Ajker Patrika

গঙ্গাচড়ায় হিন্দুপল্লিতে হামলা: জিনিসপত্র নিয়ে এলাকা ছাড়ছেন অনেকে

 গঙ্গাচড়া (রংপুর) প্রতিনিধি
আপডেট : ২৮ জুলাই ২০২৫, ১৮: ৪১
আসবাবপত্র ও গবাদিপশুসহ বিভিন্ন জিনিস সরিয়ে নেওয়া হচ্ছে। ছবি: আজকের পত্রিকা
আসবাবপত্র ও গবাদিপশুসহ বিভিন্ন জিনিস সরিয়ে নেওয়া হচ্ছে। ছবি: আজকের পত্রিকা

রংপুরের গঙ্গাচড়া উপজেলার বেতগাড়ী ইউনিয়নের আলদাতপুর ছয়আনি হিন্দুপল্লির বাসিন্দাদের অনেকে ভয়ে তাদের জিনিসপত্র অন্যত্র সরিয়ে নিচ্ছে। পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে সেনাবাহিনী ও পুলিশ মোতায়েন রয়েছে। তবু স্থানীয় লোকজনের ভয় কাটছে না। ফলে তারা বিভিন্ন স্থান ও আত্মীয়স্বজনদের বাড়িতে তাদের জিনিসপত্র নিয়ে চলে যাচ্ছে। আজ সোমবার সকালে সরেজমিনে এ চিত্র দেখা গেছে।

দেখা যায়, গ্রামটিসহ আশপাশের লোকজনের চোখেমুখে আতঙ্কের ছাপ। তারা তাদের গরু-ছাগল ও বাড়িতে থাকা আসবাবপত্র অন্যত্রে সরিয়ে নিচ্ছে।

এ সময় কথা হয়, শংকর রায় নামের একজনের সঙ্গে। তিনি আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘দুপুরে শুনতে পারলাম, আজকেও তারা নাকি ভাঙচুর, অগ্নিসংযোগ ও লুটপাট চালাবে। এ জন্য গরু-ছাগলগুলো নিয়ে আমার এক দিদির বাসায় রাখতে যাচ্ছি। গতকালের থেকে আজকে আরও বেশি ভয় লাগতেছে। গতকালও তো পুলিশের সামনে আমাদের ঘরবাড়িগুলো ভাঙচুর ও লুটপাট করা হয়। আজকে যদি আবার আগুন দেয়, তাহলে তো কিছুই পাব না। এ জন্য আগেভাগে সবকিছু সরিয়ে নিচ্ছে সবাই।’

ক্ষতিগ্রস্ত আরেক বাড়িতে গেলে কথা হয় বাড়ির মালিক নারায়ণ মহন্তের সঙ্গে তিনি বলেন, ‘যে অপরাধ করেছে, তাকে শাস্তি দেওয়া হোক। কিন্তু একজনের অপরাধের দায়ভার কেন আমাদের পুরো গ্রামবাসীর ওপর দেওয়া হলো? আমি রাজমিস্ত্রির কাজ করে খাই, অনেক কষ্ট করে বাড়িটি সাজিয়েছি। তারা মানববন্ধন ও মিছিল করবে বলে এসে পুলিশের সামনে ভাঙচুর ও লুটপাট চালিয়েছে। এ সময় পুলিশ শুধু দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে দেখছে, তারা ভয়ে সামনে আসেনি। আমাদের হিন্দু সম্প্রদায়ের লোকজনের ওপর এত অত্যাচার কেন। আমরা চাই, এর সঠিক তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়া হোক। একটু আগে শুনলাম, তারা নাকি আজকেও আমাদের গ্রামে অগ্নিসংযোগ চালাবে, তাই ভয়ে লুটপাট হয়ে যাওয়ার পর অবশিষ্ট জিনিসপত্র আত্মীয়ের বাড়িতে রাখতে যাচ্ছি।’

সংকর রায় ও নারায়ণ মহন্তই নন, ওই গ্রামসহ আশপাশের প্রায় ১০০ পরিবার ভয়ে বাড়ি ছাড়ছে। তাদের চোখেমুখে এখন হতাশার ছাপ।

আসবাবপত্র, গবাদিপশুসহ বিভিন্ন জিনিস সরিয়ে নেওয়া হচ্ছে। ছবি: আজকের পত্রিকা
আসবাবপত্র, গবাদিপশুসহ বিভিন্ন জিনিস সরিয়ে নেওয়া হচ্ছে। ছবি: আজকের পত্রিকা

দুপুরে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন রংপুর মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক সামছুজ্জামান সামু। এ সময় তিনি বলেন, ‘আমরা প্রশাসনের কাছে অনুরোধ রাখছি, যারা এ ধরনের ঘটনা ঘটিয়েছে তদন্ত সাপেক্ষে তাদের দ্রুত আইনের আওতায় নিয়ে আসার জন্য। এ দেশ সব ধর্ম-বর্ণের মানুষের, আমরা চাই না এ দেশে এ ধরনের উগ্রপন্থী লোকজন থাকুক। আমরা প্রশাসনের কাছে অনুরোধ রাখব, তারা যেন দুষ্কৃতকারীদের খুব দ্রুত সময়ের মধ্যে আইনের আওতায় নিয়ে আসে।’

এর আগে শনিবার ফেসবুকে ধর্মীয় কটূক্তির অভিযোগে এক যুবককে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। গত শনিবার সন্ধ্যায় উপজেলার বেতগাড়ী ইউনিয়নের একটি গ্রাম থেকে তাঁকে আটকের পর গতকাল রোববার গ্রেপ্তার দেখানো হয়। এদিকে ধর্মীয় কটূক্তির অভিযোগে পাশের এলাকা থেকে লোকজন এসে এক দফায় ওই যুবকের বাড়ি মনে করে অন্য একজনের বাড়িতে ভাঙচুর চালায়। আরেক দফায় হিন্দুপল্লিতে ভাঙচুর ও লুটপাট চালানো হয়। এতে ১৮টির মতো পরিবারের ঘরবাড়ি তছনছ করা হয়। এ ঘটনার পর আতঙ্কে ৫০টির মতো পরিবার বাড়ি ছেড়ে অন্যত্র আশ্রয় নিয়েছে বলে দাবি ভুক্তভোগীদের। গতকাল বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে রংপুরের গঙ্গাচড়া উপজেলার বেতগাড়ী ইউনিয়নের আলদাতপুর ছয়আনি হিন্দুপল্লিতে এ ঘটনা ঘটে।

আসবাবপত্র, গবাদিপশুসহ বিভিন্ন জিনিস সরিয়ে নেওয়া হচ্ছে। ছবি: আজকের পত্রিকা
আসবাবপত্র, গবাদিপশুসহ বিভিন্ন জিনিস সরিয়ে নেওয়া হচ্ছে। ছবি: আজকের পত্রিকা

গঙ্গাচড়া মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আল এমরান বলেন, ‘গতকালের ঘটনার বিষয় এখন পর্যন্ত কেউ আমাদের লিখিত অভিযোগ দেয়নি। অভিযোগ পেলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। তবে সেখানে আমাদের আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা উপস্থিত আছেন।’

এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মাহমুদ হাসান মৃধা বলেন, ‘আর যাতে এ ধরনের অপ্রীতিকর কোনো ঘটনা না ঘটে, এ জন্য আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী ও প্রশাসনের পক্ষ থেকে কঠোর পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারগুলোর জন্য শুকনো খাদ্যসামগ্রী পাঠানো হয়েছে। আমরা ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারগুলোর জন্য টিনের ব্যবস্থা করেছি।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

কার্গো ভিলেজে আগুন: বিমানবন্দরের ভল্ট ভেঙে চুরি হলো ৭ আগ্নেয়াস্ত্র

বিচার বিভাগ: পদোন্নতির প্যানেলে ১১ শতাধিক কর্মকর্তা

প্রধান উপদেষ্টাকে রেফারির ভূমিকায় চায় জামায়াত

জোটে নিজ দলীয় প্রতীকে নির্বাচনের বিধান রেখে আরপিও অধ্যাদেশ জারি

আজকের রাশিফল: ছবি পোস্ট করার আগে সাতবার ভাবুন, জ্ঞানের কথা চেপে রাখুন

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

মারধরের ঘটনায় জাবি শিক্ষার্থীদের ৫ দাবি মেনে নিল সেনাবাহিনী

জাবি প্রতিনিধি 
সমস্যা সমাধানে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের সঙ্গে বসেন সেনাবাহিনীর ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা। ছবি: আজকের পত্রিকা
সমস্যা সমাধানে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের সঙ্গে বসেন সেনাবাহিনীর ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা। ছবি: আজকের পত্রিকা

সেনাবাহিনী কর্তৃক জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের (জাবি) এক শিক্ষার্থীকে মারধরের ঘটনায় শিক্ষার্থীদের পক্ষ থেকে জানানো পাঁচ দফা দাবি মেনে নিয়েছেন সাভার অঞ্চলে দায়িত্বরত সেনাবাহিনীর ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা। ভুক্তভোগী শিক্ষার্থীর নাম ইমদাদুল হক ইমন। তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ের মাইক্রোবায়োলজি বিভাগের ৫০তম (২০২০-২১ শিক্ষাবর্ষ) ব্যাচের শিক্ষার্থী এবং শাখা ছাত্রদলের আহ্বায়ক কমিটির সদস্য।

জানা গেছে, গতকাল সোমবার বিকেলে টিউশনি শেষে বাইকে করে ক্যাম্পাসে ফিরছিলেন ইমন। এ সময় তাঁর হেলমেট না থাকায় সাভারের পাকিজা এলাকায় সেনাসদস্যরা তাঁকে আটকান। এ সময় তাঁর সঙ্গে গাড়ির কাগজপত্র ছিল না। এতে তাঁকে প্রায় ২ ঘণ্টা আটকে রাখা হয়। তিনি জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী এবং তাঁর এক ভাই সেনাবাহিনীতে কর্মরত আছেন বলে জানান সেনাসদস্যদের। একপর্যায়ে সেনাবাহিনীর সদস্যরা তাঁকে মারধর করেন এবং তাঁদের পা ধরে মাফ চাইতে বাধ্য করেন।

এই ঘটনার জেরে সোমবার রাত পৌনে ১০টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা প্রধান ফটকের সামনে ঢাকা-আরিচা মহাসড়কে অবস্থান নিয়ে অবরোধ করেন। এতে সড়কের উভয় পাশে যানজটের সৃষ্টি হয়। প্রায় আধা ঘণ্টা অবরোধ চলার পর সাভার অঞ্চলের দায়িত্বপ্রাপ্ত সেনাবাহিনীর ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা ক্যাম্পাসে এসে সমস্যার সমাধান করতে চাইলে অবরোধ তুলে নেন শিক্ষার্থীরা।

রাত পৌনে ১১টার দিকে সেই সেনা কর্মকর্তাসহ সাভার অঞ্চলের দায়িত্বপ্রাপ্ত ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা ক্যাম্পাসে এসে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসন ও জাকসুর মধ্যস্থতায় বিশ্ববিদ্যালয়ের সিনেট ভবনে শিক্ষার্থীদের সঙ্গে আলোচনায় বসেন। এ সময় তাঁরা সেনাবাহিনীর সদস্য কর্তৃক সংঘটিত অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনার জন্য দুঃখ প্রকাশ করেন।

আলোচনা শেষে ভুক্তভোগী ইমনের পক্ষ থেকে পাঁচটি দাবি উত্থাপন করেন জাকসুর ভিপি আব্দুর রশিদ জিতু। দাবিগুলো হলো—অভিযুক্ত মেজর এহসান ও ওয়ারেন্ট অফিসার আলীকে ক্ষমা চাইতে হবে; ভুক্তভোগী ইমনের সম্পূর্ণ চিকিৎসার দায়ভার সেনাবাহিনীকে গ্রহণ করতে হবে; ভবিষ্যতে এই ঘটনার জের ধরে ইমন বা তাঁর পরিবার যেন কোনো ধরনের হয়রানির শিকার না হয়, তার নিশ্চয়তা দিতে হবে; দেশের কোনো সাধারণ নাগরিক যেন সেনাবাহিনীর দ্বারা এমন আচরণের শিকার না হন, তার নিশ্চয়তা দিতে হবে; ঘটনায় জড়িতদের বিরুদ্ধে ‘কোর্ট অব ইনকোয়ারি’ গঠন করে অভিযুক্ত ব্যক্তিদের বিচার করতে হবে।

আলোচনায় উপস্থিত সেনাবাহিনীর সাভার স্টেশন কমান্ডার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল ইনতেখাব হায়দার খান শিক্ষার্থীদের পাঁচ দাবি মেনে নেন এবং তার অগ্রগতি সম্পর্কে বিশ্ববিদ্যালয়কে অবহিত করবেন বলে জানান। পাঁচ দফা দাবির পরিপ্রেক্ষিতে অভিযুক্ত দুই সেনা কর্মকর্তা মেজর এহসান ও ওয়ারেন্ট অফিসার আলী তাৎক্ষণিক তাঁদের ভুলের জন্য ক্ষমা চান।

সার্বিক বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক এ কে এম রাশিদুল আলম বলেন, ‘আমাদের শিক্ষার্থীর সঙ্গে যা ঘটেছে, সেটা অত্যন্ত দুঃখজনক ঘটনা। ঘটনাটি জানার সঙ্গে সঙ্গে আমরা সাভারে সেনাবাহিনীর দায়িত্বরত ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সঙ্গে যোগাযোগ করেছি এবং তাঁদেরকে ক্যাম্পাসে এসে সমস্যাটি সমাধানের অনুরোধ করেছি। এর পরিপ্রেক্ষিতে রাতে তাঁরা ক্যাম্পাসে আসেন এবং শিক্ষার্থীদের জানানো পাঁচটি দাবি মেনে নেওয়ার আশ্বাস দেন।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

কার্গো ভিলেজে আগুন: বিমানবন্দরের ভল্ট ভেঙে চুরি হলো ৭ আগ্নেয়াস্ত্র

বিচার বিভাগ: পদোন্নতির প্যানেলে ১১ শতাধিক কর্মকর্তা

প্রধান উপদেষ্টাকে রেফারির ভূমিকায় চায় জামায়াত

জোটে নিজ দলীয় প্রতীকে নির্বাচনের বিধান রেখে আরপিও অধ্যাদেশ জারি

আজকের রাশিফল: ছবি পোস্ট করার আগে সাতবার ভাবুন, জ্ঞানের কথা চেপে রাখুন

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

বগুড়ায় বাড়ি থেকে ডেকে নিয়ে কুপিয়ে হত্যা

বগুড়া প্রতিনিধি
ধানখেত থেকে লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। ছবি: সংগৃহীত
ধানখেত থেকে লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। ছবি: সংগৃহীত

বগুড়ায় বাড়ি থেকে ডেকে নিয়ে জহুরুল ইসলাম (৪৫) নামের এক ব্যক্তিকে কুপিয়ে হত্যা করেছে দুর্বৃত্তরা। গতকাল সোমবার রাতে সদর উপজেলার হাজরাদীঘি গ্রামে এই ঘটনা ঘটে।

আজ মঙ্গলবার সকালে পুলিশ গ্রামের একটি ধানখেত থেকে তাঁর লাশ উদ্ধার করে। নিহত জহুরুল ইসলাম ওই এলাকার শ্বশুরবাড়িতে দীর্ঘদিন ধরে বসবাস করছিলেন। তিনি পেশায় বেকারি সামগ্রী পরিবহনের ভ্যান চালাতেন। বগুড়া সদর সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মোস্তফা মঞ্জুর বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, সোমবার রাত ১১টার দিকে কে বা কারা ফোন করে জহুরুলকে বাড়ি থেকে ডেকে নেয়। এরপর তিনি আর বাড়ি ফেরেননি। পরদিন ভোরে স্থানীয় বাসিন্দারা ধানখেতে তাঁর লাশ পড়ে থাকতে দেখে পুলিশে খবর দেন।

খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে লাশ উদ্ধার করে বগুড়ার শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজের মর্গে পাঠায়।

এ বিষয়ে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মোস্তফা মঞ্জুর বলেন, নিহত ব্যক্তির মাথায় ধারালো অস্ত্রের একাধিক আঘাতের চিহ্ন পাওয়া গেছে। প্রাথমিকভাবে হত্যার কারণ জানা যায়নি। ঘটনাটির সঙ্গে জড়িত ব্যক্তিদের শনাক্ত ও গ্রেপ্তারের জন্য পুলিশ কাজ করছে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

কার্গো ভিলেজে আগুন: বিমানবন্দরের ভল্ট ভেঙে চুরি হলো ৭ আগ্নেয়াস্ত্র

বিচার বিভাগ: পদোন্নতির প্যানেলে ১১ শতাধিক কর্মকর্তা

প্রধান উপদেষ্টাকে রেফারির ভূমিকায় চায় জামায়াত

জোটে নিজ দলীয় প্রতীকে নির্বাচনের বিধান রেখে আরপিও অধ্যাদেশ জারি

আজকের রাশিফল: ছবি পোস্ট করার আগে সাতবার ভাবুন, জ্ঞানের কথা চেপে রাখুন

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

কক্সবাজার-৪ আসন: বিএনপির মনোনয়নবঞ্চিত সমর্থকদের প্রতীকী কলাগাছ রোপণ করে প্রতিবাদ

 টেকনাফ (কক্সবাজার) প্রতিনিধি
কক্সবাজারে মনোনয়ন না পাওয়ায় মোহাম্মদ আবদুল্লাহর সমর্থকেরা সড়ক অবরোধ ও কলাগাছ রোপণ করে প্রতীকী প্রতিবাদ করেন। ছবি: আজকের পত্রিকা
কক্সবাজারে মনোনয়ন না পাওয়ায় মোহাম্মদ আবদুল্লাহর সমর্থকেরা সড়ক অবরোধ ও কলাগাছ রোপণ করে প্রতীকী প্রতিবাদ করেন। ছবি: আজকের পত্রিকা

কক্সবাজার-৪ (উখিয়া-টেকনাফ) আসনে বিএনপির দলীয় মনোনয়ন না পাওয়ায় বিক্ষোভ করেছেন মোহাম্মদ আবদুল্লাহর সমর্থকেরা। টায়ার জ্বালিয়ে সড়ক অবরোধের পাশাপাশি প্রতীকী প্রতিবাদ হিসেবে তাঁরা সড়কের পাশে কলাগাছ রোপণ করেন।

গতকাল সোমবার বিএনপি ২৩৭টি আসনের সম্ভাব্য প্রার্থী তালিকা ঘোষণা করে। এতে কক্সবাজার-৪ আসনে মোহাম্মদ আবদুল্লাহর নাম না থাকায় তাঁর সমর্থকেরা ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া জানান। এরপর দিবাগত রাত ১টা থেকে ৪টা পর্যন্ত টেকনাফ পৌর শহরের বিভিন্ন স্থানে টায়ার জ্বালিয়ে সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করেন তাঁরা।

এ সময় বিক্ষোভকারীরা ‘অবৈধ মনোনয়ন মানি না, মানব না’—এমন স্লোগান দেন। টেকনাফের পুরাতন বাজার, হোয়াইক্যং মোড় ও বাসস্ট্যান্ড এলাকায় কয়েকটি স্থানে প্রতীকী প্রতিবাদ হিসেবে কলাগাছ রোপণ করেন তাঁরা।

কক্সবাজারে মনোনয়ন না পাওয়ায় মোহাম্মদ আবদুল্লাহর সমর্থকেরা সড়ক অবরোধ ও কলাগাছ রোপণ করে প্রতীকী প্রতিবাদ করেন। ছবি: আজকের পত্রিকা
কক্সবাজারে মনোনয়ন না পাওয়ায় মোহাম্মদ আবদুল্লাহর সমর্থকেরা সড়ক অবরোধ ও কলাগাছ রোপণ করে প্রতীকী প্রতিবাদ করেন। ছবি: আজকের পত্রিকা

অন্যদিকে মোহাম্মদ আবদুল্লাহর ছোট ভাই ও টেকনাফ সদর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান জিয়াউর রহমান জিহাদ সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে এক স্ট্যাটাসে নেতা-কর্মীদের শান্ত থাকার আহ্বান জানান। তিনি বলেন, ‘দলের সিদ্ধান্তই চূড়ান্ত। সবাইকে ধৈর্য ধরে দলের প্রতি আনুগত্য বজায় রাখতে হবে।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

কার্গো ভিলেজে আগুন: বিমানবন্দরের ভল্ট ভেঙে চুরি হলো ৭ আগ্নেয়াস্ত্র

বিচার বিভাগ: পদোন্নতির প্যানেলে ১১ শতাধিক কর্মকর্তা

প্রধান উপদেষ্টাকে রেফারির ভূমিকায় চায় জামায়াত

জোটে নিজ দলীয় প্রতীকে নির্বাচনের বিধান রেখে আরপিও অধ্যাদেশ জারি

আজকের রাশিফল: ছবি পোস্ট করার আগে সাতবার ভাবুন, জ্ঞানের কথা চেপে রাখুন

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

গহিন পাহাড়ে অভিযানে দুই মানব পাচারকারী আটক, নারী-শিশুসহ ২৫ জন উদ্ধার

টেকনাফ (কক্সবাজার) প্রতিনিধি
কক্সবাজারের টেকনাফের গহিন পাহাড়ে অভিযান চালিয়ে নারী-শিশুসহ ২৫ জনকে উদ্ধার। ছবি: আজকের পত্রিকা
কক্সবাজারের টেকনাফের গহিন পাহাড়ে অভিযান চালিয়ে নারী-শিশুসহ ২৫ জনকে উদ্ধার। ছবি: আজকের পত্রিকা

কক্সবাজারের টেকনাফের গহিন পাহাড়ে অভিযান চালিয়ে নারী-শিশুসহ ২৫ ভুক্তভোগী ব্যক্তিকে উদ্ধার করেছে কোস্ট গার্ড ও নৌবাহিনী। এ সময় দুই মানব পাচারকারীকে আটক করা হয়। আজ মঙ্গলবার সকালে এই তথ্য নিশ্চিত করেন কোস্ট গার্ডের মিডিয়া কর্মকর্তা লেফটেন্যান্ট কমান্ডার সিয়াম-উল-হক।

সিয়াম-উল-হক জানান, গোয়েন্দা তথ্য ও আগে আটক করা পাচারকারীদের জিজ্ঞাসাবাদে জানা যায়, সাগরপথে মালয়েশিয়া পাঠানোর জন্য নারী-শিশুসহ বেশ কয়েকজনকে টেকনাফের বাহারছড়া ইউনিয়নের জুম্মাপাড়া-সংলগ্ন গহিন পাহাড়ি এলাকায় বন্দী করে রাখা হয়েছে।

ওই তথ্যের ভিত্তিতে সোমবার বেলা ২টা থেকে বিকেল ৫টা পর্যন্ত যৌথ অভিযান চালানো হয়। অভিযানে পাচারের উদ্দেশ্যে বন্দী থাকা নারী-শিশুসহ ২৫ জনকে উদ্ধার এবং দুই মানব পাচারকারীকে আটক করা হয়।

কক্সবাজারের টেকনাফের গহিন পাহাড়ে অভিযান চালিয়ে নারী-শিশুসহ ২৫ জনকে উদ্ধার। ছবি: আজকের পত্রিকা
কক্সবাজারের টেকনাফের গহিন পাহাড়ে অভিযান চালিয়ে নারী-শিশুসহ ২৫ জনকে উদ্ধার। ছবি: আজকের পত্রিকা

উদ্ধার হওয়া ব্যক্তিদের জিজ্ঞাসাবাদে জানা গেছে, সংঘবদ্ধ মানব পাচারকারী চক্র বিদেশে উন্নত জীবনযাপনের স্বপ্ন, উচ্চ বেতনের চাকরির প্রলোভন ও অল্প খরচে বিদেশ যাওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়ে টেকনাফসহ দেশের বিভিন্ন এলাকা থেকে বাংলাদেশি ও রোহিঙ্গা নাগরিকদের সাগরপথে মালয়েশিয়া পাঠানোর পরিকল্পনা করছিল।

পাচারকারীরা তাদের পাহাড়ে বন্দী রেখে মুক্তিপণ আদায়ের চেষ্টা করছিল বলে জানা গেছে। আটক দুই পাচারকারীর বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

কার্গো ভিলেজে আগুন: বিমানবন্দরের ভল্ট ভেঙে চুরি হলো ৭ আগ্নেয়াস্ত্র

বিচার বিভাগ: পদোন্নতির প্যানেলে ১১ শতাধিক কর্মকর্তা

প্রধান উপদেষ্টাকে রেফারির ভূমিকায় চায় জামায়াত

জোটে নিজ দলীয় প্রতীকে নির্বাচনের বিধান রেখে আরপিও অধ্যাদেশ জারি

আজকের রাশিফল: ছবি পোস্ট করার আগে সাতবার ভাবুন, জ্ঞানের কথা চেপে রাখুন

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত