
সুদানের সবচেয়ে চাহিদাসম্পন্ন পণ্যের নাম ‘গাম অ্যারাবিক’। বাবলাগাছ থেকে পাওয়া এই আঠা কোমল পানীয়, ক্যানডি, চকলেট এমনকি প্রসাধনসামগ্রী তৈরিতে ব্যবহৃত হয়। আফ্রিকার সাহারা ও উত্তর সুদানের বিস্তীর্ণ অঞ্চলে বাবলাগাছ হয়। এখানকার বাবলার আঠা দিয়ে বিশ্বের ৭০ শতাংশ চাহিদা পূরণ হয়। কিন্তু সুদানের গৃহযুদ্ধের কারণে গাম অ্যারাবিক সরবরাহ প্রায় বন্ধ হয়ে গেছে; এতে ভুগছে আন্তর্জাতিক ভোগ্যপণ্য প্রস্তুতকারক কোম্পানি।
গাম অ্যারাবিক সরবরাহে বিপর্যয় এলেও বাজারে পেপসি, কোলাসহ কোমল পানীয় এখনো পাওয়া যাচ্ছে। কারণ সুদানের সংঘাত বিবেচনায় কোকাকোলা ও পেপসিকোর মতো কোম্পানিগুলো তিন থেকে ছয় মাসের জন্য কোমল পানীয় মজুত করে রেখেছে বলে বার্তা সংস্থা রয়টার্সকে জানিয়েছেন রপ্তানিকারকেরা।
এর আগেও সুদানে সংঘাত হয়েছে। তবে সেগুলো বেশির ভাগ দারফুর কিংবা আরও দূরবর্তী অঞ্চলে। কিন্তু এবারের সংঘাত শুরুই হয়েছে রাজধানী খার্তুমে। গত ১৫ এপ্রিল থেকে শুরু এই সংঘাতে কার্যত সবকিছু স্থবির হয়ে পড়েছে। যোগযোগব্যবস্থা ভেঙে পড়েছে। অর্থনীতির অবস্থাও মুমুর্ষুপ্রায়।
গাম অ্যারাবিক সরবরাহকারী আয়ারল্যান্ডভিত্তিক প্রতিষ্ঠান কেরি গ্রুপের প্রকিউরমেন্ট ম্যানেজার রিচার্ড ফিনেগান বলেছেন, ‘ভোগ্যপণ্যের ওপর কতটা প্রভাব পড়বে তা নির্ভর করছে সুদানের সংঘাত কত দিন চলবে তার ওপর। আমার ধারণা, বর্তমান মজুতগুলো পাঁচ থেকে ছয় মাসের মধ্যে শেষ হয়ে যাবে।’
তবে সুইডেনের বেকারি পণ্য প্রস্তুতকারী প্রতিষ্ঠান ক্লোয়েটা এবির একজন মুখপাত্র জানিয়েছেন, তাঁদের কাছে গাম অ্যারাবিকের প্রচুর মজুত রয়েছে।
কেরি গ্রুপের তথ্যমতে, প্রতিবছর বিশ্বব্যাপী গাম অ্যারাবিক উৎপাদিত হয় ১ লাখ ২০ হাজার টন। এর বাজারমূল্য আনুমানিক ১১০ কোটি ডলার। গাম অ্যারাবিকের বেশির ভাগই আসে আফ্রিকার দেশ ইথিওপিয়া, চাদ, সোমালিয়া ও ইরিত্রিয়ার বিস্তীর্ণ মরুভূমি অঞ্চল থেকে।
সম্প্রতি ১২ জন রপ্তানিকারক, সরবরাহকারী ও পরিবেশক রয়টার্সকে বলেছেন, গাম অ্যারাবিকের আমদানি-রপ্তানি আপাতত বন্ধ রয়েছে।
দীর্ঘদিন ধরে যুক্তরাষ্ট্রে গাম অ্যারাবিক রপ্তানি করেন মোহাম্মদ আল নূর। তিনি বলেছেন, ‘সুদানের যেসব গ্রামাঞ্চলে অনেক বেশি গাম অ্যারাবিক উৎপাদিত হয়, সেসব এলাকায় এখন সংঘাত চলছে। ফলে গাম অ্যারাবিক সরবরাহ করা প্রায় অসম্ভব হয়ে পড়েছে।’
যে কারণে গাম অ্যারাবিক বেশি জরুরি
কেরি গ্রুপ ও গাম অ্যারাবিক সরবরাহকারী সুইডেনের কোম্পানিগুলো জানিয়েছে, সুদানের সঙ্গে স্থলপথে যোগাযোগ করা কঠিন হয়ে পড়েছে। অন্যদিকে বন্দরগুলো আপাতত অগ্রাধিকারভিত্তিতে ব্যবহৃত হচ্ছে বেসামরিক মানুষ স্থানান্তরের কাজে। ফলে সুদান থেকে গাম অ্যারাবিক আনা-নেওয়া করা যাচ্ছে না।
এদিকে ভারতের মুম্বাইভিত্তিক আমদানিকারক প্রতিষ্ঠান বিজয় ব্রোসের ব্যবস্থাপনা পরিচালক জিনেশ দোশি বলেছেন, ‘সুদানে চলমান সংঘাতের কারণে আমাদের সরবরাহকারীরা প্রয়োজনীয় জিনিসগুলো সুরক্ষিত রাখতে হিমশিম খাচ্ছে। কখন পরিস্থিতি স্বাভাবিক হবে, তা ক্রেতা-বিক্রেতা কেউ জানেন না।’
সুদানের এজিপি ইনোভেশন কোম্পানি লিমিটেডের মালিক আল ওয়ালিদ আলী জানিয়েছেন, তাঁর গ্রাহকেরা গাম অ্যারাবিক নেওয়ার জন্য বিকল্প দেশ খুঁজছেন।
আল ওয়ালিদ আলী বলেন, ‘ফ্রান্সের নেক্সিরা ও যুক্তরাষ্ট্রের ইনগ্রেডিয়ন ইনকরপোরেশন আমাদের কাছ থেকে গাম অ্যারাবিক কিনত। কিন্তু তারা এখন বিকল্প দেশ খুঁজছে।’
ইনগ্রেডিয়নের একজন মুখপাত্র রয়টার্সকে ইমেইলে বলেছেন, গ্রাহকদের কাছে আমাদের সরবরাহ অব্যাহত রাখতে আমরা সক্রিয় পদক্ষেপ নিচ্ছি।
তবে পেপসিকো তাদের সরবরাহব্যবস্থা ও পণ্য নিয়ে রয়টার্সের কাছে মন্তব্য করতে চায়নি। অন্য দিকে কোকাকোলার কাছেও একই বিষয়ে মন্তব্য চেয়ে মেইল পাঠিয়েছে রয়টার্স। কিন্তু তাদের মেইলের কোনো জবাব দেয়নি কোকাকোলা।
পেপসিকো ও কোকাকোলার মতো খাদ্য ও পানীয় প্রস্তুতকারক প্রতিষ্ঠানগুলো গাম অ্যারাবিকের শুকনো সংস্করণ, অর্থাৎ পাউডার হিসেবে ব্যবহার করে থাকে। অন্যদিকে প্রসাধনসামগ্রী তৈরিতেও গাম অ্যারাবিক ব্যবহার করা হয়। কোম্পানিগুলো বলছে, প্রসাধনী পণ্যে হয়তো গাম অ্যারাবিকের বিকল্প ব্যবহার করা সম্ভব, কিন্তু পানীয়গুলো তৈরিতে গাম অ্যারাবিকের বিকল্প নেই।
গাম অ্যারাবিক এতটাই গুরুত্বপূর্ণ ও প্রয়োজনীয় ভোগ্যপণ্য যে, ১৯৯০ সালে যুক্তরাষ্ট্র সুদানের গাম অ্যারাবিকের ওপর থেকে নিষেধাজ্ঞা তুলে নিয়েছে।
বাবলাগাছের আঠা সংগ্রহ করে তা শুকানো হয়। পরে গুঁড়ো করে প্যাকেটবদ্ধ করে পাউডার বিক্রি করা হয়। এই শিল্পের ওপর সুদানের হাজার হাজার মানুষের জীবিকা নির্ভরশীল।
সুদানের ব্যবসায়ী আল নূর বলেন, সুদানের বাইরেও কয়েকটি দেশে গাম অ্যারাবিক পাওয়া যায়। তবে সেগুলো খুব একটা মানসম্মত নয়। শুধু সুদান, দক্ষিণ সুদান ও শাদের বাবলা গাছ থেকে পাওয়া গাম অ্যারাবিক অধিক মানসম্মত এবং এর চাহিদাই সবচেয়ে বেশি।
খার্তুমের সাভানা লাইফ কোম্পানির মহাব্যবস্থাপক ফাওয়াজ আববারো বলেছেন, তিনি যে পরিমাণ ক্রয়াদেশ পেয়েছেন, তাতে ৬০ থেকে ৭০ টন গাম অ্যারাবিক রপ্তানির পরিকল্পনা ছিল তাঁর। কিন্তু সংঘাতের কারণে তাঁর রপ্তানি প্রক্রিয়া ঝুলে পড়েছে। তিনি সন্দিহান, আদৌ শেষ পর্যন্ত পরিকল্পনা মাফিক রপ্তানি সম্পন্ন করতে পারবেন কি না।
ফাওয়াজ আরও বলেন, ‘সুদানে এখন খাদ্য ও পানীয় পাওয়া কঠিন হয়ে পড়েছে। ব্যবসা-বাণিজ্য অস্থিতিশীল হয়ে উঠেছে। সব ধরনের আমদানি-রপ্তানি আটকে আছে।’
রয়টার্স থেকে অনুবাদ করেছেন মারুফ ইসলাম

সুদানের সবচেয়ে চাহিদাসম্পন্ন পণ্যের নাম ‘গাম অ্যারাবিক’। বাবলাগাছ থেকে পাওয়া এই আঠা কোমল পানীয়, ক্যানডি, চকলেট এমনকি প্রসাধনসামগ্রী তৈরিতে ব্যবহৃত হয়। আফ্রিকার সাহারা ও উত্তর সুদানের বিস্তীর্ণ অঞ্চলে বাবলাগাছ হয়। এখানকার বাবলার আঠা দিয়ে বিশ্বের ৭০ শতাংশ চাহিদা পূরণ হয়। কিন্তু সুদানের গৃহযুদ্ধের কারণে গাম অ্যারাবিক সরবরাহ প্রায় বন্ধ হয়ে গেছে; এতে ভুগছে আন্তর্জাতিক ভোগ্যপণ্য প্রস্তুতকারক কোম্পানি।
গাম অ্যারাবিক সরবরাহে বিপর্যয় এলেও বাজারে পেপসি, কোলাসহ কোমল পানীয় এখনো পাওয়া যাচ্ছে। কারণ সুদানের সংঘাত বিবেচনায় কোকাকোলা ও পেপসিকোর মতো কোম্পানিগুলো তিন থেকে ছয় মাসের জন্য কোমল পানীয় মজুত করে রেখেছে বলে বার্তা সংস্থা রয়টার্সকে জানিয়েছেন রপ্তানিকারকেরা।
এর আগেও সুদানে সংঘাত হয়েছে। তবে সেগুলো বেশির ভাগ দারফুর কিংবা আরও দূরবর্তী অঞ্চলে। কিন্তু এবারের সংঘাত শুরুই হয়েছে রাজধানী খার্তুমে। গত ১৫ এপ্রিল থেকে শুরু এই সংঘাতে কার্যত সবকিছু স্থবির হয়ে পড়েছে। যোগযোগব্যবস্থা ভেঙে পড়েছে। অর্থনীতির অবস্থাও মুমুর্ষুপ্রায়।
গাম অ্যারাবিক সরবরাহকারী আয়ারল্যান্ডভিত্তিক প্রতিষ্ঠান কেরি গ্রুপের প্রকিউরমেন্ট ম্যানেজার রিচার্ড ফিনেগান বলেছেন, ‘ভোগ্যপণ্যের ওপর কতটা প্রভাব পড়বে তা নির্ভর করছে সুদানের সংঘাত কত দিন চলবে তার ওপর। আমার ধারণা, বর্তমান মজুতগুলো পাঁচ থেকে ছয় মাসের মধ্যে শেষ হয়ে যাবে।’
তবে সুইডেনের বেকারি পণ্য প্রস্তুতকারী প্রতিষ্ঠান ক্লোয়েটা এবির একজন মুখপাত্র জানিয়েছেন, তাঁদের কাছে গাম অ্যারাবিকের প্রচুর মজুত রয়েছে।
কেরি গ্রুপের তথ্যমতে, প্রতিবছর বিশ্বব্যাপী গাম অ্যারাবিক উৎপাদিত হয় ১ লাখ ২০ হাজার টন। এর বাজারমূল্য আনুমানিক ১১০ কোটি ডলার। গাম অ্যারাবিকের বেশির ভাগই আসে আফ্রিকার দেশ ইথিওপিয়া, চাদ, সোমালিয়া ও ইরিত্রিয়ার বিস্তীর্ণ মরুভূমি অঞ্চল থেকে।
সম্প্রতি ১২ জন রপ্তানিকারক, সরবরাহকারী ও পরিবেশক রয়টার্সকে বলেছেন, গাম অ্যারাবিকের আমদানি-রপ্তানি আপাতত বন্ধ রয়েছে।
দীর্ঘদিন ধরে যুক্তরাষ্ট্রে গাম অ্যারাবিক রপ্তানি করেন মোহাম্মদ আল নূর। তিনি বলেছেন, ‘সুদানের যেসব গ্রামাঞ্চলে অনেক বেশি গাম অ্যারাবিক উৎপাদিত হয়, সেসব এলাকায় এখন সংঘাত চলছে। ফলে গাম অ্যারাবিক সরবরাহ করা প্রায় অসম্ভব হয়ে পড়েছে।’
যে কারণে গাম অ্যারাবিক বেশি জরুরি
কেরি গ্রুপ ও গাম অ্যারাবিক সরবরাহকারী সুইডেনের কোম্পানিগুলো জানিয়েছে, সুদানের সঙ্গে স্থলপথে যোগাযোগ করা কঠিন হয়ে পড়েছে। অন্যদিকে বন্দরগুলো আপাতত অগ্রাধিকারভিত্তিতে ব্যবহৃত হচ্ছে বেসামরিক মানুষ স্থানান্তরের কাজে। ফলে সুদান থেকে গাম অ্যারাবিক আনা-নেওয়া করা যাচ্ছে না।
এদিকে ভারতের মুম্বাইভিত্তিক আমদানিকারক প্রতিষ্ঠান বিজয় ব্রোসের ব্যবস্থাপনা পরিচালক জিনেশ দোশি বলেছেন, ‘সুদানে চলমান সংঘাতের কারণে আমাদের সরবরাহকারীরা প্রয়োজনীয় জিনিসগুলো সুরক্ষিত রাখতে হিমশিম খাচ্ছে। কখন পরিস্থিতি স্বাভাবিক হবে, তা ক্রেতা-বিক্রেতা কেউ জানেন না।’
সুদানের এজিপি ইনোভেশন কোম্পানি লিমিটেডের মালিক আল ওয়ালিদ আলী জানিয়েছেন, তাঁর গ্রাহকেরা গাম অ্যারাবিক নেওয়ার জন্য বিকল্প দেশ খুঁজছেন।
আল ওয়ালিদ আলী বলেন, ‘ফ্রান্সের নেক্সিরা ও যুক্তরাষ্ট্রের ইনগ্রেডিয়ন ইনকরপোরেশন আমাদের কাছ থেকে গাম অ্যারাবিক কিনত। কিন্তু তারা এখন বিকল্প দেশ খুঁজছে।’
ইনগ্রেডিয়নের একজন মুখপাত্র রয়টার্সকে ইমেইলে বলেছেন, গ্রাহকদের কাছে আমাদের সরবরাহ অব্যাহত রাখতে আমরা সক্রিয় পদক্ষেপ নিচ্ছি।
তবে পেপসিকো তাদের সরবরাহব্যবস্থা ও পণ্য নিয়ে রয়টার্সের কাছে মন্তব্য করতে চায়নি। অন্য দিকে কোকাকোলার কাছেও একই বিষয়ে মন্তব্য চেয়ে মেইল পাঠিয়েছে রয়টার্স। কিন্তু তাদের মেইলের কোনো জবাব দেয়নি কোকাকোলা।
পেপসিকো ও কোকাকোলার মতো খাদ্য ও পানীয় প্রস্তুতকারক প্রতিষ্ঠানগুলো গাম অ্যারাবিকের শুকনো সংস্করণ, অর্থাৎ পাউডার হিসেবে ব্যবহার করে থাকে। অন্যদিকে প্রসাধনসামগ্রী তৈরিতেও গাম অ্যারাবিক ব্যবহার করা হয়। কোম্পানিগুলো বলছে, প্রসাধনী পণ্যে হয়তো গাম অ্যারাবিকের বিকল্প ব্যবহার করা সম্ভব, কিন্তু পানীয়গুলো তৈরিতে গাম অ্যারাবিকের বিকল্প নেই।
গাম অ্যারাবিক এতটাই গুরুত্বপূর্ণ ও প্রয়োজনীয় ভোগ্যপণ্য যে, ১৯৯০ সালে যুক্তরাষ্ট্র সুদানের গাম অ্যারাবিকের ওপর থেকে নিষেধাজ্ঞা তুলে নিয়েছে।
বাবলাগাছের আঠা সংগ্রহ করে তা শুকানো হয়। পরে গুঁড়ো করে প্যাকেটবদ্ধ করে পাউডার বিক্রি করা হয়। এই শিল্পের ওপর সুদানের হাজার হাজার মানুষের জীবিকা নির্ভরশীল।
সুদানের ব্যবসায়ী আল নূর বলেন, সুদানের বাইরেও কয়েকটি দেশে গাম অ্যারাবিক পাওয়া যায়। তবে সেগুলো খুব একটা মানসম্মত নয়। শুধু সুদান, দক্ষিণ সুদান ও শাদের বাবলা গাছ থেকে পাওয়া গাম অ্যারাবিক অধিক মানসম্মত এবং এর চাহিদাই সবচেয়ে বেশি।
খার্তুমের সাভানা লাইফ কোম্পানির মহাব্যবস্থাপক ফাওয়াজ আববারো বলেছেন, তিনি যে পরিমাণ ক্রয়াদেশ পেয়েছেন, তাতে ৬০ থেকে ৭০ টন গাম অ্যারাবিক রপ্তানির পরিকল্পনা ছিল তাঁর। কিন্তু সংঘাতের কারণে তাঁর রপ্তানি প্রক্রিয়া ঝুলে পড়েছে। তিনি সন্দিহান, আদৌ শেষ পর্যন্ত পরিকল্পনা মাফিক রপ্তানি সম্পন্ন করতে পারবেন কি না।
ফাওয়াজ আরও বলেন, ‘সুদানে এখন খাদ্য ও পানীয় পাওয়া কঠিন হয়ে পড়েছে। ব্যবসা-বাণিজ্য অস্থিতিশীল হয়ে উঠেছে। সব ধরনের আমদানি-রপ্তানি আটকে আছে।’
রয়টার্স থেকে অনুবাদ করেছেন মারুফ ইসলাম

সুদানের সবচেয়ে চাহিদাসম্পন্ন পণ্যের নাম ‘গাম অ্যারাবিক’। বাবলাগাছ থেকে পাওয়া এই আঠা কোমল পানীয়, ক্যানডি, চকলেট এমনকি প্রসাধনসামগ্রী তৈরিতে ব্যবহৃত হয়। আফ্রিকার সাহারা ও উত্তর সুদানের বিস্তীর্ণ অঞ্চলে বাবলাগাছ হয়। এখানকার বাবলার আঠা দিয়ে বিশ্বের ৭০ শতাংশ চাহিদা পূরণ হয়। কিন্তু সুদানের গৃহযুদ্ধের কারণে গাম অ্যারাবিক সরবরাহ প্রায় বন্ধ হয়ে গেছে; এতে ভুগছে আন্তর্জাতিক ভোগ্যপণ্য প্রস্তুতকারক কোম্পানি।
গাম অ্যারাবিক সরবরাহে বিপর্যয় এলেও বাজারে পেপসি, কোলাসহ কোমল পানীয় এখনো পাওয়া যাচ্ছে। কারণ সুদানের সংঘাত বিবেচনায় কোকাকোলা ও পেপসিকোর মতো কোম্পানিগুলো তিন থেকে ছয় মাসের জন্য কোমল পানীয় মজুত করে রেখেছে বলে বার্তা সংস্থা রয়টার্সকে জানিয়েছেন রপ্তানিকারকেরা।
এর আগেও সুদানে সংঘাত হয়েছে। তবে সেগুলো বেশির ভাগ দারফুর কিংবা আরও দূরবর্তী অঞ্চলে। কিন্তু এবারের সংঘাত শুরুই হয়েছে রাজধানী খার্তুমে। গত ১৫ এপ্রিল থেকে শুরু এই সংঘাতে কার্যত সবকিছু স্থবির হয়ে পড়েছে। যোগযোগব্যবস্থা ভেঙে পড়েছে। অর্থনীতির অবস্থাও মুমুর্ষুপ্রায়।
গাম অ্যারাবিক সরবরাহকারী আয়ারল্যান্ডভিত্তিক প্রতিষ্ঠান কেরি গ্রুপের প্রকিউরমেন্ট ম্যানেজার রিচার্ড ফিনেগান বলেছেন, ‘ভোগ্যপণ্যের ওপর কতটা প্রভাব পড়বে তা নির্ভর করছে সুদানের সংঘাত কত দিন চলবে তার ওপর। আমার ধারণা, বর্তমান মজুতগুলো পাঁচ থেকে ছয় মাসের মধ্যে শেষ হয়ে যাবে।’
তবে সুইডেনের বেকারি পণ্য প্রস্তুতকারী প্রতিষ্ঠান ক্লোয়েটা এবির একজন মুখপাত্র জানিয়েছেন, তাঁদের কাছে গাম অ্যারাবিকের প্রচুর মজুত রয়েছে।
কেরি গ্রুপের তথ্যমতে, প্রতিবছর বিশ্বব্যাপী গাম অ্যারাবিক উৎপাদিত হয় ১ লাখ ২০ হাজার টন। এর বাজারমূল্য আনুমানিক ১১০ কোটি ডলার। গাম অ্যারাবিকের বেশির ভাগই আসে আফ্রিকার দেশ ইথিওপিয়া, চাদ, সোমালিয়া ও ইরিত্রিয়ার বিস্তীর্ণ মরুভূমি অঞ্চল থেকে।
সম্প্রতি ১২ জন রপ্তানিকারক, সরবরাহকারী ও পরিবেশক রয়টার্সকে বলেছেন, গাম অ্যারাবিকের আমদানি-রপ্তানি আপাতত বন্ধ রয়েছে।
দীর্ঘদিন ধরে যুক্তরাষ্ট্রে গাম অ্যারাবিক রপ্তানি করেন মোহাম্মদ আল নূর। তিনি বলেছেন, ‘সুদানের যেসব গ্রামাঞ্চলে অনেক বেশি গাম অ্যারাবিক উৎপাদিত হয়, সেসব এলাকায় এখন সংঘাত চলছে। ফলে গাম অ্যারাবিক সরবরাহ করা প্রায় অসম্ভব হয়ে পড়েছে।’
যে কারণে গাম অ্যারাবিক বেশি জরুরি
কেরি গ্রুপ ও গাম অ্যারাবিক সরবরাহকারী সুইডেনের কোম্পানিগুলো জানিয়েছে, সুদানের সঙ্গে স্থলপথে যোগাযোগ করা কঠিন হয়ে পড়েছে। অন্যদিকে বন্দরগুলো আপাতত অগ্রাধিকারভিত্তিতে ব্যবহৃত হচ্ছে বেসামরিক মানুষ স্থানান্তরের কাজে। ফলে সুদান থেকে গাম অ্যারাবিক আনা-নেওয়া করা যাচ্ছে না।
এদিকে ভারতের মুম্বাইভিত্তিক আমদানিকারক প্রতিষ্ঠান বিজয় ব্রোসের ব্যবস্থাপনা পরিচালক জিনেশ দোশি বলেছেন, ‘সুদানে চলমান সংঘাতের কারণে আমাদের সরবরাহকারীরা প্রয়োজনীয় জিনিসগুলো সুরক্ষিত রাখতে হিমশিম খাচ্ছে। কখন পরিস্থিতি স্বাভাবিক হবে, তা ক্রেতা-বিক্রেতা কেউ জানেন না।’
সুদানের এজিপি ইনোভেশন কোম্পানি লিমিটেডের মালিক আল ওয়ালিদ আলী জানিয়েছেন, তাঁর গ্রাহকেরা গাম অ্যারাবিক নেওয়ার জন্য বিকল্প দেশ খুঁজছেন।
আল ওয়ালিদ আলী বলেন, ‘ফ্রান্সের নেক্সিরা ও যুক্তরাষ্ট্রের ইনগ্রেডিয়ন ইনকরপোরেশন আমাদের কাছ থেকে গাম অ্যারাবিক কিনত। কিন্তু তারা এখন বিকল্প দেশ খুঁজছে।’
ইনগ্রেডিয়নের একজন মুখপাত্র রয়টার্সকে ইমেইলে বলেছেন, গ্রাহকদের কাছে আমাদের সরবরাহ অব্যাহত রাখতে আমরা সক্রিয় পদক্ষেপ নিচ্ছি।
তবে পেপসিকো তাদের সরবরাহব্যবস্থা ও পণ্য নিয়ে রয়টার্সের কাছে মন্তব্য করতে চায়নি। অন্য দিকে কোকাকোলার কাছেও একই বিষয়ে মন্তব্য চেয়ে মেইল পাঠিয়েছে রয়টার্স। কিন্তু তাদের মেইলের কোনো জবাব দেয়নি কোকাকোলা।
পেপসিকো ও কোকাকোলার মতো খাদ্য ও পানীয় প্রস্তুতকারক প্রতিষ্ঠানগুলো গাম অ্যারাবিকের শুকনো সংস্করণ, অর্থাৎ পাউডার হিসেবে ব্যবহার করে থাকে। অন্যদিকে প্রসাধনসামগ্রী তৈরিতেও গাম অ্যারাবিক ব্যবহার করা হয়। কোম্পানিগুলো বলছে, প্রসাধনী পণ্যে হয়তো গাম অ্যারাবিকের বিকল্প ব্যবহার করা সম্ভব, কিন্তু পানীয়গুলো তৈরিতে গাম অ্যারাবিকের বিকল্প নেই।
গাম অ্যারাবিক এতটাই গুরুত্বপূর্ণ ও প্রয়োজনীয় ভোগ্যপণ্য যে, ১৯৯০ সালে যুক্তরাষ্ট্র সুদানের গাম অ্যারাবিকের ওপর থেকে নিষেধাজ্ঞা তুলে নিয়েছে।
বাবলাগাছের আঠা সংগ্রহ করে তা শুকানো হয়। পরে গুঁড়ো করে প্যাকেটবদ্ধ করে পাউডার বিক্রি করা হয়। এই শিল্পের ওপর সুদানের হাজার হাজার মানুষের জীবিকা নির্ভরশীল।
সুদানের ব্যবসায়ী আল নূর বলেন, সুদানের বাইরেও কয়েকটি দেশে গাম অ্যারাবিক পাওয়া যায়। তবে সেগুলো খুব একটা মানসম্মত নয়। শুধু সুদান, দক্ষিণ সুদান ও শাদের বাবলা গাছ থেকে পাওয়া গাম অ্যারাবিক অধিক মানসম্মত এবং এর চাহিদাই সবচেয়ে বেশি।
খার্তুমের সাভানা লাইফ কোম্পানির মহাব্যবস্থাপক ফাওয়াজ আববারো বলেছেন, তিনি যে পরিমাণ ক্রয়াদেশ পেয়েছেন, তাতে ৬০ থেকে ৭০ টন গাম অ্যারাবিক রপ্তানির পরিকল্পনা ছিল তাঁর। কিন্তু সংঘাতের কারণে তাঁর রপ্তানি প্রক্রিয়া ঝুলে পড়েছে। তিনি সন্দিহান, আদৌ শেষ পর্যন্ত পরিকল্পনা মাফিক রপ্তানি সম্পন্ন করতে পারবেন কি না।
ফাওয়াজ আরও বলেন, ‘সুদানে এখন খাদ্য ও পানীয় পাওয়া কঠিন হয়ে পড়েছে। ব্যবসা-বাণিজ্য অস্থিতিশীল হয়ে উঠেছে। সব ধরনের আমদানি-রপ্তানি আটকে আছে।’
রয়টার্স থেকে অনুবাদ করেছেন মারুফ ইসলাম

সুদানের সবচেয়ে চাহিদাসম্পন্ন পণ্যের নাম ‘গাম অ্যারাবিক’। বাবলাগাছ থেকে পাওয়া এই আঠা কোমল পানীয়, ক্যানডি, চকলেট এমনকি প্রসাধনসামগ্রী তৈরিতে ব্যবহৃত হয়। আফ্রিকার সাহারা ও উত্তর সুদানের বিস্তীর্ণ অঞ্চলে বাবলাগাছ হয়। এখানকার বাবলার আঠা দিয়ে বিশ্বের ৭০ শতাংশ চাহিদা পূরণ হয়। কিন্তু সুদানের গৃহযুদ্ধের কারণে গাম অ্যারাবিক সরবরাহ প্রায় বন্ধ হয়ে গেছে; এতে ভুগছে আন্তর্জাতিক ভোগ্যপণ্য প্রস্তুতকারক কোম্পানি।
গাম অ্যারাবিক সরবরাহে বিপর্যয় এলেও বাজারে পেপসি, কোলাসহ কোমল পানীয় এখনো পাওয়া যাচ্ছে। কারণ সুদানের সংঘাত বিবেচনায় কোকাকোলা ও পেপসিকোর মতো কোম্পানিগুলো তিন থেকে ছয় মাসের জন্য কোমল পানীয় মজুত করে রেখেছে বলে বার্তা সংস্থা রয়টার্সকে জানিয়েছেন রপ্তানিকারকেরা।
এর আগেও সুদানে সংঘাত হয়েছে। তবে সেগুলো বেশির ভাগ দারফুর কিংবা আরও দূরবর্তী অঞ্চলে। কিন্তু এবারের সংঘাত শুরুই হয়েছে রাজধানী খার্তুমে। গত ১৫ এপ্রিল থেকে শুরু এই সংঘাতে কার্যত সবকিছু স্থবির হয়ে পড়েছে। যোগযোগব্যবস্থা ভেঙে পড়েছে। অর্থনীতির অবস্থাও মুমুর্ষুপ্রায়।
গাম অ্যারাবিক সরবরাহকারী আয়ারল্যান্ডভিত্তিক প্রতিষ্ঠান কেরি গ্রুপের প্রকিউরমেন্ট ম্যানেজার রিচার্ড ফিনেগান বলেছেন, ‘ভোগ্যপণ্যের ওপর কতটা প্রভাব পড়বে তা নির্ভর করছে সুদানের সংঘাত কত দিন চলবে তার ওপর। আমার ধারণা, বর্তমান মজুতগুলো পাঁচ থেকে ছয় মাসের মধ্যে শেষ হয়ে যাবে।’
তবে সুইডেনের বেকারি পণ্য প্রস্তুতকারী প্রতিষ্ঠান ক্লোয়েটা এবির একজন মুখপাত্র জানিয়েছেন, তাঁদের কাছে গাম অ্যারাবিকের প্রচুর মজুত রয়েছে।
কেরি গ্রুপের তথ্যমতে, প্রতিবছর বিশ্বব্যাপী গাম অ্যারাবিক উৎপাদিত হয় ১ লাখ ২০ হাজার টন। এর বাজারমূল্য আনুমানিক ১১০ কোটি ডলার। গাম অ্যারাবিকের বেশির ভাগই আসে আফ্রিকার দেশ ইথিওপিয়া, চাদ, সোমালিয়া ও ইরিত্রিয়ার বিস্তীর্ণ মরুভূমি অঞ্চল থেকে।
সম্প্রতি ১২ জন রপ্তানিকারক, সরবরাহকারী ও পরিবেশক রয়টার্সকে বলেছেন, গাম অ্যারাবিকের আমদানি-রপ্তানি আপাতত বন্ধ রয়েছে।
দীর্ঘদিন ধরে যুক্তরাষ্ট্রে গাম অ্যারাবিক রপ্তানি করেন মোহাম্মদ আল নূর। তিনি বলেছেন, ‘সুদানের যেসব গ্রামাঞ্চলে অনেক বেশি গাম অ্যারাবিক উৎপাদিত হয়, সেসব এলাকায় এখন সংঘাত চলছে। ফলে গাম অ্যারাবিক সরবরাহ করা প্রায় অসম্ভব হয়ে পড়েছে।’
যে কারণে গাম অ্যারাবিক বেশি জরুরি
কেরি গ্রুপ ও গাম অ্যারাবিক সরবরাহকারী সুইডেনের কোম্পানিগুলো জানিয়েছে, সুদানের সঙ্গে স্থলপথে যোগাযোগ করা কঠিন হয়ে পড়েছে। অন্যদিকে বন্দরগুলো আপাতত অগ্রাধিকারভিত্তিতে ব্যবহৃত হচ্ছে বেসামরিক মানুষ স্থানান্তরের কাজে। ফলে সুদান থেকে গাম অ্যারাবিক আনা-নেওয়া করা যাচ্ছে না।
এদিকে ভারতের মুম্বাইভিত্তিক আমদানিকারক প্রতিষ্ঠান বিজয় ব্রোসের ব্যবস্থাপনা পরিচালক জিনেশ দোশি বলেছেন, ‘সুদানে চলমান সংঘাতের কারণে আমাদের সরবরাহকারীরা প্রয়োজনীয় জিনিসগুলো সুরক্ষিত রাখতে হিমশিম খাচ্ছে। কখন পরিস্থিতি স্বাভাবিক হবে, তা ক্রেতা-বিক্রেতা কেউ জানেন না।’
সুদানের এজিপি ইনোভেশন কোম্পানি লিমিটেডের মালিক আল ওয়ালিদ আলী জানিয়েছেন, তাঁর গ্রাহকেরা গাম অ্যারাবিক নেওয়ার জন্য বিকল্প দেশ খুঁজছেন।
আল ওয়ালিদ আলী বলেন, ‘ফ্রান্সের নেক্সিরা ও যুক্তরাষ্ট্রের ইনগ্রেডিয়ন ইনকরপোরেশন আমাদের কাছ থেকে গাম অ্যারাবিক কিনত। কিন্তু তারা এখন বিকল্প দেশ খুঁজছে।’
ইনগ্রেডিয়নের একজন মুখপাত্র রয়টার্সকে ইমেইলে বলেছেন, গ্রাহকদের কাছে আমাদের সরবরাহ অব্যাহত রাখতে আমরা সক্রিয় পদক্ষেপ নিচ্ছি।
তবে পেপসিকো তাদের সরবরাহব্যবস্থা ও পণ্য নিয়ে রয়টার্সের কাছে মন্তব্য করতে চায়নি। অন্য দিকে কোকাকোলার কাছেও একই বিষয়ে মন্তব্য চেয়ে মেইল পাঠিয়েছে রয়টার্স। কিন্তু তাদের মেইলের কোনো জবাব দেয়নি কোকাকোলা।
পেপসিকো ও কোকাকোলার মতো খাদ্য ও পানীয় প্রস্তুতকারক প্রতিষ্ঠানগুলো গাম অ্যারাবিকের শুকনো সংস্করণ, অর্থাৎ পাউডার হিসেবে ব্যবহার করে থাকে। অন্যদিকে প্রসাধনসামগ্রী তৈরিতেও গাম অ্যারাবিক ব্যবহার করা হয়। কোম্পানিগুলো বলছে, প্রসাধনী পণ্যে হয়তো গাম অ্যারাবিকের বিকল্প ব্যবহার করা সম্ভব, কিন্তু পানীয়গুলো তৈরিতে গাম অ্যারাবিকের বিকল্প নেই।
গাম অ্যারাবিক এতটাই গুরুত্বপূর্ণ ও প্রয়োজনীয় ভোগ্যপণ্য যে, ১৯৯০ সালে যুক্তরাষ্ট্র সুদানের গাম অ্যারাবিকের ওপর থেকে নিষেধাজ্ঞা তুলে নিয়েছে।
বাবলাগাছের আঠা সংগ্রহ করে তা শুকানো হয়। পরে গুঁড়ো করে প্যাকেটবদ্ধ করে পাউডার বিক্রি করা হয়। এই শিল্পের ওপর সুদানের হাজার হাজার মানুষের জীবিকা নির্ভরশীল।
সুদানের ব্যবসায়ী আল নূর বলেন, সুদানের বাইরেও কয়েকটি দেশে গাম অ্যারাবিক পাওয়া যায়। তবে সেগুলো খুব একটা মানসম্মত নয়। শুধু সুদান, দক্ষিণ সুদান ও শাদের বাবলা গাছ থেকে পাওয়া গাম অ্যারাবিক অধিক মানসম্মত এবং এর চাহিদাই সবচেয়ে বেশি।
খার্তুমের সাভানা লাইফ কোম্পানির মহাব্যবস্থাপক ফাওয়াজ আববারো বলেছেন, তিনি যে পরিমাণ ক্রয়াদেশ পেয়েছেন, তাতে ৬০ থেকে ৭০ টন গাম অ্যারাবিক রপ্তানির পরিকল্পনা ছিল তাঁর। কিন্তু সংঘাতের কারণে তাঁর রপ্তানি প্রক্রিয়া ঝুলে পড়েছে। তিনি সন্দিহান, আদৌ শেষ পর্যন্ত পরিকল্পনা মাফিক রপ্তানি সম্পন্ন করতে পারবেন কি না।
ফাওয়াজ আরও বলেন, ‘সুদানে এখন খাদ্য ও পানীয় পাওয়া কঠিন হয়ে পড়েছে। ব্যবসা-বাণিজ্য অস্থিতিশীল হয়ে উঠেছে। সব ধরনের আমদানি-রপ্তানি আটকে আছে।’
রয়টার্স থেকে অনুবাদ করেছেন মারুফ ইসলাম

যুক্তরাষ্ট্রের পদাঙ্ক অনুসরণ করে ভারতের ওপর ৫০ শতাংশ শুল্ক আরোপ করেছে উত্তর আমেরিকার দেশ মেক্সিকো। এই শুল্ক বহাল থাকলে মেক্সিকোর বাজারে ভারতীয় পণ্যের প্রবেশ অনেক বেশি কঠিন হয়ে যাবে। মূলত, ভারতের সঙ্গে বিশাল বাণিজ্য ঘাটতি থাকায়, তা পুষিয়ে নিতেই ট্রাম্পের মতো করেই ভারতীয় রপ্তানি পণ্যের ওপর মেক্সিকোর
১৯ মিনিট আগে
ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র ও ঢাকা-৮ আসনের সম্ভাব্য স্বতন্ত্র প্রার্থী শরিফ ওসমান হাদিকে হত্যাচেষ্টায় সন্দেহভাজন ফয়সাল করিম মাসুদ এবং তাঁর আইটি প্রতিষ্ঠান অ্যাপল সফট আইটি লিমিটেডের সব ব্যাংক হিসাব জব্দ করেছে এনবিআরের কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সেল (সিআইসি)।
৩১ মিনিট আগে
স্বাস্থ্য খাতের ব্যয়ে দক্ষিণ এশিয়ায় সবচেয়ে পিছিয়ে বাংলাদেশ। স্বাস্থ্য খাতে বরাদ্দ জিডিপির মাত্র ১ শতাংশ এবং মাথাপিছু সরকারি ব্যয় মাত্র ১,০৭০ টাকা। দেশের প্রায় ৪৯ শতাংশ মানুষ এখনো মানসম্মত স্বাস্থ্যসেবা থেকে বঞ্চিত।
৮ ঘণ্টা আগে
অগ্রহায়ণের শীতের সকাল। সাইকেল ও ভ্যানের ওপরে থরে থরে সাজানো রঙিন ফুলে ভরে উঠেছে যশোরের গদখালীর বাজার। গোলাপ, গাঁদা, রজনীগন্ধা, জারবেরা, গ্লাডিওলাস, চন্দ্রমল্লিকা—ফুলের ঘ্রাণ আর দরদামের হাঁকডাকে মুখর পুরো এলাকা।
৮ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

যুক্তরাষ্ট্রের পদাঙ্ক অনুসরণ করে ভারতের ওপর ৫০ শতাংশ শুল্ক আরোপ করেছে উত্তর আমেরিকার দেশ মেক্সিকো। এই শুল্ক বহাল থাকলে মেক্সিকোর বাজারে ভারতীয় পণ্যের প্রবেশ অনেক বেশি কঠিন হয়ে যাবে। মূলত, ভারতের সঙ্গে বিশাল বাণিজ্য ঘাটতি থাকায়, তা পুষিয়ে নিতেই ট্রাম্পের মতো করেই ভারতীয় রপ্তানি পণ্যের ওপর মেক্সিকোর এই শুল্ক।
ভারতীয় সংবাদমাধ্যম মানি কন্ট্রোলের খবরে বলা হয়েছে, মেক্সিকোর ভারতীয় পণ্যের ওপর ৫০ শতাংশ শুল্ক চাপানোর জবাবে নয়াদিল্লিও জানিয়েছে, তারা নিজেদের রপ্তানিকারকদের স্বার্থ রক্ষায় ‘উপযুক্ত ব্যবস্থা’ নিতে পারে। এক সরকারি কর্মকর্তা বার্তা সংস্থা পিটিআইকে এই কথা জানিয়েছেন।
এর আগে, এ সপ্তাহের শুরুতে মেক্সিকোর সিনেট এক নতুন শুল্ক ব্যবস্থা অনুমোদন করে, যা ২০২৬ সালের ১ জানুয়ারি থেকে কার্যকর হবে। ভারত, চীন, দক্ষিণ কোরিয়া, থাইল্যান্ড এবং ইন্দোনেশিয়াসহ যেসব দেশের সঙ্গে মেক্সিকোর কোনো মুক্ত বাণিজ্য চুক্তি (এফটিএ) নেই, সেসব দেশ থেকে আমদানি করা পণ্যের ওপর এই শুল্ক বসানো হবে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ওই কর্মকর্তা বলেন, ‘ভারত মেক্সিকোর সঙ্গে তাদের অংশীদারত্বকে বিশেষ গুরুত্ব দেয় এবং স্থিতিশীল ও ভারসাম্যপূর্ণ এক বাণিজ্যিক পরিবেশ তৈরি করতে হাতে হাত মিলিয়ে কাজ করতে প্রস্তুত, যাতে দুই দেশের ব্যবসা ও সাধারণ মানুষ লাভবান হয়।’
এই শুল্কের প্রভাব কমাতে ভারত ইতিমধ্যেই মেক্সিকোর কর্তৃপক্ষের সঙ্গে আলোচনায় বসেছে। সেপ্টেম্বরের ৩০ তারিখে মেক্সিকোতে অবস্থিত ভারতীয় দূতাবাস মেক্সিকোর অর্থ মন্ত্রণালয়ের কাছে বিষয়টি উত্থাপন করে, যাতে ভারতীয় রপ্তানি সুরক্ষিত করার জন্য বিশেষ ছাড় পাওয়া যায়। ভারতীয় ওই কর্মকর্তা জানান, ‘বাণিজ্য দপ্তর মেক্সিকোর অর্থ মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে যুক্ত হয়ে বিশ্ব বাণিজ্য নীতির সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ পারস্পরিক সুবিধাজনক সমাধান খুঁজে বের করার চেষ্টা করছে।’
দুই দেশই একটি মুক্ত বাণিজ্য চুক্তির জন্য আনুষ্ঠানিক আলোচনা শুরু করতে তৈরি হচ্ছে। আলোচনা শুরু করার জন্য প্রয়োজনীয় শর্তাবলি দ্রুত চূড়ান্ত করা হবে বলে আশা করা যায়, যা ভারতীয় রপ্তানিকারকদের এই শুল্ক থেকে সুরক্ষা দিতে সাহায্য করতে পারে।
ইতিমধ্যেই বাণিজ্যসচিব রাজেশ আগরওয়াল ও মেক্সিকোর উপ-অর্থমন্ত্রী লুইস রোসেন্ডোর মধ্যে একটি উচ্চ-পর্যায়ের বৈঠক হয়েছে এবং আগামী সপ্তাহগুলোতে আরও প্রযুক্তিগত আলোচনা হওয়ার কথা রয়েছে। ওই কর্মকর্তা আরও যোগ করেন, ‘গঠনমূলক আলোচনার মাধ্যমে সমাধান খুঁজে চললেও, ভারত তার রপ্তানিকারকদের স্বার্থ রক্ষার জন্য উপযুক্ত ব্যবস্থা নেওয়ার অধিকার নিজের হাতে রেখেছে।’
তিনি উল্লেখ করেন, এই শুল্কের প্রভাব নির্ভর করবে ‘মেক্সিকোর অভ্যন্তরীণ সরবরাহ শৃঙ্খলে ভারতীয় রপ্তানির গুরুত্ব কতখানি এবং ভারতীয় কোম্পানিগুলি শুল্কের ছাড় পেতে বা এই বাড়তি খরচ মেক্সিকোর উপভোক্তাদের ওপর চাপিয়ে দিতে কতটা সক্ষম, তার ওপর।’
প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প প্রশাসনের সতর্কবার্তার পরই এই শুল্ক বাড়ানো হলো, যেখানে বলা হয়েছিল যে, সস্তায় চীনা পণ্য মেক্সিকো হয়ে আমেরিকাতে ঢুকছে। মেক্সিকো এটিকে তাদের অভ্যন্তরীণ শিল্পকে রক্ষা, চাকরি সংরক্ষণ এবং সস্তা আমদানির কারণে তৈরি হওয়া বাজারের ভারসাম্যহীনতা দূর করার পদক্ষেপ হিসেবে দেখিয়েছে। ফেডারেশন অব ইন্ডিয়ান এক্সপোর্ট অর্গানাইজেশনসের ডিরেক্টর জেনারেল অজয় সাহাই বলেন, এই পদক্ষেপের ফলে অটোমোবাইল, অটো যন্ত্রাংশ, যন্ত্রপাতি, বৈদ্যুতিক ও ইলেকট্রনিকস, অরগানিক কেমিক্যাল, ওষুধ, টেক্সটাইল এবং প্লাস্টিকের মতো ক্ষেত্রগুলি ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে।
সাহাই পিটিআইকে বলেন, ‘এত বেশি শুল্ক আমাদের প্রতিযোগিতার ক্ষমতা কমিয়ে দেবে এবং বছরের পর বছর ধরে গড়ে ওঠা সরবরাহ শৃঙ্খলে সমস্যা তৈরির ঝুঁকি বাড়াবে।’
এদিকে, ২০২৪ সালে ভারত মেক্সিকোতে ৮ দশমিক ৯ বিলিয়ন ডলারের পণ্য রপ্তানি করেছিল, যেখানে মেক্সিকো থেকে আমদানি হয়েছিল ২ দশমিক ৯ বিলিয়ন ডলারের পণ্য। ভারত ও মেক্সিকোর মধ্যে চলমান আলোচনা, যার সঙ্গে মুক্ত বাণিজ্য চুক্তি আলোচনার সম্ভাবনাও যুক্ত, তা এই ক্রমবর্ধমান শুল্কের মুখে বাণিজ্যিক সম্পর্ককে স্থিতিশীল করতে এবং ভারতীয় রপ্তানিকারকদের স্বার্থ রক্ষা করতে সাহায্য করবে বলে আশা করা যায়।

যুক্তরাষ্ট্রের পদাঙ্ক অনুসরণ করে ভারতের ওপর ৫০ শতাংশ শুল্ক আরোপ করেছে উত্তর আমেরিকার দেশ মেক্সিকো। এই শুল্ক বহাল থাকলে মেক্সিকোর বাজারে ভারতীয় পণ্যের প্রবেশ অনেক বেশি কঠিন হয়ে যাবে। মূলত, ভারতের সঙ্গে বিশাল বাণিজ্য ঘাটতি থাকায়, তা পুষিয়ে নিতেই ট্রাম্পের মতো করেই ভারতীয় রপ্তানি পণ্যের ওপর মেক্সিকোর এই শুল্ক।
ভারতীয় সংবাদমাধ্যম মানি কন্ট্রোলের খবরে বলা হয়েছে, মেক্সিকোর ভারতীয় পণ্যের ওপর ৫০ শতাংশ শুল্ক চাপানোর জবাবে নয়াদিল্লিও জানিয়েছে, তারা নিজেদের রপ্তানিকারকদের স্বার্থ রক্ষায় ‘উপযুক্ত ব্যবস্থা’ নিতে পারে। এক সরকারি কর্মকর্তা বার্তা সংস্থা পিটিআইকে এই কথা জানিয়েছেন।
এর আগে, এ সপ্তাহের শুরুতে মেক্সিকোর সিনেট এক নতুন শুল্ক ব্যবস্থা অনুমোদন করে, যা ২০২৬ সালের ১ জানুয়ারি থেকে কার্যকর হবে। ভারত, চীন, দক্ষিণ কোরিয়া, থাইল্যান্ড এবং ইন্দোনেশিয়াসহ যেসব দেশের সঙ্গে মেক্সিকোর কোনো মুক্ত বাণিজ্য চুক্তি (এফটিএ) নেই, সেসব দেশ থেকে আমদানি করা পণ্যের ওপর এই শুল্ক বসানো হবে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ওই কর্মকর্তা বলেন, ‘ভারত মেক্সিকোর সঙ্গে তাদের অংশীদারত্বকে বিশেষ গুরুত্ব দেয় এবং স্থিতিশীল ও ভারসাম্যপূর্ণ এক বাণিজ্যিক পরিবেশ তৈরি করতে হাতে হাত মিলিয়ে কাজ করতে প্রস্তুত, যাতে দুই দেশের ব্যবসা ও সাধারণ মানুষ লাভবান হয়।’
এই শুল্কের প্রভাব কমাতে ভারত ইতিমধ্যেই মেক্সিকোর কর্তৃপক্ষের সঙ্গে আলোচনায় বসেছে। সেপ্টেম্বরের ৩০ তারিখে মেক্সিকোতে অবস্থিত ভারতীয় দূতাবাস মেক্সিকোর অর্থ মন্ত্রণালয়ের কাছে বিষয়টি উত্থাপন করে, যাতে ভারতীয় রপ্তানি সুরক্ষিত করার জন্য বিশেষ ছাড় পাওয়া যায়। ভারতীয় ওই কর্মকর্তা জানান, ‘বাণিজ্য দপ্তর মেক্সিকোর অর্থ মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে যুক্ত হয়ে বিশ্ব বাণিজ্য নীতির সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ পারস্পরিক সুবিধাজনক সমাধান খুঁজে বের করার চেষ্টা করছে।’
দুই দেশই একটি মুক্ত বাণিজ্য চুক্তির জন্য আনুষ্ঠানিক আলোচনা শুরু করতে তৈরি হচ্ছে। আলোচনা শুরু করার জন্য প্রয়োজনীয় শর্তাবলি দ্রুত চূড়ান্ত করা হবে বলে আশা করা যায়, যা ভারতীয় রপ্তানিকারকদের এই শুল্ক থেকে সুরক্ষা দিতে সাহায্য করতে পারে।
ইতিমধ্যেই বাণিজ্যসচিব রাজেশ আগরওয়াল ও মেক্সিকোর উপ-অর্থমন্ত্রী লুইস রোসেন্ডোর মধ্যে একটি উচ্চ-পর্যায়ের বৈঠক হয়েছে এবং আগামী সপ্তাহগুলোতে আরও প্রযুক্তিগত আলোচনা হওয়ার কথা রয়েছে। ওই কর্মকর্তা আরও যোগ করেন, ‘গঠনমূলক আলোচনার মাধ্যমে সমাধান খুঁজে চললেও, ভারত তার রপ্তানিকারকদের স্বার্থ রক্ষার জন্য উপযুক্ত ব্যবস্থা নেওয়ার অধিকার নিজের হাতে রেখেছে।’
তিনি উল্লেখ করেন, এই শুল্কের প্রভাব নির্ভর করবে ‘মেক্সিকোর অভ্যন্তরীণ সরবরাহ শৃঙ্খলে ভারতীয় রপ্তানির গুরুত্ব কতখানি এবং ভারতীয় কোম্পানিগুলি শুল্কের ছাড় পেতে বা এই বাড়তি খরচ মেক্সিকোর উপভোক্তাদের ওপর চাপিয়ে দিতে কতটা সক্ষম, তার ওপর।’
প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প প্রশাসনের সতর্কবার্তার পরই এই শুল্ক বাড়ানো হলো, যেখানে বলা হয়েছিল যে, সস্তায় চীনা পণ্য মেক্সিকো হয়ে আমেরিকাতে ঢুকছে। মেক্সিকো এটিকে তাদের অভ্যন্তরীণ শিল্পকে রক্ষা, চাকরি সংরক্ষণ এবং সস্তা আমদানির কারণে তৈরি হওয়া বাজারের ভারসাম্যহীনতা দূর করার পদক্ষেপ হিসেবে দেখিয়েছে। ফেডারেশন অব ইন্ডিয়ান এক্সপোর্ট অর্গানাইজেশনসের ডিরেক্টর জেনারেল অজয় সাহাই বলেন, এই পদক্ষেপের ফলে অটোমোবাইল, অটো যন্ত্রাংশ, যন্ত্রপাতি, বৈদ্যুতিক ও ইলেকট্রনিকস, অরগানিক কেমিক্যাল, ওষুধ, টেক্সটাইল এবং প্লাস্টিকের মতো ক্ষেত্রগুলি ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে।
সাহাই পিটিআইকে বলেন, ‘এত বেশি শুল্ক আমাদের প্রতিযোগিতার ক্ষমতা কমিয়ে দেবে এবং বছরের পর বছর ধরে গড়ে ওঠা সরবরাহ শৃঙ্খলে সমস্যা তৈরির ঝুঁকি বাড়াবে।’
এদিকে, ২০২৪ সালে ভারত মেক্সিকোতে ৮ দশমিক ৯ বিলিয়ন ডলারের পণ্য রপ্তানি করেছিল, যেখানে মেক্সিকো থেকে আমদানি হয়েছিল ২ দশমিক ৯ বিলিয়ন ডলারের পণ্য। ভারত ও মেক্সিকোর মধ্যে চলমান আলোচনা, যার সঙ্গে মুক্ত বাণিজ্য চুক্তি আলোচনার সম্ভাবনাও যুক্ত, তা এই ক্রমবর্ধমান শুল্কের মুখে বাণিজ্যিক সম্পর্ককে স্থিতিশীল করতে এবং ভারতীয় রপ্তানিকারকদের স্বার্থ রক্ষা করতে সাহায্য করবে বলে আশা করা যায়।

সুদানের সবচেয়ে চাহিদাসম্পন্ন পণ্যের নাম ‘গাম অ্যারাবিক’। এটি কোমল পানীয়, ক্যানডি, চকলেট এমনকি প্রসাধনী সামগ্রী তৈরির একটি অন্যতম প্রধান উপাদান। কিন্তু সুদানে যুদ্ধের কারণে গাম অ্যারাবিক সরবরাহ করতে বেগ পেতে হচ্ছে আন্তর্জাতিক ভোগ্যপণ্য প্রস্তুতকারক প্রতিষ্ঠানগুলোকে।
০২ মে ২০২৩
ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র ও ঢাকা-৮ আসনের সম্ভাব্য স্বতন্ত্র প্রার্থী শরিফ ওসমান হাদিকে হত্যাচেষ্টায় সন্দেহভাজন ফয়সাল করিম মাসুদ এবং তাঁর আইটি প্রতিষ্ঠান অ্যাপল সফট আইটি লিমিটেডের সব ব্যাংক হিসাব জব্দ করেছে এনবিআরের কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সেল (সিআইসি)।
৩১ মিনিট আগে
স্বাস্থ্য খাতের ব্যয়ে দক্ষিণ এশিয়ায় সবচেয়ে পিছিয়ে বাংলাদেশ। স্বাস্থ্য খাতে বরাদ্দ জিডিপির মাত্র ১ শতাংশ এবং মাথাপিছু সরকারি ব্যয় মাত্র ১,০৭০ টাকা। দেশের প্রায় ৪৯ শতাংশ মানুষ এখনো মানসম্মত স্বাস্থ্যসেবা থেকে বঞ্চিত।
৮ ঘণ্টা আগে
অগ্রহায়ণের শীতের সকাল। সাইকেল ও ভ্যানের ওপরে থরে থরে সাজানো রঙিন ফুলে ভরে উঠেছে যশোরের গদখালীর বাজার। গোলাপ, গাঁদা, রজনীগন্ধা, জারবেরা, গ্লাডিওলাস, চন্দ্রমল্লিকা—ফুলের ঘ্রাণ আর দরদামের হাঁকডাকে মুখর পুরো এলাকা।
৮ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র ও ঢাকা-৮ আসনের সম্ভাব্য স্বতন্ত্র প্রার্থী শরিফ ওসমান হাদিকে হত্যাচেষ্টায় সন্দেহভাজন ফয়সাল করিম মাসুদ এবং তাঁর আইটি প্রতিষ্ঠান অ্যাপল সফট আইটি লিমিটেডের সব ব্যাংক হিসাব জব্দ করেছে এনবিআরের কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সেল (সিআইসি)।
আজ রোববার জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) ঊর্ধ্বতন এক সূত্র আজকের পত্রিকাকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
এনবিআরের এক ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা বলেন, ‘ওসমান হাদির ওপর হামলার পর যেহেতু ফয়সাল করিম মাসুদ প্রাথমিকভাবে অভিযুক্ত, সেহেতু গোয়েন্দা সংস্থাগুলো তাঁর বিভিন্ন বিষয় অনুসন্ধান করবে। আমরাও তাঁর আর্থিক কোনো অপরাধ আছে কি না, সেগুলোর অনুসন্ধান করব।’
এনবিআরের ওই জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা বলেন, ‘শোনা যাচ্ছে এবং অনেক আলোচনা রয়েছে যে এই ধরনের অপরাধ সংঘটিত করার জন্য এবং দেশে অস্থিতিশীল পরিস্থিতি তৈরির জন্য ভারত থেকে অনেক ফান্ডিং হচ্ছে। ফলে সে বিষয়গুলো খতিয়ে দেখার জন্য মূলত হিসাবগুলো ফ্রিজ করা হয়েছে।’
জানা গেছে, ফয়সাল করিম মাসুদ ওরফে দাউদ খান বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন অব সফটওয়্যার অ্যান্ড ইনফরমেশন সার্ভিসেসের (বেসিস) সদস্য।
এর আগে ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) পক্ষ থেকে সন্দেহভাজনের ছবি প্রকাশ করে তথ্য চাওয়া হয়েছে। পুলিশের বিবৃতিতে সন্দেহভাজন তরুণের নাম উল্লেখ করা না হলেও ছবি দেখে ‘ফয়সাল করিম মাসুদ ওরফে দাউদ খান’ বলে আন্দাজ করা যায়। এই তরুণকেও আগে হাদির সঙ্গে দেখা গেছে। তবে কয়েক দিন ধরে হাদির সঙ্গে গণসংযোগে থাকা মাস্ক পরা তরুণই যে ‘ফয়সাল করিম মাসুদ ওরফে দাউদ খান’ এমন কোনো তথ্য পুলিশের কাছ থেকে পাওয়া যায়নি।
অনুসন্ধানে দেখা যায়, ৯ ডিসেম্বর বাংলামোটর এলাকায় হাদির ইনকিলাব কালচারাল সেন্টারে গিয়ে হাদির পাশে বসে আলোচনা শুনছিলেন ফয়সাল করিম। সেই আলোচনার ছবিও ফেসবুকে ভাইরাল হয়েছে।
ফয়সাল করিম নামের তরুণ কার্যক্রম নিষিদ্ধ আওয়ামী লীগের নিষিদ্ধঘোষিত সহযোগী সংগঠন ছাত্রলীগের সঙ্গে জড়িত ছিলেন। ২০১৯ সালের ১১ মে ঘোষিত কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের পূর্ণাঙ্গ কমিটিতে তিনি সদস্য হন। তাঁর পুরো নাম ফয়সাল করিম দাউদ খান।

ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র ও ঢাকা-৮ আসনের সম্ভাব্য স্বতন্ত্র প্রার্থী শরিফ ওসমান হাদিকে হত্যাচেষ্টায় সন্দেহভাজন ফয়সাল করিম মাসুদ এবং তাঁর আইটি প্রতিষ্ঠান অ্যাপল সফট আইটি লিমিটেডের সব ব্যাংক হিসাব জব্দ করেছে এনবিআরের কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সেল (সিআইসি)।
আজ রোববার জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) ঊর্ধ্বতন এক সূত্র আজকের পত্রিকাকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
এনবিআরের এক ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা বলেন, ‘ওসমান হাদির ওপর হামলার পর যেহেতু ফয়সাল করিম মাসুদ প্রাথমিকভাবে অভিযুক্ত, সেহেতু গোয়েন্দা সংস্থাগুলো তাঁর বিভিন্ন বিষয় অনুসন্ধান করবে। আমরাও তাঁর আর্থিক কোনো অপরাধ আছে কি না, সেগুলোর অনুসন্ধান করব।’
এনবিআরের ওই জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা বলেন, ‘শোনা যাচ্ছে এবং অনেক আলোচনা রয়েছে যে এই ধরনের অপরাধ সংঘটিত করার জন্য এবং দেশে অস্থিতিশীল পরিস্থিতি তৈরির জন্য ভারত থেকে অনেক ফান্ডিং হচ্ছে। ফলে সে বিষয়গুলো খতিয়ে দেখার জন্য মূলত হিসাবগুলো ফ্রিজ করা হয়েছে।’
জানা গেছে, ফয়সাল করিম মাসুদ ওরফে দাউদ খান বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন অব সফটওয়্যার অ্যান্ড ইনফরমেশন সার্ভিসেসের (বেসিস) সদস্য।
এর আগে ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) পক্ষ থেকে সন্দেহভাজনের ছবি প্রকাশ করে তথ্য চাওয়া হয়েছে। পুলিশের বিবৃতিতে সন্দেহভাজন তরুণের নাম উল্লেখ করা না হলেও ছবি দেখে ‘ফয়সাল করিম মাসুদ ওরফে দাউদ খান’ বলে আন্দাজ করা যায়। এই তরুণকেও আগে হাদির সঙ্গে দেখা গেছে। তবে কয়েক দিন ধরে হাদির সঙ্গে গণসংযোগে থাকা মাস্ক পরা তরুণই যে ‘ফয়সাল করিম মাসুদ ওরফে দাউদ খান’ এমন কোনো তথ্য পুলিশের কাছ থেকে পাওয়া যায়নি।
অনুসন্ধানে দেখা যায়, ৯ ডিসেম্বর বাংলামোটর এলাকায় হাদির ইনকিলাব কালচারাল সেন্টারে গিয়ে হাদির পাশে বসে আলোচনা শুনছিলেন ফয়সাল করিম। সেই আলোচনার ছবিও ফেসবুকে ভাইরাল হয়েছে।
ফয়সাল করিম নামের তরুণ কার্যক্রম নিষিদ্ধ আওয়ামী লীগের নিষিদ্ধঘোষিত সহযোগী সংগঠন ছাত্রলীগের সঙ্গে জড়িত ছিলেন। ২০১৯ সালের ১১ মে ঘোষিত কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের পূর্ণাঙ্গ কমিটিতে তিনি সদস্য হন। তাঁর পুরো নাম ফয়সাল করিম দাউদ খান।

সুদানের সবচেয়ে চাহিদাসম্পন্ন পণ্যের নাম ‘গাম অ্যারাবিক’। এটি কোমল পানীয়, ক্যানডি, চকলেট এমনকি প্রসাধনী সামগ্রী তৈরির একটি অন্যতম প্রধান উপাদান। কিন্তু সুদানে যুদ্ধের কারণে গাম অ্যারাবিক সরবরাহ করতে বেগ পেতে হচ্ছে আন্তর্জাতিক ভোগ্যপণ্য প্রস্তুতকারক প্রতিষ্ঠানগুলোকে।
০২ মে ২০২৩
যুক্তরাষ্ট্রের পদাঙ্ক অনুসরণ করে ভারতের ওপর ৫০ শতাংশ শুল্ক আরোপ করেছে উত্তর আমেরিকার দেশ মেক্সিকো। এই শুল্ক বহাল থাকলে মেক্সিকোর বাজারে ভারতীয় পণ্যের প্রবেশ অনেক বেশি কঠিন হয়ে যাবে। মূলত, ভারতের সঙ্গে বিশাল বাণিজ্য ঘাটতি থাকায়, তা পুষিয়ে নিতেই ট্রাম্পের মতো করেই ভারতীয় রপ্তানি পণ্যের ওপর মেক্সিকোর
১৯ মিনিট আগে
স্বাস্থ্য খাতের ব্যয়ে দক্ষিণ এশিয়ায় সবচেয়ে পিছিয়ে বাংলাদেশ। স্বাস্থ্য খাতে বরাদ্দ জিডিপির মাত্র ১ শতাংশ এবং মাথাপিছু সরকারি ব্যয় মাত্র ১,০৭০ টাকা। দেশের প্রায় ৪৯ শতাংশ মানুষ এখনো মানসম্মত স্বাস্থ্যসেবা থেকে বঞ্চিত।
৮ ঘণ্টা আগে
অগ্রহায়ণের শীতের সকাল। সাইকেল ও ভ্যানের ওপরে থরে থরে সাজানো রঙিন ফুলে ভরে উঠেছে যশোরের গদখালীর বাজার। গোলাপ, গাঁদা, রজনীগন্ধা, জারবেরা, গ্লাডিওলাস, চন্দ্রমল্লিকা—ফুলের ঘ্রাণ আর দরদামের হাঁকডাকে মুখর পুরো এলাকা।
৮ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

স্বাস্থ্য খাতের ব্যয়ে দক্ষিণ এশিয়ায় সবচেয়ে পিছিয়ে বাংলাদেশ। স্বাস্থ্য খাতে বরাদ্দ জিডিপির মাত্র ১ শতাংশ এবং মাথাপিছু সরকারি ব্যয় মাত্র ১,০৭০ টাকা। দেশের প্রায় ৪৯ শতাংশ মানুষ এখনো মানসম্মত স্বাস্থ্যসেবা থেকে বঞ্চিত। এ কারণে প্রতিবছর প্রায় ৫ বিলিয়ন ডলার চিকিৎসার জন্য বিদেশে গিয়ে ব্যয় করছে বাংলাদেশি রোগীরা। অথচ দেশের স্বাস্থ্যসেবার বাজার বর্তমানে প্রায় ১৪ বিলিয়ন ডলার এবং আগামী আট বছরে আরও ৯ বিলিয়ন ডলার বাড়ার সম্ভাবনা রয়েছে, যা ২০৩৩ সালে ২৩ বিলিয়নে উন্নীত হতে পারে।
গতকাল শনিবার ঢাকা চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি (ডিসিসিআই) আয়োজিত ‘বাংলাদেশের স্বাস্থ্যসেবা খাতে আস্থা বৃদ্ধি; মান নিয়ন্ত্রণে কৌশলগত কাঠামো নিশ্চিতকরণ’ শীর্ষক সেমিনারে উপস্থাপিত মূল প্রবন্ধে এসব তথ্য তুলে ধরা হয়। রাজধানীর মতিঝিলে ডিসিসিআই কার্যালয়ে আয়োজিত সভায় জাতীয় অধ্যাপক ও বাংলাদেশ ডায়াবেটিক সমিতির সভাপতি এ কে আজাদ খান প্রধান অতিথি ছিলেন।
আলোচকেরা বলেন, অবকাঠামোর ঘাটতি, নতুন প্রযুক্তি ব্যবহারে পশ্চাৎপদতা, দক্ষ মানবসম্পদের সংকট, সেবার উচ্চ ব্যয়, কার্যকর তদারকির অভাব—এসব মিলিয়েই কাঙ্ক্ষিত স্বাস্থ্য উন্নয়ন অর্জিত হয়নি। অধ্যাপক এ কে আজাদ খান বলেন, কিছু ক্ষেত্রে অর্জন থাকলেও সামগ্রিকভাবে দেশের স্বাস্থ্যসেবা কাঙ্ক্ষিত মানে পৌঁছায়নি। উন্নত দেশ তো দূরের কথা, পার্শ্ববর্তী দেশের তুলনায়ও বাংলাদেশ পিছিয়ে রয়েছে। তাঁর মতে, ইউনিভার্সেল হেলথকেয়ার বাস্তবায়ন বাংলাদেশের পক্ষে সম্ভব নয়, তবে প্রাথমিক স্বাস্থ্যসেবায় জোর দেওয়া ছাড়া বিকল্প নেই। তিনি ব্যবস্থাপনায় উন্নয়ন ও বিকেন্দ্রীকরণের ওপর বিশেষ গুরুত্বারোপ করেন।
সেমিনারে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন ইউনাইটেড হাসপাতালের ব্যবস্থাপনা পরিচালক এবং ডিসিসিআইয়ের সাবেক সহসভাপতি মালিক তালহা ইসমাইল বারী। তিনি জানান, সীমিত বাজেট, অদক্ষ ব্যবস্থাপনা, মানের ঘাটতি, শহর-গ্রামের বৈষম্য, বাড়তি ব্যয়, দুর্বল নিয়ন্ত্রণব্যবস্থা—এসব কারণেই স্বাস্থ্য খাতের চ্যালেঞ্জ তৈরি হয়েছে। যার ফলে তুলনামূলক উন্নত চিকিৎসার জন্য বিপুলসংখ্যক রোগী বিদেশমুখী হওয়ায় বছরে ৫ বিলিয়ন ডলার বাইরে চলে যাচ্ছে।
ঢাকা চেম্বারের সভাপতি তাসকীন আহমেদ বলেন, মানসম্মত ও রোগীবান্ধব সেবা নিশ্চিতে কাঠামোগত ঘাটতি, দক্ষ জনবলস্বল্পতা, অনুমোদনহীন ক্লিনিক-ফার্মেসির বিস্তার, ভুল রোগনির্ণয়, ভুয়া ওষুধ এবং আইন প্রয়োগের দুর্বলতা জনস্বাস্থ্য আস্থাকে ক্ষতিগ্রস্ত করছে। স্বাস্থ্যবিমা কার্যকর না হওয়ায় ৭৪ শতাংশ ব্যয় রোগীকেই বহন করতে হয়, যা নিম্ন ও মধ্য আয়ের মানুষের জন্য বড় ঝুঁকি।
নির্ধারিত আলোচনায় অধ্যাপক সৈয়দ আতিকুল হক সরকারি হাসপাতালের মানোন্নয়নকে সর্বোচ্চ জরুরি বলে মনে করেন। ইউনিভার্সেল মেডিকেলের চেয়ারম্যান প্রীতি চক্রবর্তী স্বাস্থ্য খাতে আস্থা পুনরুদ্ধারে সরকারি-বেসরকারি সমন্বয় ও পিপিপি ব্যবস্থার প্রয়োজনীয়তা তুলে ধরেন।

স্বাস্থ্য খাতের ব্যয়ে দক্ষিণ এশিয়ায় সবচেয়ে পিছিয়ে বাংলাদেশ। স্বাস্থ্য খাতে বরাদ্দ জিডিপির মাত্র ১ শতাংশ এবং মাথাপিছু সরকারি ব্যয় মাত্র ১,০৭০ টাকা। দেশের প্রায় ৪৯ শতাংশ মানুষ এখনো মানসম্মত স্বাস্থ্যসেবা থেকে বঞ্চিত। এ কারণে প্রতিবছর প্রায় ৫ বিলিয়ন ডলার চিকিৎসার জন্য বিদেশে গিয়ে ব্যয় করছে বাংলাদেশি রোগীরা। অথচ দেশের স্বাস্থ্যসেবার বাজার বর্তমানে প্রায় ১৪ বিলিয়ন ডলার এবং আগামী আট বছরে আরও ৯ বিলিয়ন ডলার বাড়ার সম্ভাবনা রয়েছে, যা ২০৩৩ সালে ২৩ বিলিয়নে উন্নীত হতে পারে।
গতকাল শনিবার ঢাকা চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি (ডিসিসিআই) আয়োজিত ‘বাংলাদেশের স্বাস্থ্যসেবা খাতে আস্থা বৃদ্ধি; মান নিয়ন্ত্রণে কৌশলগত কাঠামো নিশ্চিতকরণ’ শীর্ষক সেমিনারে উপস্থাপিত মূল প্রবন্ধে এসব তথ্য তুলে ধরা হয়। রাজধানীর মতিঝিলে ডিসিসিআই কার্যালয়ে আয়োজিত সভায় জাতীয় অধ্যাপক ও বাংলাদেশ ডায়াবেটিক সমিতির সভাপতি এ কে আজাদ খান প্রধান অতিথি ছিলেন।
আলোচকেরা বলেন, অবকাঠামোর ঘাটতি, নতুন প্রযুক্তি ব্যবহারে পশ্চাৎপদতা, দক্ষ মানবসম্পদের সংকট, সেবার উচ্চ ব্যয়, কার্যকর তদারকির অভাব—এসব মিলিয়েই কাঙ্ক্ষিত স্বাস্থ্য উন্নয়ন অর্জিত হয়নি। অধ্যাপক এ কে আজাদ খান বলেন, কিছু ক্ষেত্রে অর্জন থাকলেও সামগ্রিকভাবে দেশের স্বাস্থ্যসেবা কাঙ্ক্ষিত মানে পৌঁছায়নি। উন্নত দেশ তো দূরের কথা, পার্শ্ববর্তী দেশের তুলনায়ও বাংলাদেশ পিছিয়ে রয়েছে। তাঁর মতে, ইউনিভার্সেল হেলথকেয়ার বাস্তবায়ন বাংলাদেশের পক্ষে সম্ভব নয়, তবে প্রাথমিক স্বাস্থ্যসেবায় জোর দেওয়া ছাড়া বিকল্প নেই। তিনি ব্যবস্থাপনায় উন্নয়ন ও বিকেন্দ্রীকরণের ওপর বিশেষ গুরুত্বারোপ করেন।
সেমিনারে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন ইউনাইটেড হাসপাতালের ব্যবস্থাপনা পরিচালক এবং ডিসিসিআইয়ের সাবেক সহসভাপতি মালিক তালহা ইসমাইল বারী। তিনি জানান, সীমিত বাজেট, অদক্ষ ব্যবস্থাপনা, মানের ঘাটতি, শহর-গ্রামের বৈষম্য, বাড়তি ব্যয়, দুর্বল নিয়ন্ত্রণব্যবস্থা—এসব কারণেই স্বাস্থ্য খাতের চ্যালেঞ্জ তৈরি হয়েছে। যার ফলে তুলনামূলক উন্নত চিকিৎসার জন্য বিপুলসংখ্যক রোগী বিদেশমুখী হওয়ায় বছরে ৫ বিলিয়ন ডলার বাইরে চলে যাচ্ছে।
ঢাকা চেম্বারের সভাপতি তাসকীন আহমেদ বলেন, মানসম্মত ও রোগীবান্ধব সেবা নিশ্চিতে কাঠামোগত ঘাটতি, দক্ষ জনবলস্বল্পতা, অনুমোদনহীন ক্লিনিক-ফার্মেসির বিস্তার, ভুল রোগনির্ণয়, ভুয়া ওষুধ এবং আইন প্রয়োগের দুর্বলতা জনস্বাস্থ্য আস্থাকে ক্ষতিগ্রস্ত করছে। স্বাস্থ্যবিমা কার্যকর না হওয়ায় ৭৪ শতাংশ ব্যয় রোগীকেই বহন করতে হয়, যা নিম্ন ও মধ্য আয়ের মানুষের জন্য বড় ঝুঁকি।
নির্ধারিত আলোচনায় অধ্যাপক সৈয়দ আতিকুল হক সরকারি হাসপাতালের মানোন্নয়নকে সর্বোচ্চ জরুরি বলে মনে করেন। ইউনিভার্সেল মেডিকেলের চেয়ারম্যান প্রীতি চক্রবর্তী স্বাস্থ্য খাতে আস্থা পুনরুদ্ধারে সরকারি-বেসরকারি সমন্বয় ও পিপিপি ব্যবস্থার প্রয়োজনীয়তা তুলে ধরেন।

সুদানের সবচেয়ে চাহিদাসম্পন্ন পণ্যের নাম ‘গাম অ্যারাবিক’। এটি কোমল পানীয়, ক্যানডি, চকলেট এমনকি প্রসাধনী সামগ্রী তৈরির একটি অন্যতম প্রধান উপাদান। কিন্তু সুদানে যুদ্ধের কারণে গাম অ্যারাবিক সরবরাহ করতে বেগ পেতে হচ্ছে আন্তর্জাতিক ভোগ্যপণ্য প্রস্তুতকারক প্রতিষ্ঠানগুলোকে।
০২ মে ২০২৩
যুক্তরাষ্ট্রের পদাঙ্ক অনুসরণ করে ভারতের ওপর ৫০ শতাংশ শুল্ক আরোপ করেছে উত্তর আমেরিকার দেশ মেক্সিকো। এই শুল্ক বহাল থাকলে মেক্সিকোর বাজারে ভারতীয় পণ্যের প্রবেশ অনেক বেশি কঠিন হয়ে যাবে। মূলত, ভারতের সঙ্গে বিশাল বাণিজ্য ঘাটতি থাকায়, তা পুষিয়ে নিতেই ট্রাম্পের মতো করেই ভারতীয় রপ্তানি পণ্যের ওপর মেক্সিকোর
১৯ মিনিট আগে
ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র ও ঢাকা-৮ আসনের সম্ভাব্য স্বতন্ত্র প্রার্থী শরিফ ওসমান হাদিকে হত্যাচেষ্টায় সন্দেহভাজন ফয়সাল করিম মাসুদ এবং তাঁর আইটি প্রতিষ্ঠান অ্যাপল সফট আইটি লিমিটেডের সব ব্যাংক হিসাব জব্দ করেছে এনবিআরের কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সেল (সিআইসি)।
৩১ মিনিট আগে
অগ্রহায়ণের শীতের সকাল। সাইকেল ও ভ্যানের ওপরে থরে থরে সাজানো রঙিন ফুলে ভরে উঠেছে যশোরের গদখালীর বাজার। গোলাপ, গাঁদা, রজনীগন্ধা, জারবেরা, গ্লাডিওলাস, চন্দ্রমল্লিকা—ফুলের ঘ্রাণ আর দরদামের হাঁকডাকে মুখর পুরো এলাকা।
৮ ঘণ্টা আগেযশোর প্রতিনিধি

অগ্রহায়ণের শীতের সকাল। সাইকেল ও ভ্যানের ওপরে থরে থরে সাজানো রঙিন ফুলে ভরে উঠেছে যশোরের গদখালীর বাজার। গোলাপ, গাঁদা, রজনীগন্ধা, জারবেরা, গ্লাডিওলাস, চন্দ্রমল্লিকা—ফুলের ঘ্রাণ আর দরদামের হাঁকডাকে মুখর পুরো এলাকা। বুদ্ধিজীবী দিবস ও বিজয় দিবসকে কেন্দ্র করে ফুলের রাজধানী খ্যাত গদখালীতে গতকাল শনিবার জমে ওঠে বছরের বড় হাট।
যশোর-বেনাপোল মহাসড়কের পাশে বসা এই বাজারে এদিন প্রায় ২ কোটি টাকার ফুল বেচাকেনা হয়েছে বলে দাবি ব্যবসায়ীদের। চাহিদা বাড়ায় অন্যান্য দিনের তুলনায় কয়েক গুণ বেশি ফুলের সরবরাহ ও কেনাবেচা হয়েছে। অতিবৃষ্টিতে চলতি মৌসুমে যে ক্ষতি হয়েছিল, তা কিছুটা হলেও পুষিয়ে নেওয়ার আশা করছেন ফুলচাষিরা।
গতকাল বাজারে সবচেয়ে বেশি এসেছে গাঁদা ফুল। মানভেদে প্রতি হাজার গাঁদা ফুল বিক্রি হয়েছে ২০০-৪০০ টাকায়। তবে সরবরাহ বেশি থাকায় দাম তুলনামূলক কম। বিপরীতে চড়া দামে বিক্রি হয়েছে অন্যান্য ফুল।
চন্দ্রমল্লিকা বিক্রি হয় ২, জারবেরা ১৬-১৮, গ্লাডিওলাস ১৬-২০, রজনীগন্ধা ১০-১৪, গোলাপ ৮-১০ এবং ভুট্টা ফুল প্রতিটি সর্বোচ্চ ১৫ টাকা দরে।
ফুলচাষি খালেদুর রহমান টিটু বলেন, ‘বিজয় দিবস ও বুদ্ধিজীবী দিবসের বাজার ধরার জন্য কয়েক মাস ধরে গাঁদা ফুলের পরিচর্যা করেছি। গাঁদার কাঙ্ক্ষিত দাম পাইনি, তবে অন্য ফুলের দাম ভালো থাকায় ক্ষতি কিছুটা পুষিয়ে নেওয়া যাবে।’
রজনীগন্ধার চাষি রফিকুল ইসলাম জানান, দুই বিঘা জমিতে চাষ করা ফুল এবার ভালো দামে বিক্রি হচ্ছে। তিনি বলেন, ‘আজ ৯০০টি রজনীগন্ধা ১৪ টাকা পিস দরে বিক্রি করেছি। গতকাল ছিল ৯ টাকা। সামনে দাম আরও বাড়ার সম্ভাবনা আছে।’
কৃষি বিভাগের তথ্যমতে, যশোর জেলায় প্রায় দেড় হাজার হেক্টর জমিতে ১১ ধরনের ফুলের বাণিজ্যিক চাষ হয়। ডিসেম্বর থেকে মার্চ—এই চার মাসই ফুলের প্রধান মৌসুম। এ সময় অন্তত ৭-৮টি গুরুত্বপূর্ণ দিবসকে ঘিরে ১৫০-২০০ কোটি টাকার ফুল বেচাকেনার লক্ষ্য থাকে স্থানীয় চাষি ও ব্যবসায়ীদের।
গদখালী ফুলচাষি ও ব্যবসায়ী সমিতির সহসভাপতি মঞ্জুর আলম বলেন, বিভিন্ন জাতীয় দিবসকে সামনে রেখে চাষিরা ফুল উৎপাদন করেন। এবার গাঁদা ফুলের উৎপাদন চাহিদার চেয়ে বেশি হওয়ায় এর দাম কম। তবে গাঁদা ছাড়া প্রায় সব ফুলের দাম ঊর্ধ্বমুখী। গতকালের হাটে প্রায় ২ কোটি টাকার ফুল বেচাকেনা হয়েছে।

অগ্রহায়ণের শীতের সকাল। সাইকেল ও ভ্যানের ওপরে থরে থরে সাজানো রঙিন ফুলে ভরে উঠেছে যশোরের গদখালীর বাজার। গোলাপ, গাঁদা, রজনীগন্ধা, জারবেরা, গ্লাডিওলাস, চন্দ্রমল্লিকা—ফুলের ঘ্রাণ আর দরদামের হাঁকডাকে মুখর পুরো এলাকা। বুদ্ধিজীবী দিবস ও বিজয় দিবসকে কেন্দ্র করে ফুলের রাজধানী খ্যাত গদখালীতে গতকাল শনিবার জমে ওঠে বছরের বড় হাট।
যশোর-বেনাপোল মহাসড়কের পাশে বসা এই বাজারে এদিন প্রায় ২ কোটি টাকার ফুল বেচাকেনা হয়েছে বলে দাবি ব্যবসায়ীদের। চাহিদা বাড়ায় অন্যান্য দিনের তুলনায় কয়েক গুণ বেশি ফুলের সরবরাহ ও কেনাবেচা হয়েছে। অতিবৃষ্টিতে চলতি মৌসুমে যে ক্ষতি হয়েছিল, তা কিছুটা হলেও পুষিয়ে নেওয়ার আশা করছেন ফুলচাষিরা।
গতকাল বাজারে সবচেয়ে বেশি এসেছে গাঁদা ফুল। মানভেদে প্রতি হাজার গাঁদা ফুল বিক্রি হয়েছে ২০০-৪০০ টাকায়। তবে সরবরাহ বেশি থাকায় দাম তুলনামূলক কম। বিপরীতে চড়া দামে বিক্রি হয়েছে অন্যান্য ফুল।
চন্দ্রমল্লিকা বিক্রি হয় ২, জারবেরা ১৬-১৮, গ্লাডিওলাস ১৬-২০, রজনীগন্ধা ১০-১৪, গোলাপ ৮-১০ এবং ভুট্টা ফুল প্রতিটি সর্বোচ্চ ১৫ টাকা দরে।
ফুলচাষি খালেদুর রহমান টিটু বলেন, ‘বিজয় দিবস ও বুদ্ধিজীবী দিবসের বাজার ধরার জন্য কয়েক মাস ধরে গাঁদা ফুলের পরিচর্যা করেছি। গাঁদার কাঙ্ক্ষিত দাম পাইনি, তবে অন্য ফুলের দাম ভালো থাকায় ক্ষতি কিছুটা পুষিয়ে নেওয়া যাবে।’
রজনীগন্ধার চাষি রফিকুল ইসলাম জানান, দুই বিঘা জমিতে চাষ করা ফুল এবার ভালো দামে বিক্রি হচ্ছে। তিনি বলেন, ‘আজ ৯০০টি রজনীগন্ধা ১৪ টাকা পিস দরে বিক্রি করেছি। গতকাল ছিল ৯ টাকা। সামনে দাম আরও বাড়ার সম্ভাবনা আছে।’
কৃষি বিভাগের তথ্যমতে, যশোর জেলায় প্রায় দেড় হাজার হেক্টর জমিতে ১১ ধরনের ফুলের বাণিজ্যিক চাষ হয়। ডিসেম্বর থেকে মার্চ—এই চার মাসই ফুলের প্রধান মৌসুম। এ সময় অন্তত ৭-৮টি গুরুত্বপূর্ণ দিবসকে ঘিরে ১৫০-২০০ কোটি টাকার ফুল বেচাকেনার লক্ষ্য থাকে স্থানীয় চাষি ও ব্যবসায়ীদের।
গদখালী ফুলচাষি ও ব্যবসায়ী সমিতির সহসভাপতি মঞ্জুর আলম বলেন, বিভিন্ন জাতীয় দিবসকে সামনে রেখে চাষিরা ফুল উৎপাদন করেন। এবার গাঁদা ফুলের উৎপাদন চাহিদার চেয়ে বেশি হওয়ায় এর দাম কম। তবে গাঁদা ছাড়া প্রায় সব ফুলের দাম ঊর্ধ্বমুখী। গতকালের হাটে প্রায় ২ কোটি টাকার ফুল বেচাকেনা হয়েছে।

সুদানের সবচেয়ে চাহিদাসম্পন্ন পণ্যের নাম ‘গাম অ্যারাবিক’। এটি কোমল পানীয়, ক্যানডি, চকলেট এমনকি প্রসাধনী সামগ্রী তৈরির একটি অন্যতম প্রধান উপাদান। কিন্তু সুদানে যুদ্ধের কারণে গাম অ্যারাবিক সরবরাহ করতে বেগ পেতে হচ্ছে আন্তর্জাতিক ভোগ্যপণ্য প্রস্তুতকারক প্রতিষ্ঠানগুলোকে।
০২ মে ২০২৩
যুক্তরাষ্ট্রের পদাঙ্ক অনুসরণ করে ভারতের ওপর ৫০ শতাংশ শুল্ক আরোপ করেছে উত্তর আমেরিকার দেশ মেক্সিকো। এই শুল্ক বহাল থাকলে মেক্সিকোর বাজারে ভারতীয় পণ্যের প্রবেশ অনেক বেশি কঠিন হয়ে যাবে। মূলত, ভারতের সঙ্গে বিশাল বাণিজ্য ঘাটতি থাকায়, তা পুষিয়ে নিতেই ট্রাম্পের মতো করেই ভারতীয় রপ্তানি পণ্যের ওপর মেক্সিকোর
১৯ মিনিট আগে
ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র ও ঢাকা-৮ আসনের সম্ভাব্য স্বতন্ত্র প্রার্থী শরিফ ওসমান হাদিকে হত্যাচেষ্টায় সন্দেহভাজন ফয়সাল করিম মাসুদ এবং তাঁর আইটি প্রতিষ্ঠান অ্যাপল সফট আইটি লিমিটেডের সব ব্যাংক হিসাব জব্দ করেছে এনবিআরের কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সেল (সিআইসি)।
৩১ মিনিট আগে
স্বাস্থ্য খাতের ব্যয়ে দক্ষিণ এশিয়ায় সবচেয়ে পিছিয়ে বাংলাদেশ। স্বাস্থ্য খাতে বরাদ্দ জিডিপির মাত্র ১ শতাংশ এবং মাথাপিছু সরকারি ব্যয় মাত্র ১,০৭০ টাকা। দেশের প্রায় ৪৯ শতাংশ মানুষ এখনো মানসম্মত স্বাস্থ্যসেবা থেকে বঞ্চিত।
৮ ঘণ্টা আগে