কামারখন্দ (সিরাজগঞ্জ) প্রতিনিধি

সিরাজগঞ্জের কামারখন্দে সুদ কারবারির অত্যাচারে নিঃস্ব হচ্ছেন অসহায় মানুষ। সুদের টাকা দিতে ব্যর্থ হলে করা হয় মারধর। সুদসহ আসল টাকা ফেরত দেওয়ার পরেও টাকা দাবি করছেন ওই এলাকার হীরাসহ তাঁর চার সহযোগী। এমনকি টাকা না পেয়ে বাড়ি ছাড়ার করার মতো অভিযোগ উঠেছে তাঁদের বিরুদ্ধে। উপজেলার রায়দৌলতপুর ইউনিয়নের রসুলপুর গ্রামে গ্রামের অর্ধশতাধিক এই নির্যাতনের শিকার।
এদিকে দাদন ব্যবসায়ীর নির্যাতনে অতিষ্ঠ হয়ে আজ সোমবার দুপুরে জেলা প্রশাসক বরাবর একটি লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন ভুক্তভোগীরা। লিখিত অভিযোগের অনুলিপি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ও কামারখন্দ থানায় দেওয়া হয়েছে বলে জানান তাঁরা।
সরেজমিনে রসুলপুর গ্রামে স্থানীয়দের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, উপজেলার ধলেশ্বর গ্রামের মৃত নেজাবত আলী মোল্লার ছেলে হীরা মোল্লার তিন সহযোগী মিলে গড়ে তোলেন দাদনের (সুদ) ব্যবসা। তাঁর অন্য সহযোগীরা হলেন, গোপালপুর গ্রামের মৃত সোহরাব আলীর ছেলে আমিরুল, বাড়াকান্দি গ্রামের ছাখাওয়াতের ছেলে মাসুদ ও ধলেশ্বরের আবু সাইদ।
তাদের কাছে ১ লাখ টাকা ঋণ চাইলে তার বিপরীতে দেওয়া হয় ৭০ হাজার টাকা। এ ছাড়া প্রতি সপ্তাহে ২ হাজার ৫০০ টাকা সুদ দিতে হয়। কিস্তিতে নগদ টাকাসহ সুদ পরিশোধ করলেও নতুন করে তাঁরা টাকা দাবি করে বলে অভিযোগ ভুক্তভোগীদের।
এদিকে টাকা পরিশোধ করার পরেও রানা মন্ডল নামের এক ভ্যান চালককে তুলে নিয়ে যাওয়ার সময় স্থানীয়রা দাদন ব্যবসায়ী হীরা, মাসুদ ও আমিরুলকে আটক করে। কিন্তু কৌশলে মাসুদ পালিয়ে যান। এরপর স্থানীয়রা হীরা ও আমিরুলের ভিডিও বক্তব্য নিয়ে তাদেরকে ছেড়ে দেন।
রানা মন্ডল আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘৭০ হাজার টাকা ঋণ নিয়েছিলাম। টাকা পরিশোধ করেছি। কিন্তু হঠাৎ করে কল দিয়ে তারা আমাকে বলছে, ‘‘টাকা দেও না কেন?’ ’ আমি বললাম, টাকা তো আমিরুল ভাইয়ের কাছে পরিশোধ করেছি। তখন আমাকে তারা গালাগালি শুরু করে। এরপর কাজ থেকে ফেরার পথে আমাকে তুলে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করে। তখন এলাকাবাসী হীরা, আমিরুল ও মাসুদকে আটক করে।’
সেলিম নামের এক ভ্যানচালক আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘ভ্যান গাড়ি হারিয়ে যাওয়ার পরে আরেকটি ভ্যান কেনার জন্য তাদের কাছে থেকে ৩০ হাজার টাকা চাই। কিন্তু ৩০ হাজার টাকার ৪ হাজার টাকা সুদ সঙ্গে সঙ্গে কেটে নিয়ে আমাকে ২৬ হাজার টাকা দেয়। কিছুদিন সুদ ও টাকা দেওয়ার পরে আবার নতুন সেই গাড়িটিও হারিয়ে যায়। পরে ঢাকা চলে যাই। ঢাকা থেকে আসার পরে আমাকে তাঁরা বাঁশতলা একটি দোকানে আটকিয়ে রেখে মারধর করে। সুদসহ ৫০-৬০ হাজার টাকা পরিশোধ করার পরেও তারা আমার কাছে নতুন করে টাকা দাবি করছে।’
মশিউর রহমান নামের আরেক ভুক্তভোগী বলেন, ‘জামতৈল যাওয়ার জন্য বের হই। ধলেশ্বর তালতলা বাজারে পৌঁছালে তারা আমাকে থামিয়ে একটি কক্ষে নিয়ে যায়। সেখানে টাকা দাবি করে। আমি সুদসহ টাকা পরিশোধের বিষয়টি বললে আমাকে তারা মারধর করে এবং জোড়পূর্বক একটি চেকে স্বাক্ষর নেয়। স্বাক্ষর নিয়ে ১৮ লাখ টাকার মামলা দেয়।’
ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী গোলাম মওলা বলেন, ‘কৃষক, ভ্যানচালক, ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীসহ প্রায় ৫০ জন হীরাদের কাছে টাকা নিয়েছে। বেশির ভাগ মানুষ সুদসহ তাদের টাকা ফেরত দিয়েছে। এরপরও তারা টাকা দাবি করে। তাদের জন্য ভ্যান চালকেরা ঠিকমতো বের হয়ে কাজ করতে পারে না। যেখানে পায় সেখানেই চড়থাপ্পড় মারে। তাদের অত্যাচারে ৫-৬টি পরিবার বাড়ি থেকে পালিয়েছে। এ ছাড়া আরিফুল নামের এক ছেলেকে শারীরিকভাবে আঘাত করে। এ জন্য তার কিডনিতে সমস্যা হয়েছে।’
তিনি আরও বলেন, ‘আমি ৬৭ হাজার টাকা নিয়েছিলাম দুই লাখ টাকার বেশি টাকা পরিশোধ করেছি। এরপরও তারা টাকা দাবি করছে। টাকা না দিতে চাইলে তারা আমাকে মারধর করে এবং জোড় করে চেকের ওপরে স্বাক্ষর নিয়ে রাখে।’
রায়দৌলতপুর ইউনিয়নের পরিষদের ১,২, ৩ নম্বর ওয়ার্ডের মহিলা মেম্বার শিউলি বেগম আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘রসুলপুর এলাকার কৃষক, ভ্যানচালক, ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীরা সহজ সরল না বুঝে টাকা নিয়েছে। হীরা, মাসুদ, আমিরুল ও সাইদ মানুষকে শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন করে। ওদের অত্যাচারে এলাকার অনেক মানুষ পলাতক।’
তিনি আরও বলেন, ‘নির্বাচনের সময় আমি ১ লাখ টাকা ঋণ চেয়েছিলাম। ১ লাখ টাকার পরিবর্তে তারা আমাকে ৭০ হাজার টাকা দিয়েছিল। পরে সুদসহ ১ লাখ ৭০ হাজার টাকা পরিশোধ করেছি।’
রায়দৌলতপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আব্দুর রশিদ আকন্দ বলেন, ‘সুদ যারা নেয় এবং যারা দেয় তারা দুজনেই সমান অপরাধী। রসুলপুর গ্রামের মানুষ যে হীরাদের দ্বারা অত্যাচারিত হয়েছে এটা আমি জানি না। আমাকে কেউ জানায়নি। তবে উভয় পক্ষ আসলে বিষয়টি নিয়ে কম বেশি করে দেওয়া যাবে।’
এদিকে এ বিষয়ে জানতে দাদন (সুদ) ব্যবসায়ী হীরার ব্যবহৃত মোবাইল কল দেওয়া হয়। এ সময় তিনি সাংবাদিক পরিচয় পাওয়ার পর তিনি ‘পরে কথা বলব’ বলে কল কেটে দেন। এরপর একাধিকবার কল দিলেও তিনি রিসিভ করেনি।
হীরার আরেক সহযোগী আমিরুল বলেন, ‘হীরা আমার স্কুল জীবনের বন্ধু। এ জন্য রসুলপুর গিয়েছিলাম তবে এসব কাজের সঙ্গে আমি জড়িত না। কেন যে আমাকে এ কাজে জড়িয়েছে বিষয়টি বুঝতে পারছি না।’
কামারখন্দ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নুর নবী প্রধান বলেন, ‘অনুলিপির কপিটি অফিশিয়ালি এখনো হাতে পাইনি। হাতে পাওয়ার পর বিষয়টি জানানো যাবে।’
কামারখন্দ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মেরিনা সুলতানা আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘ডিসি স্যারের কাছে আবেদন দিলে ওইটা আমার কাছে তদন্তের জন্য আসবে। তখন তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’

সিরাজগঞ্জের কামারখন্দে সুদ কারবারির অত্যাচারে নিঃস্ব হচ্ছেন অসহায় মানুষ। সুদের টাকা দিতে ব্যর্থ হলে করা হয় মারধর। সুদসহ আসল টাকা ফেরত দেওয়ার পরেও টাকা দাবি করছেন ওই এলাকার হীরাসহ তাঁর চার সহযোগী। এমনকি টাকা না পেয়ে বাড়ি ছাড়ার করার মতো অভিযোগ উঠেছে তাঁদের বিরুদ্ধে। উপজেলার রায়দৌলতপুর ইউনিয়নের রসুলপুর গ্রামে গ্রামের অর্ধশতাধিক এই নির্যাতনের শিকার।
এদিকে দাদন ব্যবসায়ীর নির্যাতনে অতিষ্ঠ হয়ে আজ সোমবার দুপুরে জেলা প্রশাসক বরাবর একটি লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন ভুক্তভোগীরা। লিখিত অভিযোগের অনুলিপি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ও কামারখন্দ থানায় দেওয়া হয়েছে বলে জানান তাঁরা।
সরেজমিনে রসুলপুর গ্রামে স্থানীয়দের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, উপজেলার ধলেশ্বর গ্রামের মৃত নেজাবত আলী মোল্লার ছেলে হীরা মোল্লার তিন সহযোগী মিলে গড়ে তোলেন দাদনের (সুদ) ব্যবসা। তাঁর অন্য সহযোগীরা হলেন, গোপালপুর গ্রামের মৃত সোহরাব আলীর ছেলে আমিরুল, বাড়াকান্দি গ্রামের ছাখাওয়াতের ছেলে মাসুদ ও ধলেশ্বরের আবু সাইদ।
তাদের কাছে ১ লাখ টাকা ঋণ চাইলে তার বিপরীতে দেওয়া হয় ৭০ হাজার টাকা। এ ছাড়া প্রতি সপ্তাহে ২ হাজার ৫০০ টাকা সুদ দিতে হয়। কিস্তিতে নগদ টাকাসহ সুদ পরিশোধ করলেও নতুন করে তাঁরা টাকা দাবি করে বলে অভিযোগ ভুক্তভোগীদের।
এদিকে টাকা পরিশোধ করার পরেও রানা মন্ডল নামের এক ভ্যান চালককে তুলে নিয়ে যাওয়ার সময় স্থানীয়রা দাদন ব্যবসায়ী হীরা, মাসুদ ও আমিরুলকে আটক করে। কিন্তু কৌশলে মাসুদ পালিয়ে যান। এরপর স্থানীয়রা হীরা ও আমিরুলের ভিডিও বক্তব্য নিয়ে তাদেরকে ছেড়ে দেন।
রানা মন্ডল আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘৭০ হাজার টাকা ঋণ নিয়েছিলাম। টাকা পরিশোধ করেছি। কিন্তু হঠাৎ করে কল দিয়ে তারা আমাকে বলছে, ‘‘টাকা দেও না কেন?’ ’ আমি বললাম, টাকা তো আমিরুল ভাইয়ের কাছে পরিশোধ করেছি। তখন আমাকে তারা গালাগালি শুরু করে। এরপর কাজ থেকে ফেরার পথে আমাকে তুলে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করে। তখন এলাকাবাসী হীরা, আমিরুল ও মাসুদকে আটক করে।’
সেলিম নামের এক ভ্যানচালক আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘ভ্যান গাড়ি হারিয়ে যাওয়ার পরে আরেকটি ভ্যান কেনার জন্য তাদের কাছে থেকে ৩০ হাজার টাকা চাই। কিন্তু ৩০ হাজার টাকার ৪ হাজার টাকা সুদ সঙ্গে সঙ্গে কেটে নিয়ে আমাকে ২৬ হাজার টাকা দেয়। কিছুদিন সুদ ও টাকা দেওয়ার পরে আবার নতুন সেই গাড়িটিও হারিয়ে যায়। পরে ঢাকা চলে যাই। ঢাকা থেকে আসার পরে আমাকে তাঁরা বাঁশতলা একটি দোকানে আটকিয়ে রেখে মারধর করে। সুদসহ ৫০-৬০ হাজার টাকা পরিশোধ করার পরেও তারা আমার কাছে নতুন করে টাকা দাবি করছে।’
মশিউর রহমান নামের আরেক ভুক্তভোগী বলেন, ‘জামতৈল যাওয়ার জন্য বের হই। ধলেশ্বর তালতলা বাজারে পৌঁছালে তারা আমাকে থামিয়ে একটি কক্ষে নিয়ে যায়। সেখানে টাকা দাবি করে। আমি সুদসহ টাকা পরিশোধের বিষয়টি বললে আমাকে তারা মারধর করে এবং জোড়পূর্বক একটি চেকে স্বাক্ষর নেয়। স্বাক্ষর নিয়ে ১৮ লাখ টাকার মামলা দেয়।’
ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী গোলাম মওলা বলেন, ‘কৃষক, ভ্যানচালক, ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীসহ প্রায় ৫০ জন হীরাদের কাছে টাকা নিয়েছে। বেশির ভাগ মানুষ সুদসহ তাদের টাকা ফেরত দিয়েছে। এরপরও তারা টাকা দাবি করে। তাদের জন্য ভ্যান চালকেরা ঠিকমতো বের হয়ে কাজ করতে পারে না। যেখানে পায় সেখানেই চড়থাপ্পড় মারে। তাদের অত্যাচারে ৫-৬টি পরিবার বাড়ি থেকে পালিয়েছে। এ ছাড়া আরিফুল নামের এক ছেলেকে শারীরিকভাবে আঘাত করে। এ জন্য তার কিডনিতে সমস্যা হয়েছে।’
তিনি আরও বলেন, ‘আমি ৬৭ হাজার টাকা নিয়েছিলাম দুই লাখ টাকার বেশি টাকা পরিশোধ করেছি। এরপরও তারা টাকা দাবি করছে। টাকা না দিতে চাইলে তারা আমাকে মারধর করে এবং জোড় করে চেকের ওপরে স্বাক্ষর নিয়ে রাখে।’
রায়দৌলতপুর ইউনিয়নের পরিষদের ১,২, ৩ নম্বর ওয়ার্ডের মহিলা মেম্বার শিউলি বেগম আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘রসুলপুর এলাকার কৃষক, ভ্যানচালক, ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীরা সহজ সরল না বুঝে টাকা নিয়েছে। হীরা, মাসুদ, আমিরুল ও সাইদ মানুষকে শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন করে। ওদের অত্যাচারে এলাকার অনেক মানুষ পলাতক।’
তিনি আরও বলেন, ‘নির্বাচনের সময় আমি ১ লাখ টাকা ঋণ চেয়েছিলাম। ১ লাখ টাকার পরিবর্তে তারা আমাকে ৭০ হাজার টাকা দিয়েছিল। পরে সুদসহ ১ লাখ ৭০ হাজার টাকা পরিশোধ করেছি।’
রায়দৌলতপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আব্দুর রশিদ আকন্দ বলেন, ‘সুদ যারা নেয় এবং যারা দেয় তারা দুজনেই সমান অপরাধী। রসুলপুর গ্রামের মানুষ যে হীরাদের দ্বারা অত্যাচারিত হয়েছে এটা আমি জানি না। আমাকে কেউ জানায়নি। তবে উভয় পক্ষ আসলে বিষয়টি নিয়ে কম বেশি করে দেওয়া যাবে।’
এদিকে এ বিষয়ে জানতে দাদন (সুদ) ব্যবসায়ী হীরার ব্যবহৃত মোবাইল কল দেওয়া হয়। এ সময় তিনি সাংবাদিক পরিচয় পাওয়ার পর তিনি ‘পরে কথা বলব’ বলে কল কেটে দেন। এরপর একাধিকবার কল দিলেও তিনি রিসিভ করেনি।
হীরার আরেক সহযোগী আমিরুল বলেন, ‘হীরা আমার স্কুল জীবনের বন্ধু। এ জন্য রসুলপুর গিয়েছিলাম তবে এসব কাজের সঙ্গে আমি জড়িত না। কেন যে আমাকে এ কাজে জড়িয়েছে বিষয়টি বুঝতে পারছি না।’
কামারখন্দ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নুর নবী প্রধান বলেন, ‘অনুলিপির কপিটি অফিশিয়ালি এখনো হাতে পাইনি। হাতে পাওয়ার পর বিষয়টি জানানো যাবে।’
কামারখন্দ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মেরিনা সুলতানা আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘ডিসি স্যারের কাছে আবেদন দিলে ওইটা আমার কাছে তদন্তের জন্য আসবে। তখন তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
কামারখন্দ (সিরাজগঞ্জ) প্রতিনিধি

সিরাজগঞ্জের কামারখন্দে সুদ কারবারির অত্যাচারে নিঃস্ব হচ্ছেন অসহায় মানুষ। সুদের টাকা দিতে ব্যর্থ হলে করা হয় মারধর। সুদসহ আসল টাকা ফেরত দেওয়ার পরেও টাকা দাবি করছেন ওই এলাকার হীরাসহ তাঁর চার সহযোগী। এমনকি টাকা না পেয়ে বাড়ি ছাড়ার করার মতো অভিযোগ উঠেছে তাঁদের বিরুদ্ধে। উপজেলার রায়দৌলতপুর ইউনিয়নের রসুলপুর গ্রামে গ্রামের অর্ধশতাধিক এই নির্যাতনের শিকার।
এদিকে দাদন ব্যবসায়ীর নির্যাতনে অতিষ্ঠ হয়ে আজ সোমবার দুপুরে জেলা প্রশাসক বরাবর একটি লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন ভুক্তভোগীরা। লিখিত অভিযোগের অনুলিপি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ও কামারখন্দ থানায় দেওয়া হয়েছে বলে জানান তাঁরা।
সরেজমিনে রসুলপুর গ্রামে স্থানীয়দের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, উপজেলার ধলেশ্বর গ্রামের মৃত নেজাবত আলী মোল্লার ছেলে হীরা মোল্লার তিন সহযোগী মিলে গড়ে তোলেন দাদনের (সুদ) ব্যবসা। তাঁর অন্য সহযোগীরা হলেন, গোপালপুর গ্রামের মৃত সোহরাব আলীর ছেলে আমিরুল, বাড়াকান্দি গ্রামের ছাখাওয়াতের ছেলে মাসুদ ও ধলেশ্বরের আবু সাইদ।
তাদের কাছে ১ লাখ টাকা ঋণ চাইলে তার বিপরীতে দেওয়া হয় ৭০ হাজার টাকা। এ ছাড়া প্রতি সপ্তাহে ২ হাজার ৫০০ টাকা সুদ দিতে হয়। কিস্তিতে নগদ টাকাসহ সুদ পরিশোধ করলেও নতুন করে তাঁরা টাকা দাবি করে বলে অভিযোগ ভুক্তভোগীদের।
এদিকে টাকা পরিশোধ করার পরেও রানা মন্ডল নামের এক ভ্যান চালককে তুলে নিয়ে যাওয়ার সময় স্থানীয়রা দাদন ব্যবসায়ী হীরা, মাসুদ ও আমিরুলকে আটক করে। কিন্তু কৌশলে মাসুদ পালিয়ে যান। এরপর স্থানীয়রা হীরা ও আমিরুলের ভিডিও বক্তব্য নিয়ে তাদেরকে ছেড়ে দেন।
রানা মন্ডল আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘৭০ হাজার টাকা ঋণ নিয়েছিলাম। টাকা পরিশোধ করেছি। কিন্তু হঠাৎ করে কল দিয়ে তারা আমাকে বলছে, ‘‘টাকা দেও না কেন?’ ’ আমি বললাম, টাকা তো আমিরুল ভাইয়ের কাছে পরিশোধ করেছি। তখন আমাকে তারা গালাগালি শুরু করে। এরপর কাজ থেকে ফেরার পথে আমাকে তুলে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করে। তখন এলাকাবাসী হীরা, আমিরুল ও মাসুদকে আটক করে।’
সেলিম নামের এক ভ্যানচালক আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘ভ্যান গাড়ি হারিয়ে যাওয়ার পরে আরেকটি ভ্যান কেনার জন্য তাদের কাছে থেকে ৩০ হাজার টাকা চাই। কিন্তু ৩০ হাজার টাকার ৪ হাজার টাকা সুদ সঙ্গে সঙ্গে কেটে নিয়ে আমাকে ২৬ হাজার টাকা দেয়। কিছুদিন সুদ ও টাকা দেওয়ার পরে আবার নতুন সেই গাড়িটিও হারিয়ে যায়। পরে ঢাকা চলে যাই। ঢাকা থেকে আসার পরে আমাকে তাঁরা বাঁশতলা একটি দোকানে আটকিয়ে রেখে মারধর করে। সুদসহ ৫০-৬০ হাজার টাকা পরিশোধ করার পরেও তারা আমার কাছে নতুন করে টাকা দাবি করছে।’
মশিউর রহমান নামের আরেক ভুক্তভোগী বলেন, ‘জামতৈল যাওয়ার জন্য বের হই। ধলেশ্বর তালতলা বাজারে পৌঁছালে তারা আমাকে থামিয়ে একটি কক্ষে নিয়ে যায়। সেখানে টাকা দাবি করে। আমি সুদসহ টাকা পরিশোধের বিষয়টি বললে আমাকে তারা মারধর করে এবং জোড়পূর্বক একটি চেকে স্বাক্ষর নেয়। স্বাক্ষর নিয়ে ১৮ লাখ টাকার মামলা দেয়।’
ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী গোলাম মওলা বলেন, ‘কৃষক, ভ্যানচালক, ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীসহ প্রায় ৫০ জন হীরাদের কাছে টাকা নিয়েছে। বেশির ভাগ মানুষ সুদসহ তাদের টাকা ফেরত দিয়েছে। এরপরও তারা টাকা দাবি করে। তাদের জন্য ভ্যান চালকেরা ঠিকমতো বের হয়ে কাজ করতে পারে না। যেখানে পায় সেখানেই চড়থাপ্পড় মারে। তাদের অত্যাচারে ৫-৬টি পরিবার বাড়ি থেকে পালিয়েছে। এ ছাড়া আরিফুল নামের এক ছেলেকে শারীরিকভাবে আঘাত করে। এ জন্য তার কিডনিতে সমস্যা হয়েছে।’
তিনি আরও বলেন, ‘আমি ৬৭ হাজার টাকা নিয়েছিলাম দুই লাখ টাকার বেশি টাকা পরিশোধ করেছি। এরপরও তারা টাকা দাবি করছে। টাকা না দিতে চাইলে তারা আমাকে মারধর করে এবং জোড় করে চেকের ওপরে স্বাক্ষর নিয়ে রাখে।’
রায়দৌলতপুর ইউনিয়নের পরিষদের ১,২, ৩ নম্বর ওয়ার্ডের মহিলা মেম্বার শিউলি বেগম আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘রসুলপুর এলাকার কৃষক, ভ্যানচালক, ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীরা সহজ সরল না বুঝে টাকা নিয়েছে। হীরা, মাসুদ, আমিরুল ও সাইদ মানুষকে শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন করে। ওদের অত্যাচারে এলাকার অনেক মানুষ পলাতক।’
তিনি আরও বলেন, ‘নির্বাচনের সময় আমি ১ লাখ টাকা ঋণ চেয়েছিলাম। ১ লাখ টাকার পরিবর্তে তারা আমাকে ৭০ হাজার টাকা দিয়েছিল। পরে সুদসহ ১ লাখ ৭০ হাজার টাকা পরিশোধ করেছি।’
রায়দৌলতপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আব্দুর রশিদ আকন্দ বলেন, ‘সুদ যারা নেয় এবং যারা দেয় তারা দুজনেই সমান অপরাধী। রসুলপুর গ্রামের মানুষ যে হীরাদের দ্বারা অত্যাচারিত হয়েছে এটা আমি জানি না। আমাকে কেউ জানায়নি। তবে উভয় পক্ষ আসলে বিষয়টি নিয়ে কম বেশি করে দেওয়া যাবে।’
এদিকে এ বিষয়ে জানতে দাদন (সুদ) ব্যবসায়ী হীরার ব্যবহৃত মোবাইল কল দেওয়া হয়। এ সময় তিনি সাংবাদিক পরিচয় পাওয়ার পর তিনি ‘পরে কথা বলব’ বলে কল কেটে দেন। এরপর একাধিকবার কল দিলেও তিনি রিসিভ করেনি।
হীরার আরেক সহযোগী আমিরুল বলেন, ‘হীরা আমার স্কুল জীবনের বন্ধু। এ জন্য রসুলপুর গিয়েছিলাম তবে এসব কাজের সঙ্গে আমি জড়িত না। কেন যে আমাকে এ কাজে জড়িয়েছে বিষয়টি বুঝতে পারছি না।’
কামারখন্দ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নুর নবী প্রধান বলেন, ‘অনুলিপির কপিটি অফিশিয়ালি এখনো হাতে পাইনি। হাতে পাওয়ার পর বিষয়টি জানানো যাবে।’
কামারখন্দ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মেরিনা সুলতানা আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘ডিসি স্যারের কাছে আবেদন দিলে ওইটা আমার কাছে তদন্তের জন্য আসবে। তখন তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’

সিরাজগঞ্জের কামারখন্দে সুদ কারবারির অত্যাচারে নিঃস্ব হচ্ছেন অসহায় মানুষ। সুদের টাকা দিতে ব্যর্থ হলে করা হয় মারধর। সুদসহ আসল টাকা ফেরত দেওয়ার পরেও টাকা দাবি করছেন ওই এলাকার হীরাসহ তাঁর চার সহযোগী। এমনকি টাকা না পেয়ে বাড়ি ছাড়ার করার মতো অভিযোগ উঠেছে তাঁদের বিরুদ্ধে। উপজেলার রায়দৌলতপুর ইউনিয়নের রসুলপুর গ্রামে গ্রামের অর্ধশতাধিক এই নির্যাতনের শিকার।
এদিকে দাদন ব্যবসায়ীর নির্যাতনে অতিষ্ঠ হয়ে আজ সোমবার দুপুরে জেলা প্রশাসক বরাবর একটি লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন ভুক্তভোগীরা। লিখিত অভিযোগের অনুলিপি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ও কামারখন্দ থানায় দেওয়া হয়েছে বলে জানান তাঁরা।
সরেজমিনে রসুলপুর গ্রামে স্থানীয়দের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, উপজেলার ধলেশ্বর গ্রামের মৃত নেজাবত আলী মোল্লার ছেলে হীরা মোল্লার তিন সহযোগী মিলে গড়ে তোলেন দাদনের (সুদ) ব্যবসা। তাঁর অন্য সহযোগীরা হলেন, গোপালপুর গ্রামের মৃত সোহরাব আলীর ছেলে আমিরুল, বাড়াকান্দি গ্রামের ছাখাওয়াতের ছেলে মাসুদ ও ধলেশ্বরের আবু সাইদ।
তাদের কাছে ১ লাখ টাকা ঋণ চাইলে তার বিপরীতে দেওয়া হয় ৭০ হাজার টাকা। এ ছাড়া প্রতি সপ্তাহে ২ হাজার ৫০০ টাকা সুদ দিতে হয়। কিস্তিতে নগদ টাকাসহ সুদ পরিশোধ করলেও নতুন করে তাঁরা টাকা দাবি করে বলে অভিযোগ ভুক্তভোগীদের।
এদিকে টাকা পরিশোধ করার পরেও রানা মন্ডল নামের এক ভ্যান চালককে তুলে নিয়ে যাওয়ার সময় স্থানীয়রা দাদন ব্যবসায়ী হীরা, মাসুদ ও আমিরুলকে আটক করে। কিন্তু কৌশলে মাসুদ পালিয়ে যান। এরপর স্থানীয়রা হীরা ও আমিরুলের ভিডিও বক্তব্য নিয়ে তাদেরকে ছেড়ে দেন।
রানা মন্ডল আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘৭০ হাজার টাকা ঋণ নিয়েছিলাম। টাকা পরিশোধ করেছি। কিন্তু হঠাৎ করে কল দিয়ে তারা আমাকে বলছে, ‘‘টাকা দেও না কেন?’ ’ আমি বললাম, টাকা তো আমিরুল ভাইয়ের কাছে পরিশোধ করেছি। তখন আমাকে তারা গালাগালি শুরু করে। এরপর কাজ থেকে ফেরার পথে আমাকে তুলে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করে। তখন এলাকাবাসী হীরা, আমিরুল ও মাসুদকে আটক করে।’
সেলিম নামের এক ভ্যানচালক আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘ভ্যান গাড়ি হারিয়ে যাওয়ার পরে আরেকটি ভ্যান কেনার জন্য তাদের কাছে থেকে ৩০ হাজার টাকা চাই। কিন্তু ৩০ হাজার টাকার ৪ হাজার টাকা সুদ সঙ্গে সঙ্গে কেটে নিয়ে আমাকে ২৬ হাজার টাকা দেয়। কিছুদিন সুদ ও টাকা দেওয়ার পরে আবার নতুন সেই গাড়িটিও হারিয়ে যায়। পরে ঢাকা চলে যাই। ঢাকা থেকে আসার পরে আমাকে তাঁরা বাঁশতলা একটি দোকানে আটকিয়ে রেখে মারধর করে। সুদসহ ৫০-৬০ হাজার টাকা পরিশোধ করার পরেও তারা আমার কাছে নতুন করে টাকা দাবি করছে।’
মশিউর রহমান নামের আরেক ভুক্তভোগী বলেন, ‘জামতৈল যাওয়ার জন্য বের হই। ধলেশ্বর তালতলা বাজারে পৌঁছালে তারা আমাকে থামিয়ে একটি কক্ষে নিয়ে যায়। সেখানে টাকা দাবি করে। আমি সুদসহ টাকা পরিশোধের বিষয়টি বললে আমাকে তারা মারধর করে এবং জোড়পূর্বক একটি চেকে স্বাক্ষর নেয়। স্বাক্ষর নিয়ে ১৮ লাখ টাকার মামলা দেয়।’
ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী গোলাম মওলা বলেন, ‘কৃষক, ভ্যানচালক, ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীসহ প্রায় ৫০ জন হীরাদের কাছে টাকা নিয়েছে। বেশির ভাগ মানুষ সুদসহ তাদের টাকা ফেরত দিয়েছে। এরপরও তারা টাকা দাবি করে। তাদের জন্য ভ্যান চালকেরা ঠিকমতো বের হয়ে কাজ করতে পারে না। যেখানে পায় সেখানেই চড়থাপ্পড় মারে। তাদের অত্যাচারে ৫-৬টি পরিবার বাড়ি থেকে পালিয়েছে। এ ছাড়া আরিফুল নামের এক ছেলেকে শারীরিকভাবে আঘাত করে। এ জন্য তার কিডনিতে সমস্যা হয়েছে।’
তিনি আরও বলেন, ‘আমি ৬৭ হাজার টাকা নিয়েছিলাম দুই লাখ টাকার বেশি টাকা পরিশোধ করেছি। এরপরও তারা টাকা দাবি করছে। টাকা না দিতে চাইলে তারা আমাকে মারধর করে এবং জোড় করে চেকের ওপরে স্বাক্ষর নিয়ে রাখে।’
রায়দৌলতপুর ইউনিয়নের পরিষদের ১,২, ৩ নম্বর ওয়ার্ডের মহিলা মেম্বার শিউলি বেগম আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘রসুলপুর এলাকার কৃষক, ভ্যানচালক, ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীরা সহজ সরল না বুঝে টাকা নিয়েছে। হীরা, মাসুদ, আমিরুল ও সাইদ মানুষকে শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন করে। ওদের অত্যাচারে এলাকার অনেক মানুষ পলাতক।’
তিনি আরও বলেন, ‘নির্বাচনের সময় আমি ১ লাখ টাকা ঋণ চেয়েছিলাম। ১ লাখ টাকার পরিবর্তে তারা আমাকে ৭০ হাজার টাকা দিয়েছিল। পরে সুদসহ ১ লাখ ৭০ হাজার টাকা পরিশোধ করেছি।’
রায়দৌলতপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আব্দুর রশিদ আকন্দ বলেন, ‘সুদ যারা নেয় এবং যারা দেয় তারা দুজনেই সমান অপরাধী। রসুলপুর গ্রামের মানুষ যে হীরাদের দ্বারা অত্যাচারিত হয়েছে এটা আমি জানি না। আমাকে কেউ জানায়নি। তবে উভয় পক্ষ আসলে বিষয়টি নিয়ে কম বেশি করে দেওয়া যাবে।’
এদিকে এ বিষয়ে জানতে দাদন (সুদ) ব্যবসায়ী হীরার ব্যবহৃত মোবাইল কল দেওয়া হয়। এ সময় তিনি সাংবাদিক পরিচয় পাওয়ার পর তিনি ‘পরে কথা বলব’ বলে কল কেটে দেন। এরপর একাধিকবার কল দিলেও তিনি রিসিভ করেনি।
হীরার আরেক সহযোগী আমিরুল বলেন, ‘হীরা আমার স্কুল জীবনের বন্ধু। এ জন্য রসুলপুর গিয়েছিলাম তবে এসব কাজের সঙ্গে আমি জড়িত না। কেন যে আমাকে এ কাজে জড়িয়েছে বিষয়টি বুঝতে পারছি না।’
কামারখন্দ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নুর নবী প্রধান বলেন, ‘অনুলিপির কপিটি অফিশিয়ালি এখনো হাতে পাইনি। হাতে পাওয়ার পর বিষয়টি জানানো যাবে।’
কামারখন্দ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মেরিনা সুলতানা আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘ডিসি স্যারের কাছে আবেদন দিলে ওইটা আমার কাছে তদন্তের জন্য আসবে। তখন তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’

শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবসে একাত্তরের শহীদ বুদ্ধিজীবীদের আত্মার মাগফিরাত কামনা ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়ার আশু সুস্থতা কামনায় বিশেষ দোয়া ও মোনাজাত করেছে এতিম শিশুরা।
৬ মিনিট আগে
সুনির্দিষ্ট অভিযোগ ছাড়াই সাংবাদিক আনিস আলমগীরকে ডিবি কার্যালয়ে ডেকে নিয়ে আটকে রেখে পরদিন সন্ত্রাসবিরোধী আইনে মামলা দায়ের ও গ্রেপ্তার দেখানোর ঘটনায় তীব্র নিন্দা জানিয়েছে সম্পাদক পরিষদ। বিবৃতিতে সংগঠনটি বলেছে, এ ধরনের আচরণ অতীত স্বৈরাচারী শাসনামলে সাংবাদিকদের প্রতি রাষ্ট্রীয় দমন-পীড়নের স্মৃতি উসকে দেয়
১৮ মিনিট আগে
মাদারীপুরের আড়িয়াল খাঁ নদ থেকে হনুফা বেগম (৪০) নামের এক নারীর লাশ উদ্ধার করেছে নৌ পুলিশ। আজ সোমবার (১৫ ডিসেম্বর) বিকেলে মাদারীপুর সদর উপজেলার পাঁচখোলা ইউনিয়নের বাবনাতলা এলাকা থেকে লাশটি উদ্ধার করা হয়।
২৫ মিনিট আগে
ট্রান্সফরমারের জরুরি মেরামত ও সংরক্ষণকাজের জন্য আগামী বুধবার সিলেটের বিভিন্ন এলাকায় ১০ ঘণ্টা বিদ্যুৎ থাকবে না। এ দিন সকাল ৭টা থেকে বিকেল ৫টা পর্যন্ত এই বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ থাকবে।
২৬ মিনিট আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবসে একাত্তরের শহীদ বুদ্ধিজীবীদের আত্মার মাগফিরাত কামনা ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়ার আশু সুস্থতা কামনায় বিশেষ দোয়া ও মোনাজাত করেছে এতিম শিশুরা।
গতকাল রোববার (বাদ জোহর) রাজধানীর কারওয়ান বাজারের রহমতে আলম ইসলাম মিশন এতিমখানায় কোরআন খতম ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়। এতে সম্প্রতি গণতান্ত্রিক আন্দোলনে আহত সব নেতা-কর্মীর সুস্থতা কামনায়ও প্রার্থনা করা হয়।
দিনব্যাপী কোরআন খতমের পর আয়োজিত এই দোয়া মাহফিলে এতিম শিশুরা খালেদা জিয়ার রোগমুক্তি এবং শহীদ বুদ্ধিজীবীদের পরকালীন মঙ্গল কামনায় মোনাজাত করে।
দোয়া মাহফিল শেষে এতিম শিশুদের মাঝে দুপুরের খাবার বিতরণ করা হয়। এ সময় আয়োজকদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন নির্মাতা ও প্রযোজক রাসেল আজম, ইমাম হোসেন ইমন, মাহমুদ হাসান রানা, মুনিরুজ্জামান লিপন, সোহেল হাসান, মোহন আহমেদ, মাইদুল রাকিবসহ বিভিন্ন নির্মাতা ও প্রযোজকেরা।
উল্লেখ্য, বর্তমানে সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়া রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। একই হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিলেন ইনকিলাব মঞ্চের আহ্বায়ক শরিফ ওসমান বিন হাদি। উন্নত চিকিৎসার জন্য তাঁকে আজ সিঙ্গাপুরে নেওয়া হয়েছে।

শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবসে একাত্তরের শহীদ বুদ্ধিজীবীদের আত্মার মাগফিরাত কামনা ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়ার আশু সুস্থতা কামনায় বিশেষ দোয়া ও মোনাজাত করেছে এতিম শিশুরা।
গতকাল রোববার (বাদ জোহর) রাজধানীর কারওয়ান বাজারের রহমতে আলম ইসলাম মিশন এতিমখানায় কোরআন খতম ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়। এতে সম্প্রতি গণতান্ত্রিক আন্দোলনে আহত সব নেতা-কর্মীর সুস্থতা কামনায়ও প্রার্থনা করা হয়।
দিনব্যাপী কোরআন খতমের পর আয়োজিত এই দোয়া মাহফিলে এতিম শিশুরা খালেদা জিয়ার রোগমুক্তি এবং শহীদ বুদ্ধিজীবীদের পরকালীন মঙ্গল কামনায় মোনাজাত করে।
দোয়া মাহফিল শেষে এতিম শিশুদের মাঝে দুপুরের খাবার বিতরণ করা হয়। এ সময় আয়োজকদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন নির্মাতা ও প্রযোজক রাসেল আজম, ইমাম হোসেন ইমন, মাহমুদ হাসান রানা, মুনিরুজ্জামান লিপন, সোহেল হাসান, মোহন আহমেদ, মাইদুল রাকিবসহ বিভিন্ন নির্মাতা ও প্রযোজকেরা।
উল্লেখ্য, বর্তমানে সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়া রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। একই হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিলেন ইনকিলাব মঞ্চের আহ্বায়ক শরিফ ওসমান বিন হাদি। উন্নত চিকিৎসার জন্য তাঁকে আজ সিঙ্গাপুরে নেওয়া হয়েছে।

সিরাজগঞ্জের কামারখন্দে সুদ কারবারির অত্যাচারে নিঃস্ব হচ্ছেন অসহায় মানুষ। সুদের টাকা দিতে ব্যর্থ হলে করা হয় মারধর। সুদসহ আসল টাকা ফেরত দেওয়ার পরেও টাকা দাবি করছেন ওই এলাকার হীরাসহ তাঁর চার সহযোগী। এমনকি টাকা না পেয়ে বাড়ি ছাড়ার করার মতো অভিযোগ উঠেছে তাঁদের বিরুদ্ধে। উপজেলার রায়দৌলতপুর ইউনিয়নের রসুলপুর
০৩ এপ্রিল ২০২৩
সুনির্দিষ্ট অভিযোগ ছাড়াই সাংবাদিক আনিস আলমগীরকে ডিবি কার্যালয়ে ডেকে নিয়ে আটকে রেখে পরদিন সন্ত্রাসবিরোধী আইনে মামলা দায়ের ও গ্রেপ্তার দেখানোর ঘটনায় তীব্র নিন্দা জানিয়েছে সম্পাদক পরিষদ। বিবৃতিতে সংগঠনটি বলেছে, এ ধরনের আচরণ অতীত স্বৈরাচারী শাসনামলে সাংবাদিকদের প্রতি রাষ্ট্রীয় দমন-পীড়নের স্মৃতি উসকে দেয়
১৮ মিনিট আগে
মাদারীপুরের আড়িয়াল খাঁ নদ থেকে হনুফা বেগম (৪০) নামের এক নারীর লাশ উদ্ধার করেছে নৌ পুলিশ। আজ সোমবার (১৫ ডিসেম্বর) বিকেলে মাদারীপুর সদর উপজেলার পাঁচখোলা ইউনিয়নের বাবনাতলা এলাকা থেকে লাশটি উদ্ধার করা হয়।
২৫ মিনিট আগে
ট্রান্সফরমারের জরুরি মেরামত ও সংরক্ষণকাজের জন্য আগামী বুধবার সিলেটের বিভিন্ন এলাকায় ১০ ঘণ্টা বিদ্যুৎ থাকবে না। এ দিন সকাল ৭টা থেকে বিকেল ৫টা পর্যন্ত এই বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ থাকবে।
২৬ মিনিট আগেসম্পাদক পরিষদের নিন্দা
নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

সুনির্দিষ্ট অভিযোগ ছাড়াই সাংবাদিক আনিস আলমগীরকে ডিবি কার্যালয়ে ডেকে নিয়ে আটকে রেখে পরদিন সন্ত্রাসবিরোধী আইনে মামলা দায়ের ও গ্রেপ্তার দেখানোর ঘটনায় তীব্র নিন্দা জানিয়েছে সম্পাদক পরিষদ। বিবৃতিতে সংবাদপত্রের সম্পাদকদের এই সংগঠন বলেছে, এ ধরনের আচরণ অতীতের স্বৈরাচারী শাসনামলে সাংবাদিকদের প্রতি রাষ্ট্রীয় দমন-পীড়নের স্মৃতি উসকে দেয়।
আজ সোমবার (১৫ ডিসেম্বর) সম্পাদক পরিষদের সভাপতি নূরুল কবীর ও সাধারণ সম্পাদক দেওয়ান হানিফ মাহমুদ এক বিবৃতিতে এ নিন্দা জানান।
সম্পাদক পরিষদের বিবৃতিতে বলা হয়, ১৪ ডিসেম্বর কোনো সুনির্দিষ্ট অভিযোগ ছাড়াই সাংবাদিক আনিস আলমগীরকে ডিবি কার্যালয়ে ডেকে নেওয়া হয়। তাঁকে সেখানে আটকে রেখে পরদিন তাঁর বিরুদ্ধে সন্ত্রাসবিরোধী আইনে মামলা করা হয় এবং গ্রেপ্তার দেখানো হয়। এ ধরনের আচরণ অতীতের স্বৈরাচারী শাসনামলে সাংবাদিকদের প্রতি রাষ্ট্রীয় দমন-পীড়নের স্মৃতি উসকে দেয়। এ ধরনের চর্চা তারা অতীতে আওয়ামী লীগ সরকারের সময়েও দেখেছে। সেই সময় সাংবাদিকদের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা, হয়রানি ও নির্বিচার গ্রেপ্তার ছিল নিয়মিত ঘটনা। বর্তমান ঘটনাটি সেই দুঃখজনক বাস্তবতারই পুনরাবৃত্তি।
বিবৃতিতে আরও বলা হয়, সম্পাদক পরিষদ এ ঘটনার তীব্র নিন্দা জানাচ্ছে। একই সঙ্গে পরিষদ স্পষ্টভাবে বলতে চায়—কোনো সাংবাদিকের বিরুদ্ধে যদি সুনির্দিষ্ট অভিযোগ থাকে, তবে তা অবশ্যই প্রচলিত আইন ও ন্যায়বিচারসম্মত প্রক্রিয়ার মাধ্যমে নিষ্পত্তি করতে হবে। অভিযোগ ছাড়াই ডিবি কার্যালয়ে ডেকে নেওয়া, সেখানে আটকে রাখা কিংবা পরে সন্ত্রাসবিরোধী আইনে মামলা দিয়ে গ্রেপ্তার দেখানো কোনোভাবেই গ্রহণযোগ্য নয়।
বিবৃতিতে সম্পাদক পরিষদ আরও বলেছে, ২০২৪ সালের ৫ আগস্ট গণ-অভ্যুত্থানের মধ্য দিয়ে শেখ হাসিনার পতনের পর থেকে বহু সাংবাদিকের বিরুদ্ধে মিথ্যা হত্যা মামলা করা হয়েছে এবং অনেকেই এখনো কারাগারে রয়েছেন। এ বিষয়ে এর আগেও সম্পাদক পরিষদ তাদের অবস্থান স্পষ্ট করে বলেছে সাংবাদিকদের বিরুদ্ধে দায়ের করা মিথ্যা হত্যা মামলা প্রত্যাহারের কথা। সরকারের পক্ষ থেকে আইন উপদেষ্টা এসব মিথ্যা মামলা ও হয়রানির বিরুদ্ধে পদক্ষেপ নেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিলেও এখনো মামলাগুলো প্রত্যাহার করা হয়নি। এ ধরনের আচরণ অতীতের স্বৈরাচারী শাসনামলের সাংবাদিক নিপীড়নের স্মৃতিই মনে করিয়ে দেয়।
বিবৃতিতে বলা হয়, সম্পাদক পরিষদ এ ধরনের আচরণের তীব্র নিন্দা জানাচ্ছে এবং সব ভিত্তিহীন মামলা প্রত্যাহারের দাবি জানাচ্ছে।
এর আগে, গতকাল রোববার রাত ৮টার দিকে ধানমন্ডির একটি জিম থেকে আনিস আলমগীরকে ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) গোয়েন্দা বিভাগের (ডিবি) একটি দল তুলে নিয়ে যায়। পরে তাঁকে ডিবি কার্যালয়ে নেওয়া হয়।
সন্ত্রাসবিরোধী আইনে করা একটি মামলায় আজ সাংবাদিক আনিস আলমগীরকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। পরে জানা যায়, ‘জুলাই রেভল্যুশনারি অ্যালায়েন্স’ নামের একটি সংগঠনের কেন্দ্রীয় সংগঠক আরিয়ান আহমেদ গতকাল রাতে রাজধানীর উত্তরা পশ্চিম থানায় এ মামলা করেন। মামলায় সাংবাদিক আনিস আলমগীর, অভিনেত্রী মেহের আফরোজ শাওনসহ চারজনকে আসামি করা হয়েছে।

সুনির্দিষ্ট অভিযোগ ছাড়াই সাংবাদিক আনিস আলমগীরকে ডিবি কার্যালয়ে ডেকে নিয়ে আটকে রেখে পরদিন সন্ত্রাসবিরোধী আইনে মামলা দায়ের ও গ্রেপ্তার দেখানোর ঘটনায় তীব্র নিন্দা জানিয়েছে সম্পাদক পরিষদ। বিবৃতিতে সংবাদপত্রের সম্পাদকদের এই সংগঠন বলেছে, এ ধরনের আচরণ অতীতের স্বৈরাচারী শাসনামলে সাংবাদিকদের প্রতি রাষ্ট্রীয় দমন-পীড়নের স্মৃতি উসকে দেয়।
আজ সোমবার (১৫ ডিসেম্বর) সম্পাদক পরিষদের সভাপতি নূরুল কবীর ও সাধারণ সম্পাদক দেওয়ান হানিফ মাহমুদ এক বিবৃতিতে এ নিন্দা জানান।
সম্পাদক পরিষদের বিবৃতিতে বলা হয়, ১৪ ডিসেম্বর কোনো সুনির্দিষ্ট অভিযোগ ছাড়াই সাংবাদিক আনিস আলমগীরকে ডিবি কার্যালয়ে ডেকে নেওয়া হয়। তাঁকে সেখানে আটকে রেখে পরদিন তাঁর বিরুদ্ধে সন্ত্রাসবিরোধী আইনে মামলা করা হয় এবং গ্রেপ্তার দেখানো হয়। এ ধরনের আচরণ অতীতের স্বৈরাচারী শাসনামলে সাংবাদিকদের প্রতি রাষ্ট্রীয় দমন-পীড়নের স্মৃতি উসকে দেয়। এ ধরনের চর্চা তারা অতীতে আওয়ামী লীগ সরকারের সময়েও দেখেছে। সেই সময় সাংবাদিকদের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা, হয়রানি ও নির্বিচার গ্রেপ্তার ছিল নিয়মিত ঘটনা। বর্তমান ঘটনাটি সেই দুঃখজনক বাস্তবতারই পুনরাবৃত্তি।
বিবৃতিতে আরও বলা হয়, সম্পাদক পরিষদ এ ঘটনার তীব্র নিন্দা জানাচ্ছে। একই সঙ্গে পরিষদ স্পষ্টভাবে বলতে চায়—কোনো সাংবাদিকের বিরুদ্ধে যদি সুনির্দিষ্ট অভিযোগ থাকে, তবে তা অবশ্যই প্রচলিত আইন ও ন্যায়বিচারসম্মত প্রক্রিয়ার মাধ্যমে নিষ্পত্তি করতে হবে। অভিযোগ ছাড়াই ডিবি কার্যালয়ে ডেকে নেওয়া, সেখানে আটকে রাখা কিংবা পরে সন্ত্রাসবিরোধী আইনে মামলা দিয়ে গ্রেপ্তার দেখানো কোনোভাবেই গ্রহণযোগ্য নয়।
বিবৃতিতে সম্পাদক পরিষদ আরও বলেছে, ২০২৪ সালের ৫ আগস্ট গণ-অভ্যুত্থানের মধ্য দিয়ে শেখ হাসিনার পতনের পর থেকে বহু সাংবাদিকের বিরুদ্ধে মিথ্যা হত্যা মামলা করা হয়েছে এবং অনেকেই এখনো কারাগারে রয়েছেন। এ বিষয়ে এর আগেও সম্পাদক পরিষদ তাদের অবস্থান স্পষ্ট করে বলেছে সাংবাদিকদের বিরুদ্ধে দায়ের করা মিথ্যা হত্যা মামলা প্রত্যাহারের কথা। সরকারের পক্ষ থেকে আইন উপদেষ্টা এসব মিথ্যা মামলা ও হয়রানির বিরুদ্ধে পদক্ষেপ নেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিলেও এখনো মামলাগুলো প্রত্যাহার করা হয়নি। এ ধরনের আচরণ অতীতের স্বৈরাচারী শাসনামলের সাংবাদিক নিপীড়নের স্মৃতিই মনে করিয়ে দেয়।
বিবৃতিতে বলা হয়, সম্পাদক পরিষদ এ ধরনের আচরণের তীব্র নিন্দা জানাচ্ছে এবং সব ভিত্তিহীন মামলা প্রত্যাহারের দাবি জানাচ্ছে।
এর আগে, গতকাল রোববার রাত ৮টার দিকে ধানমন্ডির একটি জিম থেকে আনিস আলমগীরকে ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) গোয়েন্দা বিভাগের (ডিবি) একটি দল তুলে নিয়ে যায়। পরে তাঁকে ডিবি কার্যালয়ে নেওয়া হয়।
সন্ত্রাসবিরোধী আইনে করা একটি মামলায় আজ সাংবাদিক আনিস আলমগীরকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। পরে জানা যায়, ‘জুলাই রেভল্যুশনারি অ্যালায়েন্স’ নামের একটি সংগঠনের কেন্দ্রীয় সংগঠক আরিয়ান আহমেদ গতকাল রাতে রাজধানীর উত্তরা পশ্চিম থানায় এ মামলা করেন। মামলায় সাংবাদিক আনিস আলমগীর, অভিনেত্রী মেহের আফরোজ শাওনসহ চারজনকে আসামি করা হয়েছে।

সিরাজগঞ্জের কামারখন্দে সুদ কারবারির অত্যাচারে নিঃস্ব হচ্ছেন অসহায় মানুষ। সুদের টাকা দিতে ব্যর্থ হলে করা হয় মারধর। সুদসহ আসল টাকা ফেরত দেওয়ার পরেও টাকা দাবি করছেন ওই এলাকার হীরাসহ তাঁর চার সহযোগী। এমনকি টাকা না পেয়ে বাড়ি ছাড়ার করার মতো অভিযোগ উঠেছে তাঁদের বিরুদ্ধে। উপজেলার রায়দৌলতপুর ইউনিয়নের রসুলপুর
০৩ এপ্রিল ২০২৩
শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবসে একাত্তরের শহীদ বুদ্ধিজীবীদের আত্মার মাগফিরাত কামনা ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়ার আশু সুস্থতা কামনায় বিশেষ দোয়া ও মোনাজাত করেছে এতিম শিশুরা।
৬ মিনিট আগে
মাদারীপুরের আড়িয়াল খাঁ নদ থেকে হনুফা বেগম (৪০) নামের এক নারীর লাশ উদ্ধার করেছে নৌ পুলিশ। আজ সোমবার (১৫ ডিসেম্বর) বিকেলে মাদারীপুর সদর উপজেলার পাঁচখোলা ইউনিয়নের বাবনাতলা এলাকা থেকে লাশটি উদ্ধার করা হয়।
২৫ মিনিট আগে
ট্রান্সফরমারের জরুরি মেরামত ও সংরক্ষণকাজের জন্য আগামী বুধবার সিলেটের বিভিন্ন এলাকায় ১০ ঘণ্টা বিদ্যুৎ থাকবে না। এ দিন সকাল ৭টা থেকে বিকেল ৫টা পর্যন্ত এই বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ থাকবে।
২৬ মিনিট আগেমাদারীপুর, প্রতিনিধি

মাদারীপুরের আড়িয়াল খাঁ নদ থেকে হনুফা বেগম (৪০) নামের এক নারীর লাশ উদ্ধার করেছে নৌ পুলিশ। আজ সোমবার (১৫ ডিসেম্বর) বিকেলে মাদারীপুর সদর উপজেলার পাঁচখোলা ইউনিয়নের বাবনাতলা এলাকা থেকে লাশটি উদ্ধার করা হয়।
মৃত হনুফা বেগম মাদারীপুরের সদর উপজেলার পূর্ব রাস্তি এলাকার আহমেদ ব্যাপারীর মেয়ে এবং একই এলাকার আনোয়ার ব্যাপারীর স্ত্রী।
পুলিশ, পারিবারিক ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, আজ বিকেলে আড়িয়াল খাঁ নদে এক নারীর লাশ ভাসতে দেখেন স্থানীয় বাসিন্দারা। খবর পেয়ে নৌ পুলিশের একটি দল ঘটনাস্থলে গিয়ে লাশটি উদ্ধার করে। পরে পরিবারের সদস্যরা এটি হনুফা বেগমের লাশ হিসেবে নিশ্চিত করেন। এর আগে সকালে হনুফা বেগম বাড়ি থেকে বের হয়েছিলেন। এরপর খোঁজাখুঁজি করেও তাঁর সন্ধান পাওয়া যায়নি।
শিবচর কলাতলা নৌ পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ সাইদুল ইসলাম বলেন, লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য মাদারীপুর ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট জেলা হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। মৃতের পরিবার থেকে কোনো অভিযোগ পেলে তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

মাদারীপুরের আড়িয়াল খাঁ নদ থেকে হনুফা বেগম (৪০) নামের এক নারীর লাশ উদ্ধার করেছে নৌ পুলিশ। আজ সোমবার (১৫ ডিসেম্বর) বিকেলে মাদারীপুর সদর উপজেলার পাঁচখোলা ইউনিয়নের বাবনাতলা এলাকা থেকে লাশটি উদ্ধার করা হয়।
মৃত হনুফা বেগম মাদারীপুরের সদর উপজেলার পূর্ব রাস্তি এলাকার আহমেদ ব্যাপারীর মেয়ে এবং একই এলাকার আনোয়ার ব্যাপারীর স্ত্রী।
পুলিশ, পারিবারিক ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, আজ বিকেলে আড়িয়াল খাঁ নদে এক নারীর লাশ ভাসতে দেখেন স্থানীয় বাসিন্দারা। খবর পেয়ে নৌ পুলিশের একটি দল ঘটনাস্থলে গিয়ে লাশটি উদ্ধার করে। পরে পরিবারের সদস্যরা এটি হনুফা বেগমের লাশ হিসেবে নিশ্চিত করেন। এর আগে সকালে হনুফা বেগম বাড়ি থেকে বের হয়েছিলেন। এরপর খোঁজাখুঁজি করেও তাঁর সন্ধান পাওয়া যায়নি।
শিবচর কলাতলা নৌ পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ সাইদুল ইসলাম বলেন, লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য মাদারীপুর ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট জেলা হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। মৃতের পরিবার থেকে কোনো অভিযোগ পেলে তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

সিরাজগঞ্জের কামারখন্দে সুদ কারবারির অত্যাচারে নিঃস্ব হচ্ছেন অসহায় মানুষ। সুদের টাকা দিতে ব্যর্থ হলে করা হয় মারধর। সুদসহ আসল টাকা ফেরত দেওয়ার পরেও টাকা দাবি করছেন ওই এলাকার হীরাসহ তাঁর চার সহযোগী। এমনকি টাকা না পেয়ে বাড়ি ছাড়ার করার মতো অভিযোগ উঠেছে তাঁদের বিরুদ্ধে। উপজেলার রায়দৌলতপুর ইউনিয়নের রসুলপুর
০৩ এপ্রিল ২০২৩
শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবসে একাত্তরের শহীদ বুদ্ধিজীবীদের আত্মার মাগফিরাত কামনা ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়ার আশু সুস্থতা কামনায় বিশেষ দোয়া ও মোনাজাত করেছে এতিম শিশুরা।
৬ মিনিট আগে
সুনির্দিষ্ট অভিযোগ ছাড়াই সাংবাদিক আনিস আলমগীরকে ডিবি কার্যালয়ে ডেকে নিয়ে আটকে রেখে পরদিন সন্ত্রাসবিরোধী আইনে মামলা দায়ের ও গ্রেপ্তার দেখানোর ঘটনায় তীব্র নিন্দা জানিয়েছে সম্পাদক পরিষদ। বিবৃতিতে সংগঠনটি বলেছে, এ ধরনের আচরণ অতীত স্বৈরাচারী শাসনামলে সাংবাদিকদের প্রতি রাষ্ট্রীয় দমন-পীড়নের স্মৃতি উসকে দেয়
১৮ মিনিট আগে
ট্রান্সফরমারের জরুরি মেরামত ও সংরক্ষণকাজের জন্য আগামী বুধবার সিলেটের বিভিন্ন এলাকায় ১০ ঘণ্টা বিদ্যুৎ থাকবে না। এ দিন সকাল ৭টা থেকে বিকেল ৫টা পর্যন্ত এই বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ থাকবে।
২৬ মিনিট আগেসিলেট প্রতিনিধি

ট্রান্সফরমারের জরুরি মেরামত ও সংরক্ষণকাজের জন্য আগামী বুধবার সিলেটের বিভিন্ন এলাকায় ১০ ঘণ্টা বিদ্যুৎ থাকবে না। এ দিন সকাল ৭টা থেকে বিকেল ৫টা পর্যন্ত এই বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ থাকবে।
আজ সোমবার গণমাধ্যমে পাঠানো বিজ্ঞপ্তিতে বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ড সিলেটের বিক্রয় ও বিতরণ বিভাগ-২-এর নির্বাহী প্রকৌশলী মো. আবদুর রাজ্জাক এ তথ্য জানান।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ১১ কেভি মুক্তিরচক ফিডারের কুশিঘাট, সোনাপুর, নয়াবস্তি, মীরেরচক, শাহপরান হাউজিং, মুক্তিরচক, মুরাদপুর, পীরেরচক, আমদরপুর ও আশপাশ এলাকায় আগামী বুধবার ১০ ঘণ্টা বিদ্যুৎ থাকবে না। নির্ধারিত সময়ের মধ্যে কাজ শেষ হয়ে গেলে বিদ্যুৎ সরবরাহ করা হবে এবং গ্রাহকদের সাময়িক অসুবিধার জন্য দুঃখ প্রকাশ করেছে কর্তৃপক্ষ।

ট্রান্সফরমারের জরুরি মেরামত ও সংরক্ষণকাজের জন্য আগামী বুধবার সিলেটের বিভিন্ন এলাকায় ১০ ঘণ্টা বিদ্যুৎ থাকবে না। এ দিন সকাল ৭টা থেকে বিকেল ৫টা পর্যন্ত এই বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ থাকবে।
আজ সোমবার গণমাধ্যমে পাঠানো বিজ্ঞপ্তিতে বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ড সিলেটের বিক্রয় ও বিতরণ বিভাগ-২-এর নির্বাহী প্রকৌশলী মো. আবদুর রাজ্জাক এ তথ্য জানান।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ১১ কেভি মুক্তিরচক ফিডারের কুশিঘাট, সোনাপুর, নয়াবস্তি, মীরেরচক, শাহপরান হাউজিং, মুক্তিরচক, মুরাদপুর, পীরেরচক, আমদরপুর ও আশপাশ এলাকায় আগামী বুধবার ১০ ঘণ্টা বিদ্যুৎ থাকবে না। নির্ধারিত সময়ের মধ্যে কাজ শেষ হয়ে গেলে বিদ্যুৎ সরবরাহ করা হবে এবং গ্রাহকদের সাময়িক অসুবিধার জন্য দুঃখ প্রকাশ করেছে কর্তৃপক্ষ।

সিরাজগঞ্জের কামারখন্দে সুদ কারবারির অত্যাচারে নিঃস্ব হচ্ছেন অসহায় মানুষ। সুদের টাকা দিতে ব্যর্থ হলে করা হয় মারধর। সুদসহ আসল টাকা ফেরত দেওয়ার পরেও টাকা দাবি করছেন ওই এলাকার হীরাসহ তাঁর চার সহযোগী। এমনকি টাকা না পেয়ে বাড়ি ছাড়ার করার মতো অভিযোগ উঠেছে তাঁদের বিরুদ্ধে। উপজেলার রায়দৌলতপুর ইউনিয়নের রসুলপুর
০৩ এপ্রিল ২০২৩
শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবসে একাত্তরের শহীদ বুদ্ধিজীবীদের আত্মার মাগফিরাত কামনা ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়ার আশু সুস্থতা কামনায় বিশেষ দোয়া ও মোনাজাত করেছে এতিম শিশুরা।
৬ মিনিট আগে
সুনির্দিষ্ট অভিযোগ ছাড়াই সাংবাদিক আনিস আলমগীরকে ডিবি কার্যালয়ে ডেকে নিয়ে আটকে রেখে পরদিন সন্ত্রাসবিরোধী আইনে মামলা দায়ের ও গ্রেপ্তার দেখানোর ঘটনায় তীব্র নিন্দা জানিয়েছে সম্পাদক পরিষদ। বিবৃতিতে সংগঠনটি বলেছে, এ ধরনের আচরণ অতীত স্বৈরাচারী শাসনামলে সাংবাদিকদের প্রতি রাষ্ট্রীয় দমন-পীড়নের স্মৃতি উসকে দেয়
১৮ মিনিট আগে
মাদারীপুরের আড়িয়াল খাঁ নদ থেকে হনুফা বেগম (৪০) নামের এক নারীর লাশ উদ্ধার করেছে নৌ পুলিশ। আজ সোমবার (১৫ ডিসেম্বর) বিকেলে মাদারীপুর সদর উপজেলার পাঁচখোলা ইউনিয়নের বাবনাতলা এলাকা থেকে লাশটি উদ্ধার করা হয়।
২৫ মিনিট আগে