Ajker Patrika

জাফলংয়ে নদীতে গোসল করতে নেমে নিখোঁজ পর্যটকের লাশ উদ্ধার

গোয়াইনঘাট (সিলেট) প্রতিনিধি
আপডেট : ০৮ জুলাই ২০২৩, ১৪: ৫৯
জাফলংয়ে নদীতে গোসল করতে নেমে নিখোঁজ পর্যটকের লাশ উদ্ধার

সিলেটের গোয়াইনঘাট উপজেলার পর্যটনকেন্দ্র জাফলংয়ে নদীতে গোসল করতে নেমে নিখোঁজ হওয়ার দুই দিন পর আরশ আহমেদ (১৫) নামের এক পর্যটকের লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। আজ শনিবার সকালে জাফলংয়ের জিরো পয়েন্ট এলাকা থেকে তার লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। জাফলং টুরিস্ট পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. রতন শেখ বিষয়টি নিশ্চিত করেন। 

আরশ আহমেদ ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় কর্মরত পুলিশ পরিদর্শক (শহর ও যানবাহন) জাহেদুল হোসেনের ছেলে। তার বাড়ি কুমিল্লা জেলার ব্রাহ্মণপাড়া থানার শিদলাই গ্রামে। ঢাকার রেসিডেন্সিয়াল মডেল কলেজের নবম শ্রেণির শিক্ষার্থী ছিল আরশ। 

স্থানীয় ও পুলিশ সূত্রে জানা যায়, শনিবার সকালে জাফলংয়ের জিরো পয়েন্ট এলাকায় একটি মরদেহ ভাসতে দেখতে পেলে স্থানীয়রা পুলিশে খবর দেয়। পরে পুলিশ লাশটি উদ্ধার করে এটি নিখোঁজ আরশের লাশ বলে শনাক্ত করা হয়। গত বৃহস্পতিবার বিকেলে জাফলংয়ের ডাউকি নদীর জিরো পয়েন্ট এলাকায় গোসল করতে গিয়ে স্রোতের টানে তলিয়ে গিয়ে সে নিখোঁজ হয়। 

পুলিশ সূত্রে জানা যায়, আরশ আহমেদ তার মা-বাবা ও ছোট ভাইয়ের সঙ্গে ঢাকা থেকে বৃহস্পতিবার সকালে জাফলংয়ে বেড়াতে আসে। বিকেলের দিকে আরশ ও তার বাবা জাহেদুল হোসেন জাফলংয়ের জিরো পয়েন্ট এলাকায় নদীতে গোসল করতে নামে। সাঁতার না জানায় বাবা ও ছেলে স্রোতের টানে পানিতে ডুবে যাচ্ছে দেখে স্থানীয় কয়েকজন তাদের উদ্ধার করতে এগিয়ে যান। একপর্যায় বাবাকে উদ্ধার করতে সক্ষম হলেও ছেলে আরশ পানিতে ডুবে নিখোঁজ হয়। খবর পেয়ে স্থানীয় টুরিস্ট পুলিশের পাশাপাশি থানার পুলিশ সদস্যরা ঘটনাস্থলে গিয়ে উদ্ধার তৎপরতা চালান। 

জাফলং টুরিস্ট পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. রতন শেখ বলেন, শনিবার সকালে আরশের মরদেহ পানিতে ভেসে উঠলে তা উদ্ধার করা হয়। আইনি প্রক্রিয়া শেষে নিহতের মরদেহ পরিবারের কাছে হস্তান্তরের প্রস্তুতি চলছে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

ইটভাটায় কাদা মেশানোর যন্ত্রে কাটা পড়ে শ্রমিক নিহত

মনিরামপুর (যশোর) প্রতিনিধি
প্রতীকী ছবি
প্রতীকী ছবি

যশোরের মনিরামপুরে ভোল্ড ব্রিকস নামের একটি ইটভাটায় কাদা মেশানো যন্ত্রে কাটা পড়ে জাকির হোসেন (৪৫) নামের এক শ্রমিক মারা গেছেন। আজ বৃহস্পতিবার (১৩ নভেম্বর) দুপুরে তিনি যন্ত্রের ভেতর আটকা পড়ে কাদার সঙ্গে মিশে যান। তিন ঘণ্টা উদ্ধারকাজ চালিয়ে মনিরামপুর ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা তাঁর খণ্ডিত লাশ উদ্ধার করেছেন।

নিহত জাকির হোসেন উপজেলার মুন্সিখানপুর গ্রামের আব্দুল খালেকের ছেলে। তিনি মনিরামপুর-নওয়াপাড়া সড়কের সরুপদাহ এলাকায় অবস্থিত ওই ইটভাটায় কাদা মেশানো যন্ত্রে কাজ করতেন।

মনিরামপুর ফায়ার সার্ভিস স্টেশনের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা সাফায়াত হোসেন বলেন, ‘বেলা ৩টার দিকে আমাদের কাছে খবর আসে ভোল্ড ব্রিকসে কাদা মেশানো যন্ত্রের ভেতরে আটকা পড়ে কাদার সঙ্গে মিশে গিয়ে একজন শ্রমিক মারা গেছেন। খরব শুনে আমরা ঘটনাস্থলে গিয়ে উদ্ধারকাজ শুরু করি। নিহত জাকির হোসেন কাদা মেশানো যন্ত্র চলমান অবস্থায় গিয়ার ফেলে ভেতরে ঢুকে যন্ত্র পরিষ্কারের কাজ করছিলেন। এ সময় হঠাৎ গিয়ার সক্রিয় হয়ে মেশিন ঘুরতে শুরু করে। তখন কাদার সঙ্গে মিশে মারা যান জাকির।’

সাফায়াত হোসেন আরও বলেন, ‘জাকিরের দেহ কাদার সঙ্গে মিশে কাটা পড়ে বেশ কয়েকটি খণ্ড হয়ে যায়। আমরা তিন ঘণ্টা কাজ চালিয়ে তাঁর খণ্ডিত দেহ উদ্ধার করে থানা-পুলিশে হস্তান্তর করেছি। জাকিরের দেহ কাটা পড়ে ২০টির বেশি টুকরা হয়ে গেছে।’

মনিরামপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) বাবলুর রহমান বলেন, নিহত জাকির হোসেনের মৃত্যুর ব্যাপারে স্বজনদের কোনো অভিযোগ নেই। সন্ধ্যায় ময়নাতদন্ত ছাড়া স্বজনদের লাশ বুঝে দেওয়া হয়েছে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

পিরোজপুরে অস্ত্রসহ ২ ডাকাত আটক

পিরোজপুর প্রতিনিধি
গ্রেপ্তার ব্যক্তিরা। ছবি: সংগৃহীত
গ্রেপ্তার ব্যক্তিরা। ছবি: সংগৃহীত

পিরোজপুরের ভান্ডারিয়ায় ডাকাতির প্রস্তুতিকালে দেশীয় অস্ত্র ও মাদকসহ দুজনকে আটক করেছেন জেলা পুলিশের গোয়েন্দা শাখার (ডিবি) সদস্যরা।

বৃহস্পতিবার (১৩ নভেম্বর) ভোরে ভান্ডারিয়া উপজেলার সরদারপাড়া এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাদের আটক করা হয়।

ডিবি জানায়, জেলা গোয়েন্দা পুলিশের এসআই আতিকুর রহমানের নেতৃত্বে পরিচালিত অভিযানে জাহাঙ্গীর হোসেন (৪০) ও দেলোয়ার সরদার (৪২) নামে দুজনকে হাতেনাতে আটক করা হয়। এ সময় পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে তাঁদের সহযোগী ৭-৮ জন পালিয়ে যায়।

গোপন সংবাদের ভিত্তিতে এ অভিযান চালানো হয়। আটক ব্যক্তিদের কাছ থেকে ডাকাতির কাজে ব্যবহৃত ১১ ধরনের দেশীয় অস্ত্র উদ্ধার করা হয়েছে।

জিজ্ঞাসাবাদে তাঁরা মাদক ব্যবসার সঙ্গে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করেন। পরবর্তীকালে পৃথক অভিযানে আরও ৫ কেজি গাঁজা ও ১২০ পিস ইয়াবা উদ্ধার করা হয়।

পিরোজপুরের পুলিশ সুপার (এসপি) খান মোহাম্মদ আবু নাছের বলেন, আটক দুজনসহ পলাতকদের বিরুদ্ধে ডাকাতি প্রস্তুতি ও মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে দুটি পৃথক মামলা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

বিনা অনুমতিতে কর্মস্থলে দীর্ঘদিন অনুপস্থিত, চাকরি হারালেন শিক্ষিকা

চাঁপাইনবাবগঞ্জ প্রতিনিধি
চাঁপাইনবাবগঞ্জের গোমস্তাপুর উপজেলার মচকৈল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়। ছবি: সংগৃহীত
চাঁপাইনবাবগঞ্জের গোমস্তাপুর উপজেলার মচকৈল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়। ছবি: সংগৃহীত

অনুমতি ছাড়া কর্মস্থলে দীর্ঘদিন অনুপস্থিত থাকায় চাঁপাইনবাবগঞ্জের গোমস্তাপুর উপজেলার মচকৈল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক মোসা. মুসলেমা খাতুনকে চাকরি থেকে অপসারণ করা হয়েছে। গতকাল বুধবার জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার কার্যালয় থেকে এ-সংক্রান্ত আদেশ জারি করা হয়েছে।

সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, ২০২২ সালের ১ আগস্ট থেকে কর্মস্থলে অনুপস্থিত মুসলেমা খাতুন। দীর্ঘদিন অনুপস্থিতির জন্য কর্তৃপক্ষের কাছে কোনো ছুটির আবেদনও করেননি তিনি। সরকারি কর্মচারী শৃঙ্খলা ও আপিলসংক্রান্ত নিয়ম অনুযায়ী, বিনা অনুমতিতে কর্মস্থলে দীর্ঘদিন অনুপস্থিত থাকা গুরুতর অপরাধ। তাঁর বিরুদ্ধে অভিযোগ ওঠার পর কারণ দর্শানোর নোটিশ দেওয়া হয়। সেই নোটিশেরও জবাব দেননি তিনি। তাই সরকারি বিধি অনুযায়ী তাঁকে চাকরি থেকে অপসারণ করা হয়েছে।

এ বিষয়ে মচকৈল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক নাসিমা খাতুন বলেন, ‘২০২২ সাল থেকে বিদ্যালয়ে আসেন না মুসলেমা খাতুন। আমরা তাঁর সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করলেও তিনি সাড়া দেননি। যতটুকু জানি, তিনি তাঁর স্বামীর সঙ্গে ঢাকায় থাকেন।’

চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা সাইফুল ইসলাম বলেন, সরকারি চাকরির শৃঙ্খলাভঙ্গের অপরাধে মচকৈল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক মুসলেমা খাতুনকে চাকরি থেকে অপসারণ করা হয়েছে। তিনি বিনা অনুমতিতে দীর্ঘদিন কর্মস্থলে অনুপস্থিত ছিলেন। এতে বিদ্যালয়ের পাঠদান ব্যাহত ও শিশুদের লেখাপড়া বিঘ্নিত হয়েছে। ওই শিক্ষিকাকে অপসারণের মাধ্যমে বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক পদটি শূন্য ঘোষণা করা হয়েছে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

রামপুরায় চারতলা থেকে পড়ে শিশুর মৃত্যু

ঢামেক প্রতিবেদক
প্রতীকী ছবি
প্রতীকী ছবি

রাজধানীর রামপুরায় চারতলা ভবন থেকে পড়ে আয়ান মো. জাওজি (১০) নামের এক শিশুর মৃত্যু হয়েছে। আজ বৃহস্পতিবার (১৩ নভেম্বর) বেলা ২টার দিকে রামপুরা উলন বাজার এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে। গুরুতর আহত অবস্থায় তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে নেওয়া হলে বেলা সোয়া ৩টার দিকে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।

মৃত শিশুর চাচা জাহাঙ্গীর হোসেন জানান, আয়ান শারীরিক প্রতিবন্ধী ছিল। সে রামপুরা উলন বাজার এলাকার ওই বাড়িতে চতুর্থ তলায় পরিবারের সঙ্গে থাকত। দুই ভাই ও এক বোনের মধ্যে আয়ান ছিল সবচেয়ে ছোট।

জাহাঙ্গীর হোসেন আরও জানান, বাড়িটির ছয়তলা পর্যন্ত করা কথা থাকলেও চারতলা পর্যন্ত নির্মাণ সম্পন্ন হয়েছে। আয়ান কখন ছাদে গিয়েছে, তা কেউ বুঝতে পারেনি। হঠাৎ নিচে পড়ে আহত হয়। পরে প্রথমে বেটারলাইফ হাসপাতালে নেওয়া হয়, সেখান থেকে ঢামেকে আনার পর মারা যায়।

ঢামেক হাসপাতালের পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জ (পরিদর্শক) মো. ফারুক বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, বিকেলে শিশুটিকে হাসপাতালে আনা হলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন। পরিবারের সদস্যরা জানিয়েছেন, চারতলার ছাদ থেকে পড়ে শিশুটি আহত হয়েছিল। মরদেহ মর্গে রাখা হয়েছে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত