Ajker Patrika

পঞ্চগড়ে বৃষ্টির দেখা নেই, ভ্যাপসা গরমে অসুস্থ হয়ে পড়ছে শিশু ও বয়স্করা

প্রতিনিধি, পঞ্চগড়
পঞ্চগড়ে বৃষ্টির দেখা নেই, ভ্যাপসা গরমে অসুস্থ হয়ে পড়ছে শিশু ও বয়স্করা

দু’সপ্তাহ ধরে প্রখর রোদ আর ভ্যাপসা গরমে পঞ্চগড়ের মানুষের জীবন বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে। শ্রাবণ মাসের শুরু থেকেই জেলায় তেমন বৃষ্টিপাত নেই। গরমে অতিষ্ঠ মানুষ। আবহাওয়ার এই বৈরীভাবে অসুস্থ হয়ে পড়ছে অনেকে। বিশেষ করে বয়স্ক ও শিশুরা ভুগছে জ্বর সর্দি কাশিতে। 

পঞ্চগড় আধুনিক সদর হাসপাতালে গত দুই সপ্তাহে জ্বর সর্দিতে আক্রান্ত চার শতাধিক শিশু ও বয়স্ক মানুষকে চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন হাসপাতালের আবাসিক চিকিৎসক ডা. সিরাজউদ্দোলা পলিন। এ ছাড়া শহরের বিভিন্ন বেসরকারি ক্লিনিকসহ ব্যক্তিগত চেম্বারে চিকিৎসা নিয়েছে দুই শতাধিক শিশু ও বয়স্ক। অবস্থা গুরুতর হলে পার্শ্ববর্তী ঠাকুরগাঁও, দিনাজপুর এবং রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হচ্ছে। কঠোরতম লকডাউনে পরিবহন বন্ধ থাকায় রোগীদের নিয়ে ভোগান্তিতে পড়ছেন স্বজনরা। 

পঞ্চগড় আধুনিক সদর হাসপাতালের শিশু রোগ বিশেষজ্ঞ ডা. মো. মনোয়ারুল ইসলাম জানান, টানা বৃষ্টিপাতের পরে হঠাৎ করে প্রচণ্ড গরমে শিশুরা জ্বর, সর্দিসহ বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত হচ্ছে। বৈরী আবহাওয়ার কারণেই এই সমস্যা হচ্ছে। আবহাওয়া স্বাভাবিক হলে প্রকোপ কমে আসবে। ওষুধের চেয়ে ঘরে নিবিড় সুরক্ষাই এখন বেশি প্রয়োজন বলেও পরামর্শ দেন তিনি। 

পঞ্চগড় সদর উপজেলার মাগুরা প্রধানপাড়া এলাকার বাসিন্দা সামসুদ্দিন জানান, গরমে তাঁর চার বছরের সন্তান অসুস্থ হয়ে পড়লে পঞ্চগড় সদর হাসপাতালে ভর্তি করেন। দুই দিনে কোনো উন্নতি না হলে ঠাকুরগাঁওয়ে নেন। এখন অবস্থা ভালো। শহরের কায়েত পাড়া এলাকার আব্দুর রহিম বলেন, প্রচণ্ড গরমে আমার দেড় বছরের সন্তান জ্বরে আক্রান্ত হলে হাসপাতালে ভর্তি করি। চার দিন পর এখন সে সুস্থ। লকডাউনে কোনো কাজকর্ম করতে না পারায় খাবার জোগাড় আবার সন্তানের চিকিৎসার খরচ বহন করা তাঁর জন্য কঠিন হয়ে পড়েছে বলেও উল্লেখ করেন আব্দুর রহিম। 

জেলার সিভিল সার্জন ডা. মো. ফজলুর রহমান জানান, বর্তমানে জেলায় করোনার সংক্রমণ বেড়ে যাওয়ায় স্বাস্থ্য বিভাগ কঠিন সময় পার করছে। এরপরেও সেবা দানে আমরা গুরুত্বের সঙ্গে কাজ করে যাচ্ছি। 

লকডাউনের মধ্যে খেটে খাওয়া মানুষের দুর্ভোগ বিষয়ে প্রশাসনের পদক্ষেপ জানতে চাইলে পঞ্চগড়ের জেলা প্রশাসক মো. জহুরুল ইসলাম বলেন, বৈশ্বিক মহামারির মধ্যেও জেলার মানুষের খাদ্য, চিকিৎসাসহ মৌলিক বিষয়গুলো নিবিড়ভাবে বিবেচনায় রেখে জেলা প্রশাসন কাজ করে যাচ্ছে। কোনো মানুষ অনাহারে থাকলে ৩৩৩–এ ফোন করলে তাঁর ঘরে দ্রুত খাদ্য সহায়তা পৌঁছে দেওয়া হবে। 

এদিকে তেঁতুলিয়া আবহাওয়া পর্যবেক্ষণ কেন্দ্রের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা রাসেল শাহ জানান, ভৌগোলিক কারণে বর্ষার শেষ ভাগে পঞ্চগড় জেলায় বৃষ্টিপাত বেড়ে যায়। মৌসুমের মাঝামাঝি সময়ে এখানে তেমন বৃষ্টিপাত হয় না। সাগরে নিম্নচাপের কারণে দু’একের মধ্যে এই অঞ্চলে ভারী বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা রয়েছে। 

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

হরমুজ প্রণালিতে প্রবেশ করে ইউটার্ন নিল দুটি জাহাজ

ইসরায়েলে ২০ লাখ রুশভাষীর বাস, রাশিয়াকে তাঁদের কথা ভাবতে হয়: পুতিন

গুমে জড়িত ছিল ভারতের গোয়েন্দা সংস্থা: গুম কমিশনের প্রতিবেদন

ইরানের হামলার তীব্র নিন্দা কাতারের, পাল্টা জবাবের হুঁশিয়ারি

মধ্যপ্রাচ্যের চার দেশে পরবর্তী ঘোষণার আগপর্যন্ত বাংলাদেশি সব ফ্লাইট বাতিল

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত