নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
হালকা প্রকৌশল খাতের মোট বৈশ্বিক বাজার ৭ ট্রিলিয়ন ডলারের বেশি। তবে সেখানে বাংলাদেশের অংশ মাত্র ৭৯৫ মিলিয়ন ডলার (৭৯.৫ কোটি)। সরকারের সহযাগিতা পেলে এই বাজারকে ১০০ বিলিয়ন ডলারে নেওয়া সম্ভব বলে মনে করছেন শিল্প খাতসংশ্লিষ্টরা। হালকা প্রকৌশল খাতের উন্নয়ন ও বাজার সম্প্রসারণকে সামনে রেখে হালকা প্রকৌশল (লাইট ইঞ্জিনিয়ারিং) খাতের পণ্য ও প্রযুক্তি খাতের প্রদর্শনীর আয়োজন করেছেন উদ্যোক্তারা।
এ খাতের উদ্যোক্তা, ক্রেতা ও নীতিনির্ধারকদের জন্য নেটওয়ার্কিং, পণ্যের পরিচিতি, স্থানীয় ও রপ্তানি বাজারসংক্রান্ত তথ্য বিনিময়ের সুযোগ রেখে ঢাকায় অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে দুই দিনব্যাপী বাংলাদেশ লাইট ইঞ্জিনিয়ারিং এক্সপো-২০২৫। আগামী ২৯ ও ৩০ মে রাজধানীর শহীদ আবু সাঈদ আন্তর্জাতিক কনভেনশন সেন্টারে এই প্রদর্শনী হবে। গতকাল মঙ্গলবার রাজধানীর ইকোনমিক রিপোর্টার্স ফোরাম (ইআরএফ) মিলনায়তে এই উপলক্ষে একটি সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করে বাংলাদেশ ইঞ্জিনিয়ারিং শিল্প মালিক সমিতি (বাইশিমাস)।
সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, প্রদর্শনীতে বিভিন্ন সাবসেক্টরের প্রতিষ্ঠান অংশগ্রহণ করছে—যেমন মেটাল কাস্টিং, স্পেয়ার পার্টস, কৃষি যন্ত্রপাতি, অটো যন্ত্রাংশ, ডাই ও মোল্ড এবং বৈদ্যুতিক যন্ত্রপাতি। এটি শুধু একটি প্রদর্শনী নয়, বরং একটি সোর্সিং প্ল্যাটফর্ম, যেখানে দেশীয় শিল্পপতিরা নিজেদের সক্ষমতা তুলে ধরার পাশাপাশি রপ্তানির নতুন বাজার খুঁজে পাবে।
বাইশিমাস ও বাণিজ্য মন্ত্রণালয় এক্সপোর্ট কম্পিটিটিভনেস ফর জবস প্রকল্পের (ইসিফোরজে) যৌথ উদ্যোগে প্রদর্শনীটি অনুষ্ঠিত হবে। দেশের লাইট ইঞ্জিনিয়ারিং শিল্পের প্রতিষ্ঠানগুলো তাদের সর্বশেষ প্রযুক্তি, যন্ত্রাংশ ও উদ্ভাবনী পণ্য নিয়ে এই এক্সপোতে অংশ নেবে। এতে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের ৪৪টি স্টল থাকবে।
সংবাদ সম্মেলনে শিল্প খাতের উদ্যোক্তারা জানান, লাইট ইঞ্জিনিয়ারিং খাত বাংলাদেশের জন্য একটি সম্ভাবনাময় ও কৌশলগত শিল্প খাত। এই খাত শুধু শিল্প খাতের ব্যাকওয়ার্ড লিংকেজ সরবরাহ করছে না, বরং দেশের কৃষি, বিদ্যুৎ, টেক্সটাইল, নির্মাণ ও গৃহস্থালি যন্ত্রপাতির ক্ষেত্রেও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে। বর্তমানে দেশে প্রায় ৫০ হাজারেরও বেশি ছোট-বড় লাইট ইঞ্জিনিয়ারিং প্রতিষ্ঠান রয়েছে। এতে সরাসরি তিন লক্ষাধিক ও পরোক্ষভাবে ৩০ লক্ষাধিক মানুষের কর্মসংস্থান হয়েছে। এই খাতের অবদান দেশের জিডিপিতে প্রায় ৩ শতাংশ।
তাঁরা বলেন, লাইট ইঞ্জিনিয়ারিং পণ্যের বৈশ্বিক বাজার ৭ ট্রিলিয়ন ডলারের বেশি। কিন্তু বাংলাদেশ মাত্র ৭৯৫ মিলিয়ন ডলারের রপ্তানি করতে পারে। অথচ এই সেক্টরের প্রযুক্তি, অবকাঠামোগত উন্নয়ন ও বড় বিনিয়োগের মাধ্যমে রপ্তানি ১০০ বিলিয়নে নিয়ে যাওয়া সম্ভব।
এই খাতের উন্নয়নে কমপ্লায়েন্স শিল্প এলাকা গঠন, পণ্য বহুমুখীকরণ ও প্রযুক্তি হস্তান্তর, কাঁচামাল আমদানিতে শুল্ক হ্রাস, প্রযুক্তিগত উৎকর্ষ, পেটেন্ট ও ডিজাইন সুরক্ষা, নারী, যুব শ্রমিকদের দক্ষতা উন্নয়ন ও রপ্তানিতে নগদ সহায়তার দাবি করেন উদ্যোক্তারা।
বাইশিমাস সভাপতি মো. আব্দুর রাজ্জাক বলেন, হালকা প্রকৌশল খাতটি দেশীয় শিল্প খাতের ৫০ শতাংশ যন্ত্রাংশের চাহিদা পূরণ করে থাকে। এটি রপ্তানি বহুমুখীকরণ, আমদানি বিকল্প পণ্য উৎপাদন ও কর্মসংস্থান বৃদ্ধির অন্যতম সম্ভাবনাময় খাত।
ইসিফোরজের উপপ্রকল্প পরিচালক আব্দুর রহমান বলেন, ‘মার্কেট লিংকেজ, উদ্যোক্তাদের রপ্তানি সক্ষমতা বাড়ানোর জন্য কাজ করছি। মেলাটি সাধারণত মার্কেট লিংকেজের জন্য গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে।’
অনুষ্ঠানে অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন এক্সপোর্ট কম্পিটিটিভনেস ফর জবস প্রকল্পের পরিচালক আমিনুল ইসলাম, বাইশিমাসের ঊর্ধ্বতন সহসভাপতি মো. আব্দুর রশিদসহ অনেকে।
হালকা প্রকৌশল খাতের মোট বৈশ্বিক বাজার ৭ ট্রিলিয়ন ডলারের বেশি। তবে সেখানে বাংলাদেশের অংশ মাত্র ৭৯৫ মিলিয়ন ডলার (৭৯.৫ কোটি)। সরকারের সহযাগিতা পেলে এই বাজারকে ১০০ বিলিয়ন ডলারে নেওয়া সম্ভব বলে মনে করছেন শিল্প খাতসংশ্লিষ্টরা। হালকা প্রকৌশল খাতের উন্নয়ন ও বাজার সম্প্রসারণকে সামনে রেখে হালকা প্রকৌশল (লাইট ইঞ্জিনিয়ারিং) খাতের পণ্য ও প্রযুক্তি খাতের প্রদর্শনীর আয়োজন করেছেন উদ্যোক্তারা।
এ খাতের উদ্যোক্তা, ক্রেতা ও নীতিনির্ধারকদের জন্য নেটওয়ার্কিং, পণ্যের পরিচিতি, স্থানীয় ও রপ্তানি বাজারসংক্রান্ত তথ্য বিনিময়ের সুযোগ রেখে ঢাকায় অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে দুই দিনব্যাপী বাংলাদেশ লাইট ইঞ্জিনিয়ারিং এক্সপো-২০২৫। আগামী ২৯ ও ৩০ মে রাজধানীর শহীদ আবু সাঈদ আন্তর্জাতিক কনভেনশন সেন্টারে এই প্রদর্শনী হবে। গতকাল মঙ্গলবার রাজধানীর ইকোনমিক রিপোর্টার্স ফোরাম (ইআরএফ) মিলনায়তে এই উপলক্ষে একটি সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করে বাংলাদেশ ইঞ্জিনিয়ারিং শিল্প মালিক সমিতি (বাইশিমাস)।
সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, প্রদর্শনীতে বিভিন্ন সাবসেক্টরের প্রতিষ্ঠান অংশগ্রহণ করছে—যেমন মেটাল কাস্টিং, স্পেয়ার পার্টস, কৃষি যন্ত্রপাতি, অটো যন্ত্রাংশ, ডাই ও মোল্ড এবং বৈদ্যুতিক যন্ত্রপাতি। এটি শুধু একটি প্রদর্শনী নয়, বরং একটি সোর্সিং প্ল্যাটফর্ম, যেখানে দেশীয় শিল্পপতিরা নিজেদের সক্ষমতা তুলে ধরার পাশাপাশি রপ্তানির নতুন বাজার খুঁজে পাবে।
বাইশিমাস ও বাণিজ্য মন্ত্রণালয় এক্সপোর্ট কম্পিটিটিভনেস ফর জবস প্রকল্পের (ইসিফোরজে) যৌথ উদ্যোগে প্রদর্শনীটি অনুষ্ঠিত হবে। দেশের লাইট ইঞ্জিনিয়ারিং শিল্পের প্রতিষ্ঠানগুলো তাদের সর্বশেষ প্রযুক্তি, যন্ত্রাংশ ও উদ্ভাবনী পণ্য নিয়ে এই এক্সপোতে অংশ নেবে। এতে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের ৪৪টি স্টল থাকবে।
সংবাদ সম্মেলনে শিল্প খাতের উদ্যোক্তারা জানান, লাইট ইঞ্জিনিয়ারিং খাত বাংলাদেশের জন্য একটি সম্ভাবনাময় ও কৌশলগত শিল্প খাত। এই খাত শুধু শিল্প খাতের ব্যাকওয়ার্ড লিংকেজ সরবরাহ করছে না, বরং দেশের কৃষি, বিদ্যুৎ, টেক্সটাইল, নির্মাণ ও গৃহস্থালি যন্ত্রপাতির ক্ষেত্রেও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে। বর্তমানে দেশে প্রায় ৫০ হাজারেরও বেশি ছোট-বড় লাইট ইঞ্জিনিয়ারিং প্রতিষ্ঠান রয়েছে। এতে সরাসরি তিন লক্ষাধিক ও পরোক্ষভাবে ৩০ লক্ষাধিক মানুষের কর্মসংস্থান হয়েছে। এই খাতের অবদান দেশের জিডিপিতে প্রায় ৩ শতাংশ।
তাঁরা বলেন, লাইট ইঞ্জিনিয়ারিং পণ্যের বৈশ্বিক বাজার ৭ ট্রিলিয়ন ডলারের বেশি। কিন্তু বাংলাদেশ মাত্র ৭৯৫ মিলিয়ন ডলারের রপ্তানি করতে পারে। অথচ এই সেক্টরের প্রযুক্তি, অবকাঠামোগত উন্নয়ন ও বড় বিনিয়োগের মাধ্যমে রপ্তানি ১০০ বিলিয়নে নিয়ে যাওয়া সম্ভব।
এই খাতের উন্নয়নে কমপ্লায়েন্স শিল্প এলাকা গঠন, পণ্য বহুমুখীকরণ ও প্রযুক্তি হস্তান্তর, কাঁচামাল আমদানিতে শুল্ক হ্রাস, প্রযুক্তিগত উৎকর্ষ, পেটেন্ট ও ডিজাইন সুরক্ষা, নারী, যুব শ্রমিকদের দক্ষতা উন্নয়ন ও রপ্তানিতে নগদ সহায়তার দাবি করেন উদ্যোক্তারা।
বাইশিমাস সভাপতি মো. আব্দুর রাজ্জাক বলেন, হালকা প্রকৌশল খাতটি দেশীয় শিল্প খাতের ৫০ শতাংশ যন্ত্রাংশের চাহিদা পূরণ করে থাকে। এটি রপ্তানি বহুমুখীকরণ, আমদানি বিকল্প পণ্য উৎপাদন ও কর্মসংস্থান বৃদ্ধির অন্যতম সম্ভাবনাময় খাত।
ইসিফোরজের উপপ্রকল্প পরিচালক আব্দুর রহমান বলেন, ‘মার্কেট লিংকেজ, উদ্যোক্তাদের রপ্তানি সক্ষমতা বাড়ানোর জন্য কাজ করছি। মেলাটি সাধারণত মার্কেট লিংকেজের জন্য গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে।’
অনুষ্ঠানে অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন এক্সপোর্ট কম্পিটিটিভনেস ফর জবস প্রকল্পের পরিচালক আমিনুল ইসলাম, বাইশিমাসের ঊর্ধ্বতন সহসভাপতি মো. আব্দুর রশিদসহ অনেকে।
চট্টগ্রাম বন্দরের নিউমুরিং কনটেইনার টার্মিনাল (এনসিটি), লালদিয়া ও বে টার্মিনাল পরিচালনার জন্য বিদেশি অপারেটর নিয়োগের প্রক্রিয়া আগামী ৩১ ডিসেম্বরের মধ্যে সম্পন্ন করতে চায় চায় সরকার। এর মাধ্যমে ২০৩০ সালের মধ্যে চট্টগ্রাম বন্দরের সক্ষমতা চার গুণ বৃদ্ধি করার লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে।
২ ঘণ্টা আগেদেশের বড় রপ্তানিমুখী ব্যাগ ও লাগেজ প্রস্তুতকারক প্রতিষ্ঠান ছিল মোংলার ইপিজেডে থাকা ভারতীয় মালিকানাধীন ভিআইপি ইন্ডাস্ট্রিজ বাংলাদেশ প্রাইভেট লিমিটেড। ২০১৪ সাল থেকে এখানে তাদের বাণিজ্যিক উৎপাদন শুরু হয়েছিল এবং সবকিছুই স্বাভাবিকভাবে চলছিল। কিন্তু ২০২৩ সালের ৩১ জানুয়ারি ভিআইপির মোংলা কারখানায় অগ্নিকাণ্ড
৮ ঘণ্টা আগেকাস্টমসের নতুন শুল্কনীতির কারণে খরচ বেড়ে যাওয়ায় ভারত থেকে মাছ আমদানি বন্ধ রেখেছেন আমদানিকারকেরা। এতে ব্যবসায়ীরা ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার পাশাপাশি দুই দিনে সরকারের রাজস্ব ঘাটতি হয়েছে প্রায় ৩ কোটি টাকা। ভারত থেকে যেসব খাদ্যদ্রব্য আমদানি করা হয়, তার মধ্যে বড় একটি অংশ হচ্ছে হিমায়িত মিঠাপানির ও সামুদ্রিক মাছ।
৯ ঘণ্টা আগেচাকরি পুনর্বহালের দাবিতে আন্দোলনরত আল-আরাফাহ্ ইসলামী ব্যাংকের চাকরিচ্যুত কর্মকর্তাদের ওপর হামলার অভিযোগ উঠেছে। গতকাল রোববার সকালে জাতীয় প্রেসক্লাবে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে ভুক্তভোগীরা এ অভিযোগ এনে ঘটনার বিচার ও ব্যাংকের পরিচালনা পর্ষদ বাতিলের দাবি জানান। তাঁরা চেয়ারম্যান খাজা শাহরিয়ারের নিকটাত্মীয়
১০ ঘণ্টা আগে