Ajker Patrika

শতভাগ বিশুদ্ধ পানির ৮০ ভাগ নলকূপ অচল

  • সুফল মিলছে না সাবেক মন্ত্রীর কোটি টাকার প্রকল্পের।
  • যেনতেনভাবে স্থাপন করে কর্মকর্তা ও ঠিকাদারের টাকা আত্মসাতের অভিযোগ।
জুয়েল আহমদ, জগন্নাথপুর (সুনামগঞ্জ)
আপডেট : ১৭ মার্চ ২০২৫, ০৭: ৫১
অকেজো হয়ে পড়েছে অধিকাংশ নলকূপ। তাই নলকূপের ভেতরে পানি ঢেলে পানি তোলার চেষ্টা করছেন এক বৃদ্ধা। সম্প্রতি সুনামগঞ্জের জগন্নাথপুর পৌর এলাকায়। ছবি: আজকের পত্রিকা
অকেজো হয়ে পড়েছে অধিকাংশ নলকূপ। তাই নলকূপের ভেতরে পানি ঢেলে পানি তোলার চেষ্টা করছেন এক বৃদ্ধা। সম্প্রতি সুনামগঞ্জের জগন্নাথপুর পৌর এলাকায়। ছবি: আজকের পত্রিকা

শতভাগ বিশুদ্ধ পানি নিশ্চিতের জন্য আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে সুনামগঞ্জের দুই উপজেলায় কোটি টাকা ব্যয়ে নলকূপ স্থাপন করা হয়। কিন্তু দুই বছর যেতে না যেতেই সুফল মিলছে না প্রকল্পের। যেনতেনভাবে নলকূপ স্থাপন করে ক্ষমতাসীন দলের ঠিকাদার ও জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তরের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা এ প্রকল্পের টাকা লুটপাট করেন বলে অভিযোগ রয়েছে।

ভুক্তভোগীদের অভিযোগ, যেনতেনভাবে কম গভীরতায় স্থাপন করায় এসব নলকূপ থেকে এখন পানি উঠছে না। তবে কর্তৃপক্ষের দাবি, পানির স্তর নিচে নেমে যাওয়ায় অধিকাংশ নলকূপ অকেজো হয়ে পড়েছে। এদিকে উপজেলাজুড়ে পানির জন্য হাহাকার দেখা দিয়েছে। বিত্তবানেরা গভীর নলকূপ (ডিপ টিউবওয়েল) স্থাপন করে সমস্যা সমাধানের পথ খুঁজলেও বিপাকে পড়েছে অধিকাংশ সাধারণ পরিবার।

জানা গেছে, আওয়ামী লীগ সরকারের সময় সুনামগঞ্জ-৩ (জগন্নাথপুর-শান্তিগঞ্জ) আসনের সংসদ সদস্য ও তৎকালীন পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান শুধু তাঁর নির্বাচনী এলাকায় শতভাগ বিশুদ্ধ পানি ও স্বাস্থ্যসম্মত স্যানিটারি ল্যাট্রিন স্থাপনের জন্য অগ্রাধিকার ভিত্তিতে একটি প্রকল্প গ্রহণ করেন। কোটি টাকা বরাদ্দের ওই প্রকল্প জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তরের বাস্তবায়নে ২০১৯ সালের এপ্রিল থেকে কাজ শুরু করা হয়, যা শেষ হয় ২০২৩ সালের ডিসেম্বর মাসে।

প্রকল্পের তথ্য অনুযায়ী, জগন্নাথপুর উপজেলায় ২৫০০টি এবং শান্তিগঞ্জ উপজেলায় ৩৩৫০ নলকূপ বসানো হয়। এ ছাড়া প্রকল্পের মাধ্যমে জগন্নাথপুরে ৪ হাজার ৮৮০টি রিং ল্যাট্রিন এবং শান্তিগঞ্জে ৩ হাজার ৯৫০টি রিং ল্যাট্রিন বসানো হয়। প্রতি ৫ পরিবারের জন্য একটি নলকূপ স্থাপনের জন্য ফি নেওয়া হয় ৭ হাজার ১০০ টাকা। তবে স্বাস্থ্যসম্মত রিং ল্যাট্রিনের জন্য নেওয়া হয়নি কোনো ফি। ফলে হতদরিদ্র উপকারভোগীদের মধ্যে বিশুদ্ধ পানি ও স্বাস্থ্যসম্মত ল্যাট্রিনের অভাব অনেকটা দূর হয়। কিন্তু কিছুদিন যেতে না যেতেই নলকূপ থেকে পানি না ওঠায় তাদের মধ্যে হতাশার সৃষ্টি হয়।

জগন্নাথপুর পৌরসভার মইনপুর এলাকার সমেলা বেগম বলেন, নলকূপ বসানোর পর থেকেই পানি থাকে না। পানি দিয়ে পানি তুলতে হয়। রোজার মাসে সেহরির সময় পানি তুলতে অনেক কষ্ট হয়।

উপজেলার চিলাউড়া-হলদিপুর ইউনিয়নের দাসনোওয়াগাঁও গ্রামের গুনেন্দু কুমার দাস বলেন, ‘হাওরের মানুষ হিসেবে বিশুদ্ধ পানির জন্য খুব দুর্ভোগে ছিলাম। একটি নলকূপ সেই দুর্ভোগ লাঘব করেছিল। কিন্তু দুর্ভাগ্য, এখন সেই নলকূপ থেকে পানি উঠছে না।’

রানীগঞ্জ ইউনিয়নের হরিণাকান্দি গ্রামের আকিল মিয়া বলেন, এক বছর যেতে না যেতেই নলকূপ থেকে পানি না ওঠায় আবারও বাধ্য হয়ে খাল-বিল-নদীর পানি খেতে হচ্ছে। একই গ্রামের বাসিন্দা রাখাল দাস বলেন, ‘আমাদের মন্দিরে যেনতেনভাবে নলকূপ স্থাপন করায় এক দিনের জন্য পানি পাইনি। বিষয়টি জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তর জগন্নাথপুর কার্যালয়ের কর্মকর্তাকে জানিয়েও সুফল মিলছে না।’

জানতে চাইলে জগন্নাথপুর উপজেলা নাগরিক অধিকার সংরক্ষণ পরিষদের আহ্বায়ক এম এ কাদির বলেন, ‘ঢাকঢোল পিটিয়ে শতভাগ বিশুদ্ধ পানি ও স্বাস্থ্যসম্মত স্যানিটারি ল্যাট্রিন স্থাপন প্রকল্প গ্রহণ করা হয়। কিন্তু যেনতেনভাবে নলকূপ স্থাপন করে টাকা লুটপাট করায় এখন সুফল মিলছে না। বিষয়টি খতিয়ে দেখার দাবি জানাচ্ছি।’

এ বিষয়ে জগন্নাথপুর উপজেলা জনস্বাস্থ্য প্রকৌশলী (অতিরিক্ত দায়িত্ব) মিজানুর রহমান বলেন, বর্তমানে অধিকাংশ এলাকায় পানির স্তর নিচে নেমে গেছে, ফলে পানি উঠছে না। গভীর নলকূপ স্থাপন করে এর সমাধান করতে হবে। এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘ওই প্রকল্পে যেনতেনভাবে নলকূপ স্থাপনের বিষয়ে আমি কিছুই জানি না। আমি অল্প কিছুদিন ধরে এই উপজেলায় অতিরিক্ত দায়িত্ব পালন করছি।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

‘সাকিবের পোস্টার স্টেডিয়ামে ঢুকবে কি না, বিসিবির ডিসিপ্লিনারি কমিটি দেখবে’

আন্তর্জাতিক সালিসের দ্বারস্থ হওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছে বাংলাদেশ-আদানি

‘তোমার জন্যই খুন করেছি’, স্ত্রীকে হত্যার পর প্রেমিকাকে সার্জনের বার্তা

নীলফামারীতে হচ্ছে চীনা সরকারের উপহার ১০০০ শয্যার হাসপাতাল

ট্রাকের নিচে ঢুকে গেল অটোরিকশা, কলেজশিক্ষার্থীসহ নিহত ৬

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

বরিশালে অপসো স্যালাইন ফার্মার অচলাবস্থা কাটেনি, কাল মালিক-শ্রমিক বৈঠক

নিজস্ব প্রতিবেদক, বরিশাল
চাকরি ফেরতের দাবিতে আজ মঙ্গলবার বরিশাল নগরের বগুড়া সড়কে অপসো স্যালাইন ফার্মার কারখানার সামনে শ্রমিকদের অবস্থান। ছবি: আজকের পত্রিকা
চাকরি ফেরতের দাবিতে আজ মঙ্গলবার বরিশাল নগরের বগুড়া সড়কে অপসো স্যালাইন ফার্মার কারখানার সামনে শ্রমিকদের অবস্থান। ছবি: আজকের পত্রিকা

চাকরি ফেরতের দাবিতে শ্রমিকদের কর্মবিরতিতে বরিশালের অপসো স্যালাইন ফার্মা লিমিটেডে শুরু হওয়া অচলাবস্থা কাটেনি। আন্দোলনকারী শ্রমিকদের দেওয়া ৭২ ঘণ্টার আলটিমেটাম আজ মঙ্গলবার বিকেলে শেষ হয়। সমস্যা সমাধানে এ সময়ের মধ্যে মালিকপক্ষ তাঁদের সঙ্গে যোগাযোগ করেনি। তবে আগামীকাল বুধবার বরিশাল শ্রম অধিদপ্তর মালিক ও শ্রমিক প্রতিনিধিদের নিয়ে সভা ডেকেছে।

৫৭০ জন শ্রমিক চাকরিচ্যুত করায় গত ২৯ অক্টোবর থেকে শ্রমিকেরা কর্মবিরতি পালন করছেন। তাঁরা চাকরি ফেরত চান। নগরের বগুড়া সড়কে কারখানার প্রধান ফটকের সামনে শ্রমিকেরা শনিবার থেকে অবস্থান নেন। বাম গণতান্ত্রিক জোট ও মহানগর বিএনপির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম আহ্বায়ক আফরোজা খানম নাসরিন সেখানে গিয়ে শ্রমিকদের দাবির প্রতি সমর্থন জানিয়েছেন।

আজ বিকেলে শ্রমিকেরা বগুড়া সড়ক থেকে মিছিল নিয়ে প্রায় ৬ কিলোমিটার দূরে অপসোনিন গ্রুপের প্রধান কারখানার সামনে যান। সেখানে অন্য কারখানার শ্রমিকদের নিয়ে বিক্ষোভ সমাবেশ করেন।

অপসো স্যালাইন শ্রমিক ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক মো. রাকিব মিয়া জানান, কাল বুধবার শ্রম অধিদপ্তরের সভায় সমঝোতা না হলে সব কারখানায় কর্মবিরতি ও মহাসড়ক অবরোধের মতো কঠিন কর্মসূচিতে যাবেন।

বাসদ নেত্রী ডা. মনিষা চক্রবর্তী বলেন, আগামীকাল শ্রমিক প্রতিনিধি ও মালিক প্রতিনিধিদের বরিশাল শ্রম অধিদপ্তরের কার্যালয়ে সভা ডাকা হয়েছে। সভায় সমঝোতা না হলে শ্রমিকেরা কঠোর কর্মসূচিতে যাবেন।

ট্রেড ইউনিয়ন নেতা তুষার বলেন, ‘আমাদের মধ্যে ফাটল ধরানোর চেষ্টা করছে মালিকের লোকজন। এ জন্য সতর্ক থাকতে হবে। বুধবার শ্রম অধিদপ্তরে ৫৭০ জন শ্রমিকের ভাগ্য নির্ধারণ হতে পারে।’ তিনি শ্রম অধিদপ্তরের উপপরিচালক মনিরুজ্জামানকে দৃষ্টি আকর্ষণ করে বলেন, ‘আমরা চাই না মহাসড়ক অচল করে মানুষকে দুর্ভোগে ফেলতে।’

অপসো স্যালাইন কারখানায় কর্মরত স্টুরিপ্যাক (সিরিঞ্জ ও স্যালাইন সেট প্রস্তুতকারক) শাখার ৫৭০ জন শ্রমিককে গত বুধবার চাকরিচ্যুতির চিঠি দেয় কর্তৃপক্ষ।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

‘সাকিবের পোস্টার স্টেডিয়ামে ঢুকবে কি না, বিসিবির ডিসিপ্লিনারি কমিটি দেখবে’

আন্তর্জাতিক সালিসের দ্বারস্থ হওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছে বাংলাদেশ-আদানি

‘তোমার জন্যই খুন করেছি’, স্ত্রীকে হত্যার পর প্রেমিকাকে সার্জনের বার্তা

নীলফামারীতে হচ্ছে চীনা সরকারের উপহার ১০০০ শয্যার হাসপাতাল

ট্রাকের নিচে ঢুকে গেল অটোরিকশা, কলেজশিক্ষার্থীসহ নিহত ৬

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

হাসিনার মন্ত্রীর বাড়িতে একটি করে হাড় কবর দিলেও ১০০ বাড়ি ফাঁকা: সারজিস

পঞ্চগড় প্রতিনিধি 
তেঁতুলিয়ায় রাজনৈতিক সভায় এনসিপি নেতা সারজিস আলম। ছবি: সংগৃহীত
তেঁতুলিয়ায় রাজনৈতিক সভায় এনসিপি নেতা সারজিস আলম। ছবি: সংগৃহীত

সাবেক ভূমিমন্ত্রী সাইফুজ্জামান চৌধুরীর দুর্নীতির কথা বলতে গিয়ে জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) উত্তরাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক সারজিস আলম বলেন, ‘শেখ হাসিনার ভূমিমন্ত্রীর ৩৬০টা বাড়ি কানাডায়। একটা মানুষের শরীরের হাড় হইল ২০৬টা। মরার পর হাড়গুলো আলাদা করে যদি একটা বাড়িতে একটা কবর হিসাবে রাখে, তাও ১০০টা বাড়ি পড়ে থাকবে। এ রকম করেই জনগণের টাকার লুটপাট করেছে।’

আজ মঙ্গলবার (৪ নভেম্বর) সন্ধ্যায় পঞ্চগড়ের তেঁতুলিয়া উপজেলায় এক রাজনৈতিক সভায় এনসিপি নেতা এসব কথা বলেন।

সভায় জুলাই সনদ নিয়ে সারজিস বলেন, ‘প্রায় ৩০-৪০ বছর আগে একবার গণভোট হয়েছিল। আবার সামনে গণভোট হবে। যে নিয়ম-কানুনগুলোর কারণে শেখ হাসিনা ধীরে ধীরে একজন স্বৈরাচার হয়ে উঠেছে, সেই নিয়ম-কানুনগুলোর পরিবর্তন দরকার আছে না নাই? এই জুলাই সনদ হলো সেই সনদ, যেখানে লেখা আছে—কোন পরিবর্তনগুলো হলে জনগণের সঙ্গে সরকারের ক্ষমতার একটি ভারসাম্য তৈরি হবে। কোন পরিবর্তনগুলো হলে আগামীতে কোনো সরকার আর স্বৈরাচারের সরকার হয়ে উঠতে পারবে না। কোন পরিবর্তনগুলো হলে আগামীর নেতার পা খালি আকাশে বেরাবেনি, মাটিতেও পড়বে। আমরা যে দলেরই হই না কেন, এই বাংলাদেশের জনগণের আগে, দেশের আগে কিংবা নিজের জীবনের নাগরিক সুবিধার আগে, কিংবা এগুলোর ঊর্ধ্বে কখনো দল হতে পারে না। দেশের চেয়ে কখনো দল বড় হতে পারে না।’

সভায় দলীয় নেতা-কর্মীদের উদ্দেশে এনসিপি নেতা বলেন, এই দেশে ১৮-২০ কোটি মানুষের অধিকারের চেয়ে কখনো একটা দল বড় হতে পারে না। তাই অনুরোধ, আমরা যে দলেরই হই না কেন, গণভোটের দিন ওই জুলাই সনদে আমরা যেন জুলাই সনদের পক্ষে ‘হ্যাঁ’ ভোট দিই।

সভায় স্থানীয় এনসিপি নেতা-কর্মী ও সমর্থকেরা উপস্থিত ছিলেন।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

‘সাকিবের পোস্টার স্টেডিয়ামে ঢুকবে কি না, বিসিবির ডিসিপ্লিনারি কমিটি দেখবে’

আন্তর্জাতিক সালিসের দ্বারস্থ হওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছে বাংলাদেশ-আদানি

‘তোমার জন্যই খুন করেছি’, স্ত্রীকে হত্যার পর প্রেমিকাকে সার্জনের বার্তা

নীলফামারীতে হচ্ছে চীনা সরকারের উপহার ১০০০ শয্যার হাসপাতাল

ট্রাকের নিচে ঢুকে গেল অটোরিকশা, কলেজশিক্ষার্থীসহ নিহত ৬

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

শ্রীবরদীতে ১০৬ বস্তা সার জব্দ

শ্রীবরদী (শেরপুর) প্রতিনিধি 
জব্দ করা সার। ছবি: আজকের পত্রিকা
জব্দ করা সার। ছবি: আজকের পত্রিকা

শেরপুরের শ্রীবরদীতে অবৈধভাবে মজুতকৃত ১০৬ বস্তা ডিএপি ও এমওপি সার জব্দ করা হয়েছে।

মঙ্গলবার (৪ নভেম্বর) রাতে উপজেলার রাণীশংকৈল ইউনিয়নের ভায়াডাঙ্গা বানিয়াপাড়া গ্রামে মোশারফ হোসেন বাবু নামে এক ব্যক্তির বাড়ি থেকে সারগুলো জব্দ করা হয়।

শ্রীবরদী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মনীষা আহমেদ সারগুলো জব্দ করেন। এ সময় উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ মাহমুদুল হাসান আকন্দ, রাণীশিমুল ইউনিয়নের প্যানেল চেয়ারম্যান সুজাসহ স্থানীয় এলাকাবাসী উপস্থিত ছিলেন।

এ ব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মনীষা আহমেদ বলেন, অবৈধভাবে মজুতকৃত ১০৬ বস্তা সার জব্দ করে উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা জিম্মায় রাখা হয়েছে। পরবর্তীকালে আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

‘সাকিবের পোস্টার স্টেডিয়ামে ঢুকবে কি না, বিসিবির ডিসিপ্লিনারি কমিটি দেখবে’

আন্তর্জাতিক সালিসের দ্বারস্থ হওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছে বাংলাদেশ-আদানি

‘তোমার জন্যই খুন করেছি’, স্ত্রীকে হত্যার পর প্রেমিকাকে সার্জনের বার্তা

নীলফামারীতে হচ্ছে চীনা সরকারের উপহার ১০০০ শয্যার হাসপাতাল

ট্রাকের নিচে ঢুকে গেল অটোরিকশা, কলেজশিক্ষার্থীসহ নিহত ৬

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

ঋত্বিকের জন্মশতবর্ষ উদ্‌যাপন বাড়ির ধ্বংসস্তূপেই

নিজস্ব প্রতিবেদক, রাজশাহী
রাজশাহীর ভেঙে ফেলা বাড়ির ধ্বংসস্তূপে ঋত্বিক ঘটকের জন্মশতবার্ষিকী উদ্‌যাপন করা হয়। ছবি: আজকের পত্রিকা
রাজশাহীর ভেঙে ফেলা বাড়ির ধ্বংসস্তূপে ঋত্বিক ঘটকের জন্মশতবার্ষিকী উদ্‌যাপন করা হয়। ছবি: আজকের পত্রিকা

বাংলা চলচ্চিত্রের অন্যতম প্রভাবশালী নির্মাতা ঋত্বিক ঘটকের জন্মশতবার্ষিকী উদ্‌যাপন করা হয়েছে রাজশাহীর ভেঙে ফেলা বাড়ির ধ্বংসস্তূপেই। মঙ্গলবার বিকেলে ঋত্বিক ঘটক ফিল্ম সোসাইটির উদ্যোগে রাজশাহী নগরের মিয়াপাড়ায় তাঁর পৈতৃক বাড়িতে এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।

ঋত্বিক ঘটক ফিল্ম সোসাইটি ২০০৯ সাল থেকে নিয়মিতভাবে এই চলচ্চিত্রকারের জন্মবার্ষিকী পালন করে আসছে। এবারের অনুষ্ঠানের শুরুতে জাতীয় সংগীত ও গণসংগীত পরিবেশন করা হয়। পরে প্রদীপ প্রজ্বালন, ঋত্বিক ঘটকের জীবন ও কর্ম নিয়ে আলোচনা এবং তাঁর কালজয়ী ছবি ‘মেঘে ঢাকা তারা’ নিয়ে নির্মিত জীবনীচিত্র প্রদর্শন করা হয়। এর আগে এই চলচ্চিত্রকারের প্রতি শ্রদ্ধা জানানো হয়।

অনুষ্ঠানে ঋত্বিক ঘটক ফিল্ম সোসাইটির সভাপতি আহসান কবির লিটন বলেন, ঋত্বিক ঘটকের রাজশাহীতে কাটানো দিনগুলো তাঁর সৃজনী জীবনে গভীর প্রভাব ফেলেছিল। পদ্মা নদী, শহরের পরিবেশ এবং সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য তাঁর ভাবনা ও চলচ্চিত্রে বারবার প্রতিফলিত হয়েছে।’

মিয়াপাড়ার এ বাড়িতেই ঋত্বিক ঘটকের শৈশব ও কৈশোর কেটেছে। তিনি রাজশাহী কলেজিয়েট স্কুল ও রাজশাহী কলেজে অধ্যয়ন করেন। এখান থেকেই সাহিত্য, নাটক ও চলচ্চিত্রের প্রতি তাঁর গভীর আগ্রহের সূচনা হয়। দেশভাগের পর ১৯৪৭ সালে তাঁর পরিবার ভারতে পাড়ি জমায়।

নিজের নির্মাণ করা চলচ্চিত্রে দেশভাগের বেদনা, মানবিক দৃঢ়তা ও সমাজবাস্তবতাকে কাব্যিক গভীরতায় তুলে ধরেছেন ঋত্বিক ঘটক। তাঁর বিখ্যাত ছবিগুলোর মধ্যে রয়েছে ‘মেঘে ঢাকা তারা’, ‘কোমল গান্ধার’, ‘সুবর্ণরেখা’ ও ‘তিতাস একটি নদীর নাম’। শক্তিশালী গল্প ও আবেগঘন উপস্থাপনার জন্য তাঁর চলচ্চিত্র আজও দর্শক ও নির্মাতাদের অনুপ্রেরণার উৎস।

রাজশাহীর বাড়িটির ৩৪ শতাংশ জমি ১৯৮৯ সালে তৎকালীন এরশাদ সরকার রাজশাহী হোমিওপ্যাথিক মেডিকেল কলেজকে ইজারা দেয়। এরপর জায়গাটির উত্তরে গড়ে তোলা হয়েছে হোমিওপ্যাথিক মেডিকেল কলেজের আধুনিক ভবন। এ ভবনের দক্ষিণ অংশে ঋত্বিক ঘটকের স্মৃতিবিজড়িত পুরোনো বাড়ির ঘরগুলো দাঁড়িয়ে ছিল। বাড়িটি অপসারণ করে সেখানে অন্য স্থাপনা করার চেষ্টা অনেক আগে থেকেই করছিল হোমিও কলেজ কর্তৃপক্ষ।

তবে সাংস্কৃতিক কর্মীদের বাধার মুখে বারবার তা বন্ধ হয়েছে। দাবির মুখে বাড়িটি সংরক্ষণেরও উদ্যোগ নিয়েছিল জেলা প্রশাসন। এর মধ্যেই গত বছর অস্থিতিশীল পরিবেশের মধ্যে ৬ ও ৭ আগস্ট গোপনে বাড়িটি ভেঙে নিশ্চিহ্ন করে দেওয়া হয়। এখন সেখানে ভাঙা বাড়ির ইটগুলো স্তূপাকারে রয়েছে। ঋত্বিকের আর তেমন কোনো স্মৃতিচিহ্ন নেই।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

‘সাকিবের পোস্টার স্টেডিয়ামে ঢুকবে কি না, বিসিবির ডিসিপ্লিনারি কমিটি দেখবে’

আন্তর্জাতিক সালিসের দ্বারস্থ হওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছে বাংলাদেশ-আদানি

‘তোমার জন্যই খুন করেছি’, স্ত্রীকে হত্যার পর প্রেমিকাকে সার্জনের বার্তা

নীলফামারীতে হচ্ছে চীনা সরকারের উপহার ১০০০ শয্যার হাসপাতাল

ট্রাকের নিচে ঢুকে গেল অটোরিকশা, কলেজশিক্ষার্থীসহ নিহত ৬

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত