আজকের পত্রিকা ডেস্ক

লন্ডনভিত্তিক বাণিজ্যিক আইন পরামর্শক সংস্থা এইচএফডব্লিউতে যুক্ত রয়েছেন আইনজীবী হেনরি ক্ল্যাক। সাগরপথে বিশ্বজুড়ে সাইবার হামলার শিকার শিপিং কোম্পানিগুলোর পক্ষে কাজ করেন তিনি। ক্লায়েন্টদের হয়ে কীভাবে তিনি অপরাধী চক্রকে মোকাবিলা করেন, তা নিয়ে বিবিসির সঙ্গে কথা বলেছেন তিনি।
ক্ল্যাক জানান, এইচএফডব্লিউকে এখন পর্যন্ত যেসব মামলা লড়তে হয়েছে, তার বেশির ভাগই নাইজেরিয়ার গ্যাং বা সংঘবদ্ধ অপরাধী চক্রের বিরুদ্ধে। গত কয়েক বছরের বেশ কয়েকটি বড় অঙ্কের প্রতারণার পেছনে তারাই দায়ী।
বিবিসির প্রতিবেদনে জানা যায়, ই-মেইল থেকে বা আড়ি পেতে জাহাজপথ ব্যবহারের জন্য দুই পক্ষের যোগাযোগের তথ্য সংগ্রহ করে হ্যাকাররা। এমনকি কোনো কোম্পানির কম্পিউটার সিস্টেমের নিয়ন্ত্রণ নিয়ে লগইন ডেটা বা আর্থিক লেনদেনের তথ্য চুরি করে সেই কোম্পানির ছদ্মবেশে প্রতারণা করে তারা। আবার চুরি করা তথ্য বা কম্পিউটারের নিয়ন্ত্রণ ফিরিয়ে দেওয়ার বিনিময়ে মোটা অঙ্কের অর্থ দাবি করে এই চক্র।
আইন সংস্থা এইচএফডব্লিউ জানায়, সাইবার হামলা জাহাজ, সমুদ্রপথ ও বন্দর সবক্ষেত্রেই ক্রমবর্ধমান একটি সমস্যায় পরিণত হয়েছে। এ হামলা বাড়তে থাকায় ২০২২ থেকে ২০২৩ সালের মধ্যে এসব মোকাবিলায় খরচ দ্বিগুণ হয়ে ৫ লাখ ৫০ হাজার ডলারে দাঁড়িয়েছে। আর যেসব ক্ষেত্রে সাইবার সিকিউরিটি বিশেষজ্ঞরা হ্যাকারদের হাত থেকে সিস্টেম ফিরিয়ে নিতে পারেন না, সেখানে মুক্তিপণে গড় খরচ করতে হয় ৩ দশমিক ২ মিলিয়ন ডলার।
বিশ্বের প্রায় ৮০ শতাংশ বাণিজ্য সমুদ্রপথে বহন করা হয়। এই অবস্থায় এ ধরনের ব্যাঘাত শিপিং কোম্পানিগুলোর খরচ অনেক বাড়িয়ে দিচ্ছে আর সক্ষমতা কমিয়ে দিচ্ছে বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা।
ইন্টারন্যাশনাল চেম্বার অব শিপিংয়ের (আইসিএস) মেরিন বিভাগের পরিবেশ ও বাণিজ্য ব্যবস্থাপক জন স্টাপার্ট বলেন, সমুদ্রপথের এই পরিস্থিতির কারণে সমুদ্র-বাণিজ্য এখন অপরাধী চক্রের প্রধান লক্ষ্যবস্তুতে পরিণত হচ্ছে। এমনকি যেসব দেশের মধ্যে বৈরী সম্পর্ক রয়েছে, তারাও এ পন্থা অবলম্বনে আগ্রহী হয়ে উঠছে।
স্টাপার্ট আরও বলেন, সমুদ্র-বাণিজ্যের জন্য সাইবার সিকিউরিটি অনেক বেশি গুরুত্বপূর্ণ এবং উদ্বেগের বিষয়। কারণ, এই মাধ্যমে বিশ্ব অনেক বেশি আন্তসংযুক্ত।
আইসিএসের এ কর্মকর্তা জানান, বিশ্বব্যাপী সাইবার অপরাধীরা শিপিং খাতকে শীর্ষ ১০টি লক্ষ্যের মধ্যে অন্যতম হিসেবে তালিকাভুক্ত করেছে। যদি সাইবার অপরাধীরা আপনার কার্যক্রম ব্যাহত করতে সক্ষম হয় বা ধরুন কোনো র্যানসমওয়্যার হামলা চালায়, এর প্রভাব যথেষ্ট ক্ষতিকর হতে পারে।
সমুদ্রপথে হামলার হার দ্রুতগতিতে বাড়ছে। নেদারল্যান্ডসের এনএইচএল স্টেনডেন ইউনিভার্সিটি অব অ্যাপ্লায়েড সায়েন্সেসের একটি গবেষণা দল গত কয়েক বছরে জাহাজ চলাচল-সংক্রান্ত সাইবার হামলাগুলোর তথ্য যাচাই করে দেখেছে, ২০২১ সালে ১০টি হামলা হয়েছিল আর তা বেড়ে গত বছর ৬৪টিতে দাঁড়িয়েছে।
নেদারল্যান্ডসের বিশ্ববিদ্যালয়ের মেরিটাইম আইটি সিকিউরিটি গবেষণা দলের জেরোন পিপকার জানান, এসব সাইবার হামলার ঘটনার মধ্যে অনেকগুলোর সঙ্গে চারটি দেশের সরকার—রাশিয়া, চীন, উত্তর কোরিয়া ও ইরান জড়িত।
পিপকার বলেন, ‘আমরা একবার দেখলাম, ইউক্রেনে কিছু সরঞ্জাম পাঠানো হচ্ছিল, তখন একটি টেলিগ্রাম চ্যানেলে এ নিয়ে তথ্য দেওয়া হচ্ছিল, যাতে ডেলিভারির লজিস্টিক চেইনে কিছু ব্যাঘাত সৃষ্টি করা যায়।
‘আর অন্য হামলাগুলো আর্থিক চাপ বা মুক্তিপণ আদায়ের জন্য হয়। সাম্প্রতিক সাইবার হামলা দ্রুত বাড়ার একটি কারণ হলো, হ্যাকারদের কাজের সুযোগ দিনকে দিন আরও সহজ হয়ে যাচ্ছে। কারণ, গত কয়েক বছরে জাহাজশিল্প আরও বেশি ডিজিটাল হয়েছে, আবার নতুন যোগাযোগ প্রযুক্তি, যেমন ইলন মাস্কের স্টারলিংক স্যাটেলাইট পরিষেবা, জাহাজগুলোকে বাইরের বিশ্বের সঙ্গে আরও সংযুক্ত করেছে। আর তাই এগুলো আরও বেশি হ্যাকিংয়ের শিকার হচ্ছে।
গত বছরের একটি ঘটনায় মার্কিন নৌবাহিনীর এক প্রধানকে তাঁর দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছিল। কারণ, তিনি তাঁর যুদ্ধজাহাজে একটি অননুমোদিত স্যাটেলাইট ডিশ স্থাপন করেছিলেন, যাতে তিনি ও অন্য কর্মকর্তারা ইন্টারনেট ব্যবহার করতে পারেন।
জাহাজ চলাচল শিল্পে বেশির ভাগ দাপ্তরিক অংশ ভাগে ভাগে ডিজিটালাইজেশন হয়েছে এবং এর সঙ্গে জড়িত প্রযুক্তিও দ্রুত পুরোনো হয়ে যেতে পারে। পিপকার বলেন, একটি কার্গো জাহাজের গড় বয়স প্রায় ২২ বছর। জাহাজ কোম্পানিগুলোর পক্ষে প্রায়শই সেগুলোকে হালনাগাদ করার জন্য ডাঙ্গায় তুলে রাখা সম্ভব হয় না।
ডিজিটালাইজেশনের আরও কিছু ঝুঁকি রয়েছে, যার মধ্যে রয়েছে জিপিএস জ্যামিং ও ‘স্পুফিং’।
সিকিউরিটি ফার্ম ক্লারোটির আরিক ডায়ামান্ট বলেন, জিপিএস স্পুফিং মানে হলো—নেভিগেশন সিস্টেমকে ভুয়া অবস্থান পাঠানো এবং এর ফলে জাহাজটি ভিন্ন পথে চলে যায়। এরপর অগভীর জলে গেলে জাহাজটির গায়ে আঘাত লেগে ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে।
গত মে মাসে এমএসসি অ্যান্টোনিয়া নামের একটি কনটেইনার জাহাজ লোহিত সাগরে আটকে পড়ে। ধারণা করা হয়, জিপিএস স্পুফিংয়ের কারণে এ ঘটনা ঘটেছিল। এ ঘটনায় কোনো সন্দেহভাজনকে অভিযুক্ত করা না হলেও এই এলাকার অন্যান্য কার্গো জাহাজে ইয়েমেনের হুতি বিদ্রোহীরা হামলা করায় তাদের দিকে সন্দেহের নজর গেছে। আর বাল্টিক সাগরে জিপিএস লক্ষ্য করে চালানো অন্যান্য হামলার জন্য রাশিয়াকে দায়ী করা হয়েছে।
জিপিএস জ্যামিং ও স্পুফিং থেকে রক্ষা পাওয়া কঠিন এবং ব্যয়বহুল, তবে ‘অ্যান্টি-জ্যাম’ প্রযুক্তি সহজলভ্য।
এদিকে কার্গো জাহাজগুলোর আরও একটি দুর্বলতা হলো—তাদের নির্গমন পর্যবেক্ষণের জন্য সেন্সরের ব্যবহার বাড়ানো। এসব সেন্সর প্রায়শই ডেটা পাঠায়, যা হ্যাকারদের অনুপ্রবেশ ও হামলার সুযোগ সৃষ্টি করে।
তবে এসবের মধ্যে ভালো খবর হলো, সমুদ্র-বাণিজ্যে নিরাপত্তা কড়াকড়ি বাড়ছে। ২০২১ সালে আন্তর্জাতিক সামুদ্রিক সংস্থা (আইএমও) নিয়ন্ত্রক বাণিজ্যিক শিপিংয়ের জন্য এর গ্লোবাল সেফটি ম্যানেজমেন্ট কোডে নতুন সাইবার নিরাপত্তা বিধান যুক্ত করেছে।
এইচএফডব্লিউর শিপিং বিশেষজ্ঞ টম ওয়াল্টার্স বলেন, এই বিধানগুলো জাহাজের সেফটি ম্যানেজমেন্ট সিস্টেমে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে, যাতে আরও নির্দিষ্টভাবে সাইবার ঝুঁকি ব্যবস্থাপনার প্রয়োজনীয়তা অন্তর্ভুক্ত করা যায়। বিশেষ করে, যাতে ইচ্ছাকৃত সাইবার হামলা মোকাবিলা করা যায় এবং নিয়ম মেনে চলা বাণিজ্যিক জাহাজ পরিচালনার জন্য ঝুঁকি ব্যবস্থাপনার অনুশীলনগুলো নির্দিষ্ট করে দেওয়া যায়।
জাহাজ ব্যবস্থাপনা সিস্টেমগুলোতে এখন ক্রমবর্ধমান কঠোর সাইবার নিরাপত্তাব্যবস্থা অন্তর্ভুক্ত করা বাধ্যতামূলক করা হয়েছে। এই ব্যবস্থাগুলোর মধ্যে রয়েছে—মৌলিক নিরাপত্তা পদ্ধতি থেকে শুরু করে আরও কারিগরি এবং প্রযুক্তিগত কর্মপদ্ধতি ও আইটি ব্যবস্থা।
আইসিএসের মেরিন বিভাগের পরিবেশ ও বাণিজ্য ব্যবস্থাপক জন স্টাপার্ট বলেন, ‘ব্যক্তিগতভাবে আমি মনে করি, শিল্পটি হুমকি মোকাবিলায় অন্তত গত ছয় বা সাত বছর আগের তুলনায় ভালো অবস্থানে রয়েছে।’
স্টাপার্ট আরও যোগ করেন, সাইবার হামলা ও সাইবার অপরাধ সম্পর্কে সমুদ্রশিল্পে সচেতনতা অনেক বেড়েছে এবং আগামী বছরগুলোতে তা আরও বাড়বে।
সাইবার হামলার পর অপরাধী গ্যাংগুলোর সঙ্গে কীভাবে যোগাযোগ করা হয়—জানতে চাইলে আইন সংস্থা এইচএফডব্লিউর আইনজীবী হেনরি ক্ল্যাক বলেন, খুদেবার্তার মাধ্যমে এটি করা হয় এবং যতটা সম্ভব সংক্ষিপ্ত রাখা হয়।
ক্ল্যাক আরও বলেন, যখন এমনটা হয়, বেশির ভাগ সময়ই র্যানসমওয়্যারের মুক্তিপণ আলোচনার প্রসঙ্গে হয়। যোগাযোগ হয় অনলাইন মেসেজিং সার্ভিসের মাধ্যমে, হয়তো দিনে একটি বার্তা পাঠানো হয় বা দু-একটি বাক্য।

লন্ডনভিত্তিক বাণিজ্যিক আইন পরামর্শক সংস্থা এইচএফডব্লিউতে যুক্ত রয়েছেন আইনজীবী হেনরি ক্ল্যাক। সাগরপথে বিশ্বজুড়ে সাইবার হামলার শিকার শিপিং কোম্পানিগুলোর পক্ষে কাজ করেন তিনি। ক্লায়েন্টদের হয়ে কীভাবে তিনি অপরাধী চক্রকে মোকাবিলা করেন, তা নিয়ে বিবিসির সঙ্গে কথা বলেছেন তিনি।
ক্ল্যাক জানান, এইচএফডব্লিউকে এখন পর্যন্ত যেসব মামলা লড়তে হয়েছে, তার বেশির ভাগই নাইজেরিয়ার গ্যাং বা সংঘবদ্ধ অপরাধী চক্রের বিরুদ্ধে। গত কয়েক বছরের বেশ কয়েকটি বড় অঙ্কের প্রতারণার পেছনে তারাই দায়ী।
বিবিসির প্রতিবেদনে জানা যায়, ই-মেইল থেকে বা আড়ি পেতে জাহাজপথ ব্যবহারের জন্য দুই পক্ষের যোগাযোগের তথ্য সংগ্রহ করে হ্যাকাররা। এমনকি কোনো কোম্পানির কম্পিউটার সিস্টেমের নিয়ন্ত্রণ নিয়ে লগইন ডেটা বা আর্থিক লেনদেনের তথ্য চুরি করে সেই কোম্পানির ছদ্মবেশে প্রতারণা করে তারা। আবার চুরি করা তথ্য বা কম্পিউটারের নিয়ন্ত্রণ ফিরিয়ে দেওয়ার বিনিময়ে মোটা অঙ্কের অর্থ দাবি করে এই চক্র।
আইন সংস্থা এইচএফডব্লিউ জানায়, সাইবার হামলা জাহাজ, সমুদ্রপথ ও বন্দর সবক্ষেত্রেই ক্রমবর্ধমান একটি সমস্যায় পরিণত হয়েছে। এ হামলা বাড়তে থাকায় ২০২২ থেকে ২০২৩ সালের মধ্যে এসব মোকাবিলায় খরচ দ্বিগুণ হয়ে ৫ লাখ ৫০ হাজার ডলারে দাঁড়িয়েছে। আর যেসব ক্ষেত্রে সাইবার সিকিউরিটি বিশেষজ্ঞরা হ্যাকারদের হাত থেকে সিস্টেম ফিরিয়ে নিতে পারেন না, সেখানে মুক্তিপণে গড় খরচ করতে হয় ৩ দশমিক ২ মিলিয়ন ডলার।
বিশ্বের প্রায় ৮০ শতাংশ বাণিজ্য সমুদ্রপথে বহন করা হয়। এই অবস্থায় এ ধরনের ব্যাঘাত শিপিং কোম্পানিগুলোর খরচ অনেক বাড়িয়ে দিচ্ছে আর সক্ষমতা কমিয়ে দিচ্ছে বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা।
ইন্টারন্যাশনাল চেম্বার অব শিপিংয়ের (আইসিএস) মেরিন বিভাগের পরিবেশ ও বাণিজ্য ব্যবস্থাপক জন স্টাপার্ট বলেন, সমুদ্রপথের এই পরিস্থিতির কারণে সমুদ্র-বাণিজ্য এখন অপরাধী চক্রের প্রধান লক্ষ্যবস্তুতে পরিণত হচ্ছে। এমনকি যেসব দেশের মধ্যে বৈরী সম্পর্ক রয়েছে, তারাও এ পন্থা অবলম্বনে আগ্রহী হয়ে উঠছে।
স্টাপার্ট আরও বলেন, সমুদ্র-বাণিজ্যের জন্য সাইবার সিকিউরিটি অনেক বেশি গুরুত্বপূর্ণ এবং উদ্বেগের বিষয়। কারণ, এই মাধ্যমে বিশ্ব অনেক বেশি আন্তসংযুক্ত।
আইসিএসের এ কর্মকর্তা জানান, বিশ্বব্যাপী সাইবার অপরাধীরা শিপিং খাতকে শীর্ষ ১০টি লক্ষ্যের মধ্যে অন্যতম হিসেবে তালিকাভুক্ত করেছে। যদি সাইবার অপরাধীরা আপনার কার্যক্রম ব্যাহত করতে সক্ষম হয় বা ধরুন কোনো র্যানসমওয়্যার হামলা চালায়, এর প্রভাব যথেষ্ট ক্ষতিকর হতে পারে।
সমুদ্রপথে হামলার হার দ্রুতগতিতে বাড়ছে। নেদারল্যান্ডসের এনএইচএল স্টেনডেন ইউনিভার্সিটি অব অ্যাপ্লায়েড সায়েন্সেসের একটি গবেষণা দল গত কয়েক বছরে জাহাজ চলাচল-সংক্রান্ত সাইবার হামলাগুলোর তথ্য যাচাই করে দেখেছে, ২০২১ সালে ১০টি হামলা হয়েছিল আর তা বেড়ে গত বছর ৬৪টিতে দাঁড়িয়েছে।
নেদারল্যান্ডসের বিশ্ববিদ্যালয়ের মেরিটাইম আইটি সিকিউরিটি গবেষণা দলের জেরোন পিপকার জানান, এসব সাইবার হামলার ঘটনার মধ্যে অনেকগুলোর সঙ্গে চারটি দেশের সরকার—রাশিয়া, চীন, উত্তর কোরিয়া ও ইরান জড়িত।
পিপকার বলেন, ‘আমরা একবার দেখলাম, ইউক্রেনে কিছু সরঞ্জাম পাঠানো হচ্ছিল, তখন একটি টেলিগ্রাম চ্যানেলে এ নিয়ে তথ্য দেওয়া হচ্ছিল, যাতে ডেলিভারির লজিস্টিক চেইনে কিছু ব্যাঘাত সৃষ্টি করা যায়।
‘আর অন্য হামলাগুলো আর্থিক চাপ বা মুক্তিপণ আদায়ের জন্য হয়। সাম্প্রতিক সাইবার হামলা দ্রুত বাড়ার একটি কারণ হলো, হ্যাকারদের কাজের সুযোগ দিনকে দিন আরও সহজ হয়ে যাচ্ছে। কারণ, গত কয়েক বছরে জাহাজশিল্প আরও বেশি ডিজিটাল হয়েছে, আবার নতুন যোগাযোগ প্রযুক্তি, যেমন ইলন মাস্কের স্টারলিংক স্যাটেলাইট পরিষেবা, জাহাজগুলোকে বাইরের বিশ্বের সঙ্গে আরও সংযুক্ত করেছে। আর তাই এগুলো আরও বেশি হ্যাকিংয়ের শিকার হচ্ছে।
গত বছরের একটি ঘটনায় মার্কিন নৌবাহিনীর এক প্রধানকে তাঁর দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছিল। কারণ, তিনি তাঁর যুদ্ধজাহাজে একটি অননুমোদিত স্যাটেলাইট ডিশ স্থাপন করেছিলেন, যাতে তিনি ও অন্য কর্মকর্তারা ইন্টারনেট ব্যবহার করতে পারেন।
জাহাজ চলাচল শিল্পে বেশির ভাগ দাপ্তরিক অংশ ভাগে ভাগে ডিজিটালাইজেশন হয়েছে এবং এর সঙ্গে জড়িত প্রযুক্তিও দ্রুত পুরোনো হয়ে যেতে পারে। পিপকার বলেন, একটি কার্গো জাহাজের গড় বয়স প্রায় ২২ বছর। জাহাজ কোম্পানিগুলোর পক্ষে প্রায়শই সেগুলোকে হালনাগাদ করার জন্য ডাঙ্গায় তুলে রাখা সম্ভব হয় না।
ডিজিটালাইজেশনের আরও কিছু ঝুঁকি রয়েছে, যার মধ্যে রয়েছে জিপিএস জ্যামিং ও ‘স্পুফিং’।
সিকিউরিটি ফার্ম ক্লারোটির আরিক ডায়ামান্ট বলেন, জিপিএস স্পুফিং মানে হলো—নেভিগেশন সিস্টেমকে ভুয়া অবস্থান পাঠানো এবং এর ফলে জাহাজটি ভিন্ন পথে চলে যায়। এরপর অগভীর জলে গেলে জাহাজটির গায়ে আঘাত লেগে ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে।
গত মে মাসে এমএসসি অ্যান্টোনিয়া নামের একটি কনটেইনার জাহাজ লোহিত সাগরে আটকে পড়ে। ধারণা করা হয়, জিপিএস স্পুফিংয়ের কারণে এ ঘটনা ঘটেছিল। এ ঘটনায় কোনো সন্দেহভাজনকে অভিযুক্ত করা না হলেও এই এলাকার অন্যান্য কার্গো জাহাজে ইয়েমেনের হুতি বিদ্রোহীরা হামলা করায় তাদের দিকে সন্দেহের নজর গেছে। আর বাল্টিক সাগরে জিপিএস লক্ষ্য করে চালানো অন্যান্য হামলার জন্য রাশিয়াকে দায়ী করা হয়েছে।
জিপিএস জ্যামিং ও স্পুফিং থেকে রক্ষা পাওয়া কঠিন এবং ব্যয়বহুল, তবে ‘অ্যান্টি-জ্যাম’ প্রযুক্তি সহজলভ্য।
এদিকে কার্গো জাহাজগুলোর আরও একটি দুর্বলতা হলো—তাদের নির্গমন পর্যবেক্ষণের জন্য সেন্সরের ব্যবহার বাড়ানো। এসব সেন্সর প্রায়শই ডেটা পাঠায়, যা হ্যাকারদের অনুপ্রবেশ ও হামলার সুযোগ সৃষ্টি করে।
তবে এসবের মধ্যে ভালো খবর হলো, সমুদ্র-বাণিজ্যে নিরাপত্তা কড়াকড়ি বাড়ছে। ২০২১ সালে আন্তর্জাতিক সামুদ্রিক সংস্থা (আইএমও) নিয়ন্ত্রক বাণিজ্যিক শিপিংয়ের জন্য এর গ্লোবাল সেফটি ম্যানেজমেন্ট কোডে নতুন সাইবার নিরাপত্তা বিধান যুক্ত করেছে।
এইচএফডব্লিউর শিপিং বিশেষজ্ঞ টম ওয়াল্টার্স বলেন, এই বিধানগুলো জাহাজের সেফটি ম্যানেজমেন্ট সিস্টেমে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে, যাতে আরও নির্দিষ্টভাবে সাইবার ঝুঁকি ব্যবস্থাপনার প্রয়োজনীয়তা অন্তর্ভুক্ত করা যায়। বিশেষ করে, যাতে ইচ্ছাকৃত সাইবার হামলা মোকাবিলা করা যায় এবং নিয়ম মেনে চলা বাণিজ্যিক জাহাজ পরিচালনার জন্য ঝুঁকি ব্যবস্থাপনার অনুশীলনগুলো নির্দিষ্ট করে দেওয়া যায়।
জাহাজ ব্যবস্থাপনা সিস্টেমগুলোতে এখন ক্রমবর্ধমান কঠোর সাইবার নিরাপত্তাব্যবস্থা অন্তর্ভুক্ত করা বাধ্যতামূলক করা হয়েছে। এই ব্যবস্থাগুলোর মধ্যে রয়েছে—মৌলিক নিরাপত্তা পদ্ধতি থেকে শুরু করে আরও কারিগরি এবং প্রযুক্তিগত কর্মপদ্ধতি ও আইটি ব্যবস্থা।
আইসিএসের মেরিন বিভাগের পরিবেশ ও বাণিজ্য ব্যবস্থাপক জন স্টাপার্ট বলেন, ‘ব্যক্তিগতভাবে আমি মনে করি, শিল্পটি হুমকি মোকাবিলায় অন্তত গত ছয় বা সাত বছর আগের তুলনায় ভালো অবস্থানে রয়েছে।’
স্টাপার্ট আরও যোগ করেন, সাইবার হামলা ও সাইবার অপরাধ সম্পর্কে সমুদ্রশিল্পে সচেতনতা অনেক বেড়েছে এবং আগামী বছরগুলোতে তা আরও বাড়বে।
সাইবার হামলার পর অপরাধী গ্যাংগুলোর সঙ্গে কীভাবে যোগাযোগ করা হয়—জানতে চাইলে আইন সংস্থা এইচএফডব্লিউর আইনজীবী হেনরি ক্ল্যাক বলেন, খুদেবার্তার মাধ্যমে এটি করা হয় এবং যতটা সম্ভব সংক্ষিপ্ত রাখা হয়।
ক্ল্যাক আরও বলেন, যখন এমনটা হয়, বেশির ভাগ সময়ই র্যানসমওয়্যারের মুক্তিপণ আলোচনার প্রসঙ্গে হয়। যোগাযোগ হয় অনলাইন মেসেজিং সার্ভিসের মাধ্যমে, হয়তো দিনে একটি বার্তা পাঠানো হয় বা দু-একটি বাক্য।

আকাশপথে আমদানি-রপ্তানি ব্যবস্থার দুর্বলতা নতুন করে সামনে এনেছে ঢাকার হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের সাম্প্রতিক অগ্নিকাণ্ড। ওই ঘটনায় কয়েক দিনের জন্য কার্গো কার্যক্রম স্থবির হয়ে পড়ায় ব্যবসায়ীরা বড় ধরনের ক্ষতির মুখে পড়েন। এই প্রেক্ষাপটে আকাশপথে পণ্য পরিবহনকে নিরবচ্ছিন্ন, দ্রুত ও সংকটসহনীয় করতে
১১ ঘণ্টা আগে
আইএফআইসি ব্যাংক পিএলসি তাদের পরিচালনা পর্ষদের সদস্যদের জন্য অ্যান্টি মানি লন্ডারিং (এএমএল) ও সন্ত্রাসে অর্থায়ন প্রতিরোধ (সিএফটি) সংক্রান্ত এক সচেতনতামূলক কর্মশালার আয়োজন করেছে। গত ২১ ডিসেম্বর ব্যাংকের প্রধান কার্যালয়ে এই কর্মশালাটি অনুষ্ঠিত হয়।
১২ ঘণ্টা আগে
দেশের শীর্ষস্থানীয় ইস্পাত উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠান বিএসআরএম স্টিলস লিমিটেডের ২৩তম বার্ষিক সাধারণ সভা (এজিএম) অনুষ্ঠিত হয়েছে। আজ বুধবার (২৪ ডিসেম্বর) সকাল ১০টা ৩০ মিনিটে বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) নির্দেশিকা অনুযায়ী ডিজিটাল প্ল্যাটফর্মে এই সভা অনুষ্ঠিত হয়।
১২ ঘণ্টা আগে
রমজান মাস উপলক্ষে খেজুর আমদানিতে বড় ধরনের শুল্কছাড় দিল জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর)। রোজার অন্যতম ইফতারসামগ্রী খেজুরের আমদানি শুল্ক ১০ শতাংশ কমিয়ে ১৫ শতাংশ করা হয়েছে বলে আজ বুধবার এক বিজ্ঞপ্তিতে জানিয়েছে এনবিআর।
১৩ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

আকাশপথে আমদানি-রপ্তানি ব্যবস্থার দুর্বলতা নতুন করে সামনে এনেছে ঢাকার হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের সাম্প্রতিক অগ্নিকাণ্ড। ওই ঘটনায় কয়েক দিনের জন্য কার্গো কার্যক্রম স্থবির হয়ে পড়ায় ব্যবসায়ীরা বড় ধরনের ক্ষতির মুখে পড়েন। এই প্রেক্ষাপটে আকাশপথে পণ্য পরিবহনকে নিরবচ্ছিন্ন, দ্রুত ও সংকটসহনীয় করতে বিমানবন্দরের বাইরে অফডকভিত্তিক এয়ার কার্গো ব্যবস্থা চালুর দাবি জোরালো হয়েছে। সেই সঙ্গে দ্রুত এয়ার কার্গো অপারেটরস স্টেশন (এসিওএস) নীতিমালা চূড়ান্ত ও বাস্তবায়নের আহ্বান জানিয়েছেন ব্যবসায়ী ও রপ্তানিকারকেরা। তাঁরা বলছেন, অফডকভিত্তিক এয়ার কার্গো অপারেশন চালু না হলে যেকোনো সংকটে আমদানি-রপ্তানি কার্যক্রম মারাত্মকভাবে ব্যাহত হয়।
অফডক হলো বন্দর বা বিমানবন্দরের মূল এলাকার বাইরে অবস্থিত এমন নির্ধারিত স্থাপনা, যেখানে আমদানি-রপ্তানি পণ্যের খালাস, সংরক্ষণ, পরীক্ষা ও হ্যান্ডলিং করা হয়। সহজভাবে বলা যায়, বন্দরের ভেতরে সব কাজ না করে বন্দরের বাইরে আলাদা জায়গায় কার্গোর কাজ করা, এটাই অফডক।
চট্টগ্রাম সমুদ্রবন্দরের মতো আকাশপথেও অফডক ব্যবস্থা চালু করা যায় বলে মনে করেন নিট পোশাকশিল্পের মালিকদের সংগঠন বিকেএমইএর সভাপতি মোহাম্মদ হাতেম। তিনি আজকের পত্রিকাকে বলেন, বর্তমানে শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে কার্গো হ্যান্ডলিং সেবা মূলত বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনস দিয়ে থাকে। এ ক্ষেত্রে তাদের সক্ষমতা খুবই সীমিত। অনেক সময় পণ্য খালাসে অতিরিক্ত দুই থেকে তিন দিন সময় লেগে যায়। এতে রপ্তানি ও আমদানি উভয় ক্ষেত্রে ব্যবসায়ীরা সমস্যায় পড়েন।
অফডক চালু হলে এ ধরনের জটিলতা থাকবে না জানিয়ে মোহাম্মদ হাতেম বলেন, এতে পণ্য খালাস দ্রুত হবে এবং সামগ্রিকভাবে আমদানি-রপ্তানি বাণিজ্য আরও সহজ ও গতিশীল হবে।
অফডক দরকার কেন
সংশ্লিষ্টরা জানান, অফডক ব্যবস্থা চালু হলে বেসরকারি উদ্যোগে একাধিক অপারেটর থাকবে। ফলে কার্গো আমদানি-রপ্তানি পরিবহনে টার্মিনাল হ্যান্ডলিং, কার্গো হ্যান্ডলিং, স্ক্যানিং চার্জসহ অন্যান্য ফি নির্ধারণের ক্ষেত্রে প্রতিযোগিতামূলক বাজারব্যবস্থা সৃষ্টি হবে। একই সঙ্গে সেবার মানও বাড়বে।
তথ্যমতে, বর্তমানে আকাশপথে প্রতি কেজি পণ্য রপ্তানিতে প্রায় ২৬ টাকা সার্ভিস চার্জ নেয় বিমান বাংলাদেশ ও সিভিল এভিয়েশন। একই সেবা পেতে ব্যাংককে প্রতি কেজিতে ৬.৪২ টাকা, কলকাতায় ৪.৮৮ টাকা এবং দিল্লিতে ৬.১০ টাকা দিতে হয়। এতে করে আকাশপথে পণ্য পরিবহন খরচ কয়েক গুণ বেড়ে যাচ্ছে।
ব্যবসায়ীরা মনে করেন, দেশে এয়ার কার্গো অপারেশনে অফডক পদ্ধতি চালু হলে অধিকতর কার্গো নিরাপত্তার সঙ্গে স্বচ্ছতা ও জবাবদিহি নিশ্চিত হবে। ইলেকট্রনিক কার্গো ট্র্যাকিং সিস্টেম (ইসিটিএস) চালু হবে। ফলে সহজে কার্গোর অবস্থান জানা যাবে। দ্রুত পণ্য খালাসে সুবিধা পাবে এবং জট কমবে। ওষুধের কাঁচামাল, জরুরি গার্মেন্টস পণ্যের নমুনাসহ আনুষঙ্গিক পণ্য সহজে পরিবহন করা যাবে। এতে দেশের আমদানি-রপ্তানি বাণিজ্য ত্বরান্বিত হবে।
ই-কমার্স ব্যবসায়ীরা এর সুফল ভোগ করতে পারবেন। বিশ্বের অনেক দেশে অফডক ব্যবস্থা চালু আছে। যেমন সিঙ্গাপুর, দুবাই, নেদারল্যান্ডস, জার্মানি, জাপান, ভারত, হংকং, ইউএসএ। সেখানে এই ব্যবস্থার ফলে কার্গো পরিবহনে সময়ের সাশ্রয় ও পণ্য খালাসে জটিলতা নেই বললেই চলে।
ব্যবসায়ীরা জানান, চট্টগ্রাম সমুদ্রবন্দরে দীর্ঘদিন ধরে অফডক ব্যবস্থা চালু আছে এবং তা সফলভাবে পরিচালিত হচ্ছে। একই ধরনের ব্যবস্থা ঢাকার বিমানবন্দর ও আশপাশের এলাকায় চালু করা গেলে আকাশপথে পণ্য পরিবহন আরও সহজ হবে।
এদিকে এয়ার কার্গো অপারেটরস স্টেশন (এসিওএস) নীতিমালা চূড়ান্ত ও বাস্তবায়ন চেয়ে ২৩ ডিসেম্বর প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ে চিঠি দিয়েছে তৈরি পোশাক খাতের শীর্ষ সংগঠন বিজিএমইএ। সংগঠনটি বলছে, ঢাকা বিমানবন্দর এবং এর আশপাশে অফডক সুবিধা চালু হলে আমদানি প্রক্রিয়া সহজ হবে এবং রপ্তানির গতি বাড়বে। তবে অফডকের জন্য লাইসেন্স দেওয়ার ক্ষেত্রে কম খরচে ভালো সেবা নিশ্চিত করতে স্পষ্ট শর্ত থাকা প্রয়োজন।
বিজিএমইএ আরও জানিয়েছে, বর্তমানে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনস বিমানবন্দরের কার্গো হ্যান্ডলিং এজেন্ট হিসেবে কাজ করছে। তাই অফডক ব্যবস্থায় বিমানের সঙ্গে সমন্বয় ও চুক্তির বিষয়টি নীতিমালায় স্পষ্ট থাকা জরুরি।
জানতে চাইলে বিজিএমইএর পরিচালক ফয়সাল সামাদ বলেন, অফডক চালু হলে ডিএইচএল বা ফেডেক্সের মতো কুরিয়ার কোম্পানিগুলো বন্ড লাইসেন্স নিয়ে এয়ারপোর্টে ল্যান্ড করার পরে ক্লিয়ারেন্স নিয়ে সরাসরি ডেলিভারি করতে পারবে। তখন আর বিমানের ওপর নির্ভর করতে হবে না। ফলে সময় ও অর্থ সাশ্রয় হবে।
১০ ডিসেম্বর প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ দূত লুৎফে সিদ্দিকীর সভাপতিত্বে ‘এয়ার এক্সপ্রেস সার্ভিস ডেলিভারি’ বিষয়ক একটি সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় বিনিয়োগ উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ—বিডা, জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর), বিজিএমইএ, বিকেএমইএ, কাস্টমস এজেন্ট অ্যাসোসিয়েশনসহ আমদানি-রপ্তানির সঙ্গে জড়িত দেশি-বিদেশি বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন।
জানা গেছে, ইতিমধ্যে এয়ার কার্গো কার্যক্রমকে প্রাতিষ্ঠানিক কাঠামোর আওতায় আনতে অর্থ মন্ত্রণালয়ের অভ্যন্তরীণ সম্পদ বিভাগের (আইআরডি) কাস্টমস ও মূল্য সংযোজন কর বিভাগ থেকে ‘এয়ার কার্গো অপারেটরস স্টেশন (এসিওএস) স্থাপন, ব্যবস্থাপনা, পরিচালনা, তদারকি ও কাস্টমস নিয়ন্ত্রণ বিধিমালা, ২০২৫ ’-এর খসড়াও প্রণয়ন করা হয়েছে।
এয়ার কার্গো অপারেটর’স স্টেশন নীতিমালা চূড়ান্ত ও বাস্তবায়নের বিষয়ে জানতে চাইলে আইআরডি সচিব ও জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) চেয়ারম্যান মো. আবদুর রহমান খান বলেন, ‘অংশীজনদের মতামতের ভিত্তিতে যত দ্রুত সম্ভব বিধিমালা চূড়ান্ত করে তা বাস্তবায়ন করতে চাই।’

আকাশপথে আমদানি-রপ্তানি ব্যবস্থার দুর্বলতা নতুন করে সামনে এনেছে ঢাকার হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের সাম্প্রতিক অগ্নিকাণ্ড। ওই ঘটনায় কয়েক দিনের জন্য কার্গো কার্যক্রম স্থবির হয়ে পড়ায় ব্যবসায়ীরা বড় ধরনের ক্ষতির মুখে পড়েন। এই প্রেক্ষাপটে আকাশপথে পণ্য পরিবহনকে নিরবচ্ছিন্ন, দ্রুত ও সংকটসহনীয় করতে বিমানবন্দরের বাইরে অফডকভিত্তিক এয়ার কার্গো ব্যবস্থা চালুর দাবি জোরালো হয়েছে। সেই সঙ্গে দ্রুত এয়ার কার্গো অপারেটরস স্টেশন (এসিওএস) নীতিমালা চূড়ান্ত ও বাস্তবায়নের আহ্বান জানিয়েছেন ব্যবসায়ী ও রপ্তানিকারকেরা। তাঁরা বলছেন, অফডকভিত্তিক এয়ার কার্গো অপারেশন চালু না হলে যেকোনো সংকটে আমদানি-রপ্তানি কার্যক্রম মারাত্মকভাবে ব্যাহত হয়।
অফডক হলো বন্দর বা বিমানবন্দরের মূল এলাকার বাইরে অবস্থিত এমন নির্ধারিত স্থাপনা, যেখানে আমদানি-রপ্তানি পণ্যের খালাস, সংরক্ষণ, পরীক্ষা ও হ্যান্ডলিং করা হয়। সহজভাবে বলা যায়, বন্দরের ভেতরে সব কাজ না করে বন্দরের বাইরে আলাদা জায়গায় কার্গোর কাজ করা, এটাই অফডক।
চট্টগ্রাম সমুদ্রবন্দরের মতো আকাশপথেও অফডক ব্যবস্থা চালু করা যায় বলে মনে করেন নিট পোশাকশিল্পের মালিকদের সংগঠন বিকেএমইএর সভাপতি মোহাম্মদ হাতেম। তিনি আজকের পত্রিকাকে বলেন, বর্তমানে শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে কার্গো হ্যান্ডলিং সেবা মূলত বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনস দিয়ে থাকে। এ ক্ষেত্রে তাদের সক্ষমতা খুবই সীমিত। অনেক সময় পণ্য খালাসে অতিরিক্ত দুই থেকে তিন দিন সময় লেগে যায়। এতে রপ্তানি ও আমদানি উভয় ক্ষেত্রে ব্যবসায়ীরা সমস্যায় পড়েন।
অফডক চালু হলে এ ধরনের জটিলতা থাকবে না জানিয়ে মোহাম্মদ হাতেম বলেন, এতে পণ্য খালাস দ্রুত হবে এবং সামগ্রিকভাবে আমদানি-রপ্তানি বাণিজ্য আরও সহজ ও গতিশীল হবে।
অফডক দরকার কেন
সংশ্লিষ্টরা জানান, অফডক ব্যবস্থা চালু হলে বেসরকারি উদ্যোগে একাধিক অপারেটর থাকবে। ফলে কার্গো আমদানি-রপ্তানি পরিবহনে টার্মিনাল হ্যান্ডলিং, কার্গো হ্যান্ডলিং, স্ক্যানিং চার্জসহ অন্যান্য ফি নির্ধারণের ক্ষেত্রে প্রতিযোগিতামূলক বাজারব্যবস্থা সৃষ্টি হবে। একই সঙ্গে সেবার মানও বাড়বে।
তথ্যমতে, বর্তমানে আকাশপথে প্রতি কেজি পণ্য রপ্তানিতে প্রায় ২৬ টাকা সার্ভিস চার্জ নেয় বিমান বাংলাদেশ ও সিভিল এভিয়েশন। একই সেবা পেতে ব্যাংককে প্রতি কেজিতে ৬.৪২ টাকা, কলকাতায় ৪.৮৮ টাকা এবং দিল্লিতে ৬.১০ টাকা দিতে হয়। এতে করে আকাশপথে পণ্য পরিবহন খরচ কয়েক গুণ বেড়ে যাচ্ছে।
ব্যবসায়ীরা মনে করেন, দেশে এয়ার কার্গো অপারেশনে অফডক পদ্ধতি চালু হলে অধিকতর কার্গো নিরাপত্তার সঙ্গে স্বচ্ছতা ও জবাবদিহি নিশ্চিত হবে। ইলেকট্রনিক কার্গো ট্র্যাকিং সিস্টেম (ইসিটিএস) চালু হবে। ফলে সহজে কার্গোর অবস্থান জানা যাবে। দ্রুত পণ্য খালাসে সুবিধা পাবে এবং জট কমবে। ওষুধের কাঁচামাল, জরুরি গার্মেন্টস পণ্যের নমুনাসহ আনুষঙ্গিক পণ্য সহজে পরিবহন করা যাবে। এতে দেশের আমদানি-রপ্তানি বাণিজ্য ত্বরান্বিত হবে।
ই-কমার্স ব্যবসায়ীরা এর সুফল ভোগ করতে পারবেন। বিশ্বের অনেক দেশে অফডক ব্যবস্থা চালু আছে। যেমন সিঙ্গাপুর, দুবাই, নেদারল্যান্ডস, জার্মানি, জাপান, ভারত, হংকং, ইউএসএ। সেখানে এই ব্যবস্থার ফলে কার্গো পরিবহনে সময়ের সাশ্রয় ও পণ্য খালাসে জটিলতা নেই বললেই চলে।
ব্যবসায়ীরা জানান, চট্টগ্রাম সমুদ্রবন্দরে দীর্ঘদিন ধরে অফডক ব্যবস্থা চালু আছে এবং তা সফলভাবে পরিচালিত হচ্ছে। একই ধরনের ব্যবস্থা ঢাকার বিমানবন্দর ও আশপাশের এলাকায় চালু করা গেলে আকাশপথে পণ্য পরিবহন আরও সহজ হবে।
এদিকে এয়ার কার্গো অপারেটরস স্টেশন (এসিওএস) নীতিমালা চূড়ান্ত ও বাস্তবায়ন চেয়ে ২৩ ডিসেম্বর প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ে চিঠি দিয়েছে তৈরি পোশাক খাতের শীর্ষ সংগঠন বিজিএমইএ। সংগঠনটি বলছে, ঢাকা বিমানবন্দর এবং এর আশপাশে অফডক সুবিধা চালু হলে আমদানি প্রক্রিয়া সহজ হবে এবং রপ্তানির গতি বাড়বে। তবে অফডকের জন্য লাইসেন্স দেওয়ার ক্ষেত্রে কম খরচে ভালো সেবা নিশ্চিত করতে স্পষ্ট শর্ত থাকা প্রয়োজন।
বিজিএমইএ আরও জানিয়েছে, বর্তমানে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনস বিমানবন্দরের কার্গো হ্যান্ডলিং এজেন্ট হিসেবে কাজ করছে। তাই অফডক ব্যবস্থায় বিমানের সঙ্গে সমন্বয় ও চুক্তির বিষয়টি নীতিমালায় স্পষ্ট থাকা জরুরি।
জানতে চাইলে বিজিএমইএর পরিচালক ফয়সাল সামাদ বলেন, অফডক চালু হলে ডিএইচএল বা ফেডেক্সের মতো কুরিয়ার কোম্পানিগুলো বন্ড লাইসেন্স নিয়ে এয়ারপোর্টে ল্যান্ড করার পরে ক্লিয়ারেন্স নিয়ে সরাসরি ডেলিভারি করতে পারবে। তখন আর বিমানের ওপর নির্ভর করতে হবে না। ফলে সময় ও অর্থ সাশ্রয় হবে।
১০ ডিসেম্বর প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ দূত লুৎফে সিদ্দিকীর সভাপতিত্বে ‘এয়ার এক্সপ্রেস সার্ভিস ডেলিভারি’ বিষয়ক একটি সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় বিনিয়োগ উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ—বিডা, জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর), বিজিএমইএ, বিকেএমইএ, কাস্টমস এজেন্ট অ্যাসোসিয়েশনসহ আমদানি-রপ্তানির সঙ্গে জড়িত দেশি-বিদেশি বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন।
জানা গেছে, ইতিমধ্যে এয়ার কার্গো কার্যক্রমকে প্রাতিষ্ঠানিক কাঠামোর আওতায় আনতে অর্থ মন্ত্রণালয়ের অভ্যন্তরীণ সম্পদ বিভাগের (আইআরডি) কাস্টমস ও মূল্য সংযোজন কর বিভাগ থেকে ‘এয়ার কার্গো অপারেটরস স্টেশন (এসিওএস) স্থাপন, ব্যবস্থাপনা, পরিচালনা, তদারকি ও কাস্টমস নিয়ন্ত্রণ বিধিমালা, ২০২৫ ’-এর খসড়াও প্রণয়ন করা হয়েছে।
এয়ার কার্গো অপারেটর’স স্টেশন নীতিমালা চূড়ান্ত ও বাস্তবায়নের বিষয়ে জানতে চাইলে আইআরডি সচিব ও জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) চেয়ারম্যান মো. আবদুর রহমান খান বলেন, ‘অংশীজনদের মতামতের ভিত্তিতে যত দ্রুত সম্ভব বিধিমালা চূড়ান্ত করে তা বাস্তবায়ন করতে চাই।’

লন্ডনভিত্তিক বাণিজ্যিক আইন পরামর্শক সংস্থা এইচএফডব্লিউতে যুক্ত রয়েছেন আইনজীবী হেনরি ক্ল্যাক। সাগরপথে বিশ্বজুড়ে সাইবার হামলার শিকার শিপিং কোম্পানিগুলোর পক্ষে কাজ করেন তিনি। ক্লায়েন্টদের হয়ে কীভাবে তিনি অপরাধী চক্রকে মোকাবিলা করেন, তা নিয়ে বিবিসির সঙ্গে কথা বলেছেন তিনি।
১৮ সেপ্টেম্বর ২০২৫
আইএফআইসি ব্যাংক পিএলসি তাদের পরিচালনা পর্ষদের সদস্যদের জন্য অ্যান্টি মানি লন্ডারিং (এএমএল) ও সন্ত্রাসে অর্থায়ন প্রতিরোধ (সিএফটি) সংক্রান্ত এক সচেতনতামূলক কর্মশালার আয়োজন করেছে। গত ২১ ডিসেম্বর ব্যাংকের প্রধান কার্যালয়ে এই কর্মশালাটি অনুষ্ঠিত হয়।
১২ ঘণ্টা আগে
দেশের শীর্ষস্থানীয় ইস্পাত উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠান বিএসআরএম স্টিলস লিমিটেডের ২৩তম বার্ষিক সাধারণ সভা (এজিএম) অনুষ্ঠিত হয়েছে। আজ বুধবার (২৪ ডিসেম্বর) সকাল ১০টা ৩০ মিনিটে বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) নির্দেশিকা অনুযায়ী ডিজিটাল প্ল্যাটফর্মে এই সভা অনুষ্ঠিত হয়।
১২ ঘণ্টা আগে
রমজান মাস উপলক্ষে খেজুর আমদানিতে বড় ধরনের শুল্কছাড় দিল জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর)। রোজার অন্যতম ইফতারসামগ্রী খেজুরের আমদানি শুল্ক ১০ শতাংশ কমিয়ে ১৫ শতাংশ করা হয়েছে বলে আজ বুধবার এক বিজ্ঞপ্তিতে জানিয়েছে এনবিআর।
১৩ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

আইএফআইসি ব্যাংক পিএলসি তাদের পরিচালনা পর্ষদের সদস্যদের জন্য অ্যান্টি মানি লন্ডারিং (এএমএল) ও সন্ত্রাসে অর্থায়ন প্রতিরোধ (সিএফটি) সংক্রান্ত এক সচেতনতামূলক কর্মশালার আয়োজন করেছে। গত ২১ ডিসেম্বর ব্যাংকের প্রধান কার্যালয়ে এই কর্মশালাটি অনুষ্ঠিত হয়।
ব্যাংকের চেয়ারম্যান মো. মেহমুদ হোসেনের নেতৃত্বে পরিচালনা পর্ষদের সকল সদস্য এই কর্মশালায় অংশগ্রহণ করেন।
এএমএল ও সিএফটি কমপ্লায়েন্স নিশ্চিতকরণে পরিচালনা পর্ষদের ভূমিকা এবং প্রাসঙ্গিক নিয়ন্ত্রক নির্দেশনা সম্পর্কে সচেতনতা বৃদ্ধিই ছিল এই আয়োজনের মূল লক্ষ্য। কর্মশালায় আলোচিত প্রধান বিষয় ছিল—ব্যাংকিং খাতে সুশাসন নিশ্চিত করতে এবং মানি লন্ডারিং তদারকিতে পরিচালনা পর্ষদের সুনির্দিষ্ট দায়িত্ব। বাংলাদেশ ফাইন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিট (বিএফআইইউ) কর্তৃক বিভিন্ন সময় সিস্টেম চেক পরিদর্শন থেকে প্রাপ্ত পর্যবেক্ষণসমূহ নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা। দেশের সাম্প্রতিক মানি লন্ডারিং পরিস্থিতি এবং রিপোর্টিং সংস্থা হিসেবে ব্যাংকের করণীয়।
কর্মশালায় রিসোর্স পারসন হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিএফআইইউর অতিরিক্ত পরিচালক রেজওয়ানুর রহমান ও যুগ্ম পরিচালক জুয়াইরিয়া হক।
এ ছাড়া ব্যাংকের পরিচালনা পর্ষদের সদস্য মো. এবতাদুল ইসলাম, কাজী মো. মাহবুব কাশেম এফসিএ, মো. গোলাম মোস্তফা ও মুহাম্মদ মনজুরুল হক উপস্থিত ছিলেন। ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক সৈয়দ মনসুর মোস্তফা, উপব্যবস্থাপনা পরিচালকেরা ও ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারাও এই সচেতনতামূলক সেশনে অংশ নেন।
আইএফআইসি ব্যাংক কর্তৃপক্ষ জানায়, ব্যাংকিং কার্যক্রমে স্বচ্ছতা বজায় রাখতে এবং আন্তর্জাতিক মানদণ্ড অনুযায়ী মানি লন্ডারিং প্রতিরোধ ব্যবস্থা শক্তিশালী করতে এ ধরনের কর্মশালা নিয়মিত আয়োজন করা হবে।

আইএফআইসি ব্যাংক পিএলসি তাদের পরিচালনা পর্ষদের সদস্যদের জন্য অ্যান্টি মানি লন্ডারিং (এএমএল) ও সন্ত্রাসে অর্থায়ন প্রতিরোধ (সিএফটি) সংক্রান্ত এক সচেতনতামূলক কর্মশালার আয়োজন করেছে। গত ২১ ডিসেম্বর ব্যাংকের প্রধান কার্যালয়ে এই কর্মশালাটি অনুষ্ঠিত হয়।
ব্যাংকের চেয়ারম্যান মো. মেহমুদ হোসেনের নেতৃত্বে পরিচালনা পর্ষদের সকল সদস্য এই কর্মশালায় অংশগ্রহণ করেন।
এএমএল ও সিএফটি কমপ্লায়েন্স নিশ্চিতকরণে পরিচালনা পর্ষদের ভূমিকা এবং প্রাসঙ্গিক নিয়ন্ত্রক নির্দেশনা সম্পর্কে সচেতনতা বৃদ্ধিই ছিল এই আয়োজনের মূল লক্ষ্য। কর্মশালায় আলোচিত প্রধান বিষয় ছিল—ব্যাংকিং খাতে সুশাসন নিশ্চিত করতে এবং মানি লন্ডারিং তদারকিতে পরিচালনা পর্ষদের সুনির্দিষ্ট দায়িত্ব। বাংলাদেশ ফাইন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিট (বিএফআইইউ) কর্তৃক বিভিন্ন সময় সিস্টেম চেক পরিদর্শন থেকে প্রাপ্ত পর্যবেক্ষণসমূহ নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা। দেশের সাম্প্রতিক মানি লন্ডারিং পরিস্থিতি এবং রিপোর্টিং সংস্থা হিসেবে ব্যাংকের করণীয়।
কর্মশালায় রিসোর্স পারসন হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিএফআইইউর অতিরিক্ত পরিচালক রেজওয়ানুর রহমান ও যুগ্ম পরিচালক জুয়াইরিয়া হক।
এ ছাড়া ব্যাংকের পরিচালনা পর্ষদের সদস্য মো. এবতাদুল ইসলাম, কাজী মো. মাহবুব কাশেম এফসিএ, মো. গোলাম মোস্তফা ও মুহাম্মদ মনজুরুল হক উপস্থিত ছিলেন। ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক সৈয়দ মনসুর মোস্তফা, উপব্যবস্থাপনা পরিচালকেরা ও ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারাও এই সচেতনতামূলক সেশনে অংশ নেন।
আইএফআইসি ব্যাংক কর্তৃপক্ষ জানায়, ব্যাংকিং কার্যক্রমে স্বচ্ছতা বজায় রাখতে এবং আন্তর্জাতিক মানদণ্ড অনুযায়ী মানি লন্ডারিং প্রতিরোধ ব্যবস্থা শক্তিশালী করতে এ ধরনের কর্মশালা নিয়মিত আয়োজন করা হবে।

লন্ডনভিত্তিক বাণিজ্যিক আইন পরামর্শক সংস্থা এইচএফডব্লিউতে যুক্ত রয়েছেন আইনজীবী হেনরি ক্ল্যাক। সাগরপথে বিশ্বজুড়ে সাইবার হামলার শিকার শিপিং কোম্পানিগুলোর পক্ষে কাজ করেন তিনি। ক্লায়েন্টদের হয়ে কীভাবে তিনি অপরাধী চক্রকে মোকাবিলা করেন, তা নিয়ে বিবিসির সঙ্গে কথা বলেছেন তিনি।
১৮ সেপ্টেম্বর ২০২৫
আকাশপথে আমদানি-রপ্তানি ব্যবস্থার দুর্বলতা নতুন করে সামনে এনেছে ঢাকার হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের সাম্প্রতিক অগ্নিকাণ্ড। ওই ঘটনায় কয়েক দিনের জন্য কার্গো কার্যক্রম স্থবির হয়ে পড়ায় ব্যবসায়ীরা বড় ধরনের ক্ষতির মুখে পড়েন। এই প্রেক্ষাপটে আকাশপথে পণ্য পরিবহনকে নিরবচ্ছিন্ন, দ্রুত ও সংকটসহনীয় করতে
১১ ঘণ্টা আগে
দেশের শীর্ষস্থানীয় ইস্পাত উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠান বিএসআরএম স্টিলস লিমিটেডের ২৩তম বার্ষিক সাধারণ সভা (এজিএম) অনুষ্ঠিত হয়েছে। আজ বুধবার (২৪ ডিসেম্বর) সকাল ১০টা ৩০ মিনিটে বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) নির্দেশিকা অনুযায়ী ডিজিটাল প্ল্যাটফর্মে এই সভা অনুষ্ঠিত হয়।
১২ ঘণ্টা আগে
রমজান মাস উপলক্ষে খেজুর আমদানিতে বড় ধরনের শুল্কছাড় দিল জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর)। রোজার অন্যতম ইফতারসামগ্রী খেজুরের আমদানি শুল্ক ১০ শতাংশ কমিয়ে ১৫ শতাংশ করা হয়েছে বলে আজ বুধবার এক বিজ্ঞপ্তিতে জানিয়েছে এনবিআর।
১৩ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

দেশের শীর্ষস্থানীয় ইস্পাত উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠান বিএসআরএম স্টিলস লিমিটেডের ২৩তম বার্ষিক সাধারণ সভা (এজিএম) অনুষ্ঠিত হয়েছে। আজ বুধবার (২৪ ডিসেম্বর) সকাল ১০টা ৩০ মিনিটে বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) নির্দেশিকা অনুযায়ী ডিজিটাল প্ল্যাটফর্মে এই সভা অনুষ্ঠিত হয়।
সভায় শেয়ারহোল্ডাররা ২০২৪-২৫ অর্থবছরের জন্য ঘোষিত ৫০ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ (ক্যাশ ডিভিডেন্ড) সর্বসম্মতিক্রমে অনুমোদন করেছেন। কোম্পানির চেয়ারম্যান আলী হোসেন আকবরআলী এফসিএ সভায় সভাপতিত্ব করেন।
সভায় ২০২৪-২৫ অর্থবছরের নিরীক্ষিত হিসাব বিবরণী এবং পরিচালকমণ্ডলীর প্রতিবেদন অনুমোদিত হয়। শেয়ারহোল্ডাররা ২০২৫-২৬ অর্থবছরের জন্য কোম্পানির পরিচালক পুনর্নিয়োগ এবং নিরীক্ষক নিয়োগের প্রস্তাব অনুমোদন করেন।
কোম্পানির ব্যবস্থাপনা পরিচালক আমীর আলীহোসেন পরিচালকমণ্ডলীর বিবরণী উপস্থাপন করেন এবং কোম্পানির ভবিষ্যৎ কর্মপরিকল্পনা ও বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে শেয়ারহোল্ডারদের অবহিত করেন।
বিপুলসংখ্যক শেয়ারহোল্ডার নিজ নিজ বিও (BO) আইডি ব্যবহার করে ওয়েব লিংকের মাধ্যমে এই ভার্চুয়াল সভায় সরাসরি অংশ নেন। নিরীক্ষিত হিসাব বিবরণীসহ বিভিন্ন বিষয়ে শেয়ারহোল্ডারদের প্রশ্নের উত্তর দেন কোম্পানি সচিব।
শেয়ারহোল্ডাররা তাঁদের মন্তব্যে কোম্পানির বর্তমান ব্যবস্থাপনা ও পরিচালকমণ্ডলীর প্রতি গভীর আস্থা ও নির্ভরতার কথা পুনর্ব্যক্ত করেন।
সভায় কোম্পানির পরিচালকবৃন্দ, কোম্পানি সচিবসহ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন। সভায় বর্তমান অর্থনৈতিক পরিস্থিতিতে কোম্পানির ধারাবাহিক প্রবৃদ্ধি বজায় রাখার অঙ্গীকার ব্যক্ত করা হয়।

দেশের শীর্ষস্থানীয় ইস্পাত উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠান বিএসআরএম স্টিলস লিমিটেডের ২৩তম বার্ষিক সাধারণ সভা (এজিএম) অনুষ্ঠিত হয়েছে। আজ বুধবার (২৪ ডিসেম্বর) সকাল ১০টা ৩০ মিনিটে বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) নির্দেশিকা অনুযায়ী ডিজিটাল প্ল্যাটফর্মে এই সভা অনুষ্ঠিত হয়।
সভায় শেয়ারহোল্ডাররা ২০২৪-২৫ অর্থবছরের জন্য ঘোষিত ৫০ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ (ক্যাশ ডিভিডেন্ড) সর্বসম্মতিক্রমে অনুমোদন করেছেন। কোম্পানির চেয়ারম্যান আলী হোসেন আকবরআলী এফসিএ সভায় সভাপতিত্ব করেন।
সভায় ২০২৪-২৫ অর্থবছরের নিরীক্ষিত হিসাব বিবরণী এবং পরিচালকমণ্ডলীর প্রতিবেদন অনুমোদিত হয়। শেয়ারহোল্ডাররা ২০২৫-২৬ অর্থবছরের জন্য কোম্পানির পরিচালক পুনর্নিয়োগ এবং নিরীক্ষক নিয়োগের প্রস্তাব অনুমোদন করেন।
কোম্পানির ব্যবস্থাপনা পরিচালক আমীর আলীহোসেন পরিচালকমণ্ডলীর বিবরণী উপস্থাপন করেন এবং কোম্পানির ভবিষ্যৎ কর্মপরিকল্পনা ও বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে শেয়ারহোল্ডারদের অবহিত করেন।
বিপুলসংখ্যক শেয়ারহোল্ডার নিজ নিজ বিও (BO) আইডি ব্যবহার করে ওয়েব লিংকের মাধ্যমে এই ভার্চুয়াল সভায় সরাসরি অংশ নেন। নিরীক্ষিত হিসাব বিবরণীসহ বিভিন্ন বিষয়ে শেয়ারহোল্ডারদের প্রশ্নের উত্তর দেন কোম্পানি সচিব।
শেয়ারহোল্ডাররা তাঁদের মন্তব্যে কোম্পানির বর্তমান ব্যবস্থাপনা ও পরিচালকমণ্ডলীর প্রতি গভীর আস্থা ও নির্ভরতার কথা পুনর্ব্যক্ত করেন।
সভায় কোম্পানির পরিচালকবৃন্দ, কোম্পানি সচিবসহ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন। সভায় বর্তমান অর্থনৈতিক পরিস্থিতিতে কোম্পানির ধারাবাহিক প্রবৃদ্ধি বজায় রাখার অঙ্গীকার ব্যক্ত করা হয়।

লন্ডনভিত্তিক বাণিজ্যিক আইন পরামর্শক সংস্থা এইচএফডব্লিউতে যুক্ত রয়েছেন আইনজীবী হেনরি ক্ল্যাক। সাগরপথে বিশ্বজুড়ে সাইবার হামলার শিকার শিপিং কোম্পানিগুলোর পক্ষে কাজ করেন তিনি। ক্লায়েন্টদের হয়ে কীভাবে তিনি অপরাধী চক্রকে মোকাবিলা করেন, তা নিয়ে বিবিসির সঙ্গে কথা বলেছেন তিনি।
১৮ সেপ্টেম্বর ২০২৫
আকাশপথে আমদানি-রপ্তানি ব্যবস্থার দুর্বলতা নতুন করে সামনে এনেছে ঢাকার হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের সাম্প্রতিক অগ্নিকাণ্ড। ওই ঘটনায় কয়েক দিনের জন্য কার্গো কার্যক্রম স্থবির হয়ে পড়ায় ব্যবসায়ীরা বড় ধরনের ক্ষতির মুখে পড়েন। এই প্রেক্ষাপটে আকাশপথে পণ্য পরিবহনকে নিরবচ্ছিন্ন, দ্রুত ও সংকটসহনীয় করতে
১১ ঘণ্টা আগে
আইএফআইসি ব্যাংক পিএলসি তাদের পরিচালনা পর্ষদের সদস্যদের জন্য অ্যান্টি মানি লন্ডারিং (এএমএল) ও সন্ত্রাসে অর্থায়ন প্রতিরোধ (সিএফটি) সংক্রান্ত এক সচেতনতামূলক কর্মশালার আয়োজন করেছে। গত ২১ ডিসেম্বর ব্যাংকের প্রধান কার্যালয়ে এই কর্মশালাটি অনুষ্ঠিত হয়।
১২ ঘণ্টা আগে
রমজান মাস উপলক্ষে খেজুর আমদানিতে বড় ধরনের শুল্কছাড় দিল জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর)। রোজার অন্যতম ইফতারসামগ্রী খেজুরের আমদানি শুল্ক ১০ শতাংশ কমিয়ে ১৫ শতাংশ করা হয়েছে বলে আজ বুধবার এক বিজ্ঞপ্তিতে জানিয়েছে এনবিআর।
১৩ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

রমজান মাস উপলক্ষে খেজুর আমদানিতে বড় ধরনের শুল্কছাড় দিল জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর)। রোজার অন্যতম ইফতারসামগ্রী খেজুরের আমদানি শুল্ক ১০ শতাংশ কমিয়ে ১৫ শতাংশ করা হয়েছে বলে আজ বুধবার এক বিজ্ঞপ্তিতে জানিয়েছে এনবিআর।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, পবিত্র রমজান মাসে খেজুরের সরবরাহ ও বাজারমূল্য স্বাভাবিক রাখার উদ্দেশ্যে খেজুর আমদানিতে কাস্টমস ডিউটি ২৫ থেকে কমিয়ে ১৫ শতাংশ নির্ধারণ করা হয়েছে। মঙ্গলবার এ বিষয়ে একটি প্রজ্ঞাপনও জারি করেছে এনবিআর। এই শুল্ক অব্যাহতি আগামী বছরের ৩১ মার্চ পর্যন্ত বলবৎ থাকবে। এর ফলে খেজুরের আমদানি বাড়বে এবং দামও কমবে বলে আশা করছেন এনবিআর কর্মকর্তারা।
গত বছরও রোজার আগে নভেম্বর মাসে আমদানি শুল্ক ২৫ থেকে কমিয়ে ১৫ শতাংশ ও অগ্রিম আয়কর ১০ থেকে কমিয়ে ৩ শতাংশ করা হয়েছিল।
চলতি ২০২৫-২৬ অর্থবছরের শুরু থেকে সব ধরনের খেজুর আমদানিতে সব মিলিয়ে ৫৭ দশমিক ২০ শতাংশ শুল্ক-কর ছিল। এর মধ্যে আমদানি শুল্ক (সিডি) ২৫ শতাংশ, ভ্যাট ১৫ শতাংশ, অগ্রিম কর ৫ শতাংশ ও নিয়ন্ত্রণমূলক শুল্ক ৩ শতাংশ।
এখন ১০ শতাংশ কমানোর ফলে মোট শুল্ক-কর ৪৭ দশমিক ২০ শতাংশে দাঁড়াল। তবে এই সার্কুলার এখনো এনবিআরের সার্ভারে যুক্ত হয়নি বলে জানিয়েছেন আমদানিকারকেরা। তিন দিন ছুটি থাকায় আগামী রোববারে নতুন সার্কুলারে পণ্য শুল্কায়ন শুরু হতে পারে বলে জানিয়েছেন তাঁরা।
এ ছাড়া এই শুল্ক কামানোর ফলে প্রতি কেজি খেজুরের দাম কত কমতে পারে, এ বিষয়ে এখনই কোনো ধারণা দিতে পারেননি আমদানিকারকেরা। তাঁরা বলছেন, ১০ শতাংশ শুল্ক কমার ফলে দাম কিছুটা কমবে। তবে কতটুকু কমবে, তা শুল্কায়ন শুরু হলে বোঝা যাবে।
জানতে চাইলে বাংলাদেশ ফ্রেশ ফ্রুটস ইমপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি সিরাজুল ইসলাম বলেন, ‘আমদানি শুল্ক কমানোর সঙ্গে সঙ্গে অগ্রিম কর ও রেগুলেটরি ডিউটি কমানোর দাবিও ছিল আমাদের। কিন্তু সরকার তা মানেনি। আমদানি শুল্ক ১০ শতাংশ কমানোর ফলে খেজুরের দাম সামান্য কমতে পারে। তবে এটি বাজারে খুব বেশি প্রভাব ফেলবে না।’ তিনি বলেন, ‘আমাদের খেজুর আমদানিতে মূল সমস্যা হলো ট্যারিফ হার বা শুল্কায়ন মূল্য। আমরা যে দামে আমদানি করি, শুল্ক ধরা হয় তার চেয়ে অনেক বেশি দামের ওপর। এতেই ট্যাক্সের হার বেড়ে যায়।’

রমজান মাস উপলক্ষে খেজুর আমদানিতে বড় ধরনের শুল্কছাড় দিল জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর)। রোজার অন্যতম ইফতারসামগ্রী খেজুরের আমদানি শুল্ক ১০ শতাংশ কমিয়ে ১৫ শতাংশ করা হয়েছে বলে আজ বুধবার এক বিজ্ঞপ্তিতে জানিয়েছে এনবিআর।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, পবিত্র রমজান মাসে খেজুরের সরবরাহ ও বাজারমূল্য স্বাভাবিক রাখার উদ্দেশ্যে খেজুর আমদানিতে কাস্টমস ডিউটি ২৫ থেকে কমিয়ে ১৫ শতাংশ নির্ধারণ করা হয়েছে। মঙ্গলবার এ বিষয়ে একটি প্রজ্ঞাপনও জারি করেছে এনবিআর। এই শুল্ক অব্যাহতি আগামী বছরের ৩১ মার্চ পর্যন্ত বলবৎ থাকবে। এর ফলে খেজুরের আমদানি বাড়বে এবং দামও কমবে বলে আশা করছেন এনবিআর কর্মকর্তারা।
গত বছরও রোজার আগে নভেম্বর মাসে আমদানি শুল্ক ২৫ থেকে কমিয়ে ১৫ শতাংশ ও অগ্রিম আয়কর ১০ থেকে কমিয়ে ৩ শতাংশ করা হয়েছিল।
চলতি ২০২৫-২৬ অর্থবছরের শুরু থেকে সব ধরনের খেজুর আমদানিতে সব মিলিয়ে ৫৭ দশমিক ২০ শতাংশ শুল্ক-কর ছিল। এর মধ্যে আমদানি শুল্ক (সিডি) ২৫ শতাংশ, ভ্যাট ১৫ শতাংশ, অগ্রিম কর ৫ শতাংশ ও নিয়ন্ত্রণমূলক শুল্ক ৩ শতাংশ।
এখন ১০ শতাংশ কমানোর ফলে মোট শুল্ক-কর ৪৭ দশমিক ২০ শতাংশে দাঁড়াল। তবে এই সার্কুলার এখনো এনবিআরের সার্ভারে যুক্ত হয়নি বলে জানিয়েছেন আমদানিকারকেরা। তিন দিন ছুটি থাকায় আগামী রোববারে নতুন সার্কুলারে পণ্য শুল্কায়ন শুরু হতে পারে বলে জানিয়েছেন তাঁরা।
এ ছাড়া এই শুল্ক কামানোর ফলে প্রতি কেজি খেজুরের দাম কত কমতে পারে, এ বিষয়ে এখনই কোনো ধারণা দিতে পারেননি আমদানিকারকেরা। তাঁরা বলছেন, ১০ শতাংশ শুল্ক কমার ফলে দাম কিছুটা কমবে। তবে কতটুকু কমবে, তা শুল্কায়ন শুরু হলে বোঝা যাবে।
জানতে চাইলে বাংলাদেশ ফ্রেশ ফ্রুটস ইমপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি সিরাজুল ইসলাম বলেন, ‘আমদানি শুল্ক কমানোর সঙ্গে সঙ্গে অগ্রিম কর ও রেগুলেটরি ডিউটি কমানোর দাবিও ছিল আমাদের। কিন্তু সরকার তা মানেনি। আমদানি শুল্ক ১০ শতাংশ কমানোর ফলে খেজুরের দাম সামান্য কমতে পারে। তবে এটি বাজারে খুব বেশি প্রভাব ফেলবে না।’ তিনি বলেন, ‘আমাদের খেজুর আমদানিতে মূল সমস্যা হলো ট্যারিফ হার বা শুল্কায়ন মূল্য। আমরা যে দামে আমদানি করি, শুল্ক ধরা হয় তার চেয়ে অনেক বেশি দামের ওপর। এতেই ট্যাক্সের হার বেড়ে যায়।’

লন্ডনভিত্তিক বাণিজ্যিক আইন পরামর্শক সংস্থা এইচএফডব্লিউতে যুক্ত রয়েছেন আইনজীবী হেনরি ক্ল্যাক। সাগরপথে বিশ্বজুড়ে সাইবার হামলার শিকার শিপিং কোম্পানিগুলোর পক্ষে কাজ করেন তিনি। ক্লায়েন্টদের হয়ে কীভাবে তিনি অপরাধী চক্রকে মোকাবিলা করেন, তা নিয়ে বিবিসির সঙ্গে কথা বলেছেন তিনি।
১৮ সেপ্টেম্বর ২০২৫
আকাশপথে আমদানি-রপ্তানি ব্যবস্থার দুর্বলতা নতুন করে সামনে এনেছে ঢাকার হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের সাম্প্রতিক অগ্নিকাণ্ড। ওই ঘটনায় কয়েক দিনের জন্য কার্গো কার্যক্রম স্থবির হয়ে পড়ায় ব্যবসায়ীরা বড় ধরনের ক্ষতির মুখে পড়েন। এই প্রেক্ষাপটে আকাশপথে পণ্য পরিবহনকে নিরবচ্ছিন্ন, দ্রুত ও সংকটসহনীয় করতে
১১ ঘণ্টা আগে
আইএফআইসি ব্যাংক পিএলসি তাদের পরিচালনা পর্ষদের সদস্যদের জন্য অ্যান্টি মানি লন্ডারিং (এএমএল) ও সন্ত্রাসে অর্থায়ন প্রতিরোধ (সিএফটি) সংক্রান্ত এক সচেতনতামূলক কর্মশালার আয়োজন করেছে। গত ২১ ডিসেম্বর ব্যাংকের প্রধান কার্যালয়ে এই কর্মশালাটি অনুষ্ঠিত হয়।
১২ ঘণ্টা আগে
দেশের শীর্ষস্থানীয় ইস্পাত উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠান বিএসআরএম স্টিলস লিমিটেডের ২৩তম বার্ষিক সাধারণ সভা (এজিএম) অনুষ্ঠিত হয়েছে। আজ বুধবার (২৪ ডিসেম্বর) সকাল ১০টা ৩০ মিনিটে বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) নির্দেশিকা অনুযায়ী ডিজিটাল প্ল্যাটফর্মে এই সভা অনুষ্ঠিত হয়।
১২ ঘণ্টা আগে