নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
খেলাপিদের নির্বাচনে অংশগ্রহণের সুযোগ করে দেওয়াসহ কিছু গুরুতর অভিযোগের ভিত্তিতে মুন্সী মুহাম্মদ ওয়াকিদকে ক্রেডিট ইনফরমেশন ব্যুরোর (সিআইবি) পরিচালক পদ থেকে সরিয়ে দিয়েছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক।
মূলত ব্যাংকের খাতের অনিয়ম, লোপাটের সঙ্গে সংশ্লিষ্টতার মতো অনিয়মে কারণে তাঁকে ২৪ বছর পর সিআইবি থেকে বদলি করা হয়েছে। কিন্তু আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর তাঁর নামে অনিয়মের ফিরিস্তি প্রকাশ পায়। খোদ বাংলাদেশ ব্যাংকের কর্মকর্তারাও তাঁর বিরুদ্ধে গভর্নরকে অভিযোগ করেন। নানা অভিযোগ আমলে নিয়ে অবশেষে ওয়াকদিকে সিআবি থেকে বদলি করে পরিসংখ্যান বিভাগে বদলি করা হয়েছে। তাঁর বদলিতে সহকর্মীদের মধ্যে উৎসব মুখর পরিবেশ দেখা দিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংকে।
বাংলাদেশ ব্যাংকের অভ্যন্তরীণ আদেশ থেকে জানা গেছে, মুন্সী মুহাম্মদ ওয়াকিদকে ক্রেডিট ইনফরমেশন ব্যুরোর (সিআইবি) পরিচালক পদ থেকে সরে দিয়েছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। তাঁর স্থলে পরিচালক হিসেবে পরিসংখ্যান বিভাগের মো. শফিকুল ইসলামকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। আদেশনামায় স্বাক্ষর করেছেন বাংলাদেশ ব্যাংকের হিউম্যান রিসোর্সেস–১ বিভাগের পরিচালক মো. জবদুল ইসলাম।
এদিকে, সম্প্রতি সিআইবির পরিচালক মুন্সী মুহাম্মদ ওয়াকিদের বিরুদ্ধে আদালত অবমাননার রুল জারি করেছেন হাইকোর্ট। এতে কেন্দ্রীয় ব্যাংক কর্তৃপক্ষের উদাসীনতাও প্রশ্নের মুখে পড়েছে। এটি বিভিন্ন ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানের চেয়ারম্যান, ব্যবস্থাপনা পরিচালক, পরিচালক এবং নিয়োগের ক্লিয়ারেন্স দেয়। জাতীয় নির্বাচনের সংসদ সদস্য প্রার্থীদের নমিনেশনের ক্লিয়ারেন্সও এই বিভাগ থেকেই দেওয়া হয়। আর এমন একটি গুরুত্বপূর্ণ বিভাগে ২৪ বছর বিভিন্নপদে বহাল ছিলেন মুন্সী মুহাম্মদ ওয়াকিদ।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, দ্বাদশ জাতীয় নির্বাচনের আগে ২০২৩ সালের ১৭ সেপ্টেম্বর সিআইবিতে ঋণের তথ্য হালনাগাদের নিয়মে পরিবর্তন আনার নির্দেশ দেন তৎকালীন গভর্নর আব্দুর রউফ তালুকদার। মুন্সী মুহাম্মদ ওয়াকিদের পরামর্শে ও তৎকালীন গভর্নরের নির্দেশনা অনুযায়ী বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলো গ্রাহকের ঋণের তথ্য সরাসরি সিআইবির ড্যাশবোর্ডে আপলোড করার ক্ষমতা পায়। সেই সুযোগে আওয়ামী লীগ সরকারের মদদপুষ্ট প্রায় ৬০০ প্রার্থীর জন্য বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলোকে চাপ দিয়ে সিআইবি রিপোর্টে পরিবর্তন করে খেলাপি ঋণকে নিয়মিত দেখিয়েছেন। এমনকি প্রকৃত ঋণখেলাপি হয়েও সিআইবির রিপোর্ট পরিবর্তন করে নির্বাচনে অংশ নিয়েছেন অনেকে।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, ২০০১ থেকে ২০১৪ সাল পর্যন্ত ১৩ বছর চাকরি করার পর যুগ্ম–পরিচালক থাকা অবস্থায় ২০১৪ সালের ২ অক্টোবর সিআইবি থেকে পরিসংখ্যান বিভাগে বদলি করা হয়। কিন্তু মাত্র তিন মাসের মাথায়, ২০১৫ সালের ৬ জানুয়ারি তিনি সিআইবিতে ফিরে আসেন। ২০১৭ সালের ২৯ আগস্ট উপমহাব্যবস্থাপক (বর্তমানে অতিরিক্ত পরিচালক) পদে পদোন্নতি পাওয়ার পরও তিনি সিআইবিতেই থাকেন। পরে ২০২৩ সালের ৩০ এপ্রিল পরিচালক পদে পদোন্নতি পান। পদোন্নতির পর তাঁকে পরিসংখ্যান বিভাগে পাঠানো হলেও, ছয় মাস যেতে না যেতেই, ২০২৩ সালের ১৭ অক্টোবর তিনি আবার সিআইবিতে ফেরেন।
কেন্দ্রীয় ব্যাংকের একাধিক কর্মকর্তা জানান, ২০২৪ সালের প্রশ্নবিদ্ধ নির্বাচনের ঠিক এক মাস আগেই বিশেষ অ্যাসাইনমেন্ট দিয়ে গভর্নর আব্দুর রউফ তালুকদারের নির্দেশে মুন্সী ওয়াকিদকে সিআইবিতে পুনরায় পোস্টিং দেওয়া হয়। তাঁর বিরুদ্ধে গুরুতর অভিযোগ হলো—তিনি ঋণ খেলাপিদের সিআইবি রিপোর্ট সংশোধন করে তাঁদের খেলাপি মুক্ত দেখাতেন। এর মাধ্যমে ২০২৪ সালের নির্বাচনে অধিক সংখ্যক প্রার্থীর অংশগ্রহণ নিশ্চিত করা হয়েছে। সিআইবিতে গত ২৪ বছর বহাল ছিলেন আওয়ামী লীগ সরকারের অনিয়মের সহযোগী মুন্সী মুহাম্মদ ওয়াকিদ। অবশেষ তাঁর বদলিতে বাংলাদেশ ব্যাংকের সবাই খুশি।
খেলাপিদের নির্বাচনে অংশগ্রহণের সুযোগ করে দেওয়াসহ কিছু গুরুতর অভিযোগের ভিত্তিতে মুন্সী মুহাম্মদ ওয়াকিদকে ক্রেডিট ইনফরমেশন ব্যুরোর (সিআইবি) পরিচালক পদ থেকে সরিয়ে দিয়েছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক।
মূলত ব্যাংকের খাতের অনিয়ম, লোপাটের সঙ্গে সংশ্লিষ্টতার মতো অনিয়মে কারণে তাঁকে ২৪ বছর পর সিআইবি থেকে বদলি করা হয়েছে। কিন্তু আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর তাঁর নামে অনিয়মের ফিরিস্তি প্রকাশ পায়। খোদ বাংলাদেশ ব্যাংকের কর্মকর্তারাও তাঁর বিরুদ্ধে গভর্নরকে অভিযোগ করেন। নানা অভিযোগ আমলে নিয়ে অবশেষে ওয়াকদিকে সিআবি থেকে বদলি করে পরিসংখ্যান বিভাগে বদলি করা হয়েছে। তাঁর বদলিতে সহকর্মীদের মধ্যে উৎসব মুখর পরিবেশ দেখা দিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংকে।
বাংলাদেশ ব্যাংকের অভ্যন্তরীণ আদেশ থেকে জানা গেছে, মুন্সী মুহাম্মদ ওয়াকিদকে ক্রেডিট ইনফরমেশন ব্যুরোর (সিআইবি) পরিচালক পদ থেকে সরে দিয়েছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। তাঁর স্থলে পরিচালক হিসেবে পরিসংখ্যান বিভাগের মো. শফিকুল ইসলামকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। আদেশনামায় স্বাক্ষর করেছেন বাংলাদেশ ব্যাংকের হিউম্যান রিসোর্সেস–১ বিভাগের পরিচালক মো. জবদুল ইসলাম।
এদিকে, সম্প্রতি সিআইবির পরিচালক মুন্সী মুহাম্মদ ওয়াকিদের বিরুদ্ধে আদালত অবমাননার রুল জারি করেছেন হাইকোর্ট। এতে কেন্দ্রীয় ব্যাংক কর্তৃপক্ষের উদাসীনতাও প্রশ্নের মুখে পড়েছে। এটি বিভিন্ন ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানের চেয়ারম্যান, ব্যবস্থাপনা পরিচালক, পরিচালক এবং নিয়োগের ক্লিয়ারেন্স দেয়। জাতীয় নির্বাচনের সংসদ সদস্য প্রার্থীদের নমিনেশনের ক্লিয়ারেন্সও এই বিভাগ থেকেই দেওয়া হয়। আর এমন একটি গুরুত্বপূর্ণ বিভাগে ২৪ বছর বিভিন্নপদে বহাল ছিলেন মুন্সী মুহাম্মদ ওয়াকিদ।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, দ্বাদশ জাতীয় নির্বাচনের আগে ২০২৩ সালের ১৭ সেপ্টেম্বর সিআইবিতে ঋণের তথ্য হালনাগাদের নিয়মে পরিবর্তন আনার নির্দেশ দেন তৎকালীন গভর্নর আব্দুর রউফ তালুকদার। মুন্সী মুহাম্মদ ওয়াকিদের পরামর্শে ও তৎকালীন গভর্নরের নির্দেশনা অনুযায়ী বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলো গ্রাহকের ঋণের তথ্য সরাসরি সিআইবির ড্যাশবোর্ডে আপলোড করার ক্ষমতা পায়। সেই সুযোগে আওয়ামী লীগ সরকারের মদদপুষ্ট প্রায় ৬০০ প্রার্থীর জন্য বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলোকে চাপ দিয়ে সিআইবি রিপোর্টে পরিবর্তন করে খেলাপি ঋণকে নিয়মিত দেখিয়েছেন। এমনকি প্রকৃত ঋণখেলাপি হয়েও সিআইবির রিপোর্ট পরিবর্তন করে নির্বাচনে অংশ নিয়েছেন অনেকে।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, ২০০১ থেকে ২০১৪ সাল পর্যন্ত ১৩ বছর চাকরি করার পর যুগ্ম–পরিচালক থাকা অবস্থায় ২০১৪ সালের ২ অক্টোবর সিআইবি থেকে পরিসংখ্যান বিভাগে বদলি করা হয়। কিন্তু মাত্র তিন মাসের মাথায়, ২০১৫ সালের ৬ জানুয়ারি তিনি সিআইবিতে ফিরে আসেন। ২০১৭ সালের ২৯ আগস্ট উপমহাব্যবস্থাপক (বর্তমানে অতিরিক্ত পরিচালক) পদে পদোন্নতি পাওয়ার পরও তিনি সিআইবিতেই থাকেন। পরে ২০২৩ সালের ৩০ এপ্রিল পরিচালক পদে পদোন্নতি পান। পদোন্নতির পর তাঁকে পরিসংখ্যান বিভাগে পাঠানো হলেও, ছয় মাস যেতে না যেতেই, ২০২৩ সালের ১৭ অক্টোবর তিনি আবার সিআইবিতে ফেরেন।
কেন্দ্রীয় ব্যাংকের একাধিক কর্মকর্তা জানান, ২০২৪ সালের প্রশ্নবিদ্ধ নির্বাচনের ঠিক এক মাস আগেই বিশেষ অ্যাসাইনমেন্ট দিয়ে গভর্নর আব্দুর রউফ তালুকদারের নির্দেশে মুন্সী ওয়াকিদকে সিআইবিতে পুনরায় পোস্টিং দেওয়া হয়। তাঁর বিরুদ্ধে গুরুতর অভিযোগ হলো—তিনি ঋণ খেলাপিদের সিআইবি রিপোর্ট সংশোধন করে তাঁদের খেলাপি মুক্ত দেখাতেন। এর মাধ্যমে ২০২৪ সালের নির্বাচনে অধিক সংখ্যক প্রার্থীর অংশগ্রহণ নিশ্চিত করা হয়েছে। সিআইবিতে গত ২৪ বছর বহাল ছিলেন আওয়ামী লীগ সরকারের অনিয়মের সহযোগী মুন্সী মুহাম্মদ ওয়াকিদ। অবশেষ তাঁর বদলিতে বাংলাদেশ ব্যাংকের সবাই খুশি।
দেশীয় মৌসুমি ফলের সরবরাহ বেড়ে যাওয়ায় রাজধানীর ফলের বাজারে নেমেছে স্বস্তির ছোঁয়া। আম, কাঁঠাল, লিচু, লটকন, পেয়ারা, আনারস, ড্রাগনের মতো ফলের প্রাচুর্যে শুধু দেশীয় ফল নয়; দাম কমেছে আমদানিকৃত আপেল, মাল্টা, আঙুরেরও।
৩ ঘণ্টা আগেবেনাপোল স্থলবন্দরে আমদানি-রপ্তানি কার্যক্রমে ব্যবসায়ীদের খরচ বাড়ছে। হ্যান্ডলিংয়ের আগে পণ্য চালান পরীক্ষার নামে এই অতিরিক্ত খরচ চাপ দিচ্ছে। প্রতিটি চালানে ১৫-২৫ হাজার টাকা পর্যন্ত অতিরিক্ত ব্যয় হচ্ছে। কখনো কখনো রিপোর্ট পেতে সময় লাগছে এক মাসেরও বেশি, আর ওই সময় পণ্য বন্দরে আটকা পড়ে।
৭ ঘণ্টা আগে২০২৫-২৬ অর্থবছরের বাজেট ঘিরে নানা প্রশ্ন আর আলোচনা চলছে। কালোটাকা সাদা করার সুযোগ থাকবে কি না, এলডিসি থেকে উত্তরণের জন্য দেশ কতটা প্রস্তুত, বিদেশি বাজার ধরে রাখতে কী উদ্যোগ দরকার—এসব নিয়েই মুখোমুখি হলেন অর্থনীতিবিদ, নীতিনির্ধারক ও ব্যবসায়ী নেতারা।
৭ ঘণ্টা আগেএ পরিস্থিতিতে আমাদের দাবি, অবিলম্বে এনবিআর চেয়ারম্যানকে অপসারণ করতে হবে। তার মাধ্যমে রাজস্ব সংস্কার বিষয়ক কার্যক্রম সময়ক্ষেপণ বই কিছু নয় বলে মনে করে ঐক্য পরিষদ।
১১ ঘণ্টা আগে