Ajker Patrika

তেলের দাম বাড়াতে মজুত গড়ছে যুক্তরাষ্ট্র

তেলের দাম বাড়াতে মজুত গড়ছে যুক্তরাষ্ট্র

তেলের উৎপাদন বাড়িয়েছিল যুক্তরাষ্ট্র। কিন্তু তাতে তেলের দাম কমে যাওয়ায় এবার তেল বাজারে না ছেড়ে মজুত বাড়ানোর দিকে মনোযোগ দিয়েছে দেশটি। তার ফলও মিলেছে হাতেনাতে। স্থানীয় সময় আজ সোমবার তেলের দাম কিছুটা বৃদ্ধি পেয়েছে। তবে এত কিছুর পরও আগামী বছরে জ্বালানি তেল উৎপাদনের বিপরীতে তেলের চাহিদা ততটা বাড়বে না বলে অনুমান করা হচ্ছে। বার্তা সংস্থা রয়টার্সের এক প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা গেছে। 

যুক্তরাষ্ট্রের বাজারে ব্রেন্ট ক্রুড বা অপরিশোধিত ব্রেন্টের দাম বেড়েছে প্রতি ব্যারেলে দশমিক ৬ শতাংশ যা ডলারে ৪৮ সেন্ট। আবার ইউএস ওয়েস্ট টেক্সাস ইন্টারমিডিয়েটের দাম ৩৮ সেন্ট বেড়ে দাঁড়িয়েছে ব্যারেল প্রতি ৭১ দশমিক ৬১ ডলারে। গত শুক্রবার উভয় ধরনের জ্বালানি তেলের চাহিদা ২ শতাংশ বেড়েছে। তারপরও টানা ৭ সপ্তাহ ধরে পতনের দিকে থাকা চাহিদা ঊর্ধ্বগতি পায়নি। 

জ্বালানি তেলের মূল্যের এই নিম্নগতি যুক্তরাষ্ট্রকে রিজার্ভ বাড়ানোর দিকে প্রভাবিত করেছে। ২০২৪ সালের মার্চের মধ্যে যুক্তরাষ্ট্রের কৌশলগত পেট্রোলিয়াম রিজার্ভে আরও অন্তত ৩০ লাখ ব্যারেল যুক্ত করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। এ বিষয়ে বিনিয়োগ প্রতিষ্ঠান আইজি গ্রুপের বিশ্লেষক টনি সাইকামুর বলেন, ‘আমরা জানি, বাইডেন প্রশাসন তাদের কৌশলগত পেট্রোলিয়াম রিজার্ভ বাড়াতে বাজারের দিকে তাকিয়ে আছে। এই রিজার্ভ পরে তাদের সহায়তা করবে।’

পেট্রোলিয়াম রপ্তানিকারক দেশগুলোর জোট ওপেক প্লাস নতুন বছরের প্রথম প্রান্তিকে প্রতিদিন ২২ লাখ ব্যারেল উৎপাদন কমানোর প্রতিশ্রুতি দেওয়া সত্ত্বেও বিনিয়োগকারীরা সন্দিহান যে, আসলেই সরবরাহ কমবে কিনা। কারণ অ-ওপেক দেশগুলোর জ্বালানি তেলের উৎপাদন বৃদ্ধি পেলে বাজারে অতিরিক্ত সরবরাহ তৈরি হবে।

বৈশ্বিক বিনিয়োগ ব্যাংক আরবিসি ক্যাপিটাল মার্কেটের বলছে, ‘বাজারে উৎপাদন কী পরিমাণ কমবে সে বিষয়ে স্পষ্ট কোনো তথ্য না পাওয়া পর্যন্ত তেলের দাম অস্থির ও দিক নির্দেশনাহীন থাকবে।’ বিশ্লেষকেরা বলছেন, আগামী মাস পর্যন্ত উৎপাদন হ্রাস বাস্তবায়িত না হওয়া পর্যন্ত ও জানুয়ারির পর জাতীয় স্তরের উৎপাদন তথ্য স্পষ্টতা না পাওয়ায় এই দুই মাস আগে বাজার অস্থির থাকবে।

এদিকে, বিশ্বের শীর্ষ তেল আমদানিকারক চীনের সর্বশেষ ভোক্তা মূল্য সূচকের তথ্য বলছে—ক্রমবর্ধমান মূল্যস্ফীতি ও দুর্বল অভ্যন্তরীণ চাহিদার কারণে দেশটির অর্থনৈতিক পুনরুদ্ধারের বিষয়ে সন্দেহ সৃষ্টি করেছে। তবে চীনা কর্মকর্তারা শুক্রবার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন, তারা ২০২৪ সালে অভ্যন্তরীণ চাহিদা বাড়াতে ও অর্থনৈতিক পুনরুদ্ধারের বিষয়টি নিশ্চিতে কাজ করছেন। তবে তারপরও দেশটির জ্বালানি চাহিদার বিষয়ে শঙ্কা কাটছে না।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত