রাশিয়ার তেল শিল্পের ওপর নতুন করে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে যুক্তরাষ্ট্র। এই নতুন নিষেধাজ্ঞার কারণে চীন ও ভারতকে মধ্যপ্রাচ্য, আফ্রিকা ও আমেরিকা থেকে আরও বেশি জ্বালানি তেল সংগ্রহ করতে হবে। এর ফলে তেলের দাম এবং পরিবহন ব্যয় বাড়াবে বলে জানিয়েছেন ব্যবসায়ী ও বিশ্লেষকেরা।
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ট্রেজারি বিভাগ গত শুক্রবার রাশিয়ান তেল উৎপাদক কোম্পানি গ্যাজপ্রমনেফত এবং সারগুতনেফতেগ্যাজের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে। পাশাপাশি তেল বহনকারী ১৮৩টি জাহাজের ওপরও নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে। এই জাহাজগুলো রাশিয়ার তেল পরিবহনে ব্যবহৃত হতো।
বার্তা সংস্থা রয়টার্সের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, অনেক তেলবাহী ট্যাংকার ভারত ও চীনে তেল পরিবহনে ব্যবহৃত হয়েছে। এর আগে, উন্নত দেশগুলোর জোট জি-৭ আন্তর্জাতিক বাজারের তোয়াক্কা না করে, রাশিয়ার তেলের নিম্ন মূল্য নির্ধারণ করে দেয়। যার কারণে, রাশিয়ার তেলের বাজার ইউরোপ থেকে এশিয়ায় স্থানান্তরিত হয়। পাশাপাশি কিছু ট্যাংকার ইরান থেকেও অন্যান্য দেশে তেল পরিবহন করত—সেগুলোকেও নিষেধাজ্ঞার আওতায় আনা হয়েছে।
চীনের দুটি সূত্র জানিয়েছে, নতুন নিষেধাজ্ঞা রাশিয়ার তেল রপ্তানিতে বড় প্রভাব ফেলবে এবং এর ফলে চীনের শোধনাগারগুলোকে উৎপাদন হ্রাস করতে বাধ্য করবে। রাশিয়ার সরবরাহ বিঘ্নিত হওয়ার আশঙ্কায় আজ সোমবার বিশ্ববাজারে তেলের দাম কয়েক মাসের মধ্যে সর্বোচ্চ পর্যায়ে পৌঁছায় এবং ব্রেন্ট ক্রুডের মূল্য ব্যারেলপ্রতি ৮১ ডলার অতিক্রম করেছে।
নিষেধাজ্ঞার আওতায় আসা জাহাজগুলোর মধ্যে ১৪৩টি ট্যাংকার। এই ট্যাংকারগুলো গত বছর ৫৩০ মিলিয়নের বেশি ব্যারেল রাশিয়ান অপরিশোধিত তেল পরিবহন করেছে। এটি দেশের মোট সমুদ্রপথে তেল রপ্তানির প্রায় ৪২ শতাংশ। এর মধ্যে প্রায় ৩০০ মিলিয়ন ব্যারেল তেল চীনে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। বাকি তেলের বেশির ভাগই ভারতকে সরবরাহ করা হয়েছে।
বৈশ্বিক বাণিজ্যের ডেটা নিয়ে কাজ করা প্রতিষ্ঠান কেপলারের প্রধান ফ্রেইট বিশ্লেষক ম্যাট রাইট বলেন, ‘এই নিষেধাজ্ঞাগুলো স্বল্পমেয়াদে রাশিয়া থেকে অপরিশোধিত তেল সরবরাহের জন্য পাওয়া যাবে এমন জাহাজ বহরের সংখ্যা উল্লেখযোগ্যভাবে হ্রাস করবে এবং পরিবহন ব্যয় বাড়াবে।’ সিঙ্গাপুরভিত্তিক এক ব্যবসায়ী জানান, নিষেধাজ্ঞার আওতায় আসা ট্যাংকারগুলো গত ১২ মাসে চীনে প্রতিদিন প্রায় ৯ লাখ ব্যারেল রাশিয়ান তেল সরবরাহ করেছে। এটি এখন তলানিতে পড়বে।
গত বছরের প্রথম ১১ মাসে ভারতের রাশিয়ান তেল আমদানি আগের বছরের তুলনায় ৪ দশমিক ৫ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়ে প্রতিদিন ১ দশমিক ৭৬৪ মিলিয়ন ব্যারেল হয়েছিল। এটি ভারতের মোট আমদানির ৩৬ শতাংশ। একই সময়ে, চীনের আমদানি ২ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়ে ৯৯ দশমিক মিলিয়ন মেট্রিক টন বা দৈনিক ২ দশমিক ১৫৯ মিলিয়ন ব্যারেল হয়েছিল। এটি চীনের মোট আমদানির ২০ শতাংশ।
এদিকে, বিশ্লেষকেরা বলছেন, নতুন নিষেধাজ্ঞা চীন-ভারতকে মধ্যপ্রাচ্য, আফ্রিকা ও আমেরিকা থেকে আরও তেল সংগ্রহে বাধ্য করবে। মধ্যপ্রাচ্য, আফ্রিকা এবং ব্রাজিলের তেলের স্পট মার্কেটের দামে এরই মধ্যে বেড়েছে। চীন ও ভারতের ক্রমবর্ধমান চাহিদার বিপরীতে রাশিয়া-ইরানের তেলের সরবরাহ সংকুচিত এবং ব্যয়বহুল হয়ে ওঠায় এমনটা হয়েছে।
ভারতের একটি তেল শোধনাগারের এক কর্মকর্তা নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, ‘এরই মধ্যে মধ্যপ্রাচ্যের তেলের দামে ঊর্ধ্বগতি দেখা যাচ্ছে। এই অবস্থায়ও আমাদের মধ্যপ্রাচ্যের তেলেই যেতে হবে। হয়তো আমাদের মার্কিন তেলের দিকেও মনোযোগ দিতে হতে পারে।’
ওনিক্স ক্যাপিটাল গ্রুপের গবেষণা প্রধান হ্যারি চিলিংগিরিয়ান বলেন, ‘রাশিয়ান তেলের প্রধান গ্রাহক ভারতীয় শোধনাগারগুলো বিকল্প খুঁজতে দেরি করবে না এবং মধ্যপ্রাচ্য ও আটলান্টিক বেসিনের তেলের জন্য মরিয়া হয়ে উঠবে। দুবাই বেঞ্চমার্কের মূল্য আরও বাড়বে, কারণ ওমান বা মুরবানের মতো ফেব্রুয়ারি মাসে লোডিং কার্গোগুলোর জন্য আক্রমণাত্মক বিডিং দেখা যাবে, যা ব্রেন্ট/দুবাই স্প্রেড আরও সংকুচিত করবে।’
গত মাসে, বাইডেন প্রশাসন ইরানি তেল সরবরাহের সঙ্গে যুক্ত আরও কিছু জাহাজকে চিহ্নিত করে নিষেধাজ্ঞার আওতায় আনে। এর ফলে চীনের শ্যানডং পোর্ট গ্রুপ পূর্ব চীনের শ্যানডং প্রদেশের বন্দরে নিষেধাজ্ঞার আওতাভুক্ত ট্যাংকারগুলো প্রবেশ নিষিদ্ধ করতে বাধ্য হয়েছিল। ফলে, ইরানি তেলের প্রধান ক্রেতা চীন মধ্যপ্রাচ্যের তেলের দিকে ঝুঁকবে এবং সম্ভবত কানাডার ট্রান্স-মাউন্টেন পাইপলাইন থেকে তেলের আমদানি বাড়াবে।
রাশিয়ার তেল শিল্পের ওপর নতুন করে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে যুক্তরাষ্ট্র। এই নতুন নিষেধাজ্ঞার কারণে চীন ও ভারতকে মধ্যপ্রাচ্য, আফ্রিকা ও আমেরিকা থেকে আরও বেশি জ্বালানি তেল সংগ্রহ করতে হবে। এর ফলে তেলের দাম এবং পরিবহন ব্যয় বাড়াবে বলে জানিয়েছেন ব্যবসায়ী ও বিশ্লেষকেরা।
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ট্রেজারি বিভাগ গত শুক্রবার রাশিয়ান তেল উৎপাদক কোম্পানি গ্যাজপ্রমনেফত এবং সারগুতনেফতেগ্যাজের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে। পাশাপাশি তেল বহনকারী ১৮৩টি জাহাজের ওপরও নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে। এই জাহাজগুলো রাশিয়ার তেল পরিবহনে ব্যবহৃত হতো।
বার্তা সংস্থা রয়টার্সের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, অনেক তেলবাহী ট্যাংকার ভারত ও চীনে তেল পরিবহনে ব্যবহৃত হয়েছে। এর আগে, উন্নত দেশগুলোর জোট জি-৭ আন্তর্জাতিক বাজারের তোয়াক্কা না করে, রাশিয়ার তেলের নিম্ন মূল্য নির্ধারণ করে দেয়। যার কারণে, রাশিয়ার তেলের বাজার ইউরোপ থেকে এশিয়ায় স্থানান্তরিত হয়। পাশাপাশি কিছু ট্যাংকার ইরান থেকেও অন্যান্য দেশে তেল পরিবহন করত—সেগুলোকেও নিষেধাজ্ঞার আওতায় আনা হয়েছে।
চীনের দুটি সূত্র জানিয়েছে, নতুন নিষেধাজ্ঞা রাশিয়ার তেল রপ্তানিতে বড় প্রভাব ফেলবে এবং এর ফলে চীনের শোধনাগারগুলোকে উৎপাদন হ্রাস করতে বাধ্য করবে। রাশিয়ার সরবরাহ বিঘ্নিত হওয়ার আশঙ্কায় আজ সোমবার বিশ্ববাজারে তেলের দাম কয়েক মাসের মধ্যে সর্বোচ্চ পর্যায়ে পৌঁছায় এবং ব্রেন্ট ক্রুডের মূল্য ব্যারেলপ্রতি ৮১ ডলার অতিক্রম করেছে।
নিষেধাজ্ঞার আওতায় আসা জাহাজগুলোর মধ্যে ১৪৩টি ট্যাংকার। এই ট্যাংকারগুলো গত বছর ৫৩০ মিলিয়নের বেশি ব্যারেল রাশিয়ান অপরিশোধিত তেল পরিবহন করেছে। এটি দেশের মোট সমুদ্রপথে তেল রপ্তানির প্রায় ৪২ শতাংশ। এর মধ্যে প্রায় ৩০০ মিলিয়ন ব্যারেল তেল চীনে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। বাকি তেলের বেশির ভাগই ভারতকে সরবরাহ করা হয়েছে।
বৈশ্বিক বাণিজ্যের ডেটা নিয়ে কাজ করা প্রতিষ্ঠান কেপলারের প্রধান ফ্রেইট বিশ্লেষক ম্যাট রাইট বলেন, ‘এই নিষেধাজ্ঞাগুলো স্বল্পমেয়াদে রাশিয়া থেকে অপরিশোধিত তেল সরবরাহের জন্য পাওয়া যাবে এমন জাহাজ বহরের সংখ্যা উল্লেখযোগ্যভাবে হ্রাস করবে এবং পরিবহন ব্যয় বাড়াবে।’ সিঙ্গাপুরভিত্তিক এক ব্যবসায়ী জানান, নিষেধাজ্ঞার আওতায় আসা ট্যাংকারগুলো গত ১২ মাসে চীনে প্রতিদিন প্রায় ৯ লাখ ব্যারেল রাশিয়ান তেল সরবরাহ করেছে। এটি এখন তলানিতে পড়বে।
গত বছরের প্রথম ১১ মাসে ভারতের রাশিয়ান তেল আমদানি আগের বছরের তুলনায় ৪ দশমিক ৫ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়ে প্রতিদিন ১ দশমিক ৭৬৪ মিলিয়ন ব্যারেল হয়েছিল। এটি ভারতের মোট আমদানির ৩৬ শতাংশ। একই সময়ে, চীনের আমদানি ২ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়ে ৯৯ দশমিক মিলিয়ন মেট্রিক টন বা দৈনিক ২ দশমিক ১৫৯ মিলিয়ন ব্যারেল হয়েছিল। এটি চীনের মোট আমদানির ২০ শতাংশ।
এদিকে, বিশ্লেষকেরা বলছেন, নতুন নিষেধাজ্ঞা চীন-ভারতকে মধ্যপ্রাচ্য, আফ্রিকা ও আমেরিকা থেকে আরও তেল সংগ্রহে বাধ্য করবে। মধ্যপ্রাচ্য, আফ্রিকা এবং ব্রাজিলের তেলের স্পট মার্কেটের দামে এরই মধ্যে বেড়েছে। চীন ও ভারতের ক্রমবর্ধমান চাহিদার বিপরীতে রাশিয়া-ইরানের তেলের সরবরাহ সংকুচিত এবং ব্যয়বহুল হয়ে ওঠায় এমনটা হয়েছে।
ভারতের একটি তেল শোধনাগারের এক কর্মকর্তা নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, ‘এরই মধ্যে মধ্যপ্রাচ্যের তেলের দামে ঊর্ধ্বগতি দেখা যাচ্ছে। এই অবস্থায়ও আমাদের মধ্যপ্রাচ্যের তেলেই যেতে হবে। হয়তো আমাদের মার্কিন তেলের দিকেও মনোযোগ দিতে হতে পারে।’
ওনিক্স ক্যাপিটাল গ্রুপের গবেষণা প্রধান হ্যারি চিলিংগিরিয়ান বলেন, ‘রাশিয়ান তেলের প্রধান গ্রাহক ভারতীয় শোধনাগারগুলো বিকল্প খুঁজতে দেরি করবে না এবং মধ্যপ্রাচ্য ও আটলান্টিক বেসিনের তেলের জন্য মরিয়া হয়ে উঠবে। দুবাই বেঞ্চমার্কের মূল্য আরও বাড়বে, কারণ ওমান বা মুরবানের মতো ফেব্রুয়ারি মাসে লোডিং কার্গোগুলোর জন্য আক্রমণাত্মক বিডিং দেখা যাবে, যা ব্রেন্ট/দুবাই স্প্রেড আরও সংকুচিত করবে।’
গত মাসে, বাইডেন প্রশাসন ইরানি তেল সরবরাহের সঙ্গে যুক্ত আরও কিছু জাহাজকে চিহ্নিত করে নিষেধাজ্ঞার আওতায় আনে। এর ফলে চীনের শ্যানডং পোর্ট গ্রুপ পূর্ব চীনের শ্যানডং প্রদেশের বন্দরে নিষেধাজ্ঞার আওতাভুক্ত ট্যাংকারগুলো প্রবেশ নিষিদ্ধ করতে বাধ্য হয়েছিল। ফলে, ইরানি তেলের প্রধান ক্রেতা চীন মধ্যপ্রাচ্যের তেলের দিকে ঝুঁকবে এবং সম্ভবত কানাডার ট্রান্স-মাউন্টেন পাইপলাইন থেকে তেলের আমদানি বাড়াবে।
যুক্তরাষ্ট্রের আরোপিত শুল্কের ধাক্কায় টালমাটাল বিশ্ববাণিজ্য, বিশেষ করে এশিয়ার দেশগুলো। এশিয়ার অধিকাংশ দেশ থেকে যুক্তরাষ্ট্রে পোশাক রপ্তানি হয়ে থাকে। আর শুল্কের কারণে এ খাতে শঙ্কার জন্ম হয়েছে। গত ২০ এপ্রিল লিবারেশন ডে ঘোষণা করে যে শুল্ক আরোপ করেছিলেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প, তার প্রভাবের
৯ ঘণ্টা আগেভারতীয় পণ্যে ৫০ শতাংশ শুল্ক আরোপ করেছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। আর এর বড় ধাক্কা লেগেছে ভারতের তৈরি পোশাক খাতে। ট্রাম্পের এই শুল্ক ঘোষণার পর থেকে প্রতিদিন আতঙ্কে কাটছে এই খাতের উদ্যোক্তাদের।
১১ ঘণ্টা আগেব্যাংক খাতে লুণ্ঠন, অর্থ পাচার, শেয়ারবাজার ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলোকে নড়বড়ে করে ফেলা, বৈদেশিক মুদ্রার মজুতে চাপ ইত্যাদি কারণে আওয়ামী লীগ আমলের শেষের দিকে অর্থনীতি মহাসংকটে পড়েছিল। এর সরাসরি প্রভাব পড়ে জনজীবনেও। মূল্যস্ফীতিতে দেশবাসীর নাভিশ্বাস ওঠে। ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে শেখ হাসিনার স্বৈরশাসনের...
১৯ ঘণ্টা আগেচীনা প্রতিষ্ঠান চুয়ানচিং ড্রিলিং ইঞ্জিনিয়ারিং কোম্পানি লিমিটেডের (সিসিডিসি) সঙ্গে দুটি কূপ খননের চুক্তি করেছে বাংলাদেশ গ্যাস ফিল্ডস কোম্পানি লিমিটেড (বিজিএফসিএল)। ৫৯৪ কোটি টাকা ব্যয়ে বাখরাবাদ ও তিতাস এলাকায় গভীর অনুসন্ধানে এ দুটি কূপ খনন করা হবে। গতকাল বৃহস্পতিবার রাজধানীর কারওয়ান বাজারে...
১৯ ঘণ্টা আগে