রংপুর প্রতিনিধি
কোটা সংস্কার আন্দোলনে রংপুরে পুলিশের গুলিতে নিহত বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের (বেরোবি) শিক্ষার্থী আবু সাঈদ হত্যা মামলায় আলফি শাহরিয়ার মাহিম নামে এক কিশোরকে কারাগারে পাঠিয়েছেন আদালত।
এ ঘটনায় আজ বুধবার ভুক্তভোগীর বোন সানজানা আখতার স্নেহা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে একটি পোস্ট দিলে নড়েচড়ে বসে প্রশাসন।
সানজানা উল্লেখ করেন, মাহিমের বয়স ১৬ বছর ১০ মাস। সে রংপুর পুলিশ লাইনস স্কুল অ্যান্ড কলেজের একাদশ শ্রেণির শিক্ষার্থী। রংপুর মহানগরীর চকবাজার এলাকার বাসিন্দা মোহাম্মদ শাহজালালের ছেলে। তারা এক ভাই এক বোন।
এর আগে গত ১৮ জুলাই আটকের পর পুলিশ মাহিমের বাবাকে মোবাইল ফোনে বলে, ‘আপনার ছেলে আমাদের হেফাজতে আছে, জানাজানি করিয়েন না তাতে ছেলের ক্ষতি হবে। তাকে আগামীকাল সকালে ছেড়ে দেওয়া হবে, চিন্তার কিছু নেই।’
এ বিষয়ে যোগাযোগ করা হলে রংপুর মহানগর পুলিশের উপ-পুলিশ কমিশনার আবু মারুফ হোসেন (অপরাধ) আজকের পত্রিকা’কে বলেন, ‘১৮ জুলাই যখন থানায় হামলা ভাঙচুর ও লুটপাট হয়। তখন আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কাছে জিনসের প্যান্ট ও স্যান্ডো গেঞ্জি পড়া অবস্থায় আটক হয় মাহিমকে। পরে তাকে পুলিশের হেফাজতে নেওয়া হয়।’
তিনি বলেন, যেহেতু ১৮ এবং ১৯ তারিখে সংঘাত–সংঘর্ষ নিয়ে পুরো ফোর্স ব্যস্ত ছিল, সে কারণে বিষয়টি যাচাই বাছাই করা সম্ভব হয়নি। মূলত ২০ তারিখ থেকে আমরা যাচাই বাছাই সাপেক্ষে গ্রেপ্তার করেছি। বিষয়টি আমাদের নলেজে আসা মাত্রই পুলিশ কমিশনার মহোদয় সিদ্ধান্ত দিয়েছেন, যেহেতু মাহিম ওই ঘটনার সঙ্গে জড়িত ছিল না। আন্দোলনে অংশ নিয়ে ছিল মাত্র। জামিনের মাধ্যমে তাকে এ মামলা থেকে অব্যাহতি দেওয়া হবে।’
সানজানা আখতার স্নেহা তার ফেসবুক পোস্টে লিখেন, ‘আমার ছোট ভাই মো. আলফি শাহরিয়ার মাহিমকে আবু সাঈদ হত্যা মামলায় গ্রেপ্তার করে কারাগারে পাঠিয়েছে পলিশ। তার বয়স ১৬ বছর ১০ মাস। সে রংপুর পুলিশ লাইনস স্কুল অ্যান্ড কলেজের একাদশ (এইচএসসি ২৫) এর ছাত্র। তার কলেজ আইডি নম্বর ১৭৬৬০। সিদ্দিক মেমোরিয়াল স্কুল অ্যান্ড কলেজের প্রাক্তন ছাত্র ছিল সে।
আমার ভাই অত্যন্ত মেধাবী, শান্ত ভদ্র একটা ছেলে, ১৮ জুলাই সে কলেজের উদ্দেশ্যে বের হলে জানতে পারে পরীক্ষা স্থগিত। তখন বন্ধুদের সঙ্গে মিছিলে জড়িয়ে যায় এবং পুলিশের টিয়ার সেলে বন্ধুদের থেকে আলাদা হয়ে যায়। পরবর্তীতে আমরা ওই দিন আনুমানিক ৪টায় ওর বন্ধুদের থেকে জানতে পারি, তার পায়ে রাবার বুলেট লেগেছে, সেখানকার লোকাল মানুষজন কোনো হসপিটালে এডমিট করিয়েছে।
রাত ১০টা পর্যন্ত সব হসপিটাল–ক্লিনিক খুঁজেও যখন তাকে আমরা পাচ্ছিলাম না। তখন আমার বাবার কাছে পুলিশের একটা কল আসে। তারা আমার বাবাকে জানায়, আপনার ছেলে আমাদের হেফাজতে আছে জানাজানি করিয়েন না তাতে ছেলের ক্ষতি হবে। তাকে আগামীকাল সকালে ছেড়ে দেয়া হবে চিন্তার কিছু নেই।
কিন্তু পরের দিন ১৯ জুলাই সকালে আমরা খোঁজ নিলে পুলিশ অস্বীকার করে বলে তাদের কাছে এই নামে কেউ নেই। এরপর ওই দিন আনুমানিক বিকেল সাড়ে চার টায় কোর্ট থেকে কল আসে তাকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। আমরা কোর্ট থেকে নথিপত্র নিয়ে জানলাম তাকে আবু সাইদ ভাই এর হত্যা মামলায় গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে।
সেদিন থেকে বারবার কারাগারের দরজা থেকে ফিরে এসেছি। একটা বার দেখা তো দূরের কথা, তার কণ্ঠও শুনতে দেয়নি কেউ। এরপর বিষয়টি আমরা কোর্টের মাধ্যমে মোকাবিলা করার চেষ্টা করি। কিন্তু মেট্রোপলিটন কোর্ট তার মামলা কিছুতেই শিশু কোর্টে দিতে চায়নি। অনেক চেষ্টা করে গত ৩০ জুলাই শিশু কোর্টে মামলাটি নেওয়া হয়। পরবর্তী শুনানির তারিখ ধার্য করেছে আগামী ৪ই আগস্ট। ওই দিন কোর্ট কি রায় দিবে, আমার জানা নেই, তবে আমি আমার ভাইকে ফিরে চাই, বেকসুর খালাস দেওয়া হোক এটা চাই।’
তিনি আরও লিখেন, ‘যে ছেলেটা লিগ্যাল ডকুমেন্টস অনুযায়ী শিশু, তাকে তারা কোন হিসেবে এভাবে হ্যারাস করাচ্ছে? সব থেকে বড় কথা তার গায়ে কলেজ ড্রেস ছিল, আইডি ছিল, সে পুলিশদের ইনস্টিটিউটের ছাত্র। এ ক্ষেত্রে কি তার শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, শিক্ষক, সহপাঠী, আইনজীবী কারও কিছুই করার নাই? আমার ভাইকে কোন লজিকে তারা কারাগারে নিল। দেখাও করতে পারছি না আমরা। এর বিচার চাই।’
সানজানা আখতার স্নেহা মোবাইল ফোনে আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘ফেসবুকে পোস্টের পরে পুলিশ কমিশনার আমাকে ডেকেছিলেন। তিনি আমার ভাইয়ের সঙ্গে কারাগার থেকে কথা বলিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করেছিলেন। কিন্তু সম্ভব হয়নি।
তবে পুলিশ কমিশনার আমাদের কথা দিয়েছেন। আমার ভাই নির্দোষ। তাকে কালকে ছেড়ে দেওয়া হবে। এ জন্য একজন পুলিশের অফিসারকে আমাদের সঙ্গে দিয়েছেন। তাকে নিয়ে আমরা আদালতে যাচ্ছি। সেখান গিয়ে কাগজপত্র সব ঠিক করবেন ওই পুলিশ অফিসার। এখন তার সঙ্গে আমরা আছি। আমি আমার নিরপরাধ ভাইয়ের মুক্তি চাই।’
মাহিমের আইনজীবী বাহারুল ইসলাম আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আমার মক্কেল কোনো ধরনের হত্যা, নাশকতা কিংবা ভাঙচুরের সঙ্গে জড়িত নয়। আইন অনুযায়ী সে শিশু। আইনের সংস্পর্শে আসা শিশুর বিচার কখনো পূর্ণবয়স্ক আসামির সঙ্গে হওয়ার সুযোগ নেই। শিশুদের মামলার বিচার হবে শিশু আদালতে। আগামী ৪ আগস্ট তার জামিন শুনানি।’
রংপুর বারের আইনজীবী রায়হান কবীর বলেন, ‘যে ছেলেটি বলছে, তার বয়স ১৬ বছর ১০ মাস; স্বপক্ষে কাগজ দেখাচ্ছে তার পরিবার। তাকে কেন মামলায় ১৮ বছর দেখিয়ে আদালতে পাঠানো হলো? একবার থানা থেকে যোগাযোগে করা হলো। পরে বলা হলো আমাদের কাছে নেই। পরে পাঠানো হলো কারাগারে। এটা বেআইনি।’
তিনি বলেন, ‘আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর যেসব সদস্য আইনের ব্যত্যয় ঘটাবেন, তাঁদের জবাবদিহির আওতায় এনে প্রশাসনিক ব্যবস্থা নেওয়া দরকার। জবাবদিহি না থাকায় আইনের সংস্পর্শে আসা শিশুদের পূর্ণবয়স্ক দেখিয়ে আদালতে পাঠানো হচ্ছে। এতে শিশুরা মানসিক নির্যাতনের শিকার হচ্ছে।’
আরও খবর পড়ুন:
কোটা সংস্কার আন্দোলনে রংপুরে পুলিশের গুলিতে নিহত বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের (বেরোবি) শিক্ষার্থী আবু সাঈদ হত্যা মামলায় আলফি শাহরিয়ার মাহিম নামে এক কিশোরকে কারাগারে পাঠিয়েছেন আদালত।
এ ঘটনায় আজ বুধবার ভুক্তভোগীর বোন সানজানা আখতার স্নেহা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে একটি পোস্ট দিলে নড়েচড়ে বসে প্রশাসন।
সানজানা উল্লেখ করেন, মাহিমের বয়স ১৬ বছর ১০ মাস। সে রংপুর পুলিশ লাইনস স্কুল অ্যান্ড কলেজের একাদশ শ্রেণির শিক্ষার্থী। রংপুর মহানগরীর চকবাজার এলাকার বাসিন্দা মোহাম্মদ শাহজালালের ছেলে। তারা এক ভাই এক বোন।
এর আগে গত ১৮ জুলাই আটকের পর পুলিশ মাহিমের বাবাকে মোবাইল ফোনে বলে, ‘আপনার ছেলে আমাদের হেফাজতে আছে, জানাজানি করিয়েন না তাতে ছেলের ক্ষতি হবে। তাকে আগামীকাল সকালে ছেড়ে দেওয়া হবে, চিন্তার কিছু নেই।’
এ বিষয়ে যোগাযোগ করা হলে রংপুর মহানগর পুলিশের উপ-পুলিশ কমিশনার আবু মারুফ হোসেন (অপরাধ) আজকের পত্রিকা’কে বলেন, ‘১৮ জুলাই যখন থানায় হামলা ভাঙচুর ও লুটপাট হয়। তখন আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কাছে জিনসের প্যান্ট ও স্যান্ডো গেঞ্জি পড়া অবস্থায় আটক হয় মাহিমকে। পরে তাকে পুলিশের হেফাজতে নেওয়া হয়।’
তিনি বলেন, যেহেতু ১৮ এবং ১৯ তারিখে সংঘাত–সংঘর্ষ নিয়ে পুরো ফোর্স ব্যস্ত ছিল, সে কারণে বিষয়টি যাচাই বাছাই করা সম্ভব হয়নি। মূলত ২০ তারিখ থেকে আমরা যাচাই বাছাই সাপেক্ষে গ্রেপ্তার করেছি। বিষয়টি আমাদের নলেজে আসা মাত্রই পুলিশ কমিশনার মহোদয় সিদ্ধান্ত দিয়েছেন, যেহেতু মাহিম ওই ঘটনার সঙ্গে জড়িত ছিল না। আন্দোলনে অংশ নিয়ে ছিল মাত্র। জামিনের মাধ্যমে তাকে এ মামলা থেকে অব্যাহতি দেওয়া হবে।’
সানজানা আখতার স্নেহা তার ফেসবুক পোস্টে লিখেন, ‘আমার ছোট ভাই মো. আলফি শাহরিয়ার মাহিমকে আবু সাঈদ হত্যা মামলায় গ্রেপ্তার করে কারাগারে পাঠিয়েছে পলিশ। তার বয়স ১৬ বছর ১০ মাস। সে রংপুর পুলিশ লাইনস স্কুল অ্যান্ড কলেজের একাদশ (এইচএসসি ২৫) এর ছাত্র। তার কলেজ আইডি নম্বর ১৭৬৬০। সিদ্দিক মেমোরিয়াল স্কুল অ্যান্ড কলেজের প্রাক্তন ছাত্র ছিল সে।
আমার ভাই অত্যন্ত মেধাবী, শান্ত ভদ্র একটা ছেলে, ১৮ জুলাই সে কলেজের উদ্দেশ্যে বের হলে জানতে পারে পরীক্ষা স্থগিত। তখন বন্ধুদের সঙ্গে মিছিলে জড়িয়ে যায় এবং পুলিশের টিয়ার সেলে বন্ধুদের থেকে আলাদা হয়ে যায়। পরবর্তীতে আমরা ওই দিন আনুমানিক ৪টায় ওর বন্ধুদের থেকে জানতে পারি, তার পায়ে রাবার বুলেট লেগেছে, সেখানকার লোকাল মানুষজন কোনো হসপিটালে এডমিট করিয়েছে।
রাত ১০টা পর্যন্ত সব হসপিটাল–ক্লিনিক খুঁজেও যখন তাকে আমরা পাচ্ছিলাম না। তখন আমার বাবার কাছে পুলিশের একটা কল আসে। তারা আমার বাবাকে জানায়, আপনার ছেলে আমাদের হেফাজতে আছে জানাজানি করিয়েন না তাতে ছেলের ক্ষতি হবে। তাকে আগামীকাল সকালে ছেড়ে দেয়া হবে চিন্তার কিছু নেই।
কিন্তু পরের দিন ১৯ জুলাই সকালে আমরা খোঁজ নিলে পুলিশ অস্বীকার করে বলে তাদের কাছে এই নামে কেউ নেই। এরপর ওই দিন আনুমানিক বিকেল সাড়ে চার টায় কোর্ট থেকে কল আসে তাকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। আমরা কোর্ট থেকে নথিপত্র নিয়ে জানলাম তাকে আবু সাইদ ভাই এর হত্যা মামলায় গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে।
সেদিন থেকে বারবার কারাগারের দরজা থেকে ফিরে এসেছি। একটা বার দেখা তো দূরের কথা, তার কণ্ঠও শুনতে দেয়নি কেউ। এরপর বিষয়টি আমরা কোর্টের মাধ্যমে মোকাবিলা করার চেষ্টা করি। কিন্তু মেট্রোপলিটন কোর্ট তার মামলা কিছুতেই শিশু কোর্টে দিতে চায়নি। অনেক চেষ্টা করে গত ৩০ জুলাই শিশু কোর্টে মামলাটি নেওয়া হয়। পরবর্তী শুনানির তারিখ ধার্য করেছে আগামী ৪ই আগস্ট। ওই দিন কোর্ট কি রায় দিবে, আমার জানা নেই, তবে আমি আমার ভাইকে ফিরে চাই, বেকসুর খালাস দেওয়া হোক এটা চাই।’
তিনি আরও লিখেন, ‘যে ছেলেটা লিগ্যাল ডকুমেন্টস অনুযায়ী শিশু, তাকে তারা কোন হিসেবে এভাবে হ্যারাস করাচ্ছে? সব থেকে বড় কথা তার গায়ে কলেজ ড্রেস ছিল, আইডি ছিল, সে পুলিশদের ইনস্টিটিউটের ছাত্র। এ ক্ষেত্রে কি তার শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, শিক্ষক, সহপাঠী, আইনজীবী কারও কিছুই করার নাই? আমার ভাইকে কোন লজিকে তারা কারাগারে নিল। দেখাও করতে পারছি না আমরা। এর বিচার চাই।’
সানজানা আখতার স্নেহা মোবাইল ফোনে আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘ফেসবুকে পোস্টের পরে পুলিশ কমিশনার আমাকে ডেকেছিলেন। তিনি আমার ভাইয়ের সঙ্গে কারাগার থেকে কথা বলিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করেছিলেন। কিন্তু সম্ভব হয়নি।
তবে পুলিশ কমিশনার আমাদের কথা দিয়েছেন। আমার ভাই নির্দোষ। তাকে কালকে ছেড়ে দেওয়া হবে। এ জন্য একজন পুলিশের অফিসারকে আমাদের সঙ্গে দিয়েছেন। তাকে নিয়ে আমরা আদালতে যাচ্ছি। সেখান গিয়ে কাগজপত্র সব ঠিক করবেন ওই পুলিশ অফিসার। এখন তার সঙ্গে আমরা আছি। আমি আমার নিরপরাধ ভাইয়ের মুক্তি চাই।’
মাহিমের আইনজীবী বাহারুল ইসলাম আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আমার মক্কেল কোনো ধরনের হত্যা, নাশকতা কিংবা ভাঙচুরের সঙ্গে জড়িত নয়। আইন অনুযায়ী সে শিশু। আইনের সংস্পর্শে আসা শিশুর বিচার কখনো পূর্ণবয়স্ক আসামির সঙ্গে হওয়ার সুযোগ নেই। শিশুদের মামলার বিচার হবে শিশু আদালতে। আগামী ৪ আগস্ট তার জামিন শুনানি।’
রংপুর বারের আইনজীবী রায়হান কবীর বলেন, ‘যে ছেলেটি বলছে, তার বয়স ১৬ বছর ১০ মাস; স্বপক্ষে কাগজ দেখাচ্ছে তার পরিবার। তাকে কেন মামলায় ১৮ বছর দেখিয়ে আদালতে পাঠানো হলো? একবার থানা থেকে যোগাযোগে করা হলো। পরে বলা হলো আমাদের কাছে নেই। পরে পাঠানো হলো কারাগারে। এটা বেআইনি।’
তিনি বলেন, ‘আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর যেসব সদস্য আইনের ব্যত্যয় ঘটাবেন, তাঁদের জবাবদিহির আওতায় এনে প্রশাসনিক ব্যবস্থা নেওয়া দরকার। জবাবদিহি না থাকায় আইনের সংস্পর্শে আসা শিশুদের পূর্ণবয়স্ক দেখিয়ে আদালতে পাঠানো হচ্ছে। এতে শিশুরা মানসিক নির্যাতনের শিকার হচ্ছে।’
আরও খবর পড়ুন:
চট্টগ্রাম নগরে পরীর পাহাড়ে যাতায়াতের দুর্ভোগ কমাতে বছরখানেক আগে সড়কের পাশের ২৩ শতক জায়গার ওপর গড়ে ওঠা অবৈধ দখলদারদের স্থাপনা ভেঙে দিয়েছিলেন তৎকালীন জেলা প্রশাসক। উচ্ছেদের পর সেখানে জনস্বার্থে প্রকল্প বাস্তবায়নের কথা ছিল। জুলাই-আগস্ট অভ্যুত্থানের পর ডিসি রদবদল হলে সেই উদ্ধার করা জায়গা আরেক দখলদারের
৩৯ মিনিট আগেসিলেটের ১৩৩ বছরের পুরোনো এমসি কলেজ। এর ছাত্রাবাসের সপ্তম ব্লকে ১২৮ জন শিক্ষার্থীর পাশাপাশি কলেজের কয়েকজন কর্মচারীও থাকেন। কিন্তু বেশ কয়েক দিন ধরে পানির তীব্র সংকট থাকায় ভোগান্তিতে পড়েছেন শিক্ষার্থীরা। গোসল করা দূরে থাক, প্রয়োজনীয় খাওয়ার পানিও পাচ্ছেন না তাঁরা। তাই অনেকে বাধ্য হয়ে নিজ নিজ বাড়িতে চলে
১ ঘণ্টা আগেটানা বৃষ্টি আর উজানের ঢলে পদ্মা নদীতে বৃদ্ধি পাচ্ছে পানি। এতে চাঁপাইনবাবগঞ্জ সদর ও শিবগঞ্জ উপজেলার চরাঞ্চল ডুবে পানিবন্দী হয়ে পড়েছে পাঁচটি ইউনিয়নের নিম্নাঞ্চলের সাড়ে ৬ হাজার পরিবার। অন্যদিকে কুষ্টিয়ার দৌলতপুরের পদ্মার চরের নিম্নাঞ্চলের আবাদি জমি ও চলাচলের রাস্তা ডুবে গেছে। ইতিমধ্যে রামকৃষ্ণপুর
১ ঘণ্টা আগেরংপুরের তারাগঞ্জে গণপিটুনিতে শ্বশুর রূপলাল দাস (৪৫) ও জামাই প্রদীপ লালের (৩৫) প্রাণহানির পেছনে আইনশৃঙ্খলাহীনতাকে দুষছেন স্থানীয় লোকজন। তাঁরা বলছেন, গত কয়েক দিনের চুরি, ছিনতাই ও হত্যাকাণ্ড-সংশ্লিষ্ট অপরাধের কারণে স্থানীয় জনতার ভেতর মবের মনোভাব তৈরি হয়েছে। পাশাপাশি পুলিশও সেভাবে তৎপর নয়। এসব কারণেই শ্
১ ঘণ্টা আগে