Ajker Patrika

অপদ্রব্যে মান হারাচ্ছে নিত্যপণ্য

আয়নাল হোসেন, ঢাকা
আপডেট : ১৭ এপ্রিল ২০২৪, ১১: ০৬
অপদ্রব্যে মান হারাচ্ছে নিত্যপণ্য

নামীদামি সব প্রতিষ্ঠান, বড় বড় ব্র্যান্ড। বাহারি প্যাকেটে-মোড়কে তারা বাজারে ছাড়ছে হলুদ, মরিচ, সয়াবিন তেলসহ আরও অনেক নিত্যপণ্য। অথচ তাদের পণ্যও মানের পরীক্ষায় উতরাতে পারছে না। অপদ্রব্য মেশানো নিম্নমানের পণ্যে সয়লাব হচ্ছে বাজার।

স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের নিয়ন্ত্রণাধীন জনস্বাস্থ্য ইনস্টিটিউট (আইপিএইচ) সারা দেশ থেকে খাদ্যপণ্যের নমুনা সংগ্রহ করে ল্যাবরেটরিতে পরীক্ষা করে দেখেছে, অনেক পণ্যই মানহীন। যেসব খাদ্যের নমুনা মানহীন, সেগুলোকে দূষণ বলে মনে করছে নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষ।

জনস্বাস্থ্য ইনস্টিটিউটের তথ্য অনুযায়ী, গত বছরের ১ জানুয়ারি থেকে ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত সারা দেশের স্যানেটারি ইন্সপেক্টরদের মাধ্যমে পাবলিক হেলথ ল্যাবরেটরিতে ৪০টি পণ্যের ১ হাজার ৪৭টি নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে। এর মধ্যে ১৩টি পণ্যের সব কটি নমুনা মানের পরীক্ষায় উতরে যায়। আর ২৭টি পণ্যের ১৬৬টি নমুনায় মান ঠিক ছিল না। এসব পণ্যের মধ্যে আছে চাল, ডাল, ছোলা, ময়দা, সুজি, সেমাই, সরিষার তেল, নারকেল তেল, চা-পাতা, গুড়, চিনি, কোমল পানীয়, লবণ, দই, ঘি, বিস্কুট, কেক, পাউরুটি ও নুডলস।

পাবলিক হেলথ ল্যাবরেটরিতে গুঁড়া হলুদের ১২১টি নমুনা পরীক্ষা করা হয়। এসব নমুনার মধ্যে ৪৪টি বা ৩৬ দশমিক ৩৬ শতাংশ নমুনাই মানহীন ছিল। একই সময়ে মরিচের গুঁড়ার নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে ১১৩টি। এর মধ্যে ৫৫টি নমুনা মানের সীমা উতরাতে পারে। অর্থাৎ, ৪৮ দশমিক ৬৭ শতাংশ নমুনা মানহীন। সয়াবিন তেলের ২৮টি নমুনার ৩টিতে মানহীন ও গুড়ের ১৬টি নমুনার ৬টি বা ৩৭ দশমিক ৫০ শতাংশ মানহীন বলে শনাক্ত হয়।

পাবলিক হেলথ ল্যাবরেটরির অ্যানালিস্টরা বলেন, শুধু খোলাবাজারের পণ্যই নয়, নামীদামি প্রতিষ্ঠানের পণ্য পরীক্ষা করেও সেগুলো মানহীন পাওয়া গেছে। অনেক সময় মরিচের গুঁড়ায় লেড ক্রোমেট ব্যবহার করা হয়। আর হলুদে ব্যবহার করা হয় ডাই রং।

জানতে চাইলে জনস্বাস্থ্য ইনস্টিটিউটের পাবলিক অ্যানালিস্ট ডা. নিগার ফেরদৌসী আজকের পত্রিকাকে বলেন, জাতীয় মান অনুযায়ী তাঁরা পণ্যের নমুনা পরীক্ষা করে থাকেন। মান পরীক্ষার ক্ষেত্রে হলুদ-মরিচে আর্দ্রতা, অ্যাশ, অ্যাসিডিটি, অদ্রবণীয় অ্যাশ পরীক্ষা করা হয়। গুড়ে সুগার কনটেন্ট আর্দ্রতা পরীক্ষা করা হয়। মান অনুযায়ী কম বা বেশি হলে সেগুলোই মানহীন বলে শনাক্ত করা হয়েছে।

বিএসটিআইয়ের কর্মকর্তারা বলেন, হলুদ-মরিচের গুঁড়ায় নানা ধরনের অপদ্রব্য মেশানোর বিষয়টি তাঁদের নজরে আসে। মরিচের গুঁড়ায় অনেক সময়ই লেড ক্রোমেট ব্যবহার করা হয়। তবে সব মানহীন পণ্যই ভেজাল নয়।

জানতে চাইলে বাংলাদেশ নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান জাকারিয়া আজকের পত্রিকাকে বলেন, সারা দেশের বিভিন্ন ল্যাবে যেসব খাদ্যদ্রব্যের নমুনা পরীক্ষা করা হয়ে থাকে, তার প্রতিবেদন পাঠানোর জন্য ল্যাব কর্তৃপক্ষকে চিঠি দেওয়া হবে। তাদের ওই সব প্রতিবেদন দেখে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। তিনি বলেন, মানহীন শনাক্ত হলে সেগুলোকে খাদ্যদূষণ বলা যেতে পারে। সম্প্রতি ভোজ্যতেলের মান খারাপ হওয়ায় রিফাইনারিদের তিনি ডেকেছিলেন। তাদের সংশোধন হওয়ার সময় দিয়েছেন বলে জানান।

বাজারে মানহীন পণ্যের বিষয়ে জানতে চাইলে বিএসটিআইয়ের উপপরিচালক রিয়াজুল হক বলেন, আইপিএইচ কোন স্ট্যান্ডার্ড এবং পদ্ধতি অনুযায়ী পরীক্ষা করেছে, সেটি দেখতে হবে। তাদের প্রতিবেদন হাতে পাওয়া গেলে তাঁরাও পরীক্ষা করে সংশ্লিষ্টদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেবেন।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

বাংলাদেশ ডেনিম এক্সপো শুরু

‎নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা‎
ছবি: সংগৃহীত
ছবি: সংগৃহীত

দেশের ডেনিম শিল্পের সবচেয়ে বড় প্রদর্শনী ‘বাংলাদেশ ডেনিম এক্সপো’-এর ১৯ তম আসর আজ। দুই দিনের এই এক্সপো অনুষ্ঠিত হবে ৫ ও ৬ নভেম্বর রাজধানীর ইন্টারন্যাশনাল কনভেনশন সিটি বসুন্ধরায় (আইসিসিবি)।

এ বছর প্রদর্শনীতে বাংলাদেশ, ভারত, চীন, পাকিস্তান, তুরস্ক, স্পেন, অস্ট্রেলিয়া, ভিয়েতনাম, জার্মানি ও সংযুক্ত আরব আমিরাতসহ ১০টি দেশ থেকে ৪৫ টিরও বেশি প্রতিষ্ঠান অংশ নিচ্ছে।

এরা মূলত ফ্যাব্রিক মিল (ডেনিম ও নন-ডেনিম), গার্মেন্টস প্রস্তুতকারক, সুতা উৎপাদক, ওয়াশিং ও লন্ড্রি, অ্যাকসেসরিজ ও ট্রিমস, কেমিক্যালস, মেশিনারি বা প্রযুক্তি এবং লজিস্টিকস ক্যাটাগরিতে পণ্য ও সেবা প্রদর্শন করবে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

আইএফআইসি ব্যাংকের সাবেক এমডিকে ৫ কোটি টাকা জরিমানা

‎নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা‎
আইএফআইসি ব্যাংক পিএলসির সাবেক ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) শাহ আলম সারওয়ার। ফাইল ছবি
আইএফআইসি ব্যাংক পিএলসির সাবেক ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) শাহ আলম সারওয়ার। ফাইল ছবি

সিকিউরিটিজ আইন ও বিধিবিধান ভঙ্গের দায়ে আইএফআইসি ব্যাংক পিএলসির সাবেক ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) শাহ আলম সারওয়ারকে পাঁচ কোটি টাকা অর্থদণ্ডে দণ্ডিত করেছে পুঁজিবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি)।

আজ মঙ্গলবার সংস্থার চেয়ারম্যান খন্দকার রাশেদ মাকসুদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত ৯৮০ তম কমিশন সভায় এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।

সভা শেষে বিএসইসির পরিচালক ও মুখপাত্র মো. আবুল কালাম এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানান।

বিএসইসি জানায়, ‘আইএফআইসি গ্যারান্টিড শ্রীপুর টাউনশীপ গ্রিন জিরো কুপন বন্ড’ শীর্ষক ১ হাজার ৫০০ কোটি টাকা অভিহিত মূল্যের ও ১ হাজার কোটি টাকা ইস্যু মূল্যের বন্ডটির জামিনদার (গ্যারান্টার) হিসেবে আইএফআইসি ব্যাংক এবং অ্যাডভাইজার ও অ্যারেঞ্জার হিসেবে আইএফআইসি ইনভেস্টমেন্টস লিমিটেড দায়িত্ব পালন করেছে। আইএফআইসি ব্যাংক ওই বন্ড ইস্যু করেনি। মূলত রিয়েল এস্টেট কোম্পানি শ্রীপুর টাউনশীপ লিমিটেড (এসটিএল) ওই বন্ডের মাধ্যমে টাকা উত্তোলন করেছে। কিন্তু বিভিন্ন বিজ্ঞাপনে বন্ডের নাম হিসেবে ‘আইএফআইসি আমার বন্ড’ নামটি ব্যবহার করা হয়েছে, যা বিনিয়োগকারীকে ধারণা দেয় যে, এ বন্ড আইএফআইসি ব্যাংক ইস্যু করেছে; কিন্তু ব্যাংকটি ছিল মূলত বন্ডটির জামিনদার। এভাবে বিনিয়োগকারীদের প্রতারিত করে বিনিয়োগে আকৃষ্ট করা হয়।

বিএসইসি এও জানায়, এর আগে ৯৬৫ তম কমিশন সভায় ওই বন্ডের অনিয়মের সঙ্গে জড়িতদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণের সিদ্ধান্ত হয়েছিল। একই অপরাধে এবার ব্যাংকের তৎকালীন এমডি শাহ আলম সারওয়ারকে পাঁচ কোটি টাকা অর্থদন্ডে দন্ডিত করার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করে কমিশন।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

মার্কিন তুলায় শুল্কছাড়ে স্পষ্টতা চায় বিজিএমইএ

‎নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা‎
আজ মঙ্গলবার রাজধানীর উত্তরায় মার্কিন তুলা রপ্তানিকারক সংগঠন কটন ইউএসএর এক উচ্চপর্যায়ের প্রতিনিধিদলের সঙ্গে বৈঠক করে বিজিএমইএ। ছবি: আজকের পত্রিকা
আজ মঙ্গলবার রাজধানীর উত্তরায় মার্কিন তুলা রপ্তানিকারক সংগঠন কটন ইউএসএর এক উচ্চপর্যায়ের প্রতিনিধিদলের সঙ্গে বৈঠক করে বিজিএমইএ। ছবি: আজকের পত্রিকা

পোশাক উৎপাদনে ন্যূনতম ২০ শতাংশ মার্কিন কাঁচামাল ব্যবহার করা হলে যুক্তরাষ্ট্রে রপ্তানির ক্ষেত্রে আরোপিত অতিরিক্ত শুল্ক থেকে বাংলাদেশের আনুপাতিক ছাড় পাওয়ার সুযোগ দিয়েছে ট্রাম্প প্রশাসন। তবে এ বিষয়ে এখনো কোনো আনুষ্ঠানিক ব্যাখ্যা বা বাস্তবায়ন নির্দেশনা না থাকায় দ্রুত স্পষ্টীকরণ চেয়েছে বাংলাদেশ পোশাক প্রস্তুতকারক ও রপ্তানিকারক সমিতি (বিজিএমইএ)।

আজ মঙ্গলবার রাজধানীর উত্তরায় মার্কিন তুলা রপ্তানিকারক সংগঠন কটন ইউএসএর এক উচ্চপর্যায়ের প্রতিনিধিদলের সঙ্গে বৈঠকে বিষয়টি তুলে ধরে বিজিএমইএ। বৈঠকে দুই দেশের বাণিজ্য সম্প্রসারণ, বাংলাদেশের তৈরি পোশাকে মার্কিন তুলার ব্যবহার বৃদ্ধি এবং ঘোষিত শুল্ক সুবিধা বাস্তবায়নের উপায় নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা হয়।

বিজিএমইএ সভাপতি মাহমুদ হাসান খান বৈঠকে সভাপতিত্ব করেন। সংগঠনের পক্ষ থেকে উপস্থিত ছিলেন সিনিয়র সহসভাপতি ইনামুল হক খান ও পরিচালক নাফিস-উদ-দৌলা। মার্কিন প্রতিনিধিদলে ছিলেন ইকমের লি ইন, কারগিলের ক্রিস্টা রিকম্যান, এলডিসির ডিয়েগো লোজাদা, ওলাম এগ্রির ওয়েসলি রেন্টজ, ক্যারোলিনা কটন গ্রোয়ার্স অ্যাসোসিয়েশনের ওয়েন বোসম্যানসহ আরও অনেকে।

বৈঠকে বিজিএমইএ সভাপতি বলেন, নতুন শুল্কছাড় বাংলাদেশের পোশাকশিল্পের জন্য এক বড় সুযোগ। কিন্তু এই সুবিধা কার্যকরভাবে পেতে কারখানাগুলোকে কী প্রক্রিয়া অনুসরণ করতে হবে, সে বিষয়ে কোনো সুস্পষ্ট দিকনির্দেশনা নেই। মার্কিন প্রশাসনের পক্ষ থেকে দ্রুত ব্যাখ্যা পাওয়া গেলে উদ্যোক্তারা প্রস্তুতি নিতে পারবেন।

মাহমুদ হাসান খান বলেন, বর্তমানে আমদানি করা তুলার প্রায় ১০ শতাংশ যুক্তরাষ্ট্র থেকে আসে, যা দ্বিগুণ বা ৩ গুণ পর্যন্ত বাড়ানো সম্ভব। তবে এ জন্য প্রয়োজন দৃষ্টিভঙ্গির পরিবর্তন ও সুচিন্তিত কৌশলগত পদক্ষেপ। মার্কিন তুলার উচ্চ গুণগত মান ও তুলনামূলক সুবিধার বিষয়ে গবেষণা করে সুতা উৎপাদনকারীদের তথ্য সরবরাহ করা হলে তাঁরা আমদানি বাড়াতে উৎসাহিত হবেন।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

খেলাপি ঋণের তথ্য গোপন রাখা নিয়ে প্রশ্ন আইএমএফের

‎নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা‎
ফাইল ছবি
ফাইল ছবি

আওয়ামী লীগ সরকারের সময় বিশাল অঙ্কের খেলাপি ঋণ গোপন রেখে নিয়মিত দেখানো হতো। তবে কোনো পরিদর্শক প্রকৃত সত্য প্রতিবেদন দিতে পারতেন না। সরকার পরিবর্তনের পর এ তথ্য ধীরে ধীরে প্রকাশ পাচ্ছে। খেলাপি ঋণ কীভাবে গোপন রাখা হতো এবং কেন তা ব্যাংক পরিদর্শনে ধরা পড়েনি—এ বিষয়গুলো ঢাকায় সফররত আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) প্রতিনিধিদলের নজরে এসেছে। তারা ব্যাংক পরিদর্শনপ্রক্রিয়ার ত্রুটি আছে কি না, তা খতিয়ে দেখছে।

আজ মঙ্গলবার (৪ নভেম্বর) বাংলাদেশ ব্যাংকের সঙ্গে বৈঠকে আইএমএফ সদস্যরা খেলাপি ঋণ বাড়ার নেপথ্যে কর্মকর্তাদের ভূমিকা ও আইনি দুর্বলতা পর্যালোচনার আহ্বান জানান। বৈঠকে খেলাপি ঋণের প্রকৃত চিত্র, ব্যাংক খাতের তারল্য সংকট ও ঋণ বাড়ার কারণ নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা হয়।

বৈঠকে আইএমএফ জানিয়েছে, তাদের ৪৭০ কোটি ডলারের ঋণ কর্মসূচির শর্ত অনুযায়ী, ২০২৬ সালের মধ্যে সরকারি ব্যাংকগুলোর খেলাপি ঋণের হার ১০ শতাংশের নিচে নামানোর প্রতিশ্রুতি ছিল। কিন্তু বাস্তবে পরিস্থিতি উল্টো। সরকার পরিবর্তনের পর গোপন করা প্রকৃত তথ্য প্রকাশিত হলে দেখা গেছে, মাত্র এক বছরে খেলাপি ঋণের পরিমাণ প্রায় ৪ লাখ কোটি থেকে বেড়ে সাড়ে ৬ লাখ কোটি টাকা হয়েছে। সরকারি ব্যাংকগুলোর খেলাপির হার ৪০ শতাংশ ছাড়িয়েছে আর বেসরকারি খাতে ঋণহার ১০ শতাংশের ওপরে পৌঁছেছে।

সূত্র জানায়, ব্যাংকে খেলাপি ঋণ গোপন করার বিষয়টি রহস্যজনক। এতে সিস্টেমের দুর্বলতা বা কারচুপি দুটোরই ভূমিকা থাকতে পারে। যাঁরা ব্যাংক ইন্সপেকশন করেছেন, তাঁরা হয়তো দায়সারা পরিদর্শন করেছেন। আইএমএফ দ্রুত প্রকৃত কারণ জানাতে অনুরোধ করেছে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত