হবিগঞ্জ প্রতিনিধি
হবিগঞ্জে ১৫তম দিনের মতো কর্মবিরতি পালন করছেন লস্করপুর ভ্যালির ২৩টি বাগানের শ্রমিকেরা। আজ মঙ্গলবার বেলা ১১টার দিকে শ্রমিকেরা চাঁন্দপুর ফ্যাক্টরির সামনে অবস্থান নিয়েছেন। অন্যদিকে ইউনিয়ন নেতারা পাশে না থাকায় সংকট নিরসনে ভ্যালি ও বাগানের পঞ্চায়েত কমিটির নেতারা বৈঠকে বসেছেন।
চান্দপুর চা-বাগানের পঞ্চায়েত কমিটির সভাপতি সাধন সাঁওতাল জানান, ভ্যালির ২৩টি বাগানের পঞ্চায়েত কমিটির নেতারা বেলা ১২টার দিকে বৈঠকে বসেছেন। সেখানে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে আন্দোলন চালিয়ে যাবেন, নাকি প্রত্যাহার করবেন। যদি প্রত্যাহারের সিদ্ধান্ত আসে, তাহলে আগামীকাল বুধবার থেকে শ্রমিকেরা বাগানে কাজে ফিরবেন।
তবে সাধারণ শ্রমিকেরা বলছেন, ৩০০ টাকা মজুরির জন্য ১৫ দিন ধরে তাঁরা আন্দোলন করছেন। তাই ৩০০ টাকা ছাড়া কাজে যাবেন না।
এর আগে গতকাল সোমবার বেলা ১১টায় চান্দপুর বাগানে আন্দোলনরত শ্রমিকদের কাছে যান চুনারুঘাট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আলী আশরাফ ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) সিদ্ধার্থ ভৌমিক। এ সময় তাঁরা শ্রমিকদের কাজে ফেরার আহ্বান জানালে তাঁরা তা প্রত্যাখ্যান করেন।
দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে সেখানে উপস্থিত হন জেলা প্রশাসক ইশরাত জাহান। শ্রমিকদের তিনি জানান, প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের কর্মকর্তার সঙ্গে তাঁর (ডিসি) কথা হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী ভারত সফর শেষে শ্রমিকদের সঙ্গে কথা বলবেন। আপাতত তাঁরা যেন কাজে ফিরে যান।
এদিকে জেলা প্রশাসককে শ্রমিকনেতারা জানান, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা যতক্ষণ পর্যন্ত নিজের মুখে তাঁদের কাজে ফেরার কথা না জানাবেন, তত দিন তাঁরা কাজে ফিরবেন না।
চা-শ্রমিকদের নারী নেত্রী সনকা সাঁওতাল বলেন, ‘আমরা ডিসি, এসপি, ইউএনও কাউকে বিশ্বাস করি না। কেবল প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে বিশ্বাস করি। তিনি যদি নিজের মুখে বলেন, তাহলে আমরা কাজে ফিরে যাব। তা না হলে ৩০০ টাকা মজুরি ছাড়া বাগানের কাজে যাব না। এর জন্য জীবন দিতে হলে দেব।’
তিনি আরও বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আমাদের ভিডিও বার্তায় বললেও আমরা কাজে ফিরব। আজ বললে আজই ফিরব।’
এ সময় ইউএনও ও জেলা প্রশাসক শ্রমিক ইউনিয়নের নেতাদের চান্দপুর কারখানার সমনে আসার জন্য বারবার ফোন দিলেও তাঁরা কেউ সেখানে যাননি।
এর আগে রোববার হবিগঞ্জের মাধবপুর উপজেলার জগদীশপুর মুক্তিযোদ্ধা চত্বরে প্রায় চার ঘণ্টা ঢাকা-সিলেট মহাসড়ক অবরোধ করে রাখেন শ্রমিকেরা। বেলা ৩টার দিকে দুই দিনের আলটিমেটাম দিয়ে অবরোধ তুলে নেন।
আলটিমেটাম অনুযায়ী সোমবার ও মঙ্গলবার শ্রমিকেরা কোনো ধরনের আন্দোলন-সংগ্রাম না করে নিজ নিজ বাগানে অবস্থান করবেন। ২৩ আগস্টের মধ্যে দাবি আদায় না হলে ২৪ তারিখ আবারও তাঁরা রাস্তায় নামবেন বলে জানান শ্রমিক নেতারা।
উল্লেখ্য, গত ৯ আগস্ট থেকে ৩০০ টাকা মজুরির দাবিতে আন্দোলন শুরু করেন চা-শ্রমিকেরা।
হবিগঞ্জে ১৫তম দিনের মতো কর্মবিরতি পালন করছেন লস্করপুর ভ্যালির ২৩টি বাগানের শ্রমিকেরা। আজ মঙ্গলবার বেলা ১১টার দিকে শ্রমিকেরা চাঁন্দপুর ফ্যাক্টরির সামনে অবস্থান নিয়েছেন। অন্যদিকে ইউনিয়ন নেতারা পাশে না থাকায় সংকট নিরসনে ভ্যালি ও বাগানের পঞ্চায়েত কমিটির নেতারা বৈঠকে বসেছেন।
চান্দপুর চা-বাগানের পঞ্চায়েত কমিটির সভাপতি সাধন সাঁওতাল জানান, ভ্যালির ২৩টি বাগানের পঞ্চায়েত কমিটির নেতারা বেলা ১২টার দিকে বৈঠকে বসেছেন। সেখানে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে আন্দোলন চালিয়ে যাবেন, নাকি প্রত্যাহার করবেন। যদি প্রত্যাহারের সিদ্ধান্ত আসে, তাহলে আগামীকাল বুধবার থেকে শ্রমিকেরা বাগানে কাজে ফিরবেন।
তবে সাধারণ শ্রমিকেরা বলছেন, ৩০০ টাকা মজুরির জন্য ১৫ দিন ধরে তাঁরা আন্দোলন করছেন। তাই ৩০০ টাকা ছাড়া কাজে যাবেন না।
এর আগে গতকাল সোমবার বেলা ১১টায় চান্দপুর বাগানে আন্দোলনরত শ্রমিকদের কাছে যান চুনারুঘাট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আলী আশরাফ ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) সিদ্ধার্থ ভৌমিক। এ সময় তাঁরা শ্রমিকদের কাজে ফেরার আহ্বান জানালে তাঁরা তা প্রত্যাখ্যান করেন।
দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে সেখানে উপস্থিত হন জেলা প্রশাসক ইশরাত জাহান। শ্রমিকদের তিনি জানান, প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের কর্মকর্তার সঙ্গে তাঁর (ডিসি) কথা হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী ভারত সফর শেষে শ্রমিকদের সঙ্গে কথা বলবেন। আপাতত তাঁরা যেন কাজে ফিরে যান।
এদিকে জেলা প্রশাসককে শ্রমিকনেতারা জানান, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা যতক্ষণ পর্যন্ত নিজের মুখে তাঁদের কাজে ফেরার কথা না জানাবেন, তত দিন তাঁরা কাজে ফিরবেন না।
চা-শ্রমিকদের নারী নেত্রী সনকা সাঁওতাল বলেন, ‘আমরা ডিসি, এসপি, ইউএনও কাউকে বিশ্বাস করি না। কেবল প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে বিশ্বাস করি। তিনি যদি নিজের মুখে বলেন, তাহলে আমরা কাজে ফিরে যাব। তা না হলে ৩০০ টাকা মজুরি ছাড়া বাগানের কাজে যাব না। এর জন্য জীবন দিতে হলে দেব।’
তিনি আরও বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আমাদের ভিডিও বার্তায় বললেও আমরা কাজে ফিরব। আজ বললে আজই ফিরব।’
এ সময় ইউএনও ও জেলা প্রশাসক শ্রমিক ইউনিয়নের নেতাদের চান্দপুর কারখানার সমনে আসার জন্য বারবার ফোন দিলেও তাঁরা কেউ সেখানে যাননি।
এর আগে রোববার হবিগঞ্জের মাধবপুর উপজেলার জগদীশপুর মুক্তিযোদ্ধা চত্বরে প্রায় চার ঘণ্টা ঢাকা-সিলেট মহাসড়ক অবরোধ করে রাখেন শ্রমিকেরা। বেলা ৩টার দিকে দুই দিনের আলটিমেটাম দিয়ে অবরোধ তুলে নেন।
আলটিমেটাম অনুযায়ী সোমবার ও মঙ্গলবার শ্রমিকেরা কোনো ধরনের আন্দোলন-সংগ্রাম না করে নিজ নিজ বাগানে অবস্থান করবেন। ২৩ আগস্টের মধ্যে দাবি আদায় না হলে ২৪ তারিখ আবারও তাঁরা রাস্তায় নামবেন বলে জানান শ্রমিক নেতারা।
উল্লেখ্য, গত ৯ আগস্ট থেকে ৩০০ টাকা মজুরির দাবিতে আন্দোলন শুরু করেন চা-শ্রমিকেরা।
রাজধানীর রামপুরা ব্রিজের দুই রেলিং ঢুকে আছে একটি বাসের মাঝ বরাবর। যাত্রী নিতে আরেক বাসের সঙ্গে প্রতিযোগিতায় নেমে চালক নিয়ন্ত্রণ হারালে ‘রইছ’ নামের বাসটির এই দশা হয়। ৪ জুন সকালের এই দুর্ঘটনায় বাসটি দুমড়ে-মুচড়ে যায়। যাত্রী বেশি নিতে বাসচালকদের অসুস্থ প্রতিযোগিতা, লক্কড়ঝক্কড় ও ফিটনেসবিহীন বাস দুর্ঘটনা
১ ঘণ্টা আগেগোপালগঞ্জ জেলা শহরের গুরুত্বপূর্ণ কয়েকটি সড়কে বছরের পর বছর বাস, ট্রাক ও মাইক্রোবাস পার্ক করে রাখা হচ্ছে। বিভিন্ন সড়কের এক লেন দখল করে রাখা হচ্ছে এসব যানবাহন। এতে প্রতিদিন যানজটসহ নানা ভোগান্তিতে পড়ছে মানুষ। মালিক-শ্রমিকেরা বলছেন, নির্ধারিত স্ট্যান্ড না থাকায় বাধ্য হয়ে রাস্তায় গাড়ি রাখছেন তাঁরা।
১ ঘণ্টা আগেআলুতে বছরের পর বছর লাভ করে অভ্যস্ত জয়পুরহাটের কৃষক ও ব্যবসায়ীরা। তবে এবার পড়েছেন বড় ধরনের বিপাকে। একদিকে বাজারে আলুর দাম অস্থির, অন্যদিকে হিমাগারে সংরক্ষণ ব্যয় বেড়ে যাওয়ায় হিমশিম খাচ্ছেন সবাই। সংরক্ষণ মৌসুমের শুরুতে স্থানীয় প্রশাসনের চাপে ভাড়া না বাড়াতে বাধ্য হলেও পরে কিছু হিমাগারের মালিক নানা অজুহা
২ ঘণ্টা আগেনীলফামারীর সৈয়দপুরে চলছে জুয়ার জমজমাট আসর। উপজেলার দেড় শতাধিক স্থানে এসব আসর বসে বলে জানা গেছে। প্রতিদিন ২০-৩০ লাখ টাকা লেনদেন হয় এসব আসরে। সেই হিসাবে প্রতি মাসে জুয়াড়িদের কাছে হাতবদল হয় ৬ থেকে ৯ কোটি টাকা। এদিকে, জুয়ার কারণে অনেক পরিবার সর্বস্বান্ত হচ্ছে। জুয়ার টাকা সংগ্রহ করতে গিয়ে এলাকায় বেড়েছে
২ ঘণ্টা আগে