মাহিদুল ইসলাম, মৌলভীবাজার
সময় যত যাচ্ছে, কৃষিতে ততই আধুনিক যন্ত্রের ব্যবহার বাড়ছে। একটা সময় শ্রমিক ও কৃষি যন্ত্রাংশের অভাবে হাজার হাজার হেক্টর জমি পতিত থাকত। এসব পতিত জমিতে কৃষকেরা বছরের পর বছর চলে গেলেও কিছুই চাষ করতে পারতেন না। তবে এখন সময়ের পরিবর্তনে এবং আধুনিক কৃষিযন্ত্রের ব্যাপক ব্যবহারের সুফল হিসেবে মৌলভীবাজারে পতিত জমি আবাদের আওতায় এসেছে। একসময়ের পতিত জমিতে এখন কৃষকেরা বিভিন্ন সবজি ও ফলের বাগান গড়ে তুলছেন। এতে করে লাভবান হচ্ছেন কৃষক আর বাজারে চাহিদা পূরণ করছে উৎপাদিত ফসল।
জানা যায়, পাঁচ বছর আগেই যেসব জমি পতিত হিসেবে ধরা হতো, এখন সেসব জমি অনেক মূল্যবান হয়ে গেছে। জায়গার মালিকেরা নিজে চাষ করছেন অথবা লিজ হিসেবে দিচ্ছেন। জেলার বিস্তৃত অঞ্চলজুড়ে পতিত জমি আবাদের আওতায় এনে লাভবান হচ্ছেন কৃষকেরা। এসব জমিতে বিশেষ করে আনারস, লেবু, মাল্টা, পেয়ারা, কাঁঠাল, বরই, পেঁপে, বেগুনসহ বিভিন্ন মৌসুমি ফল ও সবজির বাগান গড়ে তুলছেন।
পতিত জমি আবাদ করা কৃষকেরা জানান, একটা সময় সুযোগ-সুবিধার অভাবে যুগ যুগ ধরে জমিগুলো পতিত হিসেবে থাকত। এখন একজনের দেখাদেখি অন্য কৃষক চাষে মনোযোগ দিয়েছেন। আগে জমিতে চাষ থেকে শুরু করে পানি, যোগাযোগব্যবস্থা, শ্রমিকসহ বিভিন্ন সমস্যা ছিল। এখন আর এই সমস্যা হচ্ছে না। যদিও কৃষিতে আগের চেয়ে অনেক খরচ বেড়েছে, তবু কৃষকেরা সবকিছুতেই ভালো দাম পাচ্ছেন।
মৌলভীবাজার কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর সূত্রে জানা যায়, জেলায় ২০২০ সালে ১ লাখ ২৩ হাজার ৭২০ হেক্টর আবাদি জমি ছিল। বর্তমানে তা বেড়ে জেলায় ১ লাখ ২৭ হাজার ৯৯৪ হেক্টর জমি আবাদের আওতায় রয়েছে। গত পাঁচ বছরে ৪ হাজার ২৭৪ হেক্টর পতিত জমি বিভিন্ন ফসলের আওতায় এসেছে। আবাদি জমি বাড়ার মূল কারণ হচ্ছে কৃষকেরা আনারস, লেবু, মালটাসহ বিভিন্ন ফল ও সবজি বাগান করা হয়েছে। এতে আবাদি জমির সংখ্যা বাড়ছে।
জেলার কমলগঞ্জ, শ্রীমঙ্গল, কুলাউড়া, রাজনগরসহ কয়েকটি উপজেলা ঘুরে দেখা যায়, আগে যে জমিতে এক ফসল চাষ করা হতো, এগুলো এখন দুই বা তিন ফসল চাষের আওতায় আনা হয়েছে। বিশেষ করে ব্যক্তি উদ্যোগে এলাকায় ব্যাপকভাবে ছোট ছোট বাগান গড়ে তুলা হয়েছে। এসব বাগানে আনারস, লেবু, কাঁঠাল, পেঁপে, মালটাসহ একসঙ্গে কয়েক ধরনের ফলের চাষ করা হয়েছে। ফলে বছরজুড়ে এসব বাগান থেকে ফসল উৎপাদন করছেন কৃষকেরা।
কমলগঞ্জ উপজেলার কৃষি উদ্যোক্তা আজাদুর রহমান বলেন, ‘আমি লিজ নিয়ে প্রায় ১১ একর জায়গা রেখেছি। এই জায়গা একসময় পতিত ছিল। এখানে আমি প্রথমে ঈগল নার্সারি অ্যান্ড ফ্লাওয়ার গার্ডেন করেছি। তারপর বরইবাগান করেছি। আমার বাগানের বরই সারা বাংলাদেশে পরিচিতি লাভ করেছে। এ ছাড়া বিভিন্ন ধরনের ফল, ফুল ও গাছের চারা বিক্রির পাশাপাশি হরেক রকম সবজির চাষ করছি। বছরে সব খরচ বাদে এখান থেকে প্রায় ৮-১০ লাখ টাকা আমার আয় হয়। আমরা যখন এই জমি লিজ নিয়েছিলাম, তখন জঙ্গল ছিল, কেউ ভয়ে কাজ করতে পারেনি। তবে এখন সময়ের পরিবর্তনে এই জমিতে আমার উৎপাদিত ফসল দেখতে দূরদূরান্ত থেকে অনেক ক্রেতা ও পর্যটক আসেন।
এ বিষয়ে মৌলভীবাজার কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক মো. জালাল উদ্দীন আজকের পত্রিকাকে বলেন, আগের চেয়ে জেলায় অনেক পতিত জমি চাষের আওতায় এসেছে। বিশেষ করে আনারস, মালটা, লেবুসহ বিভিন্ন বাগান করা হচ্ছে। এ ছাড়া ব্যক্তি উদ্যোগে বাড়ির আঙিনায় বাগান করা হচ্ছে। যত সময় যাবে, পতিত জমি আবাদের আওতায় আরও আসবে। হয়তো এসব জমি তিন ফসলি বা দুই ফসলি নয়, তবু কৃষিজমি হিসেবে এগুলো গণ্য করা হয়। বিশেষ করে আনারসের বাগান করে এ জেলার অনেকেই লাভবান হচ্ছেন। এখানে সারা বছর মিষ্টি আনারস পাওয়া যায়।
সময় যত যাচ্ছে, কৃষিতে ততই আধুনিক যন্ত্রের ব্যবহার বাড়ছে। একটা সময় শ্রমিক ও কৃষি যন্ত্রাংশের অভাবে হাজার হাজার হেক্টর জমি পতিত থাকত। এসব পতিত জমিতে কৃষকেরা বছরের পর বছর চলে গেলেও কিছুই চাষ করতে পারতেন না। তবে এখন সময়ের পরিবর্তনে এবং আধুনিক কৃষিযন্ত্রের ব্যাপক ব্যবহারের সুফল হিসেবে মৌলভীবাজারে পতিত জমি আবাদের আওতায় এসেছে। একসময়ের পতিত জমিতে এখন কৃষকেরা বিভিন্ন সবজি ও ফলের বাগান গড়ে তুলছেন। এতে করে লাভবান হচ্ছেন কৃষক আর বাজারে চাহিদা পূরণ করছে উৎপাদিত ফসল।
জানা যায়, পাঁচ বছর আগেই যেসব জমি পতিত হিসেবে ধরা হতো, এখন সেসব জমি অনেক মূল্যবান হয়ে গেছে। জায়গার মালিকেরা নিজে চাষ করছেন অথবা লিজ হিসেবে দিচ্ছেন। জেলার বিস্তৃত অঞ্চলজুড়ে পতিত জমি আবাদের আওতায় এনে লাভবান হচ্ছেন কৃষকেরা। এসব জমিতে বিশেষ করে আনারস, লেবু, মাল্টা, পেয়ারা, কাঁঠাল, বরই, পেঁপে, বেগুনসহ বিভিন্ন মৌসুমি ফল ও সবজির বাগান গড়ে তুলছেন।
পতিত জমি আবাদ করা কৃষকেরা জানান, একটা সময় সুযোগ-সুবিধার অভাবে যুগ যুগ ধরে জমিগুলো পতিত হিসেবে থাকত। এখন একজনের দেখাদেখি অন্য কৃষক চাষে মনোযোগ দিয়েছেন। আগে জমিতে চাষ থেকে শুরু করে পানি, যোগাযোগব্যবস্থা, শ্রমিকসহ বিভিন্ন সমস্যা ছিল। এখন আর এই সমস্যা হচ্ছে না। যদিও কৃষিতে আগের চেয়ে অনেক খরচ বেড়েছে, তবু কৃষকেরা সবকিছুতেই ভালো দাম পাচ্ছেন।
মৌলভীবাজার কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর সূত্রে জানা যায়, জেলায় ২০২০ সালে ১ লাখ ২৩ হাজার ৭২০ হেক্টর আবাদি জমি ছিল। বর্তমানে তা বেড়ে জেলায় ১ লাখ ২৭ হাজার ৯৯৪ হেক্টর জমি আবাদের আওতায় রয়েছে। গত পাঁচ বছরে ৪ হাজার ২৭৪ হেক্টর পতিত জমি বিভিন্ন ফসলের আওতায় এসেছে। আবাদি জমি বাড়ার মূল কারণ হচ্ছে কৃষকেরা আনারস, লেবু, মালটাসহ বিভিন্ন ফল ও সবজি বাগান করা হয়েছে। এতে আবাদি জমির সংখ্যা বাড়ছে।
জেলার কমলগঞ্জ, শ্রীমঙ্গল, কুলাউড়া, রাজনগরসহ কয়েকটি উপজেলা ঘুরে দেখা যায়, আগে যে জমিতে এক ফসল চাষ করা হতো, এগুলো এখন দুই বা তিন ফসল চাষের আওতায় আনা হয়েছে। বিশেষ করে ব্যক্তি উদ্যোগে এলাকায় ব্যাপকভাবে ছোট ছোট বাগান গড়ে তুলা হয়েছে। এসব বাগানে আনারস, লেবু, কাঁঠাল, পেঁপে, মালটাসহ একসঙ্গে কয়েক ধরনের ফলের চাষ করা হয়েছে। ফলে বছরজুড়ে এসব বাগান থেকে ফসল উৎপাদন করছেন কৃষকেরা।
কমলগঞ্জ উপজেলার কৃষি উদ্যোক্তা আজাদুর রহমান বলেন, ‘আমি লিজ নিয়ে প্রায় ১১ একর জায়গা রেখেছি। এই জায়গা একসময় পতিত ছিল। এখানে আমি প্রথমে ঈগল নার্সারি অ্যান্ড ফ্লাওয়ার গার্ডেন করেছি। তারপর বরইবাগান করেছি। আমার বাগানের বরই সারা বাংলাদেশে পরিচিতি লাভ করেছে। এ ছাড়া বিভিন্ন ধরনের ফল, ফুল ও গাছের চারা বিক্রির পাশাপাশি হরেক রকম সবজির চাষ করছি। বছরে সব খরচ বাদে এখান থেকে প্রায় ৮-১০ লাখ টাকা আমার আয় হয়। আমরা যখন এই জমি লিজ নিয়েছিলাম, তখন জঙ্গল ছিল, কেউ ভয়ে কাজ করতে পারেনি। তবে এখন সময়ের পরিবর্তনে এই জমিতে আমার উৎপাদিত ফসল দেখতে দূরদূরান্ত থেকে অনেক ক্রেতা ও পর্যটক আসেন।
এ বিষয়ে মৌলভীবাজার কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক মো. জালাল উদ্দীন আজকের পত্রিকাকে বলেন, আগের চেয়ে জেলায় অনেক পতিত জমি চাষের আওতায় এসেছে। বিশেষ করে আনারস, মালটা, লেবুসহ বিভিন্ন বাগান করা হচ্ছে। এ ছাড়া ব্যক্তি উদ্যোগে বাড়ির আঙিনায় বাগান করা হচ্ছে। যত সময় যাবে, পতিত জমি আবাদের আওতায় আরও আসবে। হয়তো এসব জমি তিন ফসলি বা দুই ফসলি নয়, তবু কৃষিজমি হিসেবে এগুলো গণ্য করা হয়। বিশেষ করে আনারসের বাগান করে এ জেলার অনেকেই লাভবান হচ্ছেন। এখানে সারা বছর মিষ্টি আনারস পাওয়া যায়।
যশোরের অভয়নগর উপজেলার ডহরমশিয়াহাটি গ্রামের বাড়েদাপাড়া। ভবদহ অঞ্চলের বিলের মধ্যে মতুয়া সম্প্রদায়ের পাড়াটির অবস্থান। এখানে দোচালা টিনের বাড়িতে এক ছেলেকে নিয়ে বসবাস মহিতুল বিশ্বাস ও স্মৃতি বিশ্বাস দম্পতির। গতকাল বৃহস্পতিবার রাতে তাঁদের বাড়িতে চলছিল পূজা-অর্চনা। তখন কয়েকজন দুর্বৃত্ত এসে হামলা চালায়।
৪ মিনিট আগেবিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান বলেছেন, দেশে উন্নয়ন ছিল, কিন্তু সবার জন্য ছিল না, ১৫ বছর দেশে গণতন্ত্র থাকলেও সবার গণতন্ত্র ছিল না। গত ১৫ বছরে দেশের সব স্তর ভেঙে ফেলা হয়েছিল। এসব স্তর মেরামতের জন্য ৩১ দফা ঘোষণা করা হয়েছে। সবার সহযোগিতা ছাড়া এটা বাস্তবায়ন করা সম্ভব নয়।
২০ মিনিট আগেতিনি বলেন, ‘আমরা জুলাই অভ্যুত্থানে সরাসরি জড়িত ছিলাম। সব শ্রেণি-পেশার মানুষ, রাজনৈতিক দল, অরাজনৈতিক ব্যক্তি, ছাত্র-জনতার সমন্বয়ে হাসিনার পতন হয়েছে। কিন্তু বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কমিটি হয়েছিল মুষ্টিমেয় মানুষের সমন্বয়ে।’
২৬ মিনিট আগেমুন্সিগঞ্জের গজারিয়া উপজেলার ভাটি বলাকী গ্রামসংলগ্ন খালে জোয়ারের পানির তোড়ে ভেসে গেছে অর্ধশতাধিক গরু। পরে মরা গরু একের পর এক ভেসে উঠছে বলে জানা গেছে।
৩৩ মিনিট আগে