Ajker Patrika

রিজার্ভ সবচেয়ে বেশি যেসব দেশের

রিজার্ভ সবচেয়ে বেশি যেসব দেশের

করোনা মহামারি, জলবায়ু দুর্যোগ এবং রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের কারণে কয়েক বছর ধরে পণ্য সরবরাহব্যবস্থায় ধসসহ নানা সংকটের মধ্য দিয়ে যাচ্ছে পুরো পৃথিবী। এসব সংকটে অর্থনীতিকে সচল রাখতে স্বল্পোন্নত দেশগুলো তাদের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ বা মজুতের ওপর নির্ভর করে।

যেসব দেশে মুদ্রা ও স্বর্ণের মজুত বেশি, সংকটের সময় ঝুঁকি মোকাবিলার জন্য সেসব দেশের অনেক ব্যবস্থা নেওয়ার সুযোগ থাকে। এ তালিকায় রয়েছে চীন, জাপান, সুইজারল্যান্ড ও যুক্তরাষ্ট্রের মতো আর্থিকভাবে সচ্ছল দেশগুলো। বিশ্বব্যাংক ও আইএমএফের হিসাব অনুযায়ী সবচেয়ে বেশি ও সবচেয়ে কম মজুতের তালিকায় দেশগুলোর তালিকা তুলে ধরা হলো।

সবচেয়ে বেশি মজুত যেসব দেশের
এই মুহূর্তে সবচেয়ে বেশি মুদ্রা ও স্বর্ণের মজুত রয়েছে চীনের। দেশটিতে এখন ৩ লাখ ৪৩ হাজার কোটি ডলার মূল্যের সম্পদ রয়েছে। ১ লাখ ৪১ হাজার কোটি ডলার নিয়ে তালিকায় দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে জাপান। ১ লাখ ১১ হাজার কোটি ডলার নিয়ে তৃতীয় স্থানে রয়েছে সুইজারল্যান্ড। ৭২ হাজার কোটি ডলার নিয়ে চতুর্থ স্থানে রয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। ৬৪ হাজার কোটি ডলার নিয়ে পঞ্চম স্থানে রয়েছে দক্ষিণ এশিয়ার দেশ ভারত। এই তালিকায় আরও যেসব দেশ রয়েছে, সেগুলো হলো—রাশিয়া, হংকং, সৌদি আরব, দক্ষিণ কোরিয়া, সিঙ্গাপুর, ব্রাজিল ও জার্মানি।

সবচেয়ে কম মজুত যেসব দেশের
বিশ্বব্যাংক ও আইএমএফের হিসাব অনুযায়ী, এ মুহূর্তে সবচেয়ে কম মুদ্রা ও স্বর্ণের মজুত রয়েছে ক্যারিবিয়ান দ্বীপপুঞ্জের দেশ ডোমিনিকার। দেশটিতে এখন মাত্র ১৯ কোটি ৮ হাজার ডলার মূল্যের সম্পদ রয়েছে। ২৬ কোটি ৬ লাখ ২ হাজার ডলার নিয়ে তালিকায় দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে বুরুন্ডি। ২৯ কোটি ৪ লাখ ৭ হাজার কোটি ডলার নিয়ে তৃতীয় স্থানে রয়েছে সামোয়া। ৩১ কোটি ১ লাখ ৯ হাজার ডলার নিয়ে চতুর্থ স্থানে রয়েছে সেন্ট ভিনসেন্ট ও গ্রেনাডাইন দ্বীপপুঞ্জ। ৩২ কোটি ৯ লাখ ৭ হাজার ডলার নিয়ে পঞ্চম স্থানে রয়েছে পূর্ব আফ্রিকার দেশ কমোরোস। এ তালিকায় আরও যেসব দেশ রয়েছে, সেগুলো হলো—সেন্ট কিটস ও নেভিস, গ্রেনেডা, টঙ্গা, অ্যান্টিগুয়া-বার্বুডা, বেলিজ, সেইন্ট লুসিয়া ও মাইক্রোনেশিয়া।

২০২০ সালে করোনার প্রকোপ শুরু হওয়ার পর অর্থনৈতিক সংকট মোকাবিলা করতে বেলিজ থেকে জাম্বিয়া পর্যন্ত অনেক দেশের সরকারকে হাত দিতে হয়েছে বৈদেশিক মুদ্রা ও স্বর্ণের মজুতে। বৈদেশিক মুদ্রার মজুতের প্রায় অর্ধেক খরচ করতে হয়েছিল তুরস্কের মতো দেশকেও।

যেসব দেশ ভয়াবহ পরিস্থিতিতে নেই তারাও কোনো না কোনো সংকটে পড়তে পারে। যেমন—বলিভিয়া। দেশটির মাত্র তিন মাসের আমদানিমূল্য পরিশোধের ক্ষমতা রয়েছে। এমন পরিস্থিতি মোকাবিলা করতে দেশটির কেন্দ্রীয় ব্যাংক সাধারণ মানুষের কাছে মার্কিন ডলার বিক্রির সিদ্ধান্ত নেয়। এতে মুদ্রার চাহিদা ও বিনিময় হার বাড়ার সম্ভাবনা থাকে।

সম্প্রতি পাকিস্তানে করোনা মহামারি, ক্রমবর্ধমান মুদ্রাস্ফীতি এবং দুর্বল রুপির কারণে আট বছরের মধ্যে বৈদেশিক মুদ্রার মজুত সবচেয়ে নিচে নেমে আসে। গত বছর ভয়াবহ বন্যার কারণে পাকিস্তানে ৩০ হাজার কোটি ডলারের বেশি ক্ষতি হয়। এর আগে শ্রীলঙ্কা ও লেবাননও চরম অর্থনৈতিক বিপর্যয়ে পড়ে। তাদের অস্থিতিশীল পরিস্থিতির মধ্যে পড়ার পেছনে ইউক্রেন-রাশিয়া যুদ্ধেরও প্রভাব রয়েছে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত