Ajker Patrika

হবিগঞ্জে আ.লীগ-বিএনপির সংঘর্ষে আহত শতাধিক

হবিগঞ্জ প্রতিনিধি
আপডেট : ২০ আগস্ট ২০২৩, ২২: ২৫
হবিগঞ্জে আ.লীগ-বিএনপির সংঘর্ষে আহত শতাধিক

হবিগঞ্জে আওয়ামী লীগ ও বিএনপির নেতা-কর্মীদের মধ্যে ব্যাপক সংঘর্ষ হয়েছে। এ সময় উভয় পক্ষের নেতা-কর্মীসহ শতাধিক ব্যক্তি আহত হয়েছেন।

আজ রোববার বিকেল ৫টা থেকে সন্ধ্যা ৭টা পর্যন্ত জেলা শহরের শায়েস্তানগর এলাকায় এই সংঘর্ষ হয়। 

এ সময় বিএনপির অস্থায়ী কার্যালয়ে ছাত্রলীগ ও যুবলীগের নেতা-কর্মীরা ভাঙচুর চালায় বলে অভিযোগ বিএনপি নেতাদের। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে কাঁদানে গ্যাস নিক্ষেপ করে পরিস্থিত নিয়ন্ত্রণে আনে।

হবিগঞ্জ সদর মডেল থানার পরিদর্শক (তদন্ত) বদিউজ্জামান আজকের পত্রিকাকে বলেন, বর্তমানে পরিস্থিতি শান্ত আছে। তবে কী পরিমাণ কাঁদানে গ্যাস নিক্ষেপ করা হয়েছে, তা এখন বলা সম্ভব নয়। 

প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা গেছে, বিএনপির সন্ত্রাস, নৈরাজ্য ও জনমনে আতঙ্ক সৃষ্টির প্রতিবাদে আজ রোববার বিকেলে শহরের শায়েস্তানগর পয়েন্টে প্রতিবাদ সমাবেশ ও বিক্ষোভ মিছিলের আয়োজন করে আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের নেতা-কর্মীরা। এ সময় বিএনপি নেতা-কর্মীদের টানানো ব্যানার-ফেস্টুন ছিঁড়ে সন্ত্রাসবিরোধী স্লোগান দিতে থাকেন আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীরা। ঘোষণা অনুযায়ী নেতা-কর্মীরা বিকেলে সমাবেশ স্থলে জড়ো হন। সমাবেশ শেষে মিছিল বের করা হয়। এর একপর্যায়ে বিএনপি নেতা-কর্মীদের সঙ্গে আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীদের সংঘর্ষ হয়। 

সংঘর্ষের সময় একে অপরকে লক্ষ্য করে ইটপাটকেল ছুড়তে থাকে। ফলে আশপাশের দোকানপাঠ বন্ধ হয়ে যায়। 
পথচারীরা ভয়ে দিগ্‌বিদিক ছোটাছুটি করতে থাকেন। ওই এলাকায় বাসাবাড়িতে শিশু ও নারীদের কান্না শব্দ শোনা যায়। 

এদিকে খবর পেয়ে পুলিশ সংঘর্ষ থামাতে টিয়ারশেল, রাবার বুলেট ছুড়ে সংঘর্ষকারীদের ছত্রভঙ্গ করে দেয়। 

হবিগঞ্জে আওয়ামী লীগ ও বিএনপি নেতা-কর্মীদের মধ্যে সংঘর্ষ। ছবি: সংগৃহীতসংঘর্ষে জেলা ছাত্রলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক সাথাওয়াত হোসেন সেতু, যুবলীগ নেতা মুসা আহমেদ রাজু, কলেজ ছাত্রলীগ নেতা জয়, শেখ সুমন, বিএনপির নেতা জি কে গাফফার, জি কে মৌওলা, জেলা যুবদলের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক সফিকুর রহমান সেতু, ছাত্রদলের সাংগঠনিক সম্পাদক গোলাম মাহবুব, যুবদল নেতা দুলাল, ছাত্রদল নেতা ইমন, রোকনসহ শতাধিক লোক আহত হন। 

জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট মো. আলমগীর চৌধুরী বলেন, ‘আমরা শান্তিপূর্ণ প্রতিবাদ সমাবেশ করেছি। সমাবেশ শেষে শান্তিপূর্ণ মিছিল বের করি। এ সময় হঠাৎ বিএনপির নেতা-কর্মীরা ইটপাটকেল নিক্ষেপ করতে থাকলে সংঘর্ষ শুরু হয়। এতে আমাদের বিপুলসংখ্যক নেতা-কর্মী আহত হন।’

বিএনপির কেন্দ্রীয় সমবায়বিষয়ক সম্পাদক ও সাবেক পৌর মেয়র জি কে গউছ বলেন, ‘আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীরা মিছিল নিয়ে লাঠিসোঁটাসহ হঠাৎ আমাদের দলীয় কার্যালয়ে হামলা করে। অফিসে ব্যাপক ভাঙচুর চালায়। আমার বাসায় হামলা চালিয়ে ভাঙচুর করেছে। পুলিশও তাদের সঙ্গে সংঘর্ষে যোগ দিয়েছে। হামলায় পৌর কাউন্সিলর শফিকুর রহমান সিতুসহ শতাধিক নেতা-কর্মী আহত হয়েছেন।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত