Ajker Patrika

পাখির ধাক্কায় ক্ষতিগ্রস্ত বিমান, প্রায় ৬ ঘণ্টা দেরিতে যাত্রা

সিলেট সংবাদদাতা
পাখির ধাক্কায় ক্ষতিগ্রস্ত বিমান, প্রায় ৬ ঘণ্টা দেরিতে যাত্রা

সিলেট ওসমানী আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণের সময় পাখির সঙ্গে ধাক্কা লেগে বাংলাদেশ বিমানের একটি উড়োজাহাজ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে বলে জানা গেছে। ফ্লাইটটি সিলেট থেকে যাত্রী নিয়ে যুক্তরাজ্যে যাওয়ার কথা ছিল। আজ রোববার সকাল পৌনে ৯টার দিকে বিমানের ফ্লাইটটি ওসমানী আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণের সময় পাখির সঙ্গে ধাক্কায় ক্ষতিগ্রস্ত হয়। তবে পাইলট নিরাপদে উড়োজাহাজটিকে বিমানবন্দরে অবতরণ করিয়ে যাত্রীদের নামাতে সক্ষম হয়েছেন। 

পরে উড়োজাহাজটি ঠিক করার পর ৫ ঘণ্টা ৫০ মিনিট দেরিতে যুক্তরাজ্যের উদ্দেশে যাত্রা করেছে। বিষয়টি আজকের পত্রিকাকে নিশ্চিত করেছেন ওসমানী আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের ম্যানেজার হাফিজ আহমেদ। 

হাফিজ আহমেদ বলেন, ‘আজ সকাল ৯টা ৪০ মিনিটে ফ্লাইটটি বিমানবন্দর ছেড়ে যুক্তরাজ্যের উদ্দেশ্যে যাত্রা করার কথা ছিল। তবে বার্ড হিটের (পাখির আঘাত) কারণে উড়োজাহাজটিতে ত্রুটি দেখা দেয়। পরে ঢাকা থেকে একটি ইঞ্জিনিয়ারিং দল সিলেটে এসে মেরামত করে বিকেল ৩টা ৩০ মিনিটে ফ্লাইটটি লন্ডনের উদ্দেশ্যে যাত্রী নিয়ে ভালোভাবে ছেড়ে যায়।’ 

বিমানবন্দরের ম্যানেজার হাফিজ আহমেদ বলেন, ‘বাংলাদেশ বিমানের ফ্লাইটটি ঢাকা থেকে ৮৫ জন যাত্রী নিয়ে সিলেটে আসে। সিলেট থেকে আরও ২১২ জন যাত্রী নিয়ে যুক্তরাজ্যের উদ্দেশে সকাল ৯টা ৪০ মিনিটে ওসমানী আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর ত্যাগ করার কথা ছিল। যাত্রীদের বিমানবন্দরের লবিতে রেখে প্রয়োজনীয় সেবা দেওয়া হচ্ছে।’ 

বিমানবন্দরের এ কর্মকর্তা আরও বলেন, ‘বিমানবন্দরে যাতে পাখি না ঢুকতে পারে এ ব্যাপারে আমাদের নিয়মিত নজরদারি রয়েছে। ফ্লাইট উড্ডয়ন বা অবতরণের সময় পাখি বিপৎসীমায় ঢুকে পরলে শুট করে মেরে ফেলা হয়। কিন্তু হঠাৎ করে যখন পাখি উড়োজাহাজের একেবারে কাছাকাছি চলে আসে। এ রকম সময় শুটারের বা পাইলটের কিছু করার থাকে না।’ 

উল্লেখ্য গত ৭ মার্চেও সিলেট ওসমানী আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণের সময় পাখির ধাক্কায় উড়োজাহাজ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছিল। 

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

চট্টগ্রামের চালিতাতলীতে এবার অটোচালককে গুলি

 নিজস্ব প্রতিবেদক, চট্টগ্রাম
প্রতীকী ছবি
প্রতীকী ছবি

চট্টগ্রামের চালিতাতলীতে এবার দুর্বৃত্তের গুলিতে মো. ইদ্রিস নামের এক ব্যক্তি আহত হয়েছেন। আজ বৃহস্পতিবার বিকেলে এ ঘটনা ঘটে। পরিবারের দাবি, মাদক কারবারে বাধা দেওয়ায় ইদ্রিসকে গুলি করা হয়েছে।

আহত ইদ্রিস পরিবার নিয়ে বহদ্দারহাট এলাকায় থাকেন। তিনি পেশায় একজন অটোরিকশাচালক বলে জানা গেছে।

বিষয়টি নিশ্চিত করে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতাল পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ নুরুল আলম আশেক জানান, আহত অবস্থায় একজনকে হাসপাতালে আনা হয়েছে। তিনি হাসপাতালের ২ নম্বর ওয়ার্ডে চিকিৎসাধীন।

এর আগে একই এলাকায় গতকাল বুধবার সন্ধ্যায় দুর্বৃত্তের গুলিতে চট্টগ্রাম-৮ আসনে বিএনপির মনোনীত প্রার্থী এরশাদ উল্লাহসহ কয়েকজন গুলিবিদ্ধ হন। পরে সরোয়ার বাবলা নামের একজনের মৃত্যু হয়।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

এক মঞ্চে মনোনয়নবঞ্চিত বিএনপির দুই নেতা, আন্দোলনের ঘোষণা

পাবনা ও চাটমোহর প্রতিনিধি 
স্থানীয় প্রার্থীর দাবিতে একসঙ্গে সংবাদ সম্মেলন করে আন্দোলনের ঘোষণা দেন মনোনয়নবঞ্চিত বিএনপির দুই নেতা। ছবি: আজকের পত্রিকা
স্থানীয় প্রার্থীর দাবিতে একসঙ্গে সংবাদ সম্মেলন করে আন্দোলনের ঘোষণা দেন মনোনয়নবঞ্চিত বিএনপির দুই নেতা। ছবি: আজকের পত্রিকা

বিভেদ ভুলে এক মঞ্চে এসে স্থানীয় প্রার্থীর দাবিতে একসঙ্গে আন্দোলনের ঘোষণা দিয়েছেন পাবনা-৩ আসনে মনোনয়নবঞ্চিত দুই নেতা কে এম আনোয়ারুল ইসলাম ও হাসাদুল ইসলাম হীরা। গতকাল বৃহস্পতিবার বিকেলে পাবনার চাটমোহর পৌর সদরের পাঠানপাড়া মহল্লায় আনোয়ারুল ইসলামের বাসভবনে এক সংবাদ সম্মেলনে এ ঘোষণা দেন তাঁরা।

সংবাদ সম্মেলনে সাবেক এমপি ও চাটমোহর উপজেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি কে এম আনোয়ারুল ইসলাম বলেন, ‘আমরা ৩১ দফা বাস্তবায়নে তৎপর। ৭ নভেম্বর উদ্যাপন করতে চাই। দেশের শান্তি প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে আপনাদের সঙ্গে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করতে চাই। চাটমোহর, ভাঙ্গুড়া, ফরিদপুরের বিএনপির নেতা-কর্মীসহ সর্বস্তরের মানুষকে সঙ্গে নিয়ে সামনে এগোতে চাই। আপনাদের আহ্বান জানাই, আসুন আগামী ৮ নভেম্বর বালুচর মাঠে একসঙ্গে মিলিত হই।’

চাটমোহর উপজেলা বিএনপির সাবেক সদস্যসচিব হাসাদুল ইসলাম হীরা বলেন, ‘আমি এবং আনোয়ার চাচা একসঙ্গে মিলিত হয়ে আমরা কর্মসূচি নিয়েছি। ৭ নভেম্বর শুক্রবার, চাটমোহরে সব দোকানপাট বন্ধ থাকে, তাই আমরা পরদিন ৮ নভেম্বর কর্মসূচি দিয়েছি।’

সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে হীরা বলেন, ‘আমরা শেষ পর্যন্ত দেখতে চাই, চূড়ান্ত মনোনয়ন পর্যন্ত দেখতে চাই। তারপর আমরা পরবর্তী সিদ্ধান্ত সংবাদ সম্মেলন করে আপনাদের জানাব। আমাদের আন্দোলন চাটমোহর, ভাঙ্গুড়া, ফরিদপুরের মানুষের স্বার্থে। আমাদের দাবি একটাই, আমরা পাবনা-৩ আসনের স্থানীয় প্রার্থী চাই। চূড়ান্ত মনোনয়ন ঘোষণা হওয়া পর্যন্ত আমাদের আন্দোলন চলবে। আমরা আশা করব, দলের হাইকমান্ড সার্বিক বিবেচনা করে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবেন।’

জানা গেছে, পাবনা-৩ আসনে বিএনপির সম্ভাব্য দলীয় মনোনয়ন দেওয়া হয়েছে কেন্দ্রীয় কৃষক দলের সভাপতি কৃষিবিদ হাসান জাফির তুহিনকে। তাঁর বাড়ি পাবনার সুজানগর উপজেলায়। প্রার্থী হওয়ার পর অবশ্য তিনি চাটমোহরের ভোটার তালিকাভুক্ত হয়েছেন। প্রায় তিন মাস আগে তিনি এখানে প্রার্থী হওয়ার ঘোষণা দেন।

এদিকে, দীর্ঘদিন ধরে চাটমোহর উপজেলা বিএনপিতে বিভাজন চলছিল। সাবেক এমপি কে এম আনোয়ারুল ইসলাম এবং সাবেক পৌর মেয়র ও উপজেলা চেয়ারম্যান হাসাদুল ইসলাম হীরা আলাদাভাবে নিজেদের কর্মী-সমর্থক নিয়ে দলীয় কর্মসূচি পালন করে আসছিলেন। দুজনই পাবনা-৩ আসনের মনোনয়ন প্রত্যাশী ছিলেন। এখন বিভেদ ভুলে দুজন একসঙ্গে আন্দোলনের ঘোষণা দেওয়ায় উত্তাপ বাড়ছে পাবনা-৩ আসনের ভোটের মাঠে। শুরু হয়েছে নতুন মেরুকরণ। এখন দেখার বিষয় শেষ পর্যন্ত কি হয়।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

‘চিটাংঅর মইদ্যে সরোয়াইজ্জা মরিব’— ফোনে চট্টগ্রামের শীর্ষ সন্ত্রাসী ছোট সাজ্জাদের চেলা রায়হানের হুমকি

নিজস্ব প্রতিবেদক, চট্টগ্রাম
আপডেট : ০৬ নভেম্বর ২০২৫, ২১: ১৪
চট্টগ্রাম নগরীতে গুলিতে নিহত সরোয়ার হোসেন বাবলার লাশ ময়নাতদন্ত শেষে আজ বৃহস্পতিবার বিকেলে বায়েজিদ থানার চালিতাতলী খন্দকারপাড়ায় বাড়িতে নেওয়া হয়। ছবি: আজকের পত্রিকা
চট্টগ্রাম নগরীতে গুলিতে নিহত সরোয়ার হোসেন বাবলার লাশ ময়নাতদন্ত শেষে আজ বৃহস্পতিবার বিকেলে বায়েজিদ থানার চালিতাতলী খন্দকারপাড়ায় বাড়িতে নেওয়া হয়। ছবি: আজকের পত্রিকা

চট্টগ্রাম নগরীর চালিতাতলী হাজির পোল এলাকায় বিএনপির মনোনীত প্রার্থী এরশাদ উল্লাহর গণসংযোগের সময় গুলিতে নিহত সরোয়ার হোসেন ওরফে বাবলার (৪৩) লাশের ময়নাতদন্ত সম্পন্ন হয়েছে। আজ বৃহস্পতিবার সকালে তাঁর লাশ মর্গে নিয়ে ময়নাতদন্ত করা হয়। বিকেলে পরিবারের সদস্যরা বাবলার লাশ নগরের বায়েজিদ বোস্তামীর চালিতাতলী এলাকার খন্দকারপাড়ার বাড়িতে নিয়ে যান।

বাবলার ছোট ভাই মো. আজিজ আজকের পত্রিকাকে জানান, এশার নামাজের পর স্থানীয় ঈদগাহ মাঠে বাবলার জানাজা অনুষ্ঠিত হবে। এরপর লাশ দাফন করা হবে।

এর আগে গতকাল বুধবার সন্ধ্যার পর নগরীর চালিতাতলী হাজির পোল এলাকায় চট্টগ্রাম-৮ (বোয়ালখালী ও চান্দগাঁও) আসনে বিএনপি মনোনীত প্রার্থী ও চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক এরশাদ উল্লাহর গণসংযোগের সময় পেছন থেকে গুলিতে বাবলার মৃত্যু হয়। তিনি চালিতাতলী এলাকার খন্দকারপাড়ার আবদুল কাদেরের ছেলে।

জানা গেছে, ঘটনার পর ওই এলাকায় দোকানপাট বন্ধ রয়েছে। এলাকার পরিস্থিতি থমথমে। হত্যার সঙ্গে কারা জড়িত, সে বিষয়ে কেউ মুখ খুলতে রাজি নন। সবার মধ্যে আতঙ্ক বিরাজ করছে। যে দোকানের ভেতরে বাবলাকে গুলি করা হয়েছে, সেটিও বন্ধ রয়েছে।

গতকাল রাতে আবদুল কাদের সাংবাদিকদের জানান, বাবলাকে গুলি করে হত্যার তিন দিন আগে মোবাইল ফোনে প্রতিপক্ষ চট্টগ্রামের দুর্ধর্ষ সন্ত্রাসী সাজ্জাদ হোসেন ওরফে ছোট সাজ্জাদের সেকেন্ড ইন কমান্ড রায়হান এই হুমকি দিয়েছিলেন। সে সময় ‘তোর সময় শেষ, যা খাওয়ার খেয়ে নে’—এমন হুমকি দেওয়া হয়।

এদিকে সরোয়ার হোসেন বাবলাকে ছয় মাস আগে মোবাইল ফোনে হত্যার হুমকির একটি কলরেকর্ড আজকের পত্রিকার হাতে এসেছে। গত ২২ এপ্রিল রাউজানে যুবদল নেতা মো. ইব্রাহিম হত্যার পর রায়হান এই হুমকি দেন বলে অভিযোগ উঠেছে।

ইব্রাহিমের চাচা আবদুল হালিমের সঙ্গে মোবাইল ফোনে কথা বলার সময় রায়হান চট্টগ্রামের ভাষায় বলেছিলেন, ‘চিটাংঅর মধ্যে সরোয়াইজ্জা মরিব’ (চট্টগ্রামের মধ্যে সরোয়ার মরবে)।

বাবলার বাবা আবদুল কাদের জানান, তাঁর ছেলেকে গুলি করে হত্যার আগে দুবার ‘খতম’ করার হুমকি দিয়েছিল প্রতিপক্ষ সন্ত্রাসী গ্রুপ। সাত দিন ও তিন দিন আগে এসব হুমকি এসেছিল। বাবলা এ বিষয়ে সতর্ক থাকলেও একেবারে নিজ এলাকায় ঢুকে এভাবে গুলি করার বিষয়টি তিনি তেমন আমলে নেননি। কারণ, হুমকি এসেছিল মোবাইল ফোনে।

বাবলার ছোট ভাই মো. আজিজ বলেন, ‘এক সপ্তাহ আগে আমার ভাইকে প্রাণে মারার হুমকি দিয়েছিল হত্যাকারীরা। ওরা বলেছিল আমার ভাইয়ের সময় আর এক সপ্তাহ আছে। ওরা একাধিকবার এক সপ্তাহ সময় আছে জানিয়ে হুমকি দিত। হুমকির ঠিক এক সপ্তাহের মাথায় তারা আমার ভাইকে হত্যা করল।’

আজিজ কাতারপ্রবাসী ছিলেন। দুই বছর আগে দেশে আসেন। এলাকায় নতুন ভবন করার সময় ইট ও বালু সরবরাহের কাজ করেন। এ কারণে সাজ্জাদদের রোষানলে পড়েন তাঁরা। এ ক্ষেত্রে প্রতিপক্ষ শক্তি হিসেবে সাজ্জাদদের সামনে ছিলেন সরোয়ার হোসেন বাবলা।

এদিকে সরোয়ারের বাবা আবদুল কাদের সাংবাদিকদের জানান, তাঁর ছেলেকে প্রায়ই হুমকি দিতেন বিদেশে পলাতক সন্ত্রাসী সাজ্জাদ আলী, তাঁর সহযোগী সাজ্জাদ হোসেন ওরফে ছোট সাজ্জাদ, মো. রায়হান ও জিশানরা। গতকাল তাঁর বাড়ি থেকে ২০০ থেকে ৩০০ গজ দূরে রাস্তার পাশে দোকানে গণসংযোগ চালান বিএনপি নেতা এরশাদ উল্লাহ। একেবারে বাড়ির পাশে এসে কেউ তাঁকে হত্যা করবে, সে ব্যাপারে সতর্ক ছিলেন না বাবলা। পরিবারের সদস্যরাও তা কল্পনা করেননি।

আবদুল কাদের বলেন, ‘বাড়ির পাশে বায়তুন নুর জামে মসজিদে মাগরিবের নামাজে প্রথম কাতারে এরশাদ উল্লাহ, বাবলা দ্বিতীয় কাতারে ও আমি তৃতীয় কাতারে ছিলাম। নামাজ শেষে বের হওয়ার পরই সাত থেকে আট রাউন্ড গুলি। পরে দেখলাম, আমার ছেলে রক্তাক্ত অবস্থায় মাটিতে পড়ে আছে। অটোরিকশায় করে হাসপাতালের পথে রওনা দিলাম ছেলেকে কোলে নিয়ে। তাড়াতাড়ি যাওয়ার জন্য মাঝপথে রিকশা ছেড়ে সিএনজিচালিত অটোরিকশায় উঠে হাসপাতালে যাওয়ার আগেই আমার ছেলে আর নেই।’ পাঞ্জাবি ও লুঙ্গিতে লেগে থাকা ছোপ ছোপ রক্ত নিয়েই কথা বলছিলেন তিনি।

এদিকে পিস্তল ঠেকিয়ে গুলি করার সময় মোবাইলে লাইভে ব্যস্ত যুবককে নিয়েও সন্দেহের সৃষ্টি হয়েছে। পিস্তল হাতে হামলাকারী যুবক লাইভে থাকা যুবককে ঠেলে সামনে হাত বাড়িয়ে বাবলাকে গুলি করেন।

এ বিষয়ে বাবলার ভাই আজিজকে প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন, ‘ভারতে অবস্থানরত সাজ্জাদ (বড় সাজ্জাদ) আমার ভাইকে গুলি করার দৃশ্য দেখতে চেয়েছিল। এটা হয়তো দেখাচ্ছিল ওই যুবক।’

ওই যুবকের পরিচয় সম্পর্কে জানতে চাইলে বিএনপি নেতা ইদ্রিস আলী বলেন, ‘ওই যুবক অতি উৎসাহী হয়ে লাইভ করতে পারেন। তবে তাকে আমরা চিনতে পারছি না।’

গতকাল মাগরিবের নামাজের পর বায়েজিদ বোস্তামী থানার চালিতাতলীর খন্দকারপাড়া এলাকায় নির্বাচনী জনসংযোগ করছিলেন চট্টগ্রাম-৮ আসনের বিএনপির প্রার্থী এরশাদ উল্লাহ। ‘চালিতাতলীর মাটি, এরশাদ ভাইয়ের ঘাঁটি’—এ ধরনের স্লোগানও চলছিল। একপর্যায়ে লিফলেট বিতরণের জন্য পাশের একটি দোকানে ঢোকেন এরশাদ উল্লাহ। তাঁর সঙ্গে ২০-২৫ জন নেতা-কর্মী ছিলেন। হত্যাকারীরা ওই নেতা-কর্মীদের বহরে ঢুকে মিশে যায়। হঠাৎ গুলির শব্দ। ছত্রভঙ্গ হয়ে যান নেতা-কর্মীরা। খুব কাছ থেকে ঘাড়ের নিচে পিস্তল ঠেকিয়ে গুলি করা হয় বাবলাকে। গুলিবিদ্ধ হন এরশাদ উল্লাহসহ চারজন। এরশাদ উল্লাহসহ অন্যরা নগরের বেসরকারি হাসপাতাল এভারকেয়ারে চিকিৎসাধীন। তাঁরা আশঙ্কামুক্ত বলে জানিয়েছেন ওই হাসপাতালের জিএম রাম প্রসাদ।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

পরিবারসহ র‍্যাবের সাবেক ডিজি হারুনের দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা

‎নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা‎
আপডেট : ০৬ নভেম্বর ২০২৫, ২০: ০৯
র‍্যাবের সাবেক মহাপরিচালক (ডিজি) মো. হারুন অর রশীদ। ছবি: সংগৃহীত
র‍্যাবের সাবেক মহাপরিচালক (ডিজি) মো. হারুন অর রশীদ। ছবি: সংগৃহীত

র‍্যাবের সাবেক মহাপরিচালক (ডিজি) মো. হারুন অর রশীদ, তাঁর স্ত্রী ফাতেহা পারভীন লুনা এবং তাঁদের দুই মেয়ে ফাহমিদা ফারাহ ফাবিয়া ও নুসরাত যারীন আর্দিতার দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে। আজ বৃহস্পতিবার (৬ নভেম্বর) ঢাকা মহানগর দায়রা জজ ও সিনিয়র বিশেষ জজ আদালতের বিচারক মো. সাব্বির ফয়েজ এই নির্দেশ দেন।

দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে আদালত এ আদেশ দেন। দুদকের জনসংযোগ কর্মকর্তা আকতারুল ইসলাম বিষয়টি নিশ্চিত করেন।

দুদকের উপসহকারী পরিচালক মো. ইমরান আকন এ আবেদন করেন।

আবেদনে বলা হয়, ব্যারিস্টার মো. হারুন অর রশীদের বিরুদ্ধে প্রায় ১ হাজার কোটি টাকা অবৈধ সম্পদ অর্জন ও বিদেশে পাচারের অভিযোগে অনুসন্ধান চলছে। এ বিষয়ে প্রতিবেদন দাখিলের জন্য একজন অনুসন্ধানকারী কর্মকর্তা নিয়োগ দেওয়া হয়েছে।

অনুসন্ধানকালে বিশ্বস্ত সূত্রে জানা গেছে, অভিযোগসংশ্লিষ্ট ব্যারিস্টার মো. হারুন অর রশীদ এবং তাঁর পরিবারের সদস্যরা দেশের ভেতর পলাতক রয়েছেন। তাঁরা যেকোনো সময় দেশ ছেড়ে বিদেশে পলায়ন করতে পারেন। তাঁরা বিদেশে পালিয়ে গেলে অনুসন্ধানকাজ ব্যাহত হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।

তদন্ত সাপেক্ষে তাঁদের দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা একান্ত প্রয়োজন।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত