সৈয়দপুর (নীলফামারী) প্রতিনিধি
নীলফামারীর সৈয়দপুরে পুলিশের গাড়ি আটকের প্রতিবাদে মহাসড়ক অবরোধ করেছে পরিবহন শ্রমিকেরা। এতে উপজেলা থেকে রংপুর–দিনাজপুরসহ সবদিকের যানবাহন চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। আজ শুক্রবার শহরের বাস টার্মিনাল এলাকায় এই ঘটনা ঘটে।
খবর পেয়ে নীলফামারীর অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সৈয়দপুর সার্কেল) প্রফুল্ল কুমার দত্ত ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে পরিবহন শ্রমিক নেতাদের সঙ্গে আলোচনা করেন। প্রায় এক ঘণ্টা আলোচনার পর অবরোধ তুলে নিতে সম্মত হন শ্রমিকেরা। এরপর বেলা পৌনে ৩টার দিকে সড়কে দাঁড় করিয়ে রাখা বাস সরিয়ে নেওয়া হলে যান চলাচল স্বাভাবিক হয়।
পুলিশ সূত্রে জানা যায়, রংপুর থেকে সৈয়দপুরে আসার পথে তারাগঞ্জ হাইওয়ে থানার সামনে পুলিশ মেহেদী এন্টারপ্রাইজের একটি মিনিবাসকে থামার সংকেত দেয়। কিন্তু চালক বুলবুল সেখানে গাড়ি না থামিয়ে দ্রুত এগিয়ে যায়। এতে পুলিশ মোটরসাইকেল নিয়ে বাসটির পিছু নেয়। টের পেয়ে কিছু দূর এসে বাস থামিয়ে পালিয়ে যায় চালক বুলবুল।
পরে পুলিশ এসে কাগজপত্র চাইলে সুপারভাইজার ও হেলপার তা দেখাতে ব্যর্থ হলে তাদের গাড়িটি থানায় নিয়ে যায় এবং ড্রাইভারকে কাগজসহ এসে গাড়ি নিয়ে যাওয়ার জন্য বলে। কিন্তু চালক পালিয়ে সৈয়দপুরে এসে মোটর শ্রমিকদের জানায়, হাইওয়ে পুলিশ অকারণে তার গাড়ি আটক করেছে এবং সুপার ভাইজার ও হেলপারকে মারধর করেছে।
বুলবুলের কথায় উপস্থিত সব মোটর শ্রমিকের মধ্যে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। তারা তাৎক্ষণিক বাস টার্মিনালের তিন দিকের সড়কে মিনিবাস এলোমেলোভাবে রেখে অবরোধের সৃষ্টি করে। ফলে মুহূর্তে চারপাশে প্রায় দুই শতাধিক যান আটকে পড়ে। এতে দুর্ভোগে পড়েন সাধারণ যাত্রীরা। আটকা পড়ে রোগীসহ অ্যাম্বুলেন্সও।
আব্দুস সালাম নামে এক বাসযাত্রী আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘অসুস্থ মাকে নিয়ে রংপুর হাসপাতালে যাওয়ার উদ্দেশ্যে বের হয়েছিলাম। কিন্তু অবরোধের কারণে যেতে পারলাম না।’
তিনি আরও বলেন, ‘মোটর শ্রমিকদের ওপর প্রশাসনের কোন কর্তৃত্ব বা নিয়ন্ত্রণ নাই। তাই কথায় কথায় তারা জনগণকে জিম্মি করে। এমনকি ব্যক্তিগত কথা-কাটাকাটি বা ঝগড়াকে কেন্দ্র করেও যাত্রীদের ভোগান্তিতে ফেলে।’
জেলা বাস মিনিবাস মালিক সমিতির সম্পাদক মমতাজ আলী আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘পুলিশ কর্তৃক আজ আটকের ঘটনায় বাস মালিক সমিতির নির্দেশে ওই অবরোধ করা হয়। পরে পুলিশ প্রশাসনের সঙ্গে আলোচনা সাপেক্ষে অবরোধ তুলে নেওয়া হয়।’ আটক বাস ছাড়া না হলে আবারও অবরোধের ঘটনা ঘটতে পারে বালে জানান তিনি।
তারাগঞ্জ হাইওয়ে থানার ওসি ছুটিতে থাকায় দায়িত্বরত কর্মকর্তা মো. খোরশেদ আলম বলেন, ‘নিয়মিত চেকিংয়ের অংশ হিসেবেই ওই বাস থামানোর নির্দেশ দেওয়া হয়। কিন্তু কাগজপত্র না থাকায় চালক গাড়ি না থামিয়ে পালিয়ে যায়। সুপারভাইজার ও হেলপারকে মারধরের কোনো ঘটনা ঘটেনি।’
নীলফামারীর সৈয়দপুরে পুলিশের গাড়ি আটকের প্রতিবাদে মহাসড়ক অবরোধ করেছে পরিবহন শ্রমিকেরা। এতে উপজেলা থেকে রংপুর–দিনাজপুরসহ সবদিকের যানবাহন চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। আজ শুক্রবার শহরের বাস টার্মিনাল এলাকায় এই ঘটনা ঘটে।
খবর পেয়ে নীলফামারীর অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সৈয়দপুর সার্কেল) প্রফুল্ল কুমার দত্ত ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে পরিবহন শ্রমিক নেতাদের সঙ্গে আলোচনা করেন। প্রায় এক ঘণ্টা আলোচনার পর অবরোধ তুলে নিতে সম্মত হন শ্রমিকেরা। এরপর বেলা পৌনে ৩টার দিকে সড়কে দাঁড় করিয়ে রাখা বাস সরিয়ে নেওয়া হলে যান চলাচল স্বাভাবিক হয়।
পুলিশ সূত্রে জানা যায়, রংপুর থেকে সৈয়দপুরে আসার পথে তারাগঞ্জ হাইওয়ে থানার সামনে পুলিশ মেহেদী এন্টারপ্রাইজের একটি মিনিবাসকে থামার সংকেত দেয়। কিন্তু চালক বুলবুল সেখানে গাড়ি না থামিয়ে দ্রুত এগিয়ে যায়। এতে পুলিশ মোটরসাইকেল নিয়ে বাসটির পিছু নেয়। টের পেয়ে কিছু দূর এসে বাস থামিয়ে পালিয়ে যায় চালক বুলবুল।
পরে পুলিশ এসে কাগজপত্র চাইলে সুপারভাইজার ও হেলপার তা দেখাতে ব্যর্থ হলে তাদের গাড়িটি থানায় নিয়ে যায় এবং ড্রাইভারকে কাগজসহ এসে গাড়ি নিয়ে যাওয়ার জন্য বলে। কিন্তু চালক পালিয়ে সৈয়দপুরে এসে মোটর শ্রমিকদের জানায়, হাইওয়ে পুলিশ অকারণে তার গাড়ি আটক করেছে এবং সুপার ভাইজার ও হেলপারকে মারধর করেছে।
বুলবুলের কথায় উপস্থিত সব মোটর শ্রমিকের মধ্যে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। তারা তাৎক্ষণিক বাস টার্মিনালের তিন দিকের সড়কে মিনিবাস এলোমেলোভাবে রেখে অবরোধের সৃষ্টি করে। ফলে মুহূর্তে চারপাশে প্রায় দুই শতাধিক যান আটকে পড়ে। এতে দুর্ভোগে পড়েন সাধারণ যাত্রীরা। আটকা পড়ে রোগীসহ অ্যাম্বুলেন্সও।
আব্দুস সালাম নামে এক বাসযাত্রী আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘অসুস্থ মাকে নিয়ে রংপুর হাসপাতালে যাওয়ার উদ্দেশ্যে বের হয়েছিলাম। কিন্তু অবরোধের কারণে যেতে পারলাম না।’
তিনি আরও বলেন, ‘মোটর শ্রমিকদের ওপর প্রশাসনের কোন কর্তৃত্ব বা নিয়ন্ত্রণ নাই। তাই কথায় কথায় তারা জনগণকে জিম্মি করে। এমনকি ব্যক্তিগত কথা-কাটাকাটি বা ঝগড়াকে কেন্দ্র করেও যাত্রীদের ভোগান্তিতে ফেলে।’
জেলা বাস মিনিবাস মালিক সমিতির সম্পাদক মমতাজ আলী আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘পুলিশ কর্তৃক আজ আটকের ঘটনায় বাস মালিক সমিতির নির্দেশে ওই অবরোধ করা হয়। পরে পুলিশ প্রশাসনের সঙ্গে আলোচনা সাপেক্ষে অবরোধ তুলে নেওয়া হয়।’ আটক বাস ছাড়া না হলে আবারও অবরোধের ঘটনা ঘটতে পারে বালে জানান তিনি।
তারাগঞ্জ হাইওয়ে থানার ওসি ছুটিতে থাকায় দায়িত্বরত কর্মকর্তা মো. খোরশেদ আলম বলেন, ‘নিয়মিত চেকিংয়ের অংশ হিসেবেই ওই বাস থামানোর নির্দেশ দেওয়া হয়। কিন্তু কাগজপত্র না থাকায় চালক গাড়ি না থামিয়ে পালিয়ে যায়। সুপারভাইজার ও হেলপারকে মারধরের কোনো ঘটনা ঘটেনি।’
টানা বৃষ্টি আর উজানের ঢলে পদ্মা নদীতে বৃদ্ধি পাচ্ছে পানি। এতে চাঁপাইনবাবগঞ্জ সদর ও শিবগঞ্জ উপজেলার চরাঞ্চল ডুবে পানিবন্দী হয়ে পড়েছে পাঁচটি ইউনিয়নের নিম্নাঞ্চলের সাড়ে ৬ হাজার পরিবার। অন্যদিকে কুষ্টিয়ার দৌলতপুরের পদ্মার চরের নিম্নাঞ্চলের আবাদি জমি ও চলাচলের রাস্তা ডুবে গেছে। ইতিমধ্যে রামকৃষ্ণপুর
১৫ মিনিট আগেরংপুরের তারাগঞ্জে গণপিটুনিতে শ্বশুর রূপলাল দাস (৪৫) ও জামাই প্রদীপ লালের (৩৫) প্রাণহানির পেছনে আইনশৃঙ্খলাহীনতাকে দুষছেন স্থানীয় লোকজন। তাঁরা বলছেন, গত কয়েক দিনের চুরি, ছিনতাই ও হত্যাকাণ্ড-সংশ্লিষ্ট অপরাধের কারণে স্থানীয় জনতার ভেতর মবের মনোভাব তৈরি হয়েছে। পাশাপাশি পুলিশও সেভাবে তৎপর নয়। এসব কারণেই শ্
২২ মিনিট আগেশেরপুরের গারো পাহাড়ে মানুষের বিচরণ বাড়ার পাশাপাশি কমতে শুরু করেছে বন-জঙ্গল। এতে সেখানে বন্য হাতির জীবন সংকটে পড়েছে। প্রায়ই নানা ঘটনায় প্রাণ হারিয়ে গারো পাহাড় থেকে বিলুপ্তের পথে বিশালাকৃতির এই প্রাণী। এদিকে হাতি-মানুষের দ্বন্দ্বে প্রাণ হারাচ্ছে মানুষও। গত ৩০ বছরে শেরপুরে হাতি-মানুষের দ্বন্দ্বে জেলায়
২৭ মিনিট আগে২০২০ সালের ২৪ নভেম্বর একনেক সভায় পাস হয় যশোর-ঝিনাইদহ মহাসড়কের ৪৭ দশমিক ৪৮ কিলোমিটার সড়ক ছয় লেনে উন্নীতকরণের প্রকল্প। ৪ হাজার ১৮৭ কোটি ৭০ লাখ টাকার এ প্রকল্পের মেয়াদ নির্ধারিত হয় ২০২১ সালের জানুয়ারি থেকে ২০২৩ সালের ডিসেম্বর। কিন্তু ভূমি অধিগ্রহণ জটিলতায় বাড়ানো হয়েছে প্রকল্পের মেয়াদ ও মূল্য।
৩১ মিনিট আগে