আব্দুর রহিম পায়েল, গঙ্গাচড়া
ছোট্ট একটি ডিঙি নৌকা। একটি পরিবারের বেঁচে থাকার একমাত্র সম্বল। একসময় অনেক জমিজমা ছিল। আজ একেবারেই নিঃস্ব। তিস্তা নদী কেড়ে নিয়েছে তাঁর সবকিছু। ডিঙি নৌকাটি আঁকড়ে ধরেই গত ৩০ বছর ধরে জীবিকা নির্বাহ করে আসছেন আব্দুল মতিন।
আব্দুল মতিনের (৫৫) বাড়ি রংপুরের গঙ্গাচড়া উপজেলার গজঘণ্টা ইউনিয়নের চর ছালাপাক গ্রামে।
বর্তমানে ছালাপাক গ্রামের অধিকাংশ স্থানই তিস্তা নদীর গর্ভে রয়েছে। অবশিষ্টাংশ রয়েছে চর হিসেবে। তাই গ্রামটিকে এখন বলা হয় চর ছালাপাক গ্রাম। এই গ্রামের অধিবাসী সবাই নদীভাঙা পরিবার। এদের কেউ কেউ ১০ বার পর্যন্ত নদীভাঙনের শিকার হয়েছে।
আব্দুল মতিনের পিতা মৃত আব্দুল আউয়াল। তিনিও জন্মেছিলেন ওই ছালাপাক গ্রামে। আব্দুল আউয়ালের ছিল চাষাবাদের ২ বিশের অধিক (প্রায় ৬ একর) জমি। তাঁর ছিল ফলের বাগান, পুকুরে মাছ, গোয়ালভরা গরু-ছাগল। ছিল দুধের গাভি, হাঁস, মুরগি, কবুতর। মাছ, মাংস, দুধ, ডিম— কোনো কিছুরই অভাব ছিল না তাঁর সংসারে। চার ছেলে, তিন মেয়ে ও স্ত্রী নিয়ে তাঁর ছিল সুখী-সমৃদ্ধ একটি পরিবার। প্রায় ৩০ বছর আগের কথা। সর্বনাশা তিস্তার ভয়াল থাবার শিকার হয় আব্দুল আউয়ালের পরিবার। নিঃস্ব আব্দুল আউয়াল ছালাপাক চরেই বসতি গড়েন অন্যের জমিতে। এরই মধ্যে রোগে-শোকে ভুগে অল্প দিনের মধ্যে মারা যান তিনি। পরে মতিন মিয়াসহ আব্দুল আউয়ালের অন্য ছেলেরা অন্যের জমিতে কাজ করে কিংবা বিভিন্ন জেলায় গিয়ে দিনমজুরের কাজ করে জীবিকা চালাতে থাকেন। পর্যায়ক্রমে চার ছেলেই বিয়ে করে নিজ নিজ সংসার গড়েন।
আব্দুল মতিনের পরিচয় এখন মতিন মাঝি। ছোট্ট নৌকাটি বড় করার সাধ তাঁর ৩০ বছরের। এই সাধ আজও পূরণ হয়নি। ছোট্ট ডিঙি নৌকায় একসঙ্গে তিন-চারজনের বেশি পারাপার করা যায় না। চার ছেলের বড়টি ঢাকায় গার্মেন্টসে কাজ করেন। দ্বিতীয় ছেলে দিনমজুরি করেন। বড় মেয়ের বিয়ে হয়েছে। ছোট ২ ছেলে ও ১ মেয়ে গ্রামের স্কুলে লেখাপড়া করছে।
ছোট্ট একটি ডিঙি নৌকা। একটি পরিবারের বেঁচে থাকার একমাত্র সম্বল। একসময় অনেক জমিজমা ছিল। আজ একেবারেই নিঃস্ব। তিস্তা নদী কেড়ে নিয়েছে তাঁর সবকিছু। ডিঙি নৌকাটি আঁকড়ে ধরেই গত ৩০ বছর ধরে জীবিকা নির্বাহ করে আসছেন আব্দুল মতিন।
আব্দুল মতিনের (৫৫) বাড়ি রংপুরের গঙ্গাচড়া উপজেলার গজঘণ্টা ইউনিয়নের চর ছালাপাক গ্রামে।
বর্তমানে ছালাপাক গ্রামের অধিকাংশ স্থানই তিস্তা নদীর গর্ভে রয়েছে। অবশিষ্টাংশ রয়েছে চর হিসেবে। তাই গ্রামটিকে এখন বলা হয় চর ছালাপাক গ্রাম। এই গ্রামের অধিবাসী সবাই নদীভাঙা পরিবার। এদের কেউ কেউ ১০ বার পর্যন্ত নদীভাঙনের শিকার হয়েছে।
আব্দুল মতিনের পিতা মৃত আব্দুল আউয়াল। তিনিও জন্মেছিলেন ওই ছালাপাক গ্রামে। আব্দুল আউয়ালের ছিল চাষাবাদের ২ বিশের অধিক (প্রায় ৬ একর) জমি। তাঁর ছিল ফলের বাগান, পুকুরে মাছ, গোয়ালভরা গরু-ছাগল। ছিল দুধের গাভি, হাঁস, মুরগি, কবুতর। মাছ, মাংস, দুধ, ডিম— কোনো কিছুরই অভাব ছিল না তাঁর সংসারে। চার ছেলে, তিন মেয়ে ও স্ত্রী নিয়ে তাঁর ছিল সুখী-সমৃদ্ধ একটি পরিবার। প্রায় ৩০ বছর আগের কথা। সর্বনাশা তিস্তার ভয়াল থাবার শিকার হয় আব্দুল আউয়ালের পরিবার। নিঃস্ব আব্দুল আউয়াল ছালাপাক চরেই বসতি গড়েন অন্যের জমিতে। এরই মধ্যে রোগে-শোকে ভুগে অল্প দিনের মধ্যে মারা যান তিনি। পরে মতিন মিয়াসহ আব্দুল আউয়ালের অন্য ছেলেরা অন্যের জমিতে কাজ করে কিংবা বিভিন্ন জেলায় গিয়ে দিনমজুরের কাজ করে জীবিকা চালাতে থাকেন। পর্যায়ক্রমে চার ছেলেই বিয়ে করে নিজ নিজ সংসার গড়েন।
আব্দুল মতিনের পরিচয় এখন মতিন মাঝি। ছোট্ট নৌকাটি বড় করার সাধ তাঁর ৩০ বছরের। এই সাধ আজও পূরণ হয়নি। ছোট্ট ডিঙি নৌকায় একসঙ্গে তিন-চারজনের বেশি পারাপার করা যায় না। চার ছেলের বড়টি ঢাকায় গার্মেন্টসে কাজ করেন। দ্বিতীয় ছেলে দিনমজুরি করেন। বড় মেয়ের বিয়ে হয়েছে। ছোট ২ ছেলে ও ১ মেয়ে গ্রামের স্কুলে লেখাপড়া করছে।
শেখ মুজিবুর রহমানকে হত্যার ৫০তম বার্ষিকী উপলক্ষে নরসিংদীর রায়পুরায় শোকসভা করার অভিযোগে আওয়ামী লীগের এক নেতাকে আটক করেছে পুলিশ। আজ শুক্রবার উপজেলার পলাশতলী ইউনিয়নের ৫ নম্বর ওয়ার্ড এলাকা থেকে তাঁকে আটক করা হয়।
৯ মিনিট আগেদগ্ধ ব্যক্তিরা হলেন ওই ভবনের বাসাভাড়া নিয়ে থাকা গোপালগঞ্জের কোটালিপাড়া উপজেলার বান্ধাবাড়ী গ্রামের সবুজ শেখ (৪২), দুই ছেলে রবিউল শেখ (১৯), রমজান শেখ (১৩), দুই মেয়ে তাসনিয়া (৬) তাসফিয়া (২) ও বোন ঝুমুর বেগম (৩৮) এবং ভোলা জেলার চরফ্যাশন উপজেলার চরনাজিমউদ্দিন গ্রামের আব্বাস উদ্দীন (৩৯)।
১৮ মিনিট আগেভোলাগঞ্জের পর জাফলংয়েও লুট হওয়া পাথর উদ্ধারে কঠোর পদক্ষেপ নিয়েছে উপজেলা প্রশাসন। গত দুই দিন উপজেলা প্রশাসনের সমন্বয়ে গঠিত টাস্কফোর্স অভিযান চালিয়ে সাড়ে ৮ হাজার ঘনফুট পাথর উদ্ধার করেছে। পরে সেগুলো জাফলং জিরো পয়েন্টে প্রতিস্থাপন করা হয়।
২৩ মিনিট আগেসিলেটের ভোলাগঞ্জের সাদাপাথর লুটপাটের পর সেগুলো ভোলাগঞ্জ ও ধোপাগুল এলাকায় ক্রাশার মেশিনে ভাঙার জন্য স্তূপ করে রাখা হয়। পরে যখন অভিযান শুরু হয়, তখন সেগুলো ওই ব্যবসায়ীরা বালু ও মাটি দিয়ে ঢেকে ফেলেন। আজ শুক্রবার সেখানে অভিযান চালিয়ে পথরগুলো উদ্ধার করা হয়।
৪১ মিনিট আগে