
জাতিসংঘের একজন শীর্ষ কর্মকর্তা ২০২২ সালে বলেছিলেন, ৫০টি দরিদ্র দেশ দেউলিয়া হওয়ার ঝুঁকিতে রয়েছে। দেউলিয়া হওয়ার কারণগুলোর মধ্যে রয়েছে— উচ্চ মূল্যস্ফীতি, জ্বালানি সংকট এবং ক্রমবর্ধমান ঋণের বোঝা। ইউএনডিপি প্রধান আচিম স্টেইনারের বিবৃতি আজও প্রাসঙ্গিক, কারণ বেশ কয়েকটি দেশ দেউলিয়া হয়ে গেছে, আবার অনেকেই দেউলিয়া হওয়ার দ্বারপ্রান্তে।
ভারতীয় সম্প্রচার মাধ্যম সিএনবিসি টিভি১৮ দেউলিয়া হওয়ার ঝুঁকিতে থাকা দেশগুলো নিয়ে একটি প্রতিবেদন করেছে। এই তালিকায় রয়েছে বাংলাদেশও।
পাকিস্তান
আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল (আইএমএফ) পাকিস্তানকে আপাতত দেউলিয়া অবস্থা থেকে মুক্তি দিয়েছে কিন্তু দেশটির অর্থনীতি এখনো ভঙ্গুর। ২০২৩ সালে আইএমএফের দেওয়া ৩ মার্কিন বিলিয়ন ডলারের ঋণসহায়তা দেশটিকে দেউলিয়া এড়াতে পারে, তবে রাজনৈতিক সংকটে থাকা দেশটির এ বছর আরও একটি ঋণসহায়তা প্রয়োজন।
সর্বশেষ আইএমএফ ৭ বিলিয়ন ডলারের দীর্ঘমেয়াদি ঋণ সাহারা মরুভূমিতে এক বিন্দু জলের মতোই। কারণ দেশটির মোট আয়কর রাজস্বের অন্তত ৬০ শতাংশ পুরোনো ঋণ পরিশোধেই যাবে। ২০২৪ সালের মে মাসে আইএমএফ অনুমান করেছিল, ২০২৯ সাল পর্যন্ত পাকিস্তানের অন্তত ১২৩ বিলিয়ন ডলারের বাহ্যিক অর্থ সহায়তার প্রয়োজন হবে। দেশের জিডিপি ২০২২ সালে ৩৭৫ দশমিক ৪৪ বিলিয়ন ডলার থেকে ২০২৩-২৪ সালে ৩৭৪ দশমিক ৯০৪ বিলিয়ন ডলারে নেমে এসেছে।
অর্থনীতি নিম্নমুখী হওয়া সত্ত্বেও আগস্টে দেশটির মুদ্রাস্ফীতি ৯৬ শতাংশে দাঁড়িয়েছে। এই পরিস্থিতি থেকে উত্তরণের আগে পাকিস্তানের জনগণকে আরও অর্থকষ্টের ভেতর দিয়ে যেতে হবে। ২০২২ সালের এপ্রিলের পর প্রথমবারের মতো দেশটির বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ ১০ বিলিয়ন ডলারের ওপরে উঠেছে, তবে এর মধ্যে আইএমএফের ১ বিলিয়ন ডলারের ট্রাঞ্চ রয়েছে। কিন্তু এই রিজার্ভ পাকিস্তানের তিন মাসের আমদানি ব্যয়ও মেটাতে পারবে না।
শ্রীলঙ্কা
শ্রীলঙ্কার মোট বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ মাত্র ৫০ মিলিয়ন ডলারে নেমে এলে ২০২২ সালের এপ্রিলে ৮৩ বিলিয়ন ডলারের দেউলিয়ায় পড়ে দ্বীপরাষ্ট্রটি। তবে পরিস্থিতি এখন স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরে আসছে। দেশটির ফরেক্স রিজার্ভ এখন ৫ দশমিক ৯৫ বিলিয়ন ডলারে দাঁড়িয়েছে, যা গত তিন বছরের মধ্যে সর্বোচ্চ।
২০২২ সালের সেপ্টেম্বরে শ্রীলঙ্কার মূল্যস্ফীতি ছিল ৬৭ শতাংশ, যা ২০২৪ সালের আগস্টে কমে মাত্র ১ দশমিক ১ শতাংশ হয়েছে। ২০১৭ সালে দেশটির জিডিপি প্রায় ৯৪ বিলিয়ন ছিল। কিন্তু সেটি ২০২৩ সালে হঠাৎ কমে ৮৪ দশমিক ৪ বিলিয়ন ডলারে নামে। তবে চলতি বছরের জানুয়ারি থেকে জুনে শ্রীলঙ্কার জিডিপি বেড়েছে।
২০২২ এবং ২০২৩ সালে অর্থনীতি ৯ দশমিক ৫ শতাংশ সংকোচনের পরে স্থিতিশীল হয়েছে। যা হোক, ক্রমবর্ধমান দারিদ্র্য এবং ঋণের বাধ্যবাধকতার কারণে দেশটি স্বাভাবিক পরিস্থিতিতে ফিরতে জটিলতার মধ্যে পড়তে পারে। দুই বছর আগে শ্রীলঙ্কার ঋণ খেলাপি হয়েছে। সেপ্টেম্বরে দেশটি ১২ দশমিক ৫ বিলিয়ন ডলার ঋণ পুনর্গঠনের জন্য ঋণদাতাদের সঙ্গে একটি চুক্তিতে পৌঁছেছে। ঋণদাতারা চুক্তির অংশ হিসাবে ২৭ শতাংশ নেবে।
বাংলাদেশ
বাংলাদেশের মোট ঋণের পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ১৫৬ বিলিয়ন ডলার, যা ২০০৮ সালের চেয়ে পাঁচগুণ বেশি। এসঅ্যান্ডপি গ্লোবালের মতো বিশ্বব্যাপী রেটিং এজেন্সিগুলো বাংলাদেশকে ‘জাঙ্ক’ বা আস্তাকুঁড় হিসাবে চিহ্নিত করেছে। সর্বশেষ রাজনৈতিক সংকট ও ক্ষমতার পটপরিবর্তনের আগেও বাংলাদেশের ঋণ গ্রহণ ও পরিশোধের সক্ষমতা নিম্নগামী ছিল। ফলে দেশের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ ২০২৩ সালের জানুয়ারিতে ৩২ বিলিয়ন ডলার থেকে ২০২৪ সালের সেপ্টেম্বরে ২০ বিলিয়ন ডলারে নেমে এসেছে।
বাংলাদেশ ব্যাংক গত কয়েক বছরে টাকার অবমূল্যায়ন করেছে, কিন্তু এই পদক্ষেপ এখনো পর্যন্ত কোনো কাজে আসেনি। এশিয়ান ডেভেলপমেন্ট ব্যাংক ধারণা করছে, খাদ্যদ্রব্যর দাম বৃদ্ধির কারণে ২০২৫ সালে মূল্যস্ফীতি ১০ দশমিক ১ শতাংশ বৃদ্ধি পাবে। ঋণখেলাপি বেড়ে যাওয়ায় ব্যাংকে তারল্য সংকটের আশঙ্কাও রয়েছে। এখনই কোনো ঋণ সংকট না থাকলেও অর্থনীতির অবনতি ঘটছে এবং এর দ্রুত সমাধান প্রয়োজন। আইএমএফ অনুমোদিত ৪ দশমিক ৭ বিলিয়ন ডলারের ঋণ বাংলাদেশের অর্থনীতিকে কিছুটা শক্তি দিয়েছে, যা পরিশোধ করতে ২০২৬ সাল পর্যন্ত সময় লাগবে।
ভেনেজুয়েলা
ইতিহাসের এক সময়ে ল্যাটিন আমেরিকার সবচেয়ে ধনী দেশ ছিল ভেনেজুয়েলা। তবে নিকোলাস মাদুরোর নিয়ন্ত্রণমূলক শাসন ব্যবস্থায় দেশটি দেউলিয়া হয়ে গেছে। দেশটি ২০১৭ সালে খেলাপি শুরু করে। বর্তমানে মোট ঋণ ১৫৪ বিলিয়ন ডলারে দাঁড়িয়েছে। জিডিপি ২০১২ সালে ৩৭২ দশমিক ৫৯ বিলিয়ন থেকে কমে ২০২৪ সালে ১০৩ দশমিক ৩৩ বিলিয়নে দাঁড়িয়েছে।
মাদুরো চলতি বছরের জুলাই মাসে বিতর্কিত নির্বাচনে নিজেকে বিজয়ী ঘোষণা করলে দেশে রাজনৈতিক অস্থিরতা শুরু হয়। এর প্রভাব পড়ে অর্থনীতির ওপর। দেশটির অর্থনীতি গত বছর ৫ শতাংশ প্রবৃদ্ধি অর্জন করেছিল এবং এই বছর ৪ শতাংশ বৃদ্ধি পাবে বলে আশা করা হচ্ছে। দেশটির এই অর্থনৈতিক উন্নতির জন্য বৈশ্বিক নিষেধাজ্ঞা শিথিল করা আংশিকভাবে দায়ী। তেলসমৃদ্ধ দেশটি ঋণ পুনর্গঠনের জন্যও আলোচনায় রয়েছে।
ভেনেজুয়েলার কেন্দ্রীয় ব্যাংকের সর্বশেষ তথ্য অনুসারে, মুদ্রাস্ফীতি ক্রমহ্রাসমান হলেও দেশটির ৮২ শতাংশ মানুষ এখনো দারিদ্র্যের মধ্যে বাস করে। এক বছরের আগের তুলনায় দ্রব্যমূল্যর দাম ২৫ শতাংশ বেড়েছে।
আর্জেন্টিনা
দক্ষিণ আমেরিকার দেশটি একবিংশ শতাব্দীতে এরই মধ্যে তিনবার ঋণখেলাপি করেছে। পাওনাদারদের কাছে আর্জেন্টিনার ৪০০ বিলিয়ন ডলারেরও বেশি পাওনা রয়েছে। সর্বশেষ ২০২৩ সালসহ অতীতে দেশটি বেশ কয়েকটি ঋণ পুনর্গঠন করেছে। প্রেসিডেন্ট জাভিয়ের মিলির সংস্কারকালে আট মাসে বার্ষিক মুদ্রাস্ফীতি ৩০০ শতাংশ থেকে ২৩৬ শতাংশে নেমেছে। কিন্তু এটি এখনো স্বাভাবিক মুদ্রাস্ফীতি হারের চেয়ে অনেক বেশি। দেশটির অর্থনীতিও ধীরে ধীরে বড় হতে শুরু করেছে। তবে দারিদ্র্যের মাত্রা ৫২ দশমিক ৩ শতাংশ ছাড়িয়ে গেছে। অক্সফোর্ড ইকোনমিকস বলছে, অনিশ্চিত অর্থনৈতিক দৃষ্টিভঙ্গির কারণে ২০২৫ এবং ২০২৭ সালে আর্জেন্টিনার আবারও দেউলিয়া হওয়ার আশঙ্কা ৭৫ শতাংশ।
জাম্বিয়া
দক্ষিণ আফ্রিকার দেশটি ২০২০ সালে ইউরো বন্ড ঋণে খেলাপি করেছে। চলতি বছর ৬ দশমিক ৩ বিলিয়ন বাহ্যিক ঋণ পুনর্গঠনের জন্য প্রথম দেশ হয়ে উঠেছে জাম্বিয়া। কিন্তু দেশটি উল্লেখযোগ্য চ্যালেঞ্জের মুখে রয়েছে। দেশটির আন্তর্জাতিক বকেয়া স্টক ২০২৩ সালের মধ্যে জিডিপির ২৬ শতাংশে পৌঁছেছে। আইএমএফের ভাষ্যমতে, এটি টেকসই নয়। এ ছাড়াও দেশটি এখনো কমপক্ষে ৩ দশমিক ৩ বিলিয়ন বাণিজ্যিক ঋণ পুনর্গঠন করতে পারেনি। আইএমএফ বলছে, বাণিজ্যিক ঋণ পুনর্গঠনে ব্যর্থতা এবং ২০২৪ সালের ঋণ পুনর্গঠন চুক্তির কিছু ধারা জাম্বিয়াকে আরেকটি খেলাপির দ্বারপ্রান্তে নিয়ে যেতে পারে।
ঘানা
আফ্রিকার দেশটির মোট ঋণের পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ৪৪ বিলিয়ন ডলার, যা মোট জিডিপির ৭০ দশমিক ৬ শতাংশ। দেশটি ২০২২ সালের ডিসেম্বরে বেশিরভাগ আন্তর্জাতিক ঋণে খেলাপি করে অর্থনীতিকে সংকটে ফেলেছে। ঋণের খরচ ও মুদ্রাস্ফীতি বেড়েছে। ঘানার বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ ২০২১ সালের ৯ দশমিক ৭ বিলিয়ন ডলার থেকে কমে ২০২৩ সালে ৫ দশমিক ৯ বিলিয়ন ডলার হয়েছে।
দেশটির অর্থনীতি এখন পুনরুদ্ধার প্রক্রিয়ার মধ্যে রয়েছে। চলতি বছরের জানুয়ারি-জুন পর্যন্ত জিডিপি বৃদ্ধির গড় ৫ দশমিক ৮ শতাংশ ছিল। ২০২২ সাল থেকে মুদ্রাস্ফীতি সর্বনিম্নে নেমে এসেছে। আইএমএফ বলছে, ২০২৩ সালের মে মাসে অনুমোদিত ৩ বিলিয়ন ডলারের ঋণসহায়তা দেশটির অর্থনীতিকে সাহায্য করেছে। সম্প্রতি ২৩ বিলিয়ন ডলারের ঋণ পুনর্গঠন চুক্তিতে পৌঁছানোর পর দেশটির সম্ভাবনা উজ্জ্বল বলে মনে হচ্ছে। ফিন্যান্সিয়াল টাইমসের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, চুক্তির অংশ হিসেবে ঋণদাতারা ঋণের ৪০ শতাংশ ছেড়ে দেবে।

জাতিসংঘের একজন শীর্ষ কর্মকর্তা ২০২২ সালে বলেছিলেন, ৫০টি দরিদ্র দেশ দেউলিয়া হওয়ার ঝুঁকিতে রয়েছে। দেউলিয়া হওয়ার কারণগুলোর মধ্যে রয়েছে— উচ্চ মূল্যস্ফীতি, জ্বালানি সংকট এবং ক্রমবর্ধমান ঋণের বোঝা। ইউএনডিপি প্রধান আচিম স্টেইনারের বিবৃতি আজও প্রাসঙ্গিক, কারণ বেশ কয়েকটি দেশ দেউলিয়া হয়ে গেছে, আবার অনেকেই দেউলিয়া হওয়ার দ্বারপ্রান্তে।
ভারতীয় সম্প্রচার মাধ্যম সিএনবিসি টিভি১৮ দেউলিয়া হওয়ার ঝুঁকিতে থাকা দেশগুলো নিয়ে একটি প্রতিবেদন করেছে। এই তালিকায় রয়েছে বাংলাদেশও।
পাকিস্তান
আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল (আইএমএফ) পাকিস্তানকে আপাতত দেউলিয়া অবস্থা থেকে মুক্তি দিয়েছে কিন্তু দেশটির অর্থনীতি এখনো ভঙ্গুর। ২০২৩ সালে আইএমএফের দেওয়া ৩ মার্কিন বিলিয়ন ডলারের ঋণসহায়তা দেশটিকে দেউলিয়া এড়াতে পারে, তবে রাজনৈতিক সংকটে থাকা দেশটির এ বছর আরও একটি ঋণসহায়তা প্রয়োজন।
সর্বশেষ আইএমএফ ৭ বিলিয়ন ডলারের দীর্ঘমেয়াদি ঋণ সাহারা মরুভূমিতে এক বিন্দু জলের মতোই। কারণ দেশটির মোট আয়কর রাজস্বের অন্তত ৬০ শতাংশ পুরোনো ঋণ পরিশোধেই যাবে। ২০২৪ সালের মে মাসে আইএমএফ অনুমান করেছিল, ২০২৯ সাল পর্যন্ত পাকিস্তানের অন্তত ১২৩ বিলিয়ন ডলারের বাহ্যিক অর্থ সহায়তার প্রয়োজন হবে। দেশের জিডিপি ২০২২ সালে ৩৭৫ দশমিক ৪৪ বিলিয়ন ডলার থেকে ২০২৩-২৪ সালে ৩৭৪ দশমিক ৯০৪ বিলিয়ন ডলারে নেমে এসেছে।
অর্থনীতি নিম্নমুখী হওয়া সত্ত্বেও আগস্টে দেশটির মুদ্রাস্ফীতি ৯৬ শতাংশে দাঁড়িয়েছে। এই পরিস্থিতি থেকে উত্তরণের আগে পাকিস্তানের জনগণকে আরও অর্থকষ্টের ভেতর দিয়ে যেতে হবে। ২০২২ সালের এপ্রিলের পর প্রথমবারের মতো দেশটির বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ ১০ বিলিয়ন ডলারের ওপরে উঠেছে, তবে এর মধ্যে আইএমএফের ১ বিলিয়ন ডলারের ট্রাঞ্চ রয়েছে। কিন্তু এই রিজার্ভ পাকিস্তানের তিন মাসের আমদানি ব্যয়ও মেটাতে পারবে না।
শ্রীলঙ্কা
শ্রীলঙ্কার মোট বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ মাত্র ৫০ মিলিয়ন ডলারে নেমে এলে ২০২২ সালের এপ্রিলে ৮৩ বিলিয়ন ডলারের দেউলিয়ায় পড়ে দ্বীপরাষ্ট্রটি। তবে পরিস্থিতি এখন স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরে আসছে। দেশটির ফরেক্স রিজার্ভ এখন ৫ দশমিক ৯৫ বিলিয়ন ডলারে দাঁড়িয়েছে, যা গত তিন বছরের মধ্যে সর্বোচ্চ।
২০২২ সালের সেপ্টেম্বরে শ্রীলঙ্কার মূল্যস্ফীতি ছিল ৬৭ শতাংশ, যা ২০২৪ সালের আগস্টে কমে মাত্র ১ দশমিক ১ শতাংশ হয়েছে। ২০১৭ সালে দেশটির জিডিপি প্রায় ৯৪ বিলিয়ন ছিল। কিন্তু সেটি ২০২৩ সালে হঠাৎ কমে ৮৪ দশমিক ৪ বিলিয়ন ডলারে নামে। তবে চলতি বছরের জানুয়ারি থেকে জুনে শ্রীলঙ্কার জিডিপি বেড়েছে।
২০২২ এবং ২০২৩ সালে অর্থনীতি ৯ দশমিক ৫ শতাংশ সংকোচনের পরে স্থিতিশীল হয়েছে। যা হোক, ক্রমবর্ধমান দারিদ্র্য এবং ঋণের বাধ্যবাধকতার কারণে দেশটি স্বাভাবিক পরিস্থিতিতে ফিরতে জটিলতার মধ্যে পড়তে পারে। দুই বছর আগে শ্রীলঙ্কার ঋণ খেলাপি হয়েছে। সেপ্টেম্বরে দেশটি ১২ দশমিক ৫ বিলিয়ন ডলার ঋণ পুনর্গঠনের জন্য ঋণদাতাদের সঙ্গে একটি চুক্তিতে পৌঁছেছে। ঋণদাতারা চুক্তির অংশ হিসাবে ২৭ শতাংশ নেবে।
বাংলাদেশ
বাংলাদেশের মোট ঋণের পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ১৫৬ বিলিয়ন ডলার, যা ২০০৮ সালের চেয়ে পাঁচগুণ বেশি। এসঅ্যান্ডপি গ্লোবালের মতো বিশ্বব্যাপী রেটিং এজেন্সিগুলো বাংলাদেশকে ‘জাঙ্ক’ বা আস্তাকুঁড় হিসাবে চিহ্নিত করেছে। সর্বশেষ রাজনৈতিক সংকট ও ক্ষমতার পটপরিবর্তনের আগেও বাংলাদেশের ঋণ গ্রহণ ও পরিশোধের সক্ষমতা নিম্নগামী ছিল। ফলে দেশের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ ২০২৩ সালের জানুয়ারিতে ৩২ বিলিয়ন ডলার থেকে ২০২৪ সালের সেপ্টেম্বরে ২০ বিলিয়ন ডলারে নেমে এসেছে।
বাংলাদেশ ব্যাংক গত কয়েক বছরে টাকার অবমূল্যায়ন করেছে, কিন্তু এই পদক্ষেপ এখনো পর্যন্ত কোনো কাজে আসেনি। এশিয়ান ডেভেলপমেন্ট ব্যাংক ধারণা করছে, খাদ্যদ্রব্যর দাম বৃদ্ধির কারণে ২০২৫ সালে মূল্যস্ফীতি ১০ দশমিক ১ শতাংশ বৃদ্ধি পাবে। ঋণখেলাপি বেড়ে যাওয়ায় ব্যাংকে তারল্য সংকটের আশঙ্কাও রয়েছে। এখনই কোনো ঋণ সংকট না থাকলেও অর্থনীতির অবনতি ঘটছে এবং এর দ্রুত সমাধান প্রয়োজন। আইএমএফ অনুমোদিত ৪ দশমিক ৭ বিলিয়ন ডলারের ঋণ বাংলাদেশের অর্থনীতিকে কিছুটা শক্তি দিয়েছে, যা পরিশোধ করতে ২০২৬ সাল পর্যন্ত সময় লাগবে।
ভেনেজুয়েলা
ইতিহাসের এক সময়ে ল্যাটিন আমেরিকার সবচেয়ে ধনী দেশ ছিল ভেনেজুয়েলা। তবে নিকোলাস মাদুরোর নিয়ন্ত্রণমূলক শাসন ব্যবস্থায় দেশটি দেউলিয়া হয়ে গেছে। দেশটি ২০১৭ সালে খেলাপি শুরু করে। বর্তমানে মোট ঋণ ১৫৪ বিলিয়ন ডলারে দাঁড়িয়েছে। জিডিপি ২০১২ সালে ৩৭২ দশমিক ৫৯ বিলিয়ন থেকে কমে ২০২৪ সালে ১০৩ দশমিক ৩৩ বিলিয়নে দাঁড়িয়েছে।
মাদুরো চলতি বছরের জুলাই মাসে বিতর্কিত নির্বাচনে নিজেকে বিজয়ী ঘোষণা করলে দেশে রাজনৈতিক অস্থিরতা শুরু হয়। এর প্রভাব পড়ে অর্থনীতির ওপর। দেশটির অর্থনীতি গত বছর ৫ শতাংশ প্রবৃদ্ধি অর্জন করেছিল এবং এই বছর ৪ শতাংশ বৃদ্ধি পাবে বলে আশা করা হচ্ছে। দেশটির এই অর্থনৈতিক উন্নতির জন্য বৈশ্বিক নিষেধাজ্ঞা শিথিল করা আংশিকভাবে দায়ী। তেলসমৃদ্ধ দেশটি ঋণ পুনর্গঠনের জন্যও আলোচনায় রয়েছে।
ভেনেজুয়েলার কেন্দ্রীয় ব্যাংকের সর্বশেষ তথ্য অনুসারে, মুদ্রাস্ফীতি ক্রমহ্রাসমান হলেও দেশটির ৮২ শতাংশ মানুষ এখনো দারিদ্র্যের মধ্যে বাস করে। এক বছরের আগের তুলনায় দ্রব্যমূল্যর দাম ২৫ শতাংশ বেড়েছে।
আর্জেন্টিনা
দক্ষিণ আমেরিকার দেশটি একবিংশ শতাব্দীতে এরই মধ্যে তিনবার ঋণখেলাপি করেছে। পাওনাদারদের কাছে আর্জেন্টিনার ৪০০ বিলিয়ন ডলারেরও বেশি পাওনা রয়েছে। সর্বশেষ ২০২৩ সালসহ অতীতে দেশটি বেশ কয়েকটি ঋণ পুনর্গঠন করেছে। প্রেসিডেন্ট জাভিয়ের মিলির সংস্কারকালে আট মাসে বার্ষিক মুদ্রাস্ফীতি ৩০০ শতাংশ থেকে ২৩৬ শতাংশে নেমেছে। কিন্তু এটি এখনো স্বাভাবিক মুদ্রাস্ফীতি হারের চেয়ে অনেক বেশি। দেশটির অর্থনীতিও ধীরে ধীরে বড় হতে শুরু করেছে। তবে দারিদ্র্যের মাত্রা ৫২ দশমিক ৩ শতাংশ ছাড়িয়ে গেছে। অক্সফোর্ড ইকোনমিকস বলছে, অনিশ্চিত অর্থনৈতিক দৃষ্টিভঙ্গির কারণে ২০২৫ এবং ২০২৭ সালে আর্জেন্টিনার আবারও দেউলিয়া হওয়ার আশঙ্কা ৭৫ শতাংশ।
জাম্বিয়া
দক্ষিণ আফ্রিকার দেশটি ২০২০ সালে ইউরো বন্ড ঋণে খেলাপি করেছে। চলতি বছর ৬ দশমিক ৩ বিলিয়ন বাহ্যিক ঋণ পুনর্গঠনের জন্য প্রথম দেশ হয়ে উঠেছে জাম্বিয়া। কিন্তু দেশটি উল্লেখযোগ্য চ্যালেঞ্জের মুখে রয়েছে। দেশটির আন্তর্জাতিক বকেয়া স্টক ২০২৩ সালের মধ্যে জিডিপির ২৬ শতাংশে পৌঁছেছে। আইএমএফের ভাষ্যমতে, এটি টেকসই নয়। এ ছাড়াও দেশটি এখনো কমপক্ষে ৩ দশমিক ৩ বিলিয়ন বাণিজ্যিক ঋণ পুনর্গঠন করতে পারেনি। আইএমএফ বলছে, বাণিজ্যিক ঋণ পুনর্গঠনে ব্যর্থতা এবং ২০২৪ সালের ঋণ পুনর্গঠন চুক্তির কিছু ধারা জাম্বিয়াকে আরেকটি খেলাপির দ্বারপ্রান্তে নিয়ে যেতে পারে।
ঘানা
আফ্রিকার দেশটির মোট ঋণের পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ৪৪ বিলিয়ন ডলার, যা মোট জিডিপির ৭০ দশমিক ৬ শতাংশ। দেশটি ২০২২ সালের ডিসেম্বরে বেশিরভাগ আন্তর্জাতিক ঋণে খেলাপি করে অর্থনীতিকে সংকটে ফেলেছে। ঋণের খরচ ও মুদ্রাস্ফীতি বেড়েছে। ঘানার বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ ২০২১ সালের ৯ দশমিক ৭ বিলিয়ন ডলার থেকে কমে ২০২৩ সালে ৫ দশমিক ৯ বিলিয়ন ডলার হয়েছে।
দেশটির অর্থনীতি এখন পুনরুদ্ধার প্রক্রিয়ার মধ্যে রয়েছে। চলতি বছরের জানুয়ারি-জুন পর্যন্ত জিডিপি বৃদ্ধির গড় ৫ দশমিক ৮ শতাংশ ছিল। ২০২২ সাল থেকে মুদ্রাস্ফীতি সর্বনিম্নে নেমে এসেছে। আইএমএফ বলছে, ২০২৩ সালের মে মাসে অনুমোদিত ৩ বিলিয়ন ডলারের ঋণসহায়তা দেশটির অর্থনীতিকে সাহায্য করেছে। সম্প্রতি ২৩ বিলিয়ন ডলারের ঋণ পুনর্গঠন চুক্তিতে পৌঁছানোর পর দেশটির সম্ভাবনা উজ্জ্বল বলে মনে হচ্ছে। ফিন্যান্সিয়াল টাইমসের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, চুক্তির অংশ হিসেবে ঋণদাতারা ঋণের ৪০ শতাংশ ছেড়ে দেবে।

দেশের সবগুলো ক্যাডেট কলেজে ভর্তি আবেদন ফি সহজেই দেওয়া যাচ্ছে ডাক বিভাগের মোবাইল আর্থিক সেবা ‘নগদ’-এর মাধ্যমে। বরাবরের মতো এবারও এ ক্ষেত্রে কোনো বাড়তি খরচ প্রয়োজন হবে না।
১২ মিনিট আগে
জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটি (একনেক) ৭ হাজার ১৫০ কোটি ২১ লাখ টাকা ব্যয়ে ১২টি প্রকল্প অনুমোদন করেছে। অনুমোদিত প্রকল্পগুলোর সম্পূর্ণ ব্যয় সরকারের নিজস্ব তহবিল থেকে সংস্থান করা হবে।
২ ঘণ্টা আগে
ব্যবসায়ীদের দীর্ঘদিনের দাবির পর অনলাইনে মূল্য সংযোজন কর (মূসক) ফেরত বা ভ্যাট রিফান্ড প্রক্রিয়া চালু করেছে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর)। গতকাল রোববার (৯ নভেম্বর) এক প্রজ্ঞাপনের মাধ্যমে এ তথ্য জানিয়েছে সংস্থাটি।
৪ ঘণ্টা আগে
এক বছরের ব্যবধানে (অক্টোবর থেকে অক্টোবর) দেশের ব্যাংকগুলোর স্বল্পকালীন (কলমানি) ঋণ বিপুল হারে বেড়েছে। চলতি বছরের অক্টোবর পর্যন্ত কলমানি ঋণ প্রায় দ্বিগুণ বা ৬৩ হাজার ২৪৮ কোটি টাকা বেড়েছে। এর মধ্যে এক দিনের জন্য ওভারনাইট ধার বেড়েছে ৪৯ হাজার ৯৩২ কোটি টাকা আর আন্তব্যাংক রেপোতে ধার বেড়েছে ৫৮ হাজার ৭৫৩
১৮ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

দেশের সব ক্যাডেট কলেজে ভর্তি আবেদন ফি সহজেই দেওয়া যাচ্ছে ডাক বিভাগের মোবাইল আর্থিক সেবা ‘নগদ’-এর মাধ্যমে। বরাবরের মতো এবারও এ ক্ষেত্রে কোনো বাড়তি খরচ প্রয়োজন হবে না।
বর্তমানে বাংলাদেশে ১২টি ক্যাডেট কলেজ রয়েছে, যার মধ্যে ৯টি ছেলেদের ও তিনটি মেয়েদের জন্য। ইতিমধ্যে এসব ক্যাডেট কলেজের ভর্তি আবেদনপ্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। এই প্রক্রিয়া চলবে আগামী ১০ ডিসেম্বর পর্যন্ত।
সব ক্যাডেট কলেজে যেকোনো আবেদনকারী নগদের মাধ্যমে ভর্তি আবেদন ফি দিতে পারবে কোনো রকম ঝামেলা ছাড়াই। তা ছাড়া নগদের এই ভর্তি ফির চার্জবিহীন পেমেন্ট সুবিধার ফলে শিক্ষার্থী ও অভিভাবকদের জন্য ভর্তিপ্রক্রিয়া এখন আরও সহজ ও সাশ্রয়ী হয়েছে।
আবেদনকারী বা অভিভাবকেরা ক্যাডেট কলেজের অফিশিয়াল ওয়েবসাইট
অথবা https://cadetcollegeadmission.army.mil.bd/ -এ গিয়ে অনলাইনে আবেদন সম্পন্ন
করে ফি পরিশোধ করতে পারবে।
‘Apply Now/Sign Up’-এ ক্লিক করে নাম, মোবাইল নম্বর, পাসওয়ার্ড, ই-মেইল অ্যাড্রেস, জন্মতারিখসহ প্রয়োজনীয় তথ্য দিয়ে রেজিস্ট্রেশন সম্পন্ন করতে হবে। এরপর ‘User ID’ ও ‘Password’ দিয়ে লগইন করে ‘Payment’ অপশন থেকে ‘Nagad’ নির্বাচন করে দুই হাজার টাকা আবেদন ফি তাৎক্ষণিক পরিশোধ করা যাবে। নগদ ব্যবহারকারীদের ক্ষেত্রে এই ফি প্রদানে কোনো সার্ভিস চার্জ বা ট্রানজেকশন ফি প্রযোজ্য হবে না। পেমেন্ট সফলভাবে সম্পন্ন হলে আবেদনকারীর মোবাইলে সঙ্গে সঙ্গে একটি এসএমএস নিশ্চিতকরণ বার্তা পাঠানো হবে।
ক্যাডেট কলেজ ভর্তি ফি সম্পূর্ণ চার্জমুক্ত করার বিষয়ে নগদের চিফ কমার্শিয়াল অফিসার মোহাম্মদ শাহীন সরওয়ার ভূঁইয়া বলেন, ‘আমরা নগদের মাধ্যমে ক্যাডেট কলেজে ভর্তি ফি প্রদান সম্পূর্ণ চার্জমুক্ত করেছি, যাতে সারা দেশের যেকোনো স্থান থেকে অভিভাবকেরা সহজে, দ্রুত ও সবচেয়ে কম খরচে প্রক্রিয়াটি সম্পন্ন করতে পারে। শিক্ষাসংক্রান্ত যেকোনো ডিজিটাল পেমেন্ট আরও সহজ করতে নগদ বরাবরই কাজ করে যাচ্ছে এবং ভবিষ্যতেও এই ধারা অব্যাহত রাখবে।’
দেশের অন্যতম জনপ্রিয় মোবাইল আর্থিক সেবা নগদের মাধ্যমে বর্তমানে সরকারি ও বেসরকারি বহু শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ভর্তি ও টিউশন ফি দিচ্ছে। এই সুবিধা শিক্ষার্থী ও অভিভাবকদের জন্য দ্রুত, নিরাপদ ও নির্ভরযোগ্য পেমেন্ট সলিউশন হিসেবে কাজ করছে।

দেশের সব ক্যাডেট কলেজে ভর্তি আবেদন ফি সহজেই দেওয়া যাচ্ছে ডাক বিভাগের মোবাইল আর্থিক সেবা ‘নগদ’-এর মাধ্যমে। বরাবরের মতো এবারও এ ক্ষেত্রে কোনো বাড়তি খরচ প্রয়োজন হবে না।
বর্তমানে বাংলাদেশে ১২টি ক্যাডেট কলেজ রয়েছে, যার মধ্যে ৯টি ছেলেদের ও তিনটি মেয়েদের জন্য। ইতিমধ্যে এসব ক্যাডেট কলেজের ভর্তি আবেদনপ্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। এই প্রক্রিয়া চলবে আগামী ১০ ডিসেম্বর পর্যন্ত।
সব ক্যাডেট কলেজে যেকোনো আবেদনকারী নগদের মাধ্যমে ভর্তি আবেদন ফি দিতে পারবে কোনো রকম ঝামেলা ছাড়াই। তা ছাড়া নগদের এই ভর্তি ফির চার্জবিহীন পেমেন্ট সুবিধার ফলে শিক্ষার্থী ও অভিভাবকদের জন্য ভর্তিপ্রক্রিয়া এখন আরও সহজ ও সাশ্রয়ী হয়েছে।
আবেদনকারী বা অভিভাবকেরা ক্যাডেট কলেজের অফিশিয়াল ওয়েবসাইট
অথবা https://cadetcollegeadmission.army.mil.bd/ -এ গিয়ে অনলাইনে আবেদন সম্পন্ন
করে ফি পরিশোধ করতে পারবে।
‘Apply Now/Sign Up’-এ ক্লিক করে নাম, মোবাইল নম্বর, পাসওয়ার্ড, ই-মেইল অ্যাড্রেস, জন্মতারিখসহ প্রয়োজনীয় তথ্য দিয়ে রেজিস্ট্রেশন সম্পন্ন করতে হবে। এরপর ‘User ID’ ও ‘Password’ দিয়ে লগইন করে ‘Payment’ অপশন থেকে ‘Nagad’ নির্বাচন করে দুই হাজার টাকা আবেদন ফি তাৎক্ষণিক পরিশোধ করা যাবে। নগদ ব্যবহারকারীদের ক্ষেত্রে এই ফি প্রদানে কোনো সার্ভিস চার্জ বা ট্রানজেকশন ফি প্রযোজ্য হবে না। পেমেন্ট সফলভাবে সম্পন্ন হলে আবেদনকারীর মোবাইলে সঙ্গে সঙ্গে একটি এসএমএস নিশ্চিতকরণ বার্তা পাঠানো হবে।
ক্যাডেট কলেজ ভর্তি ফি সম্পূর্ণ চার্জমুক্ত করার বিষয়ে নগদের চিফ কমার্শিয়াল অফিসার মোহাম্মদ শাহীন সরওয়ার ভূঁইয়া বলেন, ‘আমরা নগদের মাধ্যমে ক্যাডেট কলেজে ভর্তি ফি প্রদান সম্পূর্ণ চার্জমুক্ত করেছি, যাতে সারা দেশের যেকোনো স্থান থেকে অভিভাবকেরা সহজে, দ্রুত ও সবচেয়ে কম খরচে প্রক্রিয়াটি সম্পন্ন করতে পারে। শিক্ষাসংক্রান্ত যেকোনো ডিজিটাল পেমেন্ট আরও সহজ করতে নগদ বরাবরই কাজ করে যাচ্ছে এবং ভবিষ্যতেও এই ধারা অব্যাহত রাখবে।’
দেশের অন্যতম জনপ্রিয় মোবাইল আর্থিক সেবা নগদের মাধ্যমে বর্তমানে সরকারি ও বেসরকারি বহু শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ভর্তি ও টিউশন ফি দিচ্ছে। এই সুবিধা শিক্ষার্থী ও অভিভাবকদের জন্য দ্রুত, নিরাপদ ও নির্ভরযোগ্য পেমেন্ট সলিউশন হিসেবে কাজ করছে।

জাতিসংঘের একজন শীর্ষ কর্মকর্তা ২০২২ সালে বলেছিলেন, ৫০টি দরিদ্র দেশ দেউলিয়া হওয়ার ঝুঁকিতে রয়েছে। দেউলিয়া হওয়ার কারণগুলোর মধ্যে রয়েছে উচ্চ মূল্যস্ফীতি, জ্বালানি সংকট এবং ক্রমবর্ধমান ঋণের বোঝা। ইউএনডিপি প্রধান আচিম স্টেইনারের বিবৃতি আজও প্রাসঙ্গিক, কারণ বেশ কয়েকটি দেশ দেউলিয়া হয়ে গেছে, আবার অনেকেই দেউল
০৫ অক্টোবর ২০২৪
জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটি (একনেক) ৭ হাজার ১৫০ কোটি ২১ লাখ টাকা ব্যয়ে ১২টি প্রকল্প অনুমোদন করেছে। অনুমোদিত প্রকল্পগুলোর সম্পূর্ণ ব্যয় সরকারের নিজস্ব তহবিল থেকে সংস্থান করা হবে।
২ ঘণ্টা আগে
ব্যবসায়ীদের দীর্ঘদিনের দাবির পর অনলাইনে মূল্য সংযোজন কর (মূসক) ফেরত বা ভ্যাট রিফান্ড প্রক্রিয়া চালু করেছে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর)। গতকাল রোববার (৯ নভেম্বর) এক প্রজ্ঞাপনের মাধ্যমে এ তথ্য জানিয়েছে সংস্থাটি।
৪ ঘণ্টা আগে
এক বছরের ব্যবধানে (অক্টোবর থেকে অক্টোবর) দেশের ব্যাংকগুলোর স্বল্পকালীন (কলমানি) ঋণ বিপুল হারে বেড়েছে। চলতি বছরের অক্টোবর পর্যন্ত কলমানি ঋণ প্রায় দ্বিগুণ বা ৬৩ হাজার ২৪৮ কোটি টাকা বেড়েছে। এর মধ্যে এক দিনের জন্য ওভারনাইট ধার বেড়েছে ৪৯ হাজার ৯৩২ কোটি টাকা আর আন্তব্যাংক রেপোতে ধার বেড়েছে ৫৮ হাজার ৭৫৩
১৮ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটি (একনেক) ৭ হাজার ১৫০ কোটি ২১ লাখ টাকা ব্যয়ে ১২টি প্রকল্প অনুমোদন করেছে। অনুমোদিত প্রকল্পগুলোর সম্পূর্ণ ব্যয় সরকারের নিজস্ব তহবিল থেকে সংস্থান করা হবে।
আজ সোমবার রাজধানীর শেরেবাংলা নগরের এনইসি সম্মেলনকক্ষে অনুষ্ঠিত একনেক সভায় প্রকল্পগুলো অনুমোদন দেওয়া হয়। এর মধ্যে নতুন প্রকল্প আটটি, সংশোধিত প্রকল্প দুটি এবং ব্যয় বৃদ্ধি ছাড়া মেয়াদ বৃদ্ধির দুটি প্রকল্প রয়েছে। বৈঠকে সভাপতিত্ব করেন প্রধান উপদেষ্টা ও একনেক চেয়ারপারসন ড. মুহাম্মদ ইউনূস।
অনুমোদিত ১২টি প্রকল্পের মধ্যে রয়েছে পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়ের দুটি প্রকল্প, যার মধ্যে রয়েছে ‘মানিকগঞ্জ জেলার গুরুত্বপূর্ণ গ্রামীণ অবকাঠামো উন্নয়ন’ প্রকল্প এবং ‘সাতক্ষীরা জেলা গ্রামীণ অবকাঠামো উন্নয়ন’ প্রকল্প।
কৃষি মন্ত্রণালয়ের একটি প্রকল্প—‘কিশোরগঞ্জ ও নেত্রকোনা জেলার হাওর এলাকার ক্ষুদ্র সেচ ব্যবস্থাপনার উন্নয়ন’ (তৃতীয় সংশোধন)। শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের দুটি প্রকল্প—‘গাজীপুর কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের অবকাঠামোগত উন্নয়ন’ এবং ‘চট্টগ্রাম, খুলনা, রাজশাহী ও রংপুর বিভাগে একটি করে ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজ স্থাপন’ (দ্বিতীয় সংশোধিত)।
মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের একটি প্রকল্প—‘সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে স্বাধীনতা স্তম্ভ নির্মাণ’ (তৃতীয় পর্যায়) (প্রথম সংশোধিত)। স্বাস্থ্য ও পরিবারকল্যাণ মন্ত্রণালয়ের তিনটি প্রকল্প—‘সমাপ্ত চতুর্থ সেক্টর কর্মসূচির অত্যাবশ্যকীয় পরিবার পরিকল্পনা, মা, শিশু ও প্রজনন স্বাস্থ্যসেবার অসমাপ্ত কার্যাবলি বাস্তবায়ন’ প্রকল্প, ‘স্বাস্থ্যশিক্ষা অধিদপ্তর, নিপোর্ট এবং নার্সিং ও মিডওয়াইফারি অধিদপ্তরের কার্যক্রম ব্যবস্থাপনায় সমন্বিত উন্নয়ন’ এবং ‘পিএফডি, এইচইএফ, আইএফএম, এইচআরডি এবং এসডব্লিউপিএমএমের অত্যাবশ্যকীয় অসমাপ্ত কার্যক্রম বাস্তবায়ন’ প্রকল্প।
প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের একটি প্রকল্প—‘ঢাকা সেনানিবাসে নির্ঝর আবাসিক এলাকায় ‘বি’ টাইপ অফিসার্স বাসস্থান নির্মাণ’। সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয়ের একটি প্রকল্প—‘নড়াইল-কালিয়া জেলা মহাসড়কের ২১তম কিলোমিটারে কালিয়া নামের স্থানে নবগঙ্গা নদীর ওপর কালিয়া সেতু নির্মাণের (দ্বিতীয় সংশোধিত) চতুর্থবার মেয়াদ বৃদ্ধি’। শিল্প মন্ত্রণালয়ের একটি প্রকল্প—‘বিসিক শিল্পপার্ক, টাঙ্গাইল’ (তৃতীয় সংশোধিত)।
সভায় পরিকল্পনা উপদেষ্টা ওয়াহিদউদ্দিন মাহমুদ; অর্থ উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ; আইন, বিচার ও সংসদবিষয়ক উপদেষ্টা ড. আসিফ নজরুল; স্বরাষ্ট্র ও কৃষি উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী; শিল্প এবং গৃহায়ণ ও গণপূর্ত উপদেষ্টা আদিলুর রহমান খান; বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ উপদেষ্টা মুহাম্মদ ফাওজুল কবির খান; পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান; স্থানীয় সরকার উপদেষ্টা নূরজাহান বেগমসহ সংশ্লিষ্ট উপদেষ্টা ও কর্মকর্তারা অংশগ্রহণ করেন।

জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটি (একনেক) ৭ হাজার ১৫০ কোটি ২১ লাখ টাকা ব্যয়ে ১২টি প্রকল্প অনুমোদন করেছে। অনুমোদিত প্রকল্পগুলোর সম্পূর্ণ ব্যয় সরকারের নিজস্ব তহবিল থেকে সংস্থান করা হবে।
আজ সোমবার রাজধানীর শেরেবাংলা নগরের এনইসি সম্মেলনকক্ষে অনুষ্ঠিত একনেক সভায় প্রকল্পগুলো অনুমোদন দেওয়া হয়। এর মধ্যে নতুন প্রকল্প আটটি, সংশোধিত প্রকল্প দুটি এবং ব্যয় বৃদ্ধি ছাড়া মেয়াদ বৃদ্ধির দুটি প্রকল্প রয়েছে। বৈঠকে সভাপতিত্ব করেন প্রধান উপদেষ্টা ও একনেক চেয়ারপারসন ড. মুহাম্মদ ইউনূস।
অনুমোদিত ১২টি প্রকল্পের মধ্যে রয়েছে পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়ের দুটি প্রকল্প, যার মধ্যে রয়েছে ‘মানিকগঞ্জ জেলার গুরুত্বপূর্ণ গ্রামীণ অবকাঠামো উন্নয়ন’ প্রকল্প এবং ‘সাতক্ষীরা জেলা গ্রামীণ অবকাঠামো উন্নয়ন’ প্রকল্প।
কৃষি মন্ত্রণালয়ের একটি প্রকল্প—‘কিশোরগঞ্জ ও নেত্রকোনা জেলার হাওর এলাকার ক্ষুদ্র সেচ ব্যবস্থাপনার উন্নয়ন’ (তৃতীয় সংশোধন)। শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের দুটি প্রকল্প—‘গাজীপুর কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের অবকাঠামোগত উন্নয়ন’ এবং ‘চট্টগ্রাম, খুলনা, রাজশাহী ও রংপুর বিভাগে একটি করে ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজ স্থাপন’ (দ্বিতীয় সংশোধিত)।
মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের একটি প্রকল্প—‘সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে স্বাধীনতা স্তম্ভ নির্মাণ’ (তৃতীয় পর্যায়) (প্রথম সংশোধিত)। স্বাস্থ্য ও পরিবারকল্যাণ মন্ত্রণালয়ের তিনটি প্রকল্প—‘সমাপ্ত চতুর্থ সেক্টর কর্মসূচির অত্যাবশ্যকীয় পরিবার পরিকল্পনা, মা, শিশু ও প্রজনন স্বাস্থ্যসেবার অসমাপ্ত কার্যাবলি বাস্তবায়ন’ প্রকল্প, ‘স্বাস্থ্যশিক্ষা অধিদপ্তর, নিপোর্ট এবং নার্সিং ও মিডওয়াইফারি অধিদপ্তরের কার্যক্রম ব্যবস্থাপনায় সমন্বিত উন্নয়ন’ এবং ‘পিএফডি, এইচইএফ, আইএফএম, এইচআরডি এবং এসডব্লিউপিএমএমের অত্যাবশ্যকীয় অসমাপ্ত কার্যক্রম বাস্তবায়ন’ প্রকল্প।
প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের একটি প্রকল্প—‘ঢাকা সেনানিবাসে নির্ঝর আবাসিক এলাকায় ‘বি’ টাইপ অফিসার্স বাসস্থান নির্মাণ’। সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয়ের একটি প্রকল্প—‘নড়াইল-কালিয়া জেলা মহাসড়কের ২১তম কিলোমিটারে কালিয়া নামের স্থানে নবগঙ্গা নদীর ওপর কালিয়া সেতু নির্মাণের (দ্বিতীয় সংশোধিত) চতুর্থবার মেয়াদ বৃদ্ধি’। শিল্প মন্ত্রণালয়ের একটি প্রকল্প—‘বিসিক শিল্পপার্ক, টাঙ্গাইল’ (তৃতীয় সংশোধিত)।
সভায় পরিকল্পনা উপদেষ্টা ওয়াহিদউদ্দিন মাহমুদ; অর্থ উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ; আইন, বিচার ও সংসদবিষয়ক উপদেষ্টা ড. আসিফ নজরুল; স্বরাষ্ট্র ও কৃষি উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী; শিল্প এবং গৃহায়ণ ও গণপূর্ত উপদেষ্টা আদিলুর রহমান খান; বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ উপদেষ্টা মুহাম্মদ ফাওজুল কবির খান; পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান; স্থানীয় সরকার উপদেষ্টা নূরজাহান বেগমসহ সংশ্লিষ্ট উপদেষ্টা ও কর্মকর্তারা অংশগ্রহণ করেন।

জাতিসংঘের একজন শীর্ষ কর্মকর্তা ২০২২ সালে বলেছিলেন, ৫০টি দরিদ্র দেশ দেউলিয়া হওয়ার ঝুঁকিতে রয়েছে। দেউলিয়া হওয়ার কারণগুলোর মধ্যে রয়েছে উচ্চ মূল্যস্ফীতি, জ্বালানি সংকট এবং ক্রমবর্ধমান ঋণের বোঝা। ইউএনডিপি প্রধান আচিম স্টেইনারের বিবৃতি আজও প্রাসঙ্গিক, কারণ বেশ কয়েকটি দেশ দেউলিয়া হয়ে গেছে, আবার অনেকেই দেউল
০৫ অক্টোবর ২০২৪
দেশের সবগুলো ক্যাডেট কলেজে ভর্তি আবেদন ফি সহজেই দেওয়া যাচ্ছে ডাক বিভাগের মোবাইল আর্থিক সেবা ‘নগদ’-এর মাধ্যমে। বরাবরের মতো এবারও এ ক্ষেত্রে কোনো বাড়তি খরচ প্রয়োজন হবে না।
১২ মিনিট আগে
ব্যবসায়ীদের দীর্ঘদিনের দাবির পর অনলাইনে মূল্য সংযোজন কর (মূসক) ফেরত বা ভ্যাট রিফান্ড প্রক্রিয়া চালু করেছে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর)। গতকাল রোববার (৯ নভেম্বর) এক প্রজ্ঞাপনের মাধ্যমে এ তথ্য জানিয়েছে সংস্থাটি।
৪ ঘণ্টা আগে
এক বছরের ব্যবধানে (অক্টোবর থেকে অক্টোবর) দেশের ব্যাংকগুলোর স্বল্পকালীন (কলমানি) ঋণ বিপুল হারে বেড়েছে। চলতি বছরের অক্টোবর পর্যন্ত কলমানি ঋণ প্রায় দ্বিগুণ বা ৬৩ হাজার ২৪৮ কোটি টাকা বেড়েছে। এর মধ্যে এক দিনের জন্য ওভারনাইট ধার বেড়েছে ৪৯ হাজার ৯৩২ কোটি টাকা আর আন্তব্যাংক রেপোতে ধার বেড়েছে ৫৮ হাজার ৭৫৩
১৮ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

ব্যবসায়ীদের দীর্ঘদিনের দাবির পর অনলাইনে মূল্য সংযোজন কর (মূসক) ফেরত বা ভ্যাট রিফান্ড প্রক্রিয়া চালু করেছে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর)। গতকাল রোববার (৯ নভেম্বর) এক প্রজ্ঞাপনের মাধ্যমে এ তথ্য জানিয়েছে সংস্থাটি।
এনবিআর জানায়, করদাতারা এখন থেকে অনলাইনে ভ্যাট রিফান্ডের আবেদন দাখিল, যাচাই-বাছাই ও অনুমোদন সম্পন্ন করে সরাসরি ব্যাংক হিসাবে রিফান্ডের অর্থ পেতে পারবেন। এ জন্য অনলাইন ভ্যাট রিফান্ড মডিউল চালু করা হয়েছে।
এনবিআরের প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে, বিদ্যমান ইন্টিগ্রেটেড ভ্যাট অ্যাডমিনিস্ট্রেশন সিস্টেমের (আইভাস) সঙ্গে অর্থ বিভাগের আইবাস প্লাস প্লাস (iBAS++) সিস্টেমের আন্তসংযোগ স্থাপন করা হবে। এতে বাংলাদেশ ইলেকট্রনিক ফান্ড ট্রান্সফার নেটওয়ার্কের (বিইএফটিএন) মাধ্যমে রিফান্ডের অর্থ সরাসরি করদাতার নির্ধারিত ব্যাংক হিসাবে জমা হবে।
এনবিআরের জনসংযোগ কর্মকর্তা মো. আল আমিন শেখ বলেন, অনলাইন ভ্যাট রিফান্ড মডিউলের মাধ্যমে জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের ডিজিটালাইজেশন কার্যক্রম আরও এক ধাপ এগিয়ে গেল। স্বচ্ছতা ও জবাবদিহি নিশ্চিতের লক্ষ্যে সব কার্যক্রম ধীরে ধীরে সম্পূর্ণ অটোমেশনের আওতায় আনা হচ্ছে।
অনলাইন রিফান্ড প্রক্রিয়া
নতুন মডিউলের মাধ্যমে করদাতারা অনলাইনে মূসক রিটার্ন দাখিলের সময় রিফান্ডের আবেদন করতে পারবেন। সংশ্লিষ্ট মূসক কমিশনারেট আবেদন যাচাই-বাছাই করে অনুমোদনের পর স্বয়ংক্রিয়ভাবে অর্থ স্থানান্তর করবে।
এতে রিফান্ডের আবেদন বা চেক গ্রহণের জন্য করদাতাকে আর ভ্যাট অফিসে যেতে হবে না। ফলে সময় ও ব্যয় সাশ্রয় হবে এবং প্রক্রিয়ায় স্বচ্ছতা নিশ্চিত করা সম্ভব হবে।
এরই মধ্যে অনিষ্পন্ন রিফান্ড আবেদনকারীদের নতুন মডিউলে মূসক-৯.১ ফরমের মাধ্যমে পুনরায় অনলাইনে আবেদন দাখিল করতে হবে বলে জানিয়েছে এনবিআর।
সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের দক্ষতা বাড়ানোর জন্য ভ্যাট কমিশনারেট পর্যায়ে প্রশিক্ষণ আয়োজন করা হয়েছে। করদাতারা প্রয়োজনে স্থানীয় কমিশনারেটে যোগাযোগ করে অনলাইন রিফান্ড প্রক্রিয়া সম্পর্কে সহায়তা নিতে পারবেন।
গত আগস্টে এক অনুষ্ঠানে এনবিআর চেয়ারম্যান মো. আবদুর রহমান খান বলেন, ভ্যাট রিটার্ন প্রক্রিয়া পুরোপুরি অটোমেশনে চলে যাবে। কাগজে রিটার্ন নেওয়া হবে না।
যখন কোনো ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান কাঁচামাল বা সেবা কেনে, তখন ইনপুট ভ্যাট দেয়। আবার সেই পণ্য বা সেবা বিক্রি করলে গ্রাহকের কাছ থেকে আউটপুট ভ্যাট নেয়। যদি ইনপুট ভ্যাটের পরিমাণ আউটপুট ভ্যাটের চেয়ে বেশি হয়, তখন অতিরিক্ত ভ্যাট রিফান্ড হিসেবে দাবি করতে পারে। তবে এত দিন এই ভ্যাট রিফান্ড না পাওয়ার অভিযোগ করতেন ব্যবসায়ীরা। জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের সঙ্গে বিভিন্ন বৈঠকে ভ্যাট রিফান্ডের দাবিও তুলতেন তাঁরা।
ব্যবসায়ীদের দীর্ঘদিনের দাবির পর অনলাইনে মূল্য সংযোজন কর (মূসক) ফেরত বা ভ্যাট রিফান্ড প্রক্রিয়া চালু করেছে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড ()। গতকাল রোববার (৯ নভেম্বর) এক প্রজ্ঞাপনের মাধ্যমে এ তথ্য জানিয়েছে সংস্থাটি।

ব্যবসায়ীদের দীর্ঘদিনের দাবির পর অনলাইনে মূল্য সংযোজন কর (মূসক) ফেরত বা ভ্যাট রিফান্ড প্রক্রিয়া চালু করেছে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর)। গতকাল রোববার (৯ নভেম্বর) এক প্রজ্ঞাপনের মাধ্যমে এ তথ্য জানিয়েছে সংস্থাটি।
এনবিআর জানায়, করদাতারা এখন থেকে অনলাইনে ভ্যাট রিফান্ডের আবেদন দাখিল, যাচাই-বাছাই ও অনুমোদন সম্পন্ন করে সরাসরি ব্যাংক হিসাবে রিফান্ডের অর্থ পেতে পারবেন। এ জন্য অনলাইন ভ্যাট রিফান্ড মডিউল চালু করা হয়েছে।
এনবিআরের প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে, বিদ্যমান ইন্টিগ্রেটেড ভ্যাট অ্যাডমিনিস্ট্রেশন সিস্টেমের (আইভাস) সঙ্গে অর্থ বিভাগের আইবাস প্লাস প্লাস (iBAS++) সিস্টেমের আন্তসংযোগ স্থাপন করা হবে। এতে বাংলাদেশ ইলেকট্রনিক ফান্ড ট্রান্সফার নেটওয়ার্কের (বিইএফটিএন) মাধ্যমে রিফান্ডের অর্থ সরাসরি করদাতার নির্ধারিত ব্যাংক হিসাবে জমা হবে।
এনবিআরের জনসংযোগ কর্মকর্তা মো. আল আমিন শেখ বলেন, অনলাইন ভ্যাট রিফান্ড মডিউলের মাধ্যমে জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের ডিজিটালাইজেশন কার্যক্রম আরও এক ধাপ এগিয়ে গেল। স্বচ্ছতা ও জবাবদিহি নিশ্চিতের লক্ষ্যে সব কার্যক্রম ধীরে ধীরে সম্পূর্ণ অটোমেশনের আওতায় আনা হচ্ছে।
অনলাইন রিফান্ড প্রক্রিয়া
নতুন মডিউলের মাধ্যমে করদাতারা অনলাইনে মূসক রিটার্ন দাখিলের সময় রিফান্ডের আবেদন করতে পারবেন। সংশ্লিষ্ট মূসক কমিশনারেট আবেদন যাচাই-বাছাই করে অনুমোদনের পর স্বয়ংক্রিয়ভাবে অর্থ স্থানান্তর করবে।
এতে রিফান্ডের আবেদন বা চেক গ্রহণের জন্য করদাতাকে আর ভ্যাট অফিসে যেতে হবে না। ফলে সময় ও ব্যয় সাশ্রয় হবে এবং প্রক্রিয়ায় স্বচ্ছতা নিশ্চিত করা সম্ভব হবে।
এরই মধ্যে অনিষ্পন্ন রিফান্ড আবেদনকারীদের নতুন মডিউলে মূসক-৯.১ ফরমের মাধ্যমে পুনরায় অনলাইনে আবেদন দাখিল করতে হবে বলে জানিয়েছে এনবিআর।
সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের দক্ষতা বাড়ানোর জন্য ভ্যাট কমিশনারেট পর্যায়ে প্রশিক্ষণ আয়োজন করা হয়েছে। করদাতারা প্রয়োজনে স্থানীয় কমিশনারেটে যোগাযোগ করে অনলাইন রিফান্ড প্রক্রিয়া সম্পর্কে সহায়তা নিতে পারবেন।
গত আগস্টে এক অনুষ্ঠানে এনবিআর চেয়ারম্যান মো. আবদুর রহমান খান বলেন, ভ্যাট রিটার্ন প্রক্রিয়া পুরোপুরি অটোমেশনে চলে যাবে। কাগজে রিটার্ন নেওয়া হবে না।
যখন কোনো ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান কাঁচামাল বা সেবা কেনে, তখন ইনপুট ভ্যাট দেয়। আবার সেই পণ্য বা সেবা বিক্রি করলে গ্রাহকের কাছ থেকে আউটপুট ভ্যাট নেয়। যদি ইনপুট ভ্যাটের পরিমাণ আউটপুট ভ্যাটের চেয়ে বেশি হয়, তখন অতিরিক্ত ভ্যাট রিফান্ড হিসেবে দাবি করতে পারে। তবে এত দিন এই ভ্যাট রিফান্ড না পাওয়ার অভিযোগ করতেন ব্যবসায়ীরা। জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের সঙ্গে বিভিন্ন বৈঠকে ভ্যাট রিফান্ডের দাবিও তুলতেন তাঁরা।
ব্যবসায়ীদের দীর্ঘদিনের দাবির পর অনলাইনে মূল্য সংযোজন কর (মূসক) ফেরত বা ভ্যাট রিফান্ড প্রক্রিয়া চালু করেছে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড ()। গতকাল রোববার (৯ নভেম্বর) এক প্রজ্ঞাপনের মাধ্যমে এ তথ্য জানিয়েছে সংস্থাটি।

জাতিসংঘের একজন শীর্ষ কর্মকর্তা ২০২২ সালে বলেছিলেন, ৫০টি দরিদ্র দেশ দেউলিয়া হওয়ার ঝুঁকিতে রয়েছে। দেউলিয়া হওয়ার কারণগুলোর মধ্যে রয়েছে উচ্চ মূল্যস্ফীতি, জ্বালানি সংকট এবং ক্রমবর্ধমান ঋণের বোঝা। ইউএনডিপি প্রধান আচিম স্টেইনারের বিবৃতি আজও প্রাসঙ্গিক, কারণ বেশ কয়েকটি দেশ দেউলিয়া হয়ে গেছে, আবার অনেকেই দেউল
০৫ অক্টোবর ২০২৪
দেশের সবগুলো ক্যাডেট কলেজে ভর্তি আবেদন ফি সহজেই দেওয়া যাচ্ছে ডাক বিভাগের মোবাইল আর্থিক সেবা ‘নগদ’-এর মাধ্যমে। বরাবরের মতো এবারও এ ক্ষেত্রে কোনো বাড়তি খরচ প্রয়োজন হবে না।
১২ মিনিট আগে
জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটি (একনেক) ৭ হাজার ১৫০ কোটি ২১ লাখ টাকা ব্যয়ে ১২টি প্রকল্প অনুমোদন করেছে। অনুমোদিত প্রকল্পগুলোর সম্পূর্ণ ব্যয় সরকারের নিজস্ব তহবিল থেকে সংস্থান করা হবে।
২ ঘণ্টা আগে
এক বছরের ব্যবধানে (অক্টোবর থেকে অক্টোবর) দেশের ব্যাংকগুলোর স্বল্পকালীন (কলমানি) ঋণ বিপুল হারে বেড়েছে। চলতি বছরের অক্টোবর পর্যন্ত কলমানি ঋণ প্রায় দ্বিগুণ বা ৬৩ হাজার ২৪৮ কোটি টাকা বেড়েছে। এর মধ্যে এক দিনের জন্য ওভারনাইট ধার বেড়েছে ৪৯ হাজার ৯৩২ কোটি টাকা আর আন্তব্যাংক রেপোতে ধার বেড়েছে ৫৮ হাজার ৭৫৩
১৮ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

এক বছরের ব্যবধানে (অক্টোবর থেকে অক্টোবর) দেশের ব্যাংকগুলোর স্বল্পকালীন (কলমানি) ঋণ বিপুল হারে বেড়েছে। চলতি বছরের অক্টোবর পর্যন্ত কলমানি ঋণ প্রায় দ্বিগুণ বা ৬৩ হাজার ২৪৮ কোটি টাকা বেড়েছে। এর মধ্যে এক দিনের জন্য ওভারনাইট ধার বেড়েছে ৪৯ হাজার ৯৩২ কোটি টাকা আর আন্তব্যাংক রেপোতে ধার বেড়েছে ৫৮ হাজার ৭৫৩ কোটি টাকা। গতকাল রোববার বাংলাদেশ ব্যাংক প্রকাশিত হালনাগাদ প্রতিবেদনে এ তথ্য জানা গেছে।
প্রতিবেদন অনুযায়ী, চলতি ২০২৫-২৬ অর্থবছরের অক্টোবর মাসে কলমানিতে এক দিন থেকে এক বছরের কম সময়ের জন্য ব্যাংকগুলো ধার করেছে ১ লাখ ৪৩ হাজার ২৭১ কোটি টাকা; যা গত অর্থবছরের একই সময়ে ছিল ৮০ হাজার ২৩ কোটি টাকা। সে হিসাবে এক বছরের ব্যবধানে কলমানিতে ধার বেড়েছে ৬৩ হাজার ২৪৮ কোটি টাকা। এর মধ্যে এক দিনের জন্য ওভারনাইটে ধার ছিল ১ লাখ ২১ হাজার ৯৮৮ কোটি টাকা, যা তার আগের বছরের অক্টোবরে ছিল ৭২ হাজার ৫৬ কোটি টাকা। সে হিসাবে ওভারনাইট ধার বেড়েছে ৪৯ হাজার ৯৩২ কোটি টাকা।
মিউচুয়াল ট্রাস্ট ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও সিইও সৈয়দ মাহবুবুর রহমান বলেন, পলিসি রেট (নীতি সুদহার) বাড়ার প্রভাব কলমানি মার্কেটে পড়েছে। এখন ঋণের খরচ বেড়েছে। অনেক ব্যাংক নগদ টাকার চাপ সামলাতে চড়া সুদে ঋণ করে ব্যাংকিং কার্যক্রম স্বাভাবিক রাখার চেষ্টা করেছে। ফলে বিনিয়োগে নেতিবাচক প্রভাব পড়েছে।
কেন্দ্রীয় ব্যাংকের তথ্য বলছে, চলতি অক্টোবরে ২ থেকে ১৪ দিনের জন্য শর্ট নোটিশে ধারের পরিমাণ ছিল ১৯ হাজার ৪৬৩ কোটি টাকা, যা গত অর্থবছরের একই সময়ে ছিল ৬ হাজার ৫৪১ কোটি টাকা। সে হিসাবে এক বছরের ব্যবধানে বেড়েছে ১২ হাজার ৯২২ কোটি টাকা। একইভাবে ১৫ দিন থেকে এক বছরের কম সময়ের জন্য টার্ম কল ঋণ গত অক্টোবরে ছিল ১ হাজার ৮২০ কোটি টাকা, যা ২০২৪ সালের অক্টোবরে ছিল ১ হাজার ৪২৬ কোটি টাকা। সে হিসাবে এক বছরের ব্যবধানে ঋণ বেড়েছে ৩৯৪ কোটি টাকা।
এ বিষয়ে বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক প্রধান অর্থনীতিবিদ মুস্তফা কে মুজেরি বলেন, বর্তমানে ব্যাংক খাতে নগদ টাকার ব্যবস্থাপনায় বড় ধরনের সংকট রয়েছে। ডলারের দাম বাড়ায় ব্যাংকে তারল্যসংকট দেখা দিয়েছে। তারল্যসংকটের মোকাবিলা করতে এক ব্যাংক অন্য ব্যাংক থেকে চড়া সুদেও টাকা ধার নিচ্ছে। কারণ বাজারে খুব বেশি তারল্য নেই। এর মধ্যে বাংলাদেশ ব্যাংকও রেপোর নিলাম কমিয়ে দিয়েছে। ফলে বাংলাদেশ ব্যাংক থেকে ব্যাংকগুলো খুব বেশি টাকা ধার করতে পারছে। সব মিলিয়ে কলমানি বাজারে চড়া সুদে যেসব ব্যাংক টাকা ধার নিয়েছে তারা ধার পরিশোধে হিমশিম খাচ্ছে। কিন্তু কার্যক্রম স্বাভাবিক রাখতে কলমানিতে সুদহার বেশি হলেও নিরুপায় হয়ে কলমানিতে লেনদেন করে অস্বস্তিতে পড়েছে ব্যাংকগুলো।
কেন্দ্রীয় ব্যাংকের তথ্য বলছে, গত অক্টোবরে কলমানির মধ্যে ওভারনাইটের গড় সুদহার (ডব্লিইএআর) ছিল ৯ দশমিক ৮১ শতাংশ, শর্ট নোটিশের গড় সুদহার ছিল ১০ দশমিক ১৩ শতাংশ এবং টার্ম কলে সুদহার ছিল ১০ দশমিক ৭০ শতাংশ। আর আন্তব্যাংক রেপোতে সুদের গড় হার ছিল ৯ দশমিক ৮৮ শতাংশ। আর চলতি ২০২৫-২৬ অর্থবছরের অক্টোবর মাসে আন্তব্যাংক লেনদেনের পরিমাণ ছিল ৭১ হাজার ৭৮৫ কোটি টাকা, যা আগের অর্থবছরের একই সময়ে ছিল ১৩ হাজার ৩২ কোটি টাকা। সে হিসাবে আন্তব্যাংক লেনদেন বেড়েছে ৫৮ হাজার ৭৫৩ কোটি টাকা।
এ বিষয়ে নাম প্রকাশ না করার শর্তে একটি দুর্বল ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক বলেন, এখন কিছু ব্যাংকের কাছে অতিরিক্ত তারল্য রয়েছে। তবে অন্য ব্যাংকগুলো দৈনন্দিন চাহিদা মেটাতে হিমশিম খাচ্ছে, তারাই ধার নিচ্ছে। এখন যেসব ব্যাংকের ধার প্রয়োজন, তাদের বেশির ভাগেরই পর্যাপ্ত জামানত নেই। তারা কলমানির ধারের টাকায় ঘুরে দাঁড়ানোর চেষ্টা করছে।
এ বিষয়ে বাংলাদেশ ব্যাংকের মুখপাত্র ও নির্বাহী পরিচালক আরিফ হোসেন খান বলেন, ডলারের দর বেড়েছে, এতে টাকার মূল্য হ্রাস পেয়েছে। যে কারণে কিছু ব্যাংক তারল্যসংকটে পড়েছে। দুর্বল ব্যাংকগুলো তারল্যসুবিধা নিচ্ছে, স্বাভাবিক চাহিদা পূরণ করতে কলমানিতে ধার করছে। চাহিদা বাড়লে ধার বাড়ে, আবার চাহিদা কমলে ধার কমে।

এক বছরের ব্যবধানে (অক্টোবর থেকে অক্টোবর) দেশের ব্যাংকগুলোর স্বল্পকালীন (কলমানি) ঋণ বিপুল হারে বেড়েছে। চলতি বছরের অক্টোবর পর্যন্ত কলমানি ঋণ প্রায় দ্বিগুণ বা ৬৩ হাজার ২৪৮ কোটি টাকা বেড়েছে। এর মধ্যে এক দিনের জন্য ওভারনাইট ধার বেড়েছে ৪৯ হাজার ৯৩২ কোটি টাকা আর আন্তব্যাংক রেপোতে ধার বেড়েছে ৫৮ হাজার ৭৫৩ কোটি টাকা। গতকাল রোববার বাংলাদেশ ব্যাংক প্রকাশিত হালনাগাদ প্রতিবেদনে এ তথ্য জানা গেছে।
প্রতিবেদন অনুযায়ী, চলতি ২০২৫-২৬ অর্থবছরের অক্টোবর মাসে কলমানিতে এক দিন থেকে এক বছরের কম সময়ের জন্য ব্যাংকগুলো ধার করেছে ১ লাখ ৪৩ হাজার ২৭১ কোটি টাকা; যা গত অর্থবছরের একই সময়ে ছিল ৮০ হাজার ২৩ কোটি টাকা। সে হিসাবে এক বছরের ব্যবধানে কলমানিতে ধার বেড়েছে ৬৩ হাজার ২৪৮ কোটি টাকা। এর মধ্যে এক দিনের জন্য ওভারনাইটে ধার ছিল ১ লাখ ২১ হাজার ৯৮৮ কোটি টাকা, যা তার আগের বছরের অক্টোবরে ছিল ৭২ হাজার ৫৬ কোটি টাকা। সে হিসাবে ওভারনাইট ধার বেড়েছে ৪৯ হাজার ৯৩২ কোটি টাকা।
মিউচুয়াল ট্রাস্ট ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও সিইও সৈয়দ মাহবুবুর রহমান বলেন, পলিসি রেট (নীতি সুদহার) বাড়ার প্রভাব কলমানি মার্কেটে পড়েছে। এখন ঋণের খরচ বেড়েছে। অনেক ব্যাংক নগদ টাকার চাপ সামলাতে চড়া সুদে ঋণ করে ব্যাংকিং কার্যক্রম স্বাভাবিক রাখার চেষ্টা করেছে। ফলে বিনিয়োগে নেতিবাচক প্রভাব পড়েছে।
কেন্দ্রীয় ব্যাংকের তথ্য বলছে, চলতি অক্টোবরে ২ থেকে ১৪ দিনের জন্য শর্ট নোটিশে ধারের পরিমাণ ছিল ১৯ হাজার ৪৬৩ কোটি টাকা, যা গত অর্থবছরের একই সময়ে ছিল ৬ হাজার ৫৪১ কোটি টাকা। সে হিসাবে এক বছরের ব্যবধানে বেড়েছে ১২ হাজার ৯২২ কোটি টাকা। একইভাবে ১৫ দিন থেকে এক বছরের কম সময়ের জন্য টার্ম কল ঋণ গত অক্টোবরে ছিল ১ হাজার ৮২০ কোটি টাকা, যা ২০২৪ সালের অক্টোবরে ছিল ১ হাজার ৪২৬ কোটি টাকা। সে হিসাবে এক বছরের ব্যবধানে ঋণ বেড়েছে ৩৯৪ কোটি টাকা।
এ বিষয়ে বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক প্রধান অর্থনীতিবিদ মুস্তফা কে মুজেরি বলেন, বর্তমানে ব্যাংক খাতে নগদ টাকার ব্যবস্থাপনায় বড় ধরনের সংকট রয়েছে। ডলারের দাম বাড়ায় ব্যাংকে তারল্যসংকট দেখা দিয়েছে। তারল্যসংকটের মোকাবিলা করতে এক ব্যাংক অন্য ব্যাংক থেকে চড়া সুদেও টাকা ধার নিচ্ছে। কারণ বাজারে খুব বেশি তারল্য নেই। এর মধ্যে বাংলাদেশ ব্যাংকও রেপোর নিলাম কমিয়ে দিয়েছে। ফলে বাংলাদেশ ব্যাংক থেকে ব্যাংকগুলো খুব বেশি টাকা ধার করতে পারছে। সব মিলিয়ে কলমানি বাজারে চড়া সুদে যেসব ব্যাংক টাকা ধার নিয়েছে তারা ধার পরিশোধে হিমশিম খাচ্ছে। কিন্তু কার্যক্রম স্বাভাবিক রাখতে কলমানিতে সুদহার বেশি হলেও নিরুপায় হয়ে কলমানিতে লেনদেন করে অস্বস্তিতে পড়েছে ব্যাংকগুলো।
কেন্দ্রীয় ব্যাংকের তথ্য বলছে, গত অক্টোবরে কলমানির মধ্যে ওভারনাইটের গড় সুদহার (ডব্লিইএআর) ছিল ৯ দশমিক ৮১ শতাংশ, শর্ট নোটিশের গড় সুদহার ছিল ১০ দশমিক ১৩ শতাংশ এবং টার্ম কলে সুদহার ছিল ১০ দশমিক ৭০ শতাংশ। আর আন্তব্যাংক রেপোতে সুদের গড় হার ছিল ৯ দশমিক ৮৮ শতাংশ। আর চলতি ২০২৫-২৬ অর্থবছরের অক্টোবর মাসে আন্তব্যাংক লেনদেনের পরিমাণ ছিল ৭১ হাজার ৭৮৫ কোটি টাকা, যা আগের অর্থবছরের একই সময়ে ছিল ১৩ হাজার ৩২ কোটি টাকা। সে হিসাবে আন্তব্যাংক লেনদেন বেড়েছে ৫৮ হাজার ৭৫৩ কোটি টাকা।
এ বিষয়ে নাম প্রকাশ না করার শর্তে একটি দুর্বল ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক বলেন, এখন কিছু ব্যাংকের কাছে অতিরিক্ত তারল্য রয়েছে। তবে অন্য ব্যাংকগুলো দৈনন্দিন চাহিদা মেটাতে হিমশিম খাচ্ছে, তারাই ধার নিচ্ছে। এখন যেসব ব্যাংকের ধার প্রয়োজন, তাদের বেশির ভাগেরই পর্যাপ্ত জামানত নেই। তারা কলমানির ধারের টাকায় ঘুরে দাঁড়ানোর চেষ্টা করছে।
এ বিষয়ে বাংলাদেশ ব্যাংকের মুখপাত্র ও নির্বাহী পরিচালক আরিফ হোসেন খান বলেন, ডলারের দর বেড়েছে, এতে টাকার মূল্য হ্রাস পেয়েছে। যে কারণে কিছু ব্যাংক তারল্যসংকটে পড়েছে। দুর্বল ব্যাংকগুলো তারল্যসুবিধা নিচ্ছে, স্বাভাবিক চাহিদা পূরণ করতে কলমানিতে ধার করছে। চাহিদা বাড়লে ধার বাড়ে, আবার চাহিদা কমলে ধার কমে।

জাতিসংঘের একজন শীর্ষ কর্মকর্তা ২০২২ সালে বলেছিলেন, ৫০টি দরিদ্র দেশ দেউলিয়া হওয়ার ঝুঁকিতে রয়েছে। দেউলিয়া হওয়ার কারণগুলোর মধ্যে রয়েছে উচ্চ মূল্যস্ফীতি, জ্বালানি সংকট এবং ক্রমবর্ধমান ঋণের বোঝা। ইউএনডিপি প্রধান আচিম স্টেইনারের বিবৃতি আজও প্রাসঙ্গিক, কারণ বেশ কয়েকটি দেশ দেউলিয়া হয়ে গেছে, আবার অনেকেই দেউল
০৫ অক্টোবর ২০২৪
দেশের সবগুলো ক্যাডেট কলেজে ভর্তি আবেদন ফি সহজেই দেওয়া যাচ্ছে ডাক বিভাগের মোবাইল আর্থিক সেবা ‘নগদ’-এর মাধ্যমে। বরাবরের মতো এবারও এ ক্ষেত্রে কোনো বাড়তি খরচ প্রয়োজন হবে না।
১২ মিনিট আগে
জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটি (একনেক) ৭ হাজার ১৫০ কোটি ২১ লাখ টাকা ব্যয়ে ১২টি প্রকল্প অনুমোদন করেছে। অনুমোদিত প্রকল্পগুলোর সম্পূর্ণ ব্যয় সরকারের নিজস্ব তহবিল থেকে সংস্থান করা হবে।
২ ঘণ্টা আগে
ব্যবসায়ীদের দীর্ঘদিনের দাবির পর অনলাইনে মূল্য সংযোজন কর (মূসক) ফেরত বা ভ্যাট রিফান্ড প্রক্রিয়া চালু করেছে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর)। গতকাল রোববার (৯ নভেম্বর) এক প্রজ্ঞাপনের মাধ্যমে এ তথ্য জানিয়েছে সংস্থাটি।
৪ ঘণ্টা আগে