গোয়াইনঘাট (সিলেট) প্রতিনিধি
সিলেটের গোয়াইনঘাটে গত কয়েক দিনের টানা বর্ষণ ও পাহাড়ি ঢলে প্লাবিত এলাকা থেকে পানি কমতে শুরু করেছে। গতকাল বৃহস্পতিবার রাত থেকে আজ শুক্রবার বিকেল পর্যন্ত টানা বৃষ্টিপাত না হওয়ায় কমেছে নদ-নদীর পানি। উপজেলায় উঁচু স্থানগুলো থেকে পানি নামতে শুরু করেছে।
সারী-ডাউকি ও পিয়াইন নদীতে পানি বর্তমানে বিপদ সীমার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। এদিকে পানি যত কমছে, ক্ষয়ক্ষতির চিত্র ততই ভেসে উঠছে। ভেঙে গেছে সড়ক, ভেসে গেছে মাছের ঘের। অনেক জায়গার রাস্তাঘাটে কাঁদা জলে একাকার হয়ে যান চলাচলে বিঘ্নিত হচ্ছে।
এদিকে প্লাবনে ক্ষতিগ্রস্ত সড়ক ও ব্রিজ-কালভার্ট পরিদর্শন করেছেন ইউনিয়ন পরিষদের ইউএনও মো. তৌহিদুল ইসলাম। সঙ্গে ছিলেন জেলা প্রশাসনের সিনিয়র সহকারী কমিশনার ও এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট মো. শফিকুল ইসলাম।
পানিবন্দীদের জন্য ১৩টি ইউনিয়নে ইতিমধ্যে জরুরি সহায়তা হিসেবে ৩৯ মেট্রিকটন চাল বিতরণ করা হয়েছে জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে। উপ-বরাদ্দ থেকে শুকনো খাবার হিসেবে প্রতি প্যাকেটে ২ কেজি চিড়া, আধা কেজি করে গুড় ও পানি বিশুদ্ধকরণ ট্যাবলেট বিতরণ করা হচ্ছে।
ইউএনও মো. তৌহিদুল ইসলাম বলেন, ‘গত তিন দিন ধরে আকস্মিক বন্যায় উপজেলায় যে সড়কগুলো ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে সেতু, কালভার্টগুলো উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে পরিদর্শন করা হয়েছে। স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর (এলজিইডি) উপজেলা প্রকৌশলীকে অবিলম্বে ক্ষতিগ্রস্ত রাস্তাঘাট ও ব্রিজ মেরামত ও সংস্কার করে যানবাহন ও জনচলাচল উপযোগী করতে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।’
গত বুধবার সকাল থেকেই উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় পানি বাড়তে থাকে। রাতে পরিস্থিতি খারাপ হয়। বৃহস্পতিবার পর্যন্ত নদ-নদীতে পানি বাড়ছে। এতে উপজেলার ৭০ ভাগের বেশি এলাকা প্লাবিত হয়।
দুর্গত এলাকার মানুষেরা বলেন, এবারের পরিস্থিতি ২০২২ সালের বন্যাকেও ছাড়িয়ে গেছে। এদিকে এ অবস্থায় বন্যার পানিতে আটকে পড়া মানুষকে উদ্ধারে গোয়াইনঘাট উপজেলা প্রশাসনের নানা টিম কাজ করছে।
পাহাড়ি ঢলের পানি সারী-পিয়াইন ও ডাউকি নদ-নদী দিয়ে বিভিন্ন এলাকায় দ্রুতগতিতে ঢুকে পড়ে। এতে উপজেলার ১৩টি ইউনিয়ন পূর্ব জাফলং, মধ্য জাফলং, পশ্চিম জাফলং, পূর্ব ও পশ্চিম আলীরগাঁও, রুস্তমপুর, বিছনাকান্দি, লেঙ্গুড়া, ডৌবাড়ী, ফতেহপুর, তোয়াকুল, নন্দীরগাঁও এবং সদর ইউনিয়ন প্লাবিত হয়। উপজেলা সদরের সঙ্গে সব কটি ইউনিয়নের যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছিল।
উপজেলা প্রশাসন সূত্রে জানা গেছে, উপজেলার মোট ১ হাজার ৬৬০ হেক্টর আবাদি জমির ফসল পানিতে তলিয়ে গেছে। ৩৪৩ বর্গকিলোমিটার এলাকা প্লাবিত হয়েছে। বন্যাদুর্গত মোট পরিবার ৪২ হাজার ৯০০, মোট বন্যাদুর্গত মানুষের সংখ্যা ২ লাখ ৪৫ হাজার ৯৫০।
এ ছাড়া ২৬টি আশ্রয়কেন্দ্রে মোট ২ হাজার ৩৫৬ জন আশ্রয় নিয়েছে। গবাদিপশু আশ্রয় নিয়েছে ৬৪৫ টি। বিপুলসংখ্যক মানুষ নিকটস্থ আত্মীয়স্বজনের নিরাপদ উঁচু স্থাপনায়ও আশ্রয় নিয়েছে।
সিলেটের গোয়াইনঘাটে গত কয়েক দিনের টানা বর্ষণ ও পাহাড়ি ঢলে প্লাবিত এলাকা থেকে পানি কমতে শুরু করেছে। গতকাল বৃহস্পতিবার রাত থেকে আজ শুক্রবার বিকেল পর্যন্ত টানা বৃষ্টিপাত না হওয়ায় কমেছে নদ-নদীর পানি। উপজেলায় উঁচু স্থানগুলো থেকে পানি নামতে শুরু করেছে।
সারী-ডাউকি ও পিয়াইন নদীতে পানি বর্তমানে বিপদ সীমার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। এদিকে পানি যত কমছে, ক্ষয়ক্ষতির চিত্র ততই ভেসে উঠছে। ভেঙে গেছে সড়ক, ভেসে গেছে মাছের ঘের। অনেক জায়গার রাস্তাঘাটে কাঁদা জলে একাকার হয়ে যান চলাচলে বিঘ্নিত হচ্ছে।
এদিকে প্লাবনে ক্ষতিগ্রস্ত সড়ক ও ব্রিজ-কালভার্ট পরিদর্শন করেছেন ইউনিয়ন পরিষদের ইউএনও মো. তৌহিদুল ইসলাম। সঙ্গে ছিলেন জেলা প্রশাসনের সিনিয়র সহকারী কমিশনার ও এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট মো. শফিকুল ইসলাম।
পানিবন্দীদের জন্য ১৩টি ইউনিয়নে ইতিমধ্যে জরুরি সহায়তা হিসেবে ৩৯ মেট্রিকটন চাল বিতরণ করা হয়েছে জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে। উপ-বরাদ্দ থেকে শুকনো খাবার হিসেবে প্রতি প্যাকেটে ২ কেজি চিড়া, আধা কেজি করে গুড় ও পানি বিশুদ্ধকরণ ট্যাবলেট বিতরণ করা হচ্ছে।
ইউএনও মো. তৌহিদুল ইসলাম বলেন, ‘গত তিন দিন ধরে আকস্মিক বন্যায় উপজেলায় যে সড়কগুলো ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে সেতু, কালভার্টগুলো উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে পরিদর্শন করা হয়েছে। স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর (এলজিইডি) উপজেলা প্রকৌশলীকে অবিলম্বে ক্ষতিগ্রস্ত রাস্তাঘাট ও ব্রিজ মেরামত ও সংস্কার করে যানবাহন ও জনচলাচল উপযোগী করতে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।’
গত বুধবার সকাল থেকেই উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় পানি বাড়তে থাকে। রাতে পরিস্থিতি খারাপ হয়। বৃহস্পতিবার পর্যন্ত নদ-নদীতে পানি বাড়ছে। এতে উপজেলার ৭০ ভাগের বেশি এলাকা প্লাবিত হয়।
দুর্গত এলাকার মানুষেরা বলেন, এবারের পরিস্থিতি ২০২২ সালের বন্যাকেও ছাড়িয়ে গেছে। এদিকে এ অবস্থায় বন্যার পানিতে আটকে পড়া মানুষকে উদ্ধারে গোয়াইনঘাট উপজেলা প্রশাসনের নানা টিম কাজ করছে।
পাহাড়ি ঢলের পানি সারী-পিয়াইন ও ডাউকি নদ-নদী দিয়ে বিভিন্ন এলাকায় দ্রুতগতিতে ঢুকে পড়ে। এতে উপজেলার ১৩টি ইউনিয়ন পূর্ব জাফলং, মধ্য জাফলং, পশ্চিম জাফলং, পূর্ব ও পশ্চিম আলীরগাঁও, রুস্তমপুর, বিছনাকান্দি, লেঙ্গুড়া, ডৌবাড়ী, ফতেহপুর, তোয়াকুল, নন্দীরগাঁও এবং সদর ইউনিয়ন প্লাবিত হয়। উপজেলা সদরের সঙ্গে সব কটি ইউনিয়নের যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছিল।
উপজেলা প্রশাসন সূত্রে জানা গেছে, উপজেলার মোট ১ হাজার ৬৬০ হেক্টর আবাদি জমির ফসল পানিতে তলিয়ে গেছে। ৩৪৩ বর্গকিলোমিটার এলাকা প্লাবিত হয়েছে। বন্যাদুর্গত মোট পরিবার ৪২ হাজার ৯০০, মোট বন্যাদুর্গত মানুষের সংখ্যা ২ লাখ ৪৫ হাজার ৯৫০।
এ ছাড়া ২৬টি আশ্রয়কেন্দ্রে মোট ২ হাজার ৩৫৬ জন আশ্রয় নিয়েছে। গবাদিপশু আশ্রয় নিয়েছে ৬৪৫ টি। বিপুলসংখ্যক মানুষ নিকটস্থ আত্মীয়স্বজনের নিরাপদ উঁচু স্থাপনায়ও আশ্রয় নিয়েছে।
মাগুরায় শিশুকে ধর্ষণ ও হত্যা মামলায় ৪র্থ দিনের সাক্ষ্যগ্রহণ শেষ হয়েছে। আজ বুধবার সকাল ১০ টার দিকে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক এম জাহিদ হাসানের আদালতে সাক্ষ্য গ্রহণ হয়। সাক্ষ্য দিয়েছেন মাগুরা ও ফরিদপুর মেডিকেলের তিন জন চিকিৎসক। যারা শিশুটির চিকিৎসা করেছিলেন।
১৩ মিনিট আগেখুলনা মহানগরীর দৌলতপুর রেলস্টেশন সংলগ্ন এলাকায় ট্রেনের ধাক্কায় মো. হেলাল (৪৫) নামে এক ব্যক্তি নিহত হয়েছেন। বুধবার সকাল ৮টার দিকে এ দুর্ঘটনা ঘটে।
৪২ মিনিট আগেরাজশাহীতে রেললাইনের পাশে এক শ্রমিকের লাশ পাওয়া গেছে। তাঁর নাম হাবিবুর রহমান (৫০)। চাঁপাইনবাবগঞ্জের শিবগঞ্জ উপজেলার চর বারোরশিয়া গ্রামের বাসিন্দা ছিলেন তিনি। পুলিশের ধারণা, চলন্ত ট্রেন থেকে পড়ে মৃত্যু হয়েছে ধান কাটা শ্রমিক হাবিবুরের।
৪৪ মিনিট আগেরাজধানীর ফকিরাপুলে প্রাইভেটকারের ধাক্কায় মতিন মিয়া (৩৫) নামে এক রিকশাচালক নিহত হয়েছেন। আজ বুধবার (৩০ এপ্রিল) সকাল সাড়ে ১০টার দিকে ফকিরাপুল মোড়ে এই দুর্ঘটনা ঘটে। গুরুতর আহত অবস্থায় পথচারীরা তাঁকে উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক বেলা সাড়ে ১১টার দিকে মৃত ঘোষণা করেন।
২ ঘণ্টা আগে