
বিদ্যুৎ খাতে মূল সমস্যাগুলোর সমাধান করলে বাংলাদেশ বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ডের (বিপিডিবি) বছরে প্রায় ১৪ হাজার (১৩ হাজার ৮০০ কোটি টাকা বা ১২০ কোটি মার্কিন ডলার) কোটি টাকা সাশ্রয় হতে পারে। বর্তমানে এই পরিমাণ অর্থ সরকারি ভর্তুকির মাধ্যমে ব্যয় হয়। সম্প্রতি যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক জ্বালানি গবেষণা থিংক ট্যাংক ইনস্টিটিউট ফর এনার্জি ইকোনমিকস অ্যান্ড ফাইন্যান্সিয়াল অ্যানালাইসিসের (আইইইএফএ) এক নতুন গবেষণা প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা গেছে।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, এই সাশ্রয় অর্জন করা সম্ভব—যদি শিল্প খাতে যে পরিমাণ চাহিদা আছে তার অর্ধেক, যা বর্তমানে ক্যাপটিভ জেনারেটরের (নিজস্ব বিদ্যুৎ উৎপাদন অবকাঠামো) মাধ্যমে পূরণ হয়, সেগুলো জাতীয় গ্রিডে যুক্ত করা যায়, ৩ হাজার মেগাওয়াট নবায়নযোগ্য জ্বালানি যোগ করা যায় এবং ২০২৩-২৪ অর্থবছরের তুলনায় লোডশেডিং ৫ শতাংশে নামিয়ে আনা যায়। পাশাপাশি, বিদ্যুৎ সঞ্চালন ও বিতরণে ক্ষতি ৮ শতাংশের মধ্যে সীমাবদ্ধ রাখতে হবে।
আইইইএফএর প্রতিবেদক এবং বাংলাদেশের জ্বালানিবিষয়ক প্রধান বিশ্লেষক শফিকুল আলম বলেন, ‘বাংলাদেশের বিদ্যুৎ খাতের রিজার্ভ মার্জিন (কোনো একটি নির্দিষ্ট অবকাঠামোর সক্ষমতার যে পরিমাণ অব্যবহৃত থাকে) বর্তমানে ৬১ দশমিক ৩ শতাংশের আশপাশে, যা অতিরিক্ত সক্ষমতা সমস্যার ইঙ্গিত দেয় এবং বিপিডিবির ভর্তুকি নির্ভরতার একটি প্রধান কারণ এটি। বিদ্যুৎ শুল্কে একাধিক সমন্বয় সত্ত্বেও রাজস্ব ঘাটতি এবং ভর্তুকির প্রয়োজনীয়তা আগামী দিনগুলোতেও থাকবে। আমাদের প্রস্তাবিত রূপরেখা বিদ্যুৎ চাহিদার সঠিক পূর্বাভাস দেওয়ার জন্য জ্বালানি দক্ষতা অন্তর্ভুক্ত করার পরামর্শ দেয়, যা রিজার্ভ মার্জিন কমাতে সাহায্য করবে।’
শফিকুল আলম আরও বলেন, ‘আমাদের রূপরেখা প্রস্তাব করছে যে, নতুন জীবাশ্ম জ্বালানিভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্রে বিনিয়োগ সীমিত রাখতে হবে এবং নবায়নযোগ্য জ্বালানির প্রসার বাড়াতে হবে। পাশাপাশি, বাংলাদেশের বিদ্যুৎ গ্রিড আধুনিকায়নের মাধ্যমে শিল্পগুলোকে গ্যাসচালিত ক্যাপটিভ প্ল্যান্টের পরিবর্তে জাতীয় গ্রিড থেকে বিদ্যুৎ নেওয়ার জন্য উৎসাহিত করতে হবে এবং লোডশেডিং কমাতে হবে। আমরা দেখেছি, এ ধরনের পদক্ষেপ নিলে ভর্তুকির চাপ উল্লেখযোগ্যভাবে কমবে।’
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ২০১৯-২০ থেকে ২০২৩-২৪ অর্থবছর পর্যন্ত বিপিডিবির বার্ষিক মোট ব্যয় ২ দশমিক ৬ গুণ বেড়েছে, যেখানে রাজস্ব প্রবৃদ্ধি হয়েছে ১ দশমিক ৮ গুণ। এর ফলে অর্থনীতি সচল রাখতে সরকার মোট ১ লাখ ২৬ হাজার ৭০০ কোটি টাকা বা ১০ দশমিক ৬৪ বিলিয়ন মার্কিন ডলার ভর্তুকি দিয়েছে। তবু, এই সময়ে বিপিডিবির ক্ষতি হয়েছে ২৩ হাজার ৬৪২ কোটি টাকা। বাংলাদেশ সরকার কেবল ২০২৩-২৪ অর্থবছরেই বিপিডিবিকে ৩৮ হাজার ২৮৯ কোটি টাকা বা ৩২২ কোটি মার্কিন ডলার ভর্তুকি দিয়েছে।
শফিকুল আলম বলেন, ‘ভর্তুকি প্রায় শূন্যের কোঠায় নামিয়ে আনতে হলে নিশ্চিত করতে হবে যে, শিল্প খাত পুরোপুরি জাতীয় বিদ্যুৎ গ্রিডের ওপর নির্ভরশীল থাকবে। পাশাপাশি, গ্যাসচালিত যন্ত্রপাতি—যেমন: বয়লার—ধীরে ধীরে বিদ্যুৎ-চালিত যন্ত্রে রূপান্তর করতে হবে। এর ফলে বিপিডিবির বিদ্যুৎ বিক্রি থেকে রাজস্ব বাড়বে এবং অব্যবহৃত বিদ্যুৎকেন্দ্রগুলোর জন্য ক্যাপাসিটি পেমেন্ট কমবে।’ তিনি আরও বলেন, ‘বাংলাদেশের বিদ্যুৎ খাতকে টেকসই করার সময় দ্রুত ফুরিয়ে আসছে। তবে সঠিক রূপরেখা অনুসরণ করলে এখনো এই খাতকে সঠিক পথে নিয়ে আসা সম্ভব।’
সংস্কারের প্রথম পদক্ষেপ হিসেবে ২০২৫ সাল থেকে জ্বালানি দক্ষতা ও চাহিদা স্থানান্তর ব্যবস্থাগুলো বিবেচনায় নিয়ে বিদ্যুৎ চাহিদার সঠিক পূর্বাভাস দেওয়ার আহ্বান জানিয়েছে প্রতিবেদনটি। আইইইএফএর হিসাব অনুসারে, ২০৩০ সালে দেশের সর্বোচ্চ বিদ্যুৎ চাহিদা হবে ২৫ হাজার ৮৩৪ মেগাওয়াট। তবে ২০২৩ সালের জুলাইয়ে প্রকাশিত সমন্বিত জ্বালানি ও বিদ্যুৎ মহাপরিকল্পনা (আইইপিএমপি) অনুযায়ী, এই চাহিদার সম্ভাব্য পরিমাণ হতে পারে ২৭ হাজার ১৩৮ মেগাওয়াট থেকে ২৯ হাজার ১৫৬ মেগাওয়াটের মধ্যে। অর্থাৎ, আইইইএফএর হিসাবে চাহিদা সরকারি হিসাবের চেয়ে একটু কম হবে বলেই উল্লেখ করা হয়েছে।
একই সঙ্গে, জীবাশ্ম (মূলত কয়লাভিত্তিক) জ্বালানিভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্রে বিনিয়োগ বন্ধ রাখা এবং মোট বিদ্যুৎ উৎপাদনে তেলচালিত কেন্দ্রের ব্যবহার ৫ শতাংশে সীমাবদ্ধ রাখার সুপারিশ করেছে আইইইএফএ। যদি এই পদক্ষেপগুলো নেওয়া হয় এবং পরিকল্পিত ৪ হাজার ৫০০ মেগাওয়াট জীবাশ্ম জ্বালানিভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্রের কার্যক্রম বন্ধ করা হয়, তবে ২০৩০ সালে বাংলাদেশের বিদ্যুৎ উৎপাদন সক্ষমতা হবে ৩৫ হাজার ২৩৯ মেগাওয়াট।
শফিকুল আলম বলেন, ‘২০৩০ সালের উৎপাদন সক্ষমতা ৩৫ হাজার ২৩৯ মেগাওয়াট হওয়ায় তা সহজেই সে বছরের সম্ভাব্য সর্বোচ্চ চাহিদা (২৫ হাজার ৮৩৪ মেগাওয়াট) পূরণ করতে সহায়ক হবে। এর ফলে ২০২৪ সালের ডিসেম্বরে যে রিজার্ভ মার্জিন আছে ৬৬ দশমিক ১ শতাংশে, ২০৩০ সালে তা কমে ৩৬ দশমিক ৪ শতাংশে (নবায়নযোগ্য জ্বালানি অন্তর্ভুক্ত করে) এবং ২০ শতাংশে (নবায়নযোগ্য জ্বালানি বাদ দিয়ে) দাঁড়াবে। এটি ভারতের মতো দেশের রিজার্ভ মার্জিনের সমতুল্য।’
যাই হোক, ২০৩০ সালের মধ্যে সাড়ে ৪ হাজার মেগাওয়াট নবায়নযোগ্য জ্বালানি থেকে বিদ্যুৎ উৎপাদন সক্ষমতা অর্জনের বিষয়টি জোর দিয়ে দেখা উচিত। কারণ, এটি দিনের বেলায় ব্যয়বহুল তেলচালিত বিদ্যুৎ উৎপাদন কমাতে সহায়ক হবে। এ ছাড়া, সন্ধ্যায় তেলচালিত প্ল্যান্টের ব্যবহার কমাতে ৫০০ মেগাওয়াট ক্ষমতার তিন ঘণ্টার ব্যাটারি স্টোরেজ স্থাপনের প্রস্তাবও দিয়েছে আইইইএফএ। ভবিষ্যতে ব্যাটারি বা বিদ্যুৎ ধারণের জন্য স্টোরেজ স্থাপনের খরচ কমে গেলে আরও বেশি ব্যাটারি ব্যবহারের বিষয়টি বিবেচনা করা যেতে পারে।
শফিকুল আলম বলেন, ‘তবে বিদ্যুৎ খাতের সমস্যাগুলো সমাধানে বাংলাদেশের সাফল্য নীতিমালার ওপর নির্ভর করবে। কেবল জিডিপি-নির্ভর চাহিদার পূর্বাভাসের পরিবর্তে জ্বালানি দক্ষতার মতো বিষয়গুলোকে গুরুত্ব দিয়ে বিদ্যুৎ গ্রিড আধুনিকায়ন, গ্যাসের মূল্যহার সমন্বয় এবং নবায়নযোগ্য জ্বালানি প্রসারের চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করতে হবে।’

বিদ্যুৎ খাতে মূল সমস্যাগুলোর সমাধান করলে বাংলাদেশ বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ডের (বিপিডিবি) বছরে প্রায় ১৪ হাজার (১৩ হাজার ৮০০ কোটি টাকা বা ১২০ কোটি মার্কিন ডলার) কোটি টাকা সাশ্রয় হতে পারে। বর্তমানে এই পরিমাণ অর্থ সরকারি ভর্তুকির মাধ্যমে ব্যয় হয়। সম্প্রতি যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক জ্বালানি গবেষণা থিংক ট্যাংক ইনস্টিটিউট ফর এনার্জি ইকোনমিকস অ্যান্ড ফাইন্যান্সিয়াল অ্যানালাইসিসের (আইইইএফএ) এক নতুন গবেষণা প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা গেছে।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, এই সাশ্রয় অর্জন করা সম্ভব—যদি শিল্প খাতে যে পরিমাণ চাহিদা আছে তার অর্ধেক, যা বর্তমানে ক্যাপটিভ জেনারেটরের (নিজস্ব বিদ্যুৎ উৎপাদন অবকাঠামো) মাধ্যমে পূরণ হয়, সেগুলো জাতীয় গ্রিডে যুক্ত করা যায়, ৩ হাজার মেগাওয়াট নবায়নযোগ্য জ্বালানি যোগ করা যায় এবং ২০২৩-২৪ অর্থবছরের তুলনায় লোডশেডিং ৫ শতাংশে নামিয়ে আনা যায়। পাশাপাশি, বিদ্যুৎ সঞ্চালন ও বিতরণে ক্ষতি ৮ শতাংশের মধ্যে সীমাবদ্ধ রাখতে হবে।
আইইইএফএর প্রতিবেদক এবং বাংলাদেশের জ্বালানিবিষয়ক প্রধান বিশ্লেষক শফিকুল আলম বলেন, ‘বাংলাদেশের বিদ্যুৎ খাতের রিজার্ভ মার্জিন (কোনো একটি নির্দিষ্ট অবকাঠামোর সক্ষমতার যে পরিমাণ অব্যবহৃত থাকে) বর্তমানে ৬১ দশমিক ৩ শতাংশের আশপাশে, যা অতিরিক্ত সক্ষমতা সমস্যার ইঙ্গিত দেয় এবং বিপিডিবির ভর্তুকি নির্ভরতার একটি প্রধান কারণ এটি। বিদ্যুৎ শুল্কে একাধিক সমন্বয় সত্ত্বেও রাজস্ব ঘাটতি এবং ভর্তুকির প্রয়োজনীয়তা আগামী দিনগুলোতেও থাকবে। আমাদের প্রস্তাবিত রূপরেখা বিদ্যুৎ চাহিদার সঠিক পূর্বাভাস দেওয়ার জন্য জ্বালানি দক্ষতা অন্তর্ভুক্ত করার পরামর্শ দেয়, যা রিজার্ভ মার্জিন কমাতে সাহায্য করবে।’
শফিকুল আলম আরও বলেন, ‘আমাদের রূপরেখা প্রস্তাব করছে যে, নতুন জীবাশ্ম জ্বালানিভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্রে বিনিয়োগ সীমিত রাখতে হবে এবং নবায়নযোগ্য জ্বালানির প্রসার বাড়াতে হবে। পাশাপাশি, বাংলাদেশের বিদ্যুৎ গ্রিড আধুনিকায়নের মাধ্যমে শিল্পগুলোকে গ্যাসচালিত ক্যাপটিভ প্ল্যান্টের পরিবর্তে জাতীয় গ্রিড থেকে বিদ্যুৎ নেওয়ার জন্য উৎসাহিত করতে হবে এবং লোডশেডিং কমাতে হবে। আমরা দেখেছি, এ ধরনের পদক্ষেপ নিলে ভর্তুকির চাপ উল্লেখযোগ্যভাবে কমবে।’
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ২০১৯-২০ থেকে ২০২৩-২৪ অর্থবছর পর্যন্ত বিপিডিবির বার্ষিক মোট ব্যয় ২ দশমিক ৬ গুণ বেড়েছে, যেখানে রাজস্ব প্রবৃদ্ধি হয়েছে ১ দশমিক ৮ গুণ। এর ফলে অর্থনীতি সচল রাখতে সরকার মোট ১ লাখ ২৬ হাজার ৭০০ কোটি টাকা বা ১০ দশমিক ৬৪ বিলিয়ন মার্কিন ডলার ভর্তুকি দিয়েছে। তবু, এই সময়ে বিপিডিবির ক্ষতি হয়েছে ২৩ হাজার ৬৪২ কোটি টাকা। বাংলাদেশ সরকার কেবল ২০২৩-২৪ অর্থবছরেই বিপিডিবিকে ৩৮ হাজার ২৮৯ কোটি টাকা বা ৩২২ কোটি মার্কিন ডলার ভর্তুকি দিয়েছে।
শফিকুল আলম বলেন, ‘ভর্তুকি প্রায় শূন্যের কোঠায় নামিয়ে আনতে হলে নিশ্চিত করতে হবে যে, শিল্প খাত পুরোপুরি জাতীয় বিদ্যুৎ গ্রিডের ওপর নির্ভরশীল থাকবে। পাশাপাশি, গ্যাসচালিত যন্ত্রপাতি—যেমন: বয়লার—ধীরে ধীরে বিদ্যুৎ-চালিত যন্ত্রে রূপান্তর করতে হবে। এর ফলে বিপিডিবির বিদ্যুৎ বিক্রি থেকে রাজস্ব বাড়বে এবং অব্যবহৃত বিদ্যুৎকেন্দ্রগুলোর জন্য ক্যাপাসিটি পেমেন্ট কমবে।’ তিনি আরও বলেন, ‘বাংলাদেশের বিদ্যুৎ খাতকে টেকসই করার সময় দ্রুত ফুরিয়ে আসছে। তবে সঠিক রূপরেখা অনুসরণ করলে এখনো এই খাতকে সঠিক পথে নিয়ে আসা সম্ভব।’
সংস্কারের প্রথম পদক্ষেপ হিসেবে ২০২৫ সাল থেকে জ্বালানি দক্ষতা ও চাহিদা স্থানান্তর ব্যবস্থাগুলো বিবেচনায় নিয়ে বিদ্যুৎ চাহিদার সঠিক পূর্বাভাস দেওয়ার আহ্বান জানিয়েছে প্রতিবেদনটি। আইইইএফএর হিসাব অনুসারে, ২০৩০ সালে দেশের সর্বোচ্চ বিদ্যুৎ চাহিদা হবে ২৫ হাজার ৮৩৪ মেগাওয়াট। তবে ২০২৩ সালের জুলাইয়ে প্রকাশিত সমন্বিত জ্বালানি ও বিদ্যুৎ মহাপরিকল্পনা (আইইপিএমপি) অনুযায়ী, এই চাহিদার সম্ভাব্য পরিমাণ হতে পারে ২৭ হাজার ১৩৮ মেগাওয়াট থেকে ২৯ হাজার ১৫৬ মেগাওয়াটের মধ্যে। অর্থাৎ, আইইইএফএর হিসাবে চাহিদা সরকারি হিসাবের চেয়ে একটু কম হবে বলেই উল্লেখ করা হয়েছে।
একই সঙ্গে, জীবাশ্ম (মূলত কয়লাভিত্তিক) জ্বালানিভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্রে বিনিয়োগ বন্ধ রাখা এবং মোট বিদ্যুৎ উৎপাদনে তেলচালিত কেন্দ্রের ব্যবহার ৫ শতাংশে সীমাবদ্ধ রাখার সুপারিশ করেছে আইইইএফএ। যদি এই পদক্ষেপগুলো নেওয়া হয় এবং পরিকল্পিত ৪ হাজার ৫০০ মেগাওয়াট জীবাশ্ম জ্বালানিভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্রের কার্যক্রম বন্ধ করা হয়, তবে ২০৩০ সালে বাংলাদেশের বিদ্যুৎ উৎপাদন সক্ষমতা হবে ৩৫ হাজার ২৩৯ মেগাওয়াট।
শফিকুল আলম বলেন, ‘২০৩০ সালের উৎপাদন সক্ষমতা ৩৫ হাজার ২৩৯ মেগাওয়াট হওয়ায় তা সহজেই সে বছরের সম্ভাব্য সর্বোচ্চ চাহিদা (২৫ হাজার ৮৩৪ মেগাওয়াট) পূরণ করতে সহায়ক হবে। এর ফলে ২০২৪ সালের ডিসেম্বরে যে রিজার্ভ মার্জিন আছে ৬৬ দশমিক ১ শতাংশে, ২০৩০ সালে তা কমে ৩৬ দশমিক ৪ শতাংশে (নবায়নযোগ্য জ্বালানি অন্তর্ভুক্ত করে) এবং ২০ শতাংশে (নবায়নযোগ্য জ্বালানি বাদ দিয়ে) দাঁড়াবে। এটি ভারতের মতো দেশের রিজার্ভ মার্জিনের সমতুল্য।’
যাই হোক, ২০৩০ সালের মধ্যে সাড়ে ৪ হাজার মেগাওয়াট নবায়নযোগ্য জ্বালানি থেকে বিদ্যুৎ উৎপাদন সক্ষমতা অর্জনের বিষয়টি জোর দিয়ে দেখা উচিত। কারণ, এটি দিনের বেলায় ব্যয়বহুল তেলচালিত বিদ্যুৎ উৎপাদন কমাতে সহায়ক হবে। এ ছাড়া, সন্ধ্যায় তেলচালিত প্ল্যান্টের ব্যবহার কমাতে ৫০০ মেগাওয়াট ক্ষমতার তিন ঘণ্টার ব্যাটারি স্টোরেজ স্থাপনের প্রস্তাবও দিয়েছে আইইইএফএ। ভবিষ্যতে ব্যাটারি বা বিদ্যুৎ ধারণের জন্য স্টোরেজ স্থাপনের খরচ কমে গেলে আরও বেশি ব্যাটারি ব্যবহারের বিষয়টি বিবেচনা করা যেতে পারে।
শফিকুল আলম বলেন, ‘তবে বিদ্যুৎ খাতের সমস্যাগুলো সমাধানে বাংলাদেশের সাফল্য নীতিমালার ওপর নির্ভর করবে। কেবল জিডিপি-নির্ভর চাহিদার পূর্বাভাসের পরিবর্তে জ্বালানি দক্ষতার মতো বিষয়গুলোকে গুরুত্ব দিয়ে বিদ্যুৎ গ্রিড আধুনিকায়ন, গ্যাসের মূল্যহার সমন্বয় এবং নবায়নযোগ্য জ্বালানি প্রসারের চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করতে হবে।’

দেশ থেকে হঠাৎ বেশি পরিমাণে ডলার বাইরে চলে যাচ্ছে। এতে নতুন অর্থবছরের শুরুতেই বৈদেশিক বাণিজ্যে চাপ তৈরি হয়েছে। রপ্তানি আয় বাড়লেও তার চেয়ে দ্রুত হারে আমদানি ব্যয় বেড়েছে, ফলে ভারসাম্য নষ্ট হয়ে দেশ আবারও ঘাটতি বাণিজ্যের মুখে পড়ছে।
৯ ঘণ্টা আগে
ট্রাফিক সার্জেন্ট গাড়ির কাগজপত্র দেখতে চাইলে না দেখিয়ে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করেন কর অঞ্চল—২৫, ঢাকার সহকারী কর কমিশনার মিজ ফাতেমা বেগম। চলতি বছরের ১২ এপ্রিল পলাশী মোড়-নীলক্ষেত এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। অপ্রীতিকর ওই ঘটনায় ফাতেমার বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেন ট্রাফিক সার্জেন্ট শাহা জামাল।
১১ ঘণ্টা আগে
সরকারি কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের মূল বেতন করমুক্ত সীমা অতিক্রম করলে স্বয়ংক্রিয়ভাবে আয়কর কেটে নেবে সরকার। সংশ্লিষ্ট হিসাব দপ্তর বেতন বিল প্রস্তুত করার সময় এই কর কেটে নেবে। এ বিষয়ে সব সংশ্লিষ্ট দপ্তরকে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
১২ ঘণ্টা আগে
একীভূত হতে যাওয়া পাঁচ ব্যাংকের শেয়ারের মূল্য ‘শূন্য’ ঘোষণা করাকে কঠোর ও একতরফা সিদ্ধান্ত বলে মনে করে দেশের মার্চেন্ট ব্যাংকগুলোর মোর্চা বাংলাদেশ মার্চেন্ট ব্যাংকার্স অ্যাসোসিয়েশন (বিএমবিএ)। আজ মঙ্গলবার (১১ নভেম্বর) সংগঠনের সেক্রেটারি জেনারেল মুহাম্মদ নজরুল ইসলাম স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে এ কথা বলা হ
১৩ ঘণ্টা আগেজয়নাল আবেদীন খান, ঢাকা

দেশ থেকে হঠাৎ বেশি পরিমাণে ডলার বাইরে চলে যাচ্ছে। এতে নতুন অর্থবছরের শুরুতেই বৈদেশিক বাণিজ্যে চাপ তৈরি হয়েছে। রপ্তানি আয় বাড়লেও তার চেয়ে দ্রুত হারে আমদানি ব্যয় বেড়েছে, ফলে ভারসাম্য নষ্ট হয়ে দেশ আবারও ঘাটতি বাণিজ্যের মুখে পড়ছে।
বাণিজ্য বিশ্লেষক ও অর্থনীতিবিদদের মতে, রেমিট্যান্স ও রপ্তানি প্রবাহ ইতিবাচক থাকলেও অপ্রয়োজনীয় ব্যয় ও ডলারের অতিরিক্ত বহির্মুখী প্রবাহ আবার বাণিজ্য ঘাটতিকে ঊর্ধ্বমুখী করে তুলেছে, যা অর্থনীতির স্থিতিশীলতার সামনে নতুন এক সতর্কবার্তা। এই প্রবণতার পেছনে অর্থ পাচারের কোনো গন্ধ পাওয়া যাচ্ছে কি না, তা খতিয়ে দেখা জরুরি।
বাংলাদেশ ব্যাংকের সর্বশেষ প্রতিবেদনে দেখা যায়, চলতি ২০২৫-২৬ অর্থবছরের প্রথম তিন মাসে (জুলাই-সেপ্টেম্বর) বাণিজ্য ঘাটতি বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৫৭১ কোটি ডলারে, যা আগের বছরের একই সময়ের তুলনায় ১০৭ কোটি ডলার বেশি। এর সঙ্গে যুক্ত হয়েছে রমজানকে ঘিরে বাড়তি আমদানি, বিদেশ ভ্রমণ ও চিকিৎসা ব্যয়; ফলে দীর্ঘ সময় পর চলতি হিসাবও ঋণাত্মক হয়েছে, ঘাটতি দাঁড়িয়েছে ৪৮ কোটি ডলার।
এই সময়ে দেশে মোট রপ্তানি আয় হয়েছে ১ হাজার ১০৮ কোটি ৭০ লাখ ডলার, বিপরীতে আমদানি ব্যয় দাঁড়িয়েছে ১ হাজার ৬৮০ কোটি ডলারে। ২০২৪-২৫ অর্থবছরের একই সময়ে বাণিজ্য ঘাটতি ছিল ৪৬৪ কোটি ডলার। অর্থাৎ এক বছরে ঘাটতি বেড়েছে প্রায় ২৫ শতাংশ।
কেন্দ্রীয় ব্যাংকের কর্মকর্তারা বলছেন, রাজনৈতিক পরিবর্তনের পর আমদানি ও রপ্তানিতে কিছুটা স্থিতি ফিরেছিল। তবে বিদেশে চিকিৎসা, শিক্ষা ও ভ্রমণ ব্যয় বাড়ায় আবারও ডলারের ওপর চাপ তৈরি হয়েছে। রমজানকে সামনে রেখে খাদ্য, তেল, চিনি ও নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্য আমদানি বাড়ানোয় পরিস্থিতি আরও জটিল হয়েছে। ফলে বৈদেশিক মুদ্রার আয় বাড়লেও ব্যয়ের হার তার চেয়ে বেশি হওয়ায় চলতি হিসাব আবারও ঘাটতিতে পড়েছে।
তবে একই সময়ে সামগ্রিক লেনদেন ভারসাম্যে কিছুটা ইতিবাচক পরিবর্তন এসেছে। আগের বছর জুলাই-সেপ্টেম্বরে যেখানে এই সূচকে ঘাটতি ছিল ১৪৮ কোটি ডলার, চলতি অর্থবছরে তা ঘুরে দাঁড়িয়ে ৮৫ কোটি ডলার উদ্বৃত্ত হয়েছে।
বিশ্বব্যাংকের সাবেক মুখ্য অর্থনীতিবিদ ড. জাহিদ হোসেন মনে করেন, রেমিট্যান্স ও রপ্তানি আয় বাড়লেও ডলারের অস্বাভাবিক বহির্মুখী প্রবাহ উদ্বেগজনক। তাঁর ভাষায়, দেশ থেকে এত বেশি ডলার কোথায় যাচ্ছে, তা স্পষ্ট নয়। এর মধ্যে অর্থ পাচারের গন্ধ পাওয়া যাচ্ছে। আমদানির কড়াকড়ি কিছুটা শিথিল করায় অনেকে সুযোগ নিচ্ছে।
বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্য অনুযায়ী, চলতি অর্থবছরের প্রথম তিন মাসে প্রবাসীরা ৭ দশমিক ৫৯ বিলিয়ন ডলার রেমিট্যান্স পাঠিয়েছেন, যা গত বছরের তুলনায় প্রায় ১৬ শতাংশ বেশি। পাশাপাশি প্রত্যক্ষ বিদেশি বিনিয়োগও বেড়ে ৩১ কোটি ৮০ লাখ ডলারে দাঁড়িয়েছে, যা আগের বছরের একই সময়ের তুলনায় প্রায় ৩ গুণ। তবে শেয়ারবাজারে বিদেশি বিনিয়োগের চিত্র উল্টো; গত বছর যেখানে নিট বিনিয়োগ ছিল ৫০ লাখ ডলার, এবার তা ঋণাত্মক ৪ কোটি ২০ লাখ ডলার।
সার্বিক বিষয়ে জানতে চাইলে বাংলাদেশ ব্যাংকের মুখপাত্র আরিফ হোসেন খান আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘ডলার-সংকট মোকাবিলায় আমরা কিছু নীতি শিথিল করেছি, যাতে আমদানিতে প্রয়োজনীয় পণ্য সরবরাহ নিশ্চিত থাকে। তবে এর ফলে ব্যয় বেড়ে গেছে, বিশেষ করে রমজানকেন্দ্রিক আমদানিতে। মূলত এ কারণেই বাণিজ্য ঘাটতি বেড়েছে।’

দেশ থেকে হঠাৎ বেশি পরিমাণে ডলার বাইরে চলে যাচ্ছে। এতে নতুন অর্থবছরের শুরুতেই বৈদেশিক বাণিজ্যে চাপ তৈরি হয়েছে। রপ্তানি আয় বাড়লেও তার চেয়ে দ্রুত হারে আমদানি ব্যয় বেড়েছে, ফলে ভারসাম্য নষ্ট হয়ে দেশ আবারও ঘাটতি বাণিজ্যের মুখে পড়ছে।
বাণিজ্য বিশ্লেষক ও অর্থনীতিবিদদের মতে, রেমিট্যান্স ও রপ্তানি প্রবাহ ইতিবাচক থাকলেও অপ্রয়োজনীয় ব্যয় ও ডলারের অতিরিক্ত বহির্মুখী প্রবাহ আবার বাণিজ্য ঘাটতিকে ঊর্ধ্বমুখী করে তুলেছে, যা অর্থনীতির স্থিতিশীলতার সামনে নতুন এক সতর্কবার্তা। এই প্রবণতার পেছনে অর্থ পাচারের কোনো গন্ধ পাওয়া যাচ্ছে কি না, তা খতিয়ে দেখা জরুরি।
বাংলাদেশ ব্যাংকের সর্বশেষ প্রতিবেদনে দেখা যায়, চলতি ২০২৫-২৬ অর্থবছরের প্রথম তিন মাসে (জুলাই-সেপ্টেম্বর) বাণিজ্য ঘাটতি বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৫৭১ কোটি ডলারে, যা আগের বছরের একই সময়ের তুলনায় ১০৭ কোটি ডলার বেশি। এর সঙ্গে যুক্ত হয়েছে রমজানকে ঘিরে বাড়তি আমদানি, বিদেশ ভ্রমণ ও চিকিৎসা ব্যয়; ফলে দীর্ঘ সময় পর চলতি হিসাবও ঋণাত্মক হয়েছে, ঘাটতি দাঁড়িয়েছে ৪৮ কোটি ডলার।
এই সময়ে দেশে মোট রপ্তানি আয় হয়েছে ১ হাজার ১০৮ কোটি ৭০ লাখ ডলার, বিপরীতে আমদানি ব্যয় দাঁড়িয়েছে ১ হাজার ৬৮০ কোটি ডলারে। ২০২৪-২৫ অর্থবছরের একই সময়ে বাণিজ্য ঘাটতি ছিল ৪৬৪ কোটি ডলার। অর্থাৎ এক বছরে ঘাটতি বেড়েছে প্রায় ২৫ শতাংশ।
কেন্দ্রীয় ব্যাংকের কর্মকর্তারা বলছেন, রাজনৈতিক পরিবর্তনের পর আমদানি ও রপ্তানিতে কিছুটা স্থিতি ফিরেছিল। তবে বিদেশে চিকিৎসা, শিক্ষা ও ভ্রমণ ব্যয় বাড়ায় আবারও ডলারের ওপর চাপ তৈরি হয়েছে। রমজানকে সামনে রেখে খাদ্য, তেল, চিনি ও নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্য আমদানি বাড়ানোয় পরিস্থিতি আরও জটিল হয়েছে। ফলে বৈদেশিক মুদ্রার আয় বাড়লেও ব্যয়ের হার তার চেয়ে বেশি হওয়ায় চলতি হিসাব আবারও ঘাটতিতে পড়েছে।
তবে একই সময়ে সামগ্রিক লেনদেন ভারসাম্যে কিছুটা ইতিবাচক পরিবর্তন এসেছে। আগের বছর জুলাই-সেপ্টেম্বরে যেখানে এই সূচকে ঘাটতি ছিল ১৪৮ কোটি ডলার, চলতি অর্থবছরে তা ঘুরে দাঁড়িয়ে ৮৫ কোটি ডলার উদ্বৃত্ত হয়েছে।
বিশ্বব্যাংকের সাবেক মুখ্য অর্থনীতিবিদ ড. জাহিদ হোসেন মনে করেন, রেমিট্যান্স ও রপ্তানি আয় বাড়লেও ডলারের অস্বাভাবিক বহির্মুখী প্রবাহ উদ্বেগজনক। তাঁর ভাষায়, দেশ থেকে এত বেশি ডলার কোথায় যাচ্ছে, তা স্পষ্ট নয়। এর মধ্যে অর্থ পাচারের গন্ধ পাওয়া যাচ্ছে। আমদানির কড়াকড়ি কিছুটা শিথিল করায় অনেকে সুযোগ নিচ্ছে।
বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্য অনুযায়ী, চলতি অর্থবছরের প্রথম তিন মাসে প্রবাসীরা ৭ দশমিক ৫৯ বিলিয়ন ডলার রেমিট্যান্স পাঠিয়েছেন, যা গত বছরের তুলনায় প্রায় ১৬ শতাংশ বেশি। পাশাপাশি প্রত্যক্ষ বিদেশি বিনিয়োগও বেড়ে ৩১ কোটি ৮০ লাখ ডলারে দাঁড়িয়েছে, যা আগের বছরের একই সময়ের তুলনায় প্রায় ৩ গুণ। তবে শেয়ারবাজারে বিদেশি বিনিয়োগের চিত্র উল্টো; গত বছর যেখানে নিট বিনিয়োগ ছিল ৫০ লাখ ডলার, এবার তা ঋণাত্মক ৪ কোটি ২০ লাখ ডলার।
সার্বিক বিষয়ে জানতে চাইলে বাংলাদেশ ব্যাংকের মুখপাত্র আরিফ হোসেন খান আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘ডলার-সংকট মোকাবিলায় আমরা কিছু নীতি শিথিল করেছি, যাতে আমদানিতে প্রয়োজনীয় পণ্য সরবরাহ নিশ্চিত থাকে। তবে এর ফলে ব্যয় বেড়ে গেছে, বিশেষ করে রমজানকেন্দ্রিক আমদানিতে। মূলত এ কারণেই বাণিজ্য ঘাটতি বেড়েছে।’

বিদ্যুৎ খাতে মূল সমস্যাগুলোর সমাধান করলে বাংলাদেশ বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ডের (বিপিডিবি) বছরে প্রায় ১৪ হাজার (১৩ হাজার ৮০০ কোটি টাকা বা ১২০ কোটি মার্কিন ডলার) কোটি টাকা সাশ্রয় হতে পারে। বর্তমানে এই পরিমাণ অর্থ সরকারি ভর্তুকির মাধ্যমে ব্যয় হয়। সম্প্রতি যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক জ্বালানি গবেষণা থিংক ট্যাংক ইনস্ট
০৪ ডিসেম্বর ২০২৪
ট্রাফিক সার্জেন্ট গাড়ির কাগজপত্র দেখতে চাইলে না দেখিয়ে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করেন কর অঞ্চল—২৫, ঢাকার সহকারী কর কমিশনার মিজ ফাতেমা বেগম। চলতি বছরের ১২ এপ্রিল পলাশী মোড়-নীলক্ষেত এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। অপ্রীতিকর ওই ঘটনায় ফাতেমার বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেন ট্রাফিক সার্জেন্ট শাহা জামাল।
১১ ঘণ্টা আগে
সরকারি কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের মূল বেতন করমুক্ত সীমা অতিক্রম করলে স্বয়ংক্রিয়ভাবে আয়কর কেটে নেবে সরকার। সংশ্লিষ্ট হিসাব দপ্তর বেতন বিল প্রস্তুত করার সময় এই কর কেটে নেবে। এ বিষয়ে সব সংশ্লিষ্ট দপ্তরকে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
১২ ঘণ্টা আগে
একীভূত হতে যাওয়া পাঁচ ব্যাংকের শেয়ারের মূল্য ‘শূন্য’ ঘোষণা করাকে কঠোর ও একতরফা সিদ্ধান্ত বলে মনে করে দেশের মার্চেন্ট ব্যাংকগুলোর মোর্চা বাংলাদেশ মার্চেন্ট ব্যাংকার্স অ্যাসোসিয়েশন (বিএমবিএ)। আজ মঙ্গলবার (১১ নভেম্বর) সংগঠনের সেক্রেটারি জেনারেল মুহাম্মদ নজরুল ইসলাম স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে এ কথা বলা হ
১৩ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

ট্রাফিক সার্জেন্ট গাড়ির কাগজপত্র দেখতে চাইলে না দেখিয়ে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করেন কর অঞ্চল—২৫, ঢাকার সহকারী কর কমিশনার মিজ ফাতেমা বেগম। চলতি বছরের ১২ এপ্রিল পলাশী মোড়-নীলক্ষেত এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। অপ্রীতিকর ওই ঘটনায় ফাতেমার বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেন ট্রাফিক সার্জেন্ট শাহা জামাল।
মামলার তদন্ত ও বিভাগীয় মামলায় ঘটনার সত্যতা পাওয়ায় বেতন গ্রেডের এক ধাপ অবনমিত করে শাস্তি দেওয়া হয়েছে। যদিও ফৌজদারি মামলার আসামি হওয়ায় সাময়িক বরখাস্তের আদেশ প্রত্যাহার করা হয়েছে।
আজ মঙ্গলবার (১১ নভেম্বর) এনবিআর চেয়ারম্যান মো. আবদুর রহমান খান সই করা আদেশ সূত্রে এসব তথ্য জানা যায়।
আদেশে বলা হয়, কর অঞ্চল-২৫ এর সহকারী কর কমিশনার মিজ ফাতেমা বেগম গত ১২ এপ্রিল রাত ৮টার দিকে (ঢাকা মেট্রো-গ-৩৪৫৯০৬) প্রাইভেটকারে অবস্থানকালে লালবাগ থানাধীন ২৬ নং ওয়ার্ডস্থ পলাশী মোড় পলাশী-নীলক্ষেতগামী পাকা রাস্তার উপর সিয়েরা ট্যাঙ্গো-৩৫ ডিউটি করার সময় ট্রাফিক সার্জেন্ট শাহা জামাল গাড়ীর কাগজপত্র দেখাতে বলেন। কিন্তু মিজ ফাতেমা বেগম গাড়ীর কাগজপত্র সঠিক আছে বলে গাড়ীর কাগজপত্র দেখাতে অপারগতা প্রকাশ করেন এবং গাড়ী থেকে বের হয়ে তিনি ট্রাফিক সার্জেন্টকে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করেন। এ কারণে গত ১৩ এপ্রিল ট্রাফিক সার্জেন্ট তার বিরুদ্ধে লালবাগ থানায় পেনাল কোড ১৮৬০-এর ১৮৬ / ৩৫৩ / ৩৩২ / ১৭৯ / ১১৪ ধারায় মামলা দায়ের করেন।
একই সঙ্গে এমন কর্মকান্ডের জন্য ‘সরকারি কর্মচারী (শৃঙ্খলা ও আপিল) বিধিমালা, ২০১৮ ’—এর বিধি ৩ (খ) অনুযায়ী ‘অসদাচরণ’—এর দায়ে তাঁর বিরুদ্ধে বিভাগীয় মামলা রুজু করে কৈফিয়ত তলব করা হয়। তিনি কৈফিয়তের জবাব দাখিল করে ব্যক্তিগত শুনানির প্রার্থনা করেন এবং গত ৪ সেপ্টেম্বর ব্যক্তিগত শুনানি দেন। বিচারের স্বার্থে বক্তব্যসহ পুরো বিষয় তদন্ত করেন এনবিআরের প্রথম সচিব মো. জাহিদ নেওয়াজ।
এ ছাড়া তাঁর কারণ দর্শানোর জবাব, তদন্ত প্রতিবেদন এবং বিভাগীয় মামলা সংশ্লিষ্ট নথি পর্যালোচনায় তার বিরুদ্ধে ‘সরকারি কর্মচারী (শৃঙ্খলা ও আপিল) বিধিমালা, ২০১৮ ’—এর ৩ (খ) বিধি অনুযায়ী আনীত ‘অসদাচারণ’—এর অভিযোগ সন্দেহাতীতভাবে প্রমাণিত হয়েছে।
এ জন্য বিধিমালার ৪ (২) (ঘ) বিধি অনুসারে তাঁকে ‘বেতন গ্রেডের এক ধাপ অবনমিত’ করা হয়। অর্থাৎ বর্তমান মূল বেতন ৫০ হাজার ৩০ টাকার নিম্নধাপ ৪৭ হাজার ৯০০ টাকা মূল বেতনে অবনমিতকরণের লঘুদণ্ড দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। একইসঙ্গে তার সাময়িক বরখাস্ত আদেশ প্রত্যাহার করা হয়।

ট্রাফিক সার্জেন্ট গাড়ির কাগজপত্র দেখতে চাইলে না দেখিয়ে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করেন কর অঞ্চল—২৫, ঢাকার সহকারী কর কমিশনার মিজ ফাতেমা বেগম। চলতি বছরের ১২ এপ্রিল পলাশী মোড়-নীলক্ষেত এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। অপ্রীতিকর ওই ঘটনায় ফাতেমার বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেন ট্রাফিক সার্জেন্ট শাহা জামাল।
মামলার তদন্ত ও বিভাগীয় মামলায় ঘটনার সত্যতা পাওয়ায় বেতন গ্রেডের এক ধাপ অবনমিত করে শাস্তি দেওয়া হয়েছে। যদিও ফৌজদারি মামলার আসামি হওয়ায় সাময়িক বরখাস্তের আদেশ প্রত্যাহার করা হয়েছে।
আজ মঙ্গলবার (১১ নভেম্বর) এনবিআর চেয়ারম্যান মো. আবদুর রহমান খান সই করা আদেশ সূত্রে এসব তথ্য জানা যায়।
আদেশে বলা হয়, কর অঞ্চল-২৫ এর সহকারী কর কমিশনার মিজ ফাতেমা বেগম গত ১২ এপ্রিল রাত ৮টার দিকে (ঢাকা মেট্রো-গ-৩৪৫৯০৬) প্রাইভেটকারে অবস্থানকালে লালবাগ থানাধীন ২৬ নং ওয়ার্ডস্থ পলাশী মোড় পলাশী-নীলক্ষেতগামী পাকা রাস্তার উপর সিয়েরা ট্যাঙ্গো-৩৫ ডিউটি করার সময় ট্রাফিক সার্জেন্ট শাহা জামাল গাড়ীর কাগজপত্র দেখাতে বলেন। কিন্তু মিজ ফাতেমা বেগম গাড়ীর কাগজপত্র সঠিক আছে বলে গাড়ীর কাগজপত্র দেখাতে অপারগতা প্রকাশ করেন এবং গাড়ী থেকে বের হয়ে তিনি ট্রাফিক সার্জেন্টকে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করেন। এ কারণে গত ১৩ এপ্রিল ট্রাফিক সার্জেন্ট তার বিরুদ্ধে লালবাগ থানায় পেনাল কোড ১৮৬০-এর ১৮৬ / ৩৫৩ / ৩৩২ / ১৭৯ / ১১৪ ধারায় মামলা দায়ের করেন।
একই সঙ্গে এমন কর্মকান্ডের জন্য ‘সরকারি কর্মচারী (শৃঙ্খলা ও আপিল) বিধিমালা, ২০১৮ ’—এর বিধি ৩ (খ) অনুযায়ী ‘অসদাচরণ’—এর দায়ে তাঁর বিরুদ্ধে বিভাগীয় মামলা রুজু করে কৈফিয়ত তলব করা হয়। তিনি কৈফিয়তের জবাব দাখিল করে ব্যক্তিগত শুনানির প্রার্থনা করেন এবং গত ৪ সেপ্টেম্বর ব্যক্তিগত শুনানি দেন। বিচারের স্বার্থে বক্তব্যসহ পুরো বিষয় তদন্ত করেন এনবিআরের প্রথম সচিব মো. জাহিদ নেওয়াজ।
এ ছাড়া তাঁর কারণ দর্শানোর জবাব, তদন্ত প্রতিবেদন এবং বিভাগীয় মামলা সংশ্লিষ্ট নথি পর্যালোচনায় তার বিরুদ্ধে ‘সরকারি কর্মচারী (শৃঙ্খলা ও আপিল) বিধিমালা, ২০১৮ ’—এর ৩ (খ) বিধি অনুযায়ী আনীত ‘অসদাচারণ’—এর অভিযোগ সন্দেহাতীতভাবে প্রমাণিত হয়েছে।
এ জন্য বিধিমালার ৪ (২) (ঘ) বিধি অনুসারে তাঁকে ‘বেতন গ্রেডের এক ধাপ অবনমিত’ করা হয়। অর্থাৎ বর্তমান মূল বেতন ৫০ হাজার ৩০ টাকার নিম্নধাপ ৪৭ হাজার ৯০০ টাকা মূল বেতনে অবনমিতকরণের লঘুদণ্ড দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। একইসঙ্গে তার সাময়িক বরখাস্ত আদেশ প্রত্যাহার করা হয়।

বিদ্যুৎ খাতে মূল সমস্যাগুলোর সমাধান করলে বাংলাদেশ বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ডের (বিপিডিবি) বছরে প্রায় ১৪ হাজার (১৩ হাজার ৮০০ কোটি টাকা বা ১২০ কোটি মার্কিন ডলার) কোটি টাকা সাশ্রয় হতে পারে। বর্তমানে এই পরিমাণ অর্থ সরকারি ভর্তুকির মাধ্যমে ব্যয় হয়। সম্প্রতি যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক জ্বালানি গবেষণা থিংক ট্যাংক ইনস্ট
০৪ ডিসেম্বর ২০২৪
দেশ থেকে হঠাৎ বেশি পরিমাণে ডলার বাইরে চলে যাচ্ছে। এতে নতুন অর্থবছরের শুরুতেই বৈদেশিক বাণিজ্যে চাপ তৈরি হয়েছে। রপ্তানি আয় বাড়লেও তার চেয়ে দ্রুত হারে আমদানি ব্যয় বেড়েছে, ফলে ভারসাম্য নষ্ট হয়ে দেশ আবারও ঘাটতি বাণিজ্যের মুখে পড়ছে।
৯ ঘণ্টা আগে
সরকারি কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের মূল বেতন করমুক্ত সীমা অতিক্রম করলে স্বয়ংক্রিয়ভাবে আয়কর কেটে নেবে সরকার। সংশ্লিষ্ট হিসাব দপ্তর বেতন বিল প্রস্তুত করার সময় এই কর কেটে নেবে। এ বিষয়ে সব সংশ্লিষ্ট দপ্তরকে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
১২ ঘণ্টা আগে
একীভূত হতে যাওয়া পাঁচ ব্যাংকের শেয়ারের মূল্য ‘শূন্য’ ঘোষণা করাকে কঠোর ও একতরফা সিদ্ধান্ত বলে মনে করে দেশের মার্চেন্ট ব্যাংকগুলোর মোর্চা বাংলাদেশ মার্চেন্ট ব্যাংকার্স অ্যাসোসিয়েশন (বিএমবিএ)। আজ মঙ্গলবার (১১ নভেম্বর) সংগঠনের সেক্রেটারি জেনারেল মুহাম্মদ নজরুল ইসলাম স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে এ কথা বলা হ
১৩ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

সরকারি কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের মূল বেতন করমুক্ত সীমা অতিক্রম করলে স্বয়ংক্রিয়ভাবে আয়কর কেটে নেবে সরকার। সংশ্লিষ্ট হিসাব দপ্তর বেতন বিল প্রস্তুত করার সময় এই কর কেটে নেবে। এ বিষয়ে সব সংশ্লিষ্ট দপ্তরকে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
হিসাব মহানিয়ন্ত্রকের (সিজিএ) কার্যালয় গত সোমবার অর্থ মন্ত্রণালয়কে চিঠি পাঠিয়ে এ পদক্ষেপের বাস্তবায়ন নিশ্চিত করার নির্দেশনা দিয়েছে। আয়কর আইন-২০২৩ অনুযায়ী, মাসিক মূল বেতন ২৬ হাজার ৭৮৫ টাকা বা তার বেশি (পুরুষ কর্মকর্তা-কর্মচারী) এবং ৩০ হাজার ৩৫৭ টাকা বা তার বেশির (নারী কর্মকর্তা-কর্মচারী) ক্ষেত্রে বেতন থেকে কর কর্তন বাধ্যতামূলক।
সিজিএর নির্দেশনায় আরও উল্লেখ করা হয়েছে, সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের বেতন বিল থেকে আয়করসহ অন্যান্য কর্তনের দায়িত্ব সংশ্লিষ্ট ট্রেজারি রুলস এসআর ১২৫ অনুযায়ী উত্তোলনকারীর ওপর থাকবে। এই নির্দেশনার ভিত্তিতে দেশের সব চিফ অ্যাকাউন্টস অ্যান্ড ফাইন্যান্স অফিসার, বিভাগীয় ও জেলা হিসাব নিয়ন্ত্রক এবং উপজেলা হিসাব কর্মকর্তাদের প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে বলা হয়েছে।
অভ্যন্তরীণ সম্পদ বিভাগ (আইআরডি) ও জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) গত ৭ অক্টোবর জারি করা চিঠিতে সরকারি বেতনভোগীদের উৎসে কর কর্তনের বিষয়ে স্পষ্ট নির্দেশনা দিয়েছিল।
এ বিষয়ে আইআরডির সচিব ও এনবিআরের চেয়ারম্যান মো. আবদুর রহমান খান বলেন, ‘প্রতিটি মন্ত্রণালয়ে অনেক বড় সংখ্যক কর্মকর্তা-কর্মচারী, যাঁদের আয় করযোগ্য, অথচ তাঁরা মাসে মাসে বেতন থেকে কর দিচ্ছেন না। এ জন্য ডিও লেটার দিয়েছি। এ প্রক্রিয়ায় কর স্বচ্ছতা বাড়াবে।’
অর্থনীতিবিদ এম হেলাল আহমেদ জনি বলেন, নিয়োগদাতা স্তরে কর কর্তন নিশ্চিত করা করদাতার পরিধি বাড়ানোর সহজ উপায়। সরকারি খাতের এ পদক্ষেপ বেসরকারি খাতেও উৎসে কর বাস্তবায়নে চাপ এবং উৎসাহ সৃষ্টি করবে। তবে শুধু বেতনভিত্তিক কর যথেষ্ট নয়; করদাতার স্বচ্ছ করপত্র, রিটার্ন দাখিল সহজীকরণ এবং ডিজিটাল প্ল্যাটফর্মে অটোমেশনেও গুরুত্ব দিতে হবে।

সরকারি কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের মূল বেতন করমুক্ত সীমা অতিক্রম করলে স্বয়ংক্রিয়ভাবে আয়কর কেটে নেবে সরকার। সংশ্লিষ্ট হিসাব দপ্তর বেতন বিল প্রস্তুত করার সময় এই কর কেটে নেবে। এ বিষয়ে সব সংশ্লিষ্ট দপ্তরকে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
হিসাব মহানিয়ন্ত্রকের (সিজিএ) কার্যালয় গত সোমবার অর্থ মন্ত্রণালয়কে চিঠি পাঠিয়ে এ পদক্ষেপের বাস্তবায়ন নিশ্চিত করার নির্দেশনা দিয়েছে। আয়কর আইন-২০২৩ অনুযায়ী, মাসিক মূল বেতন ২৬ হাজার ৭৮৫ টাকা বা তার বেশি (পুরুষ কর্মকর্তা-কর্মচারী) এবং ৩০ হাজার ৩৫৭ টাকা বা তার বেশির (নারী কর্মকর্তা-কর্মচারী) ক্ষেত্রে বেতন থেকে কর কর্তন বাধ্যতামূলক।
সিজিএর নির্দেশনায় আরও উল্লেখ করা হয়েছে, সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের বেতন বিল থেকে আয়করসহ অন্যান্য কর্তনের দায়িত্ব সংশ্লিষ্ট ট্রেজারি রুলস এসআর ১২৫ অনুযায়ী উত্তোলনকারীর ওপর থাকবে। এই নির্দেশনার ভিত্তিতে দেশের সব চিফ অ্যাকাউন্টস অ্যান্ড ফাইন্যান্স অফিসার, বিভাগীয় ও জেলা হিসাব নিয়ন্ত্রক এবং উপজেলা হিসাব কর্মকর্তাদের প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে বলা হয়েছে।
অভ্যন্তরীণ সম্পদ বিভাগ (আইআরডি) ও জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) গত ৭ অক্টোবর জারি করা চিঠিতে সরকারি বেতনভোগীদের উৎসে কর কর্তনের বিষয়ে স্পষ্ট নির্দেশনা দিয়েছিল।
এ বিষয়ে আইআরডির সচিব ও এনবিআরের চেয়ারম্যান মো. আবদুর রহমান খান বলেন, ‘প্রতিটি মন্ত্রণালয়ে অনেক বড় সংখ্যক কর্মকর্তা-কর্মচারী, যাঁদের আয় করযোগ্য, অথচ তাঁরা মাসে মাসে বেতন থেকে কর দিচ্ছেন না। এ জন্য ডিও লেটার দিয়েছি। এ প্রক্রিয়ায় কর স্বচ্ছতা বাড়াবে।’
অর্থনীতিবিদ এম হেলাল আহমেদ জনি বলেন, নিয়োগদাতা স্তরে কর কর্তন নিশ্চিত করা করদাতার পরিধি বাড়ানোর সহজ উপায়। সরকারি খাতের এ পদক্ষেপ বেসরকারি খাতেও উৎসে কর বাস্তবায়নে চাপ এবং উৎসাহ সৃষ্টি করবে। তবে শুধু বেতনভিত্তিক কর যথেষ্ট নয়; করদাতার স্বচ্ছ করপত্র, রিটার্ন দাখিল সহজীকরণ এবং ডিজিটাল প্ল্যাটফর্মে অটোমেশনেও গুরুত্ব দিতে হবে।

বিদ্যুৎ খাতে মূল সমস্যাগুলোর সমাধান করলে বাংলাদেশ বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ডের (বিপিডিবি) বছরে প্রায় ১৪ হাজার (১৩ হাজার ৮০০ কোটি টাকা বা ১২০ কোটি মার্কিন ডলার) কোটি টাকা সাশ্রয় হতে পারে। বর্তমানে এই পরিমাণ অর্থ সরকারি ভর্তুকির মাধ্যমে ব্যয় হয়। সম্প্রতি যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক জ্বালানি গবেষণা থিংক ট্যাংক ইনস্ট
০৪ ডিসেম্বর ২০২৪
দেশ থেকে হঠাৎ বেশি পরিমাণে ডলার বাইরে চলে যাচ্ছে। এতে নতুন অর্থবছরের শুরুতেই বৈদেশিক বাণিজ্যে চাপ তৈরি হয়েছে। রপ্তানি আয় বাড়লেও তার চেয়ে দ্রুত হারে আমদানি ব্যয় বেড়েছে, ফলে ভারসাম্য নষ্ট হয়ে দেশ আবারও ঘাটতি বাণিজ্যের মুখে পড়ছে।
৯ ঘণ্টা আগে
ট্রাফিক সার্জেন্ট গাড়ির কাগজপত্র দেখতে চাইলে না দেখিয়ে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করেন কর অঞ্চল—২৫, ঢাকার সহকারী কর কমিশনার মিজ ফাতেমা বেগম। চলতি বছরের ১২ এপ্রিল পলাশী মোড়-নীলক্ষেত এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। অপ্রীতিকর ওই ঘটনায় ফাতেমার বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেন ট্রাফিক সার্জেন্ট শাহা জামাল।
১১ ঘণ্টা আগে
একীভূত হতে যাওয়া পাঁচ ব্যাংকের শেয়ারের মূল্য ‘শূন্য’ ঘোষণা করাকে কঠোর ও একতরফা সিদ্ধান্ত বলে মনে করে দেশের মার্চেন্ট ব্যাংকগুলোর মোর্চা বাংলাদেশ মার্চেন্ট ব্যাংকার্স অ্যাসোসিয়েশন (বিএমবিএ)। আজ মঙ্গলবার (১১ নভেম্বর) সংগঠনের সেক্রেটারি জেনারেল মুহাম্মদ নজরুল ইসলাম স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে এ কথা বলা হ
১৩ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

একীভূত হতে যাওয়া পাঁচ ব্যাংকের শেয়ারের মূল্য ‘শূন্য’ ঘোষণা করাকে কঠোর ও একতরফা সিদ্ধান্ত বলে মনে করে দেশের মার্চেন্ট ব্যাংকগুলোর মোর্চা বাংলাদেশ মার্চেন্ট ব্যাংকার্স অ্যাসোসিয়েশন (বিএমবিএ)। আজ মঙ্গলবার (১১ নভেম্বর) সংগঠনের সেক্রেটারি জেনারেল মুহাম্মদ নজরুল ইসলাম স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে এ কথা বলা হয়েছে।
বিএমবিএর বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, সম্প্রতি দেশের বিভিন্ন গণমাধ্যমের খবরে বাংলাদেশ ব্যাংকের সিদ্ধান্তে পাঁচটি একীভূত ইসলামি ব্যাংকের সাধারণ শেয়ারহোল্ডারদের শেয়ারমূল্য ‘শূন্য’ হিসেবে গণ্য করার ঘোষণা প্রকাশিত হয়েছে। ওই ঘোষণায় সংশ্লিষ্ট শেয়ারহোল্ডাররা গভীর উদ্বেগ ও হতাশা প্রকাশ করছেন।
বিজ্ঞপ্তিতে বিএমবিএ সেক্রেটারি জেনারেল নজরুল ইসলাম বলেন, ‘আমরা বাংলাদেশ ব্যাংকের আর্থিক খাতের স্থিতিশীলতা রক্ষায় দায়িত্বশীল ভূমিকা ও কর্তৃত্বকে শ্রদ্ধা জানাই। তবে দীর্ঘদিনের সাধারণ বিনিয়োগকারীদের বৈধ ও নিয়মমাফিক বিনিয়োগ করা মূলধনকে একযোগে ‘‘শূন্য’’ হিসেবে ঘোষণা করা একটি কঠোর ও একতরফা সিদ্ধান্ত বলে আমরা মনে করি।’
বিএমবিএ সেক্রেটারি জেনারেল বলেন, ‘অনেক শেয়ারহোল্ডার দেশের ব্যাংকিং খাতে আস্থা রেখে নিয়মিতভাবে বিনিয়োগ করেছেন, সব বিধিবিধান মেনে চলেছেন। তাই যথাযথ মূল্যায়ন, স্বতন্ত্র নিরীক্ষা ও কোম্পানি আইন, ১৯৯৪ অনুযায়ী সাধারণ শেয়ারহোল্ডারদের সম্মতি ছাড়া এই সিদ্ধান্ত বিনিয়োগকারীদের আস্থা নষ্ট করতে পারে। এই সিদ্ধান্ত বিনিয়োগকারীদের স্বার্থের পরিপন্থী এবং পুঁজিবাজারে সাধারণ বিনিয়োগকারীদের আস্থার ওপর নেতিবাচক প্রভাব ফেলতে পারে। বিদ্যমান শেয়ারহোল্ডাররা দীর্ঘদিন ধরে দেশের ব্যাংকিং খাতে আস্থা রেখে বিনিয়োগ করেছেন। তাই তাঁদের সম্পূর্ণভাবে অগ্রাহ্য করা যুক্তিসংগত নয়।’
সাধারণ শেয়ারহোল্ডারদের সার্বিক দিক বিবেচনায় তিনটি সুপারিশ তুলে ধরে বিএমবিএ। এগুলো হলো—শেয়ারমূল্য নির্ধারণপ্রক্রিয়া পুনর্মূল্যায়নের জন্য স্বতন্ত্র ও যুক্তিসংগত মূল্যায়ন কমিটি গঠন করা; চূড়ান্ত সিদ্ধান্তের আগে শেয়ারহোল্ডারদের মতামত ও ব্যাখ্যা উপস্থাপনের সুযোগ দেওয়া এবং একীভূতকরণ বা পুনর্গঠনের ক্ষেত্রে আন্তর্জাতিক মানদণ্ড অনুসারে একটি ক্ষতিপূরণ বা সমন্বিত সমাধান কাঠামো বিবেচনা করা।
বিএমবিএ সেক্রেটারি নজরুল বলেন, ‘আমরা বিশ্বাস করি, বাংলাদেশ ব্যাংকসহ সংশ্লিষ্ট নীতিনির্ধারক ও নিয়ন্ত্রক সংস্থাগুলো বিষয়টি মানবিক ও অর্থনৈতিক বাস্তবতার আলোকে পুনর্বিবেচনা করবে। দেশের ব্যাংকিং খাতের স্থিতিশীলতা যেমন গুরুত্বপূর্ণ, তেমনি বিনিয়োগকারীদের ন্যায্য অধিকারও সমানভাবে সংরক্ষণযোগ্য।’
আর্থিকভাবে দুর্বল পাঁচটি ব্যাংক একীভূত করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। এগুলো হলো ফার্স্ট সিকিউরিটি ইসলামী ব্যাংক, সোশ্যাল ইসলামী ব্যাংক (এসআইবিএল), এক্সিম ব্যাংক, গ্লোবাল ইসলামী ব্যাংক ও ইউনিয়ন ব্যাংক।
একীভূতকরণের অংশ হিসেবে ব্যাংকগুলোর পর্ষদ ভেঙে দিয়ে নতুন প্রশাসক নিয়োগ দেওয়ার বিষয়ে জানাতে ৫ নভেম্বর আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর আহসান এইচ মনসুর ব্যাংকগুলোর শেয়ারমূল্য শূন্য ঘোষণা করেন।
এ সময় গভর্নর বলেন, ‘ব্যাংকগুলোর শেয়ারের দাম ঋণাত্মক ৩৫০-৪২০ টাকা পর্যন্ত হয়ে গেছে। ব্যাংকগুলোর শেয়ারধারীদের জরিমানা করা উচিত। আমরা তা না করে তাদের মালিকানা শূন্য করে দিয়েছি। ব্যাংকগুলোতে যারা লুটপাট করেছে, তাদের বিরুদ্ধে দুদকসহ সরকারি-বেসরকারি বিভিন্ন সংস্থা থেকে মামলা করা হচ্ছে।’
এদিকে গভর্নরের বক্তব্যকে ঘিরে বিভিন্ন মহলে সমালোচনার জন্ম দেয়। বিনিয়োগকারীরা রাস্তায় নেমে প্রতিবাদ জানান।
এরপর ৯ নভেম্বর অর্থ উপদেষ্টা সালেহউদ্দিন আহমেদ বলেন, পাঁচ ব্যাংকের শেয়ারের শূন্য দাম নিয়ে গভর্নরের ঘোষণাই চূড়ান্ত নয়। সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে অর্থ উপদেষ্টা বলেন, ‘আমরা বলেছি যে, এটা আমরা দেখব। বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর যেটা বলেছেন, সেটাই চূড়ান্ত কথা নয়।’

একীভূত হতে যাওয়া পাঁচ ব্যাংকের শেয়ারের মূল্য ‘শূন্য’ ঘোষণা করাকে কঠোর ও একতরফা সিদ্ধান্ত বলে মনে করে দেশের মার্চেন্ট ব্যাংকগুলোর মোর্চা বাংলাদেশ মার্চেন্ট ব্যাংকার্স অ্যাসোসিয়েশন (বিএমবিএ)। আজ মঙ্গলবার (১১ নভেম্বর) সংগঠনের সেক্রেটারি জেনারেল মুহাম্মদ নজরুল ইসলাম স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে এ কথা বলা হয়েছে।
বিএমবিএর বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, সম্প্রতি দেশের বিভিন্ন গণমাধ্যমের খবরে বাংলাদেশ ব্যাংকের সিদ্ধান্তে পাঁচটি একীভূত ইসলামি ব্যাংকের সাধারণ শেয়ারহোল্ডারদের শেয়ারমূল্য ‘শূন্য’ হিসেবে গণ্য করার ঘোষণা প্রকাশিত হয়েছে। ওই ঘোষণায় সংশ্লিষ্ট শেয়ারহোল্ডাররা গভীর উদ্বেগ ও হতাশা প্রকাশ করছেন।
বিজ্ঞপ্তিতে বিএমবিএ সেক্রেটারি জেনারেল নজরুল ইসলাম বলেন, ‘আমরা বাংলাদেশ ব্যাংকের আর্থিক খাতের স্থিতিশীলতা রক্ষায় দায়িত্বশীল ভূমিকা ও কর্তৃত্বকে শ্রদ্ধা জানাই। তবে দীর্ঘদিনের সাধারণ বিনিয়োগকারীদের বৈধ ও নিয়মমাফিক বিনিয়োগ করা মূলধনকে একযোগে ‘‘শূন্য’’ হিসেবে ঘোষণা করা একটি কঠোর ও একতরফা সিদ্ধান্ত বলে আমরা মনে করি।’
বিএমবিএ সেক্রেটারি জেনারেল বলেন, ‘অনেক শেয়ারহোল্ডার দেশের ব্যাংকিং খাতে আস্থা রেখে নিয়মিতভাবে বিনিয়োগ করেছেন, সব বিধিবিধান মেনে চলেছেন। তাই যথাযথ মূল্যায়ন, স্বতন্ত্র নিরীক্ষা ও কোম্পানি আইন, ১৯৯৪ অনুযায়ী সাধারণ শেয়ারহোল্ডারদের সম্মতি ছাড়া এই সিদ্ধান্ত বিনিয়োগকারীদের আস্থা নষ্ট করতে পারে। এই সিদ্ধান্ত বিনিয়োগকারীদের স্বার্থের পরিপন্থী এবং পুঁজিবাজারে সাধারণ বিনিয়োগকারীদের আস্থার ওপর নেতিবাচক প্রভাব ফেলতে পারে। বিদ্যমান শেয়ারহোল্ডাররা দীর্ঘদিন ধরে দেশের ব্যাংকিং খাতে আস্থা রেখে বিনিয়োগ করেছেন। তাই তাঁদের সম্পূর্ণভাবে অগ্রাহ্য করা যুক্তিসংগত নয়।’
সাধারণ শেয়ারহোল্ডারদের সার্বিক দিক বিবেচনায় তিনটি সুপারিশ তুলে ধরে বিএমবিএ। এগুলো হলো—শেয়ারমূল্য নির্ধারণপ্রক্রিয়া পুনর্মূল্যায়নের জন্য স্বতন্ত্র ও যুক্তিসংগত মূল্যায়ন কমিটি গঠন করা; চূড়ান্ত সিদ্ধান্তের আগে শেয়ারহোল্ডারদের মতামত ও ব্যাখ্যা উপস্থাপনের সুযোগ দেওয়া এবং একীভূতকরণ বা পুনর্গঠনের ক্ষেত্রে আন্তর্জাতিক মানদণ্ড অনুসারে একটি ক্ষতিপূরণ বা সমন্বিত সমাধান কাঠামো বিবেচনা করা।
বিএমবিএ সেক্রেটারি নজরুল বলেন, ‘আমরা বিশ্বাস করি, বাংলাদেশ ব্যাংকসহ সংশ্লিষ্ট নীতিনির্ধারক ও নিয়ন্ত্রক সংস্থাগুলো বিষয়টি মানবিক ও অর্থনৈতিক বাস্তবতার আলোকে পুনর্বিবেচনা করবে। দেশের ব্যাংকিং খাতের স্থিতিশীলতা যেমন গুরুত্বপূর্ণ, তেমনি বিনিয়োগকারীদের ন্যায্য অধিকারও সমানভাবে সংরক্ষণযোগ্য।’
আর্থিকভাবে দুর্বল পাঁচটি ব্যাংক একীভূত করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। এগুলো হলো ফার্স্ট সিকিউরিটি ইসলামী ব্যাংক, সোশ্যাল ইসলামী ব্যাংক (এসআইবিএল), এক্সিম ব্যাংক, গ্লোবাল ইসলামী ব্যাংক ও ইউনিয়ন ব্যাংক।
একীভূতকরণের অংশ হিসেবে ব্যাংকগুলোর পর্ষদ ভেঙে দিয়ে নতুন প্রশাসক নিয়োগ দেওয়ার বিষয়ে জানাতে ৫ নভেম্বর আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর আহসান এইচ মনসুর ব্যাংকগুলোর শেয়ারমূল্য শূন্য ঘোষণা করেন।
এ সময় গভর্নর বলেন, ‘ব্যাংকগুলোর শেয়ারের দাম ঋণাত্মক ৩৫০-৪২০ টাকা পর্যন্ত হয়ে গেছে। ব্যাংকগুলোর শেয়ারধারীদের জরিমানা করা উচিত। আমরা তা না করে তাদের মালিকানা শূন্য করে দিয়েছি। ব্যাংকগুলোতে যারা লুটপাট করেছে, তাদের বিরুদ্ধে দুদকসহ সরকারি-বেসরকারি বিভিন্ন সংস্থা থেকে মামলা করা হচ্ছে।’
এদিকে গভর্নরের বক্তব্যকে ঘিরে বিভিন্ন মহলে সমালোচনার জন্ম দেয়। বিনিয়োগকারীরা রাস্তায় নেমে প্রতিবাদ জানান।
এরপর ৯ নভেম্বর অর্থ উপদেষ্টা সালেহউদ্দিন আহমেদ বলেন, পাঁচ ব্যাংকের শেয়ারের শূন্য দাম নিয়ে গভর্নরের ঘোষণাই চূড়ান্ত নয়। সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে অর্থ উপদেষ্টা বলেন, ‘আমরা বলেছি যে, এটা আমরা দেখব। বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর যেটা বলেছেন, সেটাই চূড়ান্ত কথা নয়।’

বিদ্যুৎ খাতে মূল সমস্যাগুলোর সমাধান করলে বাংলাদেশ বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ডের (বিপিডিবি) বছরে প্রায় ১৪ হাজার (১৩ হাজার ৮০০ কোটি টাকা বা ১২০ কোটি মার্কিন ডলার) কোটি টাকা সাশ্রয় হতে পারে। বর্তমানে এই পরিমাণ অর্থ সরকারি ভর্তুকির মাধ্যমে ব্যয় হয়। সম্প্রতি যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক জ্বালানি গবেষণা থিংক ট্যাংক ইনস্ট
০৪ ডিসেম্বর ২০২৪
দেশ থেকে হঠাৎ বেশি পরিমাণে ডলার বাইরে চলে যাচ্ছে। এতে নতুন অর্থবছরের শুরুতেই বৈদেশিক বাণিজ্যে চাপ তৈরি হয়েছে। রপ্তানি আয় বাড়লেও তার চেয়ে দ্রুত হারে আমদানি ব্যয় বেড়েছে, ফলে ভারসাম্য নষ্ট হয়ে দেশ আবারও ঘাটতি বাণিজ্যের মুখে পড়ছে।
৯ ঘণ্টা আগে
ট্রাফিক সার্জেন্ট গাড়ির কাগজপত্র দেখতে চাইলে না দেখিয়ে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করেন কর অঞ্চল—২৫, ঢাকার সহকারী কর কমিশনার মিজ ফাতেমা বেগম। চলতি বছরের ১২ এপ্রিল পলাশী মোড়-নীলক্ষেত এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। অপ্রীতিকর ওই ঘটনায় ফাতেমার বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেন ট্রাফিক সার্জেন্ট শাহা জামাল।
১১ ঘণ্টা আগে
সরকারি কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের মূল বেতন করমুক্ত সীমা অতিক্রম করলে স্বয়ংক্রিয়ভাবে আয়কর কেটে নেবে সরকার। সংশ্লিষ্ট হিসাব দপ্তর বেতন বিল প্রস্তুত করার সময় এই কর কেটে নেবে। এ বিষয়ে সব সংশ্লিষ্ট দপ্তরকে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
১২ ঘণ্টা আগে