জয়নাল আবেদীন খান, ঢাকা
ব্যবসার অংশ হিসেবে ব্যাংক বিভিন্ন খাতে ঋণ দেয়। সেই ঋণ নির্দিষ্ট সময়সীমার মধ্যে পরিশোধও করতে হয়। এ ক্ষেত্রে বড় ব্যবসায়ী-শিল্পপতি কিংবা অন্য যেকোনো খাতের তুলনায় কৃষকেরাই ঋণ পরিশোধে বেশি মনোযোগী। ফলে কৃষকদের মধ্যে ঋণখেলাপিও কম। সামগ্রিক ঋণ আদায় পরিস্থিতি নিয়ে বাংলাদেশ ব্যাংকের বিভিন্ন সময়ের হালনাগাদ প্রতিবেদন এমনটিই জানান দিয়ে আসছে।
দেশে কৃষির উৎপাদন বাড়ার মাধ্যমে মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণের লক্ষ্যে কৃষি খাতে ঋণ বিতরণ প্রতিবছর বাড়াচ্ছে বাংলাদেশ ব্যাংক। এর ধারাবাহিকতায় চলতি ২০২৪-২৫ অর্থবছরে ৩৮ হাজার কোটি টাকা ঋণ বিতরণের লক্ষ্য ধরা হয়েছে; যা আগের অর্থবছরের তুলনায় ৮.৫৭ শতাংশ বেশি।
বাংলাদেশ ব্যাংকের সবশেষ প্রতিবেদন বলছে, চলতি বছরের জুলাই পর্যন্ত দেশের কৃষি এবং পল্লি খাতে মোট ঋণ বিতরণ হয়েছে ৫৬ হাজার ৮৯৪ কোটি টাকা। এর মধ্যে খেলাপি হয়েছে মাত্র ৪ হাজার ৭৩৯ কোটি টাকা; যা মোট বিতরণ করা ঋণের ৮ দশমিক ৩৩ শতাংশ। এর বিপরীতে বড় শিল্প খাতে ব্যাংকগুলো ঋণ দিয়েছে ১ লাখ ৫১ হাজার কোটি টাকা; যার ৭৪ হাজার ২২৪ কোটি টাকা বা ৫৬ দশমিক ৪৮ শতাংশই পরিণত হয়েছে খেলাপিতে। ঋণ আদায়ে নানা তাগাদা দিলেও বড়রা তা পরিশোধে আগ্রহ দেখায় না। ব্যাংকগুলোও তাদের বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা নেয় না। অথচ প্রায় সময় নামমাত্র খেলাপি হওয়ার কারণে কৃষকের ওপর নেমে আসে শাস্তির খড়্গ।
জানতে চাইলে বাংলাদেশ ব্যাংকের মুখপাত্র ও নির্বাহী পরিচালক মো. মেজবাউল হক আজকের পত্রিকাকে বলেন, শুধু কৃষিঋণের ক্ষেত্রে নয়, ছোট গ্রাহকেরা বাংলাদেশ ব্যাংকের ৫ হাজার কোটি টাকার পুনঃ অর্থায়ন তহবিল, প্রাক্-অর্থায়ন তহবিলের টাকাও নিয়মিত পরিশোধ করছেন। তাঁরা সমস্যায় না পড়লে ঋণ পরিশোধ করেন। তবে কখনো কখনো ব্যাংক এবং গ্রাহকের ভুল-বোঝাবুঝির কারণে ৫ হাজার টাকার নিচেও সার্টিফিকেট মামলা হয়। এসব মামলায় কৃষকের জেল খাটার খবরও প্রকাশ পায়।
চলতি বছরের জুন শেষে ৬১টি ব্যাংকের মোট বিতরণ করা ঋণের পরিমাণ ছিল ১৬ লাখ ৮৩ হাজার ৩৯৬ কোটি টাকা। এর মধ্যে খেলাপি ঋণ দাঁড়িয়েছে ২ লাখ ১১ হাজার ৩৯১ কোটি টাকা; যা মোট ঋণের ১২ দশমিক ৫৬ শতাংশ। ৩ মাস আগে মার্চ শেষে খেলাপি ছিল ১ লাখ ৮২ হাজার ২৯৫ কোটি টাকা। ৩ মাসের ব্যবধানে দেশে খেলাপি ঋণ বেড়েছে ৩৬ হাজার ৬৬২ কোটি টাকা।
বিশ্বব্যাংকের ঢাকা অফিসের সাবেক মুখ্য অর্থনীতিবিদ ড. জাহিদ হোসেন বলেন, বড় বড় গ্রুপ এবং ইচ্ছাকৃত খেলাপিদের থেকে ঋণ আদায়ে বিশেষ উদ্যোগ নিতে হবে। তা না হলে বড় খেলাপিদের লাগাম টানা সম্ভব নয়। অপরদিকে ৫ হাজার টাকার কৃষিঋণের জন্য কোমরে রশি পরানোর সংস্কৃতি থেকে বের হতে হবে।
ব্যবসার অংশ হিসেবে ব্যাংক বিভিন্ন খাতে ঋণ দেয়। সেই ঋণ নির্দিষ্ট সময়সীমার মধ্যে পরিশোধও করতে হয়। এ ক্ষেত্রে বড় ব্যবসায়ী-শিল্পপতি কিংবা অন্য যেকোনো খাতের তুলনায় কৃষকেরাই ঋণ পরিশোধে বেশি মনোযোগী। ফলে কৃষকদের মধ্যে ঋণখেলাপিও কম। সামগ্রিক ঋণ আদায় পরিস্থিতি নিয়ে বাংলাদেশ ব্যাংকের বিভিন্ন সময়ের হালনাগাদ প্রতিবেদন এমনটিই জানান দিয়ে আসছে।
দেশে কৃষির উৎপাদন বাড়ার মাধ্যমে মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণের লক্ষ্যে কৃষি খাতে ঋণ বিতরণ প্রতিবছর বাড়াচ্ছে বাংলাদেশ ব্যাংক। এর ধারাবাহিকতায় চলতি ২০২৪-২৫ অর্থবছরে ৩৮ হাজার কোটি টাকা ঋণ বিতরণের লক্ষ্য ধরা হয়েছে; যা আগের অর্থবছরের তুলনায় ৮.৫৭ শতাংশ বেশি।
বাংলাদেশ ব্যাংকের সবশেষ প্রতিবেদন বলছে, চলতি বছরের জুলাই পর্যন্ত দেশের কৃষি এবং পল্লি খাতে মোট ঋণ বিতরণ হয়েছে ৫৬ হাজার ৮৯৪ কোটি টাকা। এর মধ্যে খেলাপি হয়েছে মাত্র ৪ হাজার ৭৩৯ কোটি টাকা; যা মোট বিতরণ করা ঋণের ৮ দশমিক ৩৩ শতাংশ। এর বিপরীতে বড় শিল্প খাতে ব্যাংকগুলো ঋণ দিয়েছে ১ লাখ ৫১ হাজার কোটি টাকা; যার ৭৪ হাজার ২২৪ কোটি টাকা বা ৫৬ দশমিক ৪৮ শতাংশই পরিণত হয়েছে খেলাপিতে। ঋণ আদায়ে নানা তাগাদা দিলেও বড়রা তা পরিশোধে আগ্রহ দেখায় না। ব্যাংকগুলোও তাদের বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা নেয় না। অথচ প্রায় সময় নামমাত্র খেলাপি হওয়ার কারণে কৃষকের ওপর নেমে আসে শাস্তির খড়্গ।
জানতে চাইলে বাংলাদেশ ব্যাংকের মুখপাত্র ও নির্বাহী পরিচালক মো. মেজবাউল হক আজকের পত্রিকাকে বলেন, শুধু কৃষিঋণের ক্ষেত্রে নয়, ছোট গ্রাহকেরা বাংলাদেশ ব্যাংকের ৫ হাজার কোটি টাকার পুনঃ অর্থায়ন তহবিল, প্রাক্-অর্থায়ন তহবিলের টাকাও নিয়মিত পরিশোধ করছেন। তাঁরা সমস্যায় না পড়লে ঋণ পরিশোধ করেন। তবে কখনো কখনো ব্যাংক এবং গ্রাহকের ভুল-বোঝাবুঝির কারণে ৫ হাজার টাকার নিচেও সার্টিফিকেট মামলা হয়। এসব মামলায় কৃষকের জেল খাটার খবরও প্রকাশ পায়।
চলতি বছরের জুন শেষে ৬১টি ব্যাংকের মোট বিতরণ করা ঋণের পরিমাণ ছিল ১৬ লাখ ৮৩ হাজার ৩৯৬ কোটি টাকা। এর মধ্যে খেলাপি ঋণ দাঁড়িয়েছে ২ লাখ ১১ হাজার ৩৯১ কোটি টাকা; যা মোট ঋণের ১২ দশমিক ৫৬ শতাংশ। ৩ মাস আগে মার্চ শেষে খেলাপি ছিল ১ লাখ ৮২ হাজার ২৯৫ কোটি টাকা। ৩ মাসের ব্যবধানে দেশে খেলাপি ঋণ বেড়েছে ৩৬ হাজার ৬৬২ কোটি টাকা।
বিশ্বব্যাংকের ঢাকা অফিসের সাবেক মুখ্য অর্থনীতিবিদ ড. জাহিদ হোসেন বলেন, বড় বড় গ্রুপ এবং ইচ্ছাকৃত খেলাপিদের থেকে ঋণ আদায়ে বিশেষ উদ্যোগ নিতে হবে। তা না হলে বড় খেলাপিদের লাগাম টানা সম্ভব নয়। অপরদিকে ৫ হাজার টাকার কৃষিঋণের জন্য কোমরে রশি পরানোর সংস্কৃতি থেকে বের হতে হবে।
বাংলাদেশ শুল্কমুক্ত আমদানির ঘোষণার দেওয়ার পরপরই ভারতে হু হু করে বাড়ছে চালের দাম। গত দু’দিনে ভারতের বাজারে চালের দাম প্রায় ১৪ শতাংশ পর্যন্ত বেড়েছে। সম্প্রতি বাংলাদেশ সরকার খাদ্য সরবরাহ নিশ্চিত করতে এবং মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণ করতে ৫ লাখ টন চাল আমদানির ওপর থেকে শুল্ক প্রত্যাহার করে নিয়েছে।
১ দিন আগেনিষেধাজ্ঞা শেষে গত ১ জুলাই থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে শুরু হয়েছে ইলিশ ধরার মৌসুম, যা চলবে আগস্টের শেষ পর্যন্ত। কিন্তু অবাক করার মতো বিষয় হলো—ভরা মৌসুমেও সাগর-নদী থেকে জেলেরা প্রত্যাশিত ইলিশ পাচ্ছেন না। প্রতিবছর এই সময় দ্বীপ উপজেলা হাতিয়ার জেলেরা রুপালি ইলিশ শিকারে ব্যস্ত সময়...
১ দিন আগেটেকসই কৃষি উন্নয়নের অংশ হিসেবে রংপুর অঞ্চলে ‘আধুনিক প্রযুক্তি সম্প্রসারণের মাধ্যমে টেকসই কৃষি উন্নয়ন’ প্রকল্প হাতে নিয়েছে সরকার। পাঁচ বছর মেয়াদি এই প্রকল্পের প্রাক্কলিত ব্যয় ধরা হয়েছে ১৪২ কোটি ৯৯ লাখ ৫৬ হাজার টাকা। প্রকল্পটি বাস্তবায়িত হলে রংপুর বিভাগের ৫ জেলার গ্রামীণ দারিদ্র্য কমবে, টেকসই কৃষি...
১ দিন আগেব্র্যাক ব্যাংকের স্মার্ট ব্যাংকিং অ্যাপ ‘আস্থা’ সম্প্রতি ১০ লাখ গ্রাহকের মাইলফলক অর্জন করেছে। একই সঙ্গে, ২০২৫ সালের জুলাই মাসে এই অ্যাপের মাধ্যমে ২০ হাজার কোটি টাকা লেনদেন হয়েছে, যা বাংলাদেশের ব্যাংকিং খাতে মাসিক অ্যাপ-ভিত্তিক লেনদেনের একটি নতুন রেকর্ড।
১ দিন আগে