নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

কর দিতে গিয়েও দিতে হয় ঘুষ—শিল্পমালিকদের এই বিস্ফোরক ক্ষোভ এখন আর কানে কানে বলা গুঞ্জন নয়, বরং অর্থনীতির কেন্দ্রবিন্দুতে প্রকাশ্য প্রতিবাদ। নিয়মিত করদাতারা পাচ্ছেন না ন্যায্য সম্মান, বরং তাঁদের ঘাড়ে চাপছে অতিরিক্ত বোঝা। উৎপাদনে ব্যবহৃত গ্যাস-বিদ্যুৎ নেই, অথচ কর চাই নিরবচ্ছিন্নভাবে। বিনিয়োগ থমকে, ভরসা হারাচ্ছেন উদ্যোক্তারা। এ অনিশ্চয়তার মধ্যে করছাড়ের ন্যায্যতা তুলে ধরেন ব্যবসায়ীরা। তবে সরকারের জবাব ছিল সংক্ষিপ্ত, কিন্তু স্পষ্ট—‘করছাড়ের দিন শেষ।’ নিশ্ছিদ্র রাজস্ব আদায়ের এই বার্তা যেন আগাম জানিয়ে দিচ্ছে—আসছে বাজেটে ছাড় নয়, থাকবে কড়াকড়ি।
রাজধানীর সোনারগাঁও হোটেলে গতকালের আলোচনায় পরামর্শের টেবিল এভাবেই যেন রূপ নেয় দ্বন্দ্বের মঞ্চে, যেখানে মুখোমুখি হয় কর আদায়ের কঠোরতা আর ব্যবসায়ীদের বাস্তবতার চাপা ক্ষোভ। আসন্ন ২০২৫-২৬ অর্থবছরের বাজেট নিয়ে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) ও এফবিসিসিআইয়ের পরামর্শক কমিটির ৪৫তম সভায় আলোচনায় অংশ নেন সরকারের গুরুত্বপূর্ণ অর্থ ও বাণিজ্য উপদেষ্টারা, কর প্রশাসনের শীর্ষ কর্মকর্তা এবং ব্যবসায়ী নেতারা।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে অর্থ উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ সাফ জানিয়ে দেন—‘করছাড়ের দিন শেষ। এখন কর দিয়ে সুবিধা নিতে হবে।’ তিনি বলেন, সরকারের ওপর রাজস্ব বাড়ানোর ব্যাপক চাপ রয়েছে। ট্রাম্প প্রশাসনের নতুন শুল্কনীতির উদাহরণ টেনে তিনি বলেন, প্রতিযোগিতামূলক বাজারে টিকে থাকতে হলে ব্যবসায়ীদের স্বচ্ছ ও জবাবদিহিমূলক করকাঠামো মেনে চলতে হবে।
ব্যবসায়ীদের বক্তব্য একেবারে ভিন্ন সুরে। বিটিএমএর সভাপতি শওকত আজিজ বলেন, ‘৩০ হাজার টাকার শুল্ক দিতে গেলে ৫০ হাজার টাকার ঘুষ লাগে’—এমন পরিস্থিতিতে বিনিয়োগ, উৎপাদন ও ব্যবসা বিপর্যস্ত। তিনি এনবিআরকে আহ্বান জানান নিজেদের ক্ষমতা কমিয়ে গঠনমূলক ব্যবস্থাপনা গড়ে তুলতে।
মেঘনা গ্রুপের চেয়ারম্যান মোস্তফা কামালের কণ্ঠেও ঝরে পড়ে হতাশা। কুমিল্লা ইকোনমিক জোনে ৬০ কোটি ডলার বিনিয়োগ করে দুই বছর পেরিয়ে গেলেও তাঁদের গ্যাস ও বিদ্যুতের সংযোগ মেলেনি। তাঁর মতে, নিজের দেশের বিনিয়োগকারীদের এভাবে অবহেলিত রেখে বিদেশিদের আকৃষ্ট করা একধরনের আত্মপ্রবঞ্চনা।
ভ্যাট নিয়ে ভিন্ন এক সমস্যা তুলে ধরেন বিকেএমইএর সভাপতি মোহাম্মদ হাতেম। তাঁর অভিযোগ, ‘অনেক অপ্রয়োজনীয় কাগজপত্র জমা দিতে হয়, যা কর্মকর্তারা আটকে রেখে অহেতুক হয়রানি করেন।’ তিনি বলেন, ব্যবসায়ীরা সোলার প্যানেল স্থাপন করে জ্বালানি-সংকটের সমাধানে ভূমিকা রাখতে চান, অথচ ইনভার্টার ও প্যানেলের ওপর উচ্চ হারে কর বাধা হয়ে দাঁড়াচ্ছে।
ব্যবসায়ীদের সর্ববৃহৎ সংগঠন এফবিসিসিআই সাধারণ করদাতার বার্ষিক করমুক্ত আয়সীমা ৩.৫ থেকে বাড়িয়ে ৪.৫ লাখ টাকা করার প্রস্তাব করেছে। অনুষ্ঠান সঞ্চালনার দায়িত্ব পালন করা সংগঠনটির প্রশাসক মো. হাফিজুর রহমান বলেন, মূল্যস্ফীতি ও জীবনযাত্রার ব্যয় বাড়ায় করকাঠামোর ভারসাম্যহীনতা সাধারণ নাগরিকদের বিপদে ফেলছে।
হাফিজুর রহমান প্রস্তাব করেন, রপ্তানি খাতে উৎসে করের হার আবার ১ শতাংশ থেকে কমিয়ে শূন্য দশমিক ৫ শতাংশ করা হোক এবং তা আগামী পাঁচ বছর স্থায়ী হোক।
অপর দিকে সভাপতির বক্তব্যে এনবিআরের চেয়ারম্যান মো. আবদুর রহমান খান করপোরেট কর কমানোর সম্ভাবনা নাকচ করে দেন। তবে তিনি বলেন, এনবিআর ও ব্যবসায়ীদের সম্পর্কোন্নয়নে করব্যবস্থার ডিজিটাইজেশন জোরদার করা হচ্ছে। অটোমেশন প্রকল্পে বন্ড ব্যবস্থাও আনা হচ্ছে।
অর্থ উপদেষ্টা সালেহউদ্দিন আহমেদ বলেন, ‘আমরা বাজেটে প্রত্যাশার ফুলঝুরি দেব না, বাস্তবায়নযোগ্য পরিকল্পনা আনব।’ পাশাপাশি তিনি বলেন, ‘আইএমএফের ঋণ নিয়ে আমরা চিন্তিত নই, সামষ্টিক অর্থনীতিতে ইতিবাচক পরিবর্তন ইতিমধ্যে শুরু হয়েছে।’ তিনি জানান, যুক্তরাষ্ট্রের পাল্টা শুল্কনীতি নিয়ে আলোচনার জন্য ৯০ দিন সময় রয়েছে, আলোচনায় সমাধান না হলে আরও সময় চাওয়া হবে।
বিশেষ অতিথির বক্তব্যে বাণিজ্য উপদেষ্টা শেখ বশিরউদ্দীন বলেন, ‘এবারের বাজেট হবে ব্যয়ের উন্মাদনায় নয়, বাস্তবতার ভিত্তিতে তৈরি এক লক্ষ্যনির্ভর নথি।’
কর দিতে গিয়েও ঘুষ—ব্যবসায়ীদের এই অভিযোগ শুধু প্রশাসনিক গলদের নয়, বরং গভীর এক নীতিগত সংকটের প্রতিচ্ছবি। রাষ্ট্র চায় রাজস্ব, ব্যবসায়ীরা চান স্বচ্ছতা—এ সম্পর্ক যদি বিশ্বাসের ভিত্তিতে না দাঁড়ায়, তবে অর্থনৈতিক উত্তরণের স্বপ্ন কথার দেয়ালে ঝুলে থাকবে। আর এ কথাগুলোর পেছনে রয়েছে এমন এক বাস্তবতা, যা একটি সভার গণ্ডি পেরিয়ে পুরো অর্থনীতিকে নাড়া দেয়।
আলোচনায় অন্যদের মধ্যে অংশ নেন বাংলাদেশ বিনিয়োগ উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (বিডা) চেয়ারম্যান চৌধুরী আশিক মাহমুদ বিন হারুন, বাংলাদেশ ট্রেড অ্যান্ড ট্যারিফ কমিশনের চেয়ারম্যান মইনুল খান প্রমুখ।

কর দিতে গিয়েও দিতে হয় ঘুষ—শিল্পমালিকদের এই বিস্ফোরক ক্ষোভ এখন আর কানে কানে বলা গুঞ্জন নয়, বরং অর্থনীতির কেন্দ্রবিন্দুতে প্রকাশ্য প্রতিবাদ। নিয়মিত করদাতারা পাচ্ছেন না ন্যায্য সম্মান, বরং তাঁদের ঘাড়ে চাপছে অতিরিক্ত বোঝা। উৎপাদনে ব্যবহৃত গ্যাস-বিদ্যুৎ নেই, অথচ কর চাই নিরবচ্ছিন্নভাবে। বিনিয়োগ থমকে, ভরসা হারাচ্ছেন উদ্যোক্তারা। এ অনিশ্চয়তার মধ্যে করছাড়ের ন্যায্যতা তুলে ধরেন ব্যবসায়ীরা। তবে সরকারের জবাব ছিল সংক্ষিপ্ত, কিন্তু স্পষ্ট—‘করছাড়ের দিন শেষ।’ নিশ্ছিদ্র রাজস্ব আদায়ের এই বার্তা যেন আগাম জানিয়ে দিচ্ছে—আসছে বাজেটে ছাড় নয়, থাকবে কড়াকড়ি।
রাজধানীর সোনারগাঁও হোটেলে গতকালের আলোচনায় পরামর্শের টেবিল এভাবেই যেন রূপ নেয় দ্বন্দ্বের মঞ্চে, যেখানে মুখোমুখি হয় কর আদায়ের কঠোরতা আর ব্যবসায়ীদের বাস্তবতার চাপা ক্ষোভ। আসন্ন ২০২৫-২৬ অর্থবছরের বাজেট নিয়ে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) ও এফবিসিসিআইয়ের পরামর্শক কমিটির ৪৫তম সভায় আলোচনায় অংশ নেন সরকারের গুরুত্বপূর্ণ অর্থ ও বাণিজ্য উপদেষ্টারা, কর প্রশাসনের শীর্ষ কর্মকর্তা এবং ব্যবসায়ী নেতারা।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে অর্থ উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ সাফ জানিয়ে দেন—‘করছাড়ের দিন শেষ। এখন কর দিয়ে সুবিধা নিতে হবে।’ তিনি বলেন, সরকারের ওপর রাজস্ব বাড়ানোর ব্যাপক চাপ রয়েছে। ট্রাম্প প্রশাসনের নতুন শুল্কনীতির উদাহরণ টেনে তিনি বলেন, প্রতিযোগিতামূলক বাজারে টিকে থাকতে হলে ব্যবসায়ীদের স্বচ্ছ ও জবাবদিহিমূলক করকাঠামো মেনে চলতে হবে।
ব্যবসায়ীদের বক্তব্য একেবারে ভিন্ন সুরে। বিটিএমএর সভাপতি শওকত আজিজ বলেন, ‘৩০ হাজার টাকার শুল্ক দিতে গেলে ৫০ হাজার টাকার ঘুষ লাগে’—এমন পরিস্থিতিতে বিনিয়োগ, উৎপাদন ও ব্যবসা বিপর্যস্ত। তিনি এনবিআরকে আহ্বান জানান নিজেদের ক্ষমতা কমিয়ে গঠনমূলক ব্যবস্থাপনা গড়ে তুলতে।
মেঘনা গ্রুপের চেয়ারম্যান মোস্তফা কামালের কণ্ঠেও ঝরে পড়ে হতাশা। কুমিল্লা ইকোনমিক জোনে ৬০ কোটি ডলার বিনিয়োগ করে দুই বছর পেরিয়ে গেলেও তাঁদের গ্যাস ও বিদ্যুতের সংযোগ মেলেনি। তাঁর মতে, নিজের দেশের বিনিয়োগকারীদের এভাবে অবহেলিত রেখে বিদেশিদের আকৃষ্ট করা একধরনের আত্মপ্রবঞ্চনা।
ভ্যাট নিয়ে ভিন্ন এক সমস্যা তুলে ধরেন বিকেএমইএর সভাপতি মোহাম্মদ হাতেম। তাঁর অভিযোগ, ‘অনেক অপ্রয়োজনীয় কাগজপত্র জমা দিতে হয়, যা কর্মকর্তারা আটকে রেখে অহেতুক হয়রানি করেন।’ তিনি বলেন, ব্যবসায়ীরা সোলার প্যানেল স্থাপন করে জ্বালানি-সংকটের সমাধানে ভূমিকা রাখতে চান, অথচ ইনভার্টার ও প্যানেলের ওপর উচ্চ হারে কর বাধা হয়ে দাঁড়াচ্ছে।
ব্যবসায়ীদের সর্ববৃহৎ সংগঠন এফবিসিসিআই সাধারণ করদাতার বার্ষিক করমুক্ত আয়সীমা ৩.৫ থেকে বাড়িয়ে ৪.৫ লাখ টাকা করার প্রস্তাব করেছে। অনুষ্ঠান সঞ্চালনার দায়িত্ব পালন করা সংগঠনটির প্রশাসক মো. হাফিজুর রহমান বলেন, মূল্যস্ফীতি ও জীবনযাত্রার ব্যয় বাড়ায় করকাঠামোর ভারসাম্যহীনতা সাধারণ নাগরিকদের বিপদে ফেলছে।
হাফিজুর রহমান প্রস্তাব করেন, রপ্তানি খাতে উৎসে করের হার আবার ১ শতাংশ থেকে কমিয়ে শূন্য দশমিক ৫ শতাংশ করা হোক এবং তা আগামী পাঁচ বছর স্থায়ী হোক।
অপর দিকে সভাপতির বক্তব্যে এনবিআরের চেয়ারম্যান মো. আবদুর রহমান খান করপোরেট কর কমানোর সম্ভাবনা নাকচ করে দেন। তবে তিনি বলেন, এনবিআর ও ব্যবসায়ীদের সম্পর্কোন্নয়নে করব্যবস্থার ডিজিটাইজেশন জোরদার করা হচ্ছে। অটোমেশন প্রকল্পে বন্ড ব্যবস্থাও আনা হচ্ছে।
অর্থ উপদেষ্টা সালেহউদ্দিন আহমেদ বলেন, ‘আমরা বাজেটে প্রত্যাশার ফুলঝুরি দেব না, বাস্তবায়নযোগ্য পরিকল্পনা আনব।’ পাশাপাশি তিনি বলেন, ‘আইএমএফের ঋণ নিয়ে আমরা চিন্তিত নই, সামষ্টিক অর্থনীতিতে ইতিবাচক পরিবর্তন ইতিমধ্যে শুরু হয়েছে।’ তিনি জানান, যুক্তরাষ্ট্রের পাল্টা শুল্কনীতি নিয়ে আলোচনার জন্য ৯০ দিন সময় রয়েছে, আলোচনায় সমাধান না হলে আরও সময় চাওয়া হবে।
বিশেষ অতিথির বক্তব্যে বাণিজ্য উপদেষ্টা শেখ বশিরউদ্দীন বলেন, ‘এবারের বাজেট হবে ব্যয়ের উন্মাদনায় নয়, বাস্তবতার ভিত্তিতে তৈরি এক লক্ষ্যনির্ভর নথি।’
কর দিতে গিয়েও ঘুষ—ব্যবসায়ীদের এই অভিযোগ শুধু প্রশাসনিক গলদের নয়, বরং গভীর এক নীতিগত সংকটের প্রতিচ্ছবি। রাষ্ট্র চায় রাজস্ব, ব্যবসায়ীরা চান স্বচ্ছতা—এ সম্পর্ক যদি বিশ্বাসের ভিত্তিতে না দাঁড়ায়, তবে অর্থনৈতিক উত্তরণের স্বপ্ন কথার দেয়ালে ঝুলে থাকবে। আর এ কথাগুলোর পেছনে রয়েছে এমন এক বাস্তবতা, যা একটি সভার গণ্ডি পেরিয়ে পুরো অর্থনীতিকে নাড়া দেয়।
আলোচনায় অন্যদের মধ্যে অংশ নেন বাংলাদেশ বিনিয়োগ উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (বিডা) চেয়ারম্যান চৌধুরী আশিক মাহমুদ বিন হারুন, বাংলাদেশ ট্রেড অ্যান্ড ট্যারিফ কমিশনের চেয়ারম্যান মইনুল খান প্রমুখ।
নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

কর দিতে গিয়েও দিতে হয় ঘুষ—শিল্পমালিকদের এই বিস্ফোরক ক্ষোভ এখন আর কানে কানে বলা গুঞ্জন নয়, বরং অর্থনীতির কেন্দ্রবিন্দুতে প্রকাশ্য প্রতিবাদ। নিয়মিত করদাতারা পাচ্ছেন না ন্যায্য সম্মান, বরং তাঁদের ঘাড়ে চাপছে অতিরিক্ত বোঝা। উৎপাদনে ব্যবহৃত গ্যাস-বিদ্যুৎ নেই, অথচ কর চাই নিরবচ্ছিন্নভাবে। বিনিয়োগ থমকে, ভরসা হারাচ্ছেন উদ্যোক্তারা। এ অনিশ্চয়তার মধ্যে করছাড়ের ন্যায্যতা তুলে ধরেন ব্যবসায়ীরা। তবে সরকারের জবাব ছিল সংক্ষিপ্ত, কিন্তু স্পষ্ট—‘করছাড়ের দিন শেষ।’ নিশ্ছিদ্র রাজস্ব আদায়ের এই বার্তা যেন আগাম জানিয়ে দিচ্ছে—আসছে বাজেটে ছাড় নয়, থাকবে কড়াকড়ি।
রাজধানীর সোনারগাঁও হোটেলে গতকালের আলোচনায় পরামর্শের টেবিল এভাবেই যেন রূপ নেয় দ্বন্দ্বের মঞ্চে, যেখানে মুখোমুখি হয় কর আদায়ের কঠোরতা আর ব্যবসায়ীদের বাস্তবতার চাপা ক্ষোভ। আসন্ন ২০২৫-২৬ অর্থবছরের বাজেট নিয়ে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) ও এফবিসিসিআইয়ের পরামর্শক কমিটির ৪৫তম সভায় আলোচনায় অংশ নেন সরকারের গুরুত্বপূর্ণ অর্থ ও বাণিজ্য উপদেষ্টারা, কর প্রশাসনের শীর্ষ কর্মকর্তা এবং ব্যবসায়ী নেতারা।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে অর্থ উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ সাফ জানিয়ে দেন—‘করছাড়ের দিন শেষ। এখন কর দিয়ে সুবিধা নিতে হবে।’ তিনি বলেন, সরকারের ওপর রাজস্ব বাড়ানোর ব্যাপক চাপ রয়েছে। ট্রাম্প প্রশাসনের নতুন শুল্কনীতির উদাহরণ টেনে তিনি বলেন, প্রতিযোগিতামূলক বাজারে টিকে থাকতে হলে ব্যবসায়ীদের স্বচ্ছ ও জবাবদিহিমূলক করকাঠামো মেনে চলতে হবে।
ব্যবসায়ীদের বক্তব্য একেবারে ভিন্ন সুরে। বিটিএমএর সভাপতি শওকত আজিজ বলেন, ‘৩০ হাজার টাকার শুল্ক দিতে গেলে ৫০ হাজার টাকার ঘুষ লাগে’—এমন পরিস্থিতিতে বিনিয়োগ, উৎপাদন ও ব্যবসা বিপর্যস্ত। তিনি এনবিআরকে আহ্বান জানান নিজেদের ক্ষমতা কমিয়ে গঠনমূলক ব্যবস্থাপনা গড়ে তুলতে।
মেঘনা গ্রুপের চেয়ারম্যান মোস্তফা কামালের কণ্ঠেও ঝরে পড়ে হতাশা। কুমিল্লা ইকোনমিক জোনে ৬০ কোটি ডলার বিনিয়োগ করে দুই বছর পেরিয়ে গেলেও তাঁদের গ্যাস ও বিদ্যুতের সংযোগ মেলেনি। তাঁর মতে, নিজের দেশের বিনিয়োগকারীদের এভাবে অবহেলিত রেখে বিদেশিদের আকৃষ্ট করা একধরনের আত্মপ্রবঞ্চনা।
ভ্যাট নিয়ে ভিন্ন এক সমস্যা তুলে ধরেন বিকেএমইএর সভাপতি মোহাম্মদ হাতেম। তাঁর অভিযোগ, ‘অনেক অপ্রয়োজনীয় কাগজপত্র জমা দিতে হয়, যা কর্মকর্তারা আটকে রেখে অহেতুক হয়রানি করেন।’ তিনি বলেন, ব্যবসায়ীরা সোলার প্যানেল স্থাপন করে জ্বালানি-সংকটের সমাধানে ভূমিকা রাখতে চান, অথচ ইনভার্টার ও প্যানেলের ওপর উচ্চ হারে কর বাধা হয়ে দাঁড়াচ্ছে।
ব্যবসায়ীদের সর্ববৃহৎ সংগঠন এফবিসিসিআই সাধারণ করদাতার বার্ষিক করমুক্ত আয়সীমা ৩.৫ থেকে বাড়িয়ে ৪.৫ লাখ টাকা করার প্রস্তাব করেছে। অনুষ্ঠান সঞ্চালনার দায়িত্ব পালন করা সংগঠনটির প্রশাসক মো. হাফিজুর রহমান বলেন, মূল্যস্ফীতি ও জীবনযাত্রার ব্যয় বাড়ায় করকাঠামোর ভারসাম্যহীনতা সাধারণ নাগরিকদের বিপদে ফেলছে।
হাফিজুর রহমান প্রস্তাব করেন, রপ্তানি খাতে উৎসে করের হার আবার ১ শতাংশ থেকে কমিয়ে শূন্য দশমিক ৫ শতাংশ করা হোক এবং তা আগামী পাঁচ বছর স্থায়ী হোক।
অপর দিকে সভাপতির বক্তব্যে এনবিআরের চেয়ারম্যান মো. আবদুর রহমান খান করপোরেট কর কমানোর সম্ভাবনা নাকচ করে দেন। তবে তিনি বলেন, এনবিআর ও ব্যবসায়ীদের সম্পর্কোন্নয়নে করব্যবস্থার ডিজিটাইজেশন জোরদার করা হচ্ছে। অটোমেশন প্রকল্পে বন্ড ব্যবস্থাও আনা হচ্ছে।
অর্থ উপদেষ্টা সালেহউদ্দিন আহমেদ বলেন, ‘আমরা বাজেটে প্রত্যাশার ফুলঝুরি দেব না, বাস্তবায়নযোগ্য পরিকল্পনা আনব।’ পাশাপাশি তিনি বলেন, ‘আইএমএফের ঋণ নিয়ে আমরা চিন্তিত নই, সামষ্টিক অর্থনীতিতে ইতিবাচক পরিবর্তন ইতিমধ্যে শুরু হয়েছে।’ তিনি জানান, যুক্তরাষ্ট্রের পাল্টা শুল্কনীতি নিয়ে আলোচনার জন্য ৯০ দিন সময় রয়েছে, আলোচনায় সমাধান না হলে আরও সময় চাওয়া হবে।
বিশেষ অতিথির বক্তব্যে বাণিজ্য উপদেষ্টা শেখ বশিরউদ্দীন বলেন, ‘এবারের বাজেট হবে ব্যয়ের উন্মাদনায় নয়, বাস্তবতার ভিত্তিতে তৈরি এক লক্ষ্যনির্ভর নথি।’
কর দিতে গিয়েও ঘুষ—ব্যবসায়ীদের এই অভিযোগ শুধু প্রশাসনিক গলদের নয়, বরং গভীর এক নীতিগত সংকটের প্রতিচ্ছবি। রাষ্ট্র চায় রাজস্ব, ব্যবসায়ীরা চান স্বচ্ছতা—এ সম্পর্ক যদি বিশ্বাসের ভিত্তিতে না দাঁড়ায়, তবে অর্থনৈতিক উত্তরণের স্বপ্ন কথার দেয়ালে ঝুলে থাকবে। আর এ কথাগুলোর পেছনে রয়েছে এমন এক বাস্তবতা, যা একটি সভার গণ্ডি পেরিয়ে পুরো অর্থনীতিকে নাড়া দেয়।
আলোচনায় অন্যদের মধ্যে অংশ নেন বাংলাদেশ বিনিয়োগ উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (বিডা) চেয়ারম্যান চৌধুরী আশিক মাহমুদ বিন হারুন, বাংলাদেশ ট্রেড অ্যান্ড ট্যারিফ কমিশনের চেয়ারম্যান মইনুল খান প্রমুখ।

কর দিতে গিয়েও দিতে হয় ঘুষ—শিল্পমালিকদের এই বিস্ফোরক ক্ষোভ এখন আর কানে কানে বলা গুঞ্জন নয়, বরং অর্থনীতির কেন্দ্রবিন্দুতে প্রকাশ্য প্রতিবাদ। নিয়মিত করদাতারা পাচ্ছেন না ন্যায্য সম্মান, বরং তাঁদের ঘাড়ে চাপছে অতিরিক্ত বোঝা। উৎপাদনে ব্যবহৃত গ্যাস-বিদ্যুৎ নেই, অথচ কর চাই নিরবচ্ছিন্নভাবে। বিনিয়োগ থমকে, ভরসা হারাচ্ছেন উদ্যোক্তারা। এ অনিশ্চয়তার মধ্যে করছাড়ের ন্যায্যতা তুলে ধরেন ব্যবসায়ীরা। তবে সরকারের জবাব ছিল সংক্ষিপ্ত, কিন্তু স্পষ্ট—‘করছাড়ের দিন শেষ।’ নিশ্ছিদ্র রাজস্ব আদায়ের এই বার্তা যেন আগাম জানিয়ে দিচ্ছে—আসছে বাজেটে ছাড় নয়, থাকবে কড়াকড়ি।
রাজধানীর সোনারগাঁও হোটেলে গতকালের আলোচনায় পরামর্শের টেবিল এভাবেই যেন রূপ নেয় দ্বন্দ্বের মঞ্চে, যেখানে মুখোমুখি হয় কর আদায়ের কঠোরতা আর ব্যবসায়ীদের বাস্তবতার চাপা ক্ষোভ। আসন্ন ২০২৫-২৬ অর্থবছরের বাজেট নিয়ে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) ও এফবিসিসিআইয়ের পরামর্শক কমিটির ৪৫তম সভায় আলোচনায় অংশ নেন সরকারের গুরুত্বপূর্ণ অর্থ ও বাণিজ্য উপদেষ্টারা, কর প্রশাসনের শীর্ষ কর্মকর্তা এবং ব্যবসায়ী নেতারা।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে অর্থ উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ সাফ জানিয়ে দেন—‘করছাড়ের দিন শেষ। এখন কর দিয়ে সুবিধা নিতে হবে।’ তিনি বলেন, সরকারের ওপর রাজস্ব বাড়ানোর ব্যাপক চাপ রয়েছে। ট্রাম্প প্রশাসনের নতুন শুল্কনীতির উদাহরণ টেনে তিনি বলেন, প্রতিযোগিতামূলক বাজারে টিকে থাকতে হলে ব্যবসায়ীদের স্বচ্ছ ও জবাবদিহিমূলক করকাঠামো মেনে চলতে হবে।
ব্যবসায়ীদের বক্তব্য একেবারে ভিন্ন সুরে। বিটিএমএর সভাপতি শওকত আজিজ বলেন, ‘৩০ হাজার টাকার শুল্ক দিতে গেলে ৫০ হাজার টাকার ঘুষ লাগে’—এমন পরিস্থিতিতে বিনিয়োগ, উৎপাদন ও ব্যবসা বিপর্যস্ত। তিনি এনবিআরকে আহ্বান জানান নিজেদের ক্ষমতা কমিয়ে গঠনমূলক ব্যবস্থাপনা গড়ে তুলতে।
মেঘনা গ্রুপের চেয়ারম্যান মোস্তফা কামালের কণ্ঠেও ঝরে পড়ে হতাশা। কুমিল্লা ইকোনমিক জোনে ৬০ কোটি ডলার বিনিয়োগ করে দুই বছর পেরিয়ে গেলেও তাঁদের গ্যাস ও বিদ্যুতের সংযোগ মেলেনি। তাঁর মতে, নিজের দেশের বিনিয়োগকারীদের এভাবে অবহেলিত রেখে বিদেশিদের আকৃষ্ট করা একধরনের আত্মপ্রবঞ্চনা।
ভ্যাট নিয়ে ভিন্ন এক সমস্যা তুলে ধরেন বিকেএমইএর সভাপতি মোহাম্মদ হাতেম। তাঁর অভিযোগ, ‘অনেক অপ্রয়োজনীয় কাগজপত্র জমা দিতে হয়, যা কর্মকর্তারা আটকে রেখে অহেতুক হয়রানি করেন।’ তিনি বলেন, ব্যবসায়ীরা সোলার প্যানেল স্থাপন করে জ্বালানি-সংকটের সমাধানে ভূমিকা রাখতে চান, অথচ ইনভার্টার ও প্যানেলের ওপর উচ্চ হারে কর বাধা হয়ে দাঁড়াচ্ছে।
ব্যবসায়ীদের সর্ববৃহৎ সংগঠন এফবিসিসিআই সাধারণ করদাতার বার্ষিক করমুক্ত আয়সীমা ৩.৫ থেকে বাড়িয়ে ৪.৫ লাখ টাকা করার প্রস্তাব করেছে। অনুষ্ঠান সঞ্চালনার দায়িত্ব পালন করা সংগঠনটির প্রশাসক মো. হাফিজুর রহমান বলেন, মূল্যস্ফীতি ও জীবনযাত্রার ব্যয় বাড়ায় করকাঠামোর ভারসাম্যহীনতা সাধারণ নাগরিকদের বিপদে ফেলছে।
হাফিজুর রহমান প্রস্তাব করেন, রপ্তানি খাতে উৎসে করের হার আবার ১ শতাংশ থেকে কমিয়ে শূন্য দশমিক ৫ শতাংশ করা হোক এবং তা আগামী পাঁচ বছর স্থায়ী হোক।
অপর দিকে সভাপতির বক্তব্যে এনবিআরের চেয়ারম্যান মো. আবদুর রহমান খান করপোরেট কর কমানোর সম্ভাবনা নাকচ করে দেন। তবে তিনি বলেন, এনবিআর ও ব্যবসায়ীদের সম্পর্কোন্নয়নে করব্যবস্থার ডিজিটাইজেশন জোরদার করা হচ্ছে। অটোমেশন প্রকল্পে বন্ড ব্যবস্থাও আনা হচ্ছে।
অর্থ উপদেষ্টা সালেহউদ্দিন আহমেদ বলেন, ‘আমরা বাজেটে প্রত্যাশার ফুলঝুরি দেব না, বাস্তবায়নযোগ্য পরিকল্পনা আনব।’ পাশাপাশি তিনি বলেন, ‘আইএমএফের ঋণ নিয়ে আমরা চিন্তিত নই, সামষ্টিক অর্থনীতিতে ইতিবাচক পরিবর্তন ইতিমধ্যে শুরু হয়েছে।’ তিনি জানান, যুক্তরাষ্ট্রের পাল্টা শুল্কনীতি নিয়ে আলোচনার জন্য ৯০ দিন সময় রয়েছে, আলোচনায় সমাধান না হলে আরও সময় চাওয়া হবে।
বিশেষ অতিথির বক্তব্যে বাণিজ্য উপদেষ্টা শেখ বশিরউদ্দীন বলেন, ‘এবারের বাজেট হবে ব্যয়ের উন্মাদনায় নয়, বাস্তবতার ভিত্তিতে তৈরি এক লক্ষ্যনির্ভর নথি।’
কর দিতে গিয়েও ঘুষ—ব্যবসায়ীদের এই অভিযোগ শুধু প্রশাসনিক গলদের নয়, বরং গভীর এক নীতিগত সংকটের প্রতিচ্ছবি। রাষ্ট্র চায় রাজস্ব, ব্যবসায়ীরা চান স্বচ্ছতা—এ সম্পর্ক যদি বিশ্বাসের ভিত্তিতে না দাঁড়ায়, তবে অর্থনৈতিক উত্তরণের স্বপ্ন কথার দেয়ালে ঝুলে থাকবে। আর এ কথাগুলোর পেছনে রয়েছে এমন এক বাস্তবতা, যা একটি সভার গণ্ডি পেরিয়ে পুরো অর্থনীতিকে নাড়া দেয়।
আলোচনায় অন্যদের মধ্যে অংশ নেন বাংলাদেশ বিনিয়োগ উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (বিডা) চেয়ারম্যান চৌধুরী আশিক মাহমুদ বিন হারুন, বাংলাদেশ ট্রেড অ্যান্ড ট্যারিফ কমিশনের চেয়ারম্যান মইনুল খান প্রমুখ।

ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র ও ঢাকা-৮ আসনের সম্ভাব্য স্বতন্ত্র প্রার্থী শরিফ ওসমান হাদিকে হত্যাচেষ্টায় সন্দেহভাজন ফয়সাল করিম মাসুদ এবং তাঁর আইটি প্রতিষ্ঠান অ্যাপল সফট আইটি লিমিটেডের সব ব্যাংক হিসাব জব্দ করেছে এনবিআরের কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সেল (সিআইসি)।
৯ মিনিট আগে
স্বাস্থ্য খাতের ব্যয়ে দক্ষিণ এশিয়ায় সবচেয়ে পিছিয়ে বাংলাদেশ। স্বাস্থ্য খাতে বরাদ্দ জিডিপির মাত্র ১ শতাংশ এবং মাথাপিছু সরকারি ব্যয় মাত্র ১,০৭০ টাকা। দেশের প্রায় ৪৯ শতাংশ মানুষ এখনো মানসম্মত স্বাস্থ্যসেবা থেকে বঞ্চিত।
৮ ঘণ্টা আগে
অগ্রহায়ণের শীতের সকাল। সাইকেল ও ভ্যানের ওপরে থরে থরে সাজানো রঙিন ফুলে ভরে উঠেছে যশোরের গদখালীর বাজার। গোলাপ, গাঁদা, রজনীগন্ধা, জারবেরা, গ্লাডিওলাস, চন্দ্রমল্লিকা—ফুলের ঘ্রাণ আর দরদামের হাঁকডাকে মুখর পুরো এলাকা।
৮ ঘণ্টা আগে
দেশের ভেতরে ও বাইরে উভয় ক্ষেত্রেই আর্থিক খাতে নগদ লেনদেন ক্রমেই কমে আসছে; তার জায়গা দখল করছে প্লাস্টিক মানি। অভ্যন্তরীণ পেমেন্ট থেকে শুরু করে আন্তর্জাতিক সফর, অনলাইন কেনাকাটা, ব্যবসায়িক খরচ কিংবা জীবনযাত্রার প্রয়োজন—সব ক্ষেত্রেই এখন ডেবিট ও ক্রেডিট কার্ড ব্যবহারের মাধ্যমে লেনদেন বাড়ছে।
৯ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র ও ঢাকা-৮ আসনের সম্ভাব্য স্বতন্ত্র প্রার্থী শরিফ ওসমান হাদিকে হত্যাচেষ্টায় সন্দেহভাজন ফয়সাল করিম মাসুদ এবং তাঁর আইটি প্রতিষ্ঠান অ্যাপল সফট আইটি লিমিটেডের সব ব্যাংক হিসাব জব্দ করেছে এনবিআরের কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সেল (সিআইসি)।
আজ রোববার জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) ঊর্ধ্বতন একটি সূত্র আজকের পত্রিকাকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
এনবিআরের এক ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘ওসমান হাদির ওপর হামলার পর যেহেতু ফয়সাল করিম মাসুদ প্রাথমিকভাবে অভিযুক্ত, সেহেতু গোয়েন্দা সংস্থাগুলো তাঁর বিভিন্ন বিষয় অনুসন্ধান করবে। আমরাও তাঁর আর্থিক কোনো অপরাধ আছে কি না, সেগুলোর অনুসন্ধান করব।’
এনবিআরের ওই জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা বলেন, ‘শোনা যাচ্ছে এবং অনেক আলোচনা রয়েছে যে, এই ধরনের অপরাধ সংঘটিত করার জন্য এবং দেশে অস্থিতিশীল পরিস্থিতি তৈরির জন্য ভারত থেকে অনেক ফান্ডিং হচ্ছে, ফলে সে বিষয়গুলো খতিয়ে দেখার জন্য মূলত হিসাবগুলো ফ্রিজ করা হয়েছে।’
জানা গেছে, ফয়সাল করিম মাসুদ ওরফে দাউদ খান বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন অব সফটওয়্যার অ্যান্ড ইনফরমেশন সার্ভিসেসের (বেসিস) সদস্য।

ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র ও ঢাকা-৮ আসনের সম্ভাব্য স্বতন্ত্র প্রার্থী শরিফ ওসমান হাদিকে হত্যাচেষ্টায় সন্দেহভাজন ফয়সাল করিম মাসুদ এবং তাঁর আইটি প্রতিষ্ঠান অ্যাপল সফট আইটি লিমিটেডের সব ব্যাংক হিসাব জব্দ করেছে এনবিআরের কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সেল (সিআইসি)।
আজ রোববার জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) ঊর্ধ্বতন একটি সূত্র আজকের পত্রিকাকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
এনবিআরের এক ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘ওসমান হাদির ওপর হামলার পর যেহেতু ফয়সাল করিম মাসুদ প্রাথমিকভাবে অভিযুক্ত, সেহেতু গোয়েন্দা সংস্থাগুলো তাঁর বিভিন্ন বিষয় অনুসন্ধান করবে। আমরাও তাঁর আর্থিক কোনো অপরাধ আছে কি না, সেগুলোর অনুসন্ধান করব।’
এনবিআরের ওই জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা বলেন, ‘শোনা যাচ্ছে এবং অনেক আলোচনা রয়েছে যে, এই ধরনের অপরাধ সংঘটিত করার জন্য এবং দেশে অস্থিতিশীল পরিস্থিতি তৈরির জন্য ভারত থেকে অনেক ফান্ডিং হচ্ছে, ফলে সে বিষয়গুলো খতিয়ে দেখার জন্য মূলত হিসাবগুলো ফ্রিজ করা হয়েছে।’
জানা গেছে, ফয়সাল করিম মাসুদ ওরফে দাউদ খান বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন অব সফটওয়্যার অ্যান্ড ইনফরমেশন সার্ভিসেসের (বেসিস) সদস্য।

কর দিতে গিয়েও দিতে হয় ঘুষ—শিল্পমালিকদের এই বিস্ফোরক ক্ষোভ এখন আর কানে কানে বলা গুঞ্জন নয়, বরং অর্থনীতির কেন্দ্রবিন্দুতে প্রকাশ্য প্রতিবাদ। নিয়মিত করদাতারা পাচ্ছেন না ন্যায্য সম্মান, বরং তাঁদের ঘাড়ে চাপছে অতিরিক্ত বোঝা। উৎপাদনে ব্যবহৃত গ্যাস-বিদ্যুৎ নেই, অথচ কর চাই নিরবচ্ছিন্নভাবে। বিনিয়োগ থমকে...
০১ মে ২০২৫
স্বাস্থ্য খাতের ব্যয়ে দক্ষিণ এশিয়ায় সবচেয়ে পিছিয়ে বাংলাদেশ। স্বাস্থ্য খাতে বরাদ্দ জিডিপির মাত্র ১ শতাংশ এবং মাথাপিছু সরকারি ব্যয় মাত্র ১,০৭০ টাকা। দেশের প্রায় ৪৯ শতাংশ মানুষ এখনো মানসম্মত স্বাস্থ্যসেবা থেকে বঞ্চিত।
৮ ঘণ্টা আগে
অগ্রহায়ণের শীতের সকাল। সাইকেল ও ভ্যানের ওপরে থরে থরে সাজানো রঙিন ফুলে ভরে উঠেছে যশোরের গদখালীর বাজার। গোলাপ, গাঁদা, রজনীগন্ধা, জারবেরা, গ্লাডিওলাস, চন্দ্রমল্লিকা—ফুলের ঘ্রাণ আর দরদামের হাঁকডাকে মুখর পুরো এলাকা।
৮ ঘণ্টা আগে
দেশের ভেতরে ও বাইরে উভয় ক্ষেত্রেই আর্থিক খাতে নগদ লেনদেন ক্রমেই কমে আসছে; তার জায়গা দখল করছে প্লাস্টিক মানি। অভ্যন্তরীণ পেমেন্ট থেকে শুরু করে আন্তর্জাতিক সফর, অনলাইন কেনাকাটা, ব্যবসায়িক খরচ কিংবা জীবনযাত্রার প্রয়োজন—সব ক্ষেত্রেই এখন ডেবিট ও ক্রেডিট কার্ড ব্যবহারের মাধ্যমে লেনদেন বাড়ছে।
৯ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

স্বাস্থ্য খাতের ব্যয়ে দক্ষিণ এশিয়ায় সবচেয়ে পিছিয়ে বাংলাদেশ। স্বাস্থ্য খাতে বরাদ্দ জিডিপির মাত্র ১ শতাংশ এবং মাথাপিছু সরকারি ব্যয় মাত্র ১,০৭০ টাকা। দেশের প্রায় ৪৯ শতাংশ মানুষ এখনো মানসম্মত স্বাস্থ্যসেবা থেকে বঞ্চিত। এ কারণে প্রতিবছর প্রায় ৫ বিলিয়ন ডলার চিকিৎসার জন্য বিদেশে গিয়ে ব্যয় করছে বাংলাদেশি রোগীরা। অথচ দেশের স্বাস্থ্যসেবার বাজার বর্তমানে প্রায় ১৪ বিলিয়ন ডলার এবং আগামী আট বছরে আরও ৯ বিলিয়ন ডলার বাড়ার সম্ভাবনা রয়েছে, যা ২০৩৩ সালে ২৩ বিলিয়নে উন্নীত হতে পারে।
গতকাল শনিবার ঢাকা চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি (ডিসিসিআই) আয়োজিত ‘বাংলাদেশের স্বাস্থ্যসেবা খাতে আস্থা বৃদ্ধি; মান নিয়ন্ত্রণে কৌশলগত কাঠামো নিশ্চিতকরণ’ শীর্ষক সেমিনারে উপস্থাপিত মূল প্রবন্ধে এসব তথ্য তুলে ধরা হয়। রাজধানীর মতিঝিলে ডিসিসিআই কার্যালয়ে আয়োজিত সভায় জাতীয় অধ্যাপক ও বাংলাদেশ ডায়াবেটিক সমিতির সভাপতি এ কে আজাদ খান প্রধান অতিথি ছিলেন।
আলোচকেরা বলেন, অবকাঠামোর ঘাটতি, নতুন প্রযুক্তি ব্যবহারে পশ্চাৎপদতা, দক্ষ মানবসম্পদের সংকট, সেবার উচ্চ ব্যয়, কার্যকর তদারকির অভাব—এসব মিলিয়েই কাঙ্ক্ষিত স্বাস্থ্য উন্নয়ন অর্জিত হয়নি। অধ্যাপক এ কে আজাদ খান বলেন, কিছু ক্ষেত্রে অর্জন থাকলেও সামগ্রিকভাবে দেশের স্বাস্থ্যসেবা কাঙ্ক্ষিত মানে পৌঁছায়নি। উন্নত দেশ তো দূরের কথা, পার্শ্ববর্তী দেশের তুলনায়ও বাংলাদেশ পিছিয়ে রয়েছে। তাঁর মতে, ইউনিভার্সেল হেলথকেয়ার বাস্তবায়ন বাংলাদেশের পক্ষে সম্ভব নয়, তবে প্রাথমিক স্বাস্থ্যসেবায় জোর দেওয়া ছাড়া বিকল্প নেই। তিনি ব্যবস্থাপনায় উন্নয়ন ও বিকেন্দ্রীকরণের ওপর বিশেষ গুরুত্বারোপ করেন।
সেমিনারে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন ইউনাইটেড হাসপাতালের ব্যবস্থাপনা পরিচালক এবং ডিসিসিআইয়ের সাবেক সহসভাপতি মালিক তালহা ইসমাইল বারী। তিনি জানান, সীমিত বাজেট, অদক্ষ ব্যবস্থাপনা, মানের ঘাটতি, শহর-গ্রামের বৈষম্য, বাড়তি ব্যয়, দুর্বল নিয়ন্ত্রণব্যবস্থা—এসব কারণেই স্বাস্থ্য খাতের চ্যালেঞ্জ তৈরি হয়েছে। যার ফলে তুলনামূলক উন্নত চিকিৎসার জন্য বিপুলসংখ্যক রোগী বিদেশমুখী হওয়ায় বছরে ৫ বিলিয়ন ডলার বাইরে চলে যাচ্ছে।
ঢাকা চেম্বারের সভাপতি তাসকীন আহমেদ বলেন, মানসম্মত ও রোগীবান্ধব সেবা নিশ্চিতে কাঠামোগত ঘাটতি, দক্ষ জনবলস্বল্পতা, অনুমোদনহীন ক্লিনিক-ফার্মেসির বিস্তার, ভুল রোগনির্ণয়, ভুয়া ওষুধ এবং আইন প্রয়োগের দুর্বলতা জনস্বাস্থ্য আস্থাকে ক্ষতিগ্রস্ত করছে। স্বাস্থ্যবিমা কার্যকর না হওয়ায় ৭৪ শতাংশ ব্যয় রোগীকেই বহন করতে হয়, যা নিম্ন ও মধ্য আয়ের মানুষের জন্য বড় ঝুঁকি।
নির্ধারিত আলোচনায় অধ্যাপক সৈয়দ আতিকুল হক সরকারি হাসপাতালের মানোন্নয়নকে সর্বোচ্চ জরুরি বলে মনে করেন। ইউনিভার্সেল মেডিকেলের চেয়ারম্যান প্রীতি চক্রবর্তী স্বাস্থ্য খাতে আস্থা পুনরুদ্ধারে সরকারি-বেসরকারি সমন্বয় ও পিপিপি ব্যবস্থার প্রয়োজনীয়তা তুলে ধরেন।

স্বাস্থ্য খাতের ব্যয়ে দক্ষিণ এশিয়ায় সবচেয়ে পিছিয়ে বাংলাদেশ। স্বাস্থ্য খাতে বরাদ্দ জিডিপির মাত্র ১ শতাংশ এবং মাথাপিছু সরকারি ব্যয় মাত্র ১,০৭০ টাকা। দেশের প্রায় ৪৯ শতাংশ মানুষ এখনো মানসম্মত স্বাস্থ্যসেবা থেকে বঞ্চিত। এ কারণে প্রতিবছর প্রায় ৫ বিলিয়ন ডলার চিকিৎসার জন্য বিদেশে গিয়ে ব্যয় করছে বাংলাদেশি রোগীরা। অথচ দেশের স্বাস্থ্যসেবার বাজার বর্তমানে প্রায় ১৪ বিলিয়ন ডলার এবং আগামী আট বছরে আরও ৯ বিলিয়ন ডলার বাড়ার সম্ভাবনা রয়েছে, যা ২০৩৩ সালে ২৩ বিলিয়নে উন্নীত হতে পারে।
গতকাল শনিবার ঢাকা চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি (ডিসিসিআই) আয়োজিত ‘বাংলাদেশের স্বাস্থ্যসেবা খাতে আস্থা বৃদ্ধি; মান নিয়ন্ত্রণে কৌশলগত কাঠামো নিশ্চিতকরণ’ শীর্ষক সেমিনারে উপস্থাপিত মূল প্রবন্ধে এসব তথ্য তুলে ধরা হয়। রাজধানীর মতিঝিলে ডিসিসিআই কার্যালয়ে আয়োজিত সভায় জাতীয় অধ্যাপক ও বাংলাদেশ ডায়াবেটিক সমিতির সভাপতি এ কে আজাদ খান প্রধান অতিথি ছিলেন।
আলোচকেরা বলেন, অবকাঠামোর ঘাটতি, নতুন প্রযুক্তি ব্যবহারে পশ্চাৎপদতা, দক্ষ মানবসম্পদের সংকট, সেবার উচ্চ ব্যয়, কার্যকর তদারকির অভাব—এসব মিলিয়েই কাঙ্ক্ষিত স্বাস্থ্য উন্নয়ন অর্জিত হয়নি। অধ্যাপক এ কে আজাদ খান বলেন, কিছু ক্ষেত্রে অর্জন থাকলেও সামগ্রিকভাবে দেশের স্বাস্থ্যসেবা কাঙ্ক্ষিত মানে পৌঁছায়নি। উন্নত দেশ তো দূরের কথা, পার্শ্ববর্তী দেশের তুলনায়ও বাংলাদেশ পিছিয়ে রয়েছে। তাঁর মতে, ইউনিভার্সেল হেলথকেয়ার বাস্তবায়ন বাংলাদেশের পক্ষে সম্ভব নয়, তবে প্রাথমিক স্বাস্থ্যসেবায় জোর দেওয়া ছাড়া বিকল্প নেই। তিনি ব্যবস্থাপনায় উন্নয়ন ও বিকেন্দ্রীকরণের ওপর বিশেষ গুরুত্বারোপ করেন।
সেমিনারে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন ইউনাইটেড হাসপাতালের ব্যবস্থাপনা পরিচালক এবং ডিসিসিআইয়ের সাবেক সহসভাপতি মালিক তালহা ইসমাইল বারী। তিনি জানান, সীমিত বাজেট, অদক্ষ ব্যবস্থাপনা, মানের ঘাটতি, শহর-গ্রামের বৈষম্য, বাড়তি ব্যয়, দুর্বল নিয়ন্ত্রণব্যবস্থা—এসব কারণেই স্বাস্থ্য খাতের চ্যালেঞ্জ তৈরি হয়েছে। যার ফলে তুলনামূলক উন্নত চিকিৎসার জন্য বিপুলসংখ্যক রোগী বিদেশমুখী হওয়ায় বছরে ৫ বিলিয়ন ডলার বাইরে চলে যাচ্ছে।
ঢাকা চেম্বারের সভাপতি তাসকীন আহমেদ বলেন, মানসম্মত ও রোগীবান্ধব সেবা নিশ্চিতে কাঠামোগত ঘাটতি, দক্ষ জনবলস্বল্পতা, অনুমোদনহীন ক্লিনিক-ফার্মেসির বিস্তার, ভুল রোগনির্ণয়, ভুয়া ওষুধ এবং আইন প্রয়োগের দুর্বলতা জনস্বাস্থ্য আস্থাকে ক্ষতিগ্রস্ত করছে। স্বাস্থ্যবিমা কার্যকর না হওয়ায় ৭৪ শতাংশ ব্যয় রোগীকেই বহন করতে হয়, যা নিম্ন ও মধ্য আয়ের মানুষের জন্য বড় ঝুঁকি।
নির্ধারিত আলোচনায় অধ্যাপক সৈয়দ আতিকুল হক সরকারি হাসপাতালের মানোন্নয়নকে সর্বোচ্চ জরুরি বলে মনে করেন। ইউনিভার্সেল মেডিকেলের চেয়ারম্যান প্রীতি চক্রবর্তী স্বাস্থ্য খাতে আস্থা পুনরুদ্ধারে সরকারি-বেসরকারি সমন্বয় ও পিপিপি ব্যবস্থার প্রয়োজনীয়তা তুলে ধরেন।

কর দিতে গিয়েও দিতে হয় ঘুষ—শিল্পমালিকদের এই বিস্ফোরক ক্ষোভ এখন আর কানে কানে বলা গুঞ্জন নয়, বরং অর্থনীতির কেন্দ্রবিন্দুতে প্রকাশ্য প্রতিবাদ। নিয়মিত করদাতারা পাচ্ছেন না ন্যায্য সম্মান, বরং তাঁদের ঘাড়ে চাপছে অতিরিক্ত বোঝা। উৎপাদনে ব্যবহৃত গ্যাস-বিদ্যুৎ নেই, অথচ কর চাই নিরবচ্ছিন্নভাবে। বিনিয়োগ থমকে...
০১ মে ২০২৫
ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র ও ঢাকা-৮ আসনের সম্ভাব্য স্বতন্ত্র প্রার্থী শরিফ ওসমান হাদিকে হত্যাচেষ্টায় সন্দেহভাজন ফয়সাল করিম মাসুদ এবং তাঁর আইটি প্রতিষ্ঠান অ্যাপল সফট আইটি লিমিটেডের সব ব্যাংক হিসাব জব্দ করেছে এনবিআরের কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সেল (সিআইসি)।
৯ মিনিট আগে
অগ্রহায়ণের শীতের সকাল। সাইকেল ও ভ্যানের ওপরে থরে থরে সাজানো রঙিন ফুলে ভরে উঠেছে যশোরের গদখালীর বাজার। গোলাপ, গাঁদা, রজনীগন্ধা, জারবেরা, গ্লাডিওলাস, চন্দ্রমল্লিকা—ফুলের ঘ্রাণ আর দরদামের হাঁকডাকে মুখর পুরো এলাকা।
৮ ঘণ্টা আগে
দেশের ভেতরে ও বাইরে উভয় ক্ষেত্রেই আর্থিক খাতে নগদ লেনদেন ক্রমেই কমে আসছে; তার জায়গা দখল করছে প্লাস্টিক মানি। অভ্যন্তরীণ পেমেন্ট থেকে শুরু করে আন্তর্জাতিক সফর, অনলাইন কেনাকাটা, ব্যবসায়িক খরচ কিংবা জীবনযাত্রার প্রয়োজন—সব ক্ষেত্রেই এখন ডেবিট ও ক্রেডিট কার্ড ব্যবহারের মাধ্যমে লেনদেন বাড়ছে।
৯ ঘণ্টা আগেযশোর প্রতিনিধি

অগ্রহায়ণের শীতের সকাল। সাইকেল ও ভ্যানের ওপরে থরে থরে সাজানো রঙিন ফুলে ভরে উঠেছে যশোরের গদখালীর বাজার। গোলাপ, গাঁদা, রজনীগন্ধা, জারবেরা, গ্লাডিওলাস, চন্দ্রমল্লিকা—ফুলের ঘ্রাণ আর দরদামের হাঁকডাকে মুখর পুরো এলাকা। বুদ্ধিজীবী দিবস ও বিজয় দিবসকে কেন্দ্র করে ফুলের রাজধানী খ্যাত গদখালীতে গতকাল শনিবার জমে ওঠে বছরের বড় হাট।
যশোর-বেনাপোল মহাসড়কের পাশে বসা এই বাজারে এদিন প্রায় ২ কোটি টাকার ফুল বেচাকেনা হয়েছে বলে দাবি ব্যবসায়ীদের। চাহিদা বাড়ায় অন্যান্য দিনের তুলনায় কয়েক গুণ বেশি ফুলের সরবরাহ ও কেনাবেচা হয়েছে। অতিবৃষ্টিতে চলতি মৌসুমে যে ক্ষতি হয়েছিল, তা কিছুটা হলেও পুষিয়ে নেওয়ার আশা করছেন ফুলচাষিরা।
গতকাল বাজারে সবচেয়ে বেশি এসেছে গাঁদা ফুল। মানভেদে প্রতি হাজার গাঁদা ফুল বিক্রি হয়েছে ২০০-৪০০ টাকায়। তবে সরবরাহ বেশি থাকায় দাম তুলনামূলক কম। বিপরীতে চড়া দামে বিক্রি হয়েছে অন্যান্য ফুল।
চন্দ্রমল্লিকা বিক্রি হয় ২, জারবেরা ১৬-১৮, গ্লাডিওলাস ১৬-২০, রজনীগন্ধা ১০-১৪, গোলাপ ৮-১০ এবং ভুট্টা ফুল প্রতিটি সর্বোচ্চ ১৫ টাকা দরে।
ফুলচাষি খালেদুর রহমান টিটু বলেন, ‘বিজয় দিবস ও বুদ্ধিজীবী দিবসের বাজার ধরার জন্য কয়েক মাস ধরে গাঁদা ফুলের পরিচর্যা করেছি। গাঁদার কাঙ্ক্ষিত দাম পাইনি, তবে অন্য ফুলের দাম ভালো থাকায় ক্ষতি কিছুটা পুষিয়ে নেওয়া যাবে।’
রজনীগন্ধার চাষি রফিকুল ইসলাম জানান, দুই বিঘা জমিতে চাষ করা ফুল এবার ভালো দামে বিক্রি হচ্ছে। তিনি বলেন, ‘আজ ৯০০টি রজনীগন্ধা ১৪ টাকা পিস দরে বিক্রি করেছি। গতকাল ছিল ৯ টাকা। সামনে দাম আরও বাড়ার সম্ভাবনা আছে।’
কৃষি বিভাগের তথ্যমতে, যশোর জেলায় প্রায় দেড় হাজার হেক্টর জমিতে ১১ ধরনের ফুলের বাণিজ্যিক চাষ হয়। ডিসেম্বর থেকে মার্চ—এই চার মাসই ফুলের প্রধান মৌসুম। এ সময় অন্তত ৭-৮টি গুরুত্বপূর্ণ দিবসকে ঘিরে ১৫০-২০০ কোটি টাকার ফুল বেচাকেনার লক্ষ্য থাকে স্থানীয় চাষি ও ব্যবসায়ীদের।
গদখালী ফুলচাষি ও ব্যবসায়ী সমিতির সহসভাপতি মঞ্জুর আলম বলেন, বিভিন্ন জাতীয় দিবসকে সামনে রেখে চাষিরা ফুল উৎপাদন করেন। এবার গাঁদা ফুলের উৎপাদন চাহিদার চেয়ে বেশি হওয়ায় এর দাম কম। তবে গাঁদা ছাড়া প্রায় সব ফুলের দাম ঊর্ধ্বমুখী। গতকালের হাটে প্রায় ২ কোটি টাকার ফুল বেচাকেনা হয়েছে।

অগ্রহায়ণের শীতের সকাল। সাইকেল ও ভ্যানের ওপরে থরে থরে সাজানো রঙিন ফুলে ভরে উঠেছে যশোরের গদখালীর বাজার। গোলাপ, গাঁদা, রজনীগন্ধা, জারবেরা, গ্লাডিওলাস, চন্দ্রমল্লিকা—ফুলের ঘ্রাণ আর দরদামের হাঁকডাকে মুখর পুরো এলাকা। বুদ্ধিজীবী দিবস ও বিজয় দিবসকে কেন্দ্র করে ফুলের রাজধানী খ্যাত গদখালীতে গতকাল শনিবার জমে ওঠে বছরের বড় হাট।
যশোর-বেনাপোল মহাসড়কের পাশে বসা এই বাজারে এদিন প্রায় ২ কোটি টাকার ফুল বেচাকেনা হয়েছে বলে দাবি ব্যবসায়ীদের। চাহিদা বাড়ায় অন্যান্য দিনের তুলনায় কয়েক গুণ বেশি ফুলের সরবরাহ ও কেনাবেচা হয়েছে। অতিবৃষ্টিতে চলতি মৌসুমে যে ক্ষতি হয়েছিল, তা কিছুটা হলেও পুষিয়ে নেওয়ার আশা করছেন ফুলচাষিরা।
গতকাল বাজারে সবচেয়ে বেশি এসেছে গাঁদা ফুল। মানভেদে প্রতি হাজার গাঁদা ফুল বিক্রি হয়েছে ২০০-৪০০ টাকায়। তবে সরবরাহ বেশি থাকায় দাম তুলনামূলক কম। বিপরীতে চড়া দামে বিক্রি হয়েছে অন্যান্য ফুল।
চন্দ্রমল্লিকা বিক্রি হয় ২, জারবেরা ১৬-১৮, গ্লাডিওলাস ১৬-২০, রজনীগন্ধা ১০-১৪, গোলাপ ৮-১০ এবং ভুট্টা ফুল প্রতিটি সর্বোচ্চ ১৫ টাকা দরে।
ফুলচাষি খালেদুর রহমান টিটু বলেন, ‘বিজয় দিবস ও বুদ্ধিজীবী দিবসের বাজার ধরার জন্য কয়েক মাস ধরে গাঁদা ফুলের পরিচর্যা করেছি। গাঁদার কাঙ্ক্ষিত দাম পাইনি, তবে অন্য ফুলের দাম ভালো থাকায় ক্ষতি কিছুটা পুষিয়ে নেওয়া যাবে।’
রজনীগন্ধার চাষি রফিকুল ইসলাম জানান, দুই বিঘা জমিতে চাষ করা ফুল এবার ভালো দামে বিক্রি হচ্ছে। তিনি বলেন, ‘আজ ৯০০টি রজনীগন্ধা ১৪ টাকা পিস দরে বিক্রি করেছি। গতকাল ছিল ৯ টাকা। সামনে দাম আরও বাড়ার সম্ভাবনা আছে।’
কৃষি বিভাগের তথ্যমতে, যশোর জেলায় প্রায় দেড় হাজার হেক্টর জমিতে ১১ ধরনের ফুলের বাণিজ্যিক চাষ হয়। ডিসেম্বর থেকে মার্চ—এই চার মাসই ফুলের প্রধান মৌসুম। এ সময় অন্তত ৭-৮টি গুরুত্বপূর্ণ দিবসকে ঘিরে ১৫০-২০০ কোটি টাকার ফুল বেচাকেনার লক্ষ্য থাকে স্থানীয় চাষি ও ব্যবসায়ীদের।
গদখালী ফুলচাষি ও ব্যবসায়ী সমিতির সহসভাপতি মঞ্জুর আলম বলেন, বিভিন্ন জাতীয় দিবসকে সামনে রেখে চাষিরা ফুল উৎপাদন করেন। এবার গাঁদা ফুলের উৎপাদন চাহিদার চেয়ে বেশি হওয়ায় এর দাম কম। তবে গাঁদা ছাড়া প্রায় সব ফুলের দাম ঊর্ধ্বমুখী। গতকালের হাটে প্রায় ২ কোটি টাকার ফুল বেচাকেনা হয়েছে।

কর দিতে গিয়েও দিতে হয় ঘুষ—শিল্পমালিকদের এই বিস্ফোরক ক্ষোভ এখন আর কানে কানে বলা গুঞ্জন নয়, বরং অর্থনীতির কেন্দ্রবিন্দুতে প্রকাশ্য প্রতিবাদ। নিয়মিত করদাতারা পাচ্ছেন না ন্যায্য সম্মান, বরং তাঁদের ঘাড়ে চাপছে অতিরিক্ত বোঝা। উৎপাদনে ব্যবহৃত গ্যাস-বিদ্যুৎ নেই, অথচ কর চাই নিরবচ্ছিন্নভাবে। বিনিয়োগ থমকে...
০১ মে ২০২৫
ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র ও ঢাকা-৮ আসনের সম্ভাব্য স্বতন্ত্র প্রার্থী শরিফ ওসমান হাদিকে হত্যাচেষ্টায় সন্দেহভাজন ফয়সাল করিম মাসুদ এবং তাঁর আইটি প্রতিষ্ঠান অ্যাপল সফট আইটি লিমিটেডের সব ব্যাংক হিসাব জব্দ করেছে এনবিআরের কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সেল (সিআইসি)।
৯ মিনিট আগে
স্বাস্থ্য খাতের ব্যয়ে দক্ষিণ এশিয়ায় সবচেয়ে পিছিয়ে বাংলাদেশ। স্বাস্থ্য খাতে বরাদ্দ জিডিপির মাত্র ১ শতাংশ এবং মাথাপিছু সরকারি ব্যয় মাত্র ১,০৭০ টাকা। দেশের প্রায় ৪৯ শতাংশ মানুষ এখনো মানসম্মত স্বাস্থ্যসেবা থেকে বঞ্চিত।
৮ ঘণ্টা আগে
দেশের ভেতরে ও বাইরে উভয় ক্ষেত্রেই আর্থিক খাতে নগদ লেনদেন ক্রমেই কমে আসছে; তার জায়গা দখল করছে প্লাস্টিক মানি। অভ্যন্তরীণ পেমেন্ট থেকে শুরু করে আন্তর্জাতিক সফর, অনলাইন কেনাকাটা, ব্যবসায়িক খরচ কিংবা জীবনযাত্রার প্রয়োজন—সব ক্ষেত্রেই এখন ডেবিট ও ক্রেডিট কার্ড ব্যবহারের মাধ্যমে লেনদেন বাড়ছে।
৯ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

দেশের ভেতরে ও বাইরে উভয় ক্ষেত্রেই আর্থিক খাতে নগদ লেনদেন ক্রমেই কমে আসছে; তার জায়গা দখল করছে প্লাস্টিক মানি। অভ্যন্তরীণ পেমেন্ট থেকে শুরু করে আন্তর্জাতিক সফর, অনলাইন কেনাকাটা, ব্যবসায়িক খরচ কিংবা জীবনযাত্রার প্রয়োজন—সব ক্ষেত্রেই এখন ডেবিট ও ক্রেডিট কার্ড ব্যবহারের মাধ্যমে লেনদেন বাড়ছে। তবে বিদেশে বাংলাদেশিদের ক্রেডিট কার্ডে এই লেনদেনের প্রবণতা আগের তুলনায় অনেক বেড়েছে। মূলত নগদ বহনের ঝুঁকি, বিদেশি মুদ্রা ব্যবস্থাপনা এবং আন্তর্জাতিক পেমেন্টের সুবিধা—এ সব মিলিয়েই সাম্প্রতিক সময়ে নিত্যনতুন রেকর্ড হচ্ছে। বাংলাদেশ ব্যাংকের প্রকাশিত সর্বশেষ পরিসংখ্যান বলছে, আগস্ট থেকে সেপ্টেম্বরে মাত্র এক মাসের ব্যবধানে বিদেশে ক্রেডিট কার্ড ব্যয়ের পরিমাণ বেড়েছে ৫১ কোটি টাকা।
প্রতিবেদন অনুযায়ী, ২০২৫ সালের আগস্টে বাংলাদেশিরা বিদেশে ক্রেডিট কার্ড ব্যবহার করে খরচ করেছিলেন ৪৪৩ কোটি ৩ লাখ টাকা। মাত্র এক মাস পর সেপ্টেম্বরে সেই ব্যয় দাঁড়ায় ৪৯৪ কোটি ২ লাখ টাকায়। অর্থাৎ বিদেশে কার্ড খরচ এক মাসে বেড়েছে ৫১ কোটি ১ লাখ টাকা।
তথ্য বলছে, বিদেশে বাংলাদেশিদের সর্বোচ্চ ক্রেডিট কার্ডে খরচ হয়েছে যুক্তরাষ্ট্রে—৭০ কোটি ৯ লাখ টাকা। থাইল্যান্ডে খরচ হয়েছে ৫৯ কোটি ৯ লাখ এবং যুক্তরাজ্যে ৫৪ কোটি ১ লাখ টাকা। সিঙ্গাপুরে ব্যয় ৪০ কোটি ৪ লাখ, মালয়েশিয়ায় ৩৪ কোটি, ভারতে ৩২ কোটি ৩ লাখ, নেদারল্যান্ডসে ২৫ কোটি, সৌদি আরবে ২৪ কোটি, কানাডায় ২১ কোটি, অস্ট্রেলিয়ায় ১৭ কোটি এবং আয়ারল্যান্ডে ১৬ কোটি টাকা। চীনে ব্যয় হয়েছে ১৫ কোটি টাকা। অন্যান্য দেশে মোট খরচ ৯২ কোটি টাকার বেশি।
অন্যদিকে, বিদেশিরাও বাংলাদেশে এসে ক্রেডিট কার্ডের মাধ্যমে কত খরচ করে থাকেন। আগস্টে বিদেশিদের ব্যয় ছিল ১৮৩ কোটি ৫ লাখ টাকা, যা সেপ্টেম্বরে সামান্য কমে দাঁড়ায় ১৭৫ কোটি ৯ লাখ টাকায়। অর্থাৎ এক মাসে তাঁদের কার্ডব্যয় কমেছে প্রায় ৮ কোটি টাকা। বিদেশিদের মধ্যেও বাংলাদেশে এসে সর্বোচ্চ খরচ করেছেন যুক্তরাষ্ট্রের নাগরিকেরা—৩৮ কোটি ৬ লাখ টাকা। যুক্তরাজ্য ও ভারতের নাগরিকদের ব্যয় ছিল ১৭ কোটি টাকা করে।
এ নিয়ে বিশ্বব্যাংকের ঢাকা অফিসের সাবেক মুখ্য অর্থনীতিবিদ ড. জাহিদ হোসেন বলেন, নগদ বহনের চেয়ে মানুষ কার্ডে লেনদেনে বেশি স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করেন। বিদেশ ভ্রমণে এটি সবচেয়ে সহজ, নিরাপদ ও ঝুঁকিহীন পদ্ধতি। সাম্প্রতিক সময়ে চীনে যাত্রীপ্রবাহ রেকর্ড পরিমাণে বেড়েছে—তাই সে দেশে কার্ড ব্যয়েও রেকর্ড সৃষ্টি হয়েছে বলে তিনি মন্তব্য করেন।
ব্যাংক খাতসংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা বলছেন, দৈনন্দিন খরচ, বেতন-ভাতা গ্রহণ এবং নগদ উত্তোলনের ক্ষেত্রে সাধারণ মানুষের কাছে এখনো সবচেয়ে জনপ্রিয় মাধ্যম ডেবিট কার্ড। তুলনামূলকভাবে ক্রেডিট কার্ডের সংখ্যা কম হলেও এর ব্যবহার দ্রুত বাড়ছে এবং তা মূলত শহরকেন্দ্রিক। শহুরে মধ্যবিত্ত ও উচ্চবিত্ত শ্রেণির মধ্যে ক্রেডিট কার্ড এখন একটি স্বাভাবিক ব্যয়ের মাধ্যম হয়ে উঠছে। একইভাবে প্রি-পেইড কার্ডের ব্যবহারও উল্লেখযোগ্য গতিতে বৃদ্ধি পেয়েছে—গত পাঁচ বছরে যার প্রবৃদ্ধি প্রায় ১৬ গুণ।
বর্তমানে দেশের ৫৬টি ব্যাংক ও ১টি ব্যাংকবহির্ভূত আর্থিক প্রতিষ্ঠান (এনবিএফসি) কার্ড সেবা দিচ্ছে। এর মধ্যে ৪৮টি ব্যাংক ক্রেডিট কার্ড, দ্বৈত মুদ্রার ডেবিট কার্ড এবং প্রি-পেইড কার্ড—এই তিন ধরনের সেবা পরিচালনা করে।
জানতে চাইলে বাংলাদেশ ব্যাংকের মুখপাত্র আরিফ হোসেন খান বলেন, সামগ্রিকভাবে মানুষ নগদের চেয়ে কার্ডে লেনদেনকে অগ্রাধিকার দিচ্ছেন। তাঁর ভাষায়, আঞ্চলিক কূটনীতি ও বাণিজ্যিক সম্পর্কের উন্নতিও ক্রস-বর্ডার কার্ড ব্যবহারে প্রভাব ফেলছে।
দেশের ভেতরে ও বাইরে উভয় ক্ষেত্রেই আর্থিক খাতে নগদ লেনদেন ক্রমেই কমে আসছে; তার জায়গা দখল করছে প্লাস্টিক মানি। অভ্যন্তরীণ পেমেন্ট থেকে শুরু করে আন্তর্জাতিক সফর, অনলাইন কেনাকাটা, ব্যবসায়িক খরচ কিংবা জীবনযাত্রার প্রয়োজন—সব ক্ষেত্রেই এখন ডেবিট ও ক্রেডিট কার্ড ব্যবহারের মাধ্যমে লেনদেন বাড়ছে। তবে বিদেশে বাংলাদেশিদের ক্রেডিট কার্ডে এই লেনদেনের প্রবণতা আগের তুলনায় অনেক বেড়েছে। মূলত নগদ বহনের ঝুঁকি, বিদেশি মুদ্রা ব্যবস্থাপনা এবং আন্তর্জাতিক পেমেন্টের সুবিধা—এ সব মিলিয়েই সাম্প্রতিক সময়ে নিত্যনতুন রেকর্ড হচ্ছে। বাংলাদেশ ব্যাংকের প্রকাশিত সর্বশেষ পরিসংখ্যান বলছে, আগস্ট থেকে সেপ্টেম্বরে মাত্র এক মাসের ব্যবধানে বিদেশে ক্রেডিট কার্ড ব্যয়ের পরিমাণ বেড়েছে ৫১ কোটি টাকা।
প্রতিবেদন অনুযায়ী, ২০২৫ সালের আগস্টে বাংলাদেশিরা বিদেশে ক্রেডিট কার্ড ব্যবহার করে খরচ করেছিলেন ৪৪৩ কোটি ৩ লাখ টাকা। মাত্র এক মাস পর সেপ্টেম্বরে সেই ব্যয় দাঁড়ায় ৪৯৪ কোটি ২ লাখ টাকায়। অর্থাৎ বিদেশে কার্ড খরচ এক মাসে বেড়েছে ৫১ কোটি ১ লাখ টাকা।
তথ্য বলছে, বিদেশে বাংলাদেশিদের সর্বোচ্চ ক্রেডিট কার্ডে খরচ হয়েছে যুক্তরাষ্ট্রে—৭০ কোটি ৯ লাখ টাকা। থাইল্যান্ডে খরচ হয়েছে ৫৯ কোটি ৯ লাখ এবং যুক্তরাজ্যে ৫৪ কোটি ১ লাখ টাকা। সিঙ্গাপুরে ব্যয় ৪০ কোটি ৪ লাখ, মালয়েশিয়ায় ৩৪ কোটি, ভারতে ৩২ কোটি ৩ লাখ, নেদারল্যান্ডসে ২৫ কোটি, সৌদি আরবে ২৪ কোটি, কানাডায় ২১ কোটি, অস্ট্রেলিয়ায় ১৭ কোটি এবং আয়ারল্যান্ডে ১৬ কোটি টাকা। চীনে ব্যয় হয়েছে ১৫ কোটি টাকা। অন্যান্য দেশে মোট খরচ ৯২ কোটি টাকার বেশি।
অন্যদিকে, বিদেশিরাও বাংলাদেশে এসে ক্রেডিট কার্ডের মাধ্যমে কত খরচ করে থাকেন। আগস্টে বিদেশিদের ব্যয় ছিল ১৮৩ কোটি ৫ লাখ টাকা, যা সেপ্টেম্বরে সামান্য কমে দাঁড়ায় ১৭৫ কোটি ৯ লাখ টাকায়। অর্থাৎ এক মাসে তাঁদের কার্ডব্যয় কমেছে প্রায় ৮ কোটি টাকা। বিদেশিদের মধ্যেও বাংলাদেশে এসে সর্বোচ্চ খরচ করেছেন যুক্তরাষ্ট্রের নাগরিকেরা—৩৮ কোটি ৬ লাখ টাকা। যুক্তরাজ্য ও ভারতের নাগরিকদের ব্যয় ছিল ১৭ কোটি টাকা করে।
এ নিয়ে বিশ্বব্যাংকের ঢাকা অফিসের সাবেক মুখ্য অর্থনীতিবিদ ড. জাহিদ হোসেন বলেন, নগদ বহনের চেয়ে মানুষ কার্ডে লেনদেনে বেশি স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করেন। বিদেশ ভ্রমণে এটি সবচেয়ে সহজ, নিরাপদ ও ঝুঁকিহীন পদ্ধতি। সাম্প্রতিক সময়ে চীনে যাত্রীপ্রবাহ রেকর্ড পরিমাণে বেড়েছে—তাই সে দেশে কার্ড ব্যয়েও রেকর্ড সৃষ্টি হয়েছে বলে তিনি মন্তব্য করেন।
ব্যাংক খাতসংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা বলছেন, দৈনন্দিন খরচ, বেতন-ভাতা গ্রহণ এবং নগদ উত্তোলনের ক্ষেত্রে সাধারণ মানুষের কাছে এখনো সবচেয়ে জনপ্রিয় মাধ্যম ডেবিট কার্ড। তুলনামূলকভাবে ক্রেডিট কার্ডের সংখ্যা কম হলেও এর ব্যবহার দ্রুত বাড়ছে এবং তা মূলত শহরকেন্দ্রিক। শহুরে মধ্যবিত্ত ও উচ্চবিত্ত শ্রেণির মধ্যে ক্রেডিট কার্ড এখন একটি স্বাভাবিক ব্যয়ের মাধ্যম হয়ে উঠছে। একইভাবে প্রি-পেইড কার্ডের ব্যবহারও উল্লেখযোগ্য গতিতে বৃদ্ধি পেয়েছে—গত পাঁচ বছরে যার প্রবৃদ্ধি প্রায় ১৬ গুণ।
বর্তমানে দেশের ৫৬টি ব্যাংক ও ১টি ব্যাংকবহির্ভূত আর্থিক প্রতিষ্ঠান (এনবিএফসি) কার্ড সেবা দিচ্ছে। এর মধ্যে ৪৮টি ব্যাংক ক্রেডিট কার্ড, দ্বৈত মুদ্রার ডেবিট কার্ড এবং প্রি-পেইড কার্ড—এই তিন ধরনের সেবা পরিচালনা করে।
জানতে চাইলে বাংলাদেশ ব্যাংকের মুখপাত্র আরিফ হোসেন খান বলেন, সামগ্রিকভাবে মানুষ নগদের চেয়ে কার্ডে লেনদেনকে অগ্রাধিকার দিচ্ছেন। তাঁর ভাষায়, আঞ্চলিক কূটনীতি ও বাণিজ্যিক সম্পর্কের উন্নতিও ক্রস-বর্ডার কার্ড ব্যবহারে প্রভাব ফেলছে।

কর দিতে গিয়েও দিতে হয় ঘুষ—শিল্পমালিকদের এই বিস্ফোরক ক্ষোভ এখন আর কানে কানে বলা গুঞ্জন নয়, বরং অর্থনীতির কেন্দ্রবিন্দুতে প্রকাশ্য প্রতিবাদ। নিয়মিত করদাতারা পাচ্ছেন না ন্যায্য সম্মান, বরং তাঁদের ঘাড়ে চাপছে অতিরিক্ত বোঝা। উৎপাদনে ব্যবহৃত গ্যাস-বিদ্যুৎ নেই, অথচ কর চাই নিরবচ্ছিন্নভাবে। বিনিয়োগ থমকে...
০১ মে ২০২৫
ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র ও ঢাকা-৮ আসনের সম্ভাব্য স্বতন্ত্র প্রার্থী শরিফ ওসমান হাদিকে হত্যাচেষ্টায় সন্দেহভাজন ফয়সাল করিম মাসুদ এবং তাঁর আইটি প্রতিষ্ঠান অ্যাপল সফট আইটি লিমিটেডের সব ব্যাংক হিসাব জব্দ করেছে এনবিআরের কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সেল (সিআইসি)।
৯ মিনিট আগে
স্বাস্থ্য খাতের ব্যয়ে দক্ষিণ এশিয়ায় সবচেয়ে পিছিয়ে বাংলাদেশ। স্বাস্থ্য খাতে বরাদ্দ জিডিপির মাত্র ১ শতাংশ এবং মাথাপিছু সরকারি ব্যয় মাত্র ১,০৭০ টাকা। দেশের প্রায় ৪৯ শতাংশ মানুষ এখনো মানসম্মত স্বাস্থ্যসেবা থেকে বঞ্চিত।
৮ ঘণ্টা আগে
অগ্রহায়ণের শীতের সকাল। সাইকেল ও ভ্যানের ওপরে থরে থরে সাজানো রঙিন ফুলে ভরে উঠেছে যশোরের গদখালীর বাজার। গোলাপ, গাঁদা, রজনীগন্ধা, জারবেরা, গ্লাডিওলাস, চন্দ্রমল্লিকা—ফুলের ঘ্রাণ আর দরদামের হাঁকডাকে মুখর পুরো এলাকা।
৮ ঘণ্টা আগে