Ajker Patrika

প্রায় দুই অঙ্কের মূল্যস্ফীতি ৬.৫ শতাংশে নামানোর চ্যালেঞ্জ

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
আপডেট : ০২ জুন ২০২৫, ২১: ৫৯
ছবি: সংগৃহীত
ছবি: সংগৃহীত

৯ থেকে ১০ শতাংশের উচ্চ মূল্যস্ফীতি কমিয়ে মূল্যস্ফীতি ৬.৫ শতাংশ রাখার লক্ষ্যমাত্রা ঘোষণা করেছেন অর্থ উপদেষ্টা সালেহউদ্দিন আহমেদ। আজ বৃহস্পতিবার ২০২৫-২৬ অর্থবছরের বাজেট বক্তৃতায় এই চ্যালেঞ্জের কথা তিনি তুলে ধরেন।

বাজেট বক্তৃতায় তিনি বলেন, দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণকে সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার দিয়ে বাজেট প্রণয়ন করা হয়েছে। অন্যদিকে, দেশে এখনো উচ্চ মূল্যস্ফীতি বিরাজ করছে, যা ৯ থেকে ১০ শতাংশে রয়েছে। তবে নতুন বাজেটে মূল্যস্ফীতির লাগাম ৬ দশমিক ৫ শতাংশের মধ্যে টেনে ধরা হবে।

সালেহউদ্দিন আহমেদ বলেন, ‘গত বছরের আগস্ট মাসে আমাদের সরকার যখন দেশ পরিচালনার দায়িত্বভার নেয়, তখন বড় চ্যালেঞ্জ ছিল নিয়ন্ত্রণহীন মূল্যস্ফীতির লাগাম টেনে ধরে মানুষকে স্বস্তি দেওয়া। মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণের লক্ষ্যে বিগত মাসগুলোতে আমরা ধারাবাহিকভাবে সংকোচনমূলক মুদ্রানীতি অবলম্বন করেছি।’

সোমবার প্রকাশিত বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর তথ্য বলছে, সদ্য শেষ হওয়া মে মাসে সার্বিক মূল্যস্ফীতির হার কমে দাঁড়িয়েছে ৯ দশমিক ০৫ শতাংশ, যা ২৭ মাসের মধ্যে সর্বনিম্ন। শহর পর্যায়ে খাদ্য কেনায় খরচ কিছুটা বাড়লেও গ্রামে কমেছে। তবে শহর ও গ্রাম—দুই জায়গাতেই খাদ্যবহির্ভূত খাতে খরচ কমার তথ্য দিয়েছে সরকার; যার প্রভাব পড়েছে সার্বিকভাবে মূল্যস্ফীতিতেও।

মূল্যস্ফীতির হার এর চেয়ে কম ছিল সবশেষ ২০২৩ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে, ৮ দশমিক ৮৭ শতাংশ। এরপর থেকেই চড়তে থাকে মূল্যস্ফীতির হার, যা আর ৯ শতাংশের নিচে নামেনি।

২০২৪ সালের ৫ অগাস্ট ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে আওয়ামী লীগের সরকারের পতনের পর দেশের হাল ধরে অন্তর্বর্তী সরকার। প্রধান উপদেষ্টার দায়িত্ব নেওয়ার পরপরই মুহাম্মদ ইউনূস মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণে পদক্ষেপ নেওয়ার কথা বলেন।

মুদ্রা সরবরাহে লাগাম দিতে বারবার সুদের হার বাড়ানো হয়। এতে অর্থের চাহিদা কমায় সরকারের পরিসংখ্যানেও মূল্যস্ফীতির নিম্নমুখিতার তথ্য মিলছে, তবে নিত্যপণ্যের বাজারে সে অর্থে সুফল দেখা যাচ্ছে না।

তবু সোমবার ঘোষিত বাজেটে আগামী অর্থবছর শেষে মূল্যস্ফীতি সাড়ে ৬ শতাংশে নামিয়ে আনার লক্ষ্য নিয়েছে সরকার।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত