প্রতিনিধি
সিলেট: সিলেটে নয় বছরের এক শিশুকে অপহরণের পর নারী পাচারকারী চক্রের কাছে বিক্রি করে দেওয়া হয়। পরে ওই চক্রের সদস্যরা শিশুটিকে জোর করে দেহব্যবসায় নিয়োজিত করে। প্রায় ছয় মাস পর শিশুটি এক খদ্দরের ফোন থেকে তার বাবাকে বিষয়টি জানায়। এ ঘটনার পর গত শুক্রবার সিলেটের একটি হোটেল থেকে ওই চক্রের তিনজনকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।
গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন, কুমিল্লার লাকসামের বাসিন্দা ও বর্তমানে সিলেট নগরের শাহী ঈদগাহ এলাকার বাসিন্দা হালিমা বেগম (৩৮), সিলেট নগরের শাহজালাল উপ শহরের গুলবাহার হোটেলের ম্যানেজার ও জকিগঞ্জ উপজেলার দরিয়াপুর গ্রামের মৃত মদরিছ আলীর ছেলে ওয়াজিদ আলী (৩০) এবং বিয়ানীবাজার উপজেলার বাড়ইগ্রামের সুরুজ আলীর ছেলে জসিম উদ্দিন (২৬)।
সিলেটের গোয়াইনঘাট থানার ওসি আব্দুল আহাদ জানান, গত বছরের ৩০ নভেম্বর সিলেটের গোয়াইনঘাট উপজেলার নন্দীরগাঁও থেকে নিখোঁজ হয় ওই শিশুটি। প্রথমে একটি সাধারণ ডায়েরি (জিডি) ও পরে উপজেলার তোয়াকুল ইউনিয়নের পূর্ব পেকেরখাল গ্রামের বতাই মিয়ার ছেলে আনোয়ার হোসেনকে অভিযুক্ত করে লিখিত অভিযোগ করেন নিখোঁজ শিশুর বাবা।
ওসি জানান, নিখোঁজ হওয়ার পর কুমিল্লা জেলার লাকসামে হালিমা বেগম নামের এক দেহ ব্যবসায়ীর হাতে পড়ে শিশুটি। এরপর তাকে কুমিল্লায় নিয়ে বিভিন্ন হোটেলে দেহব্যবসায় বাধ্য করেন হালিমা। তিন মাস আগে হালিমা তাকে সিলেট নিয়ে আসেন। হালিমা সিলেট নগরীর শাহী ঈদগাহ এলাকার ৬২ নম্বর বাসায় ভাড়া থাকেন। সিলেটে এনেও ওই শিশুকে বিভিন্ন হোটেলে নিয়ে জোরপূর্বক দেহব্যবসায় বাধ্য করাতেন হালিমা। তিন দিন আগে এক কাস্টমারের মোবাইল ফোন থেকে বাবাকে ফোন করেন ওই শিশু। পরে মেয়েটির বাবা বিষয়টি পুলিশকে জানান।
মোবাইল ফোনের সূত্র ধরে গোয়াইনঘাট থানা–পুলিশ সিলেট শহর ও বিয়ানীবাজার উপজেলায় অভিযান চালিয়ে জসিম উদ্দিন নামের ওই মোবাইল ফোনের মালিককে আটক করেন। পরে জসিম উদ্দিনের দেওয়া তত্ত্বের ভিত্তিতে সিলেট শহরের উপশহর এলাকার গুলবাহার হোটেলের ম্যানেজার ওয়াজিদ আলীকে আটক করে পুলিশ। পরে জসিম উদ্দিন ও ওয়াজেদ আলীর সহযোগিতা নিয়ে দেহ ব্যবসায়ী হালিমা বেগমকে ফোন দিয়ে ওই শিশু কন্যাকে পাঁচ হাজার টাকায় ভাড়া করেন। চুক্তি অনুযায়ী হালিমা বেগম ওই শিশুকে হোটেল গুলবাহারে নিয়ে আসলে পুলিশ হালিমাকে গ্রেপ্তার করেন এবং শিশুটিকে উদ্ধার করে।
ওসি আরও জানান, এ ঘটনায় তিনজনের বিরুদ্ধে থানায় মামলা হয়েছে। ভিকটিমকে সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ওয়ানস্টপ ক্রাইসিস সেন্টারে (ওসিসি) মেডিকেল পরীক্ষা ও চিকিৎসার জন্য পাঠানো হয়েছে। শিশুটি অপহরণের সঙ্গে আরও কেউ জড়িত আছে কি-না তা খতিয়ে দেখছে পুলিশ।
সিলেট: সিলেটে নয় বছরের এক শিশুকে অপহরণের পর নারী পাচারকারী চক্রের কাছে বিক্রি করে দেওয়া হয়। পরে ওই চক্রের সদস্যরা শিশুটিকে জোর করে দেহব্যবসায় নিয়োজিত করে। প্রায় ছয় মাস পর শিশুটি এক খদ্দরের ফোন থেকে তার বাবাকে বিষয়টি জানায়। এ ঘটনার পর গত শুক্রবার সিলেটের একটি হোটেল থেকে ওই চক্রের তিনজনকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।
গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন, কুমিল্লার লাকসামের বাসিন্দা ও বর্তমানে সিলেট নগরের শাহী ঈদগাহ এলাকার বাসিন্দা হালিমা বেগম (৩৮), সিলেট নগরের শাহজালাল উপ শহরের গুলবাহার হোটেলের ম্যানেজার ও জকিগঞ্জ উপজেলার দরিয়াপুর গ্রামের মৃত মদরিছ আলীর ছেলে ওয়াজিদ আলী (৩০) এবং বিয়ানীবাজার উপজেলার বাড়ইগ্রামের সুরুজ আলীর ছেলে জসিম উদ্দিন (২৬)।
সিলেটের গোয়াইনঘাট থানার ওসি আব্দুল আহাদ জানান, গত বছরের ৩০ নভেম্বর সিলেটের গোয়াইনঘাট উপজেলার নন্দীরগাঁও থেকে নিখোঁজ হয় ওই শিশুটি। প্রথমে একটি সাধারণ ডায়েরি (জিডি) ও পরে উপজেলার তোয়াকুল ইউনিয়নের পূর্ব পেকেরখাল গ্রামের বতাই মিয়ার ছেলে আনোয়ার হোসেনকে অভিযুক্ত করে লিখিত অভিযোগ করেন নিখোঁজ শিশুর বাবা।
ওসি জানান, নিখোঁজ হওয়ার পর কুমিল্লা জেলার লাকসামে হালিমা বেগম নামের এক দেহ ব্যবসায়ীর হাতে পড়ে শিশুটি। এরপর তাকে কুমিল্লায় নিয়ে বিভিন্ন হোটেলে দেহব্যবসায় বাধ্য করেন হালিমা। তিন মাস আগে হালিমা তাকে সিলেট নিয়ে আসেন। হালিমা সিলেট নগরীর শাহী ঈদগাহ এলাকার ৬২ নম্বর বাসায় ভাড়া থাকেন। সিলেটে এনেও ওই শিশুকে বিভিন্ন হোটেলে নিয়ে জোরপূর্বক দেহব্যবসায় বাধ্য করাতেন হালিমা। তিন দিন আগে এক কাস্টমারের মোবাইল ফোন থেকে বাবাকে ফোন করেন ওই শিশু। পরে মেয়েটির বাবা বিষয়টি পুলিশকে জানান।
মোবাইল ফোনের সূত্র ধরে গোয়াইনঘাট থানা–পুলিশ সিলেট শহর ও বিয়ানীবাজার উপজেলায় অভিযান চালিয়ে জসিম উদ্দিন নামের ওই মোবাইল ফোনের মালিককে আটক করেন। পরে জসিম উদ্দিনের দেওয়া তত্ত্বের ভিত্তিতে সিলেট শহরের উপশহর এলাকার গুলবাহার হোটেলের ম্যানেজার ওয়াজিদ আলীকে আটক করে পুলিশ। পরে জসিম উদ্দিন ও ওয়াজেদ আলীর সহযোগিতা নিয়ে দেহ ব্যবসায়ী হালিমা বেগমকে ফোন দিয়ে ওই শিশু কন্যাকে পাঁচ হাজার টাকায় ভাড়া করেন। চুক্তি অনুযায়ী হালিমা বেগম ওই শিশুকে হোটেল গুলবাহারে নিয়ে আসলে পুলিশ হালিমাকে গ্রেপ্তার করেন এবং শিশুটিকে উদ্ধার করে।
ওসি আরও জানান, এ ঘটনায় তিনজনের বিরুদ্ধে থানায় মামলা হয়েছে। ভিকটিমকে সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ওয়ানস্টপ ক্রাইসিস সেন্টারে (ওসিসি) মেডিকেল পরীক্ষা ও চিকিৎসার জন্য পাঠানো হয়েছে। শিশুটি অপহরণের সঙ্গে আরও কেউ জড়িত আছে কি-না তা খতিয়ে দেখছে পুলিশ।
পুলিশ জানায়, ২০২৪ সালের ২৪ নভেম্বর রাজৈরে ভাঙচুর, বোমা বিস্ফোরণ ও লুটপাটের ঘটনায় পাঠানকান্দি গ্রামের এক বিএনপি কর্মীর দায়ের করা মামলায় শাজাহান মোল্লা এজাহারভুক্ত আসামি। ঘটনার পর থেকেই তিনি আত্মগোপনে ছিলেন।
২১ মিনিট আগেশিবচরের সন্ন্যাসীরচর ইউনিয়নের রাজারচর আজগর হাওলাদারকান্দি গ্রামের শাহ আলম ও নাছিমা দম্পতির একমাত্র ছেলে ছিলেন হৃদয়। তিনি স্থানীয় একটি ফার্নিচারের কারখানায় কাজ করতেন। পড়াশোনা শেষ করে সৌদি আরবে থাকা চাচার সহায়তায় বিদেশে যাওয়ার স্বপ্ন ছিল তাঁর।
২৬ মিনিট আগেজুলাই অভ্যুত্থানে চট্টগ্রামের বহদ্দারহাট এলাকায় দোকান কর্মচারী শহীদুল ইসলামকে গুলি করে হত্যার ঘটনায় করা মামলার অভিযোগপত্র দিয়েছেন তদন্তকারী কর্মকর্তা। অভিযোগপত্রে মামলার আসামির সংখ্যা প্রায় ৫ গুণ বেড়ে ২৩১ জনে দাঁড়িয়েছে।
৪১ মিনিট আগেটাঙ্গাইলের সখীপুরে সন্তানদের সামনে স্ত্রী কাকলিকে (৩২) হত্যার পর পালিয়ে যাওয়া স্বামী মেহেদী হাসানকে (৪০) গ্রেপ্তার করা হয়েছে। রোববার রাত সাড়ে ৮টার দিকে গাজীপুরের কোনাবাড়ি এলাকা থেকে র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটিলিয়ন (র্যাব-১৪) মেহেদীকে গ্রেপ্তার করে।
১ ঘণ্টা আগে