নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

শিল্প খাতে গ্যাসের অস্বাভাবিক মূল্যবৃদ্ধিতে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করে অবিলম্বে দাম পুনর্বিবেচনার দাবি জানিয়েছেন দেশের শীর্ষস্থানীয় ১১টি ব্যবসায়িক সংগঠনের নেতা ও দুটি শিল্পগোষ্ঠীর উদ্যোক্তা। তাঁরা বলেছেন, এই অযৌক্তিক মূল্যবৃদ্ধি শিল্প ও বাণিজ্যের মারাত্মক ক্ষতি করবে।
ব্যবসায়ীরা প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের কাছে লেখা চিঠিতে বলেন, গ্যাসের দাম বাড়লে শিল্প সম্প্রসারণে সাহস হারাবেন দেশীয় উদ্যোক্তা ও বিদেশি বিনিয়োগকারীরা। এতে কর্মসংস্থান কমবে এবং ব্যবসা-বাণিজ্যের প্রতিযোগিতা সক্ষমতা হ্রাস পাবে। ক্ষুদ্র শিল্পও ক্ষতিগ্রস্ত হবে।
তাঁরা বিদ্যুৎ-জ্বালানি খাতের অনিয়মের দায় শিল্প খাতের ওপর চাপানোয় ক্ষোভ প্রকাশ করেন। অবিলম্বে গ্যাসের মূল্যবৃদ্ধির সিদ্ধান্ত স্থগিত করে অংশীজনদের সঙ্গে আলোচনা করে নতুন মূল্য নির্ধারণের দাবি জানান ব্যবসায়ীরা। তাঁরা আশা প্রকাশ করেন, প্রধান উপদেষ্টা বিষয়টি বিবেচনা করে প্রয়োজনীয় নির্দেশনা দেবেন।
ব্যবসায়ী সংগঠনগুলোর নেতা ও উদ্যোক্তারা গতকাল রোববার প্রধান উপদেষ্টার কাছে এ চিঠি জমা দেন।
চিঠিতে স্বাক্ষর করেন— বাংলাদেশ চেম্বার অব ইন্ডাস্ট্রিজের (বিসিআই) সভাপতি আনোয়ার উল আলম চৌধুরী, শীর্ষ ব্যবসায়ী সংগঠন এফবিসিসিআইয়ের সাবেক সভাপতি মীর নাসির হোসেন, তৈরি পোশাকশিল্পের মালিকদের সংগঠন বিজিএমইএর প্রশাসক মো. আনোয়ার হোসেন, বস্ত্রকলমালিকদের সংগঠন বিটিএমএর সভাপতি শওকত আজিজ রাসেল, মেট্রো চেম্বারের সভাপতি কামরান টি রহমান, ঢাকা চেম্বারের সভাপতি তাসকিন আহমেদ, নিট পোশাকশিল্পের মালিকদের সংগঠন বিকেএমইএর সভাপতি মোহাম্মদ হাতেম, চামড়া পণ্য ও জুতা প্রস্তুতকারক ও রপ্তানিকারক সমিতির (এলএফএমইবি) সভাপতি সৈয়দ নাসিম মঞ্জুর, সিরামিকশিল্পের মালিকদের সংগঠন বিসিএমইএর সভাপতি মইনুল ইসলাম, প্লাস্টিক শিল্পের মালিকদের সমিতি বিপিজিএমইএর সভাপতি শামীম আহমেদ, তৈরি পোশাকশিল্পের প্রয়োজনীয় সরঞ্জাম ও মোড়কপণ্য সরবরাহকারী কারখানামালিকদের সংগঠন বিজিএপিএমইএর সভাপতি মো. শাহরিয়ার।
প্রধান উপদেষ্টার কাছে লেখা চিঠিতে ব্যবসায়ীরা বলেন, বিদ্যুৎ–জ্বালানি খাতের নানা অনিয়মের কারণে সৃষ্ট দায় মেটানোর জন্য বিগত সরকার ২০২৩ সালের জানুয়ারি মাসে কোনো পক্ষের সঙ্গে আলোচনা না করে প্রতি ইউনিট গ্যাসের দাম একলাফে ১২ টাকা থেকে ৩০ টাকা করে। এটি দেশের উৎপাদন শিল্পের জন্য মারাত্মক আঘাত ছিল। অন্যদিকে বাড়তি দাম দিয়েও শিল্পকারখানায় গ্যাসের চাপ ঠিকভাবে পায়নি। এতে স্বাভাবিক উৎপাদনের চেয়ে ৩০ থেকে ৪০ শতাংশ কম উৎপাদন করতে বাধ্য হয়েছে প্রতিষ্ঠানগুলো।

শিল্প খাতে গ্যাসের অস্বাভাবিক মূল্যবৃদ্ধিতে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করে অবিলম্বে দাম পুনর্বিবেচনার দাবি জানিয়েছেন দেশের শীর্ষস্থানীয় ১১টি ব্যবসায়িক সংগঠনের নেতা ও দুটি শিল্পগোষ্ঠীর উদ্যোক্তা। তাঁরা বলেছেন, এই অযৌক্তিক মূল্যবৃদ্ধি শিল্প ও বাণিজ্যের মারাত্মক ক্ষতি করবে।
ব্যবসায়ীরা প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের কাছে লেখা চিঠিতে বলেন, গ্যাসের দাম বাড়লে শিল্প সম্প্রসারণে সাহস হারাবেন দেশীয় উদ্যোক্তা ও বিদেশি বিনিয়োগকারীরা। এতে কর্মসংস্থান কমবে এবং ব্যবসা-বাণিজ্যের প্রতিযোগিতা সক্ষমতা হ্রাস পাবে। ক্ষুদ্র শিল্পও ক্ষতিগ্রস্ত হবে।
তাঁরা বিদ্যুৎ-জ্বালানি খাতের অনিয়মের দায় শিল্প খাতের ওপর চাপানোয় ক্ষোভ প্রকাশ করেন। অবিলম্বে গ্যাসের মূল্যবৃদ্ধির সিদ্ধান্ত স্থগিত করে অংশীজনদের সঙ্গে আলোচনা করে নতুন মূল্য নির্ধারণের দাবি জানান ব্যবসায়ীরা। তাঁরা আশা প্রকাশ করেন, প্রধান উপদেষ্টা বিষয়টি বিবেচনা করে প্রয়োজনীয় নির্দেশনা দেবেন।
ব্যবসায়ী সংগঠনগুলোর নেতা ও উদ্যোক্তারা গতকাল রোববার প্রধান উপদেষ্টার কাছে এ চিঠি জমা দেন।
চিঠিতে স্বাক্ষর করেন— বাংলাদেশ চেম্বার অব ইন্ডাস্ট্রিজের (বিসিআই) সভাপতি আনোয়ার উল আলম চৌধুরী, শীর্ষ ব্যবসায়ী সংগঠন এফবিসিসিআইয়ের সাবেক সভাপতি মীর নাসির হোসেন, তৈরি পোশাকশিল্পের মালিকদের সংগঠন বিজিএমইএর প্রশাসক মো. আনোয়ার হোসেন, বস্ত্রকলমালিকদের সংগঠন বিটিএমএর সভাপতি শওকত আজিজ রাসেল, মেট্রো চেম্বারের সভাপতি কামরান টি রহমান, ঢাকা চেম্বারের সভাপতি তাসকিন আহমেদ, নিট পোশাকশিল্পের মালিকদের সংগঠন বিকেএমইএর সভাপতি মোহাম্মদ হাতেম, চামড়া পণ্য ও জুতা প্রস্তুতকারক ও রপ্তানিকারক সমিতির (এলএফএমইবি) সভাপতি সৈয়দ নাসিম মঞ্জুর, সিরামিকশিল্পের মালিকদের সংগঠন বিসিএমইএর সভাপতি মইনুল ইসলাম, প্লাস্টিক শিল্পের মালিকদের সমিতি বিপিজিএমইএর সভাপতি শামীম আহমেদ, তৈরি পোশাকশিল্পের প্রয়োজনীয় সরঞ্জাম ও মোড়কপণ্য সরবরাহকারী কারখানামালিকদের সংগঠন বিজিএপিএমইএর সভাপতি মো. শাহরিয়ার।
প্রধান উপদেষ্টার কাছে লেখা চিঠিতে ব্যবসায়ীরা বলেন, বিদ্যুৎ–জ্বালানি খাতের নানা অনিয়মের কারণে সৃষ্ট দায় মেটানোর জন্য বিগত সরকার ২০২৩ সালের জানুয়ারি মাসে কোনো পক্ষের সঙ্গে আলোচনা না করে প্রতি ইউনিট গ্যাসের দাম একলাফে ১২ টাকা থেকে ৩০ টাকা করে। এটি দেশের উৎপাদন শিল্পের জন্য মারাত্মক আঘাত ছিল। অন্যদিকে বাড়তি দাম দিয়েও শিল্পকারখানায় গ্যাসের চাপ ঠিকভাবে পায়নি। এতে স্বাভাবিক উৎপাদনের চেয়ে ৩০ থেকে ৪০ শতাংশ কম উৎপাদন করতে বাধ্য হয়েছে প্রতিষ্ঠানগুলো।
নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

শিল্প খাতে গ্যাসের অস্বাভাবিক মূল্যবৃদ্ধিতে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করে অবিলম্বে দাম পুনর্বিবেচনার দাবি জানিয়েছেন দেশের শীর্ষস্থানীয় ১১টি ব্যবসায়িক সংগঠনের নেতা ও দুটি শিল্পগোষ্ঠীর উদ্যোক্তা। তাঁরা বলেছেন, এই অযৌক্তিক মূল্যবৃদ্ধি শিল্প ও বাণিজ্যের মারাত্মক ক্ষতি করবে।
ব্যবসায়ীরা প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের কাছে লেখা চিঠিতে বলেন, গ্যাসের দাম বাড়লে শিল্প সম্প্রসারণে সাহস হারাবেন দেশীয় উদ্যোক্তা ও বিদেশি বিনিয়োগকারীরা। এতে কর্মসংস্থান কমবে এবং ব্যবসা-বাণিজ্যের প্রতিযোগিতা সক্ষমতা হ্রাস পাবে। ক্ষুদ্র শিল্পও ক্ষতিগ্রস্ত হবে।
তাঁরা বিদ্যুৎ-জ্বালানি খাতের অনিয়মের দায় শিল্প খাতের ওপর চাপানোয় ক্ষোভ প্রকাশ করেন। অবিলম্বে গ্যাসের মূল্যবৃদ্ধির সিদ্ধান্ত স্থগিত করে অংশীজনদের সঙ্গে আলোচনা করে নতুন মূল্য নির্ধারণের দাবি জানান ব্যবসায়ীরা। তাঁরা আশা প্রকাশ করেন, প্রধান উপদেষ্টা বিষয়টি বিবেচনা করে প্রয়োজনীয় নির্দেশনা দেবেন।
ব্যবসায়ী সংগঠনগুলোর নেতা ও উদ্যোক্তারা গতকাল রোববার প্রধান উপদেষ্টার কাছে এ চিঠি জমা দেন।
চিঠিতে স্বাক্ষর করেন— বাংলাদেশ চেম্বার অব ইন্ডাস্ট্রিজের (বিসিআই) সভাপতি আনোয়ার উল আলম চৌধুরী, শীর্ষ ব্যবসায়ী সংগঠন এফবিসিসিআইয়ের সাবেক সভাপতি মীর নাসির হোসেন, তৈরি পোশাকশিল্পের মালিকদের সংগঠন বিজিএমইএর প্রশাসক মো. আনোয়ার হোসেন, বস্ত্রকলমালিকদের সংগঠন বিটিএমএর সভাপতি শওকত আজিজ রাসেল, মেট্রো চেম্বারের সভাপতি কামরান টি রহমান, ঢাকা চেম্বারের সভাপতি তাসকিন আহমেদ, নিট পোশাকশিল্পের মালিকদের সংগঠন বিকেএমইএর সভাপতি মোহাম্মদ হাতেম, চামড়া পণ্য ও জুতা প্রস্তুতকারক ও রপ্তানিকারক সমিতির (এলএফএমইবি) সভাপতি সৈয়দ নাসিম মঞ্জুর, সিরামিকশিল্পের মালিকদের সংগঠন বিসিএমইএর সভাপতি মইনুল ইসলাম, প্লাস্টিক শিল্পের মালিকদের সমিতি বিপিজিএমইএর সভাপতি শামীম আহমেদ, তৈরি পোশাকশিল্পের প্রয়োজনীয় সরঞ্জাম ও মোড়কপণ্য সরবরাহকারী কারখানামালিকদের সংগঠন বিজিএপিএমইএর সভাপতি মো. শাহরিয়ার।
প্রধান উপদেষ্টার কাছে লেখা চিঠিতে ব্যবসায়ীরা বলেন, বিদ্যুৎ–জ্বালানি খাতের নানা অনিয়মের কারণে সৃষ্ট দায় মেটানোর জন্য বিগত সরকার ২০২৩ সালের জানুয়ারি মাসে কোনো পক্ষের সঙ্গে আলোচনা না করে প্রতি ইউনিট গ্যাসের দাম একলাফে ১২ টাকা থেকে ৩০ টাকা করে। এটি দেশের উৎপাদন শিল্পের জন্য মারাত্মক আঘাত ছিল। অন্যদিকে বাড়তি দাম দিয়েও শিল্পকারখানায় গ্যাসের চাপ ঠিকভাবে পায়নি। এতে স্বাভাবিক উৎপাদনের চেয়ে ৩০ থেকে ৪০ শতাংশ কম উৎপাদন করতে বাধ্য হয়েছে প্রতিষ্ঠানগুলো।

শিল্প খাতে গ্যাসের অস্বাভাবিক মূল্যবৃদ্ধিতে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করে অবিলম্বে দাম পুনর্বিবেচনার দাবি জানিয়েছেন দেশের শীর্ষস্থানীয় ১১টি ব্যবসায়িক সংগঠনের নেতা ও দুটি শিল্পগোষ্ঠীর উদ্যোক্তা। তাঁরা বলেছেন, এই অযৌক্তিক মূল্যবৃদ্ধি শিল্প ও বাণিজ্যের মারাত্মক ক্ষতি করবে।
ব্যবসায়ীরা প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের কাছে লেখা চিঠিতে বলেন, গ্যাসের দাম বাড়লে শিল্প সম্প্রসারণে সাহস হারাবেন দেশীয় উদ্যোক্তা ও বিদেশি বিনিয়োগকারীরা। এতে কর্মসংস্থান কমবে এবং ব্যবসা-বাণিজ্যের প্রতিযোগিতা সক্ষমতা হ্রাস পাবে। ক্ষুদ্র শিল্পও ক্ষতিগ্রস্ত হবে।
তাঁরা বিদ্যুৎ-জ্বালানি খাতের অনিয়মের দায় শিল্প খাতের ওপর চাপানোয় ক্ষোভ প্রকাশ করেন। অবিলম্বে গ্যাসের মূল্যবৃদ্ধির সিদ্ধান্ত স্থগিত করে অংশীজনদের সঙ্গে আলোচনা করে নতুন মূল্য নির্ধারণের দাবি জানান ব্যবসায়ীরা। তাঁরা আশা প্রকাশ করেন, প্রধান উপদেষ্টা বিষয়টি বিবেচনা করে প্রয়োজনীয় নির্দেশনা দেবেন।
ব্যবসায়ী সংগঠনগুলোর নেতা ও উদ্যোক্তারা গতকাল রোববার প্রধান উপদেষ্টার কাছে এ চিঠি জমা দেন।
চিঠিতে স্বাক্ষর করেন— বাংলাদেশ চেম্বার অব ইন্ডাস্ট্রিজের (বিসিআই) সভাপতি আনোয়ার উল আলম চৌধুরী, শীর্ষ ব্যবসায়ী সংগঠন এফবিসিসিআইয়ের সাবেক সভাপতি মীর নাসির হোসেন, তৈরি পোশাকশিল্পের মালিকদের সংগঠন বিজিএমইএর প্রশাসক মো. আনোয়ার হোসেন, বস্ত্রকলমালিকদের সংগঠন বিটিএমএর সভাপতি শওকত আজিজ রাসেল, মেট্রো চেম্বারের সভাপতি কামরান টি রহমান, ঢাকা চেম্বারের সভাপতি তাসকিন আহমেদ, নিট পোশাকশিল্পের মালিকদের সংগঠন বিকেএমইএর সভাপতি মোহাম্মদ হাতেম, চামড়া পণ্য ও জুতা প্রস্তুতকারক ও রপ্তানিকারক সমিতির (এলএফএমইবি) সভাপতি সৈয়দ নাসিম মঞ্জুর, সিরামিকশিল্পের মালিকদের সংগঠন বিসিএমইএর সভাপতি মইনুল ইসলাম, প্লাস্টিক শিল্পের মালিকদের সমিতি বিপিজিএমইএর সভাপতি শামীম আহমেদ, তৈরি পোশাকশিল্পের প্রয়োজনীয় সরঞ্জাম ও মোড়কপণ্য সরবরাহকারী কারখানামালিকদের সংগঠন বিজিএপিএমইএর সভাপতি মো. শাহরিয়ার।
প্রধান উপদেষ্টার কাছে লেখা চিঠিতে ব্যবসায়ীরা বলেন, বিদ্যুৎ–জ্বালানি খাতের নানা অনিয়মের কারণে সৃষ্ট দায় মেটানোর জন্য বিগত সরকার ২০২৩ সালের জানুয়ারি মাসে কোনো পক্ষের সঙ্গে আলোচনা না করে প্রতি ইউনিট গ্যাসের দাম একলাফে ১২ টাকা থেকে ৩০ টাকা করে। এটি দেশের উৎপাদন শিল্পের জন্য মারাত্মক আঘাত ছিল। অন্যদিকে বাড়তি দাম দিয়েও শিল্পকারখানায় গ্যাসের চাপ ঠিকভাবে পায়নি। এতে স্বাভাবিক উৎপাদনের চেয়ে ৩০ থেকে ৪০ শতাংশ কম উৎপাদন করতে বাধ্য হয়েছে প্রতিষ্ঠানগুলো।

আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) সাবেক কর্মকর্তা ও দেশের জ্যেষ্ঠ অর্থনীতিবিদ ড. আহসান এইচ মনসুর ২০২৪ সালের ১৪ আগস্ট বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণ করেন। দায়িত্ব নেওয়ার পর থেকেই তিনি ব্যাংক ও আর্থিক খাতে সংস্কারের ধারাবাহিক উদ্যোগে মনোনিবেশ করেন। তবে নীতিগত দিকনির্দেশনা সঠিক পথে থাক
৩ মিনিট আগে
বাংলাদেশের এলডিসি উত্তরণ তিন বছর পিছিয়ে দেওয়ার জন্য জাতিসংঘের প্রতি অনুরোধ জানিয়েছেন তৈরি পোশাক ও বস্ত্র খাতের ব্যবসায়ীরা। গতকাল সোমবার রাজধানীতে জাতিসংঘ মিশনের প্রতিনিধিদের সঙ্গে এক কৌশলগত পরামর্শ সভায় ব্যবসায়ী নেতারা এই অনুরোধ করেন। এ সময় তাঁরা বলেন, বাংলাদেশকে এলডিসি উত্তরণের পথে স্থিতিশীল রাখতে
২৮ মিনিট আগে
‘লেনদেন হচ্ছে ক্যাশলেস, এগিয়ে যাচ্ছে বাংলাদেশ’—এই প্রতিপাদ্যে বাংলাদেশ ব্যাংকের উদ্যোগে পূবালী ব্যাংক পিএলসির ব্যবস্থাপনায় রংপুরে ‘ক্যাশলেস বাংলাদেশ উদ্যোগ’ কার্যক্রম সম্প্রসারণ-বিষয়ক সেমিনার রংপুর শিল্পকলা অডিটরিয়ামে অনুষ্ঠিত হয়েছে। বাংলাদেশ ব্যাংকের আয়োজনে এই সেমিনারের লিড ব্যাংক হিসেবে ছিল পূবালী
২ ঘণ্টা আগে
তিনি বলেন, বর্তমানে বাংলাদেশে প্রক্রিয়াজাত খাদ্যপণ্যের বাজার ৪ দশমিক ৮ বিলিয়ন ডলারের, যা ২০৩০ সালে প্রায় ৬ বিলিয়নে উন্নীত হবে। অন্যদিকে এসব খাবারের রপ্তানি খাতে অবদান দিন দিন বাড়ছে। তবে সার্বিক রপ্তানির প্রায় ৬০ শতাংশ পণ্যের গন্তব্য বিশ্বের মাত্র পাঁচটি দেশে। পাশাপাশি পাঁচ ধরনের খাদ্যপণ্য রপ্তানির
২ ঘণ্টা আগেগ্লোবাল ফাইন্যান্সের মূল্যায়ন
নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) সাবেক কর্মকর্তা ও দেশের জ্যেষ্ঠ অর্থনীতিবিদ ড. আহসান এইচ মনসুর ২০২৪ সালের ১৪ আগস্ট বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণ করেন। দায়িত্ব নেওয়ার পর থেকেই তিনি ব্যাংক ও আর্থিক খাতে সংস্কারের ধারাবাহিক উদ্যোগে মনোনিবেশ করেন। তবে নীতিগত দিকনির্দেশনা সঠিক পথে থাকলেও বাস্তব অগ্রগতি এখনো প্রত্যাশিত মাত্রায় পৌঁছায়নি—এমন মূল্যায়ন করেছে আন্তর্জাতিক আর্থিক সাময়িকী গ্লোবাল ফাইন্যান্স। সাময়িকীটির সদ্য প্রকাশিত সেন্ট্রাল ব্যাংকার রিপোর্ট কার্ড ২০২৫-এ বিশ্বের ১০০ দেশের কেন্দ্রীয় ব্যাংক গভর্নরদের পারফরম্যান্স মূল্যায়নে ড. আহসান এইচ মনসুরকে ‘সি’ গ্রেড দেওয়া হয়েছে।
প্রতিবেদনে ভিয়েতনামের গভর্নর নুয়েন থি হং সর্বোচ্চ ‘এ প্লাস’ গ্রেড পেয়ে শীর্ষস্থান অধিকার করেছেন, আর শ্রীলঙ্কার গভর্নর নন্দলাল উইরাসিংহে পেয়েছেন ‘এ’ গ্রেড। অন্যদিকে, ২০২৩ সালের মূল্যায়নে বাংলাদেশের সাবেক গভর্নর আবদুর রউফ তালুকদার পেয়েছিলেন ‘ডি’ গ্রেড। ফলে এবারের প্রতিবেদনে বাংলাদেশ ব্যাংকের অবস্থান এক ধাপ উন্নত হয়েছে।
গ্লোবাল ফাইন্যান্স মন্তব্য করেছে, ড. আহসান এইচ মনসুরের নীতি-দিকনির্দেশনা যুক্তিসংগত হলেও বাস্তবায়নের গতি তুলনামূলক ধীর। জনগণের আস্থা পুরোপুরি ফিরে না আসায় কেন্দ্রীয় ব্যাংকের নীতি প্রয়োগে কাঙ্ক্ষিত ফল দৃশ্যমান নয়। অর্থনীতিবিদদের ভাষায়, ‘সি’ গ্রেড মানে নীতিগত দিক সঠিক পথে থাকলেও এর কার্যকারিতা বা বাস্তব পরিবর্তনের প্রতিফলন এখনো স্পষ্ট হয়নি।
মুদ্রাস্ফীতি, ঋণ অনিয়ম, ডলারের অস্থিরতা ও রিজার্ভসংকট এখনো নিয়ন্ত্রণে আসেনি, আর দেউলিয়া আইন ও ব্যাংক পরিচালনায় জবাবদিহি বৃদ্ধিতেও তেমন অগ্রগতি হয়নি। তবে রিপো রেট ৮.৫ থেকে ১০ শতাংশে বাড়িয়ে মুদ্রাস্ফীতি কিছুটা নিয়ন্ত্রণে আনতে সক্ষম হলেও প্রবৃদ্ধি কমে ২০২৫ অর্থবছরে জিডিপি ৩.৯ শতাংশে নেমেছে; যা গত এক দশকের গড় ৬ শতাংশের তুলনায় উল্লেখযোগ্যভাবে কম। ফলে সংস্কারের বাস্তবায়নই এখন গভর্নর আহসান এইচ মনসুরের মূল চ্যালেঞ্জ।

আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) সাবেক কর্মকর্তা ও দেশের জ্যেষ্ঠ অর্থনীতিবিদ ড. আহসান এইচ মনসুর ২০২৪ সালের ১৪ আগস্ট বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণ করেন। দায়িত্ব নেওয়ার পর থেকেই তিনি ব্যাংক ও আর্থিক খাতে সংস্কারের ধারাবাহিক উদ্যোগে মনোনিবেশ করেন। তবে নীতিগত দিকনির্দেশনা সঠিক পথে থাকলেও বাস্তব অগ্রগতি এখনো প্রত্যাশিত মাত্রায় পৌঁছায়নি—এমন মূল্যায়ন করেছে আন্তর্জাতিক আর্থিক সাময়িকী গ্লোবাল ফাইন্যান্স। সাময়িকীটির সদ্য প্রকাশিত সেন্ট্রাল ব্যাংকার রিপোর্ট কার্ড ২০২৫-এ বিশ্বের ১০০ দেশের কেন্দ্রীয় ব্যাংক গভর্নরদের পারফরম্যান্স মূল্যায়নে ড. আহসান এইচ মনসুরকে ‘সি’ গ্রেড দেওয়া হয়েছে।
প্রতিবেদনে ভিয়েতনামের গভর্নর নুয়েন থি হং সর্বোচ্চ ‘এ প্লাস’ গ্রেড পেয়ে শীর্ষস্থান অধিকার করেছেন, আর শ্রীলঙ্কার গভর্নর নন্দলাল উইরাসিংহে পেয়েছেন ‘এ’ গ্রেড। অন্যদিকে, ২০২৩ সালের মূল্যায়নে বাংলাদেশের সাবেক গভর্নর আবদুর রউফ তালুকদার পেয়েছিলেন ‘ডি’ গ্রেড। ফলে এবারের প্রতিবেদনে বাংলাদেশ ব্যাংকের অবস্থান এক ধাপ উন্নত হয়েছে।
গ্লোবাল ফাইন্যান্স মন্তব্য করেছে, ড. আহসান এইচ মনসুরের নীতি-দিকনির্দেশনা যুক্তিসংগত হলেও বাস্তবায়নের গতি তুলনামূলক ধীর। জনগণের আস্থা পুরোপুরি ফিরে না আসায় কেন্দ্রীয় ব্যাংকের নীতি প্রয়োগে কাঙ্ক্ষিত ফল দৃশ্যমান নয়। অর্থনীতিবিদদের ভাষায়, ‘সি’ গ্রেড মানে নীতিগত দিক সঠিক পথে থাকলেও এর কার্যকারিতা বা বাস্তব পরিবর্তনের প্রতিফলন এখনো স্পষ্ট হয়নি।
মুদ্রাস্ফীতি, ঋণ অনিয়ম, ডলারের অস্থিরতা ও রিজার্ভসংকট এখনো নিয়ন্ত্রণে আসেনি, আর দেউলিয়া আইন ও ব্যাংক পরিচালনায় জবাবদিহি বৃদ্ধিতেও তেমন অগ্রগতি হয়নি। তবে রিপো রেট ৮.৫ থেকে ১০ শতাংশে বাড়িয়ে মুদ্রাস্ফীতি কিছুটা নিয়ন্ত্রণে আনতে সক্ষম হলেও প্রবৃদ্ধি কমে ২০২৫ অর্থবছরে জিডিপি ৩.৯ শতাংশে নেমেছে; যা গত এক দশকের গড় ৬ শতাংশের তুলনায় উল্লেখযোগ্যভাবে কম। ফলে সংস্কারের বাস্তবায়নই এখন গভর্নর আহসান এইচ মনসুরের মূল চ্যালেঞ্জ।

শিল্প খাতে গ্যাসের অস্বাভাবিক মূল্যবৃদ্ধিতে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করে অবিলম্বে দাম পুনর্বিবেচনার দাবি জানিয়েছেন দেশের শীর্ষস্থানীয় ১১টি ব্যবসায়িক সংগঠনের নেতা ও দুটি শিল্পগোষ্ঠীর উদ্যোক্তা। তাঁরা বলেছেন, এই অযৌক্তিক মূল্যবৃদ্ধি শিল্প ও বাণিজ্যের মারাত্মক ক্ষতি করবে।
২১ এপ্রিল ২০২৫
বাংলাদেশের এলডিসি উত্তরণ তিন বছর পিছিয়ে দেওয়ার জন্য জাতিসংঘের প্রতি অনুরোধ জানিয়েছেন তৈরি পোশাক ও বস্ত্র খাতের ব্যবসায়ীরা। গতকাল সোমবার রাজধানীতে জাতিসংঘ মিশনের প্রতিনিধিদের সঙ্গে এক কৌশলগত পরামর্শ সভায় ব্যবসায়ী নেতারা এই অনুরোধ করেন। এ সময় তাঁরা বলেন, বাংলাদেশকে এলডিসি উত্তরণের পথে স্থিতিশীল রাখতে
২৮ মিনিট আগে
‘লেনদেন হচ্ছে ক্যাশলেস, এগিয়ে যাচ্ছে বাংলাদেশ’—এই প্রতিপাদ্যে বাংলাদেশ ব্যাংকের উদ্যোগে পূবালী ব্যাংক পিএলসির ব্যবস্থাপনায় রংপুরে ‘ক্যাশলেস বাংলাদেশ উদ্যোগ’ কার্যক্রম সম্প্রসারণ-বিষয়ক সেমিনার রংপুর শিল্পকলা অডিটরিয়ামে অনুষ্ঠিত হয়েছে। বাংলাদেশ ব্যাংকের আয়োজনে এই সেমিনারের লিড ব্যাংক হিসেবে ছিল পূবালী
২ ঘণ্টা আগে
তিনি বলেন, বর্তমানে বাংলাদেশে প্রক্রিয়াজাত খাদ্যপণ্যের বাজার ৪ দশমিক ৮ বিলিয়ন ডলারের, যা ২০৩০ সালে প্রায় ৬ বিলিয়নে উন্নীত হবে। অন্যদিকে এসব খাবারের রপ্তানি খাতে অবদান দিন দিন বাড়ছে। তবে সার্বিক রপ্তানির প্রায় ৬০ শতাংশ পণ্যের গন্তব্য বিশ্বের মাত্র পাঁচটি দেশে। পাশাপাশি পাঁচ ধরনের খাদ্যপণ্য রপ্তানির
২ ঘণ্টা আগেজাতিসংঘ মিশনের সঙ্গে বৈঠক
নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

বাংলাদেশের এলডিসি উত্তরণ তিন বছর পিছিয়ে দেওয়ার জন্য জাতিসংঘের প্রতি অনুরোধ জানিয়েছেন তৈরি পোশাক ও বস্ত্র খাতের ব্যবসায়ীরা। গতকাল সোমবার রাজধানীতে জাতিসংঘ মিশনের প্রতিনিধিদের সঙ্গে এক কৌশলগত পরামর্শ সভায় ব্যবসায়ী নেতারা এই অনুরোধ করেন। এ সময় তাঁরা বলেন, বাংলাদেশকে এলডিসি উত্তরণের পথে স্থিতিশীল রাখতে অভ্যন্তরীণ ও আন্তর্জাতিক উভয় স্তরেই নীতিসহায়তা প্রয়োজন।
এলডিসি থেকে উত্তরণে বাংলাদেশের প্রস্তুতি কেমন, তা জানতে জাতিসংঘের এলডিসি-বিষয়ক কার্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত পরিচালক রোনাল্ড মোলেরুসের নেতৃত্বাধীন একটি মিশন চার দিনের সফরে এখন ঢাকায় অবস্থান করছে। আজ মঙ্গলবার রাজধানীর গুলশানে ইউএন হাউসে বাংলাদেশের ব্যবসায়ীদের সঙ্গে বৈঠক করেন জাতিসংঘ মিশনের প্রতিনিধিরা। কৌশলগত এই পরামর্শ সভায় তৈরি পোশাক ও বস্ত্র খাতের ব্যবসায়ী প্রতিনিধিদলের নেতৃত্ব দেন তৈরি পোশাকশিল্প মালিকদের সংগঠন বিজিএমইএ সভাপতি মাহমুদ হাসান খান।
এ সময় বিজিএমইএর সভাপতি বলেন, এলডিসি উত্তরণের এই সন্ধিক্ষণে বাংলাদেশের তৈরি পোশাকশিল্প ক্রমবর্ধমান পরিচালন ব্যয় ও অবকাঠামোগত প্রতিবন্ধকতার মুখে। বিশেষ করে ২০১৬ থেকে ২০২৩ সাল পর্যন্ত গ্যাসের মূল্য বেড়েছে ২৮৬ শতাংশ। চলতি বছরের এপ্রিল মাসে ক্যাপটিভ ও শিল্প খাতে গ্যাসের দাম যথাক্রমে ৪০ ও ৩৩ দশমিক ৩৩ শতাংশ বাড়ানো হয়েছে। ফলে উৎপাদন সক্ষমতা মারাত্মকভাবে ব্যাহত হয়েছে। এ ছাড়া ২৭ শতাংশ খেলাপি ঋণ এবং ব্যাংক সুদের হার ১৫ শতাংশ পর্যন্ত বৃদ্ধি পাওয়ায় বেসরকারি বিনিয়োগ নিরুৎসাহিত হচ্ছে।
আসন্ন জাতীয় নির্বাচন কেন্দ্র করে ক্রয়াদেশ হ্রাসের প্রবণতা এবং এলডিসির উত্তরণ কৌশল বাস্তবায়নে সমন্বয়হীনতা নিয়ে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেন বিজিএমইএ সভাপতি। তিনি সতর্ক করে বলেন, দেশের শিল্পে তেমন বৈচিত্র্য নেই। সেই সঙ্গে কাঁচামালের আমদানিনির্ভরতা আছে, এসব কিছু দীর্ঘমেয়াদি অর্থনৈতিক স্থিতিশীলতার জন্য বড় ঝুঁকি।
সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন নিট পোশাকশিল্প মালিকদের সংগঠন বিকেএমইএর সভাপতি মোহাম্মদ হাতেম, নির্বাহী সভাপতি ফজলে শামীম এহসান, বাংলাদেশ টেরিটাওয়েল অ্যান্ড লিনেন ম্যানুফ্যাকচারার্স অ্যান্ড এক্সপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশনের (বিটিটিএলএমইএ) চেয়ারম্যান হোসেন মেহমুদ, বিজিএমইএর পরিচালক ফয়সাল সামাদ, সাবেক পরিচালক শরীফ জহির প্রমুখ।
এলডিসি উত্তরণ কীভাবে স্থিতিশীল করা যায়, সে লক্ষ্যে সরকার ও উন্নয়ন অংশীদারদের জন্য কিছু সুনির্দিষ্ট সুপারিশ পেশ করেন ব্যবসায়ী নেতারা। তাঁদের দেওয়া স্বল্পমেয়াদি সুপারিশের মধ্যে আছে ডব্লিউটিওর সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে বিকল্প প্রণোদনা চালু, ব্যাংক সুদের হার হ্রাস ও ইডিএফ পুনঃপ্রবর্তনের মাধ্যমে অর্থনৈতিক চাপ কমানো, নিরবচ্ছিন্ন জ্বালানি সরবরাহ নিশ্চিত ও লজিস্টিকস অদক্ষতা (বন্দর ও শুল্ক) দূর করা। মধ্যমেয়াদি সুপারিশের মধ্যে আছে ব্যাংকিং খাতে সুশাসন প্রতিষ্ঠা, খেলাপি ঋণ হ্রাস, দ্রুত গভীর সমুদ্রবন্দর ও অর্থনৈতিক অঞ্চল নির্মাণ, দক্ষতা উন্নয়ন ও প্রযুক্তিগত আধুনিকায়নে বিনিয়োগের মাধ্যমে শিল্পের কাঠামোগত ভিত্তি মজবুত করা।
বিকেএমইএ সভাপতি মোহাম্মদ হাতেম বলেন, ‘ব্যাংক লুটপাট, উচ্চ সুদহারসহ বিভিন্ন চ্যালেঞ্জের কারণে বাংলাদেশের শিল্পকারখানা বর্তমানে আইসিইউতে আছে। এ অবস্থায় রোগীকে (শিল্প) সুস্থ অবস্থায় আনতে সহায়তা অব্যাহত রাখতে হবে; তা না হলে রোগীকে (শিল্প) বাঁচানো যাবে না—এমন উদাহরণ দিয়ে এলডিসি উত্তরণ পেছানোর অনুরোধ করেছি আমরা।’
সফল এলডিসি উত্তরণের পর সব উন্নত ও উন্নয়নশীল দেশের বাজারে কমপক্ষে তিন বছরের জন্য মসৃণ উত্তরণকাল নিশ্চিত করা দরকার বলে মত দেন বিজিএমইএ সভাপতি। একই সঙ্গে শিল্পের বৈশ্বিক প্রতিযোগিতা সক্ষমতা অক্ষুণ্ন রাখা এবং পরিবেশবান্ধব রূপান্তরের জন্য স্বল্প সুদের মিশ্র অর্থায়ন এবং প্রয়োজনীয় প্রযুক্তিগত সহায়তা দিতে আন্তর্জাতিক সংস্থার ভূমিকা প্রত্যাশা করেন তিনি।
বৈঠকে পোশাক ও বস্ত্র খাতের নেতারা শিল্পের প্রবৃদ্ধি অব্যাহত রাখতে নিরবচ্ছিন্ন জ্বালানি সরবরাহ, ডিকার্বনাইজেশন বিনিয়োগে সহায়তা দান এবং প্রযুক্তি অভিযোজন এবং সার্কুলার ইকোনমি কর্মসূচিতে সহায়তার ওপর গুরুত্বারোপ করেছেন।

বাংলাদেশের এলডিসি উত্তরণ তিন বছর পিছিয়ে দেওয়ার জন্য জাতিসংঘের প্রতি অনুরোধ জানিয়েছেন তৈরি পোশাক ও বস্ত্র খাতের ব্যবসায়ীরা। গতকাল সোমবার রাজধানীতে জাতিসংঘ মিশনের প্রতিনিধিদের সঙ্গে এক কৌশলগত পরামর্শ সভায় ব্যবসায়ী নেতারা এই অনুরোধ করেন। এ সময় তাঁরা বলেন, বাংলাদেশকে এলডিসি উত্তরণের পথে স্থিতিশীল রাখতে অভ্যন্তরীণ ও আন্তর্জাতিক উভয় স্তরেই নীতিসহায়তা প্রয়োজন।
এলডিসি থেকে উত্তরণে বাংলাদেশের প্রস্তুতি কেমন, তা জানতে জাতিসংঘের এলডিসি-বিষয়ক কার্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত পরিচালক রোনাল্ড মোলেরুসের নেতৃত্বাধীন একটি মিশন চার দিনের সফরে এখন ঢাকায় অবস্থান করছে। আজ মঙ্গলবার রাজধানীর গুলশানে ইউএন হাউসে বাংলাদেশের ব্যবসায়ীদের সঙ্গে বৈঠক করেন জাতিসংঘ মিশনের প্রতিনিধিরা। কৌশলগত এই পরামর্শ সভায় তৈরি পোশাক ও বস্ত্র খাতের ব্যবসায়ী প্রতিনিধিদলের নেতৃত্ব দেন তৈরি পোশাকশিল্প মালিকদের সংগঠন বিজিএমইএ সভাপতি মাহমুদ হাসান খান।
এ সময় বিজিএমইএর সভাপতি বলেন, এলডিসি উত্তরণের এই সন্ধিক্ষণে বাংলাদেশের তৈরি পোশাকশিল্প ক্রমবর্ধমান পরিচালন ব্যয় ও অবকাঠামোগত প্রতিবন্ধকতার মুখে। বিশেষ করে ২০১৬ থেকে ২০২৩ সাল পর্যন্ত গ্যাসের মূল্য বেড়েছে ২৮৬ শতাংশ। চলতি বছরের এপ্রিল মাসে ক্যাপটিভ ও শিল্প খাতে গ্যাসের দাম যথাক্রমে ৪০ ও ৩৩ দশমিক ৩৩ শতাংশ বাড়ানো হয়েছে। ফলে উৎপাদন সক্ষমতা মারাত্মকভাবে ব্যাহত হয়েছে। এ ছাড়া ২৭ শতাংশ খেলাপি ঋণ এবং ব্যাংক সুদের হার ১৫ শতাংশ পর্যন্ত বৃদ্ধি পাওয়ায় বেসরকারি বিনিয়োগ নিরুৎসাহিত হচ্ছে।
আসন্ন জাতীয় নির্বাচন কেন্দ্র করে ক্রয়াদেশ হ্রাসের প্রবণতা এবং এলডিসির উত্তরণ কৌশল বাস্তবায়নে সমন্বয়হীনতা নিয়ে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেন বিজিএমইএ সভাপতি। তিনি সতর্ক করে বলেন, দেশের শিল্পে তেমন বৈচিত্র্য নেই। সেই সঙ্গে কাঁচামালের আমদানিনির্ভরতা আছে, এসব কিছু দীর্ঘমেয়াদি অর্থনৈতিক স্থিতিশীলতার জন্য বড় ঝুঁকি।
সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন নিট পোশাকশিল্প মালিকদের সংগঠন বিকেএমইএর সভাপতি মোহাম্মদ হাতেম, নির্বাহী সভাপতি ফজলে শামীম এহসান, বাংলাদেশ টেরিটাওয়েল অ্যান্ড লিনেন ম্যানুফ্যাকচারার্স অ্যান্ড এক্সপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশনের (বিটিটিএলএমইএ) চেয়ারম্যান হোসেন মেহমুদ, বিজিএমইএর পরিচালক ফয়সাল সামাদ, সাবেক পরিচালক শরীফ জহির প্রমুখ।
এলডিসি উত্তরণ কীভাবে স্থিতিশীল করা যায়, সে লক্ষ্যে সরকার ও উন্নয়ন অংশীদারদের জন্য কিছু সুনির্দিষ্ট সুপারিশ পেশ করেন ব্যবসায়ী নেতারা। তাঁদের দেওয়া স্বল্পমেয়াদি সুপারিশের মধ্যে আছে ডব্লিউটিওর সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে বিকল্প প্রণোদনা চালু, ব্যাংক সুদের হার হ্রাস ও ইডিএফ পুনঃপ্রবর্তনের মাধ্যমে অর্থনৈতিক চাপ কমানো, নিরবচ্ছিন্ন জ্বালানি সরবরাহ নিশ্চিত ও লজিস্টিকস অদক্ষতা (বন্দর ও শুল্ক) দূর করা। মধ্যমেয়াদি সুপারিশের মধ্যে আছে ব্যাংকিং খাতে সুশাসন প্রতিষ্ঠা, খেলাপি ঋণ হ্রাস, দ্রুত গভীর সমুদ্রবন্দর ও অর্থনৈতিক অঞ্চল নির্মাণ, দক্ষতা উন্নয়ন ও প্রযুক্তিগত আধুনিকায়নে বিনিয়োগের মাধ্যমে শিল্পের কাঠামোগত ভিত্তি মজবুত করা।
বিকেএমইএ সভাপতি মোহাম্মদ হাতেম বলেন, ‘ব্যাংক লুটপাট, উচ্চ সুদহারসহ বিভিন্ন চ্যালেঞ্জের কারণে বাংলাদেশের শিল্পকারখানা বর্তমানে আইসিইউতে আছে। এ অবস্থায় রোগীকে (শিল্প) সুস্থ অবস্থায় আনতে সহায়তা অব্যাহত রাখতে হবে; তা না হলে রোগীকে (শিল্প) বাঁচানো যাবে না—এমন উদাহরণ দিয়ে এলডিসি উত্তরণ পেছানোর অনুরোধ করেছি আমরা।’
সফল এলডিসি উত্তরণের পর সব উন্নত ও উন্নয়নশীল দেশের বাজারে কমপক্ষে তিন বছরের জন্য মসৃণ উত্তরণকাল নিশ্চিত করা দরকার বলে মত দেন বিজিএমইএ সভাপতি। একই সঙ্গে শিল্পের বৈশ্বিক প্রতিযোগিতা সক্ষমতা অক্ষুণ্ন রাখা এবং পরিবেশবান্ধব রূপান্তরের জন্য স্বল্প সুদের মিশ্র অর্থায়ন এবং প্রয়োজনীয় প্রযুক্তিগত সহায়তা দিতে আন্তর্জাতিক সংস্থার ভূমিকা প্রত্যাশা করেন তিনি।
বৈঠকে পোশাক ও বস্ত্র খাতের নেতারা শিল্পের প্রবৃদ্ধি অব্যাহত রাখতে নিরবচ্ছিন্ন জ্বালানি সরবরাহ, ডিকার্বনাইজেশন বিনিয়োগে সহায়তা দান এবং প্রযুক্তি অভিযোজন এবং সার্কুলার ইকোনমি কর্মসূচিতে সহায়তার ওপর গুরুত্বারোপ করেছেন।

শিল্প খাতে গ্যাসের অস্বাভাবিক মূল্যবৃদ্ধিতে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করে অবিলম্বে দাম পুনর্বিবেচনার দাবি জানিয়েছেন দেশের শীর্ষস্থানীয় ১১টি ব্যবসায়িক সংগঠনের নেতা ও দুটি শিল্পগোষ্ঠীর উদ্যোক্তা। তাঁরা বলেছেন, এই অযৌক্তিক মূল্যবৃদ্ধি শিল্প ও বাণিজ্যের মারাত্মক ক্ষতি করবে।
২১ এপ্রিল ২০২৫
আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) সাবেক কর্মকর্তা ও দেশের জ্যেষ্ঠ অর্থনীতিবিদ ড. আহসান এইচ মনসুর ২০২৪ সালের ১৪ আগস্ট বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণ করেন। দায়িত্ব নেওয়ার পর থেকেই তিনি ব্যাংক ও আর্থিক খাতে সংস্কারের ধারাবাহিক উদ্যোগে মনোনিবেশ করেন। তবে নীতিগত দিকনির্দেশনা সঠিক পথে থাক
৩ মিনিট আগে
‘লেনদেন হচ্ছে ক্যাশলেস, এগিয়ে যাচ্ছে বাংলাদেশ’—এই প্রতিপাদ্যে বাংলাদেশ ব্যাংকের উদ্যোগে পূবালী ব্যাংক পিএলসির ব্যবস্থাপনায় রংপুরে ‘ক্যাশলেস বাংলাদেশ উদ্যোগ’ কার্যক্রম সম্প্রসারণ-বিষয়ক সেমিনার রংপুর শিল্পকলা অডিটরিয়ামে অনুষ্ঠিত হয়েছে। বাংলাদেশ ব্যাংকের আয়োজনে এই সেমিনারের লিড ব্যাংক হিসেবে ছিল পূবালী
২ ঘণ্টা আগে
তিনি বলেন, বর্তমানে বাংলাদেশে প্রক্রিয়াজাত খাদ্যপণ্যের বাজার ৪ দশমিক ৮ বিলিয়ন ডলারের, যা ২০৩০ সালে প্রায় ৬ বিলিয়নে উন্নীত হবে। অন্যদিকে এসব খাবারের রপ্তানি খাতে অবদান দিন দিন বাড়ছে। তবে সার্বিক রপ্তানির প্রায় ৬০ শতাংশ পণ্যের গন্তব্য বিশ্বের মাত্র পাঁচটি দেশে। পাশাপাশি পাঁচ ধরনের খাদ্যপণ্য রপ্তানির
২ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

‘লেনদেন হচ্ছে ক্যাশলেস, এগিয়ে যাচ্ছে বাংলাদেশ’—এই প্রতিপাদ্যে বাংলাদেশ ব্যাংকের উদ্যোগে পূবালী ব্যাংক পিএলসির ব্যবস্থাপনায় রংপুরে ‘ক্যাশলেস বাংলাদেশ উদ্যোগ’ কার্যক্রম সম্প্রসারণ বিষয়ক সেমিনার রংপুর শিল্পকলা অডিটরিয়ামে অনুষ্ঠিত হয়েছে। বাংলাদেশ ব্যাংকের আয়োজনে এই সেমিনারের লিড ব্যাংক হিসেবে ছিল পূবালী ব্যাংক পিএলসি।
সেমিনারে নগদবিহীন লেনদেনের প্রসার, ডিজিটাল পেমেন্ট ব্যবস্থার গুরুত্ব এবং আধুনিক ব্যাংকিং সেবার সম্ভাবনা নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা হয়।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্বাহী পরিচালক ও মুখপাত্র আরিফ হোসেন খান। বিশেষ অতিথি ছিলেন বাংলাদেশ ব্যাংক রংপুর অফিসের নির্বাহী পরিচালক মো. আলী মাহমুদ, পূবালী ব্যাংক পিএলসির ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও সিইও মোহাম্মদ আলী, রংপুরের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক ক্রিষ্টোফার হিমেল রিছিল এবং রংপুর চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিজের সভাপতি এমদাদুল হোসেন। অনুষ্ঠানের সভাপতিত্ব করেন বাংলাদেশ ব্যাংক প্রধান কার্যালয়ের পরিচালক (পেমেন্ট সিস্টেমস বিভাগ) রাফেজা আখতার কান্তা।
এ সময় সেমিনারে আরও উপস্থিত ছিলেন পূবালী ব্যাংকের উপব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. শাহনেওয়াজ খান, জেনারেল ব্যাংকিং ও অপারেশন বিভাগের মহাব্যবস্থাপক মো. ফয়জুল হক শরীফ, উপমহাব্যবস্থাপক ও এডিসি বিভাগের প্রধান মো. রবিউল আলম, রংপুর অঞ্চল প্রধান ও উপমহাব্যবস্থাপক মো. আলতাব হোসেনসহ বাংলাদেশ ব্যাংকের কর্মকর্তাবৃন্দ, রংপুর জেলার সরকারি ও বেসরকারি বাণিজ্যিক ব্যাংকের শাখা ব্যবস্থাপকবৃন্দ, আঞ্চলিক মোবাইল ফাইন্যান্সিয়াল সার্ভিস (MFS) এর কর্মকর্তাবৃন্দ, রংপুর অঞ্চলের ব্যবসায়ী ও মার্চেন্ট অ্যাসোসিয়েশনের প্রতিনিধিবৃন্দ অংশগ্রহণ করেন। ক্যাশলেস বাংলাদেশ উদ্যোগ কার্যক্রম সম্প্রসারণ ক্যাম্পেইন উপলক্ষে রংপুরে বর্ণাঢ্য র্যালি, সেমিনার এবং ব্যাংকিং ক্যাম্পেইন অনুষ্ঠিত হয়।
প্রধান অতিথির বক্তব্য বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্বাহী পরিচালক ও মুখপাত্র আরিফ হোসেন খান বলেন, ‘ক্যাশলেস বাংলাদেশ’ উদ্যোগ বাস্তবায়নের মাধ্যমে দেশের অর্থনীতিতে স্বচ্ছতা, দক্ষতা এবং লেনদেনে নিরাপত্তা নিশ্চিত হবে। এ ছাড়া ডিজিটাল পেমেন্ট ব্যবস্থার সম্প্রসারণ গ্রামীণ ও প্রান্তিক পর্যায়ের মানুষকে আর্থিক অন্তর্ভুক্তির আওতায় আনবে।
সেমিনারে পূবালী ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও সিইও মোহাম্মদ আলী বলেন, ‘ডিজিটাল লেনদেনের বিস্তারে দেশের অর্থনীতি হবে আরও স্বচ্ছ, গতিশীল ও নিরাপদ। পূবালী ব্যাংক গ্রাহকদের সহজ, দ্রুত ও আধুনিক ব্যাংকিং সেবা দিতে ডিজিটাল প্ল্যাটফর্মে কাজ করছে। আমরা বিশ্বাস করি, ক্যাশলেস বাংলাদেশ গড়ে উঠলে দুর্নীতি কমবে, রাজস্ব বাড়বে এবং গ্রামীণ অর্থনীতি আরও শক্তিশালী হবে। পূবালী ব্যাংক এই রূপান্তরের অংশ হতে গর্বিত।’

‘লেনদেন হচ্ছে ক্যাশলেস, এগিয়ে যাচ্ছে বাংলাদেশ’—এই প্রতিপাদ্যে বাংলাদেশ ব্যাংকের উদ্যোগে পূবালী ব্যাংক পিএলসির ব্যবস্থাপনায় রংপুরে ‘ক্যাশলেস বাংলাদেশ উদ্যোগ’ কার্যক্রম সম্প্রসারণ বিষয়ক সেমিনার রংপুর শিল্পকলা অডিটরিয়ামে অনুষ্ঠিত হয়েছে। বাংলাদেশ ব্যাংকের আয়োজনে এই সেমিনারের লিড ব্যাংক হিসেবে ছিল পূবালী ব্যাংক পিএলসি।
সেমিনারে নগদবিহীন লেনদেনের প্রসার, ডিজিটাল পেমেন্ট ব্যবস্থার গুরুত্ব এবং আধুনিক ব্যাংকিং সেবার সম্ভাবনা নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা হয়।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্বাহী পরিচালক ও মুখপাত্র আরিফ হোসেন খান। বিশেষ অতিথি ছিলেন বাংলাদেশ ব্যাংক রংপুর অফিসের নির্বাহী পরিচালক মো. আলী মাহমুদ, পূবালী ব্যাংক পিএলসির ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও সিইও মোহাম্মদ আলী, রংপুরের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক ক্রিষ্টোফার হিমেল রিছিল এবং রংপুর চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিজের সভাপতি এমদাদুল হোসেন। অনুষ্ঠানের সভাপতিত্ব করেন বাংলাদেশ ব্যাংক প্রধান কার্যালয়ের পরিচালক (পেমেন্ট সিস্টেমস বিভাগ) রাফেজা আখতার কান্তা।
এ সময় সেমিনারে আরও উপস্থিত ছিলেন পূবালী ব্যাংকের উপব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. শাহনেওয়াজ খান, জেনারেল ব্যাংকিং ও অপারেশন বিভাগের মহাব্যবস্থাপক মো. ফয়জুল হক শরীফ, উপমহাব্যবস্থাপক ও এডিসি বিভাগের প্রধান মো. রবিউল আলম, রংপুর অঞ্চল প্রধান ও উপমহাব্যবস্থাপক মো. আলতাব হোসেনসহ বাংলাদেশ ব্যাংকের কর্মকর্তাবৃন্দ, রংপুর জেলার সরকারি ও বেসরকারি বাণিজ্যিক ব্যাংকের শাখা ব্যবস্থাপকবৃন্দ, আঞ্চলিক মোবাইল ফাইন্যান্সিয়াল সার্ভিস (MFS) এর কর্মকর্তাবৃন্দ, রংপুর অঞ্চলের ব্যবসায়ী ও মার্চেন্ট অ্যাসোসিয়েশনের প্রতিনিধিবৃন্দ অংশগ্রহণ করেন। ক্যাশলেস বাংলাদেশ উদ্যোগ কার্যক্রম সম্প্রসারণ ক্যাম্পেইন উপলক্ষে রংপুরে বর্ণাঢ্য র্যালি, সেমিনার এবং ব্যাংকিং ক্যাম্পেইন অনুষ্ঠিত হয়।
প্রধান অতিথির বক্তব্য বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্বাহী পরিচালক ও মুখপাত্র আরিফ হোসেন খান বলেন, ‘ক্যাশলেস বাংলাদেশ’ উদ্যোগ বাস্তবায়নের মাধ্যমে দেশের অর্থনীতিতে স্বচ্ছতা, দক্ষতা এবং লেনদেনে নিরাপত্তা নিশ্চিত হবে। এ ছাড়া ডিজিটাল পেমেন্ট ব্যবস্থার সম্প্রসারণ গ্রামীণ ও প্রান্তিক পর্যায়ের মানুষকে আর্থিক অন্তর্ভুক্তির আওতায় আনবে।
সেমিনারে পূবালী ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও সিইও মোহাম্মদ আলী বলেন, ‘ডিজিটাল লেনদেনের বিস্তারে দেশের অর্থনীতি হবে আরও স্বচ্ছ, গতিশীল ও নিরাপদ। পূবালী ব্যাংক গ্রাহকদের সহজ, দ্রুত ও আধুনিক ব্যাংকিং সেবা দিতে ডিজিটাল প্ল্যাটফর্মে কাজ করছে। আমরা বিশ্বাস করি, ক্যাশলেস বাংলাদেশ গড়ে উঠলে দুর্নীতি কমবে, রাজস্ব বাড়বে এবং গ্রামীণ অর্থনীতি আরও শক্তিশালী হবে। পূবালী ব্যাংক এই রূপান্তরের অংশ হতে গর্বিত।’

শিল্প খাতে গ্যাসের অস্বাভাবিক মূল্যবৃদ্ধিতে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করে অবিলম্বে দাম পুনর্বিবেচনার দাবি জানিয়েছেন দেশের শীর্ষস্থানীয় ১১টি ব্যবসায়িক সংগঠনের নেতা ও দুটি শিল্পগোষ্ঠীর উদ্যোক্তা। তাঁরা বলেছেন, এই অযৌক্তিক মূল্যবৃদ্ধি শিল্প ও বাণিজ্যের মারাত্মক ক্ষতি করবে।
২১ এপ্রিল ২০২৫
আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) সাবেক কর্মকর্তা ও দেশের জ্যেষ্ঠ অর্থনীতিবিদ ড. আহসান এইচ মনসুর ২০২৪ সালের ১৪ আগস্ট বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণ করেন। দায়িত্ব নেওয়ার পর থেকেই তিনি ব্যাংক ও আর্থিক খাতে সংস্কারের ধারাবাহিক উদ্যোগে মনোনিবেশ করেন। তবে নীতিগত দিকনির্দেশনা সঠিক পথে থাক
৩ মিনিট আগে
বাংলাদেশের এলডিসি উত্তরণ তিন বছর পিছিয়ে দেওয়ার জন্য জাতিসংঘের প্রতি অনুরোধ জানিয়েছেন তৈরি পোশাক ও বস্ত্র খাতের ব্যবসায়ীরা। গতকাল সোমবার রাজধানীতে জাতিসংঘ মিশনের প্রতিনিধিদের সঙ্গে এক কৌশলগত পরামর্শ সভায় ব্যবসায়ী নেতারা এই অনুরোধ করেন। এ সময় তাঁরা বলেন, বাংলাদেশকে এলডিসি উত্তরণের পথে স্থিতিশীল রাখতে
২৮ মিনিট আগে
তিনি বলেন, বর্তমানে বাংলাদেশে প্রক্রিয়াজাত খাদ্যপণ্যের বাজার ৪ দশমিক ৮ বিলিয়ন ডলারের, যা ২০৩০ সালে প্রায় ৬ বিলিয়নে উন্নীত হবে। অন্যদিকে এসব খাবারের রপ্তানি খাতে অবদান দিন দিন বাড়ছে। তবে সার্বিক রপ্তানির প্রায় ৬০ শতাংশ পণ্যের গন্তব্য বিশ্বের মাত্র পাঁচটি দেশে। পাশাপাশি পাঁচ ধরনের খাদ্যপণ্য রপ্তানির
২ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

এলডিসি থেকে উত্তরণের পর প্রক্রিয়াজাত কৃষি ও খাদ্যপণ্য শিল্প খাত বর্তমানে নগদ প্রণোদনা ও আমদানি করা উপকরণের ওপর শুল্কছাড়সহ যেসব সুবিধা ভোগ করছে, তা থাকবে না। তখন বিদেশি কোম্পানিগুলো দেশের বাজারে প্রবেশ করবে। এতে চরম প্রতিযোগিতায় পড়বে দেশীয় কোম্পানিগুলো। এখনই বৈশ্বিক বাজারে রপ্তানি বাড়ানোর উদ্যোগ না নিলে এই চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করা কষ্টকর হবে তাদের জন্য। তাই রপ্তানির বাধাগুলো দূর করে প্রস্তুতি নেওয়ার পরামর্শ দেন বিশ্লেষকেরা।
এলডিসি থেকে উত্তরণের পর এ খাতের সামর্থ্য বাড়ানোর জন্য বিকল্প সহায়তা খোঁজার পরামর্শও দেন তাঁরা। এর মধ্যে রয়েছে সুদের হার সমন্বয়ের মাধ্যমে কম খরচে অর্থায়ন, উন্নত প্রযুক্তি ব্যবহারের জন্য প্রণোদনা।
‘কৃষি ও কৃষি প্রক্রিয়াজাত শিল্প: জাতীয় উন্নয়নে সম্ভাবনা ও চ্যালেঞ্জ’ শীর্ষক এক কর্মশালায় তাঁরা এই পরামর্শ দেন।
আজ মঙ্গলবার রাজধানীর গুলশানে একটি হোটেলে এটি অনুষ্ঠিত হয়েছে। দেশের অন্যতম কৃষি প্রক্রিয়াজাত শিল্পগ্রুপ প্রাণের উদ্যোগে আয়োজিত কর্মশালায় মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগের (সিপিডি) গবেষণা পরিচালক ড. খন্দকার গোলাম মোয়াজ্জেম।
খন্দকার গোলাম বলেন, বর্তমানে বাংলাদেশে প্রক্রিয়াজাত খাদ্যপণ্যের বাজার ৪ দশমিক ৮ বিলিয়ন ডলারের, যা ২০৩০ সালে প্রায় ৬ বিলিয়নে উন্নীত হবে। অন্যদিকে এসব খাবারের রপ্তানি খাতে অবদান দিন দিন বাড়ছে। তবে সার্বিক রপ্তানির প্রায় ৬০ শতাংশ পণ্যের গন্তব্য বিশ্বের মাত্র পাঁচটি দেশে। পাশাপাশি পাঁচ ধরনের খাদ্যপণ্য রপ্তানির পরিমাণ মোট রপ্তানির অর্ধেক। ফলে বাংলাদেশি প্রক্রিয়াজাত কৃষি বা খাদ্যপণ্যের রপ্তানির নতুন নতুন গন্তব্য সৃষ্টি ও পণ্য বহুমুখীকরণে দুর্বলতা রয়েছে। এতে এলডিসি উত্তরণে পরে এ খাত বিশাল চ্যালেঞ্জের মধ্যে পড়বে।
খন্দকার গোলাম মোয়াজ্জেম আরও বলেন, বাংলাদেশের কৃষি প্রক্রিয়াকরণ খাত প্রাথমিক কৃষি ও উৎপাদনের মধ্যে একটি গুরুত্বপূর্ণ মধ্যস্থতাকারীর ভূমিকা পালন করে। এটি জিডিপি, রপ্তানি বৈচিত্র্য ও গ্রামীণ কর্মসংস্থানে উল্লেখযোগ্য অবদান রাখে। কৌশলগত গুরুত্ব সত্ত্বেও খাতটি সম্ভাবনার তুলনায় পিছিয়ে রয়েছে, বিশেষ করে, মূল্য সংযোজনসহ বেশ কিছু ক্ষেত্রে।
সিপিডির গবেষণা পরিচালক বলেন, ‘রপ্তানি পণ্যের ক্ষেত্রে নতুন নতুন গন্তব্য ও বহুমুখী পণ্য উৎপাদনে আমরা পিছিয়ে রয়েছি। আমাদের পণ্যের এখনো মূল ক্রেতা ওই বাংলাদেশি প্রবাসীদের এথনিক মার্কেট। আর আমরা গতানুগতিক পণ্যের বাইরে বিশ্বের উন্নত দেশের মূল খাবারগুলো উৎপাদন করতে পারছি না। আমাদের উন্নত দেশের পণ্য উৎপাদন ও তাদের স্ট্যান্ডার্ড মেনে সেগুলো করতে হবে।’
কর্মশালায় ‘কৃষি ও কৃষি প্রক্রিয়াজাত শিল্পের বর্তমান প্রেক্ষাপট’ শীর্ষক আলোচনায় প্রাণ-আরএফএল গ্রুপের পরিচালক কামরুজ্জামান কামাল বলেন, ‘আমরা যেসব খাদ্যপণ্য উৎপাদন করি, তার অধিকাংশ কাঁচামাল স্থানীয়ভাবে কৃষকদের কাছ থেকে সংগ্রহ করে থাকি এবং ১৪৮টি দেশে রপ্তানি করছি।’
কামরুজ্জামান কামাল বলেন, ‘ফসল উৎপাদনে মাত্রাতিরিক্ত সার ও কীটনাশক ব্যবহারে অনেক ক্ষেত্রে এ দেশের খাদ্যপণ্য অনিরাপদ হচ্ছে, যেটা পণ্য প্রক্রিয়াজাতকারীদের জন্য ক্ষতির কারণ। আবার অনিরাপদ ফসলের জন্য অনেক কিছু দেশে উৎপাদন শর্তেও আমদানি করতে হচ্ছে। এ দেশে গ্যাপ (গুড অ্যাগ্রিকালচার প্র্যাকটিস) নেই, যে কারণে ফসল উৎপাদনের সময় ক্ষতিকারক পদার্থ মিশে যাচ্ছে, যা প্রক্রিয়াকরণের সময় আলাদা করা যাচ্ছে না। আবার আমাদের সংরক্ষণ ও সরবরাহপর্যায়ে দুর্বলতা রয়েছে। দেশের অনেক খাদ্যপণ্য এসব পর্যায়ে নষ্ট হচ্ছে, অনিরাপদ হচ্ছে। অন্যদিকে দেশে খাদ্যমান পরীক্ষার জন্য ভালো টেস্টিং ল্যাব নেই। আমরা বারবার সরকারকে একটি বিশ্বমানের ল্যাব প্রতিষ্ঠার জন্য বলেছি, সেটা হয়নি।’
কামরুজ্জামান আরও বলেন, এ দেশে রেগুলেটরি ও পলিসি সমস্যা রয়েছে। খাদ্যপণ্যের একটি ব্যবসা শুরু করতে প্রায় ৪২ সংস্থার অনুমতি নিতে হয়। এরপর ব্যবসা পরিচালনে মাত্রাতিরিক্ত নবায়ন ফি, লাইসেন্স ফিসহ নানা ফি দিতে হয়, যা পার্শ্ববর্তী দেশ কিংবা প্রতিযোগী যেকোনো দেশের চেয়ে বেশি।
কামরুজ্জামান কামাল বলেন, ‘বাংলাদেশের কৃষি প্রক্রিয়াজাত পণ্যের গুণমান এখন আন্তর্জাতিক মান অর্জন করেছে। দেশের গণমাধ্যম এই ইতিবাচক চিত্র তুলে ধরলে দেশীয় ব্র্যান্ডের প্রতি মানুষের আস্থা আরও বাড়বে। এর পাশাপাশি এ খাত এগিয়ে নিতে আরও বেশ কিছু চ্যালেঞ্জ রয়েছে। ট্যারিফ ব্যারিয়ার, শিপিং লাইন ও কনটেইনার ভাড়া বৃদ্ধি, সরকারের অপর্যাপ্ত ওয়্যারহাউস ফ্যাসিলিটি ও বাংলাদেশি পণ্য বিশ্বব্যাপী ব্র্যান্ডিংয়ের দুর্বলতার কারণে আমরা পিছিয়ে রয়েছি।’
কৃষি ও কৃষি প্রক্রিয়াজাত শিল্প সমৃদ্ধকরণে গণমাধ্যমের প্রভাব তুলে ধরে কর্মশালায় সাংবাদিক রিয়াজ আহমদ বলেন, গণমাধ্যম শুধু সংবাদ প্রচার করে না, বরং সমাজে দৃষ্টিভঙ্গি ও নীতিনির্ধারণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। কৃষি ও কৃষিপণ্য প্রক্রিয়াজাত খাতের সাফল্য, কৃষকদের গল্প, উদ্ভাবন ও বাজার সম্ভাবনা নিয়ে ধারাবাহিক ইতিবাচক প্রচারণা দেশের অর্থনীতিকে এগিয়ে নিতে সাহায্য করবে।
কর্মশালায় দেশে কৃষি ও প্রক্রিয়াজাত কৃষি খাত নিয়ে কাজ করা বিভিন্ন গণমাধ্যমের সাংবাদিকেরা উপস্থিত ছিলেন।

এলডিসি থেকে উত্তরণের পর প্রক্রিয়াজাত কৃষি ও খাদ্যপণ্য শিল্প খাত বর্তমানে নগদ প্রণোদনা ও আমদানি করা উপকরণের ওপর শুল্কছাড়সহ যেসব সুবিধা ভোগ করছে, তা থাকবে না। তখন বিদেশি কোম্পানিগুলো দেশের বাজারে প্রবেশ করবে। এতে চরম প্রতিযোগিতায় পড়বে দেশীয় কোম্পানিগুলো। এখনই বৈশ্বিক বাজারে রপ্তানি বাড়ানোর উদ্যোগ না নিলে এই চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করা কষ্টকর হবে তাদের জন্য। তাই রপ্তানির বাধাগুলো দূর করে প্রস্তুতি নেওয়ার পরামর্শ দেন বিশ্লেষকেরা।
এলডিসি থেকে উত্তরণের পর এ খাতের সামর্থ্য বাড়ানোর জন্য বিকল্প সহায়তা খোঁজার পরামর্শও দেন তাঁরা। এর মধ্যে রয়েছে সুদের হার সমন্বয়ের মাধ্যমে কম খরচে অর্থায়ন, উন্নত প্রযুক্তি ব্যবহারের জন্য প্রণোদনা।
‘কৃষি ও কৃষি প্রক্রিয়াজাত শিল্প: জাতীয় উন্নয়নে সম্ভাবনা ও চ্যালেঞ্জ’ শীর্ষক এক কর্মশালায় তাঁরা এই পরামর্শ দেন।
আজ মঙ্গলবার রাজধানীর গুলশানে একটি হোটেলে এটি অনুষ্ঠিত হয়েছে। দেশের অন্যতম কৃষি প্রক্রিয়াজাত শিল্পগ্রুপ প্রাণের উদ্যোগে আয়োজিত কর্মশালায় মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগের (সিপিডি) গবেষণা পরিচালক ড. খন্দকার গোলাম মোয়াজ্জেম।
খন্দকার গোলাম বলেন, বর্তমানে বাংলাদেশে প্রক্রিয়াজাত খাদ্যপণ্যের বাজার ৪ দশমিক ৮ বিলিয়ন ডলারের, যা ২০৩০ সালে প্রায় ৬ বিলিয়নে উন্নীত হবে। অন্যদিকে এসব খাবারের রপ্তানি খাতে অবদান দিন দিন বাড়ছে। তবে সার্বিক রপ্তানির প্রায় ৬০ শতাংশ পণ্যের গন্তব্য বিশ্বের মাত্র পাঁচটি দেশে। পাশাপাশি পাঁচ ধরনের খাদ্যপণ্য রপ্তানির পরিমাণ মোট রপ্তানির অর্ধেক। ফলে বাংলাদেশি প্রক্রিয়াজাত কৃষি বা খাদ্যপণ্যের রপ্তানির নতুন নতুন গন্তব্য সৃষ্টি ও পণ্য বহুমুখীকরণে দুর্বলতা রয়েছে। এতে এলডিসি উত্তরণে পরে এ খাত বিশাল চ্যালেঞ্জের মধ্যে পড়বে।
খন্দকার গোলাম মোয়াজ্জেম আরও বলেন, বাংলাদেশের কৃষি প্রক্রিয়াকরণ খাত প্রাথমিক কৃষি ও উৎপাদনের মধ্যে একটি গুরুত্বপূর্ণ মধ্যস্থতাকারীর ভূমিকা পালন করে। এটি জিডিপি, রপ্তানি বৈচিত্র্য ও গ্রামীণ কর্মসংস্থানে উল্লেখযোগ্য অবদান রাখে। কৌশলগত গুরুত্ব সত্ত্বেও খাতটি সম্ভাবনার তুলনায় পিছিয়ে রয়েছে, বিশেষ করে, মূল্য সংযোজনসহ বেশ কিছু ক্ষেত্রে।
সিপিডির গবেষণা পরিচালক বলেন, ‘রপ্তানি পণ্যের ক্ষেত্রে নতুন নতুন গন্তব্য ও বহুমুখী পণ্য উৎপাদনে আমরা পিছিয়ে রয়েছি। আমাদের পণ্যের এখনো মূল ক্রেতা ওই বাংলাদেশি প্রবাসীদের এথনিক মার্কেট। আর আমরা গতানুগতিক পণ্যের বাইরে বিশ্বের উন্নত দেশের মূল খাবারগুলো উৎপাদন করতে পারছি না। আমাদের উন্নত দেশের পণ্য উৎপাদন ও তাদের স্ট্যান্ডার্ড মেনে সেগুলো করতে হবে।’
কর্মশালায় ‘কৃষি ও কৃষি প্রক্রিয়াজাত শিল্পের বর্তমান প্রেক্ষাপট’ শীর্ষক আলোচনায় প্রাণ-আরএফএল গ্রুপের পরিচালক কামরুজ্জামান কামাল বলেন, ‘আমরা যেসব খাদ্যপণ্য উৎপাদন করি, তার অধিকাংশ কাঁচামাল স্থানীয়ভাবে কৃষকদের কাছ থেকে সংগ্রহ করে থাকি এবং ১৪৮টি দেশে রপ্তানি করছি।’
কামরুজ্জামান কামাল বলেন, ‘ফসল উৎপাদনে মাত্রাতিরিক্ত সার ও কীটনাশক ব্যবহারে অনেক ক্ষেত্রে এ দেশের খাদ্যপণ্য অনিরাপদ হচ্ছে, যেটা পণ্য প্রক্রিয়াজাতকারীদের জন্য ক্ষতির কারণ। আবার অনিরাপদ ফসলের জন্য অনেক কিছু দেশে উৎপাদন শর্তেও আমদানি করতে হচ্ছে। এ দেশে গ্যাপ (গুড অ্যাগ্রিকালচার প্র্যাকটিস) নেই, যে কারণে ফসল উৎপাদনের সময় ক্ষতিকারক পদার্থ মিশে যাচ্ছে, যা প্রক্রিয়াকরণের সময় আলাদা করা যাচ্ছে না। আবার আমাদের সংরক্ষণ ও সরবরাহপর্যায়ে দুর্বলতা রয়েছে। দেশের অনেক খাদ্যপণ্য এসব পর্যায়ে নষ্ট হচ্ছে, অনিরাপদ হচ্ছে। অন্যদিকে দেশে খাদ্যমান পরীক্ষার জন্য ভালো টেস্টিং ল্যাব নেই। আমরা বারবার সরকারকে একটি বিশ্বমানের ল্যাব প্রতিষ্ঠার জন্য বলেছি, সেটা হয়নি।’
কামরুজ্জামান আরও বলেন, এ দেশে রেগুলেটরি ও পলিসি সমস্যা রয়েছে। খাদ্যপণ্যের একটি ব্যবসা শুরু করতে প্রায় ৪২ সংস্থার অনুমতি নিতে হয়। এরপর ব্যবসা পরিচালনে মাত্রাতিরিক্ত নবায়ন ফি, লাইসেন্স ফিসহ নানা ফি দিতে হয়, যা পার্শ্ববর্তী দেশ কিংবা প্রতিযোগী যেকোনো দেশের চেয়ে বেশি।
কামরুজ্জামান কামাল বলেন, ‘বাংলাদেশের কৃষি প্রক্রিয়াজাত পণ্যের গুণমান এখন আন্তর্জাতিক মান অর্জন করেছে। দেশের গণমাধ্যম এই ইতিবাচক চিত্র তুলে ধরলে দেশীয় ব্র্যান্ডের প্রতি মানুষের আস্থা আরও বাড়বে। এর পাশাপাশি এ খাত এগিয়ে নিতে আরও বেশ কিছু চ্যালেঞ্জ রয়েছে। ট্যারিফ ব্যারিয়ার, শিপিং লাইন ও কনটেইনার ভাড়া বৃদ্ধি, সরকারের অপর্যাপ্ত ওয়্যারহাউস ফ্যাসিলিটি ও বাংলাদেশি পণ্য বিশ্বব্যাপী ব্র্যান্ডিংয়ের দুর্বলতার কারণে আমরা পিছিয়ে রয়েছি।’
কৃষি ও কৃষি প্রক্রিয়াজাত শিল্প সমৃদ্ধকরণে গণমাধ্যমের প্রভাব তুলে ধরে কর্মশালায় সাংবাদিক রিয়াজ আহমদ বলেন, গণমাধ্যম শুধু সংবাদ প্রচার করে না, বরং সমাজে দৃষ্টিভঙ্গি ও নীতিনির্ধারণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। কৃষি ও কৃষিপণ্য প্রক্রিয়াজাত খাতের সাফল্য, কৃষকদের গল্প, উদ্ভাবন ও বাজার সম্ভাবনা নিয়ে ধারাবাহিক ইতিবাচক প্রচারণা দেশের অর্থনীতিকে এগিয়ে নিতে সাহায্য করবে।
কর্মশালায় দেশে কৃষি ও প্রক্রিয়াজাত কৃষি খাত নিয়ে কাজ করা বিভিন্ন গণমাধ্যমের সাংবাদিকেরা উপস্থিত ছিলেন।

শিল্প খাতে গ্যাসের অস্বাভাবিক মূল্যবৃদ্ধিতে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করে অবিলম্বে দাম পুনর্বিবেচনার দাবি জানিয়েছেন দেশের শীর্ষস্থানীয় ১১টি ব্যবসায়িক সংগঠনের নেতা ও দুটি শিল্পগোষ্ঠীর উদ্যোক্তা। তাঁরা বলেছেন, এই অযৌক্তিক মূল্যবৃদ্ধি শিল্প ও বাণিজ্যের মারাত্মক ক্ষতি করবে।
২১ এপ্রিল ২০২৫
আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) সাবেক কর্মকর্তা ও দেশের জ্যেষ্ঠ অর্থনীতিবিদ ড. আহসান এইচ মনসুর ২০২৪ সালের ১৪ আগস্ট বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণ করেন। দায়িত্ব নেওয়ার পর থেকেই তিনি ব্যাংক ও আর্থিক খাতে সংস্কারের ধারাবাহিক উদ্যোগে মনোনিবেশ করেন। তবে নীতিগত দিকনির্দেশনা সঠিক পথে থাক
৩ মিনিট আগে
বাংলাদেশের এলডিসি উত্তরণ তিন বছর পিছিয়ে দেওয়ার জন্য জাতিসংঘের প্রতি অনুরোধ জানিয়েছেন তৈরি পোশাক ও বস্ত্র খাতের ব্যবসায়ীরা। গতকাল সোমবার রাজধানীতে জাতিসংঘ মিশনের প্রতিনিধিদের সঙ্গে এক কৌশলগত পরামর্শ সভায় ব্যবসায়ী নেতারা এই অনুরোধ করেন। এ সময় তাঁরা বলেন, বাংলাদেশকে এলডিসি উত্তরণের পথে স্থিতিশীল রাখতে
২৮ মিনিট আগে
‘লেনদেন হচ্ছে ক্যাশলেস, এগিয়ে যাচ্ছে বাংলাদেশ’—এই প্রতিপাদ্যে বাংলাদেশ ব্যাংকের উদ্যোগে পূবালী ব্যাংক পিএলসির ব্যবস্থাপনায় রংপুরে ‘ক্যাশলেস বাংলাদেশ উদ্যোগ’ কার্যক্রম সম্প্রসারণ-বিষয়ক সেমিনার রংপুর শিল্পকলা অডিটরিয়ামে অনুষ্ঠিত হয়েছে। বাংলাদেশ ব্যাংকের আয়োজনে এই সেমিনারের লিড ব্যাংক হিসেবে ছিল পূবালী
২ ঘণ্টা আগে