নিজস্ব প্রতিবেদক, রাজশাহী
পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় প্রতিমন্ত্রী মো. আব্দুল ওয়াদুদ দারা বলেছেন, বাংলাদেশ সমবায় ব্যাংক এমন কোনো কাজ নেই যা করতে পারবে না। শুধু মানুষের অভাবে, নেতৃত্বের অভাবে এবং লুটেরাদের জন্য এই ব্যাংক আজ ধ্বংসের দ্বারপ্রান্তে।
আজ শনিবার বিকেলে রাজশাহী সার্কিট হাউসের সভাকক্ষে রাজশাহীর সমবায় বিভাগ ও বাংলাদেশ পল্লী উন্নয়ন বোর্ডের (বিআরডিবি) কর্মকর্তাদের সঙ্গে মতবিনিময় ও ঋণের চেক বিতরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এই মন্তব্য করেন।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘বাংলাদেশ নয়, ইস্ট পাকিস্তান তথা ১৯৪৮ সালের ব্যাংক হচ্ছে সমবায় ব্যাংক, যার সিরিয়াল নম্বর চার। শুধু নেতৃত্বের অভাবে এই ব্যাংকের সব শেষ। আমি জানি না নেতৃত্ব দিতে পারব কিনা। তবে আপনাদের সবার সাহায্য–সহযোগিতায় আমি একটু আলোড়ন তৈরি করার চেষ্টা করছি। আমি না আসলে আপনার ১ লাখ টাকা ঋণ কোনো দিনই পেতেন না। ব্যাংকই চলে না। লোন চাইতে গেলে ব্যাংকের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান বলেন যে, স্যার মূলধন থেকে বেতন দিচ্ছি। আমি বললাম, তাহলে ব্যাংক রাখছেন কেন, বন্ধ করে দেন। আপনাদের বেতন নিতে কোনো সমস্যা হচ্ছে না, আর লোন দিতে গেলেই সমস্যা হচ্ছে?’
তিনি বলেন, ‘একজন রিকশাচালক, একজন দিনমজুর এই শহরে ৪০ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রায় মাত্র ৫০০ টাকা রোজগার করার জন্য পরিশ্রম করছে। তারা কখনো মাথা ঘুরে পড়ে যাচ্ছে। অথচ আমরা হয়তো মেধার গুণে কিংবা তদবিরের গুণে একটি সুযোগ পেয়েও তা কাজে লাগাচ্ছি না। আমরা কেন এত স্বার্থপর হব? আমি কেন একটু পরিশ্রম করে আর ১০টি লোকের সুবিধা কেন করে দেব না?’
প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘যদিও বাংলাদেশ একটি দেশ যেখানে অনেক ব্যর্থতার গ্লানি বয়ে বেড়িয়েছি। কিন্তু দেখেন, গত ১৭ বছরে জাতির জনকের কন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনা আমাদের সাহসী করেছেন। সবকিছুই খুব নাইসলি হচ্ছে। সত্তর–একাত্তর সালে রাজশাহীর ডিসি সাহেবের ভাঙা চেয়ারে খুঁটি মারা ছিল। এই দেশ গড়েছেন শেখ হাসিনা, তাই আমরা এখন ভালো আছি।’
কর্মকর্তাদের প্রতি আহ্বান জানিয়ে প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘আমাদের বিপুল জনসংখ্যা আউটসাইড হয়ে যাচ্ছে। এদের জন্য বেশি না, আপনারা তিনটি বছর একটু মনযোগ দিয়ে কাজ করেন। আপনারা যার যে কাজ তা সঠিকভাবে পালন করেন। তাহলে দেখবেন, সবকিছু সহজ হয়ে গেছে। আমাদের টার্গেট বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলাদেশ গড়ার। এভাবে কাজ করতে পারলে তাঁর স্বপ্ন বাস্তবায়ন সহজ হয়ে যাবে। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী সিদ্ধান্তকে আমরা বাস্তবে রূপ দিয়ে দেখিয়ে দেব। এ জন্য চাপ নিতে হবে।’
মতবিনিময় সভা শেষে প্রতিমন্ত্রী রাজশাহীর চারঘাট উপজেলার ‘কালুহাটি পাদুকা শিল্প মালিক সমিতি লিমিটেড’ এর ১৭ জন সদস্যকে বাংলাদেশ সমবায় ব্যাংক লিমিটেড এর প্রকল্প ঋণ এবং বিআরডিবি এর আওতাধীন কৃষক সমবায় সমিতিকে এক লাখ টাক করে চেক বিতরণ করেন।
রাজশাহীর জেলা প্রশাসক শামীম আহমেদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন রাজশাহী বিভাগীয় সমবায় কার্যালয়ের যুগ্ম নিবন্ধক মো. মোখলেসুর রহমান ও রাজশাহী বিআরডিবির উপপরিচালক এ কে এম জাকিরুল ইসলাম।
পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় প্রতিমন্ত্রী মো. আব্দুল ওয়াদুদ দারা বলেছেন, বাংলাদেশ সমবায় ব্যাংক এমন কোনো কাজ নেই যা করতে পারবে না। শুধু মানুষের অভাবে, নেতৃত্বের অভাবে এবং লুটেরাদের জন্য এই ব্যাংক আজ ধ্বংসের দ্বারপ্রান্তে।
আজ শনিবার বিকেলে রাজশাহী সার্কিট হাউসের সভাকক্ষে রাজশাহীর সমবায় বিভাগ ও বাংলাদেশ পল্লী উন্নয়ন বোর্ডের (বিআরডিবি) কর্মকর্তাদের সঙ্গে মতবিনিময় ও ঋণের চেক বিতরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এই মন্তব্য করেন।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘বাংলাদেশ নয়, ইস্ট পাকিস্তান তথা ১৯৪৮ সালের ব্যাংক হচ্ছে সমবায় ব্যাংক, যার সিরিয়াল নম্বর চার। শুধু নেতৃত্বের অভাবে এই ব্যাংকের সব শেষ। আমি জানি না নেতৃত্ব দিতে পারব কিনা। তবে আপনাদের সবার সাহায্য–সহযোগিতায় আমি একটু আলোড়ন তৈরি করার চেষ্টা করছি। আমি না আসলে আপনার ১ লাখ টাকা ঋণ কোনো দিনই পেতেন না। ব্যাংকই চলে না। লোন চাইতে গেলে ব্যাংকের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান বলেন যে, স্যার মূলধন থেকে বেতন দিচ্ছি। আমি বললাম, তাহলে ব্যাংক রাখছেন কেন, বন্ধ করে দেন। আপনাদের বেতন নিতে কোনো সমস্যা হচ্ছে না, আর লোন দিতে গেলেই সমস্যা হচ্ছে?’
তিনি বলেন, ‘একজন রিকশাচালক, একজন দিনমজুর এই শহরে ৪০ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রায় মাত্র ৫০০ টাকা রোজগার করার জন্য পরিশ্রম করছে। তারা কখনো মাথা ঘুরে পড়ে যাচ্ছে। অথচ আমরা হয়তো মেধার গুণে কিংবা তদবিরের গুণে একটি সুযোগ পেয়েও তা কাজে লাগাচ্ছি না। আমরা কেন এত স্বার্থপর হব? আমি কেন একটু পরিশ্রম করে আর ১০টি লোকের সুবিধা কেন করে দেব না?’
প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘যদিও বাংলাদেশ একটি দেশ যেখানে অনেক ব্যর্থতার গ্লানি বয়ে বেড়িয়েছি। কিন্তু দেখেন, গত ১৭ বছরে জাতির জনকের কন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনা আমাদের সাহসী করেছেন। সবকিছুই খুব নাইসলি হচ্ছে। সত্তর–একাত্তর সালে রাজশাহীর ডিসি সাহেবের ভাঙা চেয়ারে খুঁটি মারা ছিল। এই দেশ গড়েছেন শেখ হাসিনা, তাই আমরা এখন ভালো আছি।’
কর্মকর্তাদের প্রতি আহ্বান জানিয়ে প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘আমাদের বিপুল জনসংখ্যা আউটসাইড হয়ে যাচ্ছে। এদের জন্য বেশি না, আপনারা তিনটি বছর একটু মনযোগ দিয়ে কাজ করেন। আপনারা যার যে কাজ তা সঠিকভাবে পালন করেন। তাহলে দেখবেন, সবকিছু সহজ হয়ে গেছে। আমাদের টার্গেট বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলাদেশ গড়ার। এভাবে কাজ করতে পারলে তাঁর স্বপ্ন বাস্তবায়ন সহজ হয়ে যাবে। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী সিদ্ধান্তকে আমরা বাস্তবে রূপ দিয়ে দেখিয়ে দেব। এ জন্য চাপ নিতে হবে।’
মতবিনিময় সভা শেষে প্রতিমন্ত্রী রাজশাহীর চারঘাট উপজেলার ‘কালুহাটি পাদুকা শিল্প মালিক সমিতি লিমিটেড’ এর ১৭ জন সদস্যকে বাংলাদেশ সমবায় ব্যাংক লিমিটেড এর প্রকল্প ঋণ এবং বিআরডিবি এর আওতাধীন কৃষক সমবায় সমিতিকে এক লাখ টাক করে চেক বিতরণ করেন।
রাজশাহীর জেলা প্রশাসক শামীম আহমেদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন রাজশাহী বিভাগীয় সমবায় কার্যালয়ের যুগ্ম নিবন্ধক মো. মোখলেসুর রহমান ও রাজশাহী বিআরডিবির উপপরিচালক এ কে এম জাকিরুল ইসলাম।
রাজধানীর মোহাম্মদপুরে রামচন্দ্রপুর খালে দুই দিনের পরিচ্ছন্নতা কার্যক্রম পরিচালিত হয়েছে। গত ২০ ও ২১ জুন তারিখে পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়, ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন (ডিএনসিসি), ফুটস্টেপস বাংলাদেশের সঙ্গে যৌথভাবে এই কার্যক্রমে অংশ নেয় আইডিএলসি ফাইন্যান্স।
১ ঘণ্টা আগেঅন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠকে ৭ লাখ ৯০ হাজার কোটি টাকার বাজেট অনুমোদিত হয়েছে। আজ রোববার এ বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়।
২ ঘণ্টা আগেদেশীয় মৌসুমি ফলের সরবরাহ বেড়ে যাওয়ায় রাজধানীর ফলের বাজারে নেমেছে স্বস্তির ছোঁয়া। আম, কাঁঠাল, লিচু, লটকন, পেয়ারা, আনারস, ড্রাগনের মতো ফলের প্রাচুর্যে শুধু দেশীয় ফল নয়; দাম কমেছে আমদানিকৃত আপেল, মাল্টা, আঙুরেরও।
১১ ঘণ্টা আগেবেনাপোল স্থলবন্দরে আমদানি-রপ্তানি কার্যক্রমে ব্যবসায়ীদের খরচ বাড়ছে। হ্যান্ডলিংয়ের আগে পণ্য চালান পরীক্ষার নামে এই অতিরিক্ত খরচ চাপ দিচ্ছে। প্রতিটি চালানে ১৫-২৫ হাজার টাকা পর্যন্ত অতিরিক্ত ব্যয় হচ্ছে। কখনো কখনো রিপোর্ট পেতে সময় লাগছে এক মাসেরও বেশি, আর ওই সময় পণ্য বন্দরে আটকা পড়ে।
১৫ ঘণ্টা আগে