শরীফ নাসরুল্লাহ, ঢাকা

টাঙ্গাইলের নাম শুনলে চোখে ভাসে তাঁত। জিভে জল আনে পোড়াবাড়ীর চমচম। কিন্তু ১৫টির বেশি নদী জড়িয়ে রেখেছে এই জনপদ। যমুনা, ধলেশ্বরী, বংশী, পুংলী, ঝিনাই, এলংজানি, হাওয়া—কত বাহারি নাম। জলমগ্ন এই ভূমির মানুষের জীবন জলের সঙ্গে জুড়ে গেছে। জলের সঙ্গে আছে সাপের যোগ। সাপের সঙ্গে বাঙালির জীবনের যে সম্পর্ক, তার দারুণ উদাহরণ এই টাঙ্গাইল। শ্রাবণে সাপকে কেন্দ্র করে কৃত্যে আর নৃত্যে বর্ণিল হয়ে ওঠে এই জনপদ।
‘শাওনে ডালা’ কিংবা ‘বেহুলার লাচারি’ টাঙ্গাইলের সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য। ইউনেসকো এই ঐতিহ্যকে ইনটেনজিবল কালচারাল হেরিটেজ হিসেবে তালিকাভুক্ত করার সংকেত দিয়েছে। মনসামঙ্গলের বিখ্যাত কাহিনি বেহুলা-লখিন্দরকে উপজীব্য করে এই কৃত্য ও সাংস্কৃতিক আয়োজন চলে শ্রাবণ মাসব্যাপী।
জাতীয় জাদুঘরের ওয়েবসাইট বলছে, পনেরো শতাব্দী থেকে এই অঞ্চলে শাওনে ডালা বা বেহুলার লাচারির চর্চা হয়ে আসছে। শ্রাবণ মাসের প্রথম দিন ঘট স্থাপনের মাধ্যমে এ উৎসব শুরু হয়। শ্রাবণের শেষ দিন গান ও নাটকের আবহে সাত ঘাটে মনসাকে নৈবেদ্য দেওয়ার মধ্য দিয়ে এই উৎসব শেষ হয়। এ দিন সপ্তম ঘাটে মঞ্চস্থ হয় বেহুলা-লখিন্দর লোক-নাট্যাংশ। এতে অংশ নেন ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে স্থানীয় মানুষেরা। এই কৃত্যের অনুপ্রেরণা সনাতন ধর্মাবলম্বীদের জীবনাচরণ থেকে উঠে এলেও, এই আয়োজনে যাঁরা অংশ নেন তাঁদের বেশির ভাগ মুসলমান।
এ বছর শাওনে ডালা বা বেহুলার লাচারি শুরু হবে ১৬ জুলাই। শ্রাবণের শেষ দিন টাঙ্গাইলের বিভিন্ন নদীতে সাত ঘাটে ভোগ দিয়ে জিয়ন্তি আয়োজনের মধ্য দিয়ে শেষ হবে। এটিকে কেন্দ্র করে এখন প্রস্তুতি নিচ্ছে ১০টির অধিক দল। উল্লেখযোগ্য হলো—মনির অপেরা, ভাই-বোন যাত্রাপালা, মায়ের দোয়া যাত্রাপালা, ভাই ভাই বেহুলা পালা, সুজন বন্ধু যাত্রাপালা, একডালা যাত্রাপালা, নূরনবী যাত্রাপালা, গণেশবাবু নাট্য অভিনয় গোষ্ঠী, শাখারিয়া বেহুলার লাচারি গোষ্ঠী, লালমিয়া শিল্পসংঘ ইত্যাদি।
দলনেতা ও দলগুলোর সদস্যদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, বংশ পরম্পরা, গুরু-শিষ্য কিংবা একেবারে নিজের শিল্পক্ষুধা থেকে এই কৃত্যের সঙ্গে জড়িয়েছেন শিল্পীরা। আবার কেউ কেউ সাপের বিষ ঝাড়ার ওঝা। এক দিকে ওঝা, অন্য দিকে তিনি শিল্পী। কিন্তু প্রযুক্তির উন্নয়ন, বিনোদনের অবাধ প্রবাহে ধীরে ধীরে এখান থেকে সরে আসছেন শিল্পীরা। এক দিকে অর্থনৈতিকভাবে তাঁরা ক্ষতির শিকার; অন্য দিকে নবীন শিল্পীর অভাবে দলগুলোতে পরম্পরা ধরে রাখা কষ্ট হয়ে যাচ্ছে।
মনিকা অপেরা যাত্রা ক্লাব ও সাজঘরের কর্ণধার মো. মনির। তিনি বলেন, ‘আমি ক্লাস ফাইভে পড়ার সময় এলেঙ্গাতে যাত্রা এসেছিল। সেটা দেখে যাত্রা শিখেছি। এরপর আমি ১০-২০টি দলে কাজ করেছি। ১৯৯৩ সালে নিজের দল বানাই। ১৭ বছর ধরে আমি কাজ করি। অভিনয় করি বেহুলার চরিত্রে।’
মনির আরও বলেন, ‘পেশায় আমি কবিরাজও। বিষ নামাই। আর শ্রাবণে নদীতে নৌকা ভাসিয়ে কলার খোলে দুধ-কলা ইত্যাদি দিয়ে ভোগ দিই। শ্রাবণ মাসে শাওনে ডালা করি। কিন্তু এটা করতে অনেক কষ্ট হয়। একটা নৌকা ভাড়া করতে লাগে ১৭ হাজার টাকা। আরও নানা কিছু জোগাড় করতে ৫০-৬০ হাজার টাকা খরচা হয়। সাধনা থেকে কিছু সহযোগিতা করা হয়। এ ছাড়া কেউ সহযোগিতা করে না।’
মনিরের বক্তব্য, এই ঐতিহ্য টিকিয়ে রাখতে হলে আর্থিকভাবে শিল্পীদের সামর্থ্য বাড়ানো প্রয়োজন। এখানে সবাই গরিব। যাত্রাপালা করেই দিন চলে।
শুধু আর্থিক নয়, মাঝে মাঝে সামাজিকভাবেও হেয় প্রতিপন্ন হতে হয় শিল্পীদের। গণেশবাবু নাট্য-অভিনয় গোষ্ঠীর মালিক নুরুন্নবী। পেশায় বেসরকারি চাকরিজীবী হলেও শিল্পীজীবন ছাড়তে পারেননি। শাওনের ডালায় তিনিও অংশগ্রহণ করেন। নিজের বাবাকে দেখে তিনি শিল্পী হওয়ার অনুপ্রেরণা পেয়েছিলেন। পরে তিনি ও তাঁর বড় ভাই এই দলের হাল ধরেন।
নুরুন্নবী বলেন, ‘আমি ২০ বছর ধরে এই আয়োজনের সঙ্গে জড়িত। আমার রক্তে মিশে গেছে। আমরা মুসলমান। অনেকে বলে, এটা করা পাপ, কইরো না। তবে কেউ বাধা দেওয়ার সাহস করে না। কিন্তু আর্থিকভাবে আমরা দুর্বল।’
জানা গেছে, একসময় গুরু-শিষ্য কিংবা বংশ পরম্পরায় শিল্পী তৈরি হলেও এখন এই ধারা কমে যাচ্ছে। শিল্পীদের বক্তব্য, পরবর্তী প্রজন্মের হাতে এই ঐতিহ্য রেখে যেতে তাঁদের দরকার সামাজিক সমর্থন। পরিবেশনায়ও এসেছে পরিবর্তন। কেউ কেউ চকমকে কিংবা সিনেমার পোশাক ঢুকিয়েছে। আগে পুরুষেরাই নারী সেজে অভিনয় করত। এটাই এই পরিবেশনার চল। কিন্তু এখন দর্শকদের মনোরঞ্জনের জন্য তরুণীদের আনা হয়েছে। এসব কারণে এই ঐতিহ্যের প্রকৃত পরিচয় হারিয়ে যেতে বসেছে বলে মনে করছেন শিল্পীরা। তবে সম্প্রতি ইউনেসকো ঐতিহ্যটি নিয়ে কাজ করার ইঙ্গিত দিয়েছে। সাংস্কৃতিক প্রতিষ্ঠান সাধনা বলছে, ২০০২ সাল থেকে লুবনা মারিয়াম এই ঐতিহ্য নিয়ে কাজ করছেন। ২০১০ সালে ইউনেসকোর কাছে ইনটেনজিবল হেরিটেজ হিসেবে আবেদন করা হয় জাতীয় জাদুঘরের সহযোগিতায়। ২০২২ সালে ইউনেসকো কাজ করতে আগ্রহী হয়। ২০২৫ সালে ক্যাপাসিটি বিল্ডিং ওয়ার্কশপের মধ্য দিয়ে শুরু হয় এই যাত্রা। পুরো কাজটিতে সহযোগিতা করে বেসরকারি প্রতিষ্ঠান ব্রতী।
সাধনার কো-অর্ডিনেটর লাবন্য সুলতানা বলেন, ‘শাওনে ডালা প্রান্তিক পর্যায়ের ঐতিহ্য। ইউনেসকোর সহযোগিতায় এটি নিয়ে আমরা কাজ করছি। ইতিমধ্যে ক্যাপাসিটি বিল্ডিং ওয়ার্কশপ আয়োজন করেছি। আমাদের ইচ্ছা, এই ঐতিহ্যকে টিকিয়ে রাখতে সহযোগিতা করা এবং বিশ্বের কাছে তুলে ধরা।’

টাঙ্গাইলের নাম শুনলে চোখে ভাসে তাঁত। জিভে জল আনে পোড়াবাড়ীর চমচম। কিন্তু ১৫টির বেশি নদী জড়িয়ে রেখেছে এই জনপদ। যমুনা, ধলেশ্বরী, বংশী, পুংলী, ঝিনাই, এলংজানি, হাওয়া—কত বাহারি নাম। জলমগ্ন এই ভূমির মানুষের জীবন জলের সঙ্গে জুড়ে গেছে। জলের সঙ্গে আছে সাপের যোগ। সাপের সঙ্গে বাঙালির জীবনের যে সম্পর্ক, তার দারুণ উদাহরণ এই টাঙ্গাইল। শ্রাবণে সাপকে কেন্দ্র করে কৃত্যে আর নৃত্যে বর্ণিল হয়ে ওঠে এই জনপদ।
‘শাওনে ডালা’ কিংবা ‘বেহুলার লাচারি’ টাঙ্গাইলের সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য। ইউনেসকো এই ঐতিহ্যকে ইনটেনজিবল কালচারাল হেরিটেজ হিসেবে তালিকাভুক্ত করার সংকেত দিয়েছে। মনসামঙ্গলের বিখ্যাত কাহিনি বেহুলা-লখিন্দরকে উপজীব্য করে এই কৃত্য ও সাংস্কৃতিক আয়োজন চলে শ্রাবণ মাসব্যাপী।
জাতীয় জাদুঘরের ওয়েবসাইট বলছে, পনেরো শতাব্দী থেকে এই অঞ্চলে শাওনে ডালা বা বেহুলার লাচারির চর্চা হয়ে আসছে। শ্রাবণ মাসের প্রথম দিন ঘট স্থাপনের মাধ্যমে এ উৎসব শুরু হয়। শ্রাবণের শেষ দিন গান ও নাটকের আবহে সাত ঘাটে মনসাকে নৈবেদ্য দেওয়ার মধ্য দিয়ে এই উৎসব শেষ হয়। এ দিন সপ্তম ঘাটে মঞ্চস্থ হয় বেহুলা-লখিন্দর লোক-নাট্যাংশ। এতে অংশ নেন ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে স্থানীয় মানুষেরা। এই কৃত্যের অনুপ্রেরণা সনাতন ধর্মাবলম্বীদের জীবনাচরণ থেকে উঠে এলেও, এই আয়োজনে যাঁরা অংশ নেন তাঁদের বেশির ভাগ মুসলমান।
এ বছর শাওনে ডালা বা বেহুলার লাচারি শুরু হবে ১৬ জুলাই। শ্রাবণের শেষ দিন টাঙ্গাইলের বিভিন্ন নদীতে সাত ঘাটে ভোগ দিয়ে জিয়ন্তি আয়োজনের মধ্য দিয়ে শেষ হবে। এটিকে কেন্দ্র করে এখন প্রস্তুতি নিচ্ছে ১০টির অধিক দল। উল্লেখযোগ্য হলো—মনির অপেরা, ভাই-বোন যাত্রাপালা, মায়ের দোয়া যাত্রাপালা, ভাই ভাই বেহুলা পালা, সুজন বন্ধু যাত্রাপালা, একডালা যাত্রাপালা, নূরনবী যাত্রাপালা, গণেশবাবু নাট্য অভিনয় গোষ্ঠী, শাখারিয়া বেহুলার লাচারি গোষ্ঠী, লালমিয়া শিল্পসংঘ ইত্যাদি।
দলনেতা ও দলগুলোর সদস্যদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, বংশ পরম্পরা, গুরু-শিষ্য কিংবা একেবারে নিজের শিল্পক্ষুধা থেকে এই কৃত্যের সঙ্গে জড়িয়েছেন শিল্পীরা। আবার কেউ কেউ সাপের বিষ ঝাড়ার ওঝা। এক দিকে ওঝা, অন্য দিকে তিনি শিল্পী। কিন্তু প্রযুক্তির উন্নয়ন, বিনোদনের অবাধ প্রবাহে ধীরে ধীরে এখান থেকে সরে আসছেন শিল্পীরা। এক দিকে অর্থনৈতিকভাবে তাঁরা ক্ষতির শিকার; অন্য দিকে নবীন শিল্পীর অভাবে দলগুলোতে পরম্পরা ধরে রাখা কষ্ট হয়ে যাচ্ছে।
মনিকা অপেরা যাত্রা ক্লাব ও সাজঘরের কর্ণধার মো. মনির। তিনি বলেন, ‘আমি ক্লাস ফাইভে পড়ার সময় এলেঙ্গাতে যাত্রা এসেছিল। সেটা দেখে যাত্রা শিখেছি। এরপর আমি ১০-২০টি দলে কাজ করেছি। ১৯৯৩ সালে নিজের দল বানাই। ১৭ বছর ধরে আমি কাজ করি। অভিনয় করি বেহুলার চরিত্রে।’
মনির আরও বলেন, ‘পেশায় আমি কবিরাজও। বিষ নামাই। আর শ্রাবণে নদীতে নৌকা ভাসিয়ে কলার খোলে দুধ-কলা ইত্যাদি দিয়ে ভোগ দিই। শ্রাবণ মাসে শাওনে ডালা করি। কিন্তু এটা করতে অনেক কষ্ট হয়। একটা নৌকা ভাড়া করতে লাগে ১৭ হাজার টাকা। আরও নানা কিছু জোগাড় করতে ৫০-৬০ হাজার টাকা খরচা হয়। সাধনা থেকে কিছু সহযোগিতা করা হয়। এ ছাড়া কেউ সহযোগিতা করে না।’
মনিরের বক্তব্য, এই ঐতিহ্য টিকিয়ে রাখতে হলে আর্থিকভাবে শিল্পীদের সামর্থ্য বাড়ানো প্রয়োজন। এখানে সবাই গরিব। যাত্রাপালা করেই দিন চলে।
শুধু আর্থিক নয়, মাঝে মাঝে সামাজিকভাবেও হেয় প্রতিপন্ন হতে হয় শিল্পীদের। গণেশবাবু নাট্য-অভিনয় গোষ্ঠীর মালিক নুরুন্নবী। পেশায় বেসরকারি চাকরিজীবী হলেও শিল্পীজীবন ছাড়তে পারেননি। শাওনের ডালায় তিনিও অংশগ্রহণ করেন। নিজের বাবাকে দেখে তিনি শিল্পী হওয়ার অনুপ্রেরণা পেয়েছিলেন। পরে তিনি ও তাঁর বড় ভাই এই দলের হাল ধরেন।
নুরুন্নবী বলেন, ‘আমি ২০ বছর ধরে এই আয়োজনের সঙ্গে জড়িত। আমার রক্তে মিশে গেছে। আমরা মুসলমান। অনেকে বলে, এটা করা পাপ, কইরো না। তবে কেউ বাধা দেওয়ার সাহস করে না। কিন্তু আর্থিকভাবে আমরা দুর্বল।’
জানা গেছে, একসময় গুরু-শিষ্য কিংবা বংশ পরম্পরায় শিল্পী তৈরি হলেও এখন এই ধারা কমে যাচ্ছে। শিল্পীদের বক্তব্য, পরবর্তী প্রজন্মের হাতে এই ঐতিহ্য রেখে যেতে তাঁদের দরকার সামাজিক সমর্থন। পরিবেশনায়ও এসেছে পরিবর্তন। কেউ কেউ চকমকে কিংবা সিনেমার পোশাক ঢুকিয়েছে। আগে পুরুষেরাই নারী সেজে অভিনয় করত। এটাই এই পরিবেশনার চল। কিন্তু এখন দর্শকদের মনোরঞ্জনের জন্য তরুণীদের আনা হয়েছে। এসব কারণে এই ঐতিহ্যের প্রকৃত পরিচয় হারিয়ে যেতে বসেছে বলে মনে করছেন শিল্পীরা। তবে সম্প্রতি ইউনেসকো ঐতিহ্যটি নিয়ে কাজ করার ইঙ্গিত দিয়েছে। সাংস্কৃতিক প্রতিষ্ঠান সাধনা বলছে, ২০০২ সাল থেকে লুবনা মারিয়াম এই ঐতিহ্য নিয়ে কাজ করছেন। ২০১০ সালে ইউনেসকোর কাছে ইনটেনজিবল হেরিটেজ হিসেবে আবেদন করা হয় জাতীয় জাদুঘরের সহযোগিতায়। ২০২২ সালে ইউনেসকো কাজ করতে আগ্রহী হয়। ২০২৫ সালে ক্যাপাসিটি বিল্ডিং ওয়ার্কশপের মধ্য দিয়ে শুরু হয় এই যাত্রা। পুরো কাজটিতে সহযোগিতা করে বেসরকারি প্রতিষ্ঠান ব্রতী।
সাধনার কো-অর্ডিনেটর লাবন্য সুলতানা বলেন, ‘শাওনে ডালা প্রান্তিক পর্যায়ের ঐতিহ্য। ইউনেসকোর সহযোগিতায় এটি নিয়ে আমরা কাজ করছি। ইতিমধ্যে ক্যাপাসিটি বিল্ডিং ওয়ার্কশপ আয়োজন করেছি। আমাদের ইচ্ছা, এই ঐতিহ্যকে টিকিয়ে রাখতে সহযোগিতা করা এবং বিশ্বের কাছে তুলে ধরা।’
শরীফ নাসরুল্লাহ, ঢাকা

টাঙ্গাইলের নাম শুনলে চোখে ভাসে তাঁত। জিভে জল আনে পোড়াবাড়ীর চমচম। কিন্তু ১৫টির বেশি নদী জড়িয়ে রেখেছে এই জনপদ। যমুনা, ধলেশ্বরী, বংশী, পুংলী, ঝিনাই, এলংজানি, হাওয়া—কত বাহারি নাম। জলমগ্ন এই ভূমির মানুষের জীবন জলের সঙ্গে জুড়ে গেছে। জলের সঙ্গে আছে সাপের যোগ। সাপের সঙ্গে বাঙালির জীবনের যে সম্পর্ক, তার দারুণ উদাহরণ এই টাঙ্গাইল। শ্রাবণে সাপকে কেন্দ্র করে কৃত্যে আর নৃত্যে বর্ণিল হয়ে ওঠে এই জনপদ।
‘শাওনে ডালা’ কিংবা ‘বেহুলার লাচারি’ টাঙ্গাইলের সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য। ইউনেসকো এই ঐতিহ্যকে ইনটেনজিবল কালচারাল হেরিটেজ হিসেবে তালিকাভুক্ত করার সংকেত দিয়েছে। মনসামঙ্গলের বিখ্যাত কাহিনি বেহুলা-লখিন্দরকে উপজীব্য করে এই কৃত্য ও সাংস্কৃতিক আয়োজন চলে শ্রাবণ মাসব্যাপী।
জাতীয় জাদুঘরের ওয়েবসাইট বলছে, পনেরো শতাব্দী থেকে এই অঞ্চলে শাওনে ডালা বা বেহুলার লাচারির চর্চা হয়ে আসছে। শ্রাবণ মাসের প্রথম দিন ঘট স্থাপনের মাধ্যমে এ উৎসব শুরু হয়। শ্রাবণের শেষ দিন গান ও নাটকের আবহে সাত ঘাটে মনসাকে নৈবেদ্য দেওয়ার মধ্য দিয়ে এই উৎসব শেষ হয়। এ দিন সপ্তম ঘাটে মঞ্চস্থ হয় বেহুলা-লখিন্দর লোক-নাট্যাংশ। এতে অংশ নেন ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে স্থানীয় মানুষেরা। এই কৃত্যের অনুপ্রেরণা সনাতন ধর্মাবলম্বীদের জীবনাচরণ থেকে উঠে এলেও, এই আয়োজনে যাঁরা অংশ নেন তাঁদের বেশির ভাগ মুসলমান।
এ বছর শাওনে ডালা বা বেহুলার লাচারি শুরু হবে ১৬ জুলাই। শ্রাবণের শেষ দিন টাঙ্গাইলের বিভিন্ন নদীতে সাত ঘাটে ভোগ দিয়ে জিয়ন্তি আয়োজনের মধ্য দিয়ে শেষ হবে। এটিকে কেন্দ্র করে এখন প্রস্তুতি নিচ্ছে ১০টির অধিক দল। উল্লেখযোগ্য হলো—মনির অপেরা, ভাই-বোন যাত্রাপালা, মায়ের দোয়া যাত্রাপালা, ভাই ভাই বেহুলা পালা, সুজন বন্ধু যাত্রাপালা, একডালা যাত্রাপালা, নূরনবী যাত্রাপালা, গণেশবাবু নাট্য অভিনয় গোষ্ঠী, শাখারিয়া বেহুলার লাচারি গোষ্ঠী, লালমিয়া শিল্পসংঘ ইত্যাদি।
দলনেতা ও দলগুলোর সদস্যদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, বংশ পরম্পরা, গুরু-শিষ্য কিংবা একেবারে নিজের শিল্পক্ষুধা থেকে এই কৃত্যের সঙ্গে জড়িয়েছেন শিল্পীরা। আবার কেউ কেউ সাপের বিষ ঝাড়ার ওঝা। এক দিকে ওঝা, অন্য দিকে তিনি শিল্পী। কিন্তু প্রযুক্তির উন্নয়ন, বিনোদনের অবাধ প্রবাহে ধীরে ধীরে এখান থেকে সরে আসছেন শিল্পীরা। এক দিকে অর্থনৈতিকভাবে তাঁরা ক্ষতির শিকার; অন্য দিকে নবীন শিল্পীর অভাবে দলগুলোতে পরম্পরা ধরে রাখা কষ্ট হয়ে যাচ্ছে।
মনিকা অপেরা যাত্রা ক্লাব ও সাজঘরের কর্ণধার মো. মনির। তিনি বলেন, ‘আমি ক্লাস ফাইভে পড়ার সময় এলেঙ্গাতে যাত্রা এসেছিল। সেটা দেখে যাত্রা শিখেছি। এরপর আমি ১০-২০টি দলে কাজ করেছি। ১৯৯৩ সালে নিজের দল বানাই। ১৭ বছর ধরে আমি কাজ করি। অভিনয় করি বেহুলার চরিত্রে।’
মনির আরও বলেন, ‘পেশায় আমি কবিরাজও। বিষ নামাই। আর শ্রাবণে নদীতে নৌকা ভাসিয়ে কলার খোলে দুধ-কলা ইত্যাদি দিয়ে ভোগ দিই। শ্রাবণ মাসে শাওনে ডালা করি। কিন্তু এটা করতে অনেক কষ্ট হয়। একটা নৌকা ভাড়া করতে লাগে ১৭ হাজার টাকা। আরও নানা কিছু জোগাড় করতে ৫০-৬০ হাজার টাকা খরচা হয়। সাধনা থেকে কিছু সহযোগিতা করা হয়। এ ছাড়া কেউ সহযোগিতা করে না।’
মনিরের বক্তব্য, এই ঐতিহ্য টিকিয়ে রাখতে হলে আর্থিকভাবে শিল্পীদের সামর্থ্য বাড়ানো প্রয়োজন। এখানে সবাই গরিব। যাত্রাপালা করেই দিন চলে।
শুধু আর্থিক নয়, মাঝে মাঝে সামাজিকভাবেও হেয় প্রতিপন্ন হতে হয় শিল্পীদের। গণেশবাবু নাট্য-অভিনয় গোষ্ঠীর মালিক নুরুন্নবী। পেশায় বেসরকারি চাকরিজীবী হলেও শিল্পীজীবন ছাড়তে পারেননি। শাওনের ডালায় তিনিও অংশগ্রহণ করেন। নিজের বাবাকে দেখে তিনি শিল্পী হওয়ার অনুপ্রেরণা পেয়েছিলেন। পরে তিনি ও তাঁর বড় ভাই এই দলের হাল ধরেন।
নুরুন্নবী বলেন, ‘আমি ২০ বছর ধরে এই আয়োজনের সঙ্গে জড়িত। আমার রক্তে মিশে গেছে। আমরা মুসলমান। অনেকে বলে, এটা করা পাপ, কইরো না। তবে কেউ বাধা দেওয়ার সাহস করে না। কিন্তু আর্থিকভাবে আমরা দুর্বল।’
জানা গেছে, একসময় গুরু-শিষ্য কিংবা বংশ পরম্পরায় শিল্পী তৈরি হলেও এখন এই ধারা কমে যাচ্ছে। শিল্পীদের বক্তব্য, পরবর্তী প্রজন্মের হাতে এই ঐতিহ্য রেখে যেতে তাঁদের দরকার সামাজিক সমর্থন। পরিবেশনায়ও এসেছে পরিবর্তন। কেউ কেউ চকমকে কিংবা সিনেমার পোশাক ঢুকিয়েছে। আগে পুরুষেরাই নারী সেজে অভিনয় করত। এটাই এই পরিবেশনার চল। কিন্তু এখন দর্শকদের মনোরঞ্জনের জন্য তরুণীদের আনা হয়েছে। এসব কারণে এই ঐতিহ্যের প্রকৃত পরিচয় হারিয়ে যেতে বসেছে বলে মনে করছেন শিল্পীরা। তবে সম্প্রতি ইউনেসকো ঐতিহ্যটি নিয়ে কাজ করার ইঙ্গিত দিয়েছে। সাংস্কৃতিক প্রতিষ্ঠান সাধনা বলছে, ২০০২ সাল থেকে লুবনা মারিয়াম এই ঐতিহ্য নিয়ে কাজ করছেন। ২০১০ সালে ইউনেসকোর কাছে ইনটেনজিবল হেরিটেজ হিসেবে আবেদন করা হয় জাতীয় জাদুঘরের সহযোগিতায়। ২০২২ সালে ইউনেসকো কাজ করতে আগ্রহী হয়। ২০২৫ সালে ক্যাপাসিটি বিল্ডিং ওয়ার্কশপের মধ্য দিয়ে শুরু হয় এই যাত্রা। পুরো কাজটিতে সহযোগিতা করে বেসরকারি প্রতিষ্ঠান ব্রতী।
সাধনার কো-অর্ডিনেটর লাবন্য সুলতানা বলেন, ‘শাওনে ডালা প্রান্তিক পর্যায়ের ঐতিহ্য। ইউনেসকোর সহযোগিতায় এটি নিয়ে আমরা কাজ করছি। ইতিমধ্যে ক্যাপাসিটি বিল্ডিং ওয়ার্কশপ আয়োজন করেছি। আমাদের ইচ্ছা, এই ঐতিহ্যকে টিকিয়ে রাখতে সহযোগিতা করা এবং বিশ্বের কাছে তুলে ধরা।’

টাঙ্গাইলের নাম শুনলে চোখে ভাসে তাঁত। জিভে জল আনে পোড়াবাড়ীর চমচম। কিন্তু ১৫টির বেশি নদী জড়িয়ে রেখেছে এই জনপদ। যমুনা, ধলেশ্বরী, বংশী, পুংলী, ঝিনাই, এলংজানি, হাওয়া—কত বাহারি নাম। জলমগ্ন এই ভূমির মানুষের জীবন জলের সঙ্গে জুড়ে গেছে। জলের সঙ্গে আছে সাপের যোগ। সাপের সঙ্গে বাঙালির জীবনের যে সম্পর্ক, তার দারুণ উদাহরণ এই টাঙ্গাইল। শ্রাবণে সাপকে কেন্দ্র করে কৃত্যে আর নৃত্যে বর্ণিল হয়ে ওঠে এই জনপদ।
‘শাওনে ডালা’ কিংবা ‘বেহুলার লাচারি’ টাঙ্গাইলের সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য। ইউনেসকো এই ঐতিহ্যকে ইনটেনজিবল কালচারাল হেরিটেজ হিসেবে তালিকাভুক্ত করার সংকেত দিয়েছে। মনসামঙ্গলের বিখ্যাত কাহিনি বেহুলা-লখিন্দরকে উপজীব্য করে এই কৃত্য ও সাংস্কৃতিক আয়োজন চলে শ্রাবণ মাসব্যাপী।
জাতীয় জাদুঘরের ওয়েবসাইট বলছে, পনেরো শতাব্দী থেকে এই অঞ্চলে শাওনে ডালা বা বেহুলার লাচারির চর্চা হয়ে আসছে। শ্রাবণ মাসের প্রথম দিন ঘট স্থাপনের মাধ্যমে এ উৎসব শুরু হয়। শ্রাবণের শেষ দিন গান ও নাটকের আবহে সাত ঘাটে মনসাকে নৈবেদ্য দেওয়ার মধ্য দিয়ে এই উৎসব শেষ হয়। এ দিন সপ্তম ঘাটে মঞ্চস্থ হয় বেহুলা-লখিন্দর লোক-নাট্যাংশ। এতে অংশ নেন ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে স্থানীয় মানুষেরা। এই কৃত্যের অনুপ্রেরণা সনাতন ধর্মাবলম্বীদের জীবনাচরণ থেকে উঠে এলেও, এই আয়োজনে যাঁরা অংশ নেন তাঁদের বেশির ভাগ মুসলমান।
এ বছর শাওনে ডালা বা বেহুলার লাচারি শুরু হবে ১৬ জুলাই। শ্রাবণের শেষ দিন টাঙ্গাইলের বিভিন্ন নদীতে সাত ঘাটে ভোগ দিয়ে জিয়ন্তি আয়োজনের মধ্য দিয়ে শেষ হবে। এটিকে কেন্দ্র করে এখন প্রস্তুতি নিচ্ছে ১০টির অধিক দল। উল্লেখযোগ্য হলো—মনির অপেরা, ভাই-বোন যাত্রাপালা, মায়ের দোয়া যাত্রাপালা, ভাই ভাই বেহুলা পালা, সুজন বন্ধু যাত্রাপালা, একডালা যাত্রাপালা, নূরনবী যাত্রাপালা, গণেশবাবু নাট্য অভিনয় গোষ্ঠী, শাখারিয়া বেহুলার লাচারি গোষ্ঠী, লালমিয়া শিল্পসংঘ ইত্যাদি।
দলনেতা ও দলগুলোর সদস্যদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, বংশ পরম্পরা, গুরু-শিষ্য কিংবা একেবারে নিজের শিল্পক্ষুধা থেকে এই কৃত্যের সঙ্গে জড়িয়েছেন শিল্পীরা। আবার কেউ কেউ সাপের বিষ ঝাড়ার ওঝা। এক দিকে ওঝা, অন্য দিকে তিনি শিল্পী। কিন্তু প্রযুক্তির উন্নয়ন, বিনোদনের অবাধ প্রবাহে ধীরে ধীরে এখান থেকে সরে আসছেন শিল্পীরা। এক দিকে অর্থনৈতিকভাবে তাঁরা ক্ষতির শিকার; অন্য দিকে নবীন শিল্পীর অভাবে দলগুলোতে পরম্পরা ধরে রাখা কষ্ট হয়ে যাচ্ছে।
মনিকা অপেরা যাত্রা ক্লাব ও সাজঘরের কর্ণধার মো. মনির। তিনি বলেন, ‘আমি ক্লাস ফাইভে পড়ার সময় এলেঙ্গাতে যাত্রা এসেছিল। সেটা দেখে যাত্রা শিখেছি। এরপর আমি ১০-২০টি দলে কাজ করেছি। ১৯৯৩ সালে নিজের দল বানাই। ১৭ বছর ধরে আমি কাজ করি। অভিনয় করি বেহুলার চরিত্রে।’
মনির আরও বলেন, ‘পেশায় আমি কবিরাজও। বিষ নামাই। আর শ্রাবণে নদীতে নৌকা ভাসিয়ে কলার খোলে দুধ-কলা ইত্যাদি দিয়ে ভোগ দিই। শ্রাবণ মাসে শাওনে ডালা করি। কিন্তু এটা করতে অনেক কষ্ট হয়। একটা নৌকা ভাড়া করতে লাগে ১৭ হাজার টাকা। আরও নানা কিছু জোগাড় করতে ৫০-৬০ হাজার টাকা খরচা হয়। সাধনা থেকে কিছু সহযোগিতা করা হয়। এ ছাড়া কেউ সহযোগিতা করে না।’
মনিরের বক্তব্য, এই ঐতিহ্য টিকিয়ে রাখতে হলে আর্থিকভাবে শিল্পীদের সামর্থ্য বাড়ানো প্রয়োজন। এখানে সবাই গরিব। যাত্রাপালা করেই দিন চলে।
শুধু আর্থিক নয়, মাঝে মাঝে সামাজিকভাবেও হেয় প্রতিপন্ন হতে হয় শিল্পীদের। গণেশবাবু নাট্য-অভিনয় গোষ্ঠীর মালিক নুরুন্নবী। পেশায় বেসরকারি চাকরিজীবী হলেও শিল্পীজীবন ছাড়তে পারেননি। শাওনের ডালায় তিনিও অংশগ্রহণ করেন। নিজের বাবাকে দেখে তিনি শিল্পী হওয়ার অনুপ্রেরণা পেয়েছিলেন। পরে তিনি ও তাঁর বড় ভাই এই দলের হাল ধরেন।
নুরুন্নবী বলেন, ‘আমি ২০ বছর ধরে এই আয়োজনের সঙ্গে জড়িত। আমার রক্তে মিশে গেছে। আমরা মুসলমান। অনেকে বলে, এটা করা পাপ, কইরো না। তবে কেউ বাধা দেওয়ার সাহস করে না। কিন্তু আর্থিকভাবে আমরা দুর্বল।’
জানা গেছে, একসময় গুরু-শিষ্য কিংবা বংশ পরম্পরায় শিল্পী তৈরি হলেও এখন এই ধারা কমে যাচ্ছে। শিল্পীদের বক্তব্য, পরবর্তী প্রজন্মের হাতে এই ঐতিহ্য রেখে যেতে তাঁদের দরকার সামাজিক সমর্থন। পরিবেশনায়ও এসেছে পরিবর্তন। কেউ কেউ চকমকে কিংবা সিনেমার পোশাক ঢুকিয়েছে। আগে পুরুষেরাই নারী সেজে অভিনয় করত। এটাই এই পরিবেশনার চল। কিন্তু এখন দর্শকদের মনোরঞ্জনের জন্য তরুণীদের আনা হয়েছে। এসব কারণে এই ঐতিহ্যের প্রকৃত পরিচয় হারিয়ে যেতে বসেছে বলে মনে করছেন শিল্পীরা। তবে সম্প্রতি ইউনেসকো ঐতিহ্যটি নিয়ে কাজ করার ইঙ্গিত দিয়েছে। সাংস্কৃতিক প্রতিষ্ঠান সাধনা বলছে, ২০০২ সাল থেকে লুবনা মারিয়াম এই ঐতিহ্য নিয়ে কাজ করছেন। ২০১০ সালে ইউনেসকোর কাছে ইনটেনজিবল হেরিটেজ হিসেবে আবেদন করা হয় জাতীয় জাদুঘরের সহযোগিতায়। ২০২২ সালে ইউনেসকো কাজ করতে আগ্রহী হয়। ২০২৫ সালে ক্যাপাসিটি বিল্ডিং ওয়ার্কশপের মধ্য দিয়ে শুরু হয় এই যাত্রা। পুরো কাজটিতে সহযোগিতা করে বেসরকারি প্রতিষ্ঠান ব্রতী।
সাধনার কো-অর্ডিনেটর লাবন্য সুলতানা বলেন, ‘শাওনে ডালা প্রান্তিক পর্যায়ের ঐতিহ্য। ইউনেসকোর সহযোগিতায় এটি নিয়ে আমরা কাজ করছি। ইতিমধ্যে ক্যাপাসিটি বিল্ডিং ওয়ার্কশপ আয়োজন করেছি। আমাদের ইচ্ছা, এই ঐতিহ্যকে টিকিয়ে রাখতে সহযোগিতা করা এবং বিশ্বের কাছে তুলে ধরা।’

অবশেষে নীলফামারীতেই হচ্ছে চীন সরকারের উপহারের ১ হাজার শয্যার হাসপাতাল। গত ৩০ অক্টোবর স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের স্বাস্থ্য সেবা বিভাগ থেকে জারি করা নোটিশে এ তথ্য জানা গেছে। সংশ্লিষ্ট বিভাগের উপসচিব ফাতিমা তুজ জোহরা ঠাকুর স্বাক্ষরিত ওই নোটিশ ‘অতীব জরুরি’ হিসেবে গৃহায়ণ ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয়েছে।
২৩ মিনিট আগে
ময়মনসিংহে নিষিদ্ধঘোষিত সংগঠন ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় নির্বাহী সংসদের সহসভাপতি জেসমিন আরা রুমাকে (২৭) গ্রেপ্তার করা হয়েছে। গতকাল সোমবার (৩ নভেম্বর) দিবাগত রাত সাড়ে ১২টা দিকে নগরীর মালগুদাম এলাকার নিজ বাস থেকে তাঁকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।
২ ঘণ্টা আগে
শেরপুরের নালিতাবাড়ী উপজেলায় একটি মসজিদে ঢুকে ইমাম ও মুসল্লিদের ওপর হামলা এবং মসজিদের আসবাব ভাঙচুরের ঘটনায় দুজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। মঙ্গলবার (৪ নভেম্বর) সকালে শেরপুর শহরের নয়ানী বাজার এলাকা থেকে অভিযান চালিয়ে তাঁদের গ্রেপ্তার করা হয়। পরে দুপুরে আদালতের মাধ্যমে জেলহাজতে পাঠানো হয়।
২ ঘণ্টা আগে
এলাকার চিহ্নিত কিশোর গ্যাং সদস্য রবি, রনি, সাগর, সাব্বিরসহ আরও চার থেকে পাঁচজন দেশীয় ধারালো অস্ত্র নিয়ে ঘোরাফেরা করছিল। এ সময় দোকানের ক্রেতা জামিল কিশোর গ্যাং সদস্যদের বেপরোয়া আচরণের প্রতিবাদ করলে তাঁর সঙ্গে রবির বাগ্বিতণ্ডা হয়। উভয় পক্ষের বাগ্বিতণ্ডা থামাতে জামিলের বন্ধু মারুফ ঘটনাস্থলে যান।
২ ঘণ্টা আগেনীলফামারী প্রতিনিধি

অবশেষে নীলফামারীতেই হচ্ছে চীন সরকারের উপহারের ১ হাজার শয্যার হাসপাতাল। গত ৩০ অক্টোবর স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের স্বাস্থ্য সেবা বিভাগ থেকে জারি করা নোটিশে এ তথ্য জানা গেছে। সংশ্লিষ্ট বিভাগের উপসচিব ফাতিমা তুজ জোহরা ঠাকুর স্বাক্ষরিত ওই নোটিশ ‘অতীব জরুরি’ হিসেবে গৃহায়ণ ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয়েছে।
স্বাস্থ্য সেবা বিভাগের নোটিশের সূত্রমতে, নীলফামারী সদর উপজেলার চড়াইখোলা ইউনিয়নের দারোয়ানী টেক্সটাইল মাঠে সাড়ে ২৫ একর জায়গার ওপর নির্মিত হবে চীনা হাসপাতাল। হাসপাতাল স্থাপনে ইতিমধ্যে মাস্টারপ্ল্যান প্রণয়ন ও বিভিন্ন স্থাপনার ব্যয় প্রাক্কলন তৈরি করতে বলা হয়েছে।
চীন সরকারের হাসপাতাল স্থাপনে নীলফামারী জেলাকে নির্বাচিত করায় কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেছেন জেলা বিএনপির সদস্যসচিব এ এইচ এম সাইফুল্লাহ রুবেল ও জেলা জামায়াতের আমির অধ্যক্ষ আব্দুস সাত্তার। তাঁদের মতে, হাসপাতালটির ফলে এলাকার স্বাস্থ্যসেবার মান যেমন বাড়বে, তেমনি অর্থনৈতিকভাবে শক্ত অবস্থানে দাঁড়াবে এই জেলা। উন্নত চিকিৎসা নিতে এখন আর দেশের বাইরে যেতে হবে না।
নীলফামারী চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির সাবেক সভাপতি সোহেল পারভেজ বলেন, ‘চীন সরকারের হাসপাতাল স্থাপন নিয়ে সরকারের সিলেকশন যথাযথ। দারোয়ানী মাঠ সব দিক থেকে এগিয়ে অন্যান্য জায়গাগুলোর চেয়ে। সব সুযোগ-সুবিধা পাবে হাসপাতালটি স্থাপনের ক্ষেত্রে। ব্যবসায়িকভাবে আরও সমৃদ্ধ হলো আমাদের জেলা।’
এ ব্যাপারে নীলফামারীর গণপূর্ত বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী সাকিউজ্জামান বলেন, ‘চিঠিটি আমরা পেয়েছি। ১ হাজার শয্যাবিশিষ্ট হাসপাতাল স্থাপন বিষয়ে আমরা ডিজিটাল সার্ভে শুরু করেছি। গণপূর্ত বিভাগ ইতিমধ্যে কাজ শুরু করে দিয়েছে।’
নীলফামারী জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ নায়িরুজ্জামান জানান, দারোয়ানী টেক্সটাইল এলাকায় ৬০ একরের বেশি সরকারি জায়গা রয়েছে। চীন সরকারের এক হাজার শয্যার হাসপাতাল স্থাপনে ২৫ একর জায়গা প্রয়োজন। ২৫ একর জায়গা হাসপাতালের জন্য দিয়ে মন্ত্রণালয়ে চিঠি পাঠানো হয়েছে। মন্ত্রণালয় থেকে হাসপাতাল স্থাপনে ব্যয় এবং ডিজাইনের কাজ শুরু হয়েছে। আশা করা যায়, নীলফামারীতে হচ্ছে হাসপাতালটি।
প্রসঙ্গত, নিজ এলাকায় এই হাসপাতাল চেয়ে আন্দোলন হয়েছে রংপুরসহ কয়েকটি জেলায়।

অবশেষে নীলফামারীতেই হচ্ছে চীন সরকারের উপহারের ১ হাজার শয্যার হাসপাতাল। গত ৩০ অক্টোবর স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের স্বাস্থ্য সেবা বিভাগ থেকে জারি করা নোটিশে এ তথ্য জানা গেছে। সংশ্লিষ্ট বিভাগের উপসচিব ফাতিমা তুজ জোহরা ঠাকুর স্বাক্ষরিত ওই নোটিশ ‘অতীব জরুরি’ হিসেবে গৃহায়ণ ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয়েছে।
স্বাস্থ্য সেবা বিভাগের নোটিশের সূত্রমতে, নীলফামারী সদর উপজেলার চড়াইখোলা ইউনিয়নের দারোয়ানী টেক্সটাইল মাঠে সাড়ে ২৫ একর জায়গার ওপর নির্মিত হবে চীনা হাসপাতাল। হাসপাতাল স্থাপনে ইতিমধ্যে মাস্টারপ্ল্যান প্রণয়ন ও বিভিন্ন স্থাপনার ব্যয় প্রাক্কলন তৈরি করতে বলা হয়েছে।
চীন সরকারের হাসপাতাল স্থাপনে নীলফামারী জেলাকে নির্বাচিত করায় কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেছেন জেলা বিএনপির সদস্যসচিব এ এইচ এম সাইফুল্লাহ রুবেল ও জেলা জামায়াতের আমির অধ্যক্ষ আব্দুস সাত্তার। তাঁদের মতে, হাসপাতালটির ফলে এলাকার স্বাস্থ্যসেবার মান যেমন বাড়বে, তেমনি অর্থনৈতিকভাবে শক্ত অবস্থানে দাঁড়াবে এই জেলা। উন্নত চিকিৎসা নিতে এখন আর দেশের বাইরে যেতে হবে না।
নীলফামারী চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির সাবেক সভাপতি সোহেল পারভেজ বলেন, ‘চীন সরকারের হাসপাতাল স্থাপন নিয়ে সরকারের সিলেকশন যথাযথ। দারোয়ানী মাঠ সব দিক থেকে এগিয়ে অন্যান্য জায়গাগুলোর চেয়ে। সব সুযোগ-সুবিধা পাবে হাসপাতালটি স্থাপনের ক্ষেত্রে। ব্যবসায়িকভাবে আরও সমৃদ্ধ হলো আমাদের জেলা।’
এ ব্যাপারে নীলফামারীর গণপূর্ত বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী সাকিউজ্জামান বলেন, ‘চিঠিটি আমরা পেয়েছি। ১ হাজার শয্যাবিশিষ্ট হাসপাতাল স্থাপন বিষয়ে আমরা ডিজিটাল সার্ভে শুরু করেছি। গণপূর্ত বিভাগ ইতিমধ্যে কাজ শুরু করে দিয়েছে।’
নীলফামারী জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ নায়িরুজ্জামান জানান, দারোয়ানী টেক্সটাইল এলাকায় ৬০ একরের বেশি সরকারি জায়গা রয়েছে। চীন সরকারের এক হাজার শয্যার হাসপাতাল স্থাপনে ২৫ একর জায়গা প্রয়োজন। ২৫ একর জায়গা হাসপাতালের জন্য দিয়ে মন্ত্রণালয়ে চিঠি পাঠানো হয়েছে। মন্ত্রণালয় থেকে হাসপাতাল স্থাপনে ব্যয় এবং ডিজাইনের কাজ শুরু হয়েছে। আশা করা যায়, নীলফামারীতে হচ্ছে হাসপাতালটি।
প্রসঙ্গত, নিজ এলাকায় এই হাসপাতাল চেয়ে আন্দোলন হয়েছে রংপুরসহ কয়েকটি জেলায়।

টাঙ্গাইলের নাম শুনলে চোখে ভাসে তাঁত। জিভে জল আনে পোড়াবাড়ীর চমচম। কিন্তু ১৫টির বেশি নদী জড়িয়ে রেখেছে এই জনপদ। যমুনা, ধলেশ্বরী, বংশী, পুংলী, ঝিনাই, এলংজানি, হাওয়া—কত বাহারি নাম। জলমগ্ন এই ভূমির মানুষের জীবন জলের সঙ্গে জুড়ে গেছে। জলের সঙ্গে আছে সাপের যোগ।
০৫ জুলাই ২০২৫
ময়মনসিংহে নিষিদ্ধঘোষিত সংগঠন ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় নির্বাহী সংসদের সহসভাপতি জেসমিন আরা রুমাকে (২৭) গ্রেপ্তার করা হয়েছে। গতকাল সোমবার (৩ নভেম্বর) দিবাগত রাত সাড়ে ১২টা দিকে নগরীর মালগুদাম এলাকার নিজ বাস থেকে তাঁকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।
২ ঘণ্টা আগে
শেরপুরের নালিতাবাড়ী উপজেলায় একটি মসজিদে ঢুকে ইমাম ও মুসল্লিদের ওপর হামলা এবং মসজিদের আসবাব ভাঙচুরের ঘটনায় দুজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। মঙ্গলবার (৪ নভেম্বর) সকালে শেরপুর শহরের নয়ানী বাজার এলাকা থেকে অভিযান চালিয়ে তাঁদের গ্রেপ্তার করা হয়। পরে দুপুরে আদালতের মাধ্যমে জেলহাজতে পাঠানো হয়।
২ ঘণ্টা আগে
এলাকার চিহ্নিত কিশোর গ্যাং সদস্য রবি, রনি, সাগর, সাব্বিরসহ আরও চার থেকে পাঁচজন দেশীয় ধারালো অস্ত্র নিয়ে ঘোরাফেরা করছিল। এ সময় দোকানের ক্রেতা জামিল কিশোর গ্যাং সদস্যদের বেপরোয়া আচরণের প্রতিবাদ করলে তাঁর সঙ্গে রবির বাগ্বিতণ্ডা হয়। উভয় পক্ষের বাগ্বিতণ্ডা থামাতে জামিলের বন্ধু মারুফ ঘটনাস্থলে যান।
২ ঘণ্টা আগেময়মনসিংহ প্রতিনিধি

ময়মনসিংহে নিষিদ্ধঘোষিত সংগঠন ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় নির্বাহী সংসদের সহসভাপতি জেসমিন আরা রুমাকে (২৭) গ্রেপ্তার করা হয়েছে। গতকাল সোমবার (৩ নভেম্বর) দিবাগত রাত সাড়ে ১২টা দিকে নগরীর মালগুদাম এলাকার নিজ বাস থেকে তাঁকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।
গ্রেপ্তার রুমা নগরীর মালগুদাম এলাকার অবসরপ্রাপ্ত রেল কর্মচারী আবু তাহেলের মেয়ে। তাঁর স্বামী সুলতান মাহমুদ টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ার বলে জানা গেছে।
আজ মঙ্গলবার (৪ নভেম্বর) বিকেলে কোতোয়ালি মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মুহাম্মদ শিবিরুল ইসলাম গ্রেপ্তারের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি জানান, জেসমিন আরা রুমা কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সহসভাপতি। তাঁর বিরুদ্ধে গত ছাত্র-জনতার আন্দোলনে সশস্ত্র হামলার অভিযোগ রয়েছে। সন্ত্রাসবিরোধী মামলায় আদালতের নির্দেশে তাঁকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।

ময়মনসিংহে নিষিদ্ধঘোষিত সংগঠন ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় নির্বাহী সংসদের সহসভাপতি জেসমিন আরা রুমাকে (২৭) গ্রেপ্তার করা হয়েছে। গতকাল সোমবার (৩ নভেম্বর) দিবাগত রাত সাড়ে ১২টা দিকে নগরীর মালগুদাম এলাকার নিজ বাস থেকে তাঁকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।
গ্রেপ্তার রুমা নগরীর মালগুদাম এলাকার অবসরপ্রাপ্ত রেল কর্মচারী আবু তাহেলের মেয়ে। তাঁর স্বামী সুলতান মাহমুদ টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ার বলে জানা গেছে।
আজ মঙ্গলবার (৪ নভেম্বর) বিকেলে কোতোয়ালি মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মুহাম্মদ শিবিরুল ইসলাম গ্রেপ্তারের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি জানান, জেসমিন আরা রুমা কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সহসভাপতি। তাঁর বিরুদ্ধে গত ছাত্র-জনতার আন্দোলনে সশস্ত্র হামলার অভিযোগ রয়েছে। সন্ত্রাসবিরোধী মামলায় আদালতের নির্দেশে তাঁকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।

টাঙ্গাইলের নাম শুনলে চোখে ভাসে তাঁত। জিভে জল আনে পোড়াবাড়ীর চমচম। কিন্তু ১৫টির বেশি নদী জড়িয়ে রেখেছে এই জনপদ। যমুনা, ধলেশ্বরী, বংশী, পুংলী, ঝিনাই, এলংজানি, হাওয়া—কত বাহারি নাম। জলমগ্ন এই ভূমির মানুষের জীবন জলের সঙ্গে জুড়ে গেছে। জলের সঙ্গে আছে সাপের যোগ।
০৫ জুলাই ২০২৫
অবশেষে নীলফামারীতেই হচ্ছে চীন সরকারের উপহারের ১ হাজার শয্যার হাসপাতাল। গত ৩০ অক্টোবর স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের স্বাস্থ্য সেবা বিভাগ থেকে জারি করা নোটিশে এ তথ্য জানা গেছে। সংশ্লিষ্ট বিভাগের উপসচিব ফাতিমা তুজ জোহরা ঠাকুর স্বাক্ষরিত ওই নোটিশ ‘অতীব জরুরি’ হিসেবে গৃহায়ণ ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয়েছে।
২৩ মিনিট আগে
শেরপুরের নালিতাবাড়ী উপজেলায় একটি মসজিদে ঢুকে ইমাম ও মুসল্লিদের ওপর হামলা এবং মসজিদের আসবাব ভাঙচুরের ঘটনায় দুজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। মঙ্গলবার (৪ নভেম্বর) সকালে শেরপুর শহরের নয়ানী বাজার এলাকা থেকে অভিযান চালিয়ে তাঁদের গ্রেপ্তার করা হয়। পরে দুপুরে আদালতের মাধ্যমে জেলহাজতে পাঠানো হয়।
২ ঘণ্টা আগে
এলাকার চিহ্নিত কিশোর গ্যাং সদস্য রবি, রনি, সাগর, সাব্বিরসহ আরও চার থেকে পাঁচজন দেশীয় ধারালো অস্ত্র নিয়ে ঘোরাফেরা করছিল। এ সময় দোকানের ক্রেতা জামিল কিশোর গ্যাং সদস্যদের বেপরোয়া আচরণের প্রতিবাদ করলে তাঁর সঙ্গে রবির বাগ্বিতণ্ডা হয়। উভয় পক্ষের বাগ্বিতণ্ডা থামাতে জামিলের বন্ধু মারুফ ঘটনাস্থলে যান।
২ ঘণ্টা আগেনালিতাবাড়ী (শেরপুর) প্রতিনিধি

শেরপুরের নালিতাবাড়ী উপজেলায় একটি মসজিদে ঢুকে ইমাম ও মুসল্লিদের ওপর হামলা এবং মসজিদের আসবাব ভাঙচুরের ঘটনায় দুজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
মঙ্গলবার (৪ নভেম্বর) সকালে শেরপুর শহরের নয়ানী বাজার এলাকা থেকে অভিযান চালিয়ে তাঁদের গ্রেপ্তার করা হয়। পরে দুপুরে আদালতের মাধ্যমে জেলহাজতে পাঠানো হয়।
গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন নালিতাবাড়ী উপজেলার পোড়াগাঁও ইউনিয়নের বাতকুচি গ্রামের জহিরুল ইসলামের দুই ছেলে উমর ফারুক ওরফে ফারুক পাগলা (৩৫) ও ফরহাদ হোসেন (২৭)।
পুলিশ জানায়, ২ নভেম্বর সন্ধ্যায় উপজেলার বারোমারী বাজার এলাকার চেল্লাখালী নদীর পশ্চিমপাড়ে উত্তর বাতকুচি ফরেস্ট অফিসসংলগ্ন বাইতুল নূর জামে মসজিদে ওই হামলা ও ভাঙচুরের ঘটনা ঘটে।
সেদিন ফরহাদ, উমর ফারুক ও রুবেল নামে তিনজন মদ্যপ অবস্থায় মসজিদে ঢুকে ইমাম শফিকুল ইসলামের উদ্দেশে বলেন, ‘আজ থেকে এই মসজিদে আজান দেওয়া যাবে না, আমাদের অনুমতি ছাড়া আর আজান হবে না।’
ইমাম প্রতিবাদ করলে তাঁরা তাঁকে ভয়ভীতি প্রদর্শন করেন। একপর্যায়ে ইমাম পালিয়ে গেলে হামলাকারীরা মসজিদে ঢুকে মাইক সেট, বৈদ্যুতিক বোর্ড, টিনের বেড়া ও অন্য সামগ্রী ভাঙচুর করেন।
এ সময় মুসল্লি হাবিবুর রহমান ও কাজল মিয়া বাধা দিতে গেলে তাঁদেরও মারধর করা হয়। পরে গ্রামবাসী আহতদের উদ্ধার করে নালিতাবাড়ী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যান।
ঘটনার পর মসজিদ পরিচালনা কমিটির সভাপতি মো. আশরাফ আলী বাদী হয়ে নালিতাবাড়ী থানায় মামলা করেন।
নালিতাবাড়ী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. সোহেল রানা বলেন, ‘মসজিদে ঢুকে হামলা ও ভাঙচুরের ঘটনায় দুজনকে গ্রেপ্তার করে আদালতে পাঠানো হয়েছে। ঘটনার সঙ্গে জড়িত অন্যদেরও গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।’

শেরপুরের নালিতাবাড়ী উপজেলায় একটি মসজিদে ঢুকে ইমাম ও মুসল্লিদের ওপর হামলা এবং মসজিদের আসবাব ভাঙচুরের ঘটনায় দুজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
মঙ্গলবার (৪ নভেম্বর) সকালে শেরপুর শহরের নয়ানী বাজার এলাকা থেকে অভিযান চালিয়ে তাঁদের গ্রেপ্তার করা হয়। পরে দুপুরে আদালতের মাধ্যমে জেলহাজতে পাঠানো হয়।
গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন নালিতাবাড়ী উপজেলার পোড়াগাঁও ইউনিয়নের বাতকুচি গ্রামের জহিরুল ইসলামের দুই ছেলে উমর ফারুক ওরফে ফারুক পাগলা (৩৫) ও ফরহাদ হোসেন (২৭)।
পুলিশ জানায়, ২ নভেম্বর সন্ধ্যায় উপজেলার বারোমারী বাজার এলাকার চেল্লাখালী নদীর পশ্চিমপাড়ে উত্তর বাতকুচি ফরেস্ট অফিসসংলগ্ন বাইতুল নূর জামে মসজিদে ওই হামলা ও ভাঙচুরের ঘটনা ঘটে।
সেদিন ফরহাদ, উমর ফারুক ও রুবেল নামে তিনজন মদ্যপ অবস্থায় মসজিদে ঢুকে ইমাম শফিকুল ইসলামের উদ্দেশে বলেন, ‘আজ থেকে এই মসজিদে আজান দেওয়া যাবে না, আমাদের অনুমতি ছাড়া আর আজান হবে না।’
ইমাম প্রতিবাদ করলে তাঁরা তাঁকে ভয়ভীতি প্রদর্শন করেন। একপর্যায়ে ইমাম পালিয়ে গেলে হামলাকারীরা মসজিদে ঢুকে মাইক সেট, বৈদ্যুতিক বোর্ড, টিনের বেড়া ও অন্য সামগ্রী ভাঙচুর করেন।
এ সময় মুসল্লি হাবিবুর রহমান ও কাজল মিয়া বাধা দিতে গেলে তাঁদেরও মারধর করা হয়। পরে গ্রামবাসী আহতদের উদ্ধার করে নালিতাবাড়ী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যান।
ঘটনার পর মসজিদ পরিচালনা কমিটির সভাপতি মো. আশরাফ আলী বাদী হয়ে নালিতাবাড়ী থানায় মামলা করেন।
নালিতাবাড়ী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. সোহেল রানা বলেন, ‘মসজিদে ঢুকে হামলা ও ভাঙচুরের ঘটনায় দুজনকে গ্রেপ্তার করে আদালতে পাঠানো হয়েছে। ঘটনার সঙ্গে জড়িত অন্যদেরও গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।’

টাঙ্গাইলের নাম শুনলে চোখে ভাসে তাঁত। জিভে জল আনে পোড়াবাড়ীর চমচম। কিন্তু ১৫টির বেশি নদী জড়িয়ে রেখেছে এই জনপদ। যমুনা, ধলেশ্বরী, বংশী, পুংলী, ঝিনাই, এলংজানি, হাওয়া—কত বাহারি নাম। জলমগ্ন এই ভূমির মানুষের জীবন জলের সঙ্গে জুড়ে গেছে। জলের সঙ্গে আছে সাপের যোগ।
০৫ জুলাই ২০২৫
অবশেষে নীলফামারীতেই হচ্ছে চীন সরকারের উপহারের ১ হাজার শয্যার হাসপাতাল। গত ৩০ অক্টোবর স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের স্বাস্থ্য সেবা বিভাগ থেকে জারি করা নোটিশে এ তথ্য জানা গেছে। সংশ্লিষ্ট বিভাগের উপসচিব ফাতিমা তুজ জোহরা ঠাকুর স্বাক্ষরিত ওই নোটিশ ‘অতীব জরুরি’ হিসেবে গৃহায়ণ ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয়েছে।
২৩ মিনিট আগে
ময়মনসিংহে নিষিদ্ধঘোষিত সংগঠন ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় নির্বাহী সংসদের সহসভাপতি জেসমিন আরা রুমাকে (২৭) গ্রেপ্তার করা হয়েছে। গতকাল সোমবার (৩ নভেম্বর) দিবাগত রাত সাড়ে ১২টা দিকে নগরীর মালগুদাম এলাকার নিজ বাস থেকে তাঁকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।
২ ঘণ্টা আগে
এলাকার চিহ্নিত কিশোর গ্যাং সদস্য রবি, রনি, সাগর, সাব্বিরসহ আরও চার থেকে পাঁচজন দেশীয় ধারালো অস্ত্র নিয়ে ঘোরাফেরা করছিল। এ সময় দোকানের ক্রেতা জামিল কিশোর গ্যাং সদস্যদের বেপরোয়া আচরণের প্রতিবাদ করলে তাঁর সঙ্গে রবির বাগ্বিতণ্ডা হয়। উভয় পক্ষের বাগ্বিতণ্ডা থামাতে জামিলের বন্ধু মারুফ ঘটনাস্থলে যান।
২ ঘণ্টা আগেগাজীপুর প্রতিনিধি

গাজীপুর মহানগরীতে কিশোর গ্যাংয়ের ছুরিকাঘাতে এক যুবক নিহত হয়েছেন। এ ঘটনায় একজন আহত হয়েছেন। গতকাল সোমবার সন্ধ্যা সোয়া ৭টার দিকে গাছা থানার ৩৭ নম্বর ওয়ার্ডের কুনিয়া তারগাছ এলাকায় এ হত্যাকাণ্ড ঘটে।
নিহত যুবকের নাম মারুফ (২২)। তিনি মহানগরীর গাছা থানার কুনিয়া তারগাছ এলাকার আব্দুর রাজ্জাকের ছেলে। আহত যুবকের নাম জামিল (২৪)। তাঁরা পরস্পর বন্ধু।
পুলিশ ঘটনার সঙ্গে জড়িত মূল অভিযুক্ত ব্যক্তিসহ দুজনকে গ্রেপ্তার করেছে। তাঁরা হলেন মামলার প্রধান আসামি মো. রবিউল ইসলাম ওরফে সিগমা রবি (২৪) ও ২ নম্বর আসামি মো. সাব্বির হোসেন (১৮)। তাঁরা এলাকায় কিশোর গ্যাং হিসেবে পরিচিত হলেও সবাই তরুণ বয়সী।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, গতকাল সন্ধ্যা সোয়া ৭টার দিকে গাছা থানার ৩৭ নম্বর ওয়ার্ডের কুনিয়া তারগাছ এলাকার আক্তারের বাড়ির সামনে এলাকার চিহ্নিত কিশোর গ্যাং সদস্য রবি, রনি, সাগর, সাব্বিরসহ আরও চার থেকে পাঁচজন দেশীয় ধারালো অস্ত্র নিয়ে ঘোরাফেরা করছিল। এ সময় এক দোকানের ক্রেতা জামিল কিশোর গ্যাং সদস্যদের বেপরোয়া আচরণের প্রতিবাদ করলে তাঁর সঙ্গে রবির বাগ্বিতণ্ডা হয়। উভয় পক্ষের বাগ্বিতণ্ডা থামাতে জামিলের বন্ধু মারুফ ঘটনাস্থলে যান। এ সময় কিশোর গ্যাং সদস্যরা ক্ষিপ্ত হয়ে ওই দুই বন্ধুকে এলোপাতাড়ি ছুরিকাঘাত করে পালিয়ে যায়।
স্থানীয় লোকজন তাঁদের উদ্ধার করে তারুন্নেসা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিলে কর্তব্যরত চিকিৎসক জানান, মারুফ মারা গেছেন। প্রাথমিক চিকিৎসাসেবা দিয়ে জামিলকে শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়।
আহত জামিলের বরাতে পুলিশ জানিয়েছে, রবি, রনি, সাগর, সাব্বিরসহ ৮-১০ জনের একটি সংঘবদ্ধ কিশোর গ্যাং দীর্ঘদিন ধরে এলাকায় মাদক সেবন, চাঁদাবাজি, ছিনতাইসহ নানা অপরাধ কর্মকাণ্ড চালিয়ে আসছে।
গাজীপুর মহানগর পুলিশের (জিএমপি) গাছা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আমিনুল ইসলাম বলেন, খবর পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। নিহত যুবকের লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে।
ওসি আরও বলেন, আহত জামিলের দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে রবি, রনি, সাগর, সাব্বিরসহ অজ্ঞাতনামা কয়েকজনের বিরুদ্ধে হত্যা মামলা হয়েছে। তাৎক্ষণিকভাবে অভিযুক্ত ব্যক্তিদের গ্রেপ্তারে একাধিক টিম মাঠে নেমেছে।
জিএমপির ভারপ্রাপ্ত কমিশনার জাহিদুল হাসান আজকের পত্রিকাকে জানান, মারুফ হত্যাকাণ্ডে গাছা থানায় মামলা হয়েছে। এজাহারে মো. রবিউল ইসলাম ওরফে সিগমা রবিকে প্রধান আসামি করা হয়।
জাহিদুল হাসান বলেন, তথ্যপ্রযুক্তির সহায়তায় অবস্থান শনাক্ত করে জিএমপির গোয়েন্দা বিভাগের একটি টিম পিরোজপুরের মঠবাড়িয়া উপজেলা থেকে আজ সকালে রবিকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। অপর একটি টিম ২ নম্বর আসামি মো. সাব্বির হোসেনকে গাছা থানা এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করতে সক্ষম হয়েছে। অন্য আসামিদেরও গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।

গাজীপুর মহানগরীতে কিশোর গ্যাংয়ের ছুরিকাঘাতে এক যুবক নিহত হয়েছেন। এ ঘটনায় একজন আহত হয়েছেন। গতকাল সোমবার সন্ধ্যা সোয়া ৭টার দিকে গাছা থানার ৩৭ নম্বর ওয়ার্ডের কুনিয়া তারগাছ এলাকায় এ হত্যাকাণ্ড ঘটে।
নিহত যুবকের নাম মারুফ (২২)। তিনি মহানগরীর গাছা থানার কুনিয়া তারগাছ এলাকার আব্দুর রাজ্জাকের ছেলে। আহত যুবকের নাম জামিল (২৪)। তাঁরা পরস্পর বন্ধু।
পুলিশ ঘটনার সঙ্গে জড়িত মূল অভিযুক্ত ব্যক্তিসহ দুজনকে গ্রেপ্তার করেছে। তাঁরা হলেন মামলার প্রধান আসামি মো. রবিউল ইসলাম ওরফে সিগমা রবি (২৪) ও ২ নম্বর আসামি মো. সাব্বির হোসেন (১৮)। তাঁরা এলাকায় কিশোর গ্যাং হিসেবে পরিচিত হলেও সবাই তরুণ বয়সী।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, গতকাল সন্ধ্যা সোয়া ৭টার দিকে গাছা থানার ৩৭ নম্বর ওয়ার্ডের কুনিয়া তারগাছ এলাকার আক্তারের বাড়ির সামনে এলাকার চিহ্নিত কিশোর গ্যাং সদস্য রবি, রনি, সাগর, সাব্বিরসহ আরও চার থেকে পাঁচজন দেশীয় ধারালো অস্ত্র নিয়ে ঘোরাফেরা করছিল। এ সময় এক দোকানের ক্রেতা জামিল কিশোর গ্যাং সদস্যদের বেপরোয়া আচরণের প্রতিবাদ করলে তাঁর সঙ্গে রবির বাগ্বিতণ্ডা হয়। উভয় পক্ষের বাগ্বিতণ্ডা থামাতে জামিলের বন্ধু মারুফ ঘটনাস্থলে যান। এ সময় কিশোর গ্যাং সদস্যরা ক্ষিপ্ত হয়ে ওই দুই বন্ধুকে এলোপাতাড়ি ছুরিকাঘাত করে পালিয়ে যায়।
স্থানীয় লোকজন তাঁদের উদ্ধার করে তারুন্নেসা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিলে কর্তব্যরত চিকিৎসক জানান, মারুফ মারা গেছেন। প্রাথমিক চিকিৎসাসেবা দিয়ে জামিলকে শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়।
আহত জামিলের বরাতে পুলিশ জানিয়েছে, রবি, রনি, সাগর, সাব্বিরসহ ৮-১০ জনের একটি সংঘবদ্ধ কিশোর গ্যাং দীর্ঘদিন ধরে এলাকায় মাদক সেবন, চাঁদাবাজি, ছিনতাইসহ নানা অপরাধ কর্মকাণ্ড চালিয়ে আসছে।
গাজীপুর মহানগর পুলিশের (জিএমপি) গাছা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আমিনুল ইসলাম বলেন, খবর পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। নিহত যুবকের লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে।
ওসি আরও বলেন, আহত জামিলের দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে রবি, রনি, সাগর, সাব্বিরসহ অজ্ঞাতনামা কয়েকজনের বিরুদ্ধে হত্যা মামলা হয়েছে। তাৎক্ষণিকভাবে অভিযুক্ত ব্যক্তিদের গ্রেপ্তারে একাধিক টিম মাঠে নেমেছে।
জিএমপির ভারপ্রাপ্ত কমিশনার জাহিদুল হাসান আজকের পত্রিকাকে জানান, মারুফ হত্যাকাণ্ডে গাছা থানায় মামলা হয়েছে। এজাহারে মো. রবিউল ইসলাম ওরফে সিগমা রবিকে প্রধান আসামি করা হয়।
জাহিদুল হাসান বলেন, তথ্যপ্রযুক্তির সহায়তায় অবস্থান শনাক্ত করে জিএমপির গোয়েন্দা বিভাগের একটি টিম পিরোজপুরের মঠবাড়িয়া উপজেলা থেকে আজ সকালে রবিকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। অপর একটি টিম ২ নম্বর আসামি মো. সাব্বির হোসেনকে গাছা থানা এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করতে সক্ষম হয়েছে। অন্য আসামিদেরও গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।

টাঙ্গাইলের নাম শুনলে চোখে ভাসে তাঁত। জিভে জল আনে পোড়াবাড়ীর চমচম। কিন্তু ১৫টির বেশি নদী জড়িয়ে রেখেছে এই জনপদ। যমুনা, ধলেশ্বরী, বংশী, পুংলী, ঝিনাই, এলংজানি, হাওয়া—কত বাহারি নাম। জলমগ্ন এই ভূমির মানুষের জীবন জলের সঙ্গে জুড়ে গেছে। জলের সঙ্গে আছে সাপের যোগ।
০৫ জুলাই ২০২৫
অবশেষে নীলফামারীতেই হচ্ছে চীন সরকারের উপহারের ১ হাজার শয্যার হাসপাতাল। গত ৩০ অক্টোবর স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের স্বাস্থ্য সেবা বিভাগ থেকে জারি করা নোটিশে এ তথ্য জানা গেছে। সংশ্লিষ্ট বিভাগের উপসচিব ফাতিমা তুজ জোহরা ঠাকুর স্বাক্ষরিত ওই নোটিশ ‘অতীব জরুরি’ হিসেবে গৃহায়ণ ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয়েছে।
২৩ মিনিট আগে
ময়মনসিংহে নিষিদ্ধঘোষিত সংগঠন ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় নির্বাহী সংসদের সহসভাপতি জেসমিন আরা রুমাকে (২৭) গ্রেপ্তার করা হয়েছে। গতকাল সোমবার (৩ নভেম্বর) দিবাগত রাত সাড়ে ১২টা দিকে নগরীর মালগুদাম এলাকার নিজ বাস থেকে তাঁকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।
২ ঘণ্টা আগে
শেরপুরের নালিতাবাড়ী উপজেলায় একটি মসজিদে ঢুকে ইমাম ও মুসল্লিদের ওপর হামলা এবং মসজিদের আসবাব ভাঙচুরের ঘটনায় দুজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। মঙ্গলবার (৪ নভেম্বর) সকালে শেরপুর শহরের নয়ানী বাজার এলাকা থেকে অভিযান চালিয়ে তাঁদের গ্রেপ্তার করা হয়। পরে দুপুরে আদালতের মাধ্যমে জেলহাজতে পাঠানো হয়।
২ ঘণ্টা আগে