Ajker Patrika

সাদাপাথর লুটপাটের ঘটনায় মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের তদন্ত কমিটির গণশুনানি

সিলেট প্রতিনিধি
আপডেট : ২৭ আগস্ট ২০২৫, ২০: ৩০
আজ সকালে সিলেট সার্কিট হাউসে গণশুনানি অনুষ্ঠিত হয়। ছবি: আজকের পত্রিকা
আজ সকালে সিলেট সার্কিট হাউসে গণশুনানি অনুষ্ঠিত হয়। ছবি: আজকের পত্রিকা

সিলেটের সাদাপাথর পর্যটনকেন্দ্র ও রেলওয়ে বাংকার এলাকায় অবৈধভাবে বালু-পাথর লুটপাটের ঘটনায় গণশুনানির আয়োজন করেছে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের গঠিত উচ্চপর্যায়ের তদন্ত কমিটি। আজ বুধবার সকালে সিলেট সার্কিট হাউসে এ গণশুনানি অনুষ্ঠিত হয়।

গণশুনানিতে সভাপতিত্ব করেন তদন্ত কমিটির আহ্বায়ক ও মন্ত্রিপরিষদসচিব (সমন্বয় ও সংস্কার) জাহেদা পারভীন। এতে বিভাগীয় কমিশনার, জেলা প্রশাসন, উপজেলা প্রশাসন ও পুলিশ প্রশাসনের কর্মকর্তারা বক্তব্য দেন। পরিবেশ অধিদপ্তরের কর্মকর্তা, পরিবেশবাদী সংগঠনের প্রতিনিধি, ট্রাক পরিবহন মালিক সমিতি, পাথর ব্যবসায়ী সমিতি ও প্রেসক্লাব নেতারাও বক্তব্য দেন।

এ সময় মন্ত্রিপরিষদসচিব বলেন, ‘অবৈধভাবে পাথর উত্তোলনের ঘটনায় কোনো কর্তৃপক্ষের দায়িত্বে অবহেলা ছিল কি না, সেটি নিরূপণ করা এবং উল্লিখিত ঘটনা পুনরাবৃত্তি রোধে সুপারিশপূর্বক আমরা রিপোর্ট দাখিল করব, এ দায়িত্ব আমাদের দেওয়া হয়েছে। মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ থেকে আমাদের কমিটি গঠন করে দেওয়া হয়েছে, আমি সেই কমিটির আহ্বায়ক। গতকাল আমরা সেই স্পটে গিয়েছি, জনগণের সঙ্গে কথা বলেছি। আজকে জেলাপর্যায়ে সরকারি, বেসরকারি, বিভিন্ন ব্যক্তিবর্গের সঙ্গে আমরা সেপারেট কথা বলেছি। তদন্ত চলমান রয়েছে।’

সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে জাহেদা পারভীন বলেন, ‘আমাদের তদন্ত চলমান রয়েছে, সেটি শেষ হলে আমরা যখন কর্তৃপক্ষ বরাবর প্রতিবেদন দাখিল করব, সেটি কিন্তু ওপেন ফর অল হবে, তখন জানতে পারবেন।’

আরও এক প্রশ্নের জবাবে সচিব বলেন, ‘আপনি কি আমার কাছ থেকে শিরোনাম শুনতে চাচ্ছেন? আমাদের বাংলা ভাষায় অনেক শব্দ পাওয়া যায়। আপনি লুট এবং হরিলুট বলেছেন, আমি কোনোটারই কথা বলব না। আমি যখন রিপোর্ট করব, খুব কেয়ারফুলি শব্দচয়ন করব। কারও প্রেসক্রিপশন অনুযায়ী আমি শব্দচয়ন করব না।’

এ বিষয়ে গণশুনানিতে থাকা এক পরিবেশবিদ বলেন, ‘আমাদের সবাইকে প্রথমে জানানো হয় মতবিনিময় হবে। পরে দেখা যায় ভিজ্যুয়ালি একেকজনের সঙ্গে কথা বলে তদন্ত কমিটি। এটা আগে জানালে তো আরও ভালো হতো। তথ্যপ্রমাণাদিসহ আমরা উপস্থিত থাকতে পারতাম।’

এর আগে গতকাল মঙ্গলবার এ কমিটি সরেজমিনে ভোলাগঞ্জ সাদাপাথর এলাকা পরিদর্শন করে।

শুনানিতে পরিবেশবাদী সংগঠনগুলো একাধিক সুপারিশ তুলে ধরে। এর মধ্যে রয়েছে—অবৈধ পাথর উত্তোলনের পরিবেশগত প্রভাব যাচাই, সব পক্ষকে নিয়ে বিশেষায়িত মনিটরিং কমিটি গঠন ও প্রভাবশালী যাঁদের সম্পৃক্ততা রয়েছে, তাঁদের আইনের আওতায় আনা। পাথর লুটপাটে প্রশাসনের নিষ্ক্রিয়তা, দায় এড়াতে বিভিন্ন মহলের একে অপরকে দোষারোপ ও দীর্ঘদিন ধরে চলমান অনিয়মের বিষয়টি গণশুনানিতে বারবার উঠে আসে। তদন্ত কমিটির পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, সব তথ্য ও বক্তব্য যাচাই-বাছাই করে প্রয়োজনীয় সুপারিশসহ চূড়ান্ত প্রতিবেদন দ্রুত সময়ের মধ্যে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগে জমা দেওয়া হবে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

১টা বাজলেই আর স্কুলে থাকে না শিক্ষার্থীরা, ফটকে তালা দিয়েও ঠেকানো গেল না

পাইপলাইনে জ্বালানি পরিবহন: ৩৪ হাজার লিটার ঘাটতি যমুনার প্রথম পার্সেলে

আসামে ‘দেখামাত্র গুলির নির্দেশ’ বহাল থাকবে দুর্গাপূজা পর্যন্ত

ভিকারুননিসায় হিজাব বিতর্ক: বরখাস্ত শিক্ষককে পুনর্বহালের দাবিতে শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ

জম্মু-কাশ্মীরে ধ্বংস করা হলো ৪৪ হাজার কেজি রসগোল্লা

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত