নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
আগামী দু–এক মাসের মধ্যেই বাংলাদেশ ব্যাংকের রিজার্ভ চুরির মামলার তদন্ত প্রতিবেদন ও অভিযোগপত্র দেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগের (সিআইডি) প্রধান ও অতিরিক্ত আইজিপি মোহাম্মদ আলী মিয়া।
আজ রোববার রাজধানীর মালিবাগে সিআইডি সদর দপ্তরে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন। তিনি বলেন, তদন্ত প্রায় শেষ পর্যায়ে আগামী দু–এক মাসের মধ্যে আদালতে অভিযোগপত্র দেওয়া হবে।
এর আগে বাংলাদেশ ব্যাংকের রিজার্ভ চুরির মামলায় প্রতিবেদন জমা দিতে সিআইডি গত জানুয়ারিতে ৭৬ তমবার ব্যর্থ হওয়ার পর সংস্থার প্রধান মোহাম্মদ আলী মিয়া সাংবাদিকদের বলেছিলেন, মামলার তদন্ত ‘প্রায় শেষ পর্যায়ে’। ওই ঘটনার পেছনে অবহেলা ও প্রযুক্তিগত জ্ঞানের স্বল্পতা রয়েছে বলে মন্তব্য করেছিলেন তিনি।
মাদকের বিরুদ্ধেও সিআইডির অভিযান অব্যাহত রয়েছে উল্লেখ করে মোহাম্মদ আলী মিয়া বলেন, ‘আমরা মাদক নিয়ে কার্যক্রম শুরু করেছি। মাদক সেবনকারী এবং খুচরা বিক্রেতাদের আইনের আওতায় আনতে চেষ্টা চলছে। আমরা স্পেশাল ডাইমেনশন আকারে গডফাদারদের নিয়ে আসছি এবং মাদক গডফাদারদের যত অর্থ–সম্পদ আছে, সেগুলো আইনের আওতায় নিয়ে আসছি।’
অর্থপাচারের বিষয়ে মোহাম্মদ আলী মিয়া বলেন, ‘এটি বাংলাদেশ ব্যাংক মনিটরিং করে। আমরা বলতে পারি, মানিলন্ডারিং রিলেটেড যেসব মামলা হয়েছে, সেগুলোর ডেটা আমাদের কাছে আছে। অনেক মামলা হয়েছে, আমরা অনেক উদ্ধার করেছি।’
এর আগে ‘অবৈধ অর্থ স্থানান্তর, অনলাইন জুয়া নিয়ন্ত্রণের চ্যালেঞ্জ’ সম্পর্কিত গবেষণার ফলাফল প্রকাশ এবং দুটি বইয়ের মোড়ক উন্মোচন করা হয়।
এ প্রসঙ্গে সিআইডি প্রধান বলেন, ‘সাইবার স্পেস ব্যবহার করে অপরাধীরা অনলাইন গেম্বলিং, মোবাইল ফাইন্যান্সিয়াল সার্ভিস (এমএফএস), ডিজিটাল মুদ্রা ইত্যাদি ব্যবহার করে বিপুল পরিমাণ অর্থ স্থানান্তর, হস্তান্তর ও রূপান্তর করছে। এ সকল অপরাধ নিয়ন্ত্রণে সিআইডি নিরলস ভাবে কাজ করে যাচ্ছে।’
সিআইডি প্রধান বলেন, ‘সিআইডির বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ তথ্য যেমন, ঐতিহাসিক গুরুত্বপূর্ণ মামলা (বঙ্গবন্ধু হত্যা মামলা, বিডিআর বিদ্রোহ মামলা, ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলা ইত্যাদি) সংগ্রহ ও সংরক্ষণে সহায়ক হিসেবে আর্কাইভ নীতিমালা প্রণয়ন করা হয়েছে যা ভবিষ্যতে গবেষণার কাজে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে।’
অনুষ্ঠানে বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতিনিধি, সাংবাদিক এবং সিআইডির বিভিন্ন পদমর্যাদার কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
উল্লেখ্য, ২০১৬ সালের ফেব্রুয়ারিতে সুইফট ব্যবস্থা কাজে লাগিয়ে ৩৫টি ভুয়া বার্তার মাধ্যমে যুক্তরাষ্ট্রের ফেডারেল রিজার্ভের নিউইয়র্ক শাখায় রক্ষিত বাংলাদেশ ব্যাংকের রিজার্ভের হিসাব থেকে ১০০ কোটি ডলার চুরির চেষ্টা চালায় অপরাধীরা। শেষ পর্যন্ত তারা ১০ কোটি ১০ লাখ ডলার চুরি করতে সক্ষম হয়। চুরি হওয়া অর্থের মধ্যে শ্রীলঙ্কায় চলে যায় ২ কোটি ডলার। পরে শ্রীলঙ্কা থেকে সেই অর্থ উদ্ধার করা হয়েছে। কিন্তু বাকি ৮ কোটি ১০ লাখ ডলার ফিলিপাইনের আরসিবিসি ব্যাংক হয়ে দেশটির বিভিন্ন ক্যাসিনোতে যায়। চুরি যাওয়া অর্থের মধ্যে এখন পর্যন্ত সব মিলিয়ে ৩ কোটি ৪৬ লাখ ডলার উদ্ধার করা হয়েছে। বাকি ৬ কোটি ৬৪ লাখ ডলার এখনো ফেরত পাওয়া যায়নি। ২০১৬ সালের রিজার্ভ চুরির ঘটনা নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের আদালতে বর্তমানে মামলা চলছে।
ওই বছরের ১৫ মার্চ রাজধানীর মতিঝিল থানায় মামলা করেন বাংলাদেশ ব্যাংকের অ্যাকাউন্টস অ্যান্ড বাজেটিং বিভাগের যুগ্ম পরিচালক জুবায়ের বিন হুদা; অর্থপাচার প্রতিরোধ আইনের ওই মামলায় সরাসরি কাউকে আসামি করা হয়নি।
মামলাটি তদন্ত করছে সিআইডি। কিন্তু এ যাবৎ ৭৭ বার সময় নিয়েও তদন্ত প্রতিবেদন দিতে পারেনি সংস্থাটি।
আগামী দু–এক মাসের মধ্যেই বাংলাদেশ ব্যাংকের রিজার্ভ চুরির মামলার তদন্ত প্রতিবেদন ও অভিযোগপত্র দেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগের (সিআইডি) প্রধান ও অতিরিক্ত আইজিপি মোহাম্মদ আলী মিয়া।
আজ রোববার রাজধানীর মালিবাগে সিআইডি সদর দপ্তরে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন। তিনি বলেন, তদন্ত প্রায় শেষ পর্যায়ে আগামী দু–এক মাসের মধ্যে আদালতে অভিযোগপত্র দেওয়া হবে।
এর আগে বাংলাদেশ ব্যাংকের রিজার্ভ চুরির মামলায় প্রতিবেদন জমা দিতে সিআইডি গত জানুয়ারিতে ৭৬ তমবার ব্যর্থ হওয়ার পর সংস্থার প্রধান মোহাম্মদ আলী মিয়া সাংবাদিকদের বলেছিলেন, মামলার তদন্ত ‘প্রায় শেষ পর্যায়ে’। ওই ঘটনার পেছনে অবহেলা ও প্রযুক্তিগত জ্ঞানের স্বল্পতা রয়েছে বলে মন্তব্য করেছিলেন তিনি।
মাদকের বিরুদ্ধেও সিআইডির অভিযান অব্যাহত রয়েছে উল্লেখ করে মোহাম্মদ আলী মিয়া বলেন, ‘আমরা মাদক নিয়ে কার্যক্রম শুরু করেছি। মাদক সেবনকারী এবং খুচরা বিক্রেতাদের আইনের আওতায় আনতে চেষ্টা চলছে। আমরা স্পেশাল ডাইমেনশন আকারে গডফাদারদের নিয়ে আসছি এবং মাদক গডফাদারদের যত অর্থ–সম্পদ আছে, সেগুলো আইনের আওতায় নিয়ে আসছি।’
অর্থপাচারের বিষয়ে মোহাম্মদ আলী মিয়া বলেন, ‘এটি বাংলাদেশ ব্যাংক মনিটরিং করে। আমরা বলতে পারি, মানিলন্ডারিং রিলেটেড যেসব মামলা হয়েছে, সেগুলোর ডেটা আমাদের কাছে আছে। অনেক মামলা হয়েছে, আমরা অনেক উদ্ধার করেছি।’
এর আগে ‘অবৈধ অর্থ স্থানান্তর, অনলাইন জুয়া নিয়ন্ত্রণের চ্যালেঞ্জ’ সম্পর্কিত গবেষণার ফলাফল প্রকাশ এবং দুটি বইয়ের মোড়ক উন্মোচন করা হয়।
এ প্রসঙ্গে সিআইডি প্রধান বলেন, ‘সাইবার স্পেস ব্যবহার করে অপরাধীরা অনলাইন গেম্বলিং, মোবাইল ফাইন্যান্সিয়াল সার্ভিস (এমএফএস), ডিজিটাল মুদ্রা ইত্যাদি ব্যবহার করে বিপুল পরিমাণ অর্থ স্থানান্তর, হস্তান্তর ও রূপান্তর করছে। এ সকল অপরাধ নিয়ন্ত্রণে সিআইডি নিরলস ভাবে কাজ করে যাচ্ছে।’
সিআইডি প্রধান বলেন, ‘সিআইডির বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ তথ্য যেমন, ঐতিহাসিক গুরুত্বপূর্ণ মামলা (বঙ্গবন্ধু হত্যা মামলা, বিডিআর বিদ্রোহ মামলা, ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলা ইত্যাদি) সংগ্রহ ও সংরক্ষণে সহায়ক হিসেবে আর্কাইভ নীতিমালা প্রণয়ন করা হয়েছে যা ভবিষ্যতে গবেষণার কাজে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে।’
অনুষ্ঠানে বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতিনিধি, সাংবাদিক এবং সিআইডির বিভিন্ন পদমর্যাদার কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
উল্লেখ্য, ২০১৬ সালের ফেব্রুয়ারিতে সুইফট ব্যবস্থা কাজে লাগিয়ে ৩৫টি ভুয়া বার্তার মাধ্যমে যুক্তরাষ্ট্রের ফেডারেল রিজার্ভের নিউইয়র্ক শাখায় রক্ষিত বাংলাদেশ ব্যাংকের রিজার্ভের হিসাব থেকে ১০০ কোটি ডলার চুরির চেষ্টা চালায় অপরাধীরা। শেষ পর্যন্ত তারা ১০ কোটি ১০ লাখ ডলার চুরি করতে সক্ষম হয়। চুরি হওয়া অর্থের মধ্যে শ্রীলঙ্কায় চলে যায় ২ কোটি ডলার। পরে শ্রীলঙ্কা থেকে সেই অর্থ উদ্ধার করা হয়েছে। কিন্তু বাকি ৮ কোটি ১০ লাখ ডলার ফিলিপাইনের আরসিবিসি ব্যাংক হয়ে দেশটির বিভিন্ন ক্যাসিনোতে যায়। চুরি যাওয়া অর্থের মধ্যে এখন পর্যন্ত সব মিলিয়ে ৩ কোটি ৪৬ লাখ ডলার উদ্ধার করা হয়েছে। বাকি ৬ কোটি ৬৪ লাখ ডলার এখনো ফেরত পাওয়া যায়নি। ২০১৬ সালের রিজার্ভ চুরির ঘটনা নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের আদালতে বর্তমানে মামলা চলছে।
ওই বছরের ১৫ মার্চ রাজধানীর মতিঝিল থানায় মামলা করেন বাংলাদেশ ব্যাংকের অ্যাকাউন্টস অ্যান্ড বাজেটিং বিভাগের যুগ্ম পরিচালক জুবায়ের বিন হুদা; অর্থপাচার প্রতিরোধ আইনের ওই মামলায় সরাসরি কাউকে আসামি করা হয়নি।
মামলাটি তদন্ত করছে সিআইডি। কিন্তু এ যাবৎ ৭৭ বার সময় নিয়েও তদন্ত প্রতিবেদন দিতে পারেনি সংস্থাটি।
বাংলাদেশ থেকে চার ধরনের পাটপণ্য রপ্তানির ক্ষেত্রে নতুন করে বন্দর বিধিনিষেধ আরোপ করেছে ভারত। দুই দেশের সব স্থলবন্দর দিয়ে পণ্যগুলো রপ্তানিতে নিষেধাজ্ঞা দিয়ে শুধু একটি সমুদ্রবন্দর খোলা রাখা হয়েছে।
২ ঘণ্টা আগেচীনের খাইশি গ্রুপ আবারও বেপজা অর্থনৈতিক অঞ্চলে বিনিয়োগ বাড়াচ্ছে। আজ সোমবার ৪ কোটি ৫ হাজার ডলারের একটি নতুন বিনিয়োগ চুক্তি করেছে প্রতিষ্ঠানটি; বাংলাদেশি মুদ্রায় যার পরিমাণ প্রায় ৪৮৮ কোটি ৬ লাখ ১০ হাজার টাকা (প্রতি ডলার ১২২ টাকা ধরে)।
৮ ঘণ্টা আগেচট্টগ্রামের মিরসরাইয়ে অবস্থিত জাতীয় বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চলে ৩ কোটি ২৭ লাখ ৭২ হাজার মার্কিন ডলার (প্রায় ৩২৭ কোটি টাকা) বিনিয়োগ করবে চীনের লেসো গ্রুপ। এ জন্য প্রতিষ্ঠানটিকে ১২ দশমিক ৫ একর জমি হস্তান্তর করেছে বাংলাদেশ অর্থনৈতিক অঞ্চল কর্তৃপক্ষ (বেজা)।
৮ ঘণ্টা আগেদেশের ব্যাংক খাতের আলোচনায় বারবার ভেসে ওঠে অনিয়ম, দুর্নীতি ও খেলাপির চিত্র। এর খেসারত দিচ্ছে অর্থনীতি, ভুগছেন সাধারণ গ্রাহক। ঠিক এক বছর আগে দায়িত্ব নিয়ে বাংলাদেশ ব্যাংকের নতুন গভর্নর আহসান এইচ মনসুর এসব সংস্কারে হাত দেন, যার ফলে বেরিয়ে আসে ভয়ংকর সব বাস্তবতা।
১১ ঘণ্টা আগে