ঠাকুরগাঁও প্রতিনিধি
ঠাকুরগাঁও বাসস্ট্যান্ড এলাকায় শুক্রবার সকালে তিনজন সাপুড়ে বসে ছিলেন খেলা দেখাতে। কাঠের বাক্স থেকে বের হচ্ছিল গোখরো, কেউটে, চন্দ্রবোড়া, দাঁড়াশ আর অজগর। চারপাশে ভিড় জমলেও দৃশ্যটা যেন একসময়ের তুলনায় ম্লান। এখন আর আগের মতো দর্শকের ভিড় নেই, গাছগাছালির ওষুধেরও কদর নেই।
দিনাজপুর পৌর শহরের শেখপুরা মহল্লার বাসিন্দা মো. আইনুদ্দিনের (৭৫) জীবন কেটেছে সাপের খেলা দেখিয়েই। তিনি বলেন, ‘৪০ বছর হলো সাপের খেলা দেখাচ্ছি। সাপ বিক্রি করে আর এই খেলার আয়ে দুই ছেলে দুই মেয়েকে মানুষ করেছি। আগে ভিড় লেগে থাকত, এখন তেমনটা আসে না।’
আইনুদ্দিন জানান, খেলার সময় কখনো কখনো সাপ দংশনও করে বসে। আইনুদ্দিন বলেন, ‘তিন-চারবার সাপে কামড়েছে। প্রতিবার মেডিকেলে গিয়ে ভ্যাকসিন নিয়ে সুস্থ হয়েছি।’ আইনুদ্দিনের পাশে বসে ছিলেন তাঁর ওস্তাদ নুর ইসলাম। হতাশ কণ্ঠে তিনি বলেন, ‘আগে গাছগাছালির ওষুধ বিক্রি করে সংসার চলত। এখন আর কেউ কেনে না। দু-তিন মাস পর খেলা ছেড়ে ফলের দোকান দেব ভাবছি।’
এই সাপুড়েরা স্বীকার করেন, বিষদাঁত ভেঙে ফেলার পরও সাপে দংশনের ঝুঁকি থাকে। কারণ, প্রতি মাসেই নতুন বিষদাঁত গজায়। ফলে খেলা চলাকালীন তাঁদের প্রায়ই কামড় খেতে হয়। তবে নিজেদের তৈরি গাছগাছালির ওষুধে কোনো ফল মেলেনি।
আইনুদ্দিন সরল স্বীকারোক্তি দেন, ‘কাউকে সাপে কামড়ালে তার প্রথম কাজ হওয়া উচিত মেডিকেলে গিয়ে ভ্যাকসিন নেওয়া। ওঝা বা ঝাড়ফুঁকে সময় নষ্ট করলে রোগীর প্রাণ ঝুঁকিতে পড়ে।’
ঠাকুরগাঁও বাসস্ট্যান্ড এলাকায় শুক্রবার সকালে তিনজন সাপুড়ে বসে ছিলেন খেলা দেখাতে। কাঠের বাক্স থেকে বের হচ্ছিল গোখরো, কেউটে, চন্দ্রবোড়া, দাঁড়াশ আর অজগর। চারপাশে ভিড় জমলেও দৃশ্যটা যেন একসময়ের তুলনায় ম্লান। এখন আর আগের মতো দর্শকের ভিড় নেই, গাছগাছালির ওষুধেরও কদর নেই।
দিনাজপুর পৌর শহরের শেখপুরা মহল্লার বাসিন্দা মো. আইনুদ্দিনের (৭৫) জীবন কেটেছে সাপের খেলা দেখিয়েই। তিনি বলেন, ‘৪০ বছর হলো সাপের খেলা দেখাচ্ছি। সাপ বিক্রি করে আর এই খেলার আয়ে দুই ছেলে দুই মেয়েকে মানুষ করেছি। আগে ভিড় লেগে থাকত, এখন তেমনটা আসে না।’
আইনুদ্দিন জানান, খেলার সময় কখনো কখনো সাপ দংশনও করে বসে। আইনুদ্দিন বলেন, ‘তিন-চারবার সাপে কামড়েছে। প্রতিবার মেডিকেলে গিয়ে ভ্যাকসিন নিয়ে সুস্থ হয়েছি।’ আইনুদ্দিনের পাশে বসে ছিলেন তাঁর ওস্তাদ নুর ইসলাম। হতাশ কণ্ঠে তিনি বলেন, ‘আগে গাছগাছালির ওষুধ বিক্রি করে সংসার চলত। এখন আর কেউ কেনে না। দু-তিন মাস পর খেলা ছেড়ে ফলের দোকান দেব ভাবছি।’
এই সাপুড়েরা স্বীকার করেন, বিষদাঁত ভেঙে ফেলার পরও সাপে দংশনের ঝুঁকি থাকে। কারণ, প্রতি মাসেই নতুন বিষদাঁত গজায়। ফলে খেলা চলাকালীন তাঁদের প্রায়ই কামড় খেতে হয়। তবে নিজেদের তৈরি গাছগাছালির ওষুধে কোনো ফল মেলেনি।
আইনুদ্দিন সরল স্বীকারোক্তি দেন, ‘কাউকে সাপে কামড়ালে তার প্রথম কাজ হওয়া উচিত মেডিকেলে গিয়ে ভ্যাকসিন নেওয়া। ওঝা বা ঝাড়ফুঁকে সময় নষ্ট করলে রোগীর প্রাণ ঝুঁকিতে পড়ে।’
অযত্ন আর অবহেলায় নষ্ট হতে চলেছে সুন্দরবনের সাতক্ষীরা রেঞ্জে জব্দ হওয়া কয়েক হাজার নৌকা ও ট্রলার। এসব নৌযান রক্ষণাবেক্ষণের কোনো উদ্যোগ নেই কর্তৃপক্ষের। ফলে একদিকে যেমন কোটি কোটি টাকার সম্পদ নষ্ট হচ্ছে, অন্যদিকে ব্যাপক ক্ষতির মুখে নৌযানের মালিকেরা।
১ ঘণ্টা আগেবাগেরহাটের ফকিরহাট উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স জনবল, রোগ পরীক্ষার যন্ত্রপাতি সংকটসহ নানা সমস্যায় ধুঁকছে। এর সঙ্গে রয়েছে দালালদের দৌরাত্ম্য। একসময় স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের শীর্ষ ১০-এ থাকা হাসপাতালটি বর্তমানে ৯৩ নম্বরে নেমে গেছে।
২ ঘণ্টা আগেগাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জে গবাদিপশুর তড়কা রোগ (অ্যানথ্রাক্স) প্রতিরোধে ভ্যাকসিন দেওয়া হচ্ছে। কিন্তু এ ভ্যাকসিনকে কেন্দ্র করে প্রতারণার অভিযোগ উঠেছে। বিভিন্ন কৌশল ও হয়রানির ভয়ভীতি দেখিয়ে ৮০ পয়সার ভ্যাকসিনের জন্য গবাদিপশুর মালিকদের কাছ থেকে আদায় করা হচ্ছে ২০-৩০ টাকা।
২ ঘণ্টা আগেভাষাসৈনিক আহমদ রফিক স্মরণে ‘নাগরিক শোকসভা’ করবে জাতীয় কবিতা পরিষদ। শুক্রবার এক বিজ্ঞপ্তিতে বিষয়টি নিশ্চিত করেছে সংগঠনটি। জাতীয় কবিতা পরিষদের সভাপতি কবি মোহন রায়হান স্বাক্ষরিত বিবৃতিতে বলা হয়, বিনয়ের সঙ্গে জানাচ্ছি, গত ২ তারিখ রাত ৮.৪৬ মিনিটে সংস্কৃতি মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে আমাকে জানানো হয়...
৫ ঘণ্টা আগে