসহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশে শেফ হিসেবে কাজের সুযোগ পাবেন।
গতকাল আইসিআইয়ের পক্ষে ডানিয়েল সি গোমেজ ও ডব্লিউএমসির পক্ষে সংগঠনটির সিনিয়র ভাইস প্রেসিডেন্ট মাস্টার শেফ ড্যানিয়েল আইটন চুক্তিতে স্বাক্ষর করেন।
আইসিআই সূত্রে জানা গেছে, বাংলাদেশে অবস্থানকারী অনেক তরুণ-তরুণী ছাড়াও বিশ্বের বিভিন্ন দেশে কর্মরত বাংলাদেশিরাও ইন্টারন্যাশনাল কালিনারি ইনস্টিটিউট থেকে তিন থেকে ছয় মাসের কোর্স সম্পন্ন করছেন। নির্ধারিত কোর্স ফি দিয়ে মাত্র ছয় মাসের মধ্যেই দুই আন্তর্জাতিক মানের প্রশিক্ষণ গ্রহণের সুযোগ রয়েছে। এই প্রতিষ্ঠানের সনদ বিশ্বের বিভিন্ন দেশে স্বীকৃত পাচ্ছে। নতুন করে ডব্লিউএমসির সঙ্গে চুক্তি স্বাক্ষর হওয়ায় সনদের মান আরও কয়েক ধাপ ওপরে উঠে গেল।
গতকাল চুক্তি স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে উপস্থিত মাস্টার শেফসের সিনিয়ার ভাইস প্রেসিডেন্ট মাস্টার শেফ ড্যানিয়েল আইটন বলেন, এই সমঝোতা স্মারক হলো বিশ্ব কালিনারি ঐতিহ্য ও বাংলাদেশের নবীন প্রতিভাদের মধ্যে একটি সেতুবন্ধন।
স্কিলস ফর ইন্ডাস্ট্রি কমপিটিটিভনেস অ্যান্ড ইনোভেশন প্রোগ্রাম (এসআইসিআইপি) প্রকল্প সমন্বয়ক এএন এম সাহজাহান বলেন, ‘আইসিআই ও ডব্লিউএমসির চুক্তি বাংলাদেশের তরুণদেরকে আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি ও দক্ষতা অর্জনের সুযোগ করে দেবে। এ সহযোগিতার মাধ্যমে কালিনারি শিক্ষার মান আরও উন্নত করা সম্ভব হবে। কর্মসংস্থানের সুযোগ বৃদ্ধি পাবে এবং পেশাজীবীদের জন্য বৈশ্বিক পরিসরে নতুন দিগন্ত উন্মোচন করতে সক্ষম হবে।
আইসিআইয়ের মাস্টার শেফ ড্যানিয়েল সি গোমেজ বলেন, তাঁর প্রতিষ্ঠান থেকে বছরে এক হাজারের অধিক শেফ তৈরি হচ্ছে। যাঁরা দেশ-বিদেশে নিজ নিজ কর্মে দক্ষতার পরিচয় দিচ্ছেন। এই পেশায় নিয়োজিতরা আন্তর্জাতিক অঙ্গনে বড় সাফল্য লাভ করছেন।
ডানিয়েল সি গোমেজ আরও বলেন, এই সমঝোতা স্মারকের মাধ্যমে আইসিআই বাংলাদেশকে ইন্টারন্যাশনাল কালিনারি শিক্ষার মানের সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ করতে এক গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ নিল। এই সমঝোতা স্মারক উভয় প্রতিষ্ঠানের জন্য একটি মাইলফলক, যা বাংলাদেশের ক্রমবর্ধমান আন্তর্জাতিক কালিনারি উপস্থিতিকে আরও দৃঢ় করবে।
রাজধানীর গুলশানের একটি হোটেলে গতকাল শনিবার বাংলাদেশের ইন্টারন্যাশনাল কালিনারি ইনস্টিটিউটের (আইসিআই) সঙ্গে যুক্তরাজ্যের ওয়ার্ল্ড মাস্টার শেফসের (ডব্লিউএমসি) এক সমঝোতা চুক্তি স্বাক্ষরিত (এমওইউ) হয়েছে। এই চুক্তির আওতায় রন্ধনশিল্পের সঙ্গে জড়িত বিশেষ করে আইসিআই থেকে প্রশিক্ষণপ্রাপ্তরা এখন থেকে আন্তর্জাতিক মানের সনদ পাবেন। এই সনদের মাধ্যমে তাঁরা বাংলাদেশসহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশে শেফ হিসেবে কাজের সুযোগ পাবেন।
গতকাল আইসিআইয়ের পক্ষে ডানিয়েল সি গোমেজ ও ডব্লিউএমসির পক্ষে সংগঠনটির সিনিয়র ভাইস প্রেসিডেন্ট মাস্টার শেফ ড্যানিয়েল আইটন চুক্তিতে স্বাক্ষর করেন।
আইসিআই সূত্রে জানা গেছে, বাংলাদেশে অবস্থানকারী অনেক তরুণ-তরুণী ছাড়াও বিশ্বের বিভিন্ন দেশে কর্মরত বাংলাদেশিরাও ইন্টারন্যাশনাল কালিনারি ইনস্টিটিউট থেকে তিন থেকে ছয় মাসের কোর্স সম্পন্ন করছেন। নির্ধারিত কোর্স ফি দিয়ে মাত্র ছয় মাসের মধ্যেই দুই আন্তর্জাতিক মানের প্রশিক্ষণ গ্রহণের সুযোগ রয়েছে। এই প্রতিষ্ঠানের সনদ বিশ্বের বিভিন্ন দেশে স্বীকৃত পাচ্ছে। নতুন করে ডব্লিউএমসির সঙ্গে চুক্তি স্বাক্ষর হওয়ায় সনদের মান আরও কয়েক ধাপ ওপরে উঠে গেল।
গতকাল চুক্তি স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে উপস্থিত মাস্টার শেফসের সিনিয়ার ভাইস প্রেসিডেন্ট মাস্টার শেফ ড্যানিয়েল আইটন বলেন, এই সমঝোতা স্মারক হলো বিশ্ব কালিনারি ঐতিহ্য ও বাংলাদেশের নবীন প্রতিভাদের মধ্যে একটি সেতুবন্ধন।
স্কিলস ফর ইন্ডাস্ট্রি কমপিটিটিভনেস অ্যান্ড ইনোভেশন প্রোগ্রাম (এসআইসিআইপি) প্রকল্প সমন্বয়ক এএন এম সাহজাহান বলেন, ‘আইসিআই ও ডব্লিউএমসির চুক্তি বাংলাদেশের তরুণদেরকে আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি ও দক্ষতা অর্জনের সুযোগ করে দেবে। এ সহযোগিতার মাধ্যমে কালিনারি শিক্ষার মান আরও উন্নত করা সম্ভব হবে। কর্মসংস্থানের সুযোগ বৃদ্ধি পাবে এবং পেশাজীবীদের জন্য বৈশ্বিক পরিসরে নতুন দিগন্ত উন্মোচন করতে সক্ষম হবে।
আইসিআইয়ের মাস্টার শেফ ড্যানিয়েল সি গোমেজ বলেন, তাঁর প্রতিষ্ঠান থেকে বছরে এক হাজারের অধিক শেফ তৈরি হচ্ছে। যাঁরা দেশ-বিদেশে নিজ নিজ কর্মে দক্ষতার পরিচয় দিচ্ছেন। এই পেশায় নিয়োজিতরা আন্তর্জাতিক অঙ্গনে বড় সাফল্য লাভ করছেন।
ডানিয়েল সি গোমেজ আরও বলেন, এই সমঝোতা স্মারকের মাধ্যমে আইসিআই বাংলাদেশকে ইন্টারন্যাশনাল কালিনারি শিক্ষার মানের সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ করতে এক গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ নিল। এই সমঝোতা স্মারক উভয় প্রতিষ্ঠানের জন্য একটি মাইলফলক, যা বাংলাদেশের ক্রমবর্ধমান আন্তর্জাতিক কালিনারি উপস্থিতিকে আরও দৃঢ় করবে।
দেশে ইলিশ উৎপাদন ও সরবরাহ বাড়িয়ে বাজারে দাম সাধারণের নাগালের মধ্যে রাখার লক্ষ্য নিয়েই সরকার ২০১৯-২০ অর্থবছরে হাতে নেয় ‘ইলিশ সম্পদ উন্নয়ন ও ব্যবস্থাপনা’ প্রকল্প। তখন দেশে ইলিশের বার্ষিক উৎপাদন ছিল প্রায় ৫ লাখ ৫০ হাজার টন।
৮ ঘণ্টা আগেগত সপ্তাহে দেশের প্রধান পুঁজিবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) ব্যাপক দরপতন হয়েছে। সপ্তাহজুড়ে মূল্যবৃদ্ধির তুলনায় দরপতন হয়েছে প্রায় ছয় গুণ বেশি। এমন ঢালাও পতনে সূচকের পাশাপাশি বাজার মূলধন কমেছে প্রায় ১৮ হাজার কোটি টাকা। কমেছে দৈনিক গড় লেনদেনের পরিমাণও।
৮ ঘণ্টা আগেহযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের কার্গো ভিলেজ এলাকায় অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় কাস্টমসের ক্ষয়ক্ষতি নিরূপণে ৫ সদস্যের কমিটি গঠন করা হয়েছে। আজ শনিবার (১৮ অক্টোবর) রাতে অর্থ মন্ত্রণালয়ের অভ্যন্তরীণ সম্পদ বিভাগ (আইআরডি) থেকে এ কমিটি গঠন করা হয়।
১৩ ঘণ্টা আগেহজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের কার্গো ভিলেজে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় ক্ষতির পরিমাণ জানার চেষ্টা করছেন রপ্তানিকারক প্রতিষ্ঠানের সংগঠনগুলো। এরই মধ্যে তাঁরা স্ব-স্ব সদস্যদের নির্ধারিত ফরম্যাটে ক্ষতি হওয়া পণ্যের তালিকা দিতে চিঠি দিয়েছে। এক দুদিনের মধ্যেই কার্গো ভিলেজে কি পরিমাণ পণ্য ছিল তার সঠিক তথ্য
১৫ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
গত সপ্তাহে দেশের প্রধান পুঁজিবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) ব্যাপক দরপতন হয়েছে। সপ্তাহজুড়ে মূল্যবৃদ্ধির তুলনায় দরপতন হয়েছে প্রায় ছয় গুণ বেশি। এমন ঢালাও পতনে সূচকের পাশাপাশি বাজার মূলধন কমেছে প্রায় ১৮ হাজার কোটি টাকা। কমেছে দৈনিক গড় লেনদেনের পরিমাণও।
সপ্তাহজুড়ে ডিএসইতে লেনদেন হওয়া কোম্পানির মধ্যে দর বেড়েছে ৫৬টির, কমেছে ৩২৬টির এবং অপরিবর্তিত ছিল ১৪টির শেয়ারদর। অর্থাৎ দাম বাড়ার তুলনায় দাম কমেছে ৫ দশমিক ৮২ গুণ বেশি প্রতিষ্ঠানের। এর প্রভাবে প্রধান সূচক ডিএসইএক্স কমেছে ১৬৪ পয়েন্ট বা ৩ দশমিক ১১ শতাংশ। আগের সপ্তাহে সূচকটি কমেছিল ১৩২ পয়েন্ট বা ২ দশমিক ৪৪ শতাংশ।
সপ্তাহের শেষ কার্যদিবসে ডিএসইর মোট বাজার মূলধন দাঁড়ায় ৬ লাখ ৯৯ হাজার ২৮৫ কোটি টাকা, যা আগের সপ্তাহের শেষে ছিল ৭ লাখ ১৭ হাজার ১২৬ কোটি টাকা। অর্থাৎ এক সপ্তাহে বাজার মূলধন কমেছে ১৭ হাজার ৮৪১ কোটি টাকা বা ২ দশমিক ৪৯ শতাংশ। আগের সপ্তাহে এ পতনের পরিমাণ ছিল ৭ হাজার ৯৩৭ কোটি টাকা বা ১ দশমিক ০৯ শতাংশ।
এ সময় ডিএসইতে লেনদেনের গতি কমেছে উল্লেখযোগ্যভাবে। সপ্তাহজুড়ে প্রতিদিন গড়ে লেনদেন হয়েছে ৫২২ কোটি ২২ লাখ টাকা, যা আগের সপ্তাহের গড় লেনদেন ৬৫৭ কোটি ১২ লাখ টাকার তুলনায় ১৩৪ কোটি ৯০ লাখ টাকা বা ২০ দশমিক ৫৩ শতাংশ কম।
সপ্তাহজুড়ে টাকার অঙ্কে সবচেয়ে বেশি লেনদেন হয়েছে ডমিনেজ স্টিল বিল্ডিংস লিমিটেডের শেয়ার। কোম্পানিটির শেয়ারে প্রতিদিন গড়ে লেনদেন হয়েছে ২০ কোটি ৩২ লাখ টাকা, যা মোট লেনদেনের ৩ দশমিক ৮৯ শতাংশ।
দ্বিতীয় স্থানে থাকা ওরিয়ন ইনফিউশনের প্রতিদিনের গড় লেনদেন ২০ কোটি ১৭ লাখ টাকা এবং তৃতীয় স্থানে থাকা সিভিও পেট্রোকেমিক্যালের গড় লেনদেন ১৬ কোটি ৭৭ লাখ টাকা।
এ ছাড়া লেনদেনে শীর্ষ ১০ কোম্পানির তালিকায় ছিল সামিট অ্যালায়েন্স পোর্ট, প্রগতি ইনস্যুরেন্স, প্রগতি লাইফ ইনস্যুরেন্স, খান ব্রাদার্স পিপি ওভেন ব্যাগ, রূপালী লাইফ ইনস্যুরেন্স, স্কয়ার ফার্মাসিউটিক্যালস ও সিমটেক্স ইন্ডাস্ট্রিজ।
গত সপ্তাহে দেশের প্রধান পুঁজিবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) ব্যাপক দরপতন হয়েছে। সপ্তাহজুড়ে মূল্যবৃদ্ধির তুলনায় দরপতন হয়েছে প্রায় ছয় গুণ বেশি। এমন ঢালাও পতনে সূচকের পাশাপাশি বাজার মূলধন কমেছে প্রায় ১৮ হাজার কোটি টাকা। কমেছে দৈনিক গড় লেনদেনের পরিমাণও।
সপ্তাহজুড়ে ডিএসইতে লেনদেন হওয়া কোম্পানির মধ্যে দর বেড়েছে ৫৬টির, কমেছে ৩২৬টির এবং অপরিবর্তিত ছিল ১৪টির শেয়ারদর। অর্থাৎ দাম বাড়ার তুলনায় দাম কমেছে ৫ দশমিক ৮২ গুণ বেশি প্রতিষ্ঠানের। এর প্রভাবে প্রধান সূচক ডিএসইএক্স কমেছে ১৬৪ পয়েন্ট বা ৩ দশমিক ১১ শতাংশ। আগের সপ্তাহে সূচকটি কমেছিল ১৩২ পয়েন্ট বা ২ দশমিক ৪৪ শতাংশ।
সপ্তাহের শেষ কার্যদিবসে ডিএসইর মোট বাজার মূলধন দাঁড়ায় ৬ লাখ ৯৯ হাজার ২৮৫ কোটি টাকা, যা আগের সপ্তাহের শেষে ছিল ৭ লাখ ১৭ হাজার ১২৬ কোটি টাকা। অর্থাৎ এক সপ্তাহে বাজার মূলধন কমেছে ১৭ হাজার ৮৪১ কোটি টাকা বা ২ দশমিক ৪৯ শতাংশ। আগের সপ্তাহে এ পতনের পরিমাণ ছিল ৭ হাজার ৯৩৭ কোটি টাকা বা ১ দশমিক ০৯ শতাংশ।
এ সময় ডিএসইতে লেনদেনের গতি কমেছে উল্লেখযোগ্যভাবে। সপ্তাহজুড়ে প্রতিদিন গড়ে লেনদেন হয়েছে ৫২২ কোটি ২২ লাখ টাকা, যা আগের সপ্তাহের গড় লেনদেন ৬৫৭ কোটি ১২ লাখ টাকার তুলনায় ১৩৪ কোটি ৯০ লাখ টাকা বা ২০ দশমিক ৫৩ শতাংশ কম।
সপ্তাহজুড়ে টাকার অঙ্কে সবচেয়ে বেশি লেনদেন হয়েছে ডমিনেজ স্টিল বিল্ডিংস লিমিটেডের শেয়ার। কোম্পানিটির শেয়ারে প্রতিদিন গড়ে লেনদেন হয়েছে ২০ কোটি ৩২ লাখ টাকা, যা মোট লেনদেনের ৩ দশমিক ৮৯ শতাংশ।
দ্বিতীয় স্থানে থাকা ওরিয়ন ইনফিউশনের প্রতিদিনের গড় লেনদেন ২০ কোটি ১৭ লাখ টাকা এবং তৃতীয় স্থানে থাকা সিভিও পেট্রোকেমিক্যালের গড় লেনদেন ১৬ কোটি ৭৭ লাখ টাকা।
এ ছাড়া লেনদেনে শীর্ষ ১০ কোম্পানির তালিকায় ছিল সামিট অ্যালায়েন্স পোর্ট, প্রগতি ইনস্যুরেন্স, প্রগতি লাইফ ইনস্যুরেন্স, খান ব্রাদার্স পিপি ওভেন ব্যাগ, রূপালী লাইফ ইনস্যুরেন্স, স্কয়ার ফার্মাসিউটিক্যালস ও সিমটেক্স ইন্ডাস্ট্রিজ।
দেশে ইলিশ উৎপাদন ও সরবরাহ বাড়িয়ে বাজারে দাম সাধারণের নাগালের মধ্যে রাখার লক্ষ্য নিয়েই সরকার ২০১৯-২০ অর্থবছরে হাতে নেয় ‘ইলিশ সম্পদ উন্নয়ন ও ব্যবস্থাপনা’ প্রকল্প। তখন দেশে ইলিশের বার্ষিক উৎপাদন ছিল প্রায় ৫ লাখ ৫০ হাজার টন।
৮ ঘণ্টা আগেদেশের প্রশিক্ষিত রন্ধনশিল্পীরা (শেফ) এখন থেকে পাবেন আন্তর্জাতিক মানের সনদ। রাজধানীর গুলশানের এক হোটেলে গতকাল শনিবার বাংলাদেশ ইন্টারন্যাশনাল কালিনারি ইনস্টিটিউট (আইসিআই) ও যুক্তরাজ্যের ওয়ার্ল্ড মাস্টার শেফসের (ডব্লিউএমসি) মধ্যে এক সমঝোতা স্মারক (এমওইউ) স্বাক্ষরিত হয়েছে।
৩ ঘণ্টা আগেহযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের কার্গো ভিলেজ এলাকায় অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় কাস্টমসের ক্ষয়ক্ষতি নিরূপণে ৫ সদস্যের কমিটি গঠন করা হয়েছে। আজ শনিবার (১৮ অক্টোবর) রাতে অর্থ মন্ত্রণালয়ের অভ্যন্তরীণ সম্পদ বিভাগ (আইআরডি) থেকে এ কমিটি গঠন করা হয়।
১৩ ঘণ্টা আগেহজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের কার্গো ভিলেজে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় ক্ষতির পরিমাণ জানার চেষ্টা করছেন রপ্তানিকারক প্রতিষ্ঠানের সংগঠনগুলো। এরই মধ্যে তাঁরা স্ব-স্ব সদস্যদের নির্ধারিত ফরম্যাটে ক্ষতি হওয়া পণ্যের তালিকা দিতে চিঠি দিয়েছে। এক দুদিনের মধ্যেই কার্গো ভিলেজে কি পরিমাণ পণ্য ছিল তার সঠিক তথ্য
১৫ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের কার্গো ভিলেজ এলাকায় অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় কাস্টমসের ক্ষয়ক্ষতি নিরূপণে ৫ সদস্যের কমিটি গঠন করা হয়েছে। আজ শনিবার (১৮ অক্টোবর) রাতে অর্থ মন্ত্রণালয়ের অভ্যন্তরীণ সম্পদ বিভাগ (আইআরডি) থেকে এ কমিটি গঠন করা হয়।
জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়েছে।
আইআরডির যুগ্ম সচিব (প্রশাসন) মোহাম্মদ মাহবুবুর রহমান পাটওয়ারীকে কমিটির আহ্বায়ক করা হয়েছে। সদস্যসচিব হিসেবে রয়েছেন আইআরডির উপসচিব (শুল্ক-১ ও শুল্ক-২ শাখা) পঙ্কজ বড়ুয়া।
কমিটির অন্য সদস্যরা হলেন, জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) প্রথম সচিব (কাস্টমস: নীতি) মু. রইচ উদ্দিন খান, প্রথম সচিব (কাস্টমস: আধুনিকায়ন ও প্রকল্প ব্যবস্থাপনা) তারেক হাসান এবং ঢাকা কাস্টম হাউসের যুগ্ম কমিশনার মুহাম্মদ কামরুল হাসান।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে মোহাম্মদ মাহবুবুর রহমান পাটওয়ারী আজকের পত্রিকাকে বলেন, আগুনে পুড়ে ঢাকা কাস্টম হাউসের এবং কাস্টমস-সংশ্লিষ্ট যেসব ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে, কী ধরনের রাজস্ব ক্ষতি হতে পারে, সেগুলো নিরূপণ করা কমিটির কাজ। সার্বিক ক্ষতির বিষয়টি নিরূপণের বিষয়টা হয়তো বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষ দেখবে।
এ বিষয়ে এনবিআরের জনসংযোগ কর্মকর্তা আল-আমিন শেখ বিজ্ঞপ্তিতে জানান, কমিটি দ্রুততম সময়ের মধ্যে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের অগ্নিকাণ্ডে সার্বিক ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ নিরূপণপূর্বক সরকারের কাছে প্রতিবেদন দাখিল করবে। জাতীয় রাজস্ব বোর্ড বিশেষ ব্যবস্থায় ঢাকা কাস্টম হাউসের আমদানি-রপ্তানি কার্যক্রম অব্যাহত রাখার উদ্যোগ গ্রহণ করেছে।
বিমানবন্দরের কার্গো ভিলেজে অগ্নিকাণ্ডের বিষয়ে ঢাকা কাস্টম হাউসের কমিশনার মোহা. মসিউর রহমান বলেন, ‘পুরো বিজনেস প্রসেসে হ্যাম্পার হবে। মেশিনপত্র পুড়ে গেছে। ফ্রেইটের অফিস, কুরিয়ারের অফিস পুড়ে গেছে। অবকাঠামো সব নতুনভাবে করতে হবে। আমরা বৈঠক করলাম, কীভাবে কার্গো ও কুরিয়ার চালু করা যায়, সেটার চেষ্টা করছি। উপদেষ্টা মহোদয় সঙ্গে আছেন, আমরা এখন পরিদর্শনে যাচ্ছি। বিকল্প উপায়ে পাশে কোনোভাবে কার্যক্রম দ্রুত সময়ের মধ্যে চালু করা যায় কি না, সেটা দেখতে যাচ্ছি।’
হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের কার্গো ভিলেজ এলাকায় অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় কাস্টমসের ক্ষয়ক্ষতি নিরূপণে ৫ সদস্যের কমিটি গঠন করা হয়েছে। আজ শনিবার (১৮ অক্টোবর) রাতে অর্থ মন্ত্রণালয়ের অভ্যন্তরীণ সম্পদ বিভাগ (আইআরডি) থেকে এ কমিটি গঠন করা হয়।
জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়েছে।
আইআরডির যুগ্ম সচিব (প্রশাসন) মোহাম্মদ মাহবুবুর রহমান পাটওয়ারীকে কমিটির আহ্বায়ক করা হয়েছে। সদস্যসচিব হিসেবে রয়েছেন আইআরডির উপসচিব (শুল্ক-১ ও শুল্ক-২ শাখা) পঙ্কজ বড়ুয়া।
কমিটির অন্য সদস্যরা হলেন, জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) প্রথম সচিব (কাস্টমস: নীতি) মু. রইচ উদ্দিন খান, প্রথম সচিব (কাস্টমস: আধুনিকায়ন ও প্রকল্প ব্যবস্থাপনা) তারেক হাসান এবং ঢাকা কাস্টম হাউসের যুগ্ম কমিশনার মুহাম্মদ কামরুল হাসান।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে মোহাম্মদ মাহবুবুর রহমান পাটওয়ারী আজকের পত্রিকাকে বলেন, আগুনে পুড়ে ঢাকা কাস্টম হাউসের এবং কাস্টমস-সংশ্লিষ্ট যেসব ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে, কী ধরনের রাজস্ব ক্ষতি হতে পারে, সেগুলো নিরূপণ করা কমিটির কাজ। সার্বিক ক্ষতির বিষয়টি নিরূপণের বিষয়টা হয়তো বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষ দেখবে।
এ বিষয়ে এনবিআরের জনসংযোগ কর্মকর্তা আল-আমিন শেখ বিজ্ঞপ্তিতে জানান, কমিটি দ্রুততম সময়ের মধ্যে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের অগ্নিকাণ্ডে সার্বিক ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ নিরূপণপূর্বক সরকারের কাছে প্রতিবেদন দাখিল করবে। জাতীয় রাজস্ব বোর্ড বিশেষ ব্যবস্থায় ঢাকা কাস্টম হাউসের আমদানি-রপ্তানি কার্যক্রম অব্যাহত রাখার উদ্যোগ গ্রহণ করেছে।
বিমানবন্দরের কার্গো ভিলেজে অগ্নিকাণ্ডের বিষয়ে ঢাকা কাস্টম হাউসের কমিশনার মোহা. মসিউর রহমান বলেন, ‘পুরো বিজনেস প্রসেসে হ্যাম্পার হবে। মেশিনপত্র পুড়ে গেছে। ফ্রেইটের অফিস, কুরিয়ারের অফিস পুড়ে গেছে। অবকাঠামো সব নতুনভাবে করতে হবে। আমরা বৈঠক করলাম, কীভাবে কার্গো ও কুরিয়ার চালু করা যায়, সেটার চেষ্টা করছি। উপদেষ্টা মহোদয় সঙ্গে আছেন, আমরা এখন পরিদর্শনে যাচ্ছি। বিকল্প উপায়ে পাশে কোনোভাবে কার্যক্রম দ্রুত সময়ের মধ্যে চালু করা যায় কি না, সেটা দেখতে যাচ্ছি।’
দেশে ইলিশ উৎপাদন ও সরবরাহ বাড়িয়ে বাজারে দাম সাধারণের নাগালের মধ্যে রাখার লক্ষ্য নিয়েই সরকার ২০১৯-২০ অর্থবছরে হাতে নেয় ‘ইলিশ সম্পদ উন্নয়ন ও ব্যবস্থাপনা’ প্রকল্প। তখন দেশে ইলিশের বার্ষিক উৎপাদন ছিল প্রায় ৫ লাখ ৫০ হাজার টন।
৮ ঘণ্টা আগেদেশের প্রশিক্ষিত রন্ধনশিল্পীরা (শেফ) এখন থেকে পাবেন আন্তর্জাতিক মানের সনদ। রাজধানীর গুলশানের এক হোটেলে গতকাল শনিবার বাংলাদেশ ইন্টারন্যাশনাল কালিনারি ইনস্টিটিউট (আইসিআই) ও যুক্তরাজ্যের ওয়ার্ল্ড মাস্টার শেফসের (ডব্লিউএমসি) মধ্যে এক সমঝোতা স্মারক (এমওইউ) স্বাক্ষরিত হয়েছে।
৩ ঘণ্টা আগেগত সপ্তাহে দেশের প্রধান পুঁজিবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) ব্যাপক দরপতন হয়েছে। সপ্তাহজুড়ে মূল্যবৃদ্ধির তুলনায় দরপতন হয়েছে প্রায় ছয় গুণ বেশি। এমন ঢালাও পতনে সূচকের পাশাপাশি বাজার মূলধন কমেছে প্রায় ১৮ হাজার কোটি টাকা। কমেছে দৈনিক গড় লেনদেনের পরিমাণও।
৮ ঘণ্টা আগেহজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের কার্গো ভিলেজে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় ক্ষতির পরিমাণ জানার চেষ্টা করছেন রপ্তানিকারক প্রতিষ্ঠানের সংগঠনগুলো। এরই মধ্যে তাঁরা স্ব-স্ব সদস্যদের নির্ধারিত ফরম্যাটে ক্ষতি হওয়া পণ্যের তালিকা দিতে চিঠি দিয়েছে। এক দুদিনের মধ্যেই কার্গো ভিলেজে কি পরিমাণ পণ্য ছিল তার সঠিক তথ্য
১৫ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের কার্গো ভিলেজে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় ক্ষতির পরিমাণ জানার চেষ্টা করছেন রপ্তানিকারক প্রতিষ্ঠানের সংগঠনগুলো। এরই মধ্যে তাঁরা স্ব-স্ব সদস্যদের নির্ধারিত ফরম্যাটে ক্ষতি হওয়া পণ্যের তালিকা দিতে চিঠি দিয়েছে। এক দুদিনের মধ্যেই কার্গো ভিলেজে কি পরিমাণ পণ্য ছিল তার সঠিক তথ্য পাওয়া যাবে বলে জানান তারা।
একই সঙ্গে তারা বিমানবন্দর কত দিন বন্ধ থাকবে সেই অনিশ্চয়তা রয়েছেন। তাঁরা বলছেন, যদি এই ঘটনায় দীর্ঘদিন বিমানবন্দর বন্ধ থাকে তবে যাত্রীদের পাশাপাশি রপ্তানিকারকরাও ক্ষতির মুখে পড়বেন।
দেশ থেকে সাধারণত তৈরি পোশাক, পচনশীল পণ্য যেমন শাকসবজি, ফলমূল, পান ইত্যাদি রপ্তানি হয় বেশি। এ ছাড়া আন্তর্জাতিক কুরিয়ার সার্ভিসগুলোর মাধ্যমে পণ্য এবং বিভিন্ন ডকুমেন্ট রপ্তানি হয়। সে ক্ষেত্রে এ ধরনের ব্যবসায়ীরাই বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হবেন।
জানতে চাইলে বাংলাদেশ পোশাক প্রস্তুতকারক ও রপ্তানিকারক সমিতির (বিজিএমইএ) সভাপতি মাহমুদ হাসান খান বলেন, ‘কি পরিমাণ পণ্যের ক্ষতি হয়েছে, এই মুহূর্তে আমাদের কাছে কোনো তথ্য নেই। তবে সাধারণত আমাদের সদস্য কারখানাগুলো প্রায় সবাই এয়ারে পণ্য পাঠান। প্রতিদিন গড়ে ২০০–২৫০টি কারখানার পণ্য রপ্তানি হয়। সে হিসেবে এই পরিমাণ কারখানা ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার আশঙ্কা করছি।’
মাহমুদ হাসান খান বলেন, ‘তবে বিমানবন্দর বন্ধ থাকলেও ক্ষতির মুখে পড়বেন রপ্তানিকারকেরা। যদি তা দ্রুতই খুলে দেওয়া হয় তবে কম ক্ষতি হবে, যদি বেশি দিন বন্ধ থাকে তবে বেশি ক্ষতি হবে।’
সবজি ও এ জাতীয় পণ্য রপ্তানিকারক সমিতির (বিএফভিএপিইএ) সভাপতি এস এম জাহাঙ্গীর হোসেন বলেন, ‘আমাদের প্রতিদিনই অনেক পণ্য থাকে এমনটা নয়। বিমানের স্থান ফাঁকা থাকার ওপর নির্ভর করে আমাদের বিভিন্ন ডেস্টিনেশনে পণ্য পাঠানো। তাই যেদিন স্থান বেশি পাই সেদিন পণ্যও বেশি দিতে পারি। আমরা খোঁজখবর নিচ্ছি আজকে আমাদের সদস্যদের কি পরিমাণ পণ্য ছিল।’
জাহাঙ্গীর হোসেন বলেন, ‘পচনশীল পণ্য হওয়ায় আমরা চাই দ্রুত বিমান চলাচল শুরু হোক। এতে আমাদের রপ্তানির জন্য পাইপলাইনে থাকা পণ্যগুলো নষ্ট হবে না।’
হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের কার্গো ভিলেজে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় ক্ষতির পরিমাণ জানার চেষ্টা করছেন রপ্তানিকারক প্রতিষ্ঠানের সংগঠনগুলো। এরই মধ্যে তাঁরা স্ব-স্ব সদস্যদের নির্ধারিত ফরম্যাটে ক্ষতি হওয়া পণ্যের তালিকা দিতে চিঠি দিয়েছে। এক দুদিনের মধ্যেই কার্গো ভিলেজে কি পরিমাণ পণ্য ছিল তার সঠিক তথ্য পাওয়া যাবে বলে জানান তারা।
একই সঙ্গে তারা বিমানবন্দর কত দিন বন্ধ থাকবে সেই অনিশ্চয়তা রয়েছেন। তাঁরা বলছেন, যদি এই ঘটনায় দীর্ঘদিন বিমানবন্দর বন্ধ থাকে তবে যাত্রীদের পাশাপাশি রপ্তানিকারকরাও ক্ষতির মুখে পড়বেন।
দেশ থেকে সাধারণত তৈরি পোশাক, পচনশীল পণ্য যেমন শাকসবজি, ফলমূল, পান ইত্যাদি রপ্তানি হয় বেশি। এ ছাড়া আন্তর্জাতিক কুরিয়ার সার্ভিসগুলোর মাধ্যমে পণ্য এবং বিভিন্ন ডকুমেন্ট রপ্তানি হয়। সে ক্ষেত্রে এ ধরনের ব্যবসায়ীরাই বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হবেন।
জানতে চাইলে বাংলাদেশ পোশাক প্রস্তুতকারক ও রপ্তানিকারক সমিতির (বিজিএমইএ) সভাপতি মাহমুদ হাসান খান বলেন, ‘কি পরিমাণ পণ্যের ক্ষতি হয়েছে, এই মুহূর্তে আমাদের কাছে কোনো তথ্য নেই। তবে সাধারণত আমাদের সদস্য কারখানাগুলো প্রায় সবাই এয়ারে পণ্য পাঠান। প্রতিদিন গড়ে ২০০–২৫০টি কারখানার পণ্য রপ্তানি হয়। সে হিসেবে এই পরিমাণ কারখানা ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার আশঙ্কা করছি।’
মাহমুদ হাসান খান বলেন, ‘তবে বিমানবন্দর বন্ধ থাকলেও ক্ষতির মুখে পড়বেন রপ্তানিকারকেরা। যদি তা দ্রুতই খুলে দেওয়া হয় তবে কম ক্ষতি হবে, যদি বেশি দিন বন্ধ থাকে তবে বেশি ক্ষতি হবে।’
সবজি ও এ জাতীয় পণ্য রপ্তানিকারক সমিতির (বিএফভিএপিইএ) সভাপতি এস এম জাহাঙ্গীর হোসেন বলেন, ‘আমাদের প্রতিদিনই অনেক পণ্য থাকে এমনটা নয়। বিমানের স্থান ফাঁকা থাকার ওপর নির্ভর করে আমাদের বিভিন্ন ডেস্টিনেশনে পণ্য পাঠানো। তাই যেদিন স্থান বেশি পাই সেদিন পণ্যও বেশি দিতে পারি। আমরা খোঁজখবর নিচ্ছি আজকে আমাদের সদস্যদের কি পরিমাণ পণ্য ছিল।’
জাহাঙ্গীর হোসেন বলেন, ‘পচনশীল পণ্য হওয়ায় আমরা চাই দ্রুত বিমান চলাচল শুরু হোক। এতে আমাদের রপ্তানির জন্য পাইপলাইনে থাকা পণ্যগুলো নষ্ট হবে না।’
দেশে ইলিশ উৎপাদন ও সরবরাহ বাড়িয়ে বাজারে দাম সাধারণের নাগালের মধ্যে রাখার লক্ষ্য নিয়েই সরকার ২০১৯-২০ অর্থবছরে হাতে নেয় ‘ইলিশ সম্পদ উন্নয়ন ও ব্যবস্থাপনা’ প্রকল্প। তখন দেশে ইলিশের বার্ষিক উৎপাদন ছিল প্রায় ৫ লাখ ৫০ হাজার টন।
৮ ঘণ্টা আগেদেশের প্রশিক্ষিত রন্ধনশিল্পীরা (শেফ) এখন থেকে পাবেন আন্তর্জাতিক মানের সনদ। রাজধানীর গুলশানের এক হোটেলে গতকাল শনিবার বাংলাদেশ ইন্টারন্যাশনাল কালিনারি ইনস্টিটিউট (আইসিআই) ও যুক্তরাজ্যের ওয়ার্ল্ড মাস্টার শেফসের (ডব্লিউএমসি) মধ্যে এক সমঝোতা স্মারক (এমওইউ) স্বাক্ষরিত হয়েছে।
৩ ঘণ্টা আগেগত সপ্তাহে দেশের প্রধান পুঁজিবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) ব্যাপক দরপতন হয়েছে। সপ্তাহজুড়ে মূল্যবৃদ্ধির তুলনায় দরপতন হয়েছে প্রায় ছয় গুণ বেশি। এমন ঢালাও পতনে সূচকের পাশাপাশি বাজার মূলধন কমেছে প্রায় ১৮ হাজার কোটি টাকা। কমেছে দৈনিক গড় লেনদেনের পরিমাণও।
৮ ঘণ্টা আগেহযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের কার্গো ভিলেজ এলাকায় অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় কাস্টমসের ক্ষয়ক্ষতি নিরূপণে ৫ সদস্যের কমিটি গঠন করা হয়েছে। আজ শনিবার (১৮ অক্টোবর) রাতে অর্থ মন্ত্রণালয়ের অভ্যন্তরীণ সম্পদ বিভাগ (আইআরডি) থেকে এ কমিটি গঠন করা হয়।
১৩ ঘণ্টা আগে