Ajker Patrika

যুবলীগের বর্ধিত সভাকে কেন্দ্র করে শরীয়তপুরে সংঘর্ষ, আহত ২৪

শরীয়তপুর প্রতিনিধি
আপডেট : ০৬ অক্টোবর ২০২১, ০০: ২৬
যুবলীগের বর্ধিত সভাকে কেন্দ্র করে শরীয়তপুরে সংঘর্ষ, আহত ২৪

জেলা যুবলীগের বর্ধিত সভাকে কেন্দ্র করে শরীয়তপুরে যুবলীগের পদ প্রত্যাশী দুই পক্ষের মধ্যে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া ও সংঘর্ষের ঘটনায় পথচারীসহ উভয় পক্ষের অন্তত ২৪ জন আহত হয়েছেন। সংঘর্ষ চলাকালে উভয় পক্ষের সমর্থকেরা অর্ধশতাধিক ককটেল বিস্ফোরণ করেন। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে ২৩ রাউন্ড ফাঁকা গুলি ছুড়েছে পুলিশ। বর্তমানে শহর জুড়ে থমথমে পরিস্থিতি বিরাজ করছে। পরবর্তী সহিংসতা এড়াতে শহরের গুরুত্বপূর্ণ সড়ক ও মোড়ে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। 

পুলিশ ও প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, জেলা যুবলীগের সম্মেলনকে কেন্দ্র করে আজ মঙ্গলবার জেলা সদরের জেলা আওয়ামী লীগ কার্যালয়ের সামনে বর্ধিত সভার আয়োজন করে যুবলীগ। বর্ধিত সভাকে কেন্দ্র করে সকাল থেকেই যুবলীগের পদ প্রত্যাশী একাধিক পক্ষ জেলা শহরের বিভিন্ন স্থানে অবস্থান নেয়। এ সময় নিজেদের শক্তি প্রদর্শন করতে শহরে শোডাউন করতে গেলে উভয় পক্ষের সমর্থকদের মধ্যে ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া ও সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। শোডাউনে উভয় পক্ষ দেশীয় অস্ত্র নিয়ে ঢাকা-শরীয়তপুর সড়কের মনোহরবাজার থেকে কোটাপাড়া পর্যন্ত প্রায় ৫ কিলোমিটার এলাকায় সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। জেলা শহরের কোটাপাড়া, বাসস্ট্যান্ড, হাসপাতাল মোড়, উত্তর বাজার ও মনোহরবাজার এলাকায় সংঘর্ষ ছড়িয়ে পড়ে। এ সময় উভয় পক্ষের সমর্থকেরা অর্ধশতাধিক ককটেলের বিস্ফোরণ ঘটায়। সকাল ৯টা থেকে দুপুর ১টা পর্যন্ত প্রায় ৪ ঘণ্টাব্যাপী থেমে থেমে চলমান সংঘর্ষ নিয়ন্ত্রণে আনতে ২৩ রাউন্ড ফাঁকা গুলি ছুড়ে পুলিশ। 

সংঘর্ষের ঘটনায় সরকারি শিশু পরিবারের দুই শিক্ষক চয়ন বিশ্বাস ও শামীম মিয়াকে মারধর এবং তাঁদের বহনকারী মোটরসাইকেল ভাঙচুরেরও অভিযোগ পাওয়া গেছে। তবে কোনো পক্ষের সমর্থকেরা এ হামলা চালিয়েছ তা নিশ্চিত করে বলতে পারেনি হামলার শিকার ওই দুই শিক্ষক। এ ছাড়া সংঘর্ষে উভয় পক্ষের আরও ২২ জন আহত হয়েছেন। আহতদের শরীয়তপুর সদর হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়েছে। অনেকে প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়ে বাড়ি ফিরে গেছেন। সংঘর্ষ চলাকালে জেলা শহরের পালং বাজারে সব ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ করে দেয় ব্যবসায়ীরা। শহরের প্রাণকেন্দ্রে অবস্থিত একাধিক শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে যাওয়া শিক্ষার্থীদের নিয়ে আতঙ্কিত হয়ে পড়েন ও যানবাহন চলাচল বন্ধ হয়ে যাওয়ায় শিক্ষার্থীদের নিয়ে পায়ে হেঁটে বাড়ি ফিরেছেন অভিভাবকেরা। এ সময় চরম ভোগান্তিতে পরে শহরের চলাচলকারী সাধারণ মানুষজন। 

জেলা যুবলীগ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, আধিপত্য বিস্তার ও গত সংসদ নির্বাচনকে কেন্দ্র করে শরীয়তপুরের আওয়ামী লীগের নেতা–কর্মীরা ২টি ভাগে বিভক্ত হয়ে পড়ে। একটি পক্ষের নেতৃত্বে আছেন শরীয়তপুর ০১ আসনের সাংসদ ও আওয়ামী লীগের কার্যনির্বাহী পরিষদের সদস্য ইকবাল হোসেন অপু ও অপরপক্ষের নেতৃত্বে রয়েছেন সাবেক সাংসদ ও আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক বিএম মোজাম্মেল হক। সবশেষ ২০০৫ সালে জেলা যুবলীগের কমিটি গঠন করা হয়েছিল। এরপর দীর্ঘ প্রায় ১৬ বছর পর জেলা যুবলীগের সম্মেলনকে কেন্দ্র করে বর্ধিত সভার আয়োজন করে জেলা যুবলীগ। আজ সকালে জেলা যুবলীগের সভাপতি পদপ্রত্যাশী বর্তমান সাংসদ ইকবাল হোসেন অপু সমর্থিত শরীয়তপুর পৌরসভার ৩ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর বাচ্চু ব্যাপারী, সদর উপজেলা যুবলীগ সভাপতি বিল্লাল হোসেন দিপু মিয়া ও সাবেক সাংসদ বিএম মোজাম্মেল হক সমর্থিত পৌরসভার বর্তমান মেয়র পারভেজ রহমান, জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক সিদ্দিকুর রহমানের সমর্থকদের মধ্যে এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। মেয়র পারভেজ রহমান ও ছিদ্দিকুর রহমান সমর্থকেরা বর্ধিত সভায় যোগ দিতে আসতে চাইলে বাধা দেয় কাউন্সিলর বাচ্চু ব্যাপারী ও বিল্লাল হোসেন দিপু মিয়ার সমর্থকেরা। এ নিয়েই দফায় দফায় ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া ও সংঘর্ষের সূত্রপাত হয়। 

পরিস্থিতি উত্তপ্ত থাকায় সকাল ১০টায় নির্ধারিত সময়ে বর্ধিত সভা শুরু করা যায়নি। পরবর্তীতে বিপুল পরিমাণ পুলিশ ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের উপস্থিতিতে বেলা ১২টার দিকে কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দের অংশগ্রহণে বর্ধিত সভা অনুষ্ঠিত হয়। অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন, যুবলীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য খালেদ শওকত আলী, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক সুব্রত পাল, সাংগঠনিক সম্পাদক হেলাল উদ্দিনসহ কেন্দ্রীয় ও স্থানীয় নেতৃবৃন্দ। 

শরীয়তপুর পৌরসভার ৩ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর বুচ্চু ব্যাপারী আজকের পত্রিকাকে বলেন, বর্ধিত সভাকে কেন্দ্র করে আগে থেকেই প্রশাসনের পক্ষ থেকে শহরে মিছিল, শোভাযাত্রা, জনসমাগম নিষিদ্ধ করা হয়েছে। আমার সমর্থকেরা শান্তিপূর্ণভাবে শহরের বিভিন্ন স্থানে অবস্থান করছিল। পরিস্থিতি ঘোলাটে করতে প্রতিপক্ষের সমর্থকেরা মিছিল বের করে এবং আপত্তিকর স্লোগান দিতে থাকলে আমার সমর্থকেরা প্রতিবাদ করে। এ সময় প্রতিপক্ষের সমর্থকদের ছোরা বোমার আঘাতে আমার ১০ নেতা-কর্মী আহত হয়েছেন। 
 
শরীয়তপুরে যুবলীগের পদ প্রত্যাশী দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষে পথচারীসহ উভয় পক্ষের ২৪ জন আহত হয়েছেনশরীয়তপুর পৌরসভার মেয়র পারভেজ রহমান আজকের পত্রিকাকে বলেন, যুবলীগের কমিটিকে কেন্দ্র করে আয়োজিত বর্ধিত সভায় আমার নেতা-কর্মী ও সমর্থকদের আসতে দেওয়া হয়নি। সভাস্থলে আসতে না পেরে আমার সমর্থকেরা শহরের কিছু এলাকায় বিচ্ছিন্নভাবে অবস্থান করছিল। এ সময় বিনা উসকানিতে বাচ্চু ব্যাপারীর সমর্থকেরা আমার সমর্থকদের ওপর অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে হামলা করেন। তাদের ধারালো অস্ত্র ও বোমার আঘাতে আমার ১২ নেতা-কর্মী আহত হয়েছেন। 

যুবলীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক হেলাল উদ্দিন জানান, বর্ধিত সভা সুশৃঙ্খলভাবে অনুষ্ঠিত হয়েছে। সভাস্থলে কোনো ধরনের বিশৃঙ্খলা হয়নি। সভাস্থলের বাইরে যারা বিশৃঙ্খলা করেছে তারা যুবলীগের কেউ না। বিশৃঙ্খলাকারীদের যুবলীগের মতো একটি সুশৃঙ্খল ও ঐতিহ্যবাহী দলে কোন স্থান নেই। 

শরীয়তপুরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (নড়িয়া সার্কেল) মিজানুর রহমান বলেন, বর্ধিত সভাকে কেন্দ্র করে দুটি পক্ষ শোডাউন ও জনসমাগমের চেষ্টা করে। পুলিশের পক্ষ থেকে সভাস্থলের নিরাপত্তা নিশ্চিত করার পাশাপাশি  শহরের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা হয়েছে। উভয় পক্ষের সমর্থকদের মধ্যে বিচ্ছিন্নভাবে ধাওয়া পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটেছে। এতে উভয় পক্ষই বেশ কিছু ককটেলের বিস্ফোরণ ঘটায়। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে পুলিশ ২৩ রাউন্ড ফাঁকা গুলি করেছে। বিভিন্ন স্থান থেকে ভিডিও ফুটেজ ও ছবি সংগ্রহ করে আইন অমান্যকারীদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে। এখনো কোন পক্ষ মামলার আবেদন করেননি। নতুন করে বিশৃঙ্খলতা এড়াতে শহরের গুরুত্বপূর্ণ স্থানে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। 

 

 

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

টিভির ব্রেকিং নিউজে এনসিপির প্রার্থী তালিকা নিয়ে যা বললেন তাজনুভা জাবীন

জন্মস্থানে প্রথমবার ভোটের লড়াইয়ে নামছেন খালেদা জিয়া

দলে দলে নিউজিল্যান্ড ছাড়ছে মানুষ, কিন্তু অস্ট্রেলিয়ায় কেন যাচ্ছে

কার্গো ভিলেজে আগুন: বিমানবন্দরের ভল্ট ভেঙে চুরি হলো ৭ আগ্নেয়াস্ত্র

৭-৮ নভেম্বর প্রার্থীদের নাম ঘোষণা করতে পারে এনসিপি

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

মারধরের ঘটনায় জাবি শিক্ষার্থীদের ৫ দাবি মেনে নিল সেনাবাহিনী

জাবি প্রতিনিধি 
সমস্যা সমাধানে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের সঙ্গে বসেন সেনাবাহিনীর ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা। ছবি: আজকের পত্রিকা
সমস্যা সমাধানে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের সঙ্গে বসেন সেনাবাহিনীর ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা। ছবি: আজকের পত্রিকা

সেনাবাহিনী কর্তৃক জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের (জাবি) এক শিক্ষার্থীকে মারধরের ঘটনায় শিক্ষার্থীদের পক্ষ থেকে জানানো পাঁচ দফা দাবি মেনে নিয়েছেন সাভার অঞ্চলে দায়িত্বরত সেনাবাহিনীর ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা। ভুক্তভোগী শিক্ষার্থীর নাম ইমদাদুল হক ইমন। তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ের মাইক্রোবায়োলজি বিভাগের ৫০তম (২০২০-২১ শিক্ষাবর্ষ) ব্যাচের শিক্ষার্থী এবং শাখা ছাত্রদলের আহ্বায়ক কমিটির সদস্য।

জানা গেছে, গতকাল সোমবার বিকেলে টিউশনি শেষে বাইকে করে ক্যাম্পাসে ফিরছিলেন ইমন। এ সময় তাঁর হেলমেট না থাকায় সাভারের পাকিজা এলাকায় সেনাসদস্যরা তাঁকে আটকান। এ সময় তাঁর সঙ্গে গাড়ির কাগজপত্র ছিল না। এতে তাঁকে প্রায় ২ ঘণ্টা আটকে রাখা হয়। তিনি জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী এবং তাঁর এক ভাই সেনাবাহিনীতে কর্মরত আছেন বলে জানান সেনাসদস্যদের। একপর্যায়ে সেনাবাহিনীর সদস্যরা তাঁকে মারধর করেন এবং তাঁদের পা ধরে মাফ চাইতে বাধ্য করেন।

এই ঘটনার জেরে সোমবার রাত পৌনে ১০টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা প্রধান ফটকের সামনে ঢাকা-আরিচা মহাসড়কে অবস্থান নিয়ে অবরোধ করেন। এতে সড়কের উভয় পাশে যানজটের সৃষ্টি হয়। প্রায় আধা ঘণ্টা অবরোধ চলার পর সাভার অঞ্চলের দায়িত্বপ্রাপ্ত সেনাবাহিনীর ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা ক্যাম্পাসে এসে সমস্যার সমাধান করতে চাইলে অবরোধ তুলে নেন শিক্ষার্থীরা।

রাত পৌনে ১১টার দিকে সেই সেনা কর্মকর্তাসহ সাভার অঞ্চলের দায়িত্বপ্রাপ্ত ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা ক্যাম্পাসে এসে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসন ও জাকসুর মধ্যস্থতায় বিশ্ববিদ্যালয়ের সিনেট ভবনে শিক্ষার্থীদের সঙ্গে আলোচনায় বসেন। এ সময় তাঁরা সেনাবাহিনীর সদস্য কর্তৃক সংঘটিত অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনার জন্য দুঃখ প্রকাশ করেন।

আলোচনা শেষে ভুক্তভোগী ইমনের পক্ষ থেকে পাঁচটি দাবি উত্থাপন করেন জাকসুর ভিপি আব্দুর রশিদ জিতু। দাবিগুলো হলো—অভিযুক্ত মেজর এহসান ও ওয়ারেন্ট অফিসার আলীকে ক্ষমা চাইতে হবে; ভুক্তভোগী ইমনের সম্পূর্ণ চিকিৎসার দায়ভার সেনাবাহিনীকে গ্রহণ করতে হবে; ভবিষ্যতে এই ঘটনার জের ধরে ইমন বা তাঁর পরিবার যেন কোনো ধরনের হয়রানির শিকার না হয়, তার নিশ্চয়তা দিতে হবে; দেশের কোনো সাধারণ নাগরিক যেন সেনাবাহিনীর দ্বারা এমন আচরণের শিকার না হন, তার নিশ্চয়তা দিতে হবে; ঘটনায় জড়িতদের বিরুদ্ধে ‘কোর্ট অব ইনকোয়ারি’ গঠন করে অভিযুক্ত ব্যক্তিদের বিচার করতে হবে।

আলোচনায় উপস্থিত সেনাবাহিনীর সাভার স্টেশন কমান্ডার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল ইনতেখাব হায়দার খান শিক্ষার্থীদের পাঁচ দাবি মেনে নেন এবং তার অগ্রগতি সম্পর্কে বিশ্ববিদ্যালয়কে অবহিত করবেন বলে জানান। পাঁচ দফা দাবির পরিপ্রেক্ষিতে অভিযুক্ত দুই সেনা কর্মকর্তা মেজর এহসান ও ওয়ারেন্ট অফিসার আলী তাৎক্ষণিক তাঁদের ভুলের জন্য ক্ষমা চান।

সার্বিক বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক এ কে এম রাশিদুল আলম বলেন, ‘আমাদের শিক্ষার্থীর সঙ্গে যা ঘটেছে, সেটা অত্যন্ত দুঃখজনক ঘটনা। ঘটনাটি জানার সঙ্গে সঙ্গে আমরা সাভারে সেনাবাহিনীর দায়িত্বরত ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সঙ্গে যোগাযোগ করেছি এবং তাঁদেরকে ক্যাম্পাসে এসে সমস্যাটি সমাধানের অনুরোধ করেছি। এর পরিপ্রেক্ষিতে রাতে তাঁরা ক্যাম্পাসে আসেন এবং শিক্ষার্থীদের জানানো পাঁচটি দাবি মেনে নেওয়ার আশ্বাস দেন।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

টিভির ব্রেকিং নিউজে এনসিপির প্রার্থী তালিকা নিয়ে যা বললেন তাজনুভা জাবীন

জন্মস্থানে প্রথমবার ভোটের লড়াইয়ে নামছেন খালেদা জিয়া

দলে দলে নিউজিল্যান্ড ছাড়ছে মানুষ, কিন্তু অস্ট্রেলিয়ায় কেন যাচ্ছে

কার্গো ভিলেজে আগুন: বিমানবন্দরের ভল্ট ভেঙে চুরি হলো ৭ আগ্নেয়াস্ত্র

৭-৮ নভেম্বর প্রার্থীদের নাম ঘোষণা করতে পারে এনসিপি

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

বগুড়ায় বাড়ি থেকে ডেকে নিয়ে কুপিয়ে হত্যা

বগুড়া প্রতিনিধি
ধানখেত থেকে লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। ছবি: সংগৃহীত
ধানখেত থেকে লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। ছবি: সংগৃহীত

বগুড়ায় বাড়ি থেকে ডেকে নিয়ে জহুরুল ইসলাম (৪৫) নামের এক ব্যক্তিকে কুপিয়ে হত্যা করেছে দুর্বৃত্তরা। গতকাল সোমবার রাতে সদর উপজেলার হাজরাদীঘি গ্রামে এই ঘটনা ঘটে।

আজ মঙ্গলবার সকালে পুলিশ গ্রামের একটি ধানখেত থেকে তাঁর লাশ উদ্ধার করে। নিহত জহুরুল ইসলাম ওই এলাকার শ্বশুরবাড়িতে দীর্ঘদিন ধরে বসবাস করছিলেন। তিনি পেশায় বেকারি সামগ্রী পরিবহনের ভ্যান চালাতেন। বগুড়া সদর সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মোস্তফা মঞ্জুর বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, সোমবার রাত ১১টার দিকে কে বা কারা ফোন করে জহুরুলকে বাড়ি থেকে ডেকে নেয়। এরপর তিনি আর বাড়ি ফেরেননি। পরদিন ভোরে স্থানীয় বাসিন্দারা ধানখেতে তাঁর লাশ পড়ে থাকতে দেখে পুলিশে খবর দেন।

খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে লাশ উদ্ধার করে বগুড়ার শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজের মর্গে পাঠায়।

এ বিষয়ে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মোস্তফা মঞ্জুর বলেন, নিহত ব্যক্তির মাথায় ধারালো অস্ত্রের একাধিক আঘাতের চিহ্ন পাওয়া গেছে। প্রাথমিকভাবে হত্যার কারণ জানা যায়নি। ঘটনাটির সঙ্গে জড়িত ব্যক্তিদের শনাক্ত ও গ্রেপ্তারের জন্য পুলিশ কাজ করছে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

টিভির ব্রেকিং নিউজে এনসিপির প্রার্থী তালিকা নিয়ে যা বললেন তাজনুভা জাবীন

জন্মস্থানে প্রথমবার ভোটের লড়াইয়ে নামছেন খালেদা জিয়া

দলে দলে নিউজিল্যান্ড ছাড়ছে মানুষ, কিন্তু অস্ট্রেলিয়ায় কেন যাচ্ছে

কার্গো ভিলেজে আগুন: বিমানবন্দরের ভল্ট ভেঙে চুরি হলো ৭ আগ্নেয়াস্ত্র

৭-৮ নভেম্বর প্রার্থীদের নাম ঘোষণা করতে পারে এনসিপি

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

কক্সবাজার-৪ আসন: বিএনপির মনোনয়নবঞ্চিত সমর্থকদের প্রতীকী কলাগাছ রোপণ করে প্রতিবাদ

 টেকনাফ (কক্সবাজার) প্রতিনিধি
কক্সবাজারে মনোনয়ন না পাওয়ায় মোহাম্মদ আবদুল্লাহর সমর্থকেরা সড়ক অবরোধ ও কলাগাছ রোপণ করে প্রতীকী প্রতিবাদ করেন। ছবি: আজকের পত্রিকা
কক্সবাজারে মনোনয়ন না পাওয়ায় মোহাম্মদ আবদুল্লাহর সমর্থকেরা সড়ক অবরোধ ও কলাগাছ রোপণ করে প্রতীকী প্রতিবাদ করেন। ছবি: আজকের পত্রিকা

কক্সবাজার-৪ (উখিয়া-টেকনাফ) আসনে বিএনপির দলীয় মনোনয়ন না পাওয়ায় বিক্ষোভ করেছেন মোহাম্মদ আবদুল্লাহর সমর্থকেরা। টায়ার জ্বালিয়ে সড়ক অবরোধের পাশাপাশি প্রতীকী প্রতিবাদ হিসেবে তাঁরা সড়কের পাশে কলাগাছ রোপণ করেন।

গতকাল সোমবার বিএনপি ২৩৭টি আসনের সম্ভাব্য প্রার্থী তালিকা ঘোষণা করে। এতে কক্সবাজার-৪ আসনে মোহাম্মদ আবদুল্লাহর নাম না থাকায় তাঁর সমর্থকেরা ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া জানান। এরপর দিবাগত রাত ১টা থেকে ৪টা পর্যন্ত টেকনাফ পৌর শহরের বিভিন্ন স্থানে টায়ার জ্বালিয়ে সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করেন তাঁরা।

এ সময় বিক্ষোভকারীরা ‘অবৈধ মনোনয়ন মানি না, মানব না’—এমন স্লোগান দেন। টেকনাফের পুরাতন বাজার, হোয়াইক্যং মোড় ও বাসস্ট্যান্ড এলাকায় কয়েকটি স্থানে প্রতীকী প্রতিবাদ হিসেবে কলাগাছ রোপণ করেন তাঁরা।

কক্সবাজারে মনোনয়ন না পাওয়ায় মোহাম্মদ আবদুল্লাহর সমর্থকেরা সড়ক অবরোধ ও কলাগাছ রোপণ করে প্রতীকী প্রতিবাদ করেন। ছবি: আজকের পত্রিকা
কক্সবাজারে মনোনয়ন না পাওয়ায় মোহাম্মদ আবদুল্লাহর সমর্থকেরা সড়ক অবরোধ ও কলাগাছ রোপণ করে প্রতীকী প্রতিবাদ করেন। ছবি: আজকের পত্রিকা

অন্যদিকে মোহাম্মদ আবদুল্লাহর ছোট ভাই ও টেকনাফ সদর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান জিয়াউর রহমান জিহাদ সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে এক স্ট্যাটাসে নেতা-কর্মীদের শান্ত থাকার আহ্বান জানান। তিনি বলেন, ‘দলের সিদ্ধান্তই চূড়ান্ত। সবাইকে ধৈর্য ধরে দলের প্রতি আনুগত্য বজায় রাখতে হবে।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

টিভির ব্রেকিং নিউজে এনসিপির প্রার্থী তালিকা নিয়ে যা বললেন তাজনুভা জাবীন

জন্মস্থানে প্রথমবার ভোটের লড়াইয়ে নামছেন খালেদা জিয়া

দলে দলে নিউজিল্যান্ড ছাড়ছে মানুষ, কিন্তু অস্ট্রেলিয়ায় কেন যাচ্ছে

কার্গো ভিলেজে আগুন: বিমানবন্দরের ভল্ট ভেঙে চুরি হলো ৭ আগ্নেয়াস্ত্র

৭-৮ নভেম্বর প্রার্থীদের নাম ঘোষণা করতে পারে এনসিপি

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

গহিন পাহাড়ে অভিযানে দুই মানব পাচারকারী আটক, নারী-শিশুসহ ২৫ জন উদ্ধার

টেকনাফ (কক্সবাজার) প্রতিনিধি
কক্সবাজারের টেকনাফের গহিন পাহাড়ে অভিযান চালিয়ে নারী-শিশুসহ ২৫ জনকে উদ্ধার। ছবি: আজকের পত্রিকা
কক্সবাজারের টেকনাফের গহিন পাহাড়ে অভিযান চালিয়ে নারী-শিশুসহ ২৫ জনকে উদ্ধার। ছবি: আজকের পত্রিকা

কক্সবাজারের টেকনাফের গহিন পাহাড়ে অভিযান চালিয়ে নারী-শিশুসহ ২৫ ভুক্তভোগী ব্যক্তিকে উদ্ধার করেছে কোস্ট গার্ড ও নৌবাহিনী। এ সময় দুই মানব পাচারকারীকে আটক করা হয়। আজ মঙ্গলবার সকালে এই তথ্য নিশ্চিত করেন কোস্ট গার্ডের মিডিয়া কর্মকর্তা লেফটেন্যান্ট কমান্ডার সিয়াম-উল-হক।

সিয়াম-উল-হক জানান, গোয়েন্দা তথ্য ও আগে আটক করা পাচারকারীদের জিজ্ঞাসাবাদে জানা যায়, সাগরপথে মালয়েশিয়া পাঠানোর জন্য নারী-শিশুসহ বেশ কয়েকজনকে টেকনাফের বাহারছড়া ইউনিয়নের জুম্মাপাড়া-সংলগ্ন গহিন পাহাড়ি এলাকায় বন্দী করে রাখা হয়েছে।

ওই তথ্যের ভিত্তিতে সোমবার বেলা ২টা থেকে বিকেল ৫টা পর্যন্ত যৌথ অভিযান চালানো হয়। অভিযানে পাচারের উদ্দেশ্যে বন্দী থাকা নারী-শিশুসহ ২৫ জনকে উদ্ধার এবং দুই মানব পাচারকারীকে আটক করা হয়।

কক্সবাজারের টেকনাফের গহিন পাহাড়ে অভিযান চালিয়ে নারী-শিশুসহ ২৫ জনকে উদ্ধার। ছবি: আজকের পত্রিকা
কক্সবাজারের টেকনাফের গহিন পাহাড়ে অভিযান চালিয়ে নারী-শিশুসহ ২৫ জনকে উদ্ধার। ছবি: আজকের পত্রিকা

উদ্ধার হওয়া ব্যক্তিদের জিজ্ঞাসাবাদে জানা গেছে, সংঘবদ্ধ মানব পাচারকারী চক্র বিদেশে উন্নত জীবনযাপনের স্বপ্ন, উচ্চ বেতনের চাকরির প্রলোভন ও অল্প খরচে বিদেশ যাওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়ে টেকনাফসহ দেশের বিভিন্ন এলাকা থেকে বাংলাদেশি ও রোহিঙ্গা নাগরিকদের সাগরপথে মালয়েশিয়া পাঠানোর পরিকল্পনা করছিল।

পাচারকারীরা তাদের পাহাড়ে বন্দী রেখে মুক্তিপণ আদায়ের চেষ্টা করছিল বলে জানা গেছে। আটক দুই পাচারকারীর বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

টিভির ব্রেকিং নিউজে এনসিপির প্রার্থী তালিকা নিয়ে যা বললেন তাজনুভা জাবীন

জন্মস্থানে প্রথমবার ভোটের লড়াইয়ে নামছেন খালেদা জিয়া

দলে দলে নিউজিল্যান্ড ছাড়ছে মানুষ, কিন্তু অস্ট্রেলিয়ায় কেন যাচ্ছে

কার্গো ভিলেজে আগুন: বিমানবন্দরের ভল্ট ভেঙে চুরি হলো ৭ আগ্নেয়াস্ত্র

৭-৮ নভেম্বর প্রার্থীদের নাম ঘোষণা করতে পারে এনসিপি

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত