গঙ্গাচড়া (রংপুর) প্রতিনিধি

প্রায় ১২ বছর আগে পঞ্চম শ্রেণি পড়ুয়া নিশি মণির সঙ্গে বিয়ে হয় রুবেল মিয়ার। তবে রুবেল মিয়ার মাদক চোরাচালান, জাল টাকা ও নারীদের দিয়ে দেহ ব্যবসার পথে বাধা হয়ে দাঁড়ান নিশি মণি। তিনি ফেরাতে পারেননি রুবেল মিয়াকে। অভিযোগ, একপর্যায়ে তাঁকে বাধ্য করা হয় অনৈতিক কাজে। এমন অত্যাচার নির্যাতন সইতে না পেরে বাড়ি ছাড়েন বেশ কয়েকবার। হয়নি নিস্তার। শেষমেশ স্বামীর বাড়িতেই মিলেছে গৃহবধূ নিশি মণির ঝলসানো লাশ।
গৃহবধূর পরিবার ও প্রতিবেশিদের অভিযোগ, নিশির গায়ে অ্যাসিড ছোড়েন রুবেল। পরে হাসপাতালে অবস্থার অবনতি হলে বাড়িতে নিয়ে আসেন। বাড়িতে আনার পর মারা যান নিশি। তখন ঘটনাকে ভিন্নখাতে নিতে বাড়িতে মোটরসাইকেলে আগুন দিয়েছেন রুবেল মিয়া।
এমন ঘটনা ঘটেছে রংপুরের গঙ্গাচড়া সদর ইউনিয়নের চেংমারী চওরাপাড়া গ্রামে।
সরেজমিনে স্থানীয়দের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, গঙ্গাচড়া সদর ইউনিয়নের নবনী দাস জগারঝার এলাকার মোহাম্মাদ আলীর পঞ্চম শ্রেণি পড়ুয়া মেয়ে নিশি মণির সঙ্গে বিয়ে হয় একই ইউনিয়নের চেংমারী চওরাপাড়ার সেকেন্দার আলীর ছেলে রুবেল মিয়ার। বিয়ের ১ বছরের মাথায় রুবেল মিয়া (৩৬) ও নিশি মণির (বর্তমান বয়স ২২) ঘর আলো করে জন্ম হয় ফুটফুটে এক ছেলে সন্তানের। খুব ভালোই চলছিল তাঁদের সংসার।
এরই মাঝে রুবেল মিয়া হঠাৎ জড়িয়ে পড়েন মাদক চোরাচালান, জাল টাকা এবং বহিরাগত নারীদের দিয়ে দেহ ব্যবসার সঙ্গে। এসব অনৈতিক কাজে স্ত্রী নিশি মণি বাধা দিলে তাঁর ওপরে চলত অমানবিক নির্যাতন। এসব নির্যাতন সহ্য করতে না পেরে মাঝেমধ্যে রাগ করে পাশের গ্রামে বাবার বাসায় চলে যেতেন নিশি মণি। বাবা গরিব হওয়ায় কিছুদিন পর আবার চলে আসতে হতো স্বামী রুবেলের ঘরে।
এরই মধ্যে তাঁদের সংসারে জন্ম নেয় আরও এক ছেলে সন্তান। কিছুদিন যেতে না যেতেই রুবেল মিয়া বাড়িতে বাইরে থেকে পুরুষ নিয়ে এসে নিশি মণিকে অনৈতিক কাজে বাধ্য করাতে থাকেন। নিশি মণি রাজি না হলে তাঁর ওপরে চলতো অমানবিক নির্যাতন। রুবেল মিয়ার ভয়ে আশপাশে লোকজন কেউ তাঁর বাসায় আসতে সাহস পেতেন না। রুবেলের বাবা-মা প্রতিবাদ করলে তাঁদেরও মারধর করা হতো।
নিশি মণি রুবেলের শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন সহ্য করতে না পেরে পরিবারকে জানিয়ে কয়েকবার আত্মগোপনে চলে যান। এরপর অনেক খোঁজাখুঁজির পর স্ত্রীকে না পেয়ে রুবেল নিশি মণির ভাইকে বাড়ি থেকে তুলে এনে মারধর করেন ও নিশির খোঁজ দিতে বাধ্য করান। নিশি ফিরে আসলে এই টানাপোড়েনের সংসার টিকে আরও আট বছর।
সর্বশেষ ১৭ মাস আগে রুবেল ও নিশি মণির সংসারে জন্ম নেয় আরেক মেয়ে সন্তান। সন্তান জন্মের কিছুদিনপর আবারও নিশি মণিকে অনৈতিক কাজে বাধ্য করেন স্বামী রুবেল মিয়া। তাঁর এমন অমানবিক নির্যাতন সহ্য করতে না পেয়ে গত বছরের ডিসেম্বর মাসে বাবার বাড়িতে চলে যান নিশি মণি। এরপর নিশি মণিকে নিতে স্বামী রুবেল শ্বশুরবাড়ি যান। শ্বশুর মোহাম্মাদ আলী মেয়েকে জামাতা রুবেলের হাতে তুলে দিতে না চাইলে রুবেল শ্বশুরবাড়িতে দেশিয় অস্ত্র দিয়ে ভাঙচুর চালায়। পরে ভয়ে মোহাম্মাদ আলী মেয়েকে রুবেলের হাতে তুলে দেন। ওই দিন ২৬ ডিসেম্বর রাতে রুবেল শ্বশুরবাড়ি থেকে স্ত্রীকে নিয়ে বাড়ি ফেরার পর স্ত্রী নিশি মণির গায়ে অ্যাসিড নিক্ষেপ করেন।
অবস্থা গুরুতর হলে রুবেলের পরিবারের লোকজন আহত নিশি মণিকে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যান। সেখানে তাঁর অবস্থা আশঙ্কাজনক হলে তাঁকে ঢাকা শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে পাঠানো হয়। সেখানে তাঁর অবস্থা আরও আশঙ্কাজনক হলে গত ৪ জানুয়ারি নিশি মণিকে সেখান থেকে চুপিসারে বাড়িতে নিয়ে আসে রুবেল ও তাঁর পরিবারের লোকজন।
গতকাল সোমবার রাত দেড়টার দিকে স্বামী রুবেলের বাড়িতে নিশি মণির মৃত্যু হয়। বিষয়টি ধামাচাপা দিতে রুবেলের ঘরে থাকা একটি মোটরসাইকেলে আগুন লাগিয়ে দেয় রুবেল। এরপর তাঁর স্ত্রী আগুনে পুড়ে মারা যাওয়ার মিথ্যা তথ্য ছড়ায় রুবেল ও তাঁর পরিবারের লোকজন।
আজ মঙ্গলবার সকালে তড়িঘড়ি করে নিশি মণির মরদেহটি শ্বশুরবাড়ির লোকজন দাফন করতে গেলে নিশি মণির মৃত্যুর সঠিক তথ্যটি এলাকায় ছড়িয়ে পড়ে। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনা স্থানে উপস্থিত হলে লাশ রেখে রুবেল ও পরিবারের লোকজন পালিয়ে যায়। সাংবাদিকেরা মৃত্যুর খবর পেয়ে সকালে রুবেলের বাড়িতে যায়। সেখানে রুবেলের বড় ছেলের সঙ্গে কথা বলতে চাইলে রুবেলের বড়ভাই আব্দুর রাজ্জাক সাংবাদিকের ওপর মারমুখী হয়। ফলে সাংবাদিকেরা সেখান থেকে চলে আসেন।
এ বিষয়ে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক স্থানীয় কয়েকজন আজকের পত্রিকাকে জানান, রুবেল অনেক আগ থেকে মাদক, জাল টাকা এবং নারী কেলেঙ্কারিসহ বিভিন্ন অনৈতিক কর্মকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত। রুবেলের নামে জাল টাকা চোরাচালানের অভিযোগে দুটি মামলাও আছে।
রুবেল নিজের বাড়িতে বিভিন্ন প্রভাবশালীদের নিয়ে এসে স্ত্রীকে অনৈতিক কর্মকাণ্ডে বাধ্য করাত। তাঁর বাড়ির পুরো এলাকা সিসিটিভি ক্যামেরা দ্বারা নিয়ন্ত্রিত। রুবেলের মারমুখি আচরণের কারণে তাঁর বাসার আশপাশ দিয়ে কেউ যেতেন না। তাঁর বাড়ির পুরো এলাকা বিদ্যুতের তার দিয়ে জড়ানো। সেই তারে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে এর আগে কয়েকজন আহত হয়েছিল।
তবে নিশি মনির বড় ছেলের দাবি, তাঁর মা ২৬ ডিসেম্বার রাতেই নিজ ঘরে তার বাবার সামনে গায়ে কেরোসিন ঢেলে আগুন লাগিয়ে দেন। তবে এ সময় এসিড নিক্ষেপের বিষয় তার কাছ থেকে জানতে চাইলে রুবেলের বড় ভাই আব্দুর রাজ্জাক সাংবাদিকদের ওপরে মারমুখি হন। পরে সেখান থেকে সাংবাদিকেরা চলে আসেন।

এ বিষয়ে নিশি মণির বাবা মোহাম্মাদ আলী আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘গতকাল রুবেলের চাচাতো ভাই ফুল মিয়া আমার স্ত্রী ও আমাকে বাড়ি থেকে তুলে নিয়ে গিয়ে ৩টি স্ট্যাম্পে সই নেয়। আমাকে এবং আমার স্ত্রীকে বলেছিল, ‘আমার মেয়ের নাকি একটা বড় ধরনের অপারেশন করাতে হবে। আজকে সকালে শুনতেছি আমার মেয়ে মারা গেছে। এর মধ্যে যে আমার মেয়ের সঙ্গে এত কিছু হয়ে গেছে, আমরা এর কিছুই জানতাম না। আমি এর সঠিক বিচার চাই।’
নিশির মা আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘হামাকগুলাক (আমাদেরকে) আজ সকালে রুবেলের চাচাতো ভাই বাড়িত থাকি তুলি নিয়া যাওয়ার পর জানিবার পাই রুবেল আমার মেয়ের গায়ে এসিড ঢালি দিছিল। আমাদের নিয়ে গিয়ে তারা তিনটি স্ট্যাম্পে সই নেয়। আর বলে আমার মেয়ের নাকি অপারেশন করা লাগবে। সই নেয়ার পর শুনি আমার মেয়ে মারা গেইছে।’
রুবেলের বোন রেজওয়ানা বেগম (৩৫) বলেন, ‘আমার ভাবি ২৬ (ডিসেম্বর) তারিখ রাত ১০ টায় নিজের গায়ে নিজেই আগুন লাগিয়েছে। পরের দিন ২৭ তারিখ সাড়ে ১০টায় রংপুর মেডিকেলে ভর্তি করাইছে। চিকিৎসকের পরামর্শে আমরা ঢাকায় নিয়ে যাই। ভাইয়ের বউ মারা যাওয়ায় নিজে আত্মহত্যা করার চেষ্টা করায় ভাইকে বাইরে রাখা হইছে।’
এ বিষয়ে গঙ্গাচড়া মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আল এমরান আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘লাশটির সুরতহাল শেষে ময়নাতদন্তের জন্য রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। লিখিত অভিযোগ পেলে তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’

প্রায় ১২ বছর আগে পঞ্চম শ্রেণি পড়ুয়া নিশি মণির সঙ্গে বিয়ে হয় রুবেল মিয়ার। তবে রুবেল মিয়ার মাদক চোরাচালান, জাল টাকা ও নারীদের দিয়ে দেহ ব্যবসার পথে বাধা হয়ে দাঁড়ান নিশি মণি। তিনি ফেরাতে পারেননি রুবেল মিয়াকে। অভিযোগ, একপর্যায়ে তাঁকে বাধ্য করা হয় অনৈতিক কাজে। এমন অত্যাচার নির্যাতন সইতে না পেরে বাড়ি ছাড়েন বেশ কয়েকবার। হয়নি নিস্তার। শেষমেশ স্বামীর বাড়িতেই মিলেছে গৃহবধূ নিশি মণির ঝলসানো লাশ।
গৃহবধূর পরিবার ও প্রতিবেশিদের অভিযোগ, নিশির গায়ে অ্যাসিড ছোড়েন রুবেল। পরে হাসপাতালে অবস্থার অবনতি হলে বাড়িতে নিয়ে আসেন। বাড়িতে আনার পর মারা যান নিশি। তখন ঘটনাকে ভিন্নখাতে নিতে বাড়িতে মোটরসাইকেলে আগুন দিয়েছেন রুবেল মিয়া।
এমন ঘটনা ঘটেছে রংপুরের গঙ্গাচড়া সদর ইউনিয়নের চেংমারী চওরাপাড়া গ্রামে।
সরেজমিনে স্থানীয়দের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, গঙ্গাচড়া সদর ইউনিয়নের নবনী দাস জগারঝার এলাকার মোহাম্মাদ আলীর পঞ্চম শ্রেণি পড়ুয়া মেয়ে নিশি মণির সঙ্গে বিয়ে হয় একই ইউনিয়নের চেংমারী চওরাপাড়ার সেকেন্দার আলীর ছেলে রুবেল মিয়ার। বিয়ের ১ বছরের মাথায় রুবেল মিয়া (৩৬) ও নিশি মণির (বর্তমান বয়স ২২) ঘর আলো করে জন্ম হয় ফুটফুটে এক ছেলে সন্তানের। খুব ভালোই চলছিল তাঁদের সংসার।
এরই মাঝে রুবেল মিয়া হঠাৎ জড়িয়ে পড়েন মাদক চোরাচালান, জাল টাকা এবং বহিরাগত নারীদের দিয়ে দেহ ব্যবসার সঙ্গে। এসব অনৈতিক কাজে স্ত্রী নিশি মণি বাধা দিলে তাঁর ওপরে চলত অমানবিক নির্যাতন। এসব নির্যাতন সহ্য করতে না পেরে মাঝেমধ্যে রাগ করে পাশের গ্রামে বাবার বাসায় চলে যেতেন নিশি মণি। বাবা গরিব হওয়ায় কিছুদিন পর আবার চলে আসতে হতো স্বামী রুবেলের ঘরে।
এরই মধ্যে তাঁদের সংসারে জন্ম নেয় আরও এক ছেলে সন্তান। কিছুদিন যেতে না যেতেই রুবেল মিয়া বাড়িতে বাইরে থেকে পুরুষ নিয়ে এসে নিশি মণিকে অনৈতিক কাজে বাধ্য করাতে থাকেন। নিশি মণি রাজি না হলে তাঁর ওপরে চলতো অমানবিক নির্যাতন। রুবেল মিয়ার ভয়ে আশপাশে লোকজন কেউ তাঁর বাসায় আসতে সাহস পেতেন না। রুবেলের বাবা-মা প্রতিবাদ করলে তাঁদেরও মারধর করা হতো।
নিশি মণি রুবেলের শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন সহ্য করতে না পেরে পরিবারকে জানিয়ে কয়েকবার আত্মগোপনে চলে যান। এরপর অনেক খোঁজাখুঁজির পর স্ত্রীকে না পেয়ে রুবেল নিশি মণির ভাইকে বাড়ি থেকে তুলে এনে মারধর করেন ও নিশির খোঁজ দিতে বাধ্য করান। নিশি ফিরে আসলে এই টানাপোড়েনের সংসার টিকে আরও আট বছর।
সর্বশেষ ১৭ মাস আগে রুবেল ও নিশি মণির সংসারে জন্ম নেয় আরেক মেয়ে সন্তান। সন্তান জন্মের কিছুদিনপর আবারও নিশি মণিকে অনৈতিক কাজে বাধ্য করেন স্বামী রুবেল মিয়া। তাঁর এমন অমানবিক নির্যাতন সহ্য করতে না পেয়ে গত বছরের ডিসেম্বর মাসে বাবার বাড়িতে চলে যান নিশি মণি। এরপর নিশি মণিকে নিতে স্বামী রুবেল শ্বশুরবাড়ি যান। শ্বশুর মোহাম্মাদ আলী মেয়েকে জামাতা রুবেলের হাতে তুলে দিতে না চাইলে রুবেল শ্বশুরবাড়িতে দেশিয় অস্ত্র দিয়ে ভাঙচুর চালায়। পরে ভয়ে মোহাম্মাদ আলী মেয়েকে রুবেলের হাতে তুলে দেন। ওই দিন ২৬ ডিসেম্বর রাতে রুবেল শ্বশুরবাড়ি থেকে স্ত্রীকে নিয়ে বাড়ি ফেরার পর স্ত্রী নিশি মণির গায়ে অ্যাসিড নিক্ষেপ করেন।
অবস্থা গুরুতর হলে রুবেলের পরিবারের লোকজন আহত নিশি মণিকে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যান। সেখানে তাঁর অবস্থা আশঙ্কাজনক হলে তাঁকে ঢাকা শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে পাঠানো হয়। সেখানে তাঁর অবস্থা আরও আশঙ্কাজনক হলে গত ৪ জানুয়ারি নিশি মণিকে সেখান থেকে চুপিসারে বাড়িতে নিয়ে আসে রুবেল ও তাঁর পরিবারের লোকজন।
গতকাল সোমবার রাত দেড়টার দিকে স্বামী রুবেলের বাড়িতে নিশি মণির মৃত্যু হয়। বিষয়টি ধামাচাপা দিতে রুবেলের ঘরে থাকা একটি মোটরসাইকেলে আগুন লাগিয়ে দেয় রুবেল। এরপর তাঁর স্ত্রী আগুনে পুড়ে মারা যাওয়ার মিথ্যা তথ্য ছড়ায় রুবেল ও তাঁর পরিবারের লোকজন।
আজ মঙ্গলবার সকালে তড়িঘড়ি করে নিশি মণির মরদেহটি শ্বশুরবাড়ির লোকজন দাফন করতে গেলে নিশি মণির মৃত্যুর সঠিক তথ্যটি এলাকায় ছড়িয়ে পড়ে। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনা স্থানে উপস্থিত হলে লাশ রেখে রুবেল ও পরিবারের লোকজন পালিয়ে যায়। সাংবাদিকেরা মৃত্যুর খবর পেয়ে সকালে রুবেলের বাড়িতে যায়। সেখানে রুবেলের বড় ছেলের সঙ্গে কথা বলতে চাইলে রুবেলের বড়ভাই আব্দুর রাজ্জাক সাংবাদিকের ওপর মারমুখী হয়। ফলে সাংবাদিকেরা সেখান থেকে চলে আসেন।
এ বিষয়ে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক স্থানীয় কয়েকজন আজকের পত্রিকাকে জানান, রুবেল অনেক আগ থেকে মাদক, জাল টাকা এবং নারী কেলেঙ্কারিসহ বিভিন্ন অনৈতিক কর্মকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত। রুবেলের নামে জাল টাকা চোরাচালানের অভিযোগে দুটি মামলাও আছে।
রুবেল নিজের বাড়িতে বিভিন্ন প্রভাবশালীদের নিয়ে এসে স্ত্রীকে অনৈতিক কর্মকাণ্ডে বাধ্য করাত। তাঁর বাড়ির পুরো এলাকা সিসিটিভি ক্যামেরা দ্বারা নিয়ন্ত্রিত। রুবেলের মারমুখি আচরণের কারণে তাঁর বাসার আশপাশ দিয়ে কেউ যেতেন না। তাঁর বাড়ির পুরো এলাকা বিদ্যুতের তার দিয়ে জড়ানো। সেই তারে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে এর আগে কয়েকজন আহত হয়েছিল।
তবে নিশি মনির বড় ছেলের দাবি, তাঁর মা ২৬ ডিসেম্বার রাতেই নিজ ঘরে তার বাবার সামনে গায়ে কেরোসিন ঢেলে আগুন লাগিয়ে দেন। তবে এ সময় এসিড নিক্ষেপের বিষয় তার কাছ থেকে জানতে চাইলে রুবেলের বড় ভাই আব্দুর রাজ্জাক সাংবাদিকদের ওপরে মারমুখি হন। পরে সেখান থেকে সাংবাদিকেরা চলে আসেন।

এ বিষয়ে নিশি মণির বাবা মোহাম্মাদ আলী আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘গতকাল রুবেলের চাচাতো ভাই ফুল মিয়া আমার স্ত্রী ও আমাকে বাড়ি থেকে তুলে নিয়ে গিয়ে ৩টি স্ট্যাম্পে সই নেয়। আমাকে এবং আমার স্ত্রীকে বলেছিল, ‘আমার মেয়ের নাকি একটা বড় ধরনের অপারেশন করাতে হবে। আজকে সকালে শুনতেছি আমার মেয়ে মারা গেছে। এর মধ্যে যে আমার মেয়ের সঙ্গে এত কিছু হয়ে গেছে, আমরা এর কিছুই জানতাম না। আমি এর সঠিক বিচার চাই।’
নিশির মা আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘হামাকগুলাক (আমাদেরকে) আজ সকালে রুবেলের চাচাতো ভাই বাড়িত থাকি তুলি নিয়া যাওয়ার পর জানিবার পাই রুবেল আমার মেয়ের গায়ে এসিড ঢালি দিছিল। আমাদের নিয়ে গিয়ে তারা তিনটি স্ট্যাম্পে সই নেয়। আর বলে আমার মেয়ের নাকি অপারেশন করা লাগবে। সই নেয়ার পর শুনি আমার মেয়ে মারা গেইছে।’
রুবেলের বোন রেজওয়ানা বেগম (৩৫) বলেন, ‘আমার ভাবি ২৬ (ডিসেম্বর) তারিখ রাত ১০ টায় নিজের গায়ে নিজেই আগুন লাগিয়েছে। পরের দিন ২৭ তারিখ সাড়ে ১০টায় রংপুর মেডিকেলে ভর্তি করাইছে। চিকিৎসকের পরামর্শে আমরা ঢাকায় নিয়ে যাই। ভাইয়ের বউ মারা যাওয়ায় নিজে আত্মহত্যা করার চেষ্টা করায় ভাইকে বাইরে রাখা হইছে।’
এ বিষয়ে গঙ্গাচড়া মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আল এমরান আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘লাশটির সুরতহাল শেষে ময়নাতদন্তের জন্য রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। লিখিত অভিযোগ পেলে তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
গঙ্গাচড়া (রংপুর) প্রতিনিধি

প্রায় ১২ বছর আগে পঞ্চম শ্রেণি পড়ুয়া নিশি মণির সঙ্গে বিয়ে হয় রুবেল মিয়ার। তবে রুবেল মিয়ার মাদক চোরাচালান, জাল টাকা ও নারীদের দিয়ে দেহ ব্যবসার পথে বাধা হয়ে দাঁড়ান নিশি মণি। তিনি ফেরাতে পারেননি রুবেল মিয়াকে। অভিযোগ, একপর্যায়ে তাঁকে বাধ্য করা হয় অনৈতিক কাজে। এমন অত্যাচার নির্যাতন সইতে না পেরে বাড়ি ছাড়েন বেশ কয়েকবার। হয়নি নিস্তার। শেষমেশ স্বামীর বাড়িতেই মিলেছে গৃহবধূ নিশি মণির ঝলসানো লাশ।
গৃহবধূর পরিবার ও প্রতিবেশিদের অভিযোগ, নিশির গায়ে অ্যাসিড ছোড়েন রুবেল। পরে হাসপাতালে অবস্থার অবনতি হলে বাড়িতে নিয়ে আসেন। বাড়িতে আনার পর মারা যান নিশি। তখন ঘটনাকে ভিন্নখাতে নিতে বাড়িতে মোটরসাইকেলে আগুন দিয়েছেন রুবেল মিয়া।
এমন ঘটনা ঘটেছে রংপুরের গঙ্গাচড়া সদর ইউনিয়নের চেংমারী চওরাপাড়া গ্রামে।
সরেজমিনে স্থানীয়দের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, গঙ্গাচড়া সদর ইউনিয়নের নবনী দাস জগারঝার এলাকার মোহাম্মাদ আলীর পঞ্চম শ্রেণি পড়ুয়া মেয়ে নিশি মণির সঙ্গে বিয়ে হয় একই ইউনিয়নের চেংমারী চওরাপাড়ার সেকেন্দার আলীর ছেলে রুবেল মিয়ার। বিয়ের ১ বছরের মাথায় রুবেল মিয়া (৩৬) ও নিশি মণির (বর্তমান বয়স ২২) ঘর আলো করে জন্ম হয় ফুটফুটে এক ছেলে সন্তানের। খুব ভালোই চলছিল তাঁদের সংসার।
এরই মাঝে রুবেল মিয়া হঠাৎ জড়িয়ে পড়েন মাদক চোরাচালান, জাল টাকা এবং বহিরাগত নারীদের দিয়ে দেহ ব্যবসার সঙ্গে। এসব অনৈতিক কাজে স্ত্রী নিশি মণি বাধা দিলে তাঁর ওপরে চলত অমানবিক নির্যাতন। এসব নির্যাতন সহ্য করতে না পেরে মাঝেমধ্যে রাগ করে পাশের গ্রামে বাবার বাসায় চলে যেতেন নিশি মণি। বাবা গরিব হওয়ায় কিছুদিন পর আবার চলে আসতে হতো স্বামী রুবেলের ঘরে।
এরই মধ্যে তাঁদের সংসারে জন্ম নেয় আরও এক ছেলে সন্তান। কিছুদিন যেতে না যেতেই রুবেল মিয়া বাড়িতে বাইরে থেকে পুরুষ নিয়ে এসে নিশি মণিকে অনৈতিক কাজে বাধ্য করাতে থাকেন। নিশি মণি রাজি না হলে তাঁর ওপরে চলতো অমানবিক নির্যাতন। রুবেল মিয়ার ভয়ে আশপাশে লোকজন কেউ তাঁর বাসায় আসতে সাহস পেতেন না। রুবেলের বাবা-মা প্রতিবাদ করলে তাঁদেরও মারধর করা হতো।
নিশি মণি রুবেলের শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন সহ্য করতে না পেরে পরিবারকে জানিয়ে কয়েকবার আত্মগোপনে চলে যান। এরপর অনেক খোঁজাখুঁজির পর স্ত্রীকে না পেয়ে রুবেল নিশি মণির ভাইকে বাড়ি থেকে তুলে এনে মারধর করেন ও নিশির খোঁজ দিতে বাধ্য করান। নিশি ফিরে আসলে এই টানাপোড়েনের সংসার টিকে আরও আট বছর।
সর্বশেষ ১৭ মাস আগে রুবেল ও নিশি মণির সংসারে জন্ম নেয় আরেক মেয়ে সন্তান। সন্তান জন্মের কিছুদিনপর আবারও নিশি মণিকে অনৈতিক কাজে বাধ্য করেন স্বামী রুবেল মিয়া। তাঁর এমন অমানবিক নির্যাতন সহ্য করতে না পেয়ে গত বছরের ডিসেম্বর মাসে বাবার বাড়িতে চলে যান নিশি মণি। এরপর নিশি মণিকে নিতে স্বামী রুবেল শ্বশুরবাড়ি যান। শ্বশুর মোহাম্মাদ আলী মেয়েকে জামাতা রুবেলের হাতে তুলে দিতে না চাইলে রুবেল শ্বশুরবাড়িতে দেশিয় অস্ত্র দিয়ে ভাঙচুর চালায়। পরে ভয়ে মোহাম্মাদ আলী মেয়েকে রুবেলের হাতে তুলে দেন। ওই দিন ২৬ ডিসেম্বর রাতে রুবেল শ্বশুরবাড়ি থেকে স্ত্রীকে নিয়ে বাড়ি ফেরার পর স্ত্রী নিশি মণির গায়ে অ্যাসিড নিক্ষেপ করেন।
অবস্থা গুরুতর হলে রুবেলের পরিবারের লোকজন আহত নিশি মণিকে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যান। সেখানে তাঁর অবস্থা আশঙ্কাজনক হলে তাঁকে ঢাকা শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে পাঠানো হয়। সেখানে তাঁর অবস্থা আরও আশঙ্কাজনক হলে গত ৪ জানুয়ারি নিশি মণিকে সেখান থেকে চুপিসারে বাড়িতে নিয়ে আসে রুবেল ও তাঁর পরিবারের লোকজন।
গতকাল সোমবার রাত দেড়টার দিকে স্বামী রুবেলের বাড়িতে নিশি মণির মৃত্যু হয়। বিষয়টি ধামাচাপা দিতে রুবেলের ঘরে থাকা একটি মোটরসাইকেলে আগুন লাগিয়ে দেয় রুবেল। এরপর তাঁর স্ত্রী আগুনে পুড়ে মারা যাওয়ার মিথ্যা তথ্য ছড়ায় রুবেল ও তাঁর পরিবারের লোকজন।
আজ মঙ্গলবার সকালে তড়িঘড়ি করে নিশি মণির মরদেহটি শ্বশুরবাড়ির লোকজন দাফন করতে গেলে নিশি মণির মৃত্যুর সঠিক তথ্যটি এলাকায় ছড়িয়ে পড়ে। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনা স্থানে উপস্থিত হলে লাশ রেখে রুবেল ও পরিবারের লোকজন পালিয়ে যায়। সাংবাদিকেরা মৃত্যুর খবর পেয়ে সকালে রুবেলের বাড়িতে যায়। সেখানে রুবেলের বড় ছেলের সঙ্গে কথা বলতে চাইলে রুবেলের বড়ভাই আব্দুর রাজ্জাক সাংবাদিকের ওপর মারমুখী হয়। ফলে সাংবাদিকেরা সেখান থেকে চলে আসেন।
এ বিষয়ে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক স্থানীয় কয়েকজন আজকের পত্রিকাকে জানান, রুবেল অনেক আগ থেকে মাদক, জাল টাকা এবং নারী কেলেঙ্কারিসহ বিভিন্ন অনৈতিক কর্মকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত। রুবেলের নামে জাল টাকা চোরাচালানের অভিযোগে দুটি মামলাও আছে।
রুবেল নিজের বাড়িতে বিভিন্ন প্রভাবশালীদের নিয়ে এসে স্ত্রীকে অনৈতিক কর্মকাণ্ডে বাধ্য করাত। তাঁর বাড়ির পুরো এলাকা সিসিটিভি ক্যামেরা দ্বারা নিয়ন্ত্রিত। রুবেলের মারমুখি আচরণের কারণে তাঁর বাসার আশপাশ দিয়ে কেউ যেতেন না। তাঁর বাড়ির পুরো এলাকা বিদ্যুতের তার দিয়ে জড়ানো। সেই তারে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে এর আগে কয়েকজন আহত হয়েছিল।
তবে নিশি মনির বড় ছেলের দাবি, তাঁর মা ২৬ ডিসেম্বার রাতেই নিজ ঘরে তার বাবার সামনে গায়ে কেরোসিন ঢেলে আগুন লাগিয়ে দেন। তবে এ সময় এসিড নিক্ষেপের বিষয় তার কাছ থেকে জানতে চাইলে রুবেলের বড় ভাই আব্দুর রাজ্জাক সাংবাদিকদের ওপরে মারমুখি হন। পরে সেখান থেকে সাংবাদিকেরা চলে আসেন।

এ বিষয়ে নিশি মণির বাবা মোহাম্মাদ আলী আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘গতকাল রুবেলের চাচাতো ভাই ফুল মিয়া আমার স্ত্রী ও আমাকে বাড়ি থেকে তুলে নিয়ে গিয়ে ৩টি স্ট্যাম্পে সই নেয়। আমাকে এবং আমার স্ত্রীকে বলেছিল, ‘আমার মেয়ের নাকি একটা বড় ধরনের অপারেশন করাতে হবে। আজকে সকালে শুনতেছি আমার মেয়ে মারা গেছে। এর মধ্যে যে আমার মেয়ের সঙ্গে এত কিছু হয়ে গেছে, আমরা এর কিছুই জানতাম না। আমি এর সঠিক বিচার চাই।’
নিশির মা আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘হামাকগুলাক (আমাদেরকে) আজ সকালে রুবেলের চাচাতো ভাই বাড়িত থাকি তুলি নিয়া যাওয়ার পর জানিবার পাই রুবেল আমার মেয়ের গায়ে এসিড ঢালি দিছিল। আমাদের নিয়ে গিয়ে তারা তিনটি স্ট্যাম্পে সই নেয়। আর বলে আমার মেয়ের নাকি অপারেশন করা লাগবে। সই নেয়ার পর শুনি আমার মেয়ে মারা গেইছে।’
রুবেলের বোন রেজওয়ানা বেগম (৩৫) বলেন, ‘আমার ভাবি ২৬ (ডিসেম্বর) তারিখ রাত ১০ টায় নিজের গায়ে নিজেই আগুন লাগিয়েছে। পরের দিন ২৭ তারিখ সাড়ে ১০টায় রংপুর মেডিকেলে ভর্তি করাইছে। চিকিৎসকের পরামর্শে আমরা ঢাকায় নিয়ে যাই। ভাইয়ের বউ মারা যাওয়ায় নিজে আত্মহত্যা করার চেষ্টা করায় ভাইকে বাইরে রাখা হইছে।’
এ বিষয়ে গঙ্গাচড়া মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আল এমরান আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘লাশটির সুরতহাল শেষে ময়নাতদন্তের জন্য রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। লিখিত অভিযোগ পেলে তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’

প্রায় ১২ বছর আগে পঞ্চম শ্রেণি পড়ুয়া নিশি মণির সঙ্গে বিয়ে হয় রুবেল মিয়ার। তবে রুবেল মিয়ার মাদক চোরাচালান, জাল টাকা ও নারীদের দিয়ে দেহ ব্যবসার পথে বাধা হয়ে দাঁড়ান নিশি মণি। তিনি ফেরাতে পারেননি রুবেল মিয়াকে। অভিযোগ, একপর্যায়ে তাঁকে বাধ্য করা হয় অনৈতিক কাজে। এমন অত্যাচার নির্যাতন সইতে না পেরে বাড়ি ছাড়েন বেশ কয়েকবার। হয়নি নিস্তার। শেষমেশ স্বামীর বাড়িতেই মিলেছে গৃহবধূ নিশি মণির ঝলসানো লাশ।
গৃহবধূর পরিবার ও প্রতিবেশিদের অভিযোগ, নিশির গায়ে অ্যাসিড ছোড়েন রুবেল। পরে হাসপাতালে অবস্থার অবনতি হলে বাড়িতে নিয়ে আসেন। বাড়িতে আনার পর মারা যান নিশি। তখন ঘটনাকে ভিন্নখাতে নিতে বাড়িতে মোটরসাইকেলে আগুন দিয়েছেন রুবেল মিয়া।
এমন ঘটনা ঘটেছে রংপুরের গঙ্গাচড়া সদর ইউনিয়নের চেংমারী চওরাপাড়া গ্রামে।
সরেজমিনে স্থানীয়দের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, গঙ্গাচড়া সদর ইউনিয়নের নবনী দাস জগারঝার এলাকার মোহাম্মাদ আলীর পঞ্চম শ্রেণি পড়ুয়া মেয়ে নিশি মণির সঙ্গে বিয়ে হয় একই ইউনিয়নের চেংমারী চওরাপাড়ার সেকেন্দার আলীর ছেলে রুবেল মিয়ার। বিয়ের ১ বছরের মাথায় রুবেল মিয়া (৩৬) ও নিশি মণির (বর্তমান বয়স ২২) ঘর আলো করে জন্ম হয় ফুটফুটে এক ছেলে সন্তানের। খুব ভালোই চলছিল তাঁদের সংসার।
এরই মাঝে রুবেল মিয়া হঠাৎ জড়িয়ে পড়েন মাদক চোরাচালান, জাল টাকা এবং বহিরাগত নারীদের দিয়ে দেহ ব্যবসার সঙ্গে। এসব অনৈতিক কাজে স্ত্রী নিশি মণি বাধা দিলে তাঁর ওপরে চলত অমানবিক নির্যাতন। এসব নির্যাতন সহ্য করতে না পেরে মাঝেমধ্যে রাগ করে পাশের গ্রামে বাবার বাসায় চলে যেতেন নিশি মণি। বাবা গরিব হওয়ায় কিছুদিন পর আবার চলে আসতে হতো স্বামী রুবেলের ঘরে।
এরই মধ্যে তাঁদের সংসারে জন্ম নেয় আরও এক ছেলে সন্তান। কিছুদিন যেতে না যেতেই রুবেল মিয়া বাড়িতে বাইরে থেকে পুরুষ নিয়ে এসে নিশি মণিকে অনৈতিক কাজে বাধ্য করাতে থাকেন। নিশি মণি রাজি না হলে তাঁর ওপরে চলতো অমানবিক নির্যাতন। রুবেল মিয়ার ভয়ে আশপাশে লোকজন কেউ তাঁর বাসায় আসতে সাহস পেতেন না। রুবেলের বাবা-মা প্রতিবাদ করলে তাঁদেরও মারধর করা হতো।
নিশি মণি রুবেলের শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন সহ্য করতে না পেরে পরিবারকে জানিয়ে কয়েকবার আত্মগোপনে চলে যান। এরপর অনেক খোঁজাখুঁজির পর স্ত্রীকে না পেয়ে রুবেল নিশি মণির ভাইকে বাড়ি থেকে তুলে এনে মারধর করেন ও নিশির খোঁজ দিতে বাধ্য করান। নিশি ফিরে আসলে এই টানাপোড়েনের সংসার টিকে আরও আট বছর।
সর্বশেষ ১৭ মাস আগে রুবেল ও নিশি মণির সংসারে জন্ম নেয় আরেক মেয়ে সন্তান। সন্তান জন্মের কিছুদিনপর আবারও নিশি মণিকে অনৈতিক কাজে বাধ্য করেন স্বামী রুবেল মিয়া। তাঁর এমন অমানবিক নির্যাতন সহ্য করতে না পেয়ে গত বছরের ডিসেম্বর মাসে বাবার বাড়িতে চলে যান নিশি মণি। এরপর নিশি মণিকে নিতে স্বামী রুবেল শ্বশুরবাড়ি যান। শ্বশুর মোহাম্মাদ আলী মেয়েকে জামাতা রুবেলের হাতে তুলে দিতে না চাইলে রুবেল শ্বশুরবাড়িতে দেশিয় অস্ত্র দিয়ে ভাঙচুর চালায়। পরে ভয়ে মোহাম্মাদ আলী মেয়েকে রুবেলের হাতে তুলে দেন। ওই দিন ২৬ ডিসেম্বর রাতে রুবেল শ্বশুরবাড়ি থেকে স্ত্রীকে নিয়ে বাড়ি ফেরার পর স্ত্রী নিশি মণির গায়ে অ্যাসিড নিক্ষেপ করেন।
অবস্থা গুরুতর হলে রুবেলের পরিবারের লোকজন আহত নিশি মণিকে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যান। সেখানে তাঁর অবস্থা আশঙ্কাজনক হলে তাঁকে ঢাকা শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে পাঠানো হয়। সেখানে তাঁর অবস্থা আরও আশঙ্কাজনক হলে গত ৪ জানুয়ারি নিশি মণিকে সেখান থেকে চুপিসারে বাড়িতে নিয়ে আসে রুবেল ও তাঁর পরিবারের লোকজন।
গতকাল সোমবার রাত দেড়টার দিকে স্বামী রুবেলের বাড়িতে নিশি মণির মৃত্যু হয়। বিষয়টি ধামাচাপা দিতে রুবেলের ঘরে থাকা একটি মোটরসাইকেলে আগুন লাগিয়ে দেয় রুবেল। এরপর তাঁর স্ত্রী আগুনে পুড়ে মারা যাওয়ার মিথ্যা তথ্য ছড়ায় রুবেল ও তাঁর পরিবারের লোকজন।
আজ মঙ্গলবার সকালে তড়িঘড়ি করে নিশি মণির মরদেহটি শ্বশুরবাড়ির লোকজন দাফন করতে গেলে নিশি মণির মৃত্যুর সঠিক তথ্যটি এলাকায় ছড়িয়ে পড়ে। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনা স্থানে উপস্থিত হলে লাশ রেখে রুবেল ও পরিবারের লোকজন পালিয়ে যায়। সাংবাদিকেরা মৃত্যুর খবর পেয়ে সকালে রুবেলের বাড়িতে যায়। সেখানে রুবেলের বড় ছেলের সঙ্গে কথা বলতে চাইলে রুবেলের বড়ভাই আব্দুর রাজ্জাক সাংবাদিকের ওপর মারমুখী হয়। ফলে সাংবাদিকেরা সেখান থেকে চলে আসেন।
এ বিষয়ে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক স্থানীয় কয়েকজন আজকের পত্রিকাকে জানান, রুবেল অনেক আগ থেকে মাদক, জাল টাকা এবং নারী কেলেঙ্কারিসহ বিভিন্ন অনৈতিক কর্মকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত। রুবেলের নামে জাল টাকা চোরাচালানের অভিযোগে দুটি মামলাও আছে।
রুবেল নিজের বাড়িতে বিভিন্ন প্রভাবশালীদের নিয়ে এসে স্ত্রীকে অনৈতিক কর্মকাণ্ডে বাধ্য করাত। তাঁর বাড়ির পুরো এলাকা সিসিটিভি ক্যামেরা দ্বারা নিয়ন্ত্রিত। রুবেলের মারমুখি আচরণের কারণে তাঁর বাসার আশপাশ দিয়ে কেউ যেতেন না। তাঁর বাড়ির পুরো এলাকা বিদ্যুতের তার দিয়ে জড়ানো। সেই তারে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে এর আগে কয়েকজন আহত হয়েছিল।
তবে নিশি মনির বড় ছেলের দাবি, তাঁর মা ২৬ ডিসেম্বার রাতেই নিজ ঘরে তার বাবার সামনে গায়ে কেরোসিন ঢেলে আগুন লাগিয়ে দেন। তবে এ সময় এসিড নিক্ষেপের বিষয় তার কাছ থেকে জানতে চাইলে রুবেলের বড় ভাই আব্দুর রাজ্জাক সাংবাদিকদের ওপরে মারমুখি হন। পরে সেখান থেকে সাংবাদিকেরা চলে আসেন।

এ বিষয়ে নিশি মণির বাবা মোহাম্মাদ আলী আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘গতকাল রুবেলের চাচাতো ভাই ফুল মিয়া আমার স্ত্রী ও আমাকে বাড়ি থেকে তুলে নিয়ে গিয়ে ৩টি স্ট্যাম্পে সই নেয়। আমাকে এবং আমার স্ত্রীকে বলেছিল, ‘আমার মেয়ের নাকি একটা বড় ধরনের অপারেশন করাতে হবে। আজকে সকালে শুনতেছি আমার মেয়ে মারা গেছে। এর মধ্যে যে আমার মেয়ের সঙ্গে এত কিছু হয়ে গেছে, আমরা এর কিছুই জানতাম না। আমি এর সঠিক বিচার চাই।’
নিশির মা আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘হামাকগুলাক (আমাদেরকে) আজ সকালে রুবেলের চাচাতো ভাই বাড়িত থাকি তুলি নিয়া যাওয়ার পর জানিবার পাই রুবেল আমার মেয়ের গায়ে এসিড ঢালি দিছিল। আমাদের নিয়ে গিয়ে তারা তিনটি স্ট্যাম্পে সই নেয়। আর বলে আমার মেয়ের নাকি অপারেশন করা লাগবে। সই নেয়ার পর শুনি আমার মেয়ে মারা গেইছে।’
রুবেলের বোন রেজওয়ানা বেগম (৩৫) বলেন, ‘আমার ভাবি ২৬ (ডিসেম্বর) তারিখ রাত ১০ টায় নিজের গায়ে নিজেই আগুন লাগিয়েছে। পরের দিন ২৭ তারিখ সাড়ে ১০টায় রংপুর মেডিকেলে ভর্তি করাইছে। চিকিৎসকের পরামর্শে আমরা ঢাকায় নিয়ে যাই। ভাইয়ের বউ মারা যাওয়ায় নিজে আত্মহত্যা করার চেষ্টা করায় ভাইকে বাইরে রাখা হইছে।’
এ বিষয়ে গঙ্গাচড়া মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আল এমরান আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘লাশটির সুরতহাল শেষে ময়নাতদন্তের জন্য রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। লিখিত অভিযোগ পেলে তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’

রাজধানীর ডেমরায় ভুয়া ডিবি (গোয়েন্দা) পুলিশ পরিচয়ে এক ব্যক্তিকে অপহরণের চেষ্টা ও চাঁদা দাবির ঘটনায় তিনজনকে গ্রেপ্তার করেছে ডেমরা থানা-পুলিশ। আজ শুক্রবার (২৬ ডিসেম্বর) দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে বাঁশেরপুল ফেয়ার হ্যাভেন ব্লু টাওয়ারের সামনে এ ঘটনা ঘটে।
২ ঘণ্টা আগে
ঢাকার দক্ষিণ কেরানীগঞ্জের হাসনাবাদ এলাকায় একটি মাদ্রাসার একতলা ভবনে বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটেছে। এতে শিশুসহ চারজন আহত হয়েছে। আজ শুক্রবার হাসনাবাদ উম্মুল কুরা ইন্টারন্যাশনাল মাদ্রাসায় এ ঘটনা ঘটে।
২ ঘণ্টা আগে
মো. হানিফ মাঝি (৪২), পেশায় জেলে। বাড়ি উপকূলীয় দ্বীপ জেলা ভোলার চরফ্যাশন উপজেলায়। হতদরিদ্র এই জেলে সারা জীবন নদীতে জাল টেনে জীবিকা নির্বাহ করেন। অসুস্থ স্ত্রী রহিমা বেগমের চিকিৎসার জন্য রওনা হয়ে চাঁদপুরের মেঘনায় লঞ্চ দুর্ঘটনায় প্রাণ হারান তিনি।
৩ ঘণ্টা আগে
কুষ্টিয়ার ভেড়ামারা উপজেলায় পিকআপ ভ্যানের চাপায় মোটরসাইকেল আরোহী দুই কিশোর নিহত হয়েছে। আজ শুক্রবার (২৬ ডিসেম্বর) সন্ধ্যায় উপজেলার বাহিরচর ইউনিয়নের ষোল দাগ ক্যানেলপাড়া হাসপাতাল রোডে এই দুর্ঘটনা ঘটে।
৩ ঘণ্টা আগেশ্যামপুর-কদমতলী (ঢাকা) প্রতিনিধি

রাজধানীর ডেমরায় ভুয়া ডিবি (গোয়েন্দা) পুলিশ পরিচয়ে এক ব্যক্তিকে অপহরণের চেষ্টা ও চাঁদা দাবির ঘটনায় তিনজনকে গ্রেপ্তার করেছে ডেমরা থানা-পুলিশ। আজ শুক্রবার (২৬ ডিসেম্বর) দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে বাঁশেরপুল ফেয়ার হ্যাভেন ব্লু টাওয়ারের সামনে এ ঘটনা ঘটে।
এ ঘটনায় ভুক্তভোগী মো. সোহাগ থানায় একটি মামলা করেন। পুলিশ গ্রেপ্তার ব্যক্তিদের কাছ থেকে একটি সাদা রঙের প্রাইভেট কার, দুটি ওয়াকিটকি ও ওয়াকিটকির চার্জার জব্দ করে।
প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে গ্রেপ্তার ব্যক্তিরা নিজেদের নাম-ঠিকানা প্রকাশ করলেও পলাতক আসামিদের বিষয়ে কোনো তথ্য দেননি।
গ্রেপ্তার ব্যক্তিরা হলেন মো. মাহমুদুল হাসান খান (২৫); তিনি ঝালকাঠি জেলার রাজাপুর থানার নারিকেলবাড়িয়া গ্রামের আমজাদ আলী খানের ছেলে, বর্তমানে নারায়ণগঞ্জ জেলার ফতুল্লা থানার শহীদবাগ মাতুয়াইল মেডিকেল এলাকায় বসবাসকারী। শরীয়তপুর জেলার নড়িয়া থানার করাই বটতলা বিজারী গ্রামের মো. বজলু রশিদের ছেলে মো. হোসেন রানা (২৯); বর্তমানে রাজধানীর যাত্রাবাড়ী থানার ধলপুরের মাদ্রাসা গলি এলাকায় বসবাস করেন। এ ছাড়া ঢাকার কেরানীগঞ্জ থানার দক্ষিণ বাগাপুর গ্রামের মৃত ইউসুফ আলীর ছেলে মো. মমিন (২৪)।
ভুক্তভোগী মো. সোহাগ জানান, জুমার নামাজ পড়ার জন্য বাসা থেকে বের হয়ে বাঁশেরপুল ফেয়ার হ্যাভেন ব্লু টাওয়ারের সামনে পৌঁছালে কয়েকজন ব্যক্তি তাঁর পথ রোধ করে। তারা নিজেদের ডিবি পুলিশ পরিচয় দিয়ে তাঁর বিরুদ্ধে যাত্রাবাড়ী থানায় মামলা রয়েছে বলে দাবি করে এবং থানায় নিয়ে যাওয়ার কথা বলে। এ সময় আসামি মাহমুদুল হাসান খান তাঁকে বাঁচতে হলে ১০ লাখ টাকা দিতে হবে বলে হুমকি দেন।
ভুক্তভোগী পরিবারকে জানাতে চাইলে অভিযুক্তরা জোরপূর্বক তাঁকে একটি প্রাইভেট কারে তোলার চেষ্টা করে এবং তাঁর হাতে থাকা আনুমানিক ৩০ হাজার টাকা মূল্যের একটি হাতঘড়ি ছিনিয়ে নেয়। তিনি চিৎকার করলে স্থানীয় লোকজন এগিয়ে এসে অভিযুক্তদের পরিচয় জানতে চাইলে তাঁদের সঙ্গে থাকা অজ্ঞাতনামা আরও ২-৩ জন কৌশলে পালিয়ে যায়।
তবে স্থানীয়দের সহায়তায় তিনজনকে আটক করা হয়। অভিযুক্তরা কোনো বৈধ পরিচয়পত্র দেখাতে না পারায় পরিস্থিতি উত্তেজনাকর হয়ে উঠলে খবর পেয়ে ডেমরা থানা-পুলিশ দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে এবং আটক ব্যক্তিদের হেফাজতে নেয়।
এ বিষয়ে ডেমরা থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) মো. মুরাদ হোসেন বলেন, খবর পেয়ে পুলিশ দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছে আসামিদের গ্রেপ্তার করে। গ্রেপ্তার ব্যক্তিদের শনিবার আদালতে পাঠানো হবে এবং পলাতক অন্য আসামিদের গ্রেপ্তারে পুলিশের চেষ্ঠা অব্যাহত রয়েছে।

রাজধানীর ডেমরায় ভুয়া ডিবি (গোয়েন্দা) পুলিশ পরিচয়ে এক ব্যক্তিকে অপহরণের চেষ্টা ও চাঁদা দাবির ঘটনায় তিনজনকে গ্রেপ্তার করেছে ডেমরা থানা-পুলিশ। আজ শুক্রবার (২৬ ডিসেম্বর) দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে বাঁশেরপুল ফেয়ার হ্যাভেন ব্লু টাওয়ারের সামনে এ ঘটনা ঘটে।
এ ঘটনায় ভুক্তভোগী মো. সোহাগ থানায় একটি মামলা করেন। পুলিশ গ্রেপ্তার ব্যক্তিদের কাছ থেকে একটি সাদা রঙের প্রাইভেট কার, দুটি ওয়াকিটকি ও ওয়াকিটকির চার্জার জব্দ করে।
প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে গ্রেপ্তার ব্যক্তিরা নিজেদের নাম-ঠিকানা প্রকাশ করলেও পলাতক আসামিদের বিষয়ে কোনো তথ্য দেননি।
গ্রেপ্তার ব্যক্তিরা হলেন মো. মাহমুদুল হাসান খান (২৫); তিনি ঝালকাঠি জেলার রাজাপুর থানার নারিকেলবাড়িয়া গ্রামের আমজাদ আলী খানের ছেলে, বর্তমানে নারায়ণগঞ্জ জেলার ফতুল্লা থানার শহীদবাগ মাতুয়াইল মেডিকেল এলাকায় বসবাসকারী। শরীয়তপুর জেলার নড়িয়া থানার করাই বটতলা বিজারী গ্রামের মো. বজলু রশিদের ছেলে মো. হোসেন রানা (২৯); বর্তমানে রাজধানীর যাত্রাবাড়ী থানার ধলপুরের মাদ্রাসা গলি এলাকায় বসবাস করেন। এ ছাড়া ঢাকার কেরানীগঞ্জ থানার দক্ষিণ বাগাপুর গ্রামের মৃত ইউসুফ আলীর ছেলে মো. মমিন (২৪)।
ভুক্তভোগী মো. সোহাগ জানান, জুমার নামাজ পড়ার জন্য বাসা থেকে বের হয়ে বাঁশেরপুল ফেয়ার হ্যাভেন ব্লু টাওয়ারের সামনে পৌঁছালে কয়েকজন ব্যক্তি তাঁর পথ রোধ করে। তারা নিজেদের ডিবি পুলিশ পরিচয় দিয়ে তাঁর বিরুদ্ধে যাত্রাবাড়ী থানায় মামলা রয়েছে বলে দাবি করে এবং থানায় নিয়ে যাওয়ার কথা বলে। এ সময় আসামি মাহমুদুল হাসান খান তাঁকে বাঁচতে হলে ১০ লাখ টাকা দিতে হবে বলে হুমকি দেন।
ভুক্তভোগী পরিবারকে জানাতে চাইলে অভিযুক্তরা জোরপূর্বক তাঁকে একটি প্রাইভেট কারে তোলার চেষ্টা করে এবং তাঁর হাতে থাকা আনুমানিক ৩০ হাজার টাকা মূল্যের একটি হাতঘড়ি ছিনিয়ে নেয়। তিনি চিৎকার করলে স্থানীয় লোকজন এগিয়ে এসে অভিযুক্তদের পরিচয় জানতে চাইলে তাঁদের সঙ্গে থাকা অজ্ঞাতনামা আরও ২-৩ জন কৌশলে পালিয়ে যায়।
তবে স্থানীয়দের সহায়তায় তিনজনকে আটক করা হয়। অভিযুক্তরা কোনো বৈধ পরিচয়পত্র দেখাতে না পারায় পরিস্থিতি উত্তেজনাকর হয়ে উঠলে খবর পেয়ে ডেমরা থানা-পুলিশ দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে এবং আটক ব্যক্তিদের হেফাজতে নেয়।
এ বিষয়ে ডেমরা থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) মো. মুরাদ হোসেন বলেন, খবর পেয়ে পুলিশ দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছে আসামিদের গ্রেপ্তার করে। গ্রেপ্তার ব্যক্তিদের শনিবার আদালতে পাঠানো হবে এবং পলাতক অন্য আসামিদের গ্রেপ্তারে পুলিশের চেষ্ঠা অব্যাহত রয়েছে।

প্রায় ১২ বছর আগে পঞ্চম শ্রেণি পড়ুয়া নিশি মণির সঙ্গে বিয়ে হয় রুবেল মিয়ার। তবে রুবেল মিয়ার মাদক চোরাচালান, জাল টাকা ও নারীদের দিয়ে দেহ ব্যবসার পথে বাধা হয়ে দাঁড়ান নিশি মণি। তিনি ফেরাতে পারেননি রুবেল মিয়াকে। অভিযোগ, একপর্যায়ে তাঁকে বাধ্য করা হয় অনৈতিক কাজে। এমন অত্যাচার নির্যাতন সইতে না পেরে বাড়ি ছাড়েন
০৮ জানুয়ারি ২০২৫
ঢাকার দক্ষিণ কেরানীগঞ্জের হাসনাবাদ এলাকায় একটি মাদ্রাসার একতলা ভবনে বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটেছে। এতে শিশুসহ চারজন আহত হয়েছে। আজ শুক্রবার হাসনাবাদ উম্মুল কুরা ইন্টারন্যাশনাল মাদ্রাসায় এ ঘটনা ঘটে।
২ ঘণ্টা আগে
মো. হানিফ মাঝি (৪২), পেশায় জেলে। বাড়ি উপকূলীয় দ্বীপ জেলা ভোলার চরফ্যাশন উপজেলায়। হতদরিদ্র এই জেলে সারা জীবন নদীতে জাল টেনে জীবিকা নির্বাহ করেন। অসুস্থ স্ত্রী রহিমা বেগমের চিকিৎসার জন্য রওনা হয়ে চাঁদপুরের মেঘনায় লঞ্চ দুর্ঘটনায় প্রাণ হারান তিনি।
৩ ঘণ্টা আগে
কুষ্টিয়ার ভেড়ামারা উপজেলায় পিকআপ ভ্যানের চাপায় মোটরসাইকেল আরোহী দুই কিশোর নিহত হয়েছে। আজ শুক্রবার (২৬ ডিসেম্বর) সন্ধ্যায় উপজেলার বাহিরচর ইউনিয়নের ষোল দাগ ক্যানেলপাড়া হাসপাতাল রোডে এই দুর্ঘটনা ঘটে।
৩ ঘণ্টা আগেকেরানীগঞ্জ (ঢাকা) প্রতিনিধি

ঢাকার দক্ষিণ কেরানীগঞ্জের হাসনাবাদ এলাকায় একটি মাদ্রাসার একতলা ভবনে বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটেছে। এতে শিশুসহ চারজন আহত হয়েছে। আজ শুক্রবার হাসনাবাদ উন্মুল কুরা ইন্টারন্যাশনাল মাদ্রাসায় এ ঘটনা ঘটে।
আহতরা হলো ওই মাদ্রাসার শিক্ষক আলামিনের দুই ছেলে উমায়েদ (১০) ও আবদুল্লাহ (৮), মেয়ে রাবেয়া (৬) এবং সিএনজিচালিত অটোরিকশার গ্যারেজের শ্রমিক জাকির হোসেন (৪৫)।
খবর পেয়ে দক্ষিণ কেরানীগঞ্জ থানার পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে নেয়। প্রাথমিকভাবে এটি গ্যাস বিস্ফোরণ নয় বলে জানিয়েছে পুলিশ। বিষয়টি তদন্তে র্যাব ও সিআইডির বোম্ব ডিসপোজাল ইউনিটকে জানানো হয়েছে।
বিস্ফোরণে মাদ্রাসা ভবনের জানালার কাচ ভেঙে যায় এবং দেয়ালের একটি অংশ উড়ে যায়। পাশের একটি ভবনও ক্ষতিগ্রস্ত হয়।
এ বিষয়ে দক্ষিণ কেরানীগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সাইফুল আলম বলেন, তদন্ত শেষে বিস্ফোরণের প্রকৃত কারণ জানা যাবে।

ঢাকার দক্ষিণ কেরানীগঞ্জের হাসনাবাদ এলাকায় একটি মাদ্রাসার একতলা ভবনে বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটেছে। এতে শিশুসহ চারজন আহত হয়েছে। আজ শুক্রবার হাসনাবাদ উন্মুল কুরা ইন্টারন্যাশনাল মাদ্রাসায় এ ঘটনা ঘটে।
আহতরা হলো ওই মাদ্রাসার শিক্ষক আলামিনের দুই ছেলে উমায়েদ (১০) ও আবদুল্লাহ (৮), মেয়ে রাবেয়া (৬) এবং সিএনজিচালিত অটোরিকশার গ্যারেজের শ্রমিক জাকির হোসেন (৪৫)।
খবর পেয়ে দক্ষিণ কেরানীগঞ্জ থানার পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে নেয়। প্রাথমিকভাবে এটি গ্যাস বিস্ফোরণ নয় বলে জানিয়েছে পুলিশ। বিষয়টি তদন্তে র্যাব ও সিআইডির বোম্ব ডিসপোজাল ইউনিটকে জানানো হয়েছে।
বিস্ফোরণে মাদ্রাসা ভবনের জানালার কাচ ভেঙে যায় এবং দেয়ালের একটি অংশ উড়ে যায়। পাশের একটি ভবনও ক্ষতিগ্রস্ত হয়।
এ বিষয়ে দক্ষিণ কেরানীগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সাইফুল আলম বলেন, তদন্ত শেষে বিস্ফোরণের প্রকৃত কারণ জানা যাবে।

প্রায় ১২ বছর আগে পঞ্চম শ্রেণি পড়ুয়া নিশি মণির সঙ্গে বিয়ে হয় রুবেল মিয়ার। তবে রুবেল মিয়ার মাদক চোরাচালান, জাল টাকা ও নারীদের দিয়ে দেহ ব্যবসার পথে বাধা হয়ে দাঁড়ান নিশি মণি। তিনি ফেরাতে পারেননি রুবেল মিয়াকে। অভিযোগ, একপর্যায়ে তাঁকে বাধ্য করা হয় অনৈতিক কাজে। এমন অত্যাচার নির্যাতন সইতে না পেরে বাড়ি ছাড়েন
০৮ জানুয়ারি ২০২৫
রাজধানীর ডেমরায় ভুয়া ডিবি (গোয়েন্দা) পুলিশ পরিচয়ে এক ব্যক্তিকে অপহরণের চেষ্টা ও চাঁদা দাবির ঘটনায় তিনজনকে গ্রেপ্তার করেছে ডেমরা থানা-পুলিশ। আজ শুক্রবার (২৬ ডিসেম্বর) দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে বাঁশেরপুল ফেয়ার হ্যাভেন ব্লু টাওয়ারের সামনে এ ঘটনা ঘটে।
২ ঘণ্টা আগে
মো. হানিফ মাঝি (৪২), পেশায় জেলে। বাড়ি উপকূলীয় দ্বীপ জেলা ভোলার চরফ্যাশন উপজেলায়। হতদরিদ্র এই জেলে সারা জীবন নদীতে জাল টেনে জীবিকা নির্বাহ করেন। অসুস্থ স্ত্রী রহিমা বেগমের চিকিৎসার জন্য রওনা হয়ে চাঁদপুরের মেঘনায় লঞ্চ দুর্ঘটনায় প্রাণ হারান তিনি।
৩ ঘণ্টা আগে
কুষ্টিয়ার ভেড়ামারা উপজেলায় পিকআপ ভ্যানের চাপায় মোটরসাইকেল আরোহী দুই কিশোর নিহত হয়েছে। আজ শুক্রবার (২৬ ডিসেম্বর) সন্ধ্যায় উপজেলার বাহিরচর ইউনিয়নের ষোল দাগ ক্যানেলপাড়া হাসপাতাল রোডে এই দুর্ঘটনা ঘটে।
৩ ঘণ্টা আগেশিমুল চৌধুরী, ভোলা

মো. হানিফ মাঝি (৪২), পেশায় জেলে। বাড়ি উপকূলীয় দ্বীপ জেলা ভোলার চরফ্যাশন উপজেলায়। হতদরিদ্র এ জেলে সারা জীবন নদীতে জাল টেনে জীবিকা নির্বাহ করেছেন। অসুস্থ স্ত্রী রহিমা বেগমের চিকিৎসার জন্য রওনা হয়ে চাঁদপুরের মেঘনায় লঞ্চ দুর্ঘটনায় প্রাণ হারান তিনি।
গতকাল বৃহস্পতিবার রাতে ঘন কুয়াশার কারণে মেঘনা নদীতে ঢাকা থেকে বরিশালগামী একটি যাত্রীবাহী লঞ্চের ধাক্কায় জাকির সম্রাট-৩ লঞ্চে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়। মুহূর্তে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়লে অনেকে নদীতে ঝাঁপ দেন।
নদীতে ভাসমান জাকির সম্রাট-৩ থেকে গুরুতর আহত অবস্থায় হানিফসহ কয়েক যাত্রীকে এমভি কর্ণফুলী-৯ লঞ্চযোগে ঢাকার সদরঘাটে নেওয়ার পথে তাঁর মৃত্যু হয়।
হানিফ মাঝি ভোলার চরফ্যাশন উপজেলার আহাম্মদপুর ইউনিয়নের ৯ নম্বর ওয়ার্ডের ফরিদাবাদ গ্রামের মো. গেদু শনির ছেলে।
স্থানীয় লোকজন জানান, চার সন্তান ও স্ত্রীর সংসারে নদীতে মাছ শিকারই হানিফ মাঝির একমাত্র আয়ের পথ। সম্প্রতি স্ত্রী রহিমা বেগম গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়েন। এলাকার হাসপাতালে চিকিৎসায় সুস্থ না হওয়ায় ধারদেনা করে তাঁকে ঢাকায় নেওয়ার সিদ্ধান্ত নেন জেলে হানিফ।
গতকাল বিকেলে স্ত্রীকে নিয়ে চরফ্যাশন উপজেলার ঘোষেরহাট লঞ্চঘাট থেকে এমভি জাকির সম্রাট-৩ লঞ্চে উঠে ঢাকার উদ্দেশে রওনা হন। কিন্তু রাত ২টার দিকে সন্তানেরা খবর পান, তাঁর বাবা হানিফ মাঝি আর নেই।
এ খবর ফরিদাবাদ গ্রামে পৌঁছালে গ্রামজুড়ে শোকের ছায়া নেমে আসে। আজ শুক্রবার বিকেলে নিহত হানিফ মাঝির বাড়িতে চলছে শোকের মাতম। একমাত্র উপার্জনক্ষম বাবাকে হারিয়ে দিশেহারা হয়ে পড়েন হানিফের সন্তানেরা। বসতঘরের সামনে সন্তানেরা কান্নায় ভেঙে পড়েন।
তাঁরা বলেন, ‘আমাদের মা অনেক দিন ধরে অসুস্থ। বাবাই সংসারের একমাত্র উপার্জনকারী। ধারদেনা করে চিকিৎসার জন্য ঢাকায় যাচ্ছিলেন। রাত ১টার দিকে ফোনে খবর পাই, দুর্ঘটনায় বাবা মারা গেছেন।’ বরিশালগামী এমভি অ্যাডভেঞ্চার-৯ লঞ্চ ও জাকির সম্রাট-৩ লঞ্চচালকের বিচার দাবি করেন তাঁরা।
নিহত হানিফের ভাই আক্তার বলেন, চিকিৎসার জন্য যাত্রা করা মানুষটি শেষপর্যন্ত লাশ হলেন। নদীর বুকে ঘটে যাওয়া সংঘর্ষ শুধু দুটি লঞ্চের নয়, এটি গরিব জেলে পরিবারের জীবনের সঙ্গে নিয়তির ভয়াবহ সংঘর্ষ। নিহত হানিফ মাঝির পরিবারকে ক্ষতিপূরণের দাবি করেন তিনি।
এ বিষয়ে দুলারহাট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মিজানুর রহমান আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘দুর্ঘটনায় আহাম্মদপুর ইউনিয়নের হানিফ নামের একজনের নিহতের খবর পেয়েছি। পরিবারের সার্বিক খোঁজখবর নেওয়া হচ্ছে। তবে নৌ পুলিশ লাশের সুরতহাল প্রতিবেদন তৈরি করে ময়নাতদন্ত শেষে পরিবারের কাছে হস্তান্তরের ব্যবস্থা করবে।’

মো. হানিফ মাঝি (৪২), পেশায় জেলে। বাড়ি উপকূলীয় দ্বীপ জেলা ভোলার চরফ্যাশন উপজেলায়। হতদরিদ্র এ জেলে সারা জীবন নদীতে জাল টেনে জীবিকা নির্বাহ করেছেন। অসুস্থ স্ত্রী রহিমা বেগমের চিকিৎসার জন্য রওনা হয়ে চাঁদপুরের মেঘনায় লঞ্চ দুর্ঘটনায় প্রাণ হারান তিনি।
গতকাল বৃহস্পতিবার রাতে ঘন কুয়াশার কারণে মেঘনা নদীতে ঢাকা থেকে বরিশালগামী একটি যাত্রীবাহী লঞ্চের ধাক্কায় জাকির সম্রাট-৩ লঞ্চে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়। মুহূর্তে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়লে অনেকে নদীতে ঝাঁপ দেন।
নদীতে ভাসমান জাকির সম্রাট-৩ থেকে গুরুতর আহত অবস্থায় হানিফসহ কয়েক যাত্রীকে এমভি কর্ণফুলী-৯ লঞ্চযোগে ঢাকার সদরঘাটে নেওয়ার পথে তাঁর মৃত্যু হয়।
হানিফ মাঝি ভোলার চরফ্যাশন উপজেলার আহাম্মদপুর ইউনিয়নের ৯ নম্বর ওয়ার্ডের ফরিদাবাদ গ্রামের মো. গেদু শনির ছেলে।
স্থানীয় লোকজন জানান, চার সন্তান ও স্ত্রীর সংসারে নদীতে মাছ শিকারই হানিফ মাঝির একমাত্র আয়ের পথ। সম্প্রতি স্ত্রী রহিমা বেগম গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়েন। এলাকার হাসপাতালে চিকিৎসায় সুস্থ না হওয়ায় ধারদেনা করে তাঁকে ঢাকায় নেওয়ার সিদ্ধান্ত নেন জেলে হানিফ।
গতকাল বিকেলে স্ত্রীকে নিয়ে চরফ্যাশন উপজেলার ঘোষেরহাট লঞ্চঘাট থেকে এমভি জাকির সম্রাট-৩ লঞ্চে উঠে ঢাকার উদ্দেশে রওনা হন। কিন্তু রাত ২টার দিকে সন্তানেরা খবর পান, তাঁর বাবা হানিফ মাঝি আর নেই।
এ খবর ফরিদাবাদ গ্রামে পৌঁছালে গ্রামজুড়ে শোকের ছায়া নেমে আসে। আজ শুক্রবার বিকেলে নিহত হানিফ মাঝির বাড়িতে চলছে শোকের মাতম। একমাত্র উপার্জনক্ষম বাবাকে হারিয়ে দিশেহারা হয়ে পড়েন হানিফের সন্তানেরা। বসতঘরের সামনে সন্তানেরা কান্নায় ভেঙে পড়েন।
তাঁরা বলেন, ‘আমাদের মা অনেক দিন ধরে অসুস্থ। বাবাই সংসারের একমাত্র উপার্জনকারী। ধারদেনা করে চিকিৎসার জন্য ঢাকায় যাচ্ছিলেন। রাত ১টার দিকে ফোনে খবর পাই, দুর্ঘটনায় বাবা মারা গেছেন।’ বরিশালগামী এমভি অ্যাডভেঞ্চার-৯ লঞ্চ ও জাকির সম্রাট-৩ লঞ্চচালকের বিচার দাবি করেন তাঁরা।
নিহত হানিফের ভাই আক্তার বলেন, চিকিৎসার জন্য যাত্রা করা মানুষটি শেষপর্যন্ত লাশ হলেন। নদীর বুকে ঘটে যাওয়া সংঘর্ষ শুধু দুটি লঞ্চের নয়, এটি গরিব জেলে পরিবারের জীবনের সঙ্গে নিয়তির ভয়াবহ সংঘর্ষ। নিহত হানিফ মাঝির পরিবারকে ক্ষতিপূরণের দাবি করেন তিনি।
এ বিষয়ে দুলারহাট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মিজানুর রহমান আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘দুর্ঘটনায় আহাম্মদপুর ইউনিয়নের হানিফ নামের একজনের নিহতের খবর পেয়েছি। পরিবারের সার্বিক খোঁজখবর নেওয়া হচ্ছে। তবে নৌ পুলিশ লাশের সুরতহাল প্রতিবেদন তৈরি করে ময়নাতদন্ত শেষে পরিবারের কাছে হস্তান্তরের ব্যবস্থা করবে।’

প্রায় ১২ বছর আগে পঞ্চম শ্রেণি পড়ুয়া নিশি মণির সঙ্গে বিয়ে হয় রুবেল মিয়ার। তবে রুবেল মিয়ার মাদক চোরাচালান, জাল টাকা ও নারীদের দিয়ে দেহ ব্যবসার পথে বাধা হয়ে দাঁড়ান নিশি মণি। তিনি ফেরাতে পারেননি রুবেল মিয়াকে। অভিযোগ, একপর্যায়ে তাঁকে বাধ্য করা হয় অনৈতিক কাজে। এমন অত্যাচার নির্যাতন সইতে না পেরে বাড়ি ছাড়েন
০৮ জানুয়ারি ২০২৫
রাজধানীর ডেমরায় ভুয়া ডিবি (গোয়েন্দা) পুলিশ পরিচয়ে এক ব্যক্তিকে অপহরণের চেষ্টা ও চাঁদা দাবির ঘটনায় তিনজনকে গ্রেপ্তার করেছে ডেমরা থানা-পুলিশ। আজ শুক্রবার (২৬ ডিসেম্বর) দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে বাঁশেরপুল ফেয়ার হ্যাভেন ব্লু টাওয়ারের সামনে এ ঘটনা ঘটে।
২ ঘণ্টা আগে
ঢাকার দক্ষিণ কেরানীগঞ্জের হাসনাবাদ এলাকায় একটি মাদ্রাসার একতলা ভবনে বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটেছে। এতে শিশুসহ চারজন আহত হয়েছে। আজ শুক্রবার হাসনাবাদ উম্মুল কুরা ইন্টারন্যাশনাল মাদ্রাসায় এ ঘটনা ঘটে।
২ ঘণ্টা আগে
কুষ্টিয়ার ভেড়ামারা উপজেলায় পিকআপ ভ্যানের চাপায় মোটরসাইকেল আরোহী দুই কিশোর নিহত হয়েছে। আজ শুক্রবার (২৬ ডিসেম্বর) সন্ধ্যায় উপজেলার বাহিরচর ইউনিয়নের ষোল দাগ ক্যানেলপাড়া হাসপাতাল রোডে এই দুর্ঘটনা ঘটে।
৩ ঘণ্টা আগেকুষ্টিয়া প্রতিনিধি

কুষ্টিয়ার ভেড়ামারা উপজেলায় পিকআপ ভ্যানের চাপায় মোটরসাইকেল আরোহী দুই কিশোর নিহত হয়েছে। আজ শুক্রবার (২৬ ডিসেম্বর) সন্ধ্যায় উপজেলার বাহিরচর ইউনিয়নের ষোল দাগ ক্যানেলপাড়া হাসপাতাল রোডে এই দুর্ঘটনা ঘটে।
নিহতরা হলো মিরপুর উপজেলার বিজনগর এলাকার হাবিবুর রহমানের ছেলে সিয়াম শেখ (১৬) এবং একই এলাকার আব্দুল কুদ্দুসের ছেলে আ. রশিদ (১৬)।
পুলিশ ও স্থানীয়রা জানান, আজ বিকেলে সিয়াম ও রশিদ মটরসাইকেল নিয়ে ভেড়ামারার লালন শাহ সেতু, হার্ডিঞ্জ ব্রিজ ও মনি পার্ক এলাকায় ঘুরতে যায়। সন্ধ্যা সাড়ে ৭টায় ষোল দাগ ক্যানেলপাড়া এলাকায় এলে কুষ্টিয়া থেকে আসা একটি পিকআপ ভ্যান তাদের মোটরসাইকেলটিকে চাপা দেয়।
এতে ঘটনাস্থলেই মোটরসাইকেলচালক সিয়াম নিহত হয়। স্থানীয়রা গুরুতর আহত আরেক কিশোর রশিদকে উদ্ধার করে ভেড়ামারা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।
ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে ভেড়ামারা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মুহাম্মদ জাহেদুর রহমান আজকের পত্রিকাকে বলেন, পিকআপ ভ্যানটি জব্দ করা হয়েছে। তবে চালক ও সহকারী পালিয়ে গেছেন।

কুষ্টিয়ার ভেড়ামারা উপজেলায় পিকআপ ভ্যানের চাপায় মোটরসাইকেল আরোহী দুই কিশোর নিহত হয়েছে। আজ শুক্রবার (২৬ ডিসেম্বর) সন্ধ্যায় উপজেলার বাহিরচর ইউনিয়নের ষোল দাগ ক্যানেলপাড়া হাসপাতাল রোডে এই দুর্ঘটনা ঘটে।
নিহতরা হলো মিরপুর উপজেলার বিজনগর এলাকার হাবিবুর রহমানের ছেলে সিয়াম শেখ (১৬) এবং একই এলাকার আব্দুল কুদ্দুসের ছেলে আ. রশিদ (১৬)।
পুলিশ ও স্থানীয়রা জানান, আজ বিকেলে সিয়াম ও রশিদ মটরসাইকেল নিয়ে ভেড়ামারার লালন শাহ সেতু, হার্ডিঞ্জ ব্রিজ ও মনি পার্ক এলাকায় ঘুরতে যায়। সন্ধ্যা সাড়ে ৭টায় ষোল দাগ ক্যানেলপাড়া এলাকায় এলে কুষ্টিয়া থেকে আসা একটি পিকআপ ভ্যান তাদের মোটরসাইকেলটিকে চাপা দেয়।
এতে ঘটনাস্থলেই মোটরসাইকেলচালক সিয়াম নিহত হয়। স্থানীয়রা গুরুতর আহত আরেক কিশোর রশিদকে উদ্ধার করে ভেড়ামারা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।
ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে ভেড়ামারা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মুহাম্মদ জাহেদুর রহমান আজকের পত্রিকাকে বলেন, পিকআপ ভ্যানটি জব্দ করা হয়েছে। তবে চালক ও সহকারী পালিয়ে গেছেন।

প্রায় ১২ বছর আগে পঞ্চম শ্রেণি পড়ুয়া নিশি মণির সঙ্গে বিয়ে হয় রুবেল মিয়ার। তবে রুবেল মিয়ার মাদক চোরাচালান, জাল টাকা ও নারীদের দিয়ে দেহ ব্যবসার পথে বাধা হয়ে দাঁড়ান নিশি মণি। তিনি ফেরাতে পারেননি রুবেল মিয়াকে। অভিযোগ, একপর্যায়ে তাঁকে বাধ্য করা হয় অনৈতিক কাজে। এমন অত্যাচার নির্যাতন সইতে না পেরে বাড়ি ছাড়েন
০৮ জানুয়ারি ২০২৫
রাজধানীর ডেমরায় ভুয়া ডিবি (গোয়েন্দা) পুলিশ পরিচয়ে এক ব্যক্তিকে অপহরণের চেষ্টা ও চাঁদা দাবির ঘটনায় তিনজনকে গ্রেপ্তার করেছে ডেমরা থানা-পুলিশ। আজ শুক্রবার (২৬ ডিসেম্বর) দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে বাঁশেরপুল ফেয়ার হ্যাভেন ব্লু টাওয়ারের সামনে এ ঘটনা ঘটে।
২ ঘণ্টা আগে
ঢাকার দক্ষিণ কেরানীগঞ্জের হাসনাবাদ এলাকায় একটি মাদ্রাসার একতলা ভবনে বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটেছে। এতে শিশুসহ চারজন আহত হয়েছে। আজ শুক্রবার হাসনাবাদ উম্মুল কুরা ইন্টারন্যাশনাল মাদ্রাসায় এ ঘটনা ঘটে।
২ ঘণ্টা আগে
মো. হানিফ মাঝি (৪২), পেশায় জেলে। বাড়ি উপকূলীয় দ্বীপ জেলা ভোলার চরফ্যাশন উপজেলায়। হতদরিদ্র এই জেলে সারা জীবন নদীতে জাল টেনে জীবিকা নির্বাহ করেন। অসুস্থ স্ত্রী রহিমা বেগমের চিকিৎসার জন্য রওনা হয়ে চাঁদপুরের মেঘনায় লঞ্চ দুর্ঘটনায় প্রাণ হারান তিনি।
৩ ঘণ্টা আগে