Ajker Patrika

জাফলংয়ে ঘরে আগুনে পুড়ে মা-মেয়ের মৃত্যু, দগ্ধ আরও ৪ 

গোয়াইনঘাট (সিলেট) প্রতিনিধি
আপডেট : ২১ আগস্ট ২০২৩, ১৩: ৪১
জাফলংয়ে ঘরে আগুনে পুড়ে মা-মেয়ের মৃত্যু, দগ্ধ আরও ৪ 

সিলেট গোয়াইনঘাটের জাফলংয়ে দোকানসংলগ্ন ঘরে অগ্নিকাণ্ডে মা-মেয়ের মৃত্যু হয়েছে। দগ্ধ হয়েছে পরিবারের আরও চারজন। তারা বর্তমানে সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। 

ফায়ার সার্ভিস ও স্থানীয়দের ধারণা, বৈদ্যুতিক শর্টসার্কিট থেকে এ অগ্নিকাণ্ড ঘটেছে। গতকাল রোববার রাত সাড়ে ১২টার দিকে উপজেলার জাফলংয়ের রসুলপুর গ্রামের ইয়াকুব মিয়ার দোকান ও বসতঘরে এ অগ্নিকাণ্ড ঘটে। 

অগ্নিদগ্ধ হয়ে ঘটনাস্থলেই মারা গেছেন ইয়াকুব মিয়ার স্ত্রী জেসমিন বেগম (৩০) ও মেয়ে সুমাইয়া আক্তার (১৩)। দগ্ধ হয়েছেন ইয়াকুব মিয়া, তাঁর মা এবং আরও দুই সন্তান জুবাইর ও জুনাইদ। 

স্থানীয়রা বলছে, ইয়াকুব মিয়া একই বাড়ির একটি কক্ষে মুদিদোকান এবং আরেকটি কক্ষে স্ত্রী- সন্তান নিয়ে বসবাস করতেন। রোববার রাতে তিনি যথারীতি দোকান বন্ধ করে স্ত্রী-সন্তান নিয়ে ঘুমিয়ে পড়েন। একপর্যায়ে রাত সাড়ে ১২টার দিকে হঠাৎ তাঁর ঘরে অগ্নিকাণ্ড ঘটে। এতে দোকানে মজুত রাখা গ্যাস সিলিন্ডারে আগুন লেগে যায় এবং আগুনের তীব্রতা ভয়াবহ রূপ ধারণ করে। মুহূর্তেই সারা ঘরে আগুন ছড়িয়ে পড়ে এবং পরিবারের সবাই অগ্নিদগ্ধ হয়। 
অগ্নিকাণ্ডের পরপরই স্থানীয়রা আহতদের উদ্ধার করে ফায়ার সার্ভিস ও থানা-পুলিশকে খবর দেয়। 

খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিস ও পুলিশ সদস্যরা স্থানীয়দের সহযোগিতায় প্রায় দুই ঘণ্টা পরে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে এবং জেসমিন বেগম ও তার মেয়ে সুমাইয়া আক্তারের মরদেহ উদ্ধার করে। 

প্রতিবেশী জুলহাস মিয়া আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আমরা পরিবার নিয়ে ঘুমিয়ে ছিলাম। হঠাৎ চিৎকার শুনে উঠে দেখি ইয়াকুবের সারা ঘরে আগুন ধরে গেছে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের বাইরে। স্থানীয় এলাকাবাসীর প্রচেষ্টায় অল্পের জন্য আমার নিজের বসতঘরও আগুনের কবল থেকে রক্ষা পেয়েছে।’ 

স্থানীয় ইউপি সদস্য ও পূর্ব জাফলং ইউনিয়ন পরিষদের প্যানেল চেয়ারম্যান আব্দুল মান্নান বলেন, ‘পার্শ্ববর্তী গ্রামে অগ্নিকাণ্ডের খবর শোনার সঙ্গে সঙ্গেই আমরা দৌড়ে ঘটনাস্থলে যাই। স্থানীয় এলাকাবাসীকে নিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনার চেষ্টা করি। আর ফায়ার সার্ভিস ও থানা-পুলিশকে খবর দিই। খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিস ও পুলিশ সদস্যরা এসে স্থানীয়দের সহযোগিতায় প্রায় দুই ঘণ্টা পরে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে সক্ষম হন।’ 

এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. তাহমিলুর রহমান আজকের পত্রিকাকে বলেন, জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে নিহত প্রত্যেককে দাফনের জন্য ২০ হাজার টাকা এবং আহত প্রত্যেককে চিকিৎসার জন্য ১০ হাজার টাকা করে আর্থিক সহায়তা দেওয়া হয়েছে। 

বিষয়টি নিশ্চিত করে গোয়াইনঘাট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কে এম নজরুল বলেন, অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় মা ও মেয়ে মারা গেছেন। একই পরিবারের আরও চারজন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।

অগ্নিকাণ্ডের খবর পেয়ে গোয়াইনঘাট উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মো. ফারুক আহমদ, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) তাহমিলুর রহমান, থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কে. এম নজরুল, সিলেট জেলা পরিষদের সদস্য সুবাস দাস, আওয়ামী লীগের ধর্মবিষয়ক উপকমিটির সাবেক সদস্য ইমরান হোসেন সুমন, ইউপি সদস্য জালাল হোসেন ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

পদ্মা সেতুর সামনে এক্সপ্রেসওয়েতে চিনির ট্রাকে অগ্নিসংযোগ, কার্যক্রম নিষিদ্ধ আ.লীগের মিছিল

শরীয়তপুর প্রতিনিধি
পদ্মা সেতুর সামনে এক্সপ্রেসওয়ের নাওডোবা এলাকায় ট্রাকে আগুন দেওয়া হয়। ছবি: আজকের পত্রিকা
পদ্মা সেতুর সামনে এক্সপ্রেসওয়ের নাওডোবা এলাকায় ট্রাকে আগুন দেওয়া হয়। ছবি: আজকের পত্রিকা

শরীয়তপুরের জাজিরার নাওডোবা এলাকায় একটি চিনির ট্রাকে অগ্নিসংযোগ করেছে দুষ্কৃতকারীরা। আজ বৃহস্পতিবার (১৩ নভেম্বর) সকালে পদ্মা সেতুর সামনে এক্সপ্রেসওয়ের নাওডোবা এলাকায় এই ঘটনা ঘটে। এর আগে ওই এলাকায় মিছিল বের করে কার্যক্রম নিষিদ্ধ আওয়ামী লীগ ও এর সহযোগী সংগঠনের নেতা-কর্মীরা।

স্থানীয় ও পুলিশ সূত্রে জানা যায়, কার্যক্রম নিষিদ্ধ আওয়ামী লীগের অনলাইনে ঘোষিত ১৩ নভেম্বরের কর্মসূচির অংশ হিসেবে বৃহস্পতিবার ভোরে জাজিরা উপজেলার নাওডোবা এলাকায় মিছিল করেন আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীরা। এ সময় তাঁরা লাঠিসোঁটা নিয়ে কয়েকটি ককটেল বিস্ফোরণ ঘটান। এর কিছুক্ষণ পর ওই এলাকা দিয়ে ঢাকা থেকে ভাঙ্গার দিকে যাওয়া একটি চিনির ট্রাকে অগ্নিসংযোগ করে দুষ্কৃতকারীরা। এতে আধা ঘণ্টার বেশি সময়ের জন্য যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। বিষয়টি জানতে পেরে ঘটনাস্থলে পৌঁছায় পুলিশ। তবে তার আগেই সড়ক থেকে সটকে পড়ে দুষ্কৃতকারীরা।

পদ্মা সেতুর সামনে এক্সপ্রেসওয়ের নাওডোবা এলাকায় ট্রাকে আগুন দেওয়া হয়। ছবি: আজকের পত্রিকা
পদ্মা সেতুর সামনে এক্সপ্রেসওয়ের নাওডোবা এলাকায় ট্রাকে আগুন দেওয়া হয়। ছবি: আজকের পত্রিকা

এদিকে আওয়ামী লীগ ও এর সহযোগী সংগঠনের নেতাদের মিছিলের ৩৯ সেকেন্ডের ভিডিও ফেসবুকে ছাত্রলীগের ভেরিফায়েড পেজে আপলোড করা হয়েছে। সেখানে দেখা যায়, শতাধিক লোক হাতে লাঠিসোঁটা নিয়ে ভাঙ্গা-ঢাকা এক্সপ্রেসওয়ের নাওডোবা এলাকায় মিছিল করছে। মিছিলের সম্মুখভাগে থাকা এক ব্যক্তির দুই হাতে ককটেল দেখা যায়। এ সময় তারা নানা স্লোগান দিতে থাকে।

বিষয়টি নিয়ে জেলার পুলিশ সুপার নজরুল ইসলাম বলেন, ‘একটি ট্রাকে দুষ্কৃতকারীরা অগ্নিসংযোগ করেছে বলে জানতে পেরেছি। বিষয়টি আমরা খতিয়ে দেখছি। বর্তমানে যান চলাচল স্বাভাবিক আছে। তা ছাড়া মিছিলের বিষয়টি আমাদের নজরে এসেছে। সব ধরনের বিশৃঙ্খলা এড়াতে পুলিশ মাঠে আছে।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

নাটোরের সিংড়ায় আ.লীগের মশাল মিছিল, গ্রেপ্তার ৯

নাটোর প্রতিনিধি 
আওয়ামী লীগের মশাল মিছিল। ছবি: সংগৃহীত
আওয়ামী লীগের মশাল মিছিল। ছবি: সংগৃহীত

ঢাকা লকডাউনের সমর্থনে গভীর রাতে নাটোরের সিংড়ায় মশাল মিছিল করেছে কার্যক্রম নিষিদ্ধ আওয়ামী লীগ। গতকাল বুধবার দিবাগত রাতে সিংড়ার নাটোর-বগুড়া মহাসড়কে এই মিছিল করেন আওয়ামী লীগ কর্মীরা। পরে মিছিলের ভিডিও ফেসবুকে বিভিন্ন আইডিতে পোস্ট করেন তাঁরা।

মিছিলে সাবেক প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলকের মুক্তির দাবি জানিয়ে স্লোগান দেন নেতা-কর্মীরা।

নাটোর জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ইফতে খায়ের আলম জানান, জেলার বিভিন্ন স্থান থেকে নাশকতা পরিকল্পনায় সংশ্লিষ্টতার অভিযোগে আওয়ামী লীগের ৯ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। যেকোনো পরিস্থিতি মোকাবিলায় পুলিশ সতর্ক রয়েছে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

ফেসবুকে সরব আত্মগোপনে থাকা আওয়ামী লীগ নেতারা

ইসলামপুর (জামালপুর) প্রতিনিধি 
আপডেট : ১৩ নভেম্বর ২০২৫, ১১: ৪৯
ইসলামপুরের আত্মগোপনে থাকা আওয়ামী লীগ নেতারা ফেসবুকে সরব রয়েছেন। ছবি: সংগৃহীত
ইসলামপুরের আত্মগোপনে থাকা আওয়ামী লীগ নেতারা ফেসবুকে সরব রয়েছেন। ছবি: সংগৃহীত

কার্যক্রম নিষিদ্ধ আওয়ামী লীগের অনলাইনে ঘোষিত ১৩ নভেম্বরের কর্মসূচি ঘিরে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে সরব রয়েছেন জামালপুরের ইসলামপুরের আত্মগোপনে থাকা আওয়ামী লীগ নেতারা।

নেতা-কর্মীদের অনেকেই নিজ নিজ ফেসবুক আইডি থেকে বিভিন্ন মন্তব্য পোস্ট করেছেন।

ফেসবুক ঘেঁটে দেখা গেছে, ‘জয় বাংলা ১৩ নভেম্বর’ লিখে ফেসবুকে একটি রঙিন স্টিকার পোস্ট করেছেন ইসলামপুর উপজেলা আওয়ামী যুব মহিলা লীগের সভাপতি ও উপজেলা পরিষদের মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান আবিদা সুলতানা যুঁথী। বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে হামলার ঘটনায় দায়ের করা মামলায়।

গত ৩১ জানুয়ারি গভীর রাতে উপজেলা আওয়ামী যুব মহিলা লীগ নেত্রী আবিদা সুলতানা যুঁথীর বাবা উপজেলা আওয়ামী লীগের সদস্য আব্দুল্লাহ আল সাজুকে পুলিশ গ্রেপ্তার করে। এর পর থেকে যুঁথীকে প্রকাশ্যে দেখা যায়নি।

অপর দিকে শেখ মুজিবুর রহমান, শেখ হাসিনা এবং সজীব ওয়াজেদ জয়ের ছবিসংবলিত ফেসবুকে রঙিন স্টিকার পোস্ট করেছেন উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক শ্রমবিষয়ক সম্পাদক এস এম জাহাঙ্গীর আলম। এতে তিনি লেখেন, ‘শেখ হাসিনার কিছু হলে, জ্বলবে আগুন ঘরে ঘরে’, ‘চল চল ঢাকা চল, লকডাউন সফল করো’, ‘১৩ নভেম্বর ঢাকা লকডাউন সফল হোক’। জানা গেছে, জাহাঙ্গীর ইসলামপুর পৌর শহরের দরিয়াবাদ এলাকার বাসিন্দা। গত ১৩ ডিসেম্বর দিবাগত রাতে দক্ষিণ কমলাপুরের একটি আবাসিক হোটেলে অভিযান চালিয়ে তাঁকে আটক করে পুলিশ। পরদিন ১৪ ডিসেম্বর মতিঝিল থানায় সন্ত্রাসবিরোধী আইনের মামলায় তাঁকে গ্রেপ্তার দেখিয়ে ঢাকার চিফ জুডিশিয়াল মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে সোপর্দ করে পুলিশ। দীর্ঘদিন করাভোগের পর জামিনে মুক্তি পেলেও জাহাঙ্গীরকে জনসম্মুখে দেখা যায়নি।

আওয়ামী যুবলীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সাবেক সদস্য মঞ্জুরুল মোর্শেদ হ্যাপি এবং উপজেলা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সম্পদকমণ্ডলীর সদস্য জিয়াউল হক জুয়েলের ফেসবুকে মন্তব্য পাওয়া গেছে।

ইসলামপুর সার্কেলের সহকারী পুলিশ সুপার (এএসপি) মো. ইমরুল হাসান আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আত্মগোপনে থাকা আওয়ামী লীগ নেতা-কর্মীরা ফেসবুকে কী ধরনের পোস্ট করেছে, তা দেখিনি। তবে বিষয়টি গুরুত্বের সঙ্গে খতিয়ে দেখা হবে।’

ইসলামপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তার (ওসি) আ স ম আতিকুর রহমান বলেন, এজাহারভুক্ত পলাতক আসামিদের গ্রেপ্তারে অভিযান অব্যাহত। এ ছাড়া ফেসবুকে উসকানিমূলক পোস্টদাতাদের বিষয়েও কাজ চলছে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

মাদারীপুরে গভীর রাতে নিষিদ্ধঘোষিত ছাত্রলীগের বিক্ষোভ

মাদারীপুর প্রতিনিধি
ঢাকা-বরিশাল মহাসড়কের মাদারীপুর সদর উপজেলার মস্তফাপুর ইউনিয়নের ভাঙ্গাব্রিজ এলাকায় বিক্ষোভ করেন ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীরা। ছবি: সংগৃহীত
ঢাকা-বরিশাল মহাসড়কের মাদারীপুর সদর উপজেলার মস্তফাপুর ইউনিয়নের ভাঙ্গাব্রিজ এলাকায় বিক্ষোভ করেন ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীরা। ছবি: সংগৃহীত

মাদারীপুরে টায়ার জ্বালিয়ে মহাসড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করেছেন নিষিদ্ধঘোষিত ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীরা। বুধবার (১২ নভেম্বর) দিবাগত রাত সাড়ে ১২টার দিকে ঢাকা-বরিশাল মহাসড়কের মাদারীপুর সদর উপজেলার মস্তফাপুর ইউনিয়নের ভাঙ্গাব্রিজ এলাকায় এই বিক্ষোভ করা হয়।

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, ১৩ নভেম্বর ‘ঢাকা লকডাউন’ কর্মসূচির ঘোষণা দেয় আওয়ামী লীগ। এর অংশ হিসেবে নিষিদ্ধ ছাত্রলীগের কর্মীরা মহাসড়কে অবস্থান নেন। পরে টায়ার জ্বালিয়ে সড়ক অবরোধ করে স্লোগান দিতে থাকেন। এতে কিছু সময় মহাসড়কে যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। খবর পেয়ে দ্রুত পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে দ্রুত পালিয়ে যায় বিক্ষোভকারীরা।

মাদারীপুর সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আদিল হোসেন বলেন, ‘কিছু যুবক হঠাৎ মহাসড়কে নেমে টায়ার জ্বালিয়ে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করার চেষ্টা করে। খবর পেয়ে দ্রুত ঘটনাস্থলে যাই। তবে এর আগেই তারা পালিয়ে যায়। পরে টহল আরও বাড়ানো হয়।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত