ব্রাজিলে কারখানা নির্মাণের জন্য অস্থায়ী ভিসায় শত শত চীনা শ্রমিক নিয়ে এসেছে বৈদ্যুতিক গাড়ি প্রস্তুতকারী প্রতিষ্ঠান বিওয়াইডি। তাঁদের ব্রাজিলে দাসের মতো কাজ করানোর অভিযোগ উঠেছে। ডিসেম্বরে শ্রমিকদের উদ্ধার এবং তদন্ত শুরু হওয়ার পর বিওয়াইডি বৈশ্বিক সম্প্রসারণ প্রচেষ্টায় বড় চ্যালেঞ্জের মুখে পড়েছে।
ব্রাজিলের শ্রম মন্ত্রণালয়ের শীর্ষ পরিদর্শক লিয়ানে দুরাও গতকাল মঙ্গলবার ব্রিটিশ সংবাদ সংস্থা রয়টার্সকে এ তথ্য জানিয়েছেন।
লিয়ানে দুরাও বলেন, কোম্পানিটি ব্রাজিলে থাকা শ্রমিকদের জন্য স্থানীয় শ্রম আইন মেনে চলার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে। প্রতিশ্রুতি দিলেও বাস্তবে তার মিল নেই। বিওয়াইডির ঠিকাদার জিনজিয়াং কর্তৃক নিয়োগপ্রাপ্ত ১৬৩ জন শ্রমিককে গত ডিসেম্বরে ব্রাজিলের শ্রম কর্তৃপক্ষ ‘দাসের মতো’ কাজ করতে দেখে উদ্ধার করেছে।
উদ্ধার হওয়া ১৬৩ শ্রমিকের অনেকে এরই মধ্যে ব্রাজিল ছেড়েছেন বা ছাড়ার প্রক্রিয়ায় আছেন। দুরাও জানান, এই সমস্ত কার্যক্রম অনিয়মিত ছিল। এই শ্রমিকদের ওপর জুলুমের জন্য বিওয়াইডিকে জরিমানা করা হবে। তবে মোট কত টাকা জরিমানা হবে, সে বিষয়ে বিস্তারিত কিছু জানানো হয়নি।
তিনি আরও জানান, প্রায় ৫০০ চীনা শ্রমিক বিওয়াইডির ব্রাজিল কারখানায় কাজের জন্য আনা হয়েছিল। এখন যাঁরা ব্রাজিলে থেকে যাবেন, তাঁদের কর্মপরিবেশ ব্রাজিলের শ্রম আইন অনুযায়ী সমন্বয় করা হবে।
বিওয়াইডি এবং জিনজিয়াং এ বিষয়ে কোনো মন্তব্য করেনি। বিওয়াইডি আগেই জানিয়েছে, তারা জিনজিয়াংয়ের সঙ্গে সম্পর্ক ছিন্ন করেছে। তবে জিনজিয়াং ব্রাজিলের কর্তৃপক্ষের অভিযোগ অস্বীকার করেছে।
একজন ঘনিষ্ঠ সূত্র রয়টার্সকে জানিয়েছেন, বিওয়াইডি মনে করে, শ্রমিকদের ভিসা যথাযথভাবেই ইস্যু করা হয়েছে এবং তাঁরা স্বেচ্ছায় ব্রাজিলে কাজ করতে এসেছেন।
ব্রাজিলের বাইরেও চীনের প্রভাব বৃদ্ধির প্রতীক হয়ে উঠেছে বিওয়াইডির এই কারখানা। চীনের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র গুয়ো জিয়াকুন বলেছেন, চীনা প্রতিষ্ঠানগুলোকে আইন মেনে চলতে সরকার সর্বদা নির্দেশনা দেয়। তিনি আরও বলেন, ব্রাজিলের সঙ্গে বিনিয়োগ ও সহযোগিতা বাড়াতে আগ্রহী চীন।
ব্রাজিলের শ্রম কর্তৃপক্ষ এবং বিওয়াইডি ও তার ঠিকাদারদের প্রতিনিধিরা গতকাল একটি বৈঠক করেন। সেখানে কারখানার সব শ্রমিকের অধিকার রক্ষার বিষয়ে আলোচনা হয়।
ব্রাজিলের বাহিয়া রাজ্যে নির্মিত বিওয়াইডির কারখানাটি প্রাথমিকভাবে ১ দশমিক ৫ লাখ গাড়ি উৎপাদনের পরিকল্পনা করছে। এটি চীনের বাইরে বিওয়াইডির বৃহত্তম বাজার। ২০২৪ সালের প্রথম ১১ মাসে বিওয়াইডির চীনের বাইরে গাড়ি বিক্রির প্রতি পাঁচটির একটির ক্রেতা ছিল ব্রাজিল।
এই কারখানা নির্মাণে বিওয়াইডি ৬২০ মিলিয়ন ডলার বিনিয়োগ করেছে। তবে শ্রমিকদের কাজের পরিবেশ নিয়ে তদন্তের কারণে নির্মাণকাজ বিলম্বিত হবে বলে আশঙ্কা রয়েছে।
ডিসেম্বরে শ্রম আইনজীবীরা চীনা নির্মাণপ্রতিষ্ঠান জিনজিয়াং গ্রুপের মাধ্যমে নিয়োগপ্রাপ্ত শ্রমিকদের ‘মানব পাচারের শিকার’ বলে আখ্যায়িত করেছেন। তদন্তে উঠে আসে, প্রতিষ্ঠানটি ১০৭ জন শ্রমিকের পাসপোর্ট জব্দ করেছিল।
ব্রাজিলে ‘দাসের মতো’ পরিবেশে কাজের অভিযোগের তদন্ত হলে প্রতিষ্ঠানগুলো ব্যাংকঋণ সুবিধা হারানোর ঝুঁকিতে পড়ে। শ্রমিকদের এই পরিস্থিতির কারণে ব্রাজিল সরকার বিওয়াইডির অস্থায়ী ভিসা দেওয়া স্থগিত করেছে।
ব্রাজিল দীর্ঘদিন ধরে চীনা বিনিয়োগ প্রত্যাশা করে যাচ্ছে। তবে চীনের বিনিয়োগ মডেল, যেখানে চীনা শ্রমিকদের অন্য দেশে নিয়ে যাওয়া হয়, তা স্থানীয় কর্মসংস্থান সৃষ্টি ও প্রেসিডেন্ট লুইজ ইনাসিও লুলা দা সিলভার নীতির সঙ্গে সংঘাত সৃষ্টি করছে।
বিওয়াইডি বৈশ্বিক বাজারে সম্প্রসারণের চেষ্টা করছে। এর মধ্যে এই অভিযোগ প্রতিষ্ঠানটিকে অস্বস্তিকর পরিস্থিতিতে ফেলেছে। চীনের সবচেয়ে বড় বৈদ্যুতিক গাড়ি নির্মাণকারী প্রতিষ্ঠানটি এখন নজরদারির মধ্যে রয়েছে।
দুরাও জানান, শ্রমিকদের অধিকার নিশ্চিত করতে এবং কারখানায় শ্রমিক অপব্যবহার পর্যবেক্ষণের জন্য শ্রম পরিদর্শকেরা নিয়মিত নজরদারি চালিয়ে যাবেন।
ব্রাজিলে কারখানা নির্মাণের জন্য অস্থায়ী ভিসায় শত শত চীনা শ্রমিক নিয়ে এসেছে বৈদ্যুতিক গাড়ি প্রস্তুতকারী প্রতিষ্ঠান বিওয়াইডি। তাঁদের ব্রাজিলে দাসের মতো কাজ করানোর অভিযোগ উঠেছে। ডিসেম্বরে শ্রমিকদের উদ্ধার এবং তদন্ত শুরু হওয়ার পর বিওয়াইডি বৈশ্বিক সম্প্রসারণ প্রচেষ্টায় বড় চ্যালেঞ্জের মুখে পড়েছে।
ব্রাজিলের শ্রম মন্ত্রণালয়ের শীর্ষ পরিদর্শক লিয়ানে দুরাও গতকাল মঙ্গলবার ব্রিটিশ সংবাদ সংস্থা রয়টার্সকে এ তথ্য জানিয়েছেন।
লিয়ানে দুরাও বলেন, কোম্পানিটি ব্রাজিলে থাকা শ্রমিকদের জন্য স্থানীয় শ্রম আইন মেনে চলার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে। প্রতিশ্রুতি দিলেও বাস্তবে তার মিল নেই। বিওয়াইডির ঠিকাদার জিনজিয়াং কর্তৃক নিয়োগপ্রাপ্ত ১৬৩ জন শ্রমিককে গত ডিসেম্বরে ব্রাজিলের শ্রম কর্তৃপক্ষ ‘দাসের মতো’ কাজ করতে দেখে উদ্ধার করেছে।
উদ্ধার হওয়া ১৬৩ শ্রমিকের অনেকে এরই মধ্যে ব্রাজিল ছেড়েছেন বা ছাড়ার প্রক্রিয়ায় আছেন। দুরাও জানান, এই সমস্ত কার্যক্রম অনিয়মিত ছিল। এই শ্রমিকদের ওপর জুলুমের জন্য বিওয়াইডিকে জরিমানা করা হবে। তবে মোট কত টাকা জরিমানা হবে, সে বিষয়ে বিস্তারিত কিছু জানানো হয়নি।
তিনি আরও জানান, প্রায় ৫০০ চীনা শ্রমিক বিওয়াইডির ব্রাজিল কারখানায় কাজের জন্য আনা হয়েছিল। এখন যাঁরা ব্রাজিলে থেকে যাবেন, তাঁদের কর্মপরিবেশ ব্রাজিলের শ্রম আইন অনুযায়ী সমন্বয় করা হবে।
বিওয়াইডি এবং জিনজিয়াং এ বিষয়ে কোনো মন্তব্য করেনি। বিওয়াইডি আগেই জানিয়েছে, তারা জিনজিয়াংয়ের সঙ্গে সম্পর্ক ছিন্ন করেছে। তবে জিনজিয়াং ব্রাজিলের কর্তৃপক্ষের অভিযোগ অস্বীকার করেছে।
একজন ঘনিষ্ঠ সূত্র রয়টার্সকে জানিয়েছেন, বিওয়াইডি মনে করে, শ্রমিকদের ভিসা যথাযথভাবেই ইস্যু করা হয়েছে এবং তাঁরা স্বেচ্ছায় ব্রাজিলে কাজ করতে এসেছেন।
ব্রাজিলের বাইরেও চীনের প্রভাব বৃদ্ধির প্রতীক হয়ে উঠেছে বিওয়াইডির এই কারখানা। চীনের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র গুয়ো জিয়াকুন বলেছেন, চীনা প্রতিষ্ঠানগুলোকে আইন মেনে চলতে সরকার সর্বদা নির্দেশনা দেয়। তিনি আরও বলেন, ব্রাজিলের সঙ্গে বিনিয়োগ ও সহযোগিতা বাড়াতে আগ্রহী চীন।
ব্রাজিলের শ্রম কর্তৃপক্ষ এবং বিওয়াইডি ও তার ঠিকাদারদের প্রতিনিধিরা গতকাল একটি বৈঠক করেন। সেখানে কারখানার সব শ্রমিকের অধিকার রক্ষার বিষয়ে আলোচনা হয়।
ব্রাজিলের বাহিয়া রাজ্যে নির্মিত বিওয়াইডির কারখানাটি প্রাথমিকভাবে ১ দশমিক ৫ লাখ গাড়ি উৎপাদনের পরিকল্পনা করছে। এটি চীনের বাইরে বিওয়াইডির বৃহত্তম বাজার। ২০২৪ সালের প্রথম ১১ মাসে বিওয়াইডির চীনের বাইরে গাড়ি বিক্রির প্রতি পাঁচটির একটির ক্রেতা ছিল ব্রাজিল।
এই কারখানা নির্মাণে বিওয়াইডি ৬২০ মিলিয়ন ডলার বিনিয়োগ করেছে। তবে শ্রমিকদের কাজের পরিবেশ নিয়ে তদন্তের কারণে নির্মাণকাজ বিলম্বিত হবে বলে আশঙ্কা রয়েছে।
ডিসেম্বরে শ্রম আইনজীবীরা চীনা নির্মাণপ্রতিষ্ঠান জিনজিয়াং গ্রুপের মাধ্যমে নিয়োগপ্রাপ্ত শ্রমিকদের ‘মানব পাচারের শিকার’ বলে আখ্যায়িত করেছেন। তদন্তে উঠে আসে, প্রতিষ্ঠানটি ১০৭ জন শ্রমিকের পাসপোর্ট জব্দ করেছিল।
ব্রাজিলে ‘দাসের মতো’ পরিবেশে কাজের অভিযোগের তদন্ত হলে প্রতিষ্ঠানগুলো ব্যাংকঋণ সুবিধা হারানোর ঝুঁকিতে পড়ে। শ্রমিকদের এই পরিস্থিতির কারণে ব্রাজিল সরকার বিওয়াইডির অস্থায়ী ভিসা দেওয়া স্থগিত করেছে।
ব্রাজিল দীর্ঘদিন ধরে চীনা বিনিয়োগ প্রত্যাশা করে যাচ্ছে। তবে চীনের বিনিয়োগ মডেল, যেখানে চীনা শ্রমিকদের অন্য দেশে নিয়ে যাওয়া হয়, তা স্থানীয় কর্মসংস্থান সৃষ্টি ও প্রেসিডেন্ট লুইজ ইনাসিও লুলা দা সিলভার নীতির সঙ্গে সংঘাত সৃষ্টি করছে।
বিওয়াইডি বৈশ্বিক বাজারে সম্প্রসারণের চেষ্টা করছে। এর মধ্যে এই অভিযোগ প্রতিষ্ঠানটিকে অস্বস্তিকর পরিস্থিতিতে ফেলেছে। চীনের সবচেয়ে বড় বৈদ্যুতিক গাড়ি নির্মাণকারী প্রতিষ্ঠানটি এখন নজরদারির মধ্যে রয়েছে।
দুরাও জানান, শ্রমিকদের অধিকার নিশ্চিত করতে এবং কারখানায় শ্রমিক অপব্যবহার পর্যবেক্ষণের জন্য শ্রম পরিদর্শকেরা নিয়মিত নজরদারি চালিয়ে যাবেন।
বেনাপোল স্থলবন্দরে আমদানি-রপ্তানি কার্যক্রমে ব্যবসায়ীদের খরচ বাড়ছে। হ্যান্ডলিংয়ের আগে পণ্য চালান পরীক্ষার নামে এই অতিরিক্ত খরচ চাপ দিচ্ছে। প্রতিটি চালানে ১৫-২৫ হাজার টাকা পর্যন্ত অতিরিক্ত ব্যয় হচ্ছে। কখনো কখনো রিপোর্ট পেতে সময় লাগছে এক মাসেরও বেশি, আর ওই সময় পণ্য বন্দরে আটকা পড়ে।
১ ঘণ্টা আগে২০২৫-২৬ অর্থবছরের বাজেট ঘিরে নানা প্রশ্ন আর আলোচনা চলছে। কালোটাকা সাদা করার সুযোগ থাকবে কি না, এলডিসি থেকে উত্তরণের জন্য দেশ কতটা প্রস্তুত, বিদেশি বাজার ধরে রাখতে কী উদ্যোগ দরকার—এসব নিয়েই মুখোমুখি হলেন অর্থনীতিবিদ, নীতিনির্ধারক ও ব্যবসায়ী নেতারা।
২ ঘণ্টা আগেএ পরিস্থিতিতে আমাদের দাবি, অবিলম্বে এনবিআর চেয়ারম্যানকে অপসারণ করতে হবে। তার মাধ্যমে রাজস্ব সংস্কার বিষয়ক কার্যক্রম সময়ক্ষেপণ বই কিছু নয় বলে মনে করে ঐক্য পরিষদ।
৫ ঘণ্টা আগেচতুর্থ প্রজন্মের বেসরকারি ব্যাংক ‘ইউনিয়ন ব্যাংক পিএলসি’। ২০১৩ সালে লাইসেন্স পাওয়া এই ব্যাংকের বিতরণ করা ঋণের পরিমাণ ২৭ হাজার ৭৬৭ কোটি টাকা। এই ঋণের প্রায় ৬২ শতাংশ অর্থাৎ ১৭ হাজার ২২৯ কোটি টাকাই নামে-বেনামে হাতিয়ে নিয়েছে বিতর্কিত শিল্পগ্রুপ এস আলম। ঋণের নামে লুট করা এই টাকা সবচেয়ে বেশি নেওয়া হয়েছে
১ দিন আগে