শাহ আলম খান, ঢাকা

যখন এআই, অটোমেশন আর ক্লাউড প্রযুক্তি ব্যবসা বদলে দিচ্ছে সারা বিশ্বে, তখন বাংলাদেশের এসএমই খাতের বেশির ভাগ উদ্যোক্তা এখনো খাতা-কলমে হিসাব রাখেন, হাতে করে অর্ডার সামলান, আর ফেসবুকে ছবি পোস্ট করাকেই ধরেন ডিজিটাল বিপণন। জিডিপির প্রায় এক-চতুর্থাংশে অবদান রেখেও এই খাতের ৯৫ শতাংশ প্রতিষ্ঠান প্রযুক্তির বাইরে। তথ্য নেই, দিকনির্দেশনা নেই, দক্ষতা তৈরির সুযোগও সীমিত; ফলে আধুনিক ব্যবসার মূলস্রোতের সম্পর্ক ছিন্ন তাদের। প্রযুক্তিবিশারদেরা বলছেন, ব্যবসায় প্রযুক্তি এখন আর বিলাসিতা নয়, বরং টিকে থাকার শর্ত। অন্যদিকে অর্থনীতিবিদেরা বলছেন, এ লড়াইয়ে পিছিয়ে পড়া মানেই শুধু নিজের ক্ষতি নয়, জাতীয় প্রবৃদ্ধিকেও টেনে ধরা।
জাতীয় এসএমই নীতিতে প্রযুক্তিনির্ভর উন্নয়নের কথা থাকলেও বাস্তবে তা কার্যকর হয়নি। উদ্যোক্তারা জানেন না কী প্রযুক্তি প্রয়োজন, কোথায় পাবেন, কীভাবে শুরু করবেন। তথ্য, পরামর্শ ও অর্থের ঘাটতিতে প্রযুক্তি তাঁদের কাছে এক দুর্লভ ও জটিল বিষয়। সহনীয় কর-ভ্যাটের অভাব এবং অব্যাহতির সংকোচন প্রযুক্তি খাতে অগ্রযাত্রা থামিয়ে দিয়েছে। আগে যেখানে আইসিটির ২৭টি খাত করমুক্ত ছিল, ২০২৪-২৫ সালে তা কমে ১৯-এ নেমেছে। ফলে ৮৫% কর্মসংস্থান জোগানো খাতটি এখনো প্রযুক্তিগত প্রস্তুতির শুরুতেই আটকে আছে।
এসবের প্রভাব পড়ছে উৎপাদন ও ব্যবসার প্রবৃদ্ধিতে। দেশের এসএমই খাত, প্রযুক্তির ঘাটতিতে প্রতিবছর ৩-৫ শতাংশ উৎপাদনশীলতা হারাচ্ছে, এই তথ্য বিশ্বব্যাংকের। বিপরীতে, সঠিক নীতি ও ডিজিটাল ব্যবস্থায় এই খাত থেকে ৮-১০ শতাংশ প্রবৃদ্ধি সম্ভব। বিআইডিএস বলছে, যারা প্রযুক্তি এনেছে, তাদের বিক্রি বেড়েছে গড়ে ১৭ শতাংশ। এই পরিসংখ্যানের বাস্তব উদাহরণ গাজীপুরের গ্রিন হ্যান্ড টেক্সটাইল। প্রতিষ্ঠানটির কর্ণধার মাহফুজা ইসলাম আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘প্রযুক্তি আমার অপচয় কমিয়েছে, মান ঠিক রেখেছে, আর বিদেশি ক্রেতা বুঝতে শিখিয়েছে। এতে আমার ব্যবসায়িক প্রবৃদ্ধিও ভালো হচ্ছে।’
অর্থনীতিবিদদের মতে, প্রযুক্তি গ্রহণে দেরি হলে এসএমই খাত ভবিষ্যৎ প্রতিযোগিতায় টিকে থাকতে পারবে না। এ প্রসঙ্গে বেসরকারি আর্থিক গবেষণা প্রতিষ্ঠান সিপিডির বিশেষ ফেলো ও জ্যেষ্ঠ অর্থনীতিবিদ ড. মোস্তাফিজুর রহমান আজকের পত্রিকাকে বলেন, তথ্যপ্রযুক্তি ছাড়া এসএমই এগোতে পারবে না। উৎপাদন ও প্রবৃদ্ধি থমকে যাবে, আর সক্ষমদের সঙ্গে পাল্লায় না পেরে অনেকে সরে দাঁড়াতে বাধ্য হবেন। তাই প্রযুক্তিসেবা সহজলভ্য করতে সরকারেরই এগিয়ে আসা উচিত।
এ প্রসঙ্গে জানতে চাইলে অর্থ উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ আজকের পত্রিকাকে বলেন, চতুর্থ শিল্পবিপ্লবের যুগে প্রযুক্তি থেকে এসএমই খাতের বিচ্ছিন্নতা আত্মঘাতী। বিষয়টি সরকারের পরিকল্পনায় আছে। উদ্যোক্তারা যাতে সহজে প্রযুক্তি গ্রহণে এগোতে পারেন, সে জন্য দ্রুত কার্যকর কৌশল নেওয়া হবে।
জানা গেছে, থাইল্যান্ডে ৪০% এসএমই এরই মধ্যে আইওটি ও স্মার্ট ম্যানুফ্যাকচারিং প্রযুক্তি ব্যবহার শুরু করেছে, মালয়েশিয়ায় ডিজিটাল স্কিলস প্রশিক্ষণ বাধ্যতামূলক। সরকার দেয় ভর্তুকিও। আর বাংলাদেশে প্রযুক্তি ব্যবহার ৫ শতাংশের নিচে, তা-ও শুধু বড় শিল্পপ্রতিষ্ঠানের মধ্যে সীমিত। গ্রাম ও শহরতলির বেশির ভাগ ক্ষুদ্র উদ্যোক্তা এখনো রয়ে গেছেন অ্যানালগ পদ্ধতির মধ্যে।
বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন অব সফটওয়্যার অ্যান্ড ইনফরমেশন সার্ভিসেসের (বেসিস) সাবেক সভাপতি সৈয়দ আলমাস কবিরের মতে, ক্ষুদ্র উদ্যোক্তাদের জন্য ক্লাউডভিত্তিক অ্যাকাউন্টিং ও ইনভেনটরি সফটওয়্যার অত্যাবশ্যক। সরকার স্বল্পমূল্যে এসব সরবরাহ করলে এসএমইরা সহজে প্রযুক্তিনির্ভর হতে পারে। অনলাইন বিক্রির জন্য প্রয়োজন ডিজিটাল কমার্স ফ্রেমওয়ার্ক, যা অনেকের নেই। এ জন্য এসএমই ফাউন্ডেশন একটি প্ল্যাটফর্ম গড়ে পণ্যের প্রদর্শন ও বিপণনে ভূমিকা রাখতে পারে। পাশাপাশি তিনি মনে করেন, নীতিগত সীমাবদ্ধতাগুলো এখনই পুনর্বিবেচনা করা জরুরি।
তথ্য আছে, দৃষ্টি নেই
বাংলাদেশের এসএমই খাতে এখনো ডিজিটাল লেনদেন, ক্লাউড অ্যাকাউন্টিং বা সিআরএম সফটওয়্যার কার্যকরভাবে পৌঁছায়নি। প্রশিক্ষণ ও সহায়তা থাকলেও টেকনিক্যাল সাপোর্ট ও পরামর্শের ঘাটতিতে প্রযুক্তির ব্যবহার দৃশ্যমান নয়। অথচ প্রযুক্তি ছাড়া বাজার বোঝা, ক্রেতার চাহিদা ধরা বা খরচ নিয়ন্ত্রণ আজ অসম্ভব।
বিশ্বব্যাংকের ‘এন্টারপ্রাইজ সার্ভে’ অনুযায়ী, বাংলাদেশে মাত্র ১২% এসএমই ডিজিটাল টুল ব্যবহার করে, যেখানে ভিয়েতনামে ৪১% আর ইন্দোনেশিয়ায় ৩৫%। এই ব্যবধানের মূল কারণ সরকারের প্রযুক্তি উদ্যোগ, কর নীতি ও দক্ষতা উন্নয়নে ঘাটতি।
নীতিমালার ফাঁকে আটকে সম্ভাবনা
বিশ্বজুড়ে প্রযুক্তিনির্ভর এসএমই বিস্তারে উদ্ভাবনী নীতি দৃষ্টান্ত হয়ে উঠছে। ফিলিপাইনে অনুদানের শর্ত ডিজিটাল প্রশিক্ষণ, ঘানায় নারী উদ্যোক্তারা সরকারি অ্যাপে সংযুক্ত, ভিয়েতনামে গ্রামীণ এসএমইতে মোবাইল অ্যাপ বাধ্যতামূলক। এসব আর বিলাসিতা নয়, বাংলাদেশেও এখন সময়ের দাবি।
অথচ চলতি বাজেটেও এসএমই খাতে প্রযুক্তিগত রূপান্তরের জন্য কোনো নির্দিষ্ট বরাদ্দ নেই। ডিজিটাল প্ল্যাটফর্মে কর রেয়াত, সফটওয়্যার ক্রয়ে ভ্যাট অব্যাহতি কিংবা প্রযুক্তি ব্যবহারে প্রণোদনা—এসব দাবি বহুদিনের হলেও কানে পৌঁছায়নি নীতিনির্ধারকদের।
ডিসিসিআই সভাপতি সামীর সাত্তারের মতে, সহায়ক নীতিমালা ও প্রযুক্তিগত সক্ষমতাই স্মার্ট অর্থনীতির পথে বাংলাদেশকে এগিয়ে নিতে পারে।
ঋণের পথেও প্রযুক্তি অন্তরায়
ঋণপ্রাপ্তির ক্ষেত্রেও প্রযুক্তিগত অনভিজ্ঞতা বড় বাধা। বাংলাদেশে এখনো ডিজিটাল স্কোরিং, বিকল্প তথ্যভিত্তিক ক্রেডিট অ্যাসেসমেন্ট বা পিয়ার-টু-পিয়ার লেন্ডিং সেভাবে চালু হয়নি। অথচ ভারত ও ইন্দোনেশিয়ার মতো দেশে এসব প্রযুক্তি ব্যবহার করেই ছোট উদ্যোক্তারা মূলধনের সংস্থান নিশ্চিত করছেন।
বাংলাদেশ ব্যাংকের রিপোর্ট অনুযায়ী, প্রযুক্তি উন্নয়নে বরাদ্দ করা এসএমই ঋণের মাত্র ৩ দশমিক ২ শতাংশ ব্যবহৃত হয় নতুন যন্ত্রপাতি বা প্রযুক্তি আপগ্রেডে। মূলত প্রযুক্তির দাম, দক্ষ জনবল না থাকা এবং প্রাতিষ্ঠানিক প্রশিক্ষণের অভাব—এসবই বড় বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছে।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে বাংলাদেশ ব্যাংকের ডেপুটি গভর্নর নুরুন নাহার বলেন, উদ্যোক্তাদের আর্থিক অন্তর্ভুক্তিতে প্রযুক্তি এখন অপরিহার্য। তথ্য ছাড়া ঝুঁকি নিরূপণ সম্ভব নয়, আর সেই তথ্য আসে প্রযুক্তি থেকেই। তাই উদ্যোক্তাদের ডিজিটাল সক্ষমতা তৈরিতে নীতিগত উদ্যোগ এখন সময়ের দাবি।
প্রশিক্ষণের পরে পথ নেই
ভারতের ‘ডিজিটাল এমএসএমই স্কিম’-এ বছরে ৫ লাখ উদ্যোক্তা প্রযুক্তি প্রশিক্ষণ পাচ্ছেন, আর বাংলাদেশে এই সংখ্যা ৫০ হাজার, তা-ও কাগজে-কলমেই। মাঠপর্যায়ে এর প্রভাব নেই, কারণ, প্রশিক্ষণের পর নেই কার্যকর প্ল্যাটফর্ম, পরামর্শ বা টেক সাপোর্ট। ২০২৪-২৫ বাজেটে এসএমই খাতে প্রযুক্তি ব্যবহারে নেই আলাদা বরাদ্দ বা প্রশিক্ষণ কোটা। নারী উদ্যোক্তারা আরও পিছিয়ে। এটি যেন মাঝপথে প্রশিক্ষণ দিয়ে ফেলে রাখার মতো অবস্থা।
নারী উদ্যোক্তারা এসএমই খাতের বড় অংশ হলেও তাঁরাই সবচেয়ে প্রযুক্তিবঞ্চিত। ডিজিটাল লেনদেন, ই-কমার্স বা সোশ্যাল মিডিয়ায় ব্যবসার দক্ষতা বহুজনেরই নেই। রাজধানীর কামরাঙ্গীরচরের মৃৎশিল্পী সালমা আক্তার বললেন, ‘আমি প্রতিদিন ৩০-৪০টা পণ্য বানাই, কিন্তু কোথায় বিক্রি করব, কীভাবে ছবি তুলব, পোস্ট করব—এসব শিখিনি। কেউ দেখায়ও না।’
প্রস্তুতির ঘাটতি স্পষ্ট
এসএমই ফাউন্ডেশনের জরিপে দেখা গেছে, ৮২ শতাংশ উদ্যোক্তা চতুর্থ শিল্পবিপ্লবের প্রযুক্তি সম্পর্কে সচেতন নন, আর ৬৬ শতাংশ জানেন না কীভাবে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা, রোবোটিকস বা আইওটি ব্যবসায় কাজে লাগতে পারে। এই বাস্তবতায় প্রযুক্তি ধারণা ছড়িয়ে দিতে ‘টেকনোলজি লিটারেসি প্রোগ্রাম’ শুরু করেছে ফাউন্ডেশন। প্রতিষ্ঠানটির এমডি আনোয়ার হোসেন চৌধুরী আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘খাতটির সক্ষমতা তৈরিতে বড় পরিসরের পরিকল্পনা জরুরি।’
সমাধানের পথ: একটি সমন্বিত সেতু
বিশ্লেষকেরা বলছেন, বাংলাদেশে এখন প্রয়োজন একটি সমন্বিত নীতিগত কাঠামো; যা প্রযুক্তি, প্রশিক্ষণ, অর্থায়ন ও বাজার ব্যবস্থাপনাকে একসঙ্গে বেঁধে দেবে। এসএমই ফাউন্ডেশনের চেয়ারপারসন মো. মুসফিকুর রহমানের মতে, এ মুহূর্তে বাজেটভিত্তিক প্রযুক্তি নীতি, কর রেয়াত, সফটওয়্যার আমদানিতে শুল্কছাড়, ডিজিটাল স্কোরিংয়ের মাধ্যমে সহজ ঋণ এবং আইসিটি বিভাগ ও অর্থ মন্ত্রণালয়ের যৌথ উদ্যোগ ছাড়া চতুর্থ শিল্পবিপ্লবে এসএমই খাতের টিকেa থাকাই কঠিন হবে।

যখন এআই, অটোমেশন আর ক্লাউড প্রযুক্তি ব্যবসা বদলে দিচ্ছে সারা বিশ্বে, তখন বাংলাদেশের এসএমই খাতের বেশির ভাগ উদ্যোক্তা এখনো খাতা-কলমে হিসাব রাখেন, হাতে করে অর্ডার সামলান, আর ফেসবুকে ছবি পোস্ট করাকেই ধরেন ডিজিটাল বিপণন। জিডিপির প্রায় এক-চতুর্থাংশে অবদান রেখেও এই খাতের ৯৫ শতাংশ প্রতিষ্ঠান প্রযুক্তির বাইরে। তথ্য নেই, দিকনির্দেশনা নেই, দক্ষতা তৈরির সুযোগও সীমিত; ফলে আধুনিক ব্যবসার মূলস্রোতের সম্পর্ক ছিন্ন তাদের। প্রযুক্তিবিশারদেরা বলছেন, ব্যবসায় প্রযুক্তি এখন আর বিলাসিতা নয়, বরং টিকে থাকার শর্ত। অন্যদিকে অর্থনীতিবিদেরা বলছেন, এ লড়াইয়ে পিছিয়ে পড়া মানেই শুধু নিজের ক্ষতি নয়, জাতীয় প্রবৃদ্ধিকেও টেনে ধরা।
জাতীয় এসএমই নীতিতে প্রযুক্তিনির্ভর উন্নয়নের কথা থাকলেও বাস্তবে তা কার্যকর হয়নি। উদ্যোক্তারা জানেন না কী প্রযুক্তি প্রয়োজন, কোথায় পাবেন, কীভাবে শুরু করবেন। তথ্য, পরামর্শ ও অর্থের ঘাটতিতে প্রযুক্তি তাঁদের কাছে এক দুর্লভ ও জটিল বিষয়। সহনীয় কর-ভ্যাটের অভাব এবং অব্যাহতির সংকোচন প্রযুক্তি খাতে অগ্রযাত্রা থামিয়ে দিয়েছে। আগে যেখানে আইসিটির ২৭টি খাত করমুক্ত ছিল, ২০২৪-২৫ সালে তা কমে ১৯-এ নেমেছে। ফলে ৮৫% কর্মসংস্থান জোগানো খাতটি এখনো প্রযুক্তিগত প্রস্তুতির শুরুতেই আটকে আছে।
এসবের প্রভাব পড়ছে উৎপাদন ও ব্যবসার প্রবৃদ্ধিতে। দেশের এসএমই খাত, প্রযুক্তির ঘাটতিতে প্রতিবছর ৩-৫ শতাংশ উৎপাদনশীলতা হারাচ্ছে, এই তথ্য বিশ্বব্যাংকের। বিপরীতে, সঠিক নীতি ও ডিজিটাল ব্যবস্থায় এই খাত থেকে ৮-১০ শতাংশ প্রবৃদ্ধি সম্ভব। বিআইডিএস বলছে, যারা প্রযুক্তি এনেছে, তাদের বিক্রি বেড়েছে গড়ে ১৭ শতাংশ। এই পরিসংখ্যানের বাস্তব উদাহরণ গাজীপুরের গ্রিন হ্যান্ড টেক্সটাইল। প্রতিষ্ঠানটির কর্ণধার মাহফুজা ইসলাম আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘প্রযুক্তি আমার অপচয় কমিয়েছে, মান ঠিক রেখেছে, আর বিদেশি ক্রেতা বুঝতে শিখিয়েছে। এতে আমার ব্যবসায়িক প্রবৃদ্ধিও ভালো হচ্ছে।’
অর্থনীতিবিদদের মতে, প্রযুক্তি গ্রহণে দেরি হলে এসএমই খাত ভবিষ্যৎ প্রতিযোগিতায় টিকে থাকতে পারবে না। এ প্রসঙ্গে বেসরকারি আর্থিক গবেষণা প্রতিষ্ঠান সিপিডির বিশেষ ফেলো ও জ্যেষ্ঠ অর্থনীতিবিদ ড. মোস্তাফিজুর রহমান আজকের পত্রিকাকে বলেন, তথ্যপ্রযুক্তি ছাড়া এসএমই এগোতে পারবে না। উৎপাদন ও প্রবৃদ্ধি থমকে যাবে, আর সক্ষমদের সঙ্গে পাল্লায় না পেরে অনেকে সরে দাঁড়াতে বাধ্য হবেন। তাই প্রযুক্তিসেবা সহজলভ্য করতে সরকারেরই এগিয়ে আসা উচিত।
এ প্রসঙ্গে জানতে চাইলে অর্থ উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ আজকের পত্রিকাকে বলেন, চতুর্থ শিল্পবিপ্লবের যুগে প্রযুক্তি থেকে এসএমই খাতের বিচ্ছিন্নতা আত্মঘাতী। বিষয়টি সরকারের পরিকল্পনায় আছে। উদ্যোক্তারা যাতে সহজে প্রযুক্তি গ্রহণে এগোতে পারেন, সে জন্য দ্রুত কার্যকর কৌশল নেওয়া হবে।
জানা গেছে, থাইল্যান্ডে ৪০% এসএমই এরই মধ্যে আইওটি ও স্মার্ট ম্যানুফ্যাকচারিং প্রযুক্তি ব্যবহার শুরু করেছে, মালয়েশিয়ায় ডিজিটাল স্কিলস প্রশিক্ষণ বাধ্যতামূলক। সরকার দেয় ভর্তুকিও। আর বাংলাদেশে প্রযুক্তি ব্যবহার ৫ শতাংশের নিচে, তা-ও শুধু বড় শিল্পপ্রতিষ্ঠানের মধ্যে সীমিত। গ্রাম ও শহরতলির বেশির ভাগ ক্ষুদ্র উদ্যোক্তা এখনো রয়ে গেছেন অ্যানালগ পদ্ধতির মধ্যে।
বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন অব সফটওয়্যার অ্যান্ড ইনফরমেশন সার্ভিসেসের (বেসিস) সাবেক সভাপতি সৈয়দ আলমাস কবিরের মতে, ক্ষুদ্র উদ্যোক্তাদের জন্য ক্লাউডভিত্তিক অ্যাকাউন্টিং ও ইনভেনটরি সফটওয়্যার অত্যাবশ্যক। সরকার স্বল্পমূল্যে এসব সরবরাহ করলে এসএমইরা সহজে প্রযুক্তিনির্ভর হতে পারে। অনলাইন বিক্রির জন্য প্রয়োজন ডিজিটাল কমার্স ফ্রেমওয়ার্ক, যা অনেকের নেই। এ জন্য এসএমই ফাউন্ডেশন একটি প্ল্যাটফর্ম গড়ে পণ্যের প্রদর্শন ও বিপণনে ভূমিকা রাখতে পারে। পাশাপাশি তিনি মনে করেন, নীতিগত সীমাবদ্ধতাগুলো এখনই পুনর্বিবেচনা করা জরুরি।
তথ্য আছে, দৃষ্টি নেই
বাংলাদেশের এসএমই খাতে এখনো ডিজিটাল লেনদেন, ক্লাউড অ্যাকাউন্টিং বা সিআরএম সফটওয়্যার কার্যকরভাবে পৌঁছায়নি। প্রশিক্ষণ ও সহায়তা থাকলেও টেকনিক্যাল সাপোর্ট ও পরামর্শের ঘাটতিতে প্রযুক্তির ব্যবহার দৃশ্যমান নয়। অথচ প্রযুক্তি ছাড়া বাজার বোঝা, ক্রেতার চাহিদা ধরা বা খরচ নিয়ন্ত্রণ আজ অসম্ভব।
বিশ্বব্যাংকের ‘এন্টারপ্রাইজ সার্ভে’ অনুযায়ী, বাংলাদেশে মাত্র ১২% এসএমই ডিজিটাল টুল ব্যবহার করে, যেখানে ভিয়েতনামে ৪১% আর ইন্দোনেশিয়ায় ৩৫%। এই ব্যবধানের মূল কারণ সরকারের প্রযুক্তি উদ্যোগ, কর নীতি ও দক্ষতা উন্নয়নে ঘাটতি।
নীতিমালার ফাঁকে আটকে সম্ভাবনা
বিশ্বজুড়ে প্রযুক্তিনির্ভর এসএমই বিস্তারে উদ্ভাবনী নীতি দৃষ্টান্ত হয়ে উঠছে। ফিলিপাইনে অনুদানের শর্ত ডিজিটাল প্রশিক্ষণ, ঘানায় নারী উদ্যোক্তারা সরকারি অ্যাপে সংযুক্ত, ভিয়েতনামে গ্রামীণ এসএমইতে মোবাইল অ্যাপ বাধ্যতামূলক। এসব আর বিলাসিতা নয়, বাংলাদেশেও এখন সময়ের দাবি।
অথচ চলতি বাজেটেও এসএমই খাতে প্রযুক্তিগত রূপান্তরের জন্য কোনো নির্দিষ্ট বরাদ্দ নেই। ডিজিটাল প্ল্যাটফর্মে কর রেয়াত, সফটওয়্যার ক্রয়ে ভ্যাট অব্যাহতি কিংবা প্রযুক্তি ব্যবহারে প্রণোদনা—এসব দাবি বহুদিনের হলেও কানে পৌঁছায়নি নীতিনির্ধারকদের।
ডিসিসিআই সভাপতি সামীর সাত্তারের মতে, সহায়ক নীতিমালা ও প্রযুক্তিগত সক্ষমতাই স্মার্ট অর্থনীতির পথে বাংলাদেশকে এগিয়ে নিতে পারে।
ঋণের পথেও প্রযুক্তি অন্তরায়
ঋণপ্রাপ্তির ক্ষেত্রেও প্রযুক্তিগত অনভিজ্ঞতা বড় বাধা। বাংলাদেশে এখনো ডিজিটাল স্কোরিং, বিকল্প তথ্যভিত্তিক ক্রেডিট অ্যাসেসমেন্ট বা পিয়ার-টু-পিয়ার লেন্ডিং সেভাবে চালু হয়নি। অথচ ভারত ও ইন্দোনেশিয়ার মতো দেশে এসব প্রযুক্তি ব্যবহার করেই ছোট উদ্যোক্তারা মূলধনের সংস্থান নিশ্চিত করছেন।
বাংলাদেশ ব্যাংকের রিপোর্ট অনুযায়ী, প্রযুক্তি উন্নয়নে বরাদ্দ করা এসএমই ঋণের মাত্র ৩ দশমিক ২ শতাংশ ব্যবহৃত হয় নতুন যন্ত্রপাতি বা প্রযুক্তি আপগ্রেডে। মূলত প্রযুক্তির দাম, দক্ষ জনবল না থাকা এবং প্রাতিষ্ঠানিক প্রশিক্ষণের অভাব—এসবই বড় বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছে।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে বাংলাদেশ ব্যাংকের ডেপুটি গভর্নর নুরুন নাহার বলেন, উদ্যোক্তাদের আর্থিক অন্তর্ভুক্তিতে প্রযুক্তি এখন অপরিহার্য। তথ্য ছাড়া ঝুঁকি নিরূপণ সম্ভব নয়, আর সেই তথ্য আসে প্রযুক্তি থেকেই। তাই উদ্যোক্তাদের ডিজিটাল সক্ষমতা তৈরিতে নীতিগত উদ্যোগ এখন সময়ের দাবি।
প্রশিক্ষণের পরে পথ নেই
ভারতের ‘ডিজিটাল এমএসএমই স্কিম’-এ বছরে ৫ লাখ উদ্যোক্তা প্রযুক্তি প্রশিক্ষণ পাচ্ছেন, আর বাংলাদেশে এই সংখ্যা ৫০ হাজার, তা-ও কাগজে-কলমেই। মাঠপর্যায়ে এর প্রভাব নেই, কারণ, প্রশিক্ষণের পর নেই কার্যকর প্ল্যাটফর্ম, পরামর্শ বা টেক সাপোর্ট। ২০২৪-২৫ বাজেটে এসএমই খাতে প্রযুক্তি ব্যবহারে নেই আলাদা বরাদ্দ বা প্রশিক্ষণ কোটা। নারী উদ্যোক্তারা আরও পিছিয়ে। এটি যেন মাঝপথে প্রশিক্ষণ দিয়ে ফেলে রাখার মতো অবস্থা।
নারী উদ্যোক্তারা এসএমই খাতের বড় অংশ হলেও তাঁরাই সবচেয়ে প্রযুক্তিবঞ্চিত। ডিজিটাল লেনদেন, ই-কমার্স বা সোশ্যাল মিডিয়ায় ব্যবসার দক্ষতা বহুজনেরই নেই। রাজধানীর কামরাঙ্গীরচরের মৃৎশিল্পী সালমা আক্তার বললেন, ‘আমি প্রতিদিন ৩০-৪০টা পণ্য বানাই, কিন্তু কোথায় বিক্রি করব, কীভাবে ছবি তুলব, পোস্ট করব—এসব শিখিনি। কেউ দেখায়ও না।’
প্রস্তুতির ঘাটতি স্পষ্ট
এসএমই ফাউন্ডেশনের জরিপে দেখা গেছে, ৮২ শতাংশ উদ্যোক্তা চতুর্থ শিল্পবিপ্লবের প্রযুক্তি সম্পর্কে সচেতন নন, আর ৬৬ শতাংশ জানেন না কীভাবে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা, রোবোটিকস বা আইওটি ব্যবসায় কাজে লাগতে পারে। এই বাস্তবতায় প্রযুক্তি ধারণা ছড়িয়ে দিতে ‘টেকনোলজি লিটারেসি প্রোগ্রাম’ শুরু করেছে ফাউন্ডেশন। প্রতিষ্ঠানটির এমডি আনোয়ার হোসেন চৌধুরী আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘খাতটির সক্ষমতা তৈরিতে বড় পরিসরের পরিকল্পনা জরুরি।’
সমাধানের পথ: একটি সমন্বিত সেতু
বিশ্লেষকেরা বলছেন, বাংলাদেশে এখন প্রয়োজন একটি সমন্বিত নীতিগত কাঠামো; যা প্রযুক্তি, প্রশিক্ষণ, অর্থায়ন ও বাজার ব্যবস্থাপনাকে একসঙ্গে বেঁধে দেবে। এসএমই ফাউন্ডেশনের চেয়ারপারসন মো. মুসফিকুর রহমানের মতে, এ মুহূর্তে বাজেটভিত্তিক প্রযুক্তি নীতি, কর রেয়াত, সফটওয়্যার আমদানিতে শুল্কছাড়, ডিজিটাল স্কোরিংয়ের মাধ্যমে সহজ ঋণ এবং আইসিটি বিভাগ ও অর্থ মন্ত্রণালয়ের যৌথ উদ্যোগ ছাড়া চতুর্থ শিল্পবিপ্লবে এসএমই খাতের টিকেa থাকাই কঠিন হবে।

এবারের মেলায় অংশগ্রহণকারী ১০টি প্রতিষ্ঠানকে শ্রেষ্ঠ স্টলের স্বীকৃতি দেওয়া হয়। এ ছাড়া ছয় উদ্যোক্তা ও প্রতিষ্ঠানকে ‘জাতীয় এসএমই উদ্যোক্তা পুরস্কার–২০২৫’ বিজয়ী ঘোষণা করা হয়। বিজয়ীদের প্রত্যেকের হাতে ক্রেস্ট, সনদ ও চেক তুলে দেওয়া হয়।
২ ঘণ্টা আগে
চিঠিতে বলা হয়, দেশের চাহিদার বড় অংশ আমদানি করা তাজা ফলের মাধ্যমে পূরণ হয়। গত কয়েক বছরে ডলারের মূল্য, শুল্ক বৃদ্ধিসহ নানা কারণে আমদানি করা ফলের দাম বেড়ে যায়। বর্তমানে আপেল, কমলা, মেস্তারিন, আঙুর ও নাশপাতি আমদানিতে মোট শুল্ক রয়েছে ১২১ দশমিক ৭৮ শতাংশ।
২ ঘণ্টা আগে
নির্বাচনকে কেন্দ্র করে রাজনীতিবিদেরা আরও সহিংসতা বা হামলার শিকার হবেন কি না এবং নির্বাচন কমিশন ও বর্তমান সরকার তাঁদের জন্য একটি সুষ্ঠু ও নিরাপদ পরিবেশ নিশ্চিত করতে পারবে কি না এ নিয়ে বড় প্রশ্ন তৈরি হয়েছে বলে মনে করেন সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগের (সিপিডি) বিশিষ্ট ফেলো দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য।
৯ ঘণ্টা আগে
ইলেকট্রনিকস পণ্য ক্রয়ে গ্রাহকদের বিশেষ সুবিধা দিতে দেশব্যাপী চলছে ওয়ালটনের ডিজিটাল ক্যাম্পেইন। ক্যাম্পেইনের ২৩তম সিজনে ওয়ালটন ফ্রিজ, এসি, টিভি, ওয়াশিং মেশিন বা বিএলডিসি ফ্যান কিনে গ্রাহকেরা পাচ্ছেন সর্বাধুনিক প্রযুক্তির সাইড বাই সাইড ফ্রিজসহ বিভিন্ন ধরনের পণ্য ফ্রি ও নিশ্চিত উপহার।
৯ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

আট দিনব্যাপী ১২তম জাতীয় এসএমই পণ্য মেলায় ১৫ কোটি টাকার পণ্য বিক্রি করেছেন উদ্যোক্তারা। পণ্য বিক্রির পাশাপাশি ১৬ কোটি টাকার পণ্যের অর্ডার পেয়েছেন।
এসএমই ফাউন্ডেশনের উদ্যোগে বাংলাদেশ-চীন মৈত্রী সম্মেলনকেন্দ্রে অনুষ্ঠিত মেলার সমাপনী অনুষ্ঠানে এ তথ্য জানানো হয়। আজ রোববার আয়োজিত সমাপনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন শিল্প মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. ওবায়দুর রহমান।
এসএমই ফাউন্ডেশনের চেয়ারপারসন মো. মুসফিকুর রহমানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন বাংলাদেশ পর্যটন করপোরেশনের চেয়ারম্যান সায়েমা শাহীন সুলতানা, বাংলাদেশ ট্যুরিজম বোর্ডের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা নুজহাত ইয়াসমিন ও ইন্টারন্যাশনাল চেম্বার অব কমার্স বাংলাদেশের চেয়ারম্যান মোহাম্মদ রুমী এ আলী। অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য দেন এসএমই ফাউন্ডেশনের ব্যবস্থাপনা পরিচালক আনোয়ার হোসেন চৌধুরী।
অনুষ্ঠানে জানানো হয়, এর আগে ১১টি জাতীয় এসএমই পণ্য মেলায় প্রায় ৩ হাজার উদ্যোক্তা তাঁদের পণ্য বিক্রি করেছেন। ১১টি পণ্য মেলায় অংশগ্রহণকারী উদ্যোক্তাদের ৫৭ কোটি টাকার পণ্য বিক্রি এবং প্রায় ৯৩ কোটি টাকার অর্ডার পেয়েছেন।
এবারের মেলায় অংশগ্রহণকারী ১০টি প্রতিষ্ঠানকে শ্রেষ্ঠ স্টলের স্বীকৃতি দেওয়া হয়। এ ছাড়া ছয় উদ্যোক্তা ও প্রতিষ্ঠানকে ‘জাতীয় এসএমই উদ্যোক্তা পুরস্কার–২০২৫’ বিজয়ী ঘোষণা করা হয়। বিজয়ীদের প্রত্যেকের হাতে ক্রেস্ট, সনদ ও চেক তুলে দেওয়া হয়।
শতভাগ দেশি পণ্যের সবচেয়ে বড় এই আয়োজন রাজধানীর আগারগাঁওয়ে বাংলাদেশ-চীন মৈত্রী সম্মেলনকেন্দ্রে অনুষ্ঠিত হয়। ৭ ডিসেম্বর মেলার উদ্বোধন করেন শিল্প, গৃহায়ণ ও গণপূর্ত উপদেষ্টা আদিলুর রহমান খান।
এবারের মেলায় অংশগ্রহণ করেছে প্রায় সাড়ে তিন শ ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্পপ্রতিষ্ঠান, যাদের মধ্যে প্রায় ৬০ শতাংশ নারী উদ্যোক্তা। এর মধ্যে তৈরি পোশাক খাতের সবচেয়ে বেশি ৭৪টি প্রতিষ্ঠান।
এ ছাড়া হস্ত ও কারুশিল্পের ৫৪টি, পাদুকা ও চামড়াজাত পণ্য খাতের ৪০টি; পাটজাত পণ্যের ৩৫টি; কৃষি ও খাদ্য প্রক্রিয়াজাতকরণ পণ্যের ২৮টি; শতরঞ্জি, বাঁশ, বেত, হোগলা, সুপারিখোল ও কাঠের ১৫টি; খাদ্যপণ্যের ১৪টি; লাইট ইঞ্জিনিয়ারিং শিল্পের ১৩টি; জুয়েলারি শিল্পের ৯টি; প্রসাধন খাতের সাতটি; তথ্যপ্রযুক্তিভিত্তিক সেবা খাতের পাঁচটি; হারবাল–ভেষজশিল্পের পাঁচটি; প্লাস্টিক পণ্যের পাঁচটি; ইলেকট্রিক্যাল অ্যান্ড ইলেকট্রনিকস খাতের তিনটি, ফার্নিচার খাতের তিনটি এবং অন্যান্য খাতের ১১টি স্টল।
মেলায় উদ্যোক্তাদের পাশাপাশি সেবা প্রদানকারী শিল্প মন্ত্রণালয়ের আটটি দপ্তর-সংস্থাসহ সরকারের প্রায় ১৫টি সংস্থা, প্রায় ৩০টি ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠান এবং অন্যান্য প্রতিষ্ঠান অংশ নেয়।
মেলায় এসএমই উদ্যোক্তাদের জন্য সহজ অর্থায়ন, পণ্য রপ্তানি বহুমুখীকরণ ও পণ্যের হালাল সনদ প্রাপ্তি, পেটেন্ট, শিল্প নকশা, ট্রেড মার্ক ও জি আই স্বীকৃতি, স্কিলস ইকোসিস্টেম বিষয়ে ছয়টি সেমিনার অনুষ্ঠিত হয়।

আট দিনব্যাপী ১২তম জাতীয় এসএমই পণ্য মেলায় ১৫ কোটি টাকার পণ্য বিক্রি করেছেন উদ্যোক্তারা। পণ্য বিক্রির পাশাপাশি ১৬ কোটি টাকার পণ্যের অর্ডার পেয়েছেন।
এসএমই ফাউন্ডেশনের উদ্যোগে বাংলাদেশ-চীন মৈত্রী সম্মেলনকেন্দ্রে অনুষ্ঠিত মেলার সমাপনী অনুষ্ঠানে এ তথ্য জানানো হয়। আজ রোববার আয়োজিত সমাপনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন শিল্প মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. ওবায়দুর রহমান।
এসএমই ফাউন্ডেশনের চেয়ারপারসন মো. মুসফিকুর রহমানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন বাংলাদেশ পর্যটন করপোরেশনের চেয়ারম্যান সায়েমা শাহীন সুলতানা, বাংলাদেশ ট্যুরিজম বোর্ডের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা নুজহাত ইয়াসমিন ও ইন্টারন্যাশনাল চেম্বার অব কমার্স বাংলাদেশের চেয়ারম্যান মোহাম্মদ রুমী এ আলী। অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য দেন এসএমই ফাউন্ডেশনের ব্যবস্থাপনা পরিচালক আনোয়ার হোসেন চৌধুরী।
অনুষ্ঠানে জানানো হয়, এর আগে ১১টি জাতীয় এসএমই পণ্য মেলায় প্রায় ৩ হাজার উদ্যোক্তা তাঁদের পণ্য বিক্রি করেছেন। ১১টি পণ্য মেলায় অংশগ্রহণকারী উদ্যোক্তাদের ৫৭ কোটি টাকার পণ্য বিক্রি এবং প্রায় ৯৩ কোটি টাকার অর্ডার পেয়েছেন।
এবারের মেলায় অংশগ্রহণকারী ১০টি প্রতিষ্ঠানকে শ্রেষ্ঠ স্টলের স্বীকৃতি দেওয়া হয়। এ ছাড়া ছয় উদ্যোক্তা ও প্রতিষ্ঠানকে ‘জাতীয় এসএমই উদ্যোক্তা পুরস্কার–২০২৫’ বিজয়ী ঘোষণা করা হয়। বিজয়ীদের প্রত্যেকের হাতে ক্রেস্ট, সনদ ও চেক তুলে দেওয়া হয়।
শতভাগ দেশি পণ্যের সবচেয়ে বড় এই আয়োজন রাজধানীর আগারগাঁওয়ে বাংলাদেশ-চীন মৈত্রী সম্মেলনকেন্দ্রে অনুষ্ঠিত হয়। ৭ ডিসেম্বর মেলার উদ্বোধন করেন শিল্প, গৃহায়ণ ও গণপূর্ত উপদেষ্টা আদিলুর রহমান খান।
এবারের মেলায় অংশগ্রহণ করেছে প্রায় সাড়ে তিন শ ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্পপ্রতিষ্ঠান, যাদের মধ্যে প্রায় ৬০ শতাংশ নারী উদ্যোক্তা। এর মধ্যে তৈরি পোশাক খাতের সবচেয়ে বেশি ৭৪টি প্রতিষ্ঠান।
এ ছাড়া হস্ত ও কারুশিল্পের ৫৪টি, পাদুকা ও চামড়াজাত পণ্য খাতের ৪০টি; পাটজাত পণ্যের ৩৫টি; কৃষি ও খাদ্য প্রক্রিয়াজাতকরণ পণ্যের ২৮টি; শতরঞ্জি, বাঁশ, বেত, হোগলা, সুপারিখোল ও কাঠের ১৫টি; খাদ্যপণ্যের ১৪টি; লাইট ইঞ্জিনিয়ারিং শিল্পের ১৩টি; জুয়েলারি শিল্পের ৯টি; প্রসাধন খাতের সাতটি; তথ্যপ্রযুক্তিভিত্তিক সেবা খাতের পাঁচটি; হারবাল–ভেষজশিল্পের পাঁচটি; প্লাস্টিক পণ্যের পাঁচটি; ইলেকট্রিক্যাল অ্যান্ড ইলেকট্রনিকস খাতের তিনটি, ফার্নিচার খাতের তিনটি এবং অন্যান্য খাতের ১১টি স্টল।
মেলায় উদ্যোক্তাদের পাশাপাশি সেবা প্রদানকারী শিল্প মন্ত্রণালয়ের আটটি দপ্তর-সংস্থাসহ সরকারের প্রায় ১৫টি সংস্থা, প্রায় ৩০টি ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠান এবং অন্যান্য প্রতিষ্ঠান অংশ নেয়।
মেলায় এসএমই উদ্যোক্তাদের জন্য সহজ অর্থায়ন, পণ্য রপ্তানি বহুমুখীকরণ ও পণ্যের হালাল সনদ প্রাপ্তি, পেটেন্ট, শিল্প নকশা, ট্রেড মার্ক ও জি আই স্বীকৃতি, স্কিলস ইকোসিস্টেম বিষয়ে ছয়টি সেমিনার অনুষ্ঠিত হয়।

যখন এআই, অটোমেশন আর ক্লাউড প্রযুক্তি ব্যবসা বদলে দিচ্ছে সারা বিশ্বে, তখন বাংলাদেশের এসএমই খাতের বেশির ভাগ উদ্যোক্তা এখনো খাতা-কলমে হিসাব রাখেন, হাতে করে অর্ডার সামলান, আর ফেসবুকে ছবি পোস্ট করাকেই ধরেন ডিজিটাল বিপণন। জিডিপির প্রায় এক-চতুর্থাংশে অবদান রেখেও এই খাতের ৯৫ শতাংশ প্রতিষ্ঠান প্রযুক্তির বাইর
২৯ মে ২০২৫
চিঠিতে বলা হয়, দেশের চাহিদার বড় অংশ আমদানি করা তাজা ফলের মাধ্যমে পূরণ হয়। গত কয়েক বছরে ডলারের মূল্য, শুল্ক বৃদ্ধিসহ নানা কারণে আমদানি করা ফলের দাম বেড়ে যায়। বর্তমানে আপেল, কমলা, মেস্তারিন, আঙুর ও নাশপাতি আমদানিতে মোট শুল্ক রয়েছে ১২১ দশমিক ৭৮ শতাংশ।
২ ঘণ্টা আগে
নির্বাচনকে কেন্দ্র করে রাজনীতিবিদেরা আরও সহিংসতা বা হামলার শিকার হবেন কি না এবং নির্বাচন কমিশন ও বর্তমান সরকার তাঁদের জন্য একটি সুষ্ঠু ও নিরাপদ পরিবেশ নিশ্চিত করতে পারবে কি না এ নিয়ে বড় প্রশ্ন তৈরি হয়েছে বলে মনে করেন সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগের (সিপিডি) বিশিষ্ট ফেলো দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য।
৯ ঘণ্টা আগে
ইলেকট্রনিকস পণ্য ক্রয়ে গ্রাহকদের বিশেষ সুবিধা দিতে দেশব্যাপী চলছে ওয়ালটনের ডিজিটাল ক্যাম্পেইন। ক্যাম্পেইনের ২৩তম সিজনে ওয়ালটন ফ্রিজ, এসি, টিভি, ওয়াশিং মেশিন বা বিএলডিসি ফ্যান কিনে গ্রাহকেরা পাচ্ছেন সর্বাধুনিক প্রযুক্তির সাইড বাই সাইড ফ্রিজসহ বিভিন্ন ধরনের পণ্য ফ্রি ও নিশ্চিত উপহার।
৯ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

আসন্ন রমজান মাস সামনে রেখে তাজা ফলের ওপর শুল্ক কমানোর সুপারিশ করেছে বাংলাদেশ ট্রেড অ্যান্ড ট্যারিফ কমিশন। খেজুরের মতোই এবার আপেল, কমলা, আঙুর, মেস্তারিন, নাশপাতি ইত্যাদি তাজা ফলকে ‘অত্যাবশ্যকীয় পণ্য’ হিসেবে চিহ্নিত করে অতিরিক্ত সম্পূরক শুল্ক প্রত্যাহারের প্রস্তাব দিয়েছে কমিশন।
সম্প্রতি জাতীয় রাজস্ব বোর্ডকে (এনবিআর) দেওয়া এক চিঠিতে এই সুপারিশ করা হয়। রমজান মাস সামনে রেখে নিত্যপণ্য বিবেচনায় এমন সুপারিশ করা হয়েছে।
চিঠিতে বলা হয়, দেশের চাহিদার বড় অংশ আমদানি করা তাজা ফলের মাধ্যমে পূরণ হয়। গত কয়েক বছরে ডলারের মূল্য, শুল্ক বৃদ্ধিসহ নানা কারণে আমদানি করা ফলের দাম বেড়ে যায়। বর্তমানে আপেল, কমলা, মেস্তারিন, আঙুর ও নাশপাতি আমদানিতে মোট শুল্ক রয়েছে ১২১ দশমিক ৭৮ শতাংশ। আনার আমদানিতে মোট শুল্ক-কর রয়েছে ১২৬ দশমিক ৭৮ শতাংশ।
চিঠিতে আরও বলা হয়, আপেল, মাল্টা, আনার ইত্যাদি ফলের স্থানীয় উৎপাদন নেই; তাই এই উচ্চহারে শুল্ক-কর রাখার প্রয়োজনীয়তা সীমিত।
অন্যদিকে উচ্চহারে শুল্ক-কর আরোপের ফলে বৈধ পথে আমদানি কমে তা অবৈধ পথে আমদানিকে উৎসাহিত করতে পারে। এ ছাড়া ব্যবসায়ীদের মধ্যে অতিমাত্রায় বিভিন্ন রাসায়নিক ব্যবহারের প্রবণতাও বাড়তে পারে। উচ্চ শুল্ক-করের ফলে তাজা ফলের আমদানি কমার ধারা অব্যাহত থাকলে শুধু ভোক্তাসাধারণের স্বার্থ ক্ষুণ্ন হবে না; ভবিষ্যতে রাজস্ব আহরণও কমে যাওয়ার ঝুঁকি রয়েছে।
তাজা ফলকে ‘বিলাস পণ্য’ হিসেবে বিবেচনা করে এর ওপর ৩০ শতাংশ সম্পূরক শুল্ক আরোপ করা হয়েছে। তবে নিত্যপণ্য আইন, ১৯৫৬ অনুযায়ী খাদ্যপণ্য হিসেবে তাজা ফল ‘অত্যাবশ্যকীয় পণ্য’ বিধায় এর ওপর আরোপিত অতিরিক্ত সম্পূরক শুল্ক প্রত্যাহার বা যৌক্তিক করা যেতে পারে।

আসন্ন রমজান মাস সামনে রেখে তাজা ফলের ওপর শুল্ক কমানোর সুপারিশ করেছে বাংলাদেশ ট্রেড অ্যান্ড ট্যারিফ কমিশন। খেজুরের মতোই এবার আপেল, কমলা, আঙুর, মেস্তারিন, নাশপাতি ইত্যাদি তাজা ফলকে ‘অত্যাবশ্যকীয় পণ্য’ হিসেবে চিহ্নিত করে অতিরিক্ত সম্পূরক শুল্ক প্রত্যাহারের প্রস্তাব দিয়েছে কমিশন।
সম্প্রতি জাতীয় রাজস্ব বোর্ডকে (এনবিআর) দেওয়া এক চিঠিতে এই সুপারিশ করা হয়। রমজান মাস সামনে রেখে নিত্যপণ্য বিবেচনায় এমন সুপারিশ করা হয়েছে।
চিঠিতে বলা হয়, দেশের চাহিদার বড় অংশ আমদানি করা তাজা ফলের মাধ্যমে পূরণ হয়। গত কয়েক বছরে ডলারের মূল্য, শুল্ক বৃদ্ধিসহ নানা কারণে আমদানি করা ফলের দাম বেড়ে যায়। বর্তমানে আপেল, কমলা, মেস্তারিন, আঙুর ও নাশপাতি আমদানিতে মোট শুল্ক রয়েছে ১২১ দশমিক ৭৮ শতাংশ। আনার আমদানিতে মোট শুল্ক-কর রয়েছে ১২৬ দশমিক ৭৮ শতাংশ।
চিঠিতে আরও বলা হয়, আপেল, মাল্টা, আনার ইত্যাদি ফলের স্থানীয় উৎপাদন নেই; তাই এই উচ্চহারে শুল্ক-কর রাখার প্রয়োজনীয়তা সীমিত।
অন্যদিকে উচ্চহারে শুল্ক-কর আরোপের ফলে বৈধ পথে আমদানি কমে তা অবৈধ পথে আমদানিকে উৎসাহিত করতে পারে। এ ছাড়া ব্যবসায়ীদের মধ্যে অতিমাত্রায় বিভিন্ন রাসায়নিক ব্যবহারের প্রবণতাও বাড়তে পারে। উচ্চ শুল্ক-করের ফলে তাজা ফলের আমদানি কমার ধারা অব্যাহত থাকলে শুধু ভোক্তাসাধারণের স্বার্থ ক্ষুণ্ন হবে না; ভবিষ্যতে রাজস্ব আহরণও কমে যাওয়ার ঝুঁকি রয়েছে।
তাজা ফলকে ‘বিলাস পণ্য’ হিসেবে বিবেচনা করে এর ওপর ৩০ শতাংশ সম্পূরক শুল্ক আরোপ করা হয়েছে। তবে নিত্যপণ্য আইন, ১৯৫৬ অনুযায়ী খাদ্যপণ্য হিসেবে তাজা ফল ‘অত্যাবশ্যকীয় পণ্য’ বিধায় এর ওপর আরোপিত অতিরিক্ত সম্পূরক শুল্ক প্রত্যাহার বা যৌক্তিক করা যেতে পারে।

যখন এআই, অটোমেশন আর ক্লাউড প্রযুক্তি ব্যবসা বদলে দিচ্ছে সারা বিশ্বে, তখন বাংলাদেশের এসএমই খাতের বেশির ভাগ উদ্যোক্তা এখনো খাতা-কলমে হিসাব রাখেন, হাতে করে অর্ডার সামলান, আর ফেসবুকে ছবি পোস্ট করাকেই ধরেন ডিজিটাল বিপণন। জিডিপির প্রায় এক-চতুর্থাংশে অবদান রেখেও এই খাতের ৯৫ শতাংশ প্রতিষ্ঠান প্রযুক্তির বাইর
২৯ মে ২০২৫
এবারের মেলায় অংশগ্রহণকারী ১০টি প্রতিষ্ঠানকে শ্রেষ্ঠ স্টলের স্বীকৃতি দেওয়া হয়। এ ছাড়া ছয় উদ্যোক্তা ও প্রতিষ্ঠানকে ‘জাতীয় এসএমই উদ্যোক্তা পুরস্কার–২০২৫’ বিজয়ী ঘোষণা করা হয়। বিজয়ীদের প্রত্যেকের হাতে ক্রেস্ট, সনদ ও চেক তুলে দেওয়া হয়।
২ ঘণ্টা আগে
নির্বাচনকে কেন্দ্র করে রাজনীতিবিদেরা আরও সহিংসতা বা হামলার শিকার হবেন কি না এবং নির্বাচন কমিশন ও বর্তমান সরকার তাঁদের জন্য একটি সুষ্ঠু ও নিরাপদ পরিবেশ নিশ্চিত করতে পারবে কি না এ নিয়ে বড় প্রশ্ন তৈরি হয়েছে বলে মনে করেন সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগের (সিপিডি) বিশিষ্ট ফেলো দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য।
৯ ঘণ্টা আগে
ইলেকট্রনিকস পণ্য ক্রয়ে গ্রাহকদের বিশেষ সুবিধা দিতে দেশব্যাপী চলছে ওয়ালটনের ডিজিটাল ক্যাম্পেইন। ক্যাম্পেইনের ২৩তম সিজনে ওয়ালটন ফ্রিজ, এসি, টিভি, ওয়াশিং মেশিন বা বিএলডিসি ফ্যান কিনে গ্রাহকেরা পাচ্ছেন সর্বাধুনিক প্রযুক্তির সাইড বাই সাইড ফ্রিজসহ বিভিন্ন ধরনের পণ্য ফ্রি ও নিশ্চিত উপহার।
৯ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

নির্বাচনকে কেন্দ্র করে রাজনীতিবিদেরা আরও সহিংসতা বা হামলার শিকার হবেন কি না এবং নির্বাচন কমিশন ও বর্তমান সরকার তাঁদের জন্য একটি সুষ্ঠু ও নিরাপদ পরিবেশ নিশ্চিত করতে পারবে কি না এ নিয়ে বড় প্রশ্ন তৈরি হয়েছে বলে মনে করেন সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগের (সিপিডি) বিশিষ্ট ফেলো দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য।
তিনি বলেন, ‘দেশে শুধু ভোটাররাই নন, রাজনীতিবিদেরাও এখন বিপন্নতার মধ্যে রয়েছেন।’

আজ রোববার রাজধানীর বাংলাদেশ–চীন মৈত্রী সম্মেলন কেন্দ্রে ‘বাংলাদেশ রিফর্ম ট্র্যাকার’-এর উদ্বোধন উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে উদ্বোধনী বক্তব্যে এসব কথা বলেন সিপিডির ফেলো।
দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য আরও বলেন, ‘বিপন্ন জনগোষ্ঠীর প্রসঙ্গে সাধারণত ধর্মীয় সংখ্যালঘু, আদিবাসী সম্প্রদায় বা ভিন্ন মতাবলম্বীদের কথা উঠে আসে। তবে এর সঙ্গে বড় একটি বিষয় হিসেবে যুক্ত হয়েছে রাজনীতিবিদদের নিরাপত্তা। নির্বাচনকে কেন্দ্র করে রাজনীতিবিদেরা আরও সহিংসতা বা হামলার শিকার হবেন কি না এবং নির্বাচন কমিশন ও বর্তমান সরকার তাঁদের জন্য একটি সুষ্ঠু ও নিরাপদ পরিবেশ নিশ্চিত করতে পারবে কি না, এ নিয়ে বড় প্রশ্ন তৈরি হয়েছে।’
ঢাকা-৮ আসনের স্বতন্ত্র প্রার্থী ও ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র শরিফ ওসমান হাদির ওপর সাম্প্রতিক হামলার প্রসঙ্গে সিপিডির এই ফেলো বলেন, রাজনৈতিক ব্যক্তিদের লক্ষ্য করে সহিংসতার পর এখন নিরাপদ নির্বাচনী পরিবেশ নিশ্চিতের বিষয়ে উদ্বেগ তৈরি হয়েছে।
দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য জানান, গত দেড় মাসে ‘বাংলাদেশ রিফর্ম ট্র্যাকার’ প্ল্যাটফর্ম দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে প্রাক্-নির্বাচনী সংলাপ আয়োজন করেছে। এসব সংলাপের মাধ্যমে রাজনৈতিক পরিস্থিতি এবং আসন্ন নির্বাচন নিয়ে জনগণের প্রত্যাশা জানার চেষ্টা করা হয়েছে। এসব আলোচনার ভিত্তিতে একটি নাগরিক ইশতেহার প্রস্তুত করা হচ্ছে, যা শিগগিরই প্রকাশ করা হবে বলে জানান তিনি।
তিনি আরও বলেন, ‘আমরা যেসব জায়গায় গিয়েছি, প্রায় সর্বত্রই নিরাপত্তার বিষয়টি খুব জোরালোভাবে উঠে এসেছে। একটি নিরাপদ ও সুরক্ষিত রাজনৈতিক পরিবেশ নিশ্চিত করা যাবে কি না, এ বিষয়ে অনেকেই নিশ্চিত নন।’
সংস্কার এজেন্ডা প্রসঙ্গে দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য বলেন, বাংলাদেশের গণতান্ত্রিক অবক্ষয়ের অভিজ্ঞতা থেকেই বর্তমানে সংস্কার-সংক্রান্ত বিতর্কের ভিত তৈরি হয়েছে। তাঁর মতে, রাজনীতিবিদ, আমলা ও বড় ব্যবসায়িক গোষ্ঠীর সমন্বয়ে গড়ে ওঠা একটি এলিট গোষ্ঠী প্রতিযোগিতামূলক রাজনীতিকে দুর্বল করেছে, যার ফলে সৃষ্টি হয়েছে প্রতিযোগিতাহীন অর্থনীতি।
তিনি বলেন, ‘এর মাধ্যমে গড়ে উঠেছে ক্রনি ক্যাপিটালিজম ও একটি অলিগার্কিক ব্যবস্থা, যেখানে নীতিনির্ধারণে স্বাধীনতা হারিয়ে গেছে।’
সংস্কার প্রসঙ্গে দেবপ্রিয় বলেন, বাংলাদেশে সংস্কার নতুন কোনো বিষয় নয়। তবে বর্তমান উদ্যোগটি আলাদা, কারণ এটি রাষ্ট্রীয় পর্যায়ে কমিশন ও প্রাতিষ্ঠানিক ব্যবস্থার মাধ্যমে এগিয়ে নেওয়া হচ্ছে। এ সুযোগ তৈরিতে অন্তর্বর্তী সরকারের ভূমিকার প্রশংসা করলেও তিনি বলেন, সংস্কার প্রক্রিয়ায় প্রথম দিকে যে গতি তৈরি হয়েছিল, তা ধীরে ধীরে দুর্বল হয়ে পড়েছে।
সিপিডি ফেলো বলেন, ‘আমরা দেখেছি স্বচ্ছতা, সমন্বয় ও যোগাযোগ সব সময় পর্যাপ্ত ছিল না। আর শুধু পরিকল্পনার মাধ্যমে সংস্কার সফল করা সম্ভব নয়; এর জন্য প্রয়োজন নাগরিকদের ধারাবাহিক অংশগ্রহণ।’
তাঁর মতে, সংস্কার শুধু পরিকল্পনা বা উদ্দীপনার বিষয় নয়। সংস্কার বাস্তবায়ন করতে হলে নাগরিকদের সচেতনভাবে সম্পৃক্ত থাকতে হবে।

নির্বাচনকে কেন্দ্র করে রাজনীতিবিদেরা আরও সহিংসতা বা হামলার শিকার হবেন কি না এবং নির্বাচন কমিশন ও বর্তমান সরকার তাঁদের জন্য একটি সুষ্ঠু ও নিরাপদ পরিবেশ নিশ্চিত করতে পারবে কি না এ নিয়ে বড় প্রশ্ন তৈরি হয়েছে বলে মনে করেন সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগের (সিপিডি) বিশিষ্ট ফেলো দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য।
তিনি বলেন, ‘দেশে শুধু ভোটাররাই নন, রাজনীতিবিদেরাও এখন বিপন্নতার মধ্যে রয়েছেন।’

আজ রোববার রাজধানীর বাংলাদেশ–চীন মৈত্রী সম্মেলন কেন্দ্রে ‘বাংলাদেশ রিফর্ম ট্র্যাকার’-এর উদ্বোধন উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে উদ্বোধনী বক্তব্যে এসব কথা বলেন সিপিডির ফেলো।
দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য আরও বলেন, ‘বিপন্ন জনগোষ্ঠীর প্রসঙ্গে সাধারণত ধর্মীয় সংখ্যালঘু, আদিবাসী সম্প্রদায় বা ভিন্ন মতাবলম্বীদের কথা উঠে আসে। তবে এর সঙ্গে বড় একটি বিষয় হিসেবে যুক্ত হয়েছে রাজনীতিবিদদের নিরাপত্তা। নির্বাচনকে কেন্দ্র করে রাজনীতিবিদেরা আরও সহিংসতা বা হামলার শিকার হবেন কি না এবং নির্বাচন কমিশন ও বর্তমান সরকার তাঁদের জন্য একটি সুষ্ঠু ও নিরাপদ পরিবেশ নিশ্চিত করতে পারবে কি না, এ নিয়ে বড় প্রশ্ন তৈরি হয়েছে।’
ঢাকা-৮ আসনের স্বতন্ত্র প্রার্থী ও ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র শরিফ ওসমান হাদির ওপর সাম্প্রতিক হামলার প্রসঙ্গে সিপিডির এই ফেলো বলেন, রাজনৈতিক ব্যক্তিদের লক্ষ্য করে সহিংসতার পর এখন নিরাপদ নির্বাচনী পরিবেশ নিশ্চিতের বিষয়ে উদ্বেগ তৈরি হয়েছে।
দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য জানান, গত দেড় মাসে ‘বাংলাদেশ রিফর্ম ট্র্যাকার’ প্ল্যাটফর্ম দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে প্রাক্-নির্বাচনী সংলাপ আয়োজন করেছে। এসব সংলাপের মাধ্যমে রাজনৈতিক পরিস্থিতি এবং আসন্ন নির্বাচন নিয়ে জনগণের প্রত্যাশা জানার চেষ্টা করা হয়েছে। এসব আলোচনার ভিত্তিতে একটি নাগরিক ইশতেহার প্রস্তুত করা হচ্ছে, যা শিগগিরই প্রকাশ করা হবে বলে জানান তিনি।
তিনি আরও বলেন, ‘আমরা যেসব জায়গায় গিয়েছি, প্রায় সর্বত্রই নিরাপত্তার বিষয়টি খুব জোরালোভাবে উঠে এসেছে। একটি নিরাপদ ও সুরক্ষিত রাজনৈতিক পরিবেশ নিশ্চিত করা যাবে কি না, এ বিষয়ে অনেকেই নিশ্চিত নন।’
সংস্কার এজেন্ডা প্রসঙ্গে দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য বলেন, বাংলাদেশের গণতান্ত্রিক অবক্ষয়ের অভিজ্ঞতা থেকেই বর্তমানে সংস্কার-সংক্রান্ত বিতর্কের ভিত তৈরি হয়েছে। তাঁর মতে, রাজনীতিবিদ, আমলা ও বড় ব্যবসায়িক গোষ্ঠীর সমন্বয়ে গড়ে ওঠা একটি এলিট গোষ্ঠী প্রতিযোগিতামূলক রাজনীতিকে দুর্বল করেছে, যার ফলে সৃষ্টি হয়েছে প্রতিযোগিতাহীন অর্থনীতি।
তিনি বলেন, ‘এর মাধ্যমে গড়ে উঠেছে ক্রনি ক্যাপিটালিজম ও একটি অলিগার্কিক ব্যবস্থা, যেখানে নীতিনির্ধারণে স্বাধীনতা হারিয়ে গেছে।’
সংস্কার প্রসঙ্গে দেবপ্রিয় বলেন, বাংলাদেশে সংস্কার নতুন কোনো বিষয় নয়। তবে বর্তমান উদ্যোগটি আলাদা, কারণ এটি রাষ্ট্রীয় পর্যায়ে কমিশন ও প্রাতিষ্ঠানিক ব্যবস্থার মাধ্যমে এগিয়ে নেওয়া হচ্ছে। এ সুযোগ তৈরিতে অন্তর্বর্তী সরকারের ভূমিকার প্রশংসা করলেও তিনি বলেন, সংস্কার প্রক্রিয়ায় প্রথম দিকে যে গতি তৈরি হয়েছিল, তা ধীরে ধীরে দুর্বল হয়ে পড়েছে।
সিপিডি ফেলো বলেন, ‘আমরা দেখেছি স্বচ্ছতা, সমন্বয় ও যোগাযোগ সব সময় পর্যাপ্ত ছিল না। আর শুধু পরিকল্পনার মাধ্যমে সংস্কার সফল করা সম্ভব নয়; এর জন্য প্রয়োজন নাগরিকদের ধারাবাহিক অংশগ্রহণ।’
তাঁর মতে, সংস্কার শুধু পরিকল্পনা বা উদ্দীপনার বিষয় নয়। সংস্কার বাস্তবায়ন করতে হলে নাগরিকদের সচেতনভাবে সম্পৃক্ত থাকতে হবে।

যখন এআই, অটোমেশন আর ক্লাউড প্রযুক্তি ব্যবসা বদলে দিচ্ছে সারা বিশ্বে, তখন বাংলাদেশের এসএমই খাতের বেশির ভাগ উদ্যোক্তা এখনো খাতা-কলমে হিসাব রাখেন, হাতে করে অর্ডার সামলান, আর ফেসবুকে ছবি পোস্ট করাকেই ধরেন ডিজিটাল বিপণন। জিডিপির প্রায় এক-চতুর্থাংশে অবদান রেখেও এই খাতের ৯৫ শতাংশ প্রতিষ্ঠান প্রযুক্তির বাইর
২৯ মে ২০২৫
এবারের মেলায় অংশগ্রহণকারী ১০টি প্রতিষ্ঠানকে শ্রেষ্ঠ স্টলের স্বীকৃতি দেওয়া হয়। এ ছাড়া ছয় উদ্যোক্তা ও প্রতিষ্ঠানকে ‘জাতীয় এসএমই উদ্যোক্তা পুরস্কার–২০২৫’ বিজয়ী ঘোষণা করা হয়। বিজয়ীদের প্রত্যেকের হাতে ক্রেস্ট, সনদ ও চেক তুলে দেওয়া হয়।
২ ঘণ্টা আগে
চিঠিতে বলা হয়, দেশের চাহিদার বড় অংশ আমদানি করা তাজা ফলের মাধ্যমে পূরণ হয়। গত কয়েক বছরে ডলারের মূল্য, শুল্ক বৃদ্ধিসহ নানা কারণে আমদানি করা ফলের দাম বেড়ে যায়। বর্তমানে আপেল, কমলা, মেস্তারিন, আঙুর ও নাশপাতি আমদানিতে মোট শুল্ক রয়েছে ১২১ দশমিক ৭৮ শতাংশ।
২ ঘণ্টা আগে
ইলেকট্রনিকস পণ্য ক্রয়ে গ্রাহকদের বিশেষ সুবিধা দিতে দেশব্যাপী চলছে ওয়ালটনের ডিজিটাল ক্যাম্পেইন। ক্যাম্পেইনের ২৩তম সিজনে ওয়ালটন ফ্রিজ, এসি, টিভি, ওয়াশিং মেশিন বা বিএলডিসি ফ্যান কিনে গ্রাহকেরা পাচ্ছেন সর্বাধুনিক প্রযুক্তির সাইড বাই সাইড ফ্রিজসহ বিভিন্ন ধরনের পণ্য ফ্রি ও নিশ্চিত উপহার।
৯ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

ইলেকট্রনিকস পণ্য ক্রয়ে গ্রাহকদের বিশেষ সুবিধা দিতে দেশব্যাপী চলছে ওয়ালটনের ডিজিটাল ক্যাম্পেইন। ক্যাম্পেইনের ২৩তম সিজনে ওয়ালটন ফ্রিজ, এসি, টিভি, ওয়াশিং মেশিন বা বিএলডিসি ফ্যান কিনে গ্রাহকেরা পাচ্ছেন সর্বাধুনিক প্রযুক্তির সাইড বাই সাইড ফ্রিজসহ বিভিন্ন ধরনের পণ্য ফ্রি ও নিশ্চিত উপহার। গত ২৫ নভেম্বর থেকে শুরু হওয়া এই ক্যাম্পেইনে প্রতিদিন অসংখ্য ক্রেতার হাতে উপহারের পণ্য তুলে দিচ্ছে ওয়ালটন।
এরই ধারাবাহিকতায় সম্প্রতি ঢাকা বিভাগের বিভিন্ন এলাকার ওয়ালটন প্লাজা থেকে ফ্রিজ কিনে সাইড বাই সাইড ফ্রিজ ও টিভি ফ্রি পাওয়া পণ্য ছয় ক্রেতার হাতে তুলে দিয়েছে ওয়ালটন। তাঁরা হলেন— মুন্সিগঞ্জের গোলাম রাব্বানি সিফাত ও গৃহিণী আফসানা আক্তার, নারায়ণগঞ্জের আজমির খান, রূপগঞ্জের সবুর হোসাইন এবং সিদ্ধিরগঞ্জের তারিকুল ইসলাম ও আসমা জাহান বিথী।
গত বৃহস্পতিবার (১১ ডিসেম্বর) রাজধানীর ওয়ালটন করপোরেট অফিসে আনুষ্ঠানিকভাবে সংশ্লিষ্ট ক্রেতাদের হাতে উপহার পাওয়া পণ্য তুলে দেন চিত্রনায়ক ও ওয়ালটনের সিনিয়র এক্সিকিউটিভ ডিরেক্টর আমিন খান। সে সময় আরও ছিলেন ওয়ালটন প্লাজার ম্যানেজিং ডিরেক্টর মোহাম্মদ রায়হান, ওয়ালটন ডিস্ট্রিবিউটর নেটওয়ার্কের প্রধান মো. ফিরোজ আলম প্রমুখ।
বিজয়ী ক্রেতাদের মধ্যে গোলাম রাব্বানি সিফাত, আফসানা, আজমির খান ও আসমা জাহান বিথী ফ্রিজ কিনে উপহার পেয়েছেন ওয়ালটনের অত্যাধুনিক সিক্সএনাইন মডেলের সাইড বাই সাইড স্মার্ট ফ্রিজ। অন্যদিকে তারিকুল ইসলাম ফ্রিজ কিনে ফ্রি পেয়েছেন ২১৩ লিটারের ফ্রিজ এবং সবুর হোসাইন ফ্রিজ কিনে পেয়েছেন ওয়ালটনের ৪৩ ইঞ্চি স্মার্ট টেলিভিশন।
উপহারপ্রাপ্তদের অভিনন্দন জানিয়ে ওয়ালটন প্লাজার ম্যানেজিং ডিরেক্টর মো. রায়হান বলেন, ‘ওয়ালটন ক্রেতাদের সব সময় সর্বোচ্চ গুরুত্ব দেয় এবং সম্মান করে। সারা দেশে প্রতিদিন অসংখ্য ক্রেতা ওয়ালটন পণ্য কিনে নানান উপহার পাচ্ছেন যা তাদের যথাযথভাবে বুঝিয়ে দেওয়া হচ্ছে। তাদের মাঝে কয়েকজনের হাতে করপোরেট অফিসে অনুষ্ঠান করে প্রাপ্য পণ্য বুঝিয়ে দিতে পেরে আমরা অত্যন্ত আনন্দিত। গ্রাহকদের জন্য আমাদের এ ধরনের কার্যক্রম চলমান থাকবে।’
অনুষ্ঠানে সাধারণ ক্রেতাদের বিশেষ সুবিধা দেওয়ার প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী উপহারের পণ্য তুলে দেওয়ায় ওয়ালটনকে ধন্যবাদ জানান বিজয়ীরা।
কর্মকর্তারা জানান, সিজন-২৩ এর আওতায় ক্রেতারা দেশের যেকোনো ওয়ালটন প্লাজা, পরিবেশক শোরুম কিংবা অনলাইনে ই-প্লাজা থেকে ফ্রিজ, টিভি, এসি, ওয়াশিং মেশিন ও বিএলডিসি ফ্যান কেনার পর পণ্যটির ডিজিটাল রেজিস্ট্রেশন করা হচ্ছে। এরপর ক্রেতাদের মোবাইলে ওয়ালটন থেকে উপহার পাওয়ার এসএমএস পাঠানো হচ্ছে।
পাশাপাশি ওয়ালটনের ক্রেতাদের জন্য তৈরি ‘আমার আওয়াজ’ মোবাইল অ্যাপ প্ল্যাটফর্ম ব্যবহারকারী ক্রেতাদের জন্যও এবারের ক্যাম্পেইনে বাড়তি সুবিধা রয়েছে। ২০২৬ সালের ২৫ জানুয়ারি পর্যন্ত ওয়ালটন পণ্য ক্রয়ে ক্রেতাদের জন্য এই বিশেষ সুবিধা থাকছে।

ইলেকট্রনিকস পণ্য ক্রয়ে গ্রাহকদের বিশেষ সুবিধা দিতে দেশব্যাপী চলছে ওয়ালটনের ডিজিটাল ক্যাম্পেইন। ক্যাম্পেইনের ২৩তম সিজনে ওয়ালটন ফ্রিজ, এসি, টিভি, ওয়াশিং মেশিন বা বিএলডিসি ফ্যান কিনে গ্রাহকেরা পাচ্ছেন সর্বাধুনিক প্রযুক্তির সাইড বাই সাইড ফ্রিজসহ বিভিন্ন ধরনের পণ্য ফ্রি ও নিশ্চিত উপহার। গত ২৫ নভেম্বর থেকে শুরু হওয়া এই ক্যাম্পেইনে প্রতিদিন অসংখ্য ক্রেতার হাতে উপহারের পণ্য তুলে দিচ্ছে ওয়ালটন।
এরই ধারাবাহিকতায় সম্প্রতি ঢাকা বিভাগের বিভিন্ন এলাকার ওয়ালটন প্লাজা থেকে ফ্রিজ কিনে সাইড বাই সাইড ফ্রিজ ও টিভি ফ্রি পাওয়া পণ্য ছয় ক্রেতার হাতে তুলে দিয়েছে ওয়ালটন। তাঁরা হলেন— মুন্সিগঞ্জের গোলাম রাব্বানি সিফাত ও গৃহিণী আফসানা আক্তার, নারায়ণগঞ্জের আজমির খান, রূপগঞ্জের সবুর হোসাইন এবং সিদ্ধিরগঞ্জের তারিকুল ইসলাম ও আসমা জাহান বিথী।
গত বৃহস্পতিবার (১১ ডিসেম্বর) রাজধানীর ওয়ালটন করপোরেট অফিসে আনুষ্ঠানিকভাবে সংশ্লিষ্ট ক্রেতাদের হাতে উপহার পাওয়া পণ্য তুলে দেন চিত্রনায়ক ও ওয়ালটনের সিনিয়র এক্সিকিউটিভ ডিরেক্টর আমিন খান। সে সময় আরও ছিলেন ওয়ালটন প্লাজার ম্যানেজিং ডিরেক্টর মোহাম্মদ রায়হান, ওয়ালটন ডিস্ট্রিবিউটর নেটওয়ার্কের প্রধান মো. ফিরোজ আলম প্রমুখ।
বিজয়ী ক্রেতাদের মধ্যে গোলাম রাব্বানি সিফাত, আফসানা, আজমির খান ও আসমা জাহান বিথী ফ্রিজ কিনে উপহার পেয়েছেন ওয়ালটনের অত্যাধুনিক সিক্সএনাইন মডেলের সাইড বাই সাইড স্মার্ট ফ্রিজ। অন্যদিকে তারিকুল ইসলাম ফ্রিজ কিনে ফ্রি পেয়েছেন ২১৩ লিটারের ফ্রিজ এবং সবুর হোসাইন ফ্রিজ কিনে পেয়েছেন ওয়ালটনের ৪৩ ইঞ্চি স্মার্ট টেলিভিশন।
উপহারপ্রাপ্তদের অভিনন্দন জানিয়ে ওয়ালটন প্লাজার ম্যানেজিং ডিরেক্টর মো. রায়হান বলেন, ‘ওয়ালটন ক্রেতাদের সব সময় সর্বোচ্চ গুরুত্ব দেয় এবং সম্মান করে। সারা দেশে প্রতিদিন অসংখ্য ক্রেতা ওয়ালটন পণ্য কিনে নানান উপহার পাচ্ছেন যা তাদের যথাযথভাবে বুঝিয়ে দেওয়া হচ্ছে। তাদের মাঝে কয়েকজনের হাতে করপোরেট অফিসে অনুষ্ঠান করে প্রাপ্য পণ্য বুঝিয়ে দিতে পেরে আমরা অত্যন্ত আনন্দিত। গ্রাহকদের জন্য আমাদের এ ধরনের কার্যক্রম চলমান থাকবে।’
অনুষ্ঠানে সাধারণ ক্রেতাদের বিশেষ সুবিধা দেওয়ার প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী উপহারের পণ্য তুলে দেওয়ায় ওয়ালটনকে ধন্যবাদ জানান বিজয়ীরা।
কর্মকর্তারা জানান, সিজন-২৩ এর আওতায় ক্রেতারা দেশের যেকোনো ওয়ালটন প্লাজা, পরিবেশক শোরুম কিংবা অনলাইনে ই-প্লাজা থেকে ফ্রিজ, টিভি, এসি, ওয়াশিং মেশিন ও বিএলডিসি ফ্যান কেনার পর পণ্যটির ডিজিটাল রেজিস্ট্রেশন করা হচ্ছে। এরপর ক্রেতাদের মোবাইলে ওয়ালটন থেকে উপহার পাওয়ার এসএমএস পাঠানো হচ্ছে।
পাশাপাশি ওয়ালটনের ক্রেতাদের জন্য তৈরি ‘আমার আওয়াজ’ মোবাইল অ্যাপ প্ল্যাটফর্ম ব্যবহারকারী ক্রেতাদের জন্যও এবারের ক্যাম্পেইনে বাড়তি সুবিধা রয়েছে। ২০২৬ সালের ২৫ জানুয়ারি পর্যন্ত ওয়ালটন পণ্য ক্রয়ে ক্রেতাদের জন্য এই বিশেষ সুবিধা থাকছে।

যখন এআই, অটোমেশন আর ক্লাউড প্রযুক্তি ব্যবসা বদলে দিচ্ছে সারা বিশ্বে, তখন বাংলাদেশের এসএমই খাতের বেশির ভাগ উদ্যোক্তা এখনো খাতা-কলমে হিসাব রাখেন, হাতে করে অর্ডার সামলান, আর ফেসবুকে ছবি পোস্ট করাকেই ধরেন ডিজিটাল বিপণন। জিডিপির প্রায় এক-চতুর্থাংশে অবদান রেখেও এই খাতের ৯৫ শতাংশ প্রতিষ্ঠান প্রযুক্তির বাইর
২৯ মে ২০২৫
এবারের মেলায় অংশগ্রহণকারী ১০টি প্রতিষ্ঠানকে শ্রেষ্ঠ স্টলের স্বীকৃতি দেওয়া হয়। এ ছাড়া ছয় উদ্যোক্তা ও প্রতিষ্ঠানকে ‘জাতীয় এসএমই উদ্যোক্তা পুরস্কার–২০২৫’ বিজয়ী ঘোষণা করা হয়। বিজয়ীদের প্রত্যেকের হাতে ক্রেস্ট, সনদ ও চেক তুলে দেওয়া হয়।
২ ঘণ্টা আগে
চিঠিতে বলা হয়, দেশের চাহিদার বড় অংশ আমদানি করা তাজা ফলের মাধ্যমে পূরণ হয়। গত কয়েক বছরে ডলারের মূল্য, শুল্ক বৃদ্ধিসহ নানা কারণে আমদানি করা ফলের দাম বেড়ে যায়। বর্তমানে আপেল, কমলা, মেস্তারিন, আঙুর ও নাশপাতি আমদানিতে মোট শুল্ক রয়েছে ১২১ দশমিক ৭৮ শতাংশ।
২ ঘণ্টা আগে
নির্বাচনকে কেন্দ্র করে রাজনীতিবিদেরা আরও সহিংসতা বা হামলার শিকার হবেন কি না এবং নির্বাচন কমিশন ও বর্তমান সরকার তাঁদের জন্য একটি সুষ্ঠু ও নিরাপদ পরিবেশ নিশ্চিত করতে পারবে কি না এ নিয়ে বড় প্রশ্ন তৈরি হয়েছে বলে মনে করেন সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগের (সিপিডি) বিশিষ্ট ফেলো দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য।
৯ ঘণ্টা আগে