Ajker Patrika

এখনো বন্ধ রয়েছে জকিগঞ্জ স্থলবন্দর, দুর্ভোগে যাত্রীরা

জকিগঞ্জ (সিলেট) প্রতিনিধি
এখনো বন্ধ রয়েছে জকিগঞ্জ স্থলবন্দর, দুর্ভোগে যাত্রীরা

দুই বছরের বেশি সময় ধরে সিলেটের জকিগঞ্জ স্থলবন্দর দিয়ে যাত্রীদের যাতায়াত বন্ধ রয়েছে। ভারত যাওয়ার উদ্দেশে প্রতিদিন ভিসা নিয়ে অনেক যাত্রী জকিগঞ্জ স্টেশনে এসে আবার ফিরে যাচ্ছেন। প্রস্তুতি নিয়ে স্টেশনে এসেও যেতে না পারায় ক্ষতির মুখে পড়ছেন তাঁরা। 

জানা যায়, ২০২০ সালের ২৩ মার্চ করোনা সংক্রমণ বেড়ে যাওয়ায় সারা দেশের ইমিগ্রেশন চেকপোস্টগুলো সরকার বন্ধ করে দেয়। পরবর্তীতে ৩০ মার্চ থেকে পুরোপুরিভাবে হিলি ইমিগ্রেশন চেকপোস্ট দিয়ে যাত্রী পারাপার বন্ধ করে দেওয়া হয়। ১৪ মাস পর গত ১৬ মে করোনার সংক্রমণ কিছুটা কমলে সরকার কয়েকটি ইমিগ্রেশন চেকপোস্ট দিয়ে পাসপোর্টধারী যাত্রী পারাপারের জন্য অনুমতি দেয়। তবে এখনো জকিগঞ্জ ইমিগ্রেশন চেকপোস্ট দিয়ে যাত্রীরা ভারতে যাতায়াত করতে পারছেন না। জরুরি পাসপোর্টধারী যাত্রীরা অন্য ইমিগ্রেশন চেকপোস্ট দিয়ে ভারতে যাচ্ছেন। 

বর্তমানে দেশের সব সীমান্ত পথ খুলে দেওয়া হলেও শুধু জকিগঞ্জ স্থলবন্দরটি বন্ধ রয়েছে। কী কারণে বন্ধ রয়েছে স্টেশনে কর্তব্যরতদের কাছ থেকেও সঠিক তথ্য পাওয়া যাচ্ছে না। উক্ত স্টেশন দিয়ে আমদানি-রপ্তানি অব্যাহত থাকলেও বন্ধ রয়েছে যাত্রী পারাপার। ফলে সিলেট ও ভারতের অসম, মেঘালয়, মিজোরাম, মণিপুর, ত্রিপুরাসহ কয়েকটি রাজ্যে যাতায়াতকারী যাত্রীদের দুর্ভোগ চরমে পৌঁছেছে। 

শুল্ক স্টেশন সূত্রে জানা গেছে, জকিগঞ্জ শুল্কস্টেশনের কয়েক গজের মধ্যেই রয়েছে-জকিগঞ্জ থানা, অতিরিক্ত পুলিশ সুপারের কার্যালয়সহ বিভিন্ন সরকারি-বেসরকারি ব্যাংক। অপরদিকে, সীমান্তরেখা কুশিয়ারা নদীর ওপারেই রয়েছে ভারতের জেলা শহর করিমগঞ্জ। সেখানেও নিরাপত্তাজনিত ও যোগাযোগের সকল সুযোগ-সুবিধা হাতের নাগালেই রয়েছে। এ জন্যই ব্রিটিশ আমল থেকে জকিগঞ্জ শুল্ক স্টেশনটি বিশেষ গুরুত্ব বহন করে আসছে। 

চিকিৎসা নিতে ভারতে যাওয়ার জন্য স্থলবন্দরে আসা পাসপোর্টধারী এক যাত্রী বলেন, ‘ভারতে গিয়ে চিকিৎসা করানোর পর অনেকটাই সুস্থ হয়েছি। এখন আমার ওষুধ শেষ হয়েছে এবং আমার ডাক্তারের পরামর্শ নেওয়া দরকার। কিন্তু জকিগঞ্জ ইমিগ্রেশন চেকপোস্ট দিয়ে ভারতে যেতে পারছি না।’ 

জকিগঞ্জ শুল্কস্টেশনে যাত্রী পারাপার কার্যক্রম যথারীতি চালুর দাবিতে এরই মধ্যে সিলেট জেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদের সাবেক ডেপুটি কমান্ডার বীর মুক্তিযোদ্ধা আকরাম আলী স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বরাবরে লিখিত আবেদন করেছেন। এ বিষয়ে তিনি বলেন, ১৯৭১ সালের ২২ নভেম্বর এ স্টেশনের কার্যক্রম চালু হয়। তখন থেকে শুল্ক স্টেশনটি বিশেষ গুরুত্ব বহন করে আসছে। এ চেকপোস্ট দিয়ে চিকিৎসা, পড়াশোনা, ব্যবসা ও ভ্রমণের জন্য পাসপোর্টধারী যাত্রীরা ভারতে যাতায়াত করেন। তবে ২ বছরেরও বেশি সময় ধরে যাত্রীরা এ চেকপোস্ট দিয়ে ভারতে যেতে পারছেন না। 

জকিগঞ্জ শুল্ক স্টেশনের দায়িত্বরত কর্মকর্তা আমিনুল হক বলেন, স্টেশনটি খুবই গুরুত্বপূর্ণ। কী কারণে যাত্রী পারাপার বন্ধ রয়েছে তা আমাদের জানা নেই। খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, ভারতীয় ইমিগ্রেশন কর্তৃপক্ষ যাত্রী গ্রহণ করতে অনীহা প্রকাশ করায় কার্যক্রম বন্ধ রয়েছে। 

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত