এস এম রকি, খানসামা (দিনাজপুর)
ভাষা আন্দোলনের ৭১ বছর পেরিয়ে গেলেও দিনাজপুরের খানসামা উপজেলার ৮৭ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে এখনো তৈরি হয়নি কোনো শহীদ মিনার। অধিকাংশ বিদ্যালয়ে জাতীয় দিবস পালন করা হয় শুধু জাতীয় পতাকা উত্তোলনের মাধ্যমে। আবার কোনো প্রতিষ্ঠানে দিবসটি পালনই করা হয় না। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে শহীদ মিনার নির্মিত না হওয়ায় সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ, প্রতিষ্ঠানপ্রধান ও ব্যবস্থাপনা কমিটির সদস্যদের উদাসীনতাকে দায়ী করছে সচেতন মহল।
খানসামা উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, উপজেলার ছয়টি ইউনিয়নের নিম্নমাধ্যমিক, মাধ্যমিক, স্কুল অ্যান্ড কলেজ, মাদ্রাসা, কলেজ ও কারিগরি কলেজ মিলে মোট ৯৮টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান রয়েছে। এর মধ্যে মাত্র ১১টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে শহীদ মিনার রয়েছে।
সেই সঙ্গে উপজেলার কোনো মাদ্রাসা ও কারিগরি কলেজে শহীদ মিনার না থাকার তথ্যও পাওয়া গেছে। এদিকে উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিস সূত্রে জানা যায়, এই উপজেলার ১৪৩টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে কয়েক বছর আগেই শহীদ মিনার নির্মাণ করা হয়েছে।
ভাষা আন্দোলন ও দেশ স্বাধীন হওয়ার এত দিন পরও শহীদ মিনার নির্মিত না হওয়ায় ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন স্থানীয়রা। তাঁরা জানান, উপজেলার বেশির ভাগ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে শহীদ মিনার না থাকায় আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবসেই শিক্ষার্থীরা ভাষাশহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করতে পারে না। শুধু উপজেলা সদর ও পাকেরহাটের আশপাশের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলো শহীদ মিনারে শ্রদ্ধা জ্ঞাপন করেন। কিন্তু অন্য প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা ভাষা আন্দোলনের গুরুত্বও অনুধাবন করতে পারছে না।
উপজেলার পাকেরহাট, ছাতিয়ানগড়, আংগারপাড়া, খানসামা ও খামারপাড়া এলাকার বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ঘুরে দেখা যায়, প্রাথমিক বিদ্যালয়গুলোতে অনেক শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ইট-সিমেন্টের মানসম্মত শহীদ মিনার রয়েছে, আর অন্যদিকে কিছু বিদ্যালয়ে রয়েছে লোহার পাইপ দিয়ে বানানো শহীদ মিনার। সেগুলো জং ধরে বর্ণহীন। একুশে ফেব্রুয়ারি উপলক্ষে চলছে পরিচ্ছন্নতার কাজ।
অন্যদিকে উপজেলার মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক পর্যায়ের অধিকাংশ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলো শহীদ মিনার বিহীন।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, শহীদ মিনার নির্মাণ করতে মোটা অর্থের প্রয়োজন। সরকারি বরাদ্দ না থাকায় শহীদ মিনার নির্মাণ সম্ভব হচ্ছে না।
অথচ ২০১৬ সালের ১১ ফেব্রুয়ারি দেশের সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের প্রধানদের কাছে পাঠানো মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তরের (মাউশি) মহাপরিচালকের স্বাক্ষরিত চিঠিতে বলা হয়, দেশের যেসব সরকারি-বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে শহীদ মিনার নেই, সেগুলোতে দ্রুত শহীদ মিনার নির্মাণ করতে হবে। এ ছাড়া যেসব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে শহীদ মিনার জরাজীর্ণ অবস্থায় রয়েছে, সেগুলো সংস্কার করার জন্য নির্দেশ দেওয়া হয়।
উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা এরশাদুল হক আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘এই উপজেলার সব প্রাথমিক বিদ্যালয়ে শহীদ মিনার নির্মাণ সম্পন্ন হয়েছে। সেগুলো প্রতিবছর সংস্কারের জন্য প্রধান শিক্ষকদের নির্দেশনা দিয়েছি।’
উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মো. মনজুরুল হক আজকের পত্রিকাকে বলেন, সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ক্যাম্পাসে শহীদ মিনার নির্মাণের জন্য প্রতিটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানকে মাউশির নির্দেশনার কথা জানিয়ে দেওয়া হয়েছে। এ ছাড়া শহীদ মিনার তৈরির জন্য প্রতিষ্ঠানপ্রধান ও কমিটির সভাপতিকে উদ্বুদ্ধ করা হচ্ছে।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. তাজ উদ্দিন আজকের পত্রিকাকে বলেন, যেসব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে শহীদ মিনার নেই, সেগুলোকে ইতিমধ্যেই মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তার মাধ্যমে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে স্থানীয় ব্যবস্থাপনায় শহীদ মিনার নির্মাণ করতে। সেই সঙ্গে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবসে শিক্ষার্থীরা যেন শ্রদ্ধা জ্ঞাপন ও ভাষা আন্দোলন সম্পর্কে সঠিক ইতিহাস জানতে পারে—সেই ব্যবস্থা নিতে প্রতিষ্ঠানপ্রধানদের বলা হয়েছে।
ভাষা আন্দোলনের ৭১ বছর পেরিয়ে গেলেও দিনাজপুরের খানসামা উপজেলার ৮৭ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে এখনো তৈরি হয়নি কোনো শহীদ মিনার। অধিকাংশ বিদ্যালয়ে জাতীয় দিবস পালন করা হয় শুধু জাতীয় পতাকা উত্তোলনের মাধ্যমে। আবার কোনো প্রতিষ্ঠানে দিবসটি পালনই করা হয় না। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে শহীদ মিনার নির্মিত না হওয়ায় সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ, প্রতিষ্ঠানপ্রধান ও ব্যবস্থাপনা কমিটির সদস্যদের উদাসীনতাকে দায়ী করছে সচেতন মহল।
খানসামা উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, উপজেলার ছয়টি ইউনিয়নের নিম্নমাধ্যমিক, মাধ্যমিক, স্কুল অ্যান্ড কলেজ, মাদ্রাসা, কলেজ ও কারিগরি কলেজ মিলে মোট ৯৮টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান রয়েছে। এর মধ্যে মাত্র ১১টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে শহীদ মিনার রয়েছে।
সেই সঙ্গে উপজেলার কোনো মাদ্রাসা ও কারিগরি কলেজে শহীদ মিনার না থাকার তথ্যও পাওয়া গেছে। এদিকে উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিস সূত্রে জানা যায়, এই উপজেলার ১৪৩টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে কয়েক বছর আগেই শহীদ মিনার নির্মাণ করা হয়েছে।
ভাষা আন্দোলন ও দেশ স্বাধীন হওয়ার এত দিন পরও শহীদ মিনার নির্মিত না হওয়ায় ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন স্থানীয়রা। তাঁরা জানান, উপজেলার বেশির ভাগ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে শহীদ মিনার না থাকায় আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবসেই শিক্ষার্থীরা ভাষাশহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করতে পারে না। শুধু উপজেলা সদর ও পাকেরহাটের আশপাশের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলো শহীদ মিনারে শ্রদ্ধা জ্ঞাপন করেন। কিন্তু অন্য প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা ভাষা আন্দোলনের গুরুত্বও অনুধাবন করতে পারছে না।
উপজেলার পাকেরহাট, ছাতিয়ানগড়, আংগারপাড়া, খানসামা ও খামারপাড়া এলাকার বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ঘুরে দেখা যায়, প্রাথমিক বিদ্যালয়গুলোতে অনেক শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ইট-সিমেন্টের মানসম্মত শহীদ মিনার রয়েছে, আর অন্যদিকে কিছু বিদ্যালয়ে রয়েছে লোহার পাইপ দিয়ে বানানো শহীদ মিনার। সেগুলো জং ধরে বর্ণহীন। একুশে ফেব্রুয়ারি উপলক্ষে চলছে পরিচ্ছন্নতার কাজ।
অন্যদিকে উপজেলার মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক পর্যায়ের অধিকাংশ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলো শহীদ মিনার বিহীন।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, শহীদ মিনার নির্মাণ করতে মোটা অর্থের প্রয়োজন। সরকারি বরাদ্দ না থাকায় শহীদ মিনার নির্মাণ সম্ভব হচ্ছে না।
অথচ ২০১৬ সালের ১১ ফেব্রুয়ারি দেশের সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের প্রধানদের কাছে পাঠানো মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তরের (মাউশি) মহাপরিচালকের স্বাক্ষরিত চিঠিতে বলা হয়, দেশের যেসব সরকারি-বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে শহীদ মিনার নেই, সেগুলোতে দ্রুত শহীদ মিনার নির্মাণ করতে হবে। এ ছাড়া যেসব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে শহীদ মিনার জরাজীর্ণ অবস্থায় রয়েছে, সেগুলো সংস্কার করার জন্য নির্দেশ দেওয়া হয়।
উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা এরশাদুল হক আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘এই উপজেলার সব প্রাথমিক বিদ্যালয়ে শহীদ মিনার নির্মাণ সম্পন্ন হয়েছে। সেগুলো প্রতিবছর সংস্কারের জন্য প্রধান শিক্ষকদের নির্দেশনা দিয়েছি।’
উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মো. মনজুরুল হক আজকের পত্রিকাকে বলেন, সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ক্যাম্পাসে শহীদ মিনার নির্মাণের জন্য প্রতিটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানকে মাউশির নির্দেশনার কথা জানিয়ে দেওয়া হয়েছে। এ ছাড়া শহীদ মিনার তৈরির জন্য প্রতিষ্ঠানপ্রধান ও কমিটির সভাপতিকে উদ্বুদ্ধ করা হচ্ছে।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. তাজ উদ্দিন আজকের পত্রিকাকে বলেন, যেসব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে শহীদ মিনার নেই, সেগুলোকে ইতিমধ্যেই মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তার মাধ্যমে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে স্থানীয় ব্যবস্থাপনায় শহীদ মিনার নির্মাণ করতে। সেই সঙ্গে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবসে শিক্ষার্থীরা যেন শ্রদ্ধা জ্ঞাপন ও ভাষা আন্দোলন সম্পর্কে সঠিক ইতিহাস জানতে পারে—সেই ব্যবস্থা নিতে প্রতিষ্ঠানপ্রধানদের বলা হয়েছে।
গত জুলাইয়ের প্রথম সপ্তাহ থেকে ভারী বৃষ্টির কারণে নোয়াখালীর আটটি উপজেলার বেশির ভাগ এলাকায় দেখা দেয় জলাবদ্ধতা। অব্যাহত বৃষ্টি ও পানি নিষ্কাশন ব্যবস্থা না থাকায় ডুবে যায় জেলার বিভিন্ন সড়ক, মহল্লা ও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান। জেলার ১৭৭টি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে সেই জলাবদ্ধতা এখনো রয়ে গেছে। এক মাসের বেশি এই জলাবদ্ধতায়
২৭ মিনিট আগেসরকারি কেনাকাটার ক্ষেত্রে যে ঠিকাদার সর্বনিম্ন দরে মালপত্র সরবরাহ করবেন, তাকেই কাজ দেওয়ার কথা। তবে উল্টো চিত্র দেখা যাচ্ছে রাজশাহী আঞ্চলিক দুগ্ধ ও গবাদি উন্নয়ন খামারে। এখানে সর্বনিম্ন নয়, যাঁরা সর্বোচ্চ দর দিয়েছেন—তাঁদেরই কাজ দেওয়া হয়েছে। এতে সরকারের প্রায় ৯২ লাখ টাকা বাড়তি খরচ হচ্ছে।
৩২ মিনিট আগেবিগত আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (যবিপ্রবি) নিয়োগ-বাণিজ্যসহ নানা অনিয়মের অভিযোগ ওঠে। এ নিয়ে দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) করা মামলায় সম্প্রতি কারাগারে যেতে হয়েছে সাবেক উপাচার্য আব্দুস সাত্তারকে। তবে এসব বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন গঠিত তদন্ত কমিটি গত পাঁচ মাসেও কাজ
৩৭ মিনিট আগেউড়োজাহাজের অনলাইন টিকিট বুকিংয়ে দেশের অন্যতম প্ল্যাটফর্ম ফ্লাইট এক্সপার্টের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) সালমান বিন রশিদ শাহ সাইমের গ্রামের বাড়ি চাঁদপুরের কচুয়ার মুরাদপুর গ্রামে। এই গ্রাম, উপজেলা, এমনকি পাশের ফরিদগঞ্জ উপজেলার বাসিন্দাদের কাছ থেকেও তাঁরা টাকাপয়সা হাতিয়ে নিয়েছেন ব্যবসার নামে।
১ ঘণ্টা আগে