জয়নাল আবেদীন খান, ঢাকা
কেন্দ্রীয় ব্যাংক দ্রব্যমূল্য কমাতে টাকার জোগান কমাতে চায়। এ জন্য ঘন ঘন ঋণের সুদের হার বৃদ্ধির নীতি গ্রহণ করেছে। তবে বাংলাদেশ ব্যাংকের গতানুগতিক ধারণার সঙ্গে একমত হতে পারছেন না অর্থনীতিবিদ, ব্যবসায়ী ও ব্যাংকাররা। তাঁদের যুক্তি হলো, বর্তমান সুদের পদ্ধতিতে ছয় মাসের ট্রেজারি বন্ড বিলের গড় হিসাবে স্মার্ট সুদহার নির্ধারণ করা হয়। এ জন্য সুদের হার বাড়লেও শিগগির মূল্যস্ফীতি কমবে না; কারণ, এর প্রভাব পড়তে কমপক্ষে ছয় মাস সময় লাগবে।
বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্য অনুযায়ী, কেন্দ্রীয় ব্যাংক মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণে ব্যাংকগুলোর জন্য অর্থ ধার নেওয়ার নীতি সুদহার ৭ দশমিক ২৫ শতাংশ করেছে। সম্প্রতি নীতি সুদহার ৭৫ শতাংশীয় পয়েন্ট বৃদ্ধি করা হয়েছে, যা এক দশকে সর্বোচ্চ। ঋণ নেওয়ার খরচ বাড়িয়ে বাজারে অর্থ সরবরাহ কমানোর মাধ্যমে মূল্যস্ফীতি হ্রাস করার লক্ষ্যেই সুদহার বাড়ানো হয়েছে। সব মিলে তিন মাসের মধ্যে দ্বিতীয়বার আর গত বছরের মে মাসের পর থেকে ষষ্ঠবারের মতো বাড়ানো হলো নীতি সুদহার।
বিশ্বব্যাংকের ঢাকা অফিসের সাবেক মুখ্য অর্থনীতিবিদ ড. জাহিদ হোসেন বলেন, কেন্দ্রীয় ব্যাংক মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে নীতি সুদহার (রেপো রেট) বৃদ্ধি করেছে। নীতি সুদহার বাড়ানোর ফলে মূল্যস্ফীতি তেমন একটা না-ও কমতে পারে। কারণ, গ্রাহক পর্যায়ে ঋণের সুদহার স্মার্ট রেটের মাধ্যমে নির্ধারিত হয়, কাঠামোগতভাবে ফিক্সড বলা যায়। যার প্রভাব বাজারে ধীরে ধীরে পড়তে পারে। তবে সুদের হার বাড়ানোর ফলে তা মূল্যস্ফীতি বৃদ্ধির হার ঠেকাতে ভূমিকা রাখবে। তবে সুদের হার আরও বাড়ালে বেশি কার্যকর হতো। মূলত দেরিতে সুদহার বাড়ানোর নীতির কারণে এর আগে কয়েকবার নীতি সুদহার বাড়ানোর পরও মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণে তা কার্যকর ভূমিকা রাখতে পারেনি।
এদিকে বর্তমান মুদ্রানীতিতে প্রক্ষেপণ রয়েছে, ৭ দশমিক ৫ শতাংশ জিডিপি প্রবৃদ্ধি অর্জন করতে হলে বেসরকারি খাতের ঋণ প্রবৃদ্ধি ১১ শতাংশ লাগবে। কিন্তু আগস্টে তার চেয়ে অনেকটাই কম বা ৯ দশমিক ৭৫ শতাংশ বেড়েছে বেসরকারি ঋণ, যা ২২ মাসের মধ্যে সর্বনিম্ন। এমন পরিস্থিতিতে নীতি সুদহার বাড়ানোয় ব্যাংকারদের আশঙ্কা, এতে ব্যাংক খাতের তারল্যের ওপর চাপ আরও বাড়বে।
সুদহার বাড়ানোর প্রভাব বিষয়ে জানতে চাইলে বাংলাদেশ শিল্প ও বণিক সমিতি ফেডারেশনের (এফবিসিসিআই) সভাপতি মো. মাহবুবুল আলম বলেন, মূল্যস্ফীতি কমানোর লক্ষ্যে সুদের হার বৃদ্ধি করেছে বাংলাদেশ ব্যাংক। এই মুহূর্তে তা কতটুকু ভূমিকা রাখবে, বলা কঠিন। তবে বাজারে মূল্যস্ফীতির বৃদ্ধি ঠেকাতে সহায়ক হবে। মূল্যস্ফীতি পুরোপুরি নিয়ন্ত্রণ করতে সময় লাগবে।
বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর হিসাবে, উচ্চ মূল্যস্ফীতি ইতিমধ্যে মানুষের জীবনযাত্রার ব্যয় অনেক বাড়িয়েছে। সেপ্টেম্বরে গড় মূল্যস্ফীতি হয়েছে ৯ দশমিক ৬৩ শতাংশ, যা সরকারের লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে ৬ শতাংশ বেশি।
বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক গভর্নর ও ইমেরিটাস অধ্যাপক ড. আতিউর রহমান বলেন, মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণে মুদ্রানীতি ও রাজস্ব নীতির সংকোচন করতে হবে। সুদের হার বাড়ানোর ফলে বাজারে অর্থের জোগান কমবে। এতে মূল্যস্ফীতির লাগাম টেনে ধরা যাবে এবং দ্রব্যমূল্য কমে আসবে।
মিউচুয়াল ট্রাস্ট ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও সিইও সৈয়দ মাহবুবুর রহমান বলেন, পলিসি রেট বাড়ার কারণে অর্থ সরবরাহ আরও সংকুচিত হয়ে যাবে, যার ফলে ব্যাংকগুলো ঋণপ্রবাহ আরও কমাবে। তবে ঋণের সুদহার কেবল প্রতি ছয় মাস পরপর সমন্বয় করা যায়।
ট্রেজারি রেট বাড়লে, ঋণের সুদহার বাড়ে। তবে এটা যে পরিমাণে বাড়ছে, বাজারের চাহিদা তার চেয়েও বেশি। বাজার অনুযায়ী ট্রেজারি রেট বাড়ানো দরকার। শুধু তাহলেই এটা মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণে সহায়ক হবে।
কেন্দ্রীয় ব্যাংক দ্রব্যমূল্য কমাতে টাকার জোগান কমাতে চায়। এ জন্য ঘন ঘন ঋণের সুদের হার বৃদ্ধির নীতি গ্রহণ করেছে। তবে বাংলাদেশ ব্যাংকের গতানুগতিক ধারণার সঙ্গে একমত হতে পারছেন না অর্থনীতিবিদ, ব্যবসায়ী ও ব্যাংকাররা। তাঁদের যুক্তি হলো, বর্তমান সুদের পদ্ধতিতে ছয় মাসের ট্রেজারি বন্ড বিলের গড় হিসাবে স্মার্ট সুদহার নির্ধারণ করা হয়। এ জন্য সুদের হার বাড়লেও শিগগির মূল্যস্ফীতি কমবে না; কারণ, এর প্রভাব পড়তে কমপক্ষে ছয় মাস সময় লাগবে।
বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্য অনুযায়ী, কেন্দ্রীয় ব্যাংক মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণে ব্যাংকগুলোর জন্য অর্থ ধার নেওয়ার নীতি সুদহার ৭ দশমিক ২৫ শতাংশ করেছে। সম্প্রতি নীতি সুদহার ৭৫ শতাংশীয় পয়েন্ট বৃদ্ধি করা হয়েছে, যা এক দশকে সর্বোচ্চ। ঋণ নেওয়ার খরচ বাড়িয়ে বাজারে অর্থ সরবরাহ কমানোর মাধ্যমে মূল্যস্ফীতি হ্রাস করার লক্ষ্যেই সুদহার বাড়ানো হয়েছে। সব মিলে তিন মাসের মধ্যে দ্বিতীয়বার আর গত বছরের মে মাসের পর থেকে ষষ্ঠবারের মতো বাড়ানো হলো নীতি সুদহার।
বিশ্বব্যাংকের ঢাকা অফিসের সাবেক মুখ্য অর্থনীতিবিদ ড. জাহিদ হোসেন বলেন, কেন্দ্রীয় ব্যাংক মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে নীতি সুদহার (রেপো রেট) বৃদ্ধি করেছে। নীতি সুদহার বাড়ানোর ফলে মূল্যস্ফীতি তেমন একটা না-ও কমতে পারে। কারণ, গ্রাহক পর্যায়ে ঋণের সুদহার স্মার্ট রেটের মাধ্যমে নির্ধারিত হয়, কাঠামোগতভাবে ফিক্সড বলা যায়। যার প্রভাব বাজারে ধীরে ধীরে পড়তে পারে। তবে সুদের হার বাড়ানোর ফলে তা মূল্যস্ফীতি বৃদ্ধির হার ঠেকাতে ভূমিকা রাখবে। তবে সুদের হার আরও বাড়ালে বেশি কার্যকর হতো। মূলত দেরিতে সুদহার বাড়ানোর নীতির কারণে এর আগে কয়েকবার নীতি সুদহার বাড়ানোর পরও মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণে তা কার্যকর ভূমিকা রাখতে পারেনি।
এদিকে বর্তমান মুদ্রানীতিতে প্রক্ষেপণ রয়েছে, ৭ দশমিক ৫ শতাংশ জিডিপি প্রবৃদ্ধি অর্জন করতে হলে বেসরকারি খাতের ঋণ প্রবৃদ্ধি ১১ শতাংশ লাগবে। কিন্তু আগস্টে তার চেয়ে অনেকটাই কম বা ৯ দশমিক ৭৫ শতাংশ বেড়েছে বেসরকারি ঋণ, যা ২২ মাসের মধ্যে সর্বনিম্ন। এমন পরিস্থিতিতে নীতি সুদহার বাড়ানোয় ব্যাংকারদের আশঙ্কা, এতে ব্যাংক খাতের তারল্যের ওপর চাপ আরও বাড়বে।
সুদহার বাড়ানোর প্রভাব বিষয়ে জানতে চাইলে বাংলাদেশ শিল্প ও বণিক সমিতি ফেডারেশনের (এফবিসিসিআই) সভাপতি মো. মাহবুবুল আলম বলেন, মূল্যস্ফীতি কমানোর লক্ষ্যে সুদের হার বৃদ্ধি করেছে বাংলাদেশ ব্যাংক। এই মুহূর্তে তা কতটুকু ভূমিকা রাখবে, বলা কঠিন। তবে বাজারে মূল্যস্ফীতির বৃদ্ধি ঠেকাতে সহায়ক হবে। মূল্যস্ফীতি পুরোপুরি নিয়ন্ত্রণ করতে সময় লাগবে।
বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর হিসাবে, উচ্চ মূল্যস্ফীতি ইতিমধ্যে মানুষের জীবনযাত্রার ব্যয় অনেক বাড়িয়েছে। সেপ্টেম্বরে গড় মূল্যস্ফীতি হয়েছে ৯ দশমিক ৬৩ শতাংশ, যা সরকারের লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে ৬ শতাংশ বেশি।
বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক গভর্নর ও ইমেরিটাস অধ্যাপক ড. আতিউর রহমান বলেন, মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণে মুদ্রানীতি ও রাজস্ব নীতির সংকোচন করতে হবে। সুদের হার বাড়ানোর ফলে বাজারে অর্থের জোগান কমবে। এতে মূল্যস্ফীতির লাগাম টেনে ধরা যাবে এবং দ্রব্যমূল্য কমে আসবে।
মিউচুয়াল ট্রাস্ট ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও সিইও সৈয়দ মাহবুবুর রহমান বলেন, পলিসি রেট বাড়ার কারণে অর্থ সরবরাহ আরও সংকুচিত হয়ে যাবে, যার ফলে ব্যাংকগুলো ঋণপ্রবাহ আরও কমাবে। তবে ঋণের সুদহার কেবল প্রতি ছয় মাস পরপর সমন্বয় করা যায়।
ট্রেজারি রেট বাড়লে, ঋণের সুদহার বাড়ে। তবে এটা যে পরিমাণে বাড়ছে, বাজারের চাহিদা তার চেয়েও বেশি। বাজার অনুযায়ী ট্রেজারি রেট বাড়ানো দরকার। শুধু তাহলেই এটা মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণে সহায়ক হবে।
রাজধানীর মোহাম্মদপুরে রামচন্দ্রপুর খালে দুই দিনের পরিচ্ছন্নতা কার্যক্রম পরিচালিত হয়েছে। গত ২০ ও ২১ জুন তারিখে পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়, ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন (ডিএনসিসি), ফুটস্টেপস বাংলাদেশের সঙ্গে যৌথভাবে এই কার্যক্রমে অংশ নেয় আইডিএলসি ফাইন্যান্স।
২ মিনিট আগেঅন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠকে ৭ লাখ ৯০ হাজার কোটি টাকার বাজেট অনুমোদিত হয়েছে। আজ রোববার এ বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়।
৪৩ মিনিট আগেদেশীয় মৌসুমি ফলের সরবরাহ বেড়ে যাওয়ায় রাজধানীর ফলের বাজারে নেমেছে স্বস্তির ছোঁয়া। আম, কাঁঠাল, লিচু, লটকন, পেয়ারা, আনারস, ড্রাগনের মতো ফলের প্রাচুর্যে শুধু দেশীয় ফল নয়; দাম কমেছে আমদানিকৃত আপেল, মাল্টা, আঙুরেরও।
১০ ঘণ্টা আগেবেনাপোল স্থলবন্দরে আমদানি-রপ্তানি কার্যক্রমে ব্যবসায়ীদের খরচ বাড়ছে। হ্যান্ডলিংয়ের আগে পণ্য চালান পরীক্ষার নামে এই অতিরিক্ত খরচ চাপ দিচ্ছে। প্রতিটি চালানে ১৫-২৫ হাজার টাকা পর্যন্ত অতিরিক্ত ব্যয় হচ্ছে। কখনো কখনো রিপোর্ট পেতে সময় লাগছে এক মাসেরও বেশি, আর ওই সময় পণ্য বন্দরে আটকা পড়ে।
১৪ ঘণ্টা আগে