ভিআইপি ইন্ডাস্ট্রিজ
মাহফুজুল ইসলাম, ঢাকা
দেশের বড় রপ্তানিমুখী ব্যাগ ও লাগেজ প্রস্তুতকারক প্রতিষ্ঠান ছিল মোংলার ইপিজেডে থাকা ভারতীয় মালিকানাধীন ভিআইপি ইন্ডাস্ট্রিজ বাংলাদেশ প্রাইভেট লিমিটেড। ২০১৪ সাল থেকে এখানে তাদের বাণিজ্যিক উৎপাদন শুরু হয়েছিল এবং সবকিছুই স্বাভাবিকভাবে চলছিল। কিন্তু ২০২৩ সালের ৩১ জানুয়ারি ভিআইপির মোংলা কারখানায় অগ্নিকাণ্ড হয়। আগুনে অবকাঠামো, মেশিনারি, কাঁচামাল ও তৈরি পণ্য—সবই ব্যাপক ক্ষতিগ্রস্ত হয়। ভেঙে পড়ে উৎপাদনের ধারাবাহিকতা। এরপর থেকে দেশে ভিআইপির ব্যাগ ও লাগেজ তৈরি বন্ধ হয়ে যায়, আর কারখানাটি আর্থিক সংকটে রয়েছে।
রপ্তানি প্রক্রিয়াজাতকরণ অঞ্চলের (ইপিজেড) সব প্রতিষ্ঠানকে নিয়ম অনুযায়ী বিমার আওতায় আনা বাধ্যতামূলক। ভিআইপি ইন্ডাস্ট্রিজসহ ওই অঞ্চলে তাদের মোট আটটি কারখানাই বাংলাদেশ জেনারেল ইনস্যুরেন্স কোম্পানির (বিজিআইসি) সঙ্গে বিমা চুক্তি করেছে এবং নিয়ম মেনে বিমার নবায়ন করছিল। ২০২৩ সালের অগ্নিকাণ্ডে ক্ষতির পরিমাণ যৌথ সার্ভেয়ার জরিপে ধরা পড়ে প্রায় ৬৮ কোটি ৬১ লাখ টাকা। দুর্ঘটনার পরে জরুরি ক্ষতিপূরণের দাবি জমা পড়লেও আড়াই বছর পার হয়ে গেলেও পুরো টাকা এখনো মেলেনি। এ পর্যন্ত বিজিআইসি মাত্র ১১ কোটি টাকা দিয়েছে, বাকি ৫৪ কোটি ২৯ লাখ ২৭ হাজার ২৮৩ টাকা এখনো বকেয়া। এ ছাড়া বিমার উদ্ধারমূল্য এবং কর্তনযোগ্য সমন্বয় বাবদ ৩,৩২,৫৫,৩৯৩ টাকা।
ভারতভিত্তিক স্যুটকেস ও লাগেজ প্রস্তুতকারক ভিআইপি ইন্ডাস্ট্রিজ প্রাইভেট লিমিটেড ১৯৭১ সালে প্রতিষ্ঠিত। বাংলাদেশে তারা ২০১৩ সালে ভিআইপি ইন্ডাস্ট্রিজ বাংলাদেশ প্রাইভেট লিমিটেড নামে কোম্পানি খোলে।
দুর্ঘটনার পর বিমার পুরো টাকা পেতে নিজে চেষ্টা করেও ব্যর্থ হয় প্রতিষ্ঠানটি। এরপর তারা বাংলাদেশ রপ্তানি প্রক্রিয়াকরণ এলাকা কর্তৃপক্ষ (বেপজা), আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগ ও বীমা উন্নয়ন ও নিয়ন্ত্রণ কর্তৃপক্ষের (আইডিআরএ) কাছে চিঠি দিয়ে দ্রুত টাকা পেতে সাহায্য চায়। তবু কোনো অগ্রগতি হয়নি। পরে ভারতীয় হাইকমিশনের মাধ্যমে পররাষ্ট্র ও অর্থ মন্ত্রণালয়কে দিয়ে তদবির করানো হলেও লাভ হয়নি।
এই পরিস্থিতিতে ভিআইপি ইন্ডাস্ট্রিজের ব্যবসায়িক কার্যক্রম বন্ধ থাকায় বিনিয়োগ, কর্মসংস্থান ও রপ্তানিতে সরাসরি নেতিবাচক প্রভাব পড়েছে। গত ৪ জুন বেপজা বিজিআইসিকে একটি চিঠি পাঠিয়ে বিমা দাবি দ্রুত পরিশোধের জন্য অনুরোধ করে। অন্যদিকে ভিআইপি ইন্ডাস্ট্রিজ জানিয়েছে, দীর্ঘ সময় ধরে বিমা দাবি নিষ্পত্তি না হওয়ায় কারখানার কার্যক্রম বন্ধ হয়ে গেছে এবং আর্থিক সংকটে উৎপাদন শুরু করা সম্ভব হচ্ছে না। যদি এ অবস্থাই থাকে, তাহলে বাংলাদেশে তাদের ব্যবসা চালিয়ে যাওয়া কঠিন হয়ে পড়বে। এরপর ১০ জুলাই ভারতীয় হাইকমিশনের মাধ্যমে একই অনুরোধ পুনরায় করা হয়।
ভিআইপি ইন্ডাস্ট্রিজ বাংলাদেশের মানবসম্পদ বিভাগের প্রধান মিজানুর রহমান খান আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আগুনে পোড়ার পর থেকে কোম্পানির কার্যক্রম বন্ধ রয়েছে। কারখানা পুনরায় চালুর জন্য বিমার টাকা প্রয়োজন। আমরা কিছু টাকা পেয়েছি, বাকি টাকা যাতে দ্রুত পাওয়া যায় তার জন্য চেষ্টা করছি।’
বিষয়টি সম্পর্কে জানতে চাইলে বিজিআইসির চেয়ারম্যান তৌহিদ সামাদ আজকের পত্রিকাকে বলেন, প্রতিষ্ঠানটিকে কিছু টাকা দেওয়া হয়েছে। পুনর্বিমা কোম্পানি সাধারণ বীমা করপোরেশনের কাছে বিমার টাকা বকেয়া রয়েছে। তারা টাকা দিলেই কোম্পানিকে দেওয়া হবে।
তাহলে পুনর্বিমা বাইরের টাকা পরিশোধ করছেন না কেন—প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, আপনি ম্যানেজমেন্টকে জিজ্ঞেস করুন। এরপর কোম্পানির মুখ্য নির্বাহী কর্মকর্তা আহমেদ সাইফুদ্দিন চৌধুরীর মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি ফোন রিসিভ করেননি।
জানতে চাইলে এসবিসির (পুনর্বিমা বিভাগ) মহাব্যবস্থাপক এস এম শাহ আলম আজকের পত্রিকাকে বলেন, ৬৮ কোটি টাকার বিমার মধ্যে এসবিসির কাছে পাওনা ৩০ থেকে ৩২ কোটি টাকা। আমরা এই টাকা দ্রুত পরিশোধের জন্য কাজ করছি।
বীমা উন্নয়ন ও নিয়ন্ত্রণ কর্তৃপক্ষের (আইডিআরএ) চেয়ারম্যান ড. এম আসলাম আলম এ প্রসঙ্গে আজকের পত্রিকাকে জানান, বিষয়টি দ্রুত সুরাহার কাজ চলছে।
দেশের বড় রপ্তানিমুখী ব্যাগ ও লাগেজ প্রস্তুতকারক প্রতিষ্ঠান ছিল মোংলার ইপিজেডে থাকা ভারতীয় মালিকানাধীন ভিআইপি ইন্ডাস্ট্রিজ বাংলাদেশ প্রাইভেট লিমিটেড। ২০১৪ সাল থেকে এখানে তাদের বাণিজ্যিক উৎপাদন শুরু হয়েছিল এবং সবকিছুই স্বাভাবিকভাবে চলছিল। কিন্তু ২০২৩ সালের ৩১ জানুয়ারি ভিআইপির মোংলা কারখানায় অগ্নিকাণ্ড হয়। আগুনে অবকাঠামো, মেশিনারি, কাঁচামাল ও তৈরি পণ্য—সবই ব্যাপক ক্ষতিগ্রস্ত হয়। ভেঙে পড়ে উৎপাদনের ধারাবাহিকতা। এরপর থেকে দেশে ভিআইপির ব্যাগ ও লাগেজ তৈরি বন্ধ হয়ে যায়, আর কারখানাটি আর্থিক সংকটে রয়েছে।
রপ্তানি প্রক্রিয়াজাতকরণ অঞ্চলের (ইপিজেড) সব প্রতিষ্ঠানকে নিয়ম অনুযায়ী বিমার আওতায় আনা বাধ্যতামূলক। ভিআইপি ইন্ডাস্ট্রিজসহ ওই অঞ্চলে তাদের মোট আটটি কারখানাই বাংলাদেশ জেনারেল ইনস্যুরেন্স কোম্পানির (বিজিআইসি) সঙ্গে বিমা চুক্তি করেছে এবং নিয়ম মেনে বিমার নবায়ন করছিল। ২০২৩ সালের অগ্নিকাণ্ডে ক্ষতির পরিমাণ যৌথ সার্ভেয়ার জরিপে ধরা পড়ে প্রায় ৬৮ কোটি ৬১ লাখ টাকা। দুর্ঘটনার পরে জরুরি ক্ষতিপূরণের দাবি জমা পড়লেও আড়াই বছর পার হয়ে গেলেও পুরো টাকা এখনো মেলেনি। এ পর্যন্ত বিজিআইসি মাত্র ১১ কোটি টাকা দিয়েছে, বাকি ৫৪ কোটি ২৯ লাখ ২৭ হাজার ২৮৩ টাকা এখনো বকেয়া। এ ছাড়া বিমার উদ্ধারমূল্য এবং কর্তনযোগ্য সমন্বয় বাবদ ৩,৩২,৫৫,৩৯৩ টাকা।
ভারতভিত্তিক স্যুটকেস ও লাগেজ প্রস্তুতকারক ভিআইপি ইন্ডাস্ট্রিজ প্রাইভেট লিমিটেড ১৯৭১ সালে প্রতিষ্ঠিত। বাংলাদেশে তারা ২০১৩ সালে ভিআইপি ইন্ডাস্ট্রিজ বাংলাদেশ প্রাইভেট লিমিটেড নামে কোম্পানি খোলে।
দুর্ঘটনার পর বিমার পুরো টাকা পেতে নিজে চেষ্টা করেও ব্যর্থ হয় প্রতিষ্ঠানটি। এরপর তারা বাংলাদেশ রপ্তানি প্রক্রিয়াকরণ এলাকা কর্তৃপক্ষ (বেপজা), আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগ ও বীমা উন্নয়ন ও নিয়ন্ত্রণ কর্তৃপক্ষের (আইডিআরএ) কাছে চিঠি দিয়ে দ্রুত টাকা পেতে সাহায্য চায়। তবু কোনো অগ্রগতি হয়নি। পরে ভারতীয় হাইকমিশনের মাধ্যমে পররাষ্ট্র ও অর্থ মন্ত্রণালয়কে দিয়ে তদবির করানো হলেও লাভ হয়নি।
এই পরিস্থিতিতে ভিআইপি ইন্ডাস্ট্রিজের ব্যবসায়িক কার্যক্রম বন্ধ থাকায় বিনিয়োগ, কর্মসংস্থান ও রপ্তানিতে সরাসরি নেতিবাচক প্রভাব পড়েছে। গত ৪ জুন বেপজা বিজিআইসিকে একটি চিঠি পাঠিয়ে বিমা দাবি দ্রুত পরিশোধের জন্য অনুরোধ করে। অন্যদিকে ভিআইপি ইন্ডাস্ট্রিজ জানিয়েছে, দীর্ঘ সময় ধরে বিমা দাবি নিষ্পত্তি না হওয়ায় কারখানার কার্যক্রম বন্ধ হয়ে গেছে এবং আর্থিক সংকটে উৎপাদন শুরু করা সম্ভব হচ্ছে না। যদি এ অবস্থাই থাকে, তাহলে বাংলাদেশে তাদের ব্যবসা চালিয়ে যাওয়া কঠিন হয়ে পড়বে। এরপর ১০ জুলাই ভারতীয় হাইকমিশনের মাধ্যমে একই অনুরোধ পুনরায় করা হয়।
ভিআইপি ইন্ডাস্ট্রিজ বাংলাদেশের মানবসম্পদ বিভাগের প্রধান মিজানুর রহমান খান আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আগুনে পোড়ার পর থেকে কোম্পানির কার্যক্রম বন্ধ রয়েছে। কারখানা পুনরায় চালুর জন্য বিমার টাকা প্রয়োজন। আমরা কিছু টাকা পেয়েছি, বাকি টাকা যাতে দ্রুত পাওয়া যায় তার জন্য চেষ্টা করছি।’
বিষয়টি সম্পর্কে জানতে চাইলে বিজিআইসির চেয়ারম্যান তৌহিদ সামাদ আজকের পত্রিকাকে বলেন, প্রতিষ্ঠানটিকে কিছু টাকা দেওয়া হয়েছে। পুনর্বিমা কোম্পানি সাধারণ বীমা করপোরেশনের কাছে বিমার টাকা বকেয়া রয়েছে। তারা টাকা দিলেই কোম্পানিকে দেওয়া হবে।
তাহলে পুনর্বিমা বাইরের টাকা পরিশোধ করছেন না কেন—প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, আপনি ম্যানেজমেন্টকে জিজ্ঞেস করুন। এরপর কোম্পানির মুখ্য নির্বাহী কর্মকর্তা আহমেদ সাইফুদ্দিন চৌধুরীর মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি ফোন রিসিভ করেননি।
জানতে চাইলে এসবিসির (পুনর্বিমা বিভাগ) মহাব্যবস্থাপক এস এম শাহ আলম আজকের পত্রিকাকে বলেন, ৬৮ কোটি টাকার বিমার মধ্যে এসবিসির কাছে পাওনা ৩০ থেকে ৩২ কোটি টাকা। আমরা এই টাকা দ্রুত পরিশোধের জন্য কাজ করছি।
বীমা উন্নয়ন ও নিয়ন্ত্রণ কর্তৃপক্ষের (আইডিআরএ) চেয়ারম্যান ড. এম আসলাম আলম এ প্রসঙ্গে আজকের পত্রিকাকে জানান, বিষয়টি দ্রুত সুরাহার কাজ চলছে।
আজ দেশের মুদ্রাবাজারে প্রধান মুদ্রাগুলোর মধ্যে ডলারের দাম কিছুটা কমেছে। ব্রিটিশ পাউন্ড স্টারলিংয়ের দাম বেড়েছে। পাশাপাশি দাম কমেছে ইউরোরও। কেন্দ্রীয় ব্যাংকের প্রকাশিত বৈদেশিক মুদ্রার দামের চেয়ে কিছুটা বেশি দামে খোলাবাজারে বিক্রি হয়।
১২ মিনিট আগেবাণিজ্যিক বিমানের সাফল্য পরিমাপের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ সূচক হচ্ছে এর উৎপাদন সংখ্যা। এই ক্ষেত্রে বোয়িং ৭৩৭ কিংবা এয়ারবাস এ৩২০-এর মতো প্রযুক্তিতে ঠাসা উড়োজাহাজের কথাই আগে মাথায় আসে। তবে আশ্চর্যের বিষয় হলো—এগুলোর কোনোটিই ইতিহাসের সবচেয়ে বেশি উৎপাদিত বাণিজ্যিক বিমান নয়।
২০ মিনিট আগেমার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প সতর্ক করে বলেছেন, তাঁর দেশে আবারও বিশ শতকের ত্রিশ দশকের মতো মহামন্দা দেখা দিতে পারে। বিশেষ করে, মার্কিন আদালত যদি তাঁর ব্যাপক শুল্ক আরোপের ক্ষমতা আরোপের ক্ষমতা খর্ব করে তাহলে এই বিপর্যয় দেখা দিতে পারে।
১ ঘণ্টা আগেচট্টগ্রাম বন্দরের নিউমুরিং কনটেইনার টার্মিনাল (এনসিটি), লালদিয়া ও বে টার্মিনাল পরিচালনার জন্য বিদেশি অপারেটর নিয়োগের প্রক্রিয়া আগামী ৩১ ডিসেম্বরের মধ্যে সম্পন্ন করতে চায় চায় সরকার। এর মাধ্যমে ২০৩০ সালের মধ্যে চট্টগ্রাম বন্দরের সক্ষমতা চার গুণ বৃদ্ধি করার লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে।
৬ ঘণ্টা আগে