শাল্লা (সুনামগঞ্জ) প্রতিনিধি
এবারের মতো বন্যা আর কখনো দেখেনি সুনামগঞ্জের মানুষ। স্মরণকালের এমন ভয়াবহ বন্যায় সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে হাওরপাড়ের মানুষ। গোলা ভরা ধান, চাল ও গবাদিপশু ভেসে গেছে বন্যার পানিতে। অনেকেই আবার ভিটে বাড়ি হারিয়ে পথে বসেছেন। এখন কিছুটা পানি কমে যাওয়া স্বস্তি ফিরে এসেছে বানভাসিদের মনে।
এদিকে, বন্যায় বাড়িঘর ছেড়ে যাওয়া মানুষেরা পুনর্বাসনের জন্য বিপদের সম্মুখীন হচ্ছে। এ বছর বন্যায় ফসলহানি, বাড়িঘর তলিয়ে যাওয়াসহ নানা দুর্যোগের মোকাবিলা করে জীবিকা নির্বাহ করছে হাওরবাসী। তাই একের পর এক বিপদ আসায় অভাব অনটনে রয়েছে শাল্লাবাসী। তাই এই দুর্ভোগ থেকে উত্তরণের জন্য সরকারি সহযোগিতার দাবি জানান ক্ষতিগ্রস্তরা।
আজ রোববার সরেজমিনে উপজেলা ঘুরে দেখা গেছে, বন্যার পানি অনেকটা কমে গেছে। আক্রান্ত এলাকার যেসব মানুষ নিরাপদ আশ্রয়ে ছিলেন, তারা ঘরে ফিরতে শুরু করছেন। তবে নানা সমস্যায় দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে বানভাসিদের। ঘরবাড়ি ভেঙে পথে বসার উপক্রম।
উপজেলার হবিবপুর ইউনিয়নের চাকুয়া গ্রামে গিয়ে দেখা যায়, বিকাশ দাসের ঘর বন্যার পানি আর ঢেউয়ে ভেঙে গেছে। অভাব অনটনে থাকায় নিজ বাড়িতে ফিরতে পারছেন না। সংস্কার করার জন্য টাকা পয়সা না থাকায় এখনো রয়েছে আশ্রয়ণ কেন্দ্রে। তাই নিজ ঘরে ফিরতে সরকারি সহায়তার দাবি জানান তিনি।
আনন্দপুর গ্রামের বাসিন্দা দিলীপ রায় জানান, বন্যায় তাঁর ঘরে কোমর পানি উঠেছিল। ঘরের ভেতর পানি ওঠায় উপায়ান্তর না পেয়ে এক আত্মীয়ের বাসায় গিয়ে উঠেছিলেন। পানি নেমে যাওয়ার পরও এখনে ঘরে ফিরতে পারেননি। এ ছাড়াও ঘরের ভেতর ময়লা আবর্জনা ও পলি জমায় পরিবারের সদস্যদের বাসায় নিয়ে আসতে পারেননি। এ ছাড়া এলাকায় যেভাবে দুর্গন্ধ ছড়াচ্ছে তাতে সেখানে থাকা দায় হয়ে দাঁড়িয়েছে।
উপজেলা প্রশাসন সূত্রে জানা গেছে, বন্যায় শাল্লা উপজেলা ৬৩০টি ঘরের পূর্ণাঙ্গ ক্ষতি হয়েছে। আর আংশিক ক্ষতি হয়েছে ২ হাজার ৯৩০ টি। তবে পূর্ণাঙ্গ ক্ষতিগ্রস্তদের জন্য ঘর সংস্কার করার জন্য সরকার ৬৩ লাখ টাকা বরাদ্দ দিয়েছে।
এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) আবু তালেব জানান, বন্যায় পূর্ণাঙ্গ ক্ষতিগ্রস্তদের জন্য ৬৩ লাখ বরাদ্দ দিয়েছেন সরকার। প্রত্যেককে ১০ হাজার টাকা দেওয়ার জন্য তালিকা গঠনের কাজ চলছে। পর্যায়ক্রমে সকল সহযোগিতা করা হবে।
নির্বাহী কর্মকর্তা আরও বলেন, ‘শাল্লায় বন্যার্ত মানুষের জন্য পর্যাপ্ত পরিমাণে ত্রাণ মজুত আছে। কোনো মানুষ খাদ্যের অভাবে থাকবে না।’
এবারের মতো বন্যা আর কখনো দেখেনি সুনামগঞ্জের মানুষ। স্মরণকালের এমন ভয়াবহ বন্যায় সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে হাওরপাড়ের মানুষ। গোলা ভরা ধান, চাল ও গবাদিপশু ভেসে গেছে বন্যার পানিতে। অনেকেই আবার ভিটে বাড়ি হারিয়ে পথে বসেছেন। এখন কিছুটা পানি কমে যাওয়া স্বস্তি ফিরে এসেছে বানভাসিদের মনে।
এদিকে, বন্যায় বাড়িঘর ছেড়ে যাওয়া মানুষেরা পুনর্বাসনের জন্য বিপদের সম্মুখীন হচ্ছে। এ বছর বন্যায় ফসলহানি, বাড়িঘর তলিয়ে যাওয়াসহ নানা দুর্যোগের মোকাবিলা করে জীবিকা নির্বাহ করছে হাওরবাসী। তাই একের পর এক বিপদ আসায় অভাব অনটনে রয়েছে শাল্লাবাসী। তাই এই দুর্ভোগ থেকে উত্তরণের জন্য সরকারি সহযোগিতার দাবি জানান ক্ষতিগ্রস্তরা।
আজ রোববার সরেজমিনে উপজেলা ঘুরে দেখা গেছে, বন্যার পানি অনেকটা কমে গেছে। আক্রান্ত এলাকার যেসব মানুষ নিরাপদ আশ্রয়ে ছিলেন, তারা ঘরে ফিরতে শুরু করছেন। তবে নানা সমস্যায় দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে বানভাসিদের। ঘরবাড়ি ভেঙে পথে বসার উপক্রম।
উপজেলার হবিবপুর ইউনিয়নের চাকুয়া গ্রামে গিয়ে দেখা যায়, বিকাশ দাসের ঘর বন্যার পানি আর ঢেউয়ে ভেঙে গেছে। অভাব অনটনে থাকায় নিজ বাড়িতে ফিরতে পারছেন না। সংস্কার করার জন্য টাকা পয়সা না থাকায় এখনো রয়েছে আশ্রয়ণ কেন্দ্রে। তাই নিজ ঘরে ফিরতে সরকারি সহায়তার দাবি জানান তিনি।
আনন্দপুর গ্রামের বাসিন্দা দিলীপ রায় জানান, বন্যায় তাঁর ঘরে কোমর পানি উঠেছিল। ঘরের ভেতর পানি ওঠায় উপায়ান্তর না পেয়ে এক আত্মীয়ের বাসায় গিয়ে উঠেছিলেন। পানি নেমে যাওয়ার পরও এখনে ঘরে ফিরতে পারেননি। এ ছাড়াও ঘরের ভেতর ময়লা আবর্জনা ও পলি জমায় পরিবারের সদস্যদের বাসায় নিয়ে আসতে পারেননি। এ ছাড়া এলাকায় যেভাবে দুর্গন্ধ ছড়াচ্ছে তাতে সেখানে থাকা দায় হয়ে দাঁড়িয়েছে।
উপজেলা প্রশাসন সূত্রে জানা গেছে, বন্যায় শাল্লা উপজেলা ৬৩০টি ঘরের পূর্ণাঙ্গ ক্ষতি হয়েছে। আর আংশিক ক্ষতি হয়েছে ২ হাজার ৯৩০ টি। তবে পূর্ণাঙ্গ ক্ষতিগ্রস্তদের জন্য ঘর সংস্কার করার জন্য সরকার ৬৩ লাখ টাকা বরাদ্দ দিয়েছে।
এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) আবু তালেব জানান, বন্যায় পূর্ণাঙ্গ ক্ষতিগ্রস্তদের জন্য ৬৩ লাখ বরাদ্দ দিয়েছেন সরকার। প্রত্যেককে ১০ হাজার টাকা দেওয়ার জন্য তালিকা গঠনের কাজ চলছে। পর্যায়ক্রমে সকল সহযোগিতা করা হবে।
নির্বাহী কর্মকর্তা আরও বলেন, ‘শাল্লায় বন্যার্ত মানুষের জন্য পর্যাপ্ত পরিমাণে ত্রাণ মজুত আছে। কোনো মানুষ খাদ্যের অভাবে থাকবে না।’
যশোরের মনিরামপুর উপজেলার পলাশী পূর্বপাড়ার ভ্যানচালক মিজানুর রহমান জ্বর-ব্যথা নিয়ে গিয়েছিলেন পাশের বাসুদেবপুর কমিউনিটি ক্লিনিকে। সেখানে কমিউনিটি হেলথকেয়ার প্রোভাইডার (সিএইচসিপি) মিতা রাণী দত্ত রোগের কথা শুনেই তাঁকে স্থানীয় পল্লিচিকিৎসক বা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে যাওয়ার পরামর্শ দেন।
১ ঘণ্টা আগেদীর্ঘদিন সংস্কার না করায় রাজধানীর জুরাইন-দয়াগঞ্জ সড়কটি বেহাল হয়ে পড়েছে। সড়কের গেন্ডারিয়া রেলস্টেশনের সামনের অংশে অসংখ্য খানাখন্দ সৃষ্টি হয়েছে। এসব খানাখন্দ কোথাও কোথাও এক থেকে দেড় ফুট পর্যন্ত গভীর। বৃষ্টির পানি জমে সেসব গর্ত পুকুরের রূপ ধারণ করেছে।
২ ঘণ্টা আগেঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু) নির্বাচন আগামী ৯ সেপ্টেম্বর। এই নির্বাচনের মাত্র এক মাস আগে বিশ্ববিদ্যালয়ের হলগুলোতে ছাত্র রাজনীতিতে নিষেধাজ্ঞা বহাল রাখায় ক্যাম্পাসে সক্রিয় ছাত্রসংগঠনগুলোর মধ্যে বিরোধ আরও বেড়েছে।
৩ ঘণ্টা আগেরাজধানীর নিউমার্কেট এলাকার বিভিন্ন দোকান ও গুদামে অভিযান চালিয়ে প্রায় ১ হাজার ১০০টি ধারালো অস্ত্র উদ্ধার করেছে সেনাবাহিনী। উদ্ধারকৃত অস্ত্রগুলোর মধ্যে রয়েছে কিশোর গ্যাং ও ছিনতাইকারীদের ব্যবহৃত কুখ্যাত ‘সামুরাই’ চাপাতি ও অন্যান্য ধারালো অস্ত্র।
৫ ঘণ্টা আগে