Ajker Patrika

রেমিট্যান্স সংগ্রহে তলানিতে সরকারি চার ব্যাংক 

জয়নাল আবেদীন খান, ঢাকা
আপডেট : ১৬ মে ২০২৩, ২২: ০২
রেমিট্যান্স সংগ্রহে তলানিতে সরকারি চার ব্যাংক 

দেশের অর্থনীতিতে বৈদেশিক মুদ্রার জোগান দেয় প্রবাসীদের পাঠানো রেমিট্যান্স। আর প্রবাসী আয় সংগ্রহে তলানিতে রয়েছে সরকারি ব্যাংকগুলো। তবে বরাবরের মতো এগিয়ে বেসরকারি ব্যাংকগুলো। চলতি বছরের মার্চ প্রান্তিকে রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাংকগুলোর রেমিট্যান্স সংগ্রহ প্রায় ২০ শতাংশ কমেছে। বাংলাদেশ ব্যাংকের একটি হালনাগাদ প্রতিবেদন থেকে এসব তথ্য পাওয়া গেছে।

কেন্দ্রীয় ব্যাংকের তথ্য বলছে, চলতি বছরের প্রথম প্রান্তিক (জানুয়ারি থেকে মার্চ) সময়ে রাষ্ট্রায়ত্ত ৫টি ব্যাংক প্রবাসী আয় সংগ্রহ করেছে ৭৬ কোটি ৬০ লাখ ডলার, যা টাকার অঙ্কে ৮২ হাজার ৭৯২ কোটি টাকারও বেশি (ডলার প্রতি ১০৮ টাকা হিসেবে), যা গত বছর ছিল ৯৫ কোটি ৭০ লাখ ডলার, যা একই সময়ের তুলনায় ১৯ দশমিক ৯৪ শতাংশ বা ১৯১ মিলিয়ন ডলার কম। আবার জানুয়ারি থেকে মার্চ পর্যন্ত প্রথম তিন মাসে রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাংকগুলোর মধ্যে সবচেয়ে বেশি প্রবাসী আয় সংগ্রহ করেছে অগ্রণী ব্যাংক। এ ব্যাংকটি এ সময়ে সর্বমোট ৩৪ কোটি ৩৮ লাখ ডলার সংগ্রহ করে প্রবাসীদের থেকে। আগের বছরের একই সময়ের তুলনায় যা ১ কোটি ৭০ লাখ ডলার কম। দ্বিতীয় অবস্থানে ছিল সোনালী ব্যাংক। এ ব্যাংকটি চলতি বছরের প্রথম প্রান্তিকে আয় করে ১৬ কোটি ৯২ লাখ ডলার রেমিট্যান্স, যা আগের বছরের একই সময়ের তুলনায় ১৩ কোটি ৩৫ লাখ ডলার কম। জানুয়ারি থেকে মার্চ পর্যন্ত জনতা ব্যাংক সংগ্রহ করে ১৫ কোটি ৬৯ লাখ ও রূপালী ব্যাংক আয় করে ৯ কোটি ৫৬ লাখ ডলার রেমিট্যান্স। 

বাংলাদেশ ব্যাংকের প্রতিবেদনে বলছে, প্রথম প্রান্তিকের রেমিট্যান্স সংগ্রহে রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাংকগুলো গেল বছরের শেষ প্রান্তিকের চেয়েও পিছিয়ে আছে। ২০২২ সালের অক্টোবর থেকে ডিসেম্বর এই তিন মাসে রেমিট্যান্স সংগ্রহ করে ৮২ কোটি ১৭ লাখ ডলার, যা চলতি বছরের প্রথম প্রান্তিকের চেয়েও ৬ দশমিক ৭৬ শতাংশ বেশি ছিল।

বাংলাদেশ ব্যাংকের প্রতিবেদনে দেখা যায়, একই প্রান্তিকে বেসরকারি খাতের ব্যাংকগুলোর রেমিট্যান্স সংগ্রহে ইতিবাচক প্রবৃদ্ধি হয়েছে। জানুয়ারি থেকে মার্চে বেসরকারি ব্যাংকগুলো ৪৬২ কোটি ৯৭ লাখ ডলার রেমিট্যান্স পায়, যা আগের বছরের প্রথম প্রান্তিকের তুলনায় ১৬ শতাংশ বেশি। ২০২২ সালের প্রথম প্রান্তিকে বেসরকারি ব্যাংকগুলো আয় করেছিল ৩৯৮ কোটি ৯৫ লাখ ডলার। বেসরকারি খাতের ব্যাংকগুলোর মধ্যে সবচেয়ে বেশি রেমিট্যান্স সংগ্রহ করেছে ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশ লিমিটেড। ব্যাংকটি এ সময়ে ১১৩ কোটি ৮৮ লাখ ডলার রেমিট্যান্স পায়। দ্বিতীয় অবস্থানে ছিল পূবালী ব্যাংক। এ ব্যাংকটি আয় করে ৩১ কোটি ৬৪ লাখ ডলার। তৃতীয় ও চতুর্থ অবস্থানে ছিল আল-আরাফা ইসলামী ব্যাংক ও সিটি ব্যাংক। এ ব্যাংক দুটি আয় করে যথাক্রমে ২৮ কোটি ৮৭ লাখ ও ২৮ কোটি ১৬ লাখ ডলার। 

বিশ্বব্যাংকের ঢাকা অফিসের সাবেক প্রধান অর্থনীতিবিদ ড. জাহিদ হোসেন বলেন, ‘কম রেমিট্যান্সের কারণ মাল্টিপল এক্সচেঞ্জ রেট। একাধিক রেট থাকার কারণে সামগ্রিকভাবেই রেমিট্যান্স কম আসছে। এ ছাড়া বেসরকারি ব্যাংকগুলো রেমিট্যান্সের বিপরীতে আরও বেশ কিছু সুবিধা দিচ্ছে, তাই বেশির ভাগ গ্রাহক বেসরকারি ব্যাংকে লেনদেন করছে।’ 

বিশ্বব্যাংকের একটি প্রতিবেদনে দাবি করা হয়েছে, খোলা বাজার ও ব্যাংকের মধ্যে বিনিময় হার যদি সাড়ে ৩ শতাংশের হয় তবে এক শতাংশ রেমিট্যান্স কমে যায়।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

হোলি আর্টিজানের ঘটনায় ‘জঙ্গি সন্দেহে’ আটক ছিলেন অনিন্দ্য, রাজশাহীর সাবেক মেয়র লিটনের চাচাতো ভাই তিনি

‘তেলের ক্রেতা’ হিসেবে ভারতকে আর পাবে না রাশিয়া, জানালেন ডোনাল্ড ট্রাম্প

সমুদ্রে তেল-গ্যাস অনুসন্ধান: ভারতীয় দুই কোম্পানির ব্যাংক গ্যারান্টি প্রত্যাহার করল বাংলাদেশ

মহিলা মাদ্রাসা থেকে দুই শিশু শিক্ষার্থীর লাশ উদ্ধার

রাবির অধ্যাপকের বিরুদ্ধে ছাত্রীকে যৌন হয়রানির অভিযোগ

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত