আবু বকর ছিদ্দিক, চট্টগ্রাম
স্বাধীনতার পর জাহাজে করে পাকিস্তান থেকে বাংলাদেশের সমুদ্রবন্দরে পণ্য পরিবহন বন্ধ ছিল। এতদিন পাকিস্তানি পণ্য তৃতীয় দেশ হয়ে জাহাজে করে বাংলাদেশ আসত। সেসব পণ্যও বন্দরে পৌঁছার পর শতভাগ কায়িক পরীক্ষা করা হতো। কিন্তু গত ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর অন্তর্বর্তীকালীন সরকার ক্ষমতা নিয়ে পাকিস্তানের সঙ্গে সুসম্পর্ক গড়ে তোলার উদ্যোগ নিয়েছে।
রাজনৈতিক পটপরিবর্তনের পর পাকিস্তান থেকে পণ্য আমদানিতে কড়াকড়ি শিথিল করা হয়েছে। এর ফলে অর্ধ শতক পর প্রথমবারের মতো দুদেশের মধ্যে সরাসরি জাহাজ চালু হয়। গত ১১ নভেম্বর করাচি বন্দর থেকে পণ্য নিয়ে সরাসরি চট্টগ্রাম বন্দরে আসে প্রথম কোনো জাহাজ। এই জাহাজে কী কী পণ্য আনা হলো- তা নিয়ে বেশ কৌতুহল তৈরি হয়েছে দেশে। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে চলছে তুমুল আলোচনা-সমালোচনা।
চট্টগ্রাম বন্দরের তথ্য অনুযায়ী, এমভি ইউয়ান জিয়ান ফা ঝং নামে জাহাজটি গত মঙ্গলবার চট্টগ্রাম বন্দর ছেড়ে যায়। এর আগে ৩৭০টি কন্টেইনার বন্দরে খালাস। এর মধ্যে দুবাই বন্দর থেকে উঠেছে ৭৩ কন্টেইনার, আর করাচি বন্দর থেকে এসেছে ২৯৭ কন্টেইনার।
শিপিং লাইন ও কাস্টমস সূত্রে জানা গেছে, পাকিস্তান থেকে আমদানি হওয়া কন্টেইনারে আছে শিল্পের কাঁচামাল ও ভোগ্যপণ্য। এসব পণ্যের ওজন ৬ হাজার ৩৩৭ টন। পাকিস্তানের ১৮টি রপ্তানিকারক প্রতিষ্ঠান এসব পণ্য সরবরাহ করেছে।
এর মধ্যে সবচেয়ে বেশি ১১৫ কন্টেইনারে আছে সোডিয়াম কার্বনেট বা সোডা অ্যাশ। টেক্সটাইলসহ বিভিন্ন শিল্পের কাঁচামাল হিসেবে ব্যবহৃত হয় এটি। দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ৪৬ কন্টেইনারে আমদানি পণ্য হলো খনিজ পদার্থ ডলোমাইট। ৩৫ একক কন্টেইনারে আনা হয়েছে চুনাপাথর। আর ম্যাগনেশিয়াম কার্বোনেট আনা হয়েছে ছয় কন্টেইনারে।
এছাড়া একই দেশ থেকে কাঁচশিল্পের কাঁচামাল ভাঙা কাচ আনা হয়েছে ১০ কন্টেইনারে। শতভাগ রপ্তানিমুখী পোশাকশিল্পের কাঁচামাল, কাপড়, রং ইত্যাদি রয়েছে ২৮ কন্টেইনারে। একটি কন্টেইনারে রয়েছে গাড়ির যন্ত্রাংশ। এসব পণ্য আমদানি করেছে আকিজ গ্লাস কারখানা, নাসির ফ্লোট গ্লাস, প্যাসিফিক জিনস, এক্স সিরামিকস, স্কয়ার ফার্মাসিউটিক্যালসসহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান।
শিল্পের কাঁচামাল ছাড়াও ৬১১টন পেঁয়াজ আনা হয়েছে ৪২ একক কন্টেইনারে। এর বাইরে ১৪ কন্টইনারে আলু এসেছে ২০৩ টন। ঢাকার হাফিজ করপোরেশন, এম আর ট্রেডিংস ও চট্টগ্রামের আল্লাহর রহমত স্টোর পেঁয়াজ-আলু এনেছে।
একই জাহাজে সংযুক্ত আরব আমিরাত থেকে আসা ৭৩ কন্টেইনারে রয়েছে খেজুর, জিপসাম, পুরোনো লোহার টুকরা, মার্বেল ব্লক, কপার ওয়্যার, রেজিন ইত্যাদি পণ্য। শুধু একটি কন্টেইনারে এসেছে হুইস্কি, ভদকা ও ওয়াইন। আরব আমিরাতের ট্রুবেল মার্কেটিং অ্যান্ড ট্রেডিং কোম্পানি থেকে এই পণ্য এনেছে ঢাকার ডিপ্লোমেটিক ওয়্যারহাউস সাবির ট্রেডার্স।
এ বিষয়ে চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষের সচিব মো. ওমর ফারুক আজকের পত্রিকাকে বলেন, পাকিস্তারে করাচি বন্দর থেকে আসা জাহাজটিতে করে মোট ৩৭০ টিইইউস কন্টেইনার পণ্য ছিল। এর মধ্যে ২৯৭ কন্টেইনার করাচি বন্দর থেকে বাকি কন্টেইনার সংযুক্ত আরব আমিরাতের দুবাই বন্দর থেকে এসেছে ৭৩ কন্টেইনার। জাহাজটি কন্টেইনার নামিয়ে দিয়ে বন্দর ত্যাগ করেছে ১২ নভেম্বর (মঙ্গলবার)।
আমদানিকারকেরা এখন এসব পণ্য খালাসের জন্য প্রক্রিয়া শুরু করেছেন। এসব পণ্য খালাসের জন্য কাস্টমস প্রক্রিয়া শুরু করেছেন।
শিপিং সূত্র জানায়, দুবাইভিত্তিক কন্টেইনার জাহাজ পরিচালনাকারী সংস্থা ‘ফিডার লাইনস ডিএমসিসি’ একটি কন্টেইনার জাহাজ দিয়ে নতুন এই সেবা চালু করেছে।
বাংলাদেশে কর্ণফুলী লিমিটেডের সহযোগী প্রতিষ্ঠানে রিজেনসি লাইনস লিমিটেড এই সংস্থার বাংলাদেশে স্থানীয় প্রতিনিধি হিসেবে যুক্ত হয়েছে। এটি আওয়ামী লীগের সাবেক মন্ত্রী সাবের হোসেন চৌধুরীর পারিবারিক প্রতিষ্ঠান।
বিষয়টি নিয়ে জানতে গ্রুপটির নির্বাহী পরিচালক আনিস উদ দৌলার মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি ফোন না ধরায় তাঁর মতামত জানা যায়নি।
স্বাধীনতার পর জাহাজে করে পাকিস্তান থেকে বাংলাদেশের সমুদ্রবন্দরে পণ্য পরিবহন বন্ধ ছিল। এতদিন পাকিস্তানি পণ্য তৃতীয় দেশ হয়ে জাহাজে করে বাংলাদেশ আসত। সেসব পণ্যও বন্দরে পৌঁছার পর শতভাগ কায়িক পরীক্ষা করা হতো। কিন্তু গত ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর অন্তর্বর্তীকালীন সরকার ক্ষমতা নিয়ে পাকিস্তানের সঙ্গে সুসম্পর্ক গড়ে তোলার উদ্যোগ নিয়েছে।
রাজনৈতিক পটপরিবর্তনের পর পাকিস্তান থেকে পণ্য আমদানিতে কড়াকড়ি শিথিল করা হয়েছে। এর ফলে অর্ধ শতক পর প্রথমবারের মতো দুদেশের মধ্যে সরাসরি জাহাজ চালু হয়। গত ১১ নভেম্বর করাচি বন্দর থেকে পণ্য নিয়ে সরাসরি চট্টগ্রাম বন্দরে আসে প্রথম কোনো জাহাজ। এই জাহাজে কী কী পণ্য আনা হলো- তা নিয়ে বেশ কৌতুহল তৈরি হয়েছে দেশে। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে চলছে তুমুল আলোচনা-সমালোচনা।
চট্টগ্রাম বন্দরের তথ্য অনুযায়ী, এমভি ইউয়ান জিয়ান ফা ঝং নামে জাহাজটি গত মঙ্গলবার চট্টগ্রাম বন্দর ছেড়ে যায়। এর আগে ৩৭০টি কন্টেইনার বন্দরে খালাস। এর মধ্যে দুবাই বন্দর থেকে উঠেছে ৭৩ কন্টেইনার, আর করাচি বন্দর থেকে এসেছে ২৯৭ কন্টেইনার।
শিপিং লাইন ও কাস্টমস সূত্রে জানা গেছে, পাকিস্তান থেকে আমদানি হওয়া কন্টেইনারে আছে শিল্পের কাঁচামাল ও ভোগ্যপণ্য। এসব পণ্যের ওজন ৬ হাজার ৩৩৭ টন। পাকিস্তানের ১৮টি রপ্তানিকারক প্রতিষ্ঠান এসব পণ্য সরবরাহ করেছে।
এর মধ্যে সবচেয়ে বেশি ১১৫ কন্টেইনারে আছে সোডিয়াম কার্বনেট বা সোডা অ্যাশ। টেক্সটাইলসহ বিভিন্ন শিল্পের কাঁচামাল হিসেবে ব্যবহৃত হয় এটি। দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ৪৬ কন্টেইনারে আমদানি পণ্য হলো খনিজ পদার্থ ডলোমাইট। ৩৫ একক কন্টেইনারে আনা হয়েছে চুনাপাথর। আর ম্যাগনেশিয়াম কার্বোনেট আনা হয়েছে ছয় কন্টেইনারে।
এছাড়া একই দেশ থেকে কাঁচশিল্পের কাঁচামাল ভাঙা কাচ আনা হয়েছে ১০ কন্টেইনারে। শতভাগ রপ্তানিমুখী পোশাকশিল্পের কাঁচামাল, কাপড়, রং ইত্যাদি রয়েছে ২৮ কন্টেইনারে। একটি কন্টেইনারে রয়েছে গাড়ির যন্ত্রাংশ। এসব পণ্য আমদানি করেছে আকিজ গ্লাস কারখানা, নাসির ফ্লোট গ্লাস, প্যাসিফিক জিনস, এক্স সিরামিকস, স্কয়ার ফার্মাসিউটিক্যালসসহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান।
শিল্পের কাঁচামাল ছাড়াও ৬১১টন পেঁয়াজ আনা হয়েছে ৪২ একক কন্টেইনারে। এর বাইরে ১৪ কন্টইনারে আলু এসেছে ২০৩ টন। ঢাকার হাফিজ করপোরেশন, এম আর ট্রেডিংস ও চট্টগ্রামের আল্লাহর রহমত স্টোর পেঁয়াজ-আলু এনেছে।
একই জাহাজে সংযুক্ত আরব আমিরাত থেকে আসা ৭৩ কন্টেইনারে রয়েছে খেজুর, জিপসাম, পুরোনো লোহার টুকরা, মার্বেল ব্লক, কপার ওয়্যার, রেজিন ইত্যাদি পণ্য। শুধু একটি কন্টেইনারে এসেছে হুইস্কি, ভদকা ও ওয়াইন। আরব আমিরাতের ট্রুবেল মার্কেটিং অ্যান্ড ট্রেডিং কোম্পানি থেকে এই পণ্য এনেছে ঢাকার ডিপ্লোমেটিক ওয়্যারহাউস সাবির ট্রেডার্স।
এ বিষয়ে চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষের সচিব মো. ওমর ফারুক আজকের পত্রিকাকে বলেন, পাকিস্তারে করাচি বন্দর থেকে আসা জাহাজটিতে করে মোট ৩৭০ টিইইউস কন্টেইনার পণ্য ছিল। এর মধ্যে ২৯৭ কন্টেইনার করাচি বন্দর থেকে বাকি কন্টেইনার সংযুক্ত আরব আমিরাতের দুবাই বন্দর থেকে এসেছে ৭৩ কন্টেইনার। জাহাজটি কন্টেইনার নামিয়ে দিয়ে বন্দর ত্যাগ করেছে ১২ নভেম্বর (মঙ্গলবার)।
আমদানিকারকেরা এখন এসব পণ্য খালাসের জন্য প্রক্রিয়া শুরু করেছেন। এসব পণ্য খালাসের জন্য কাস্টমস প্রক্রিয়া শুরু করেছেন।
শিপিং সূত্র জানায়, দুবাইভিত্তিক কন্টেইনার জাহাজ পরিচালনাকারী সংস্থা ‘ফিডার লাইনস ডিএমসিসি’ একটি কন্টেইনার জাহাজ দিয়ে নতুন এই সেবা চালু করেছে।
বাংলাদেশে কর্ণফুলী লিমিটেডের সহযোগী প্রতিষ্ঠানে রিজেনসি লাইনস লিমিটেড এই সংস্থার বাংলাদেশে স্থানীয় প্রতিনিধি হিসেবে যুক্ত হয়েছে। এটি আওয়ামী লীগের সাবেক মন্ত্রী সাবের হোসেন চৌধুরীর পারিবারিক প্রতিষ্ঠান।
বিষয়টি নিয়ে জানতে গ্রুপটির নির্বাহী পরিচালক আনিস উদ দৌলার মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি ফোন না ধরায় তাঁর মতামত জানা যায়নি।
যুক্তরাষ্ট্রের আরোপিত শুল্কের ধাক্কায় টালমাটাল বিশ্ববাণিজ্য, বিশেষ করে এশিয়ার দেশগুলো। এশিয়ার অধিকাংশ দেশ থেকে যুক্তরাষ্ট্রে পোশাক রপ্তানি হয়ে থাকে। আর শুল্কের কারণে এ খাতে শঙ্কার জন্ম হয়েছে। গত ২০ এপ্রিল লিবারেশন ডে ঘোষণা করে যে শুল্ক আরোপ করেছিলেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প, তার প্রভাবের
১৫ ঘণ্টা আগেভারতীয় পণ্যে ৫০ শতাংশ শুল্ক আরোপ করেছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। আর এর বড় ধাক্কা লেগেছে ভারতের তৈরি পোশাক খাতে। ট্রাম্পের এই শুল্ক ঘোষণার পর থেকে প্রতিদিন আতঙ্কে কাটছে এই খাতের উদ্যোক্তাদের।
১৭ ঘণ্টা আগেব্যাংক খাতে লুণ্ঠন, অর্থ পাচার, শেয়ারবাজার ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলোকে নড়বড়ে করে ফেলা, বৈদেশিক মুদ্রার মজুতে চাপ ইত্যাদি কারণে আওয়ামী লীগ আমলের শেষের দিকে অর্থনীতি মহাসংকটে পড়েছিল। এর সরাসরি প্রভাব পড়ে জনজীবনেও। মূল্যস্ফীতিতে দেশবাসীর নাভিশ্বাস ওঠে। ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে শেখ হাসিনার স্বৈরশাসনের...
১ দিন আগেচীনা প্রতিষ্ঠান চুয়ানচিং ড্রিলিং ইঞ্জিনিয়ারিং কোম্পানি লিমিটেডের (সিসিডিসি) সঙ্গে দুটি কূপ খননের চুক্তি করেছে বাংলাদেশ গ্যাস ফিল্ডস কোম্পানি লিমিটেড (বিজিএফসিএল)। ৫৯৪ কোটি টাকা ব্যয়ে বাখরাবাদ ও তিতাস এলাকায় গভীর অনুসন্ধানে এ দুটি কূপ খনন করা হবে। গতকাল বৃহস্পতিবার রাজধানীর কারওয়ান বাজারে...
১ দিন আগে