প্রতিনিধি, সুন্দরগঞ্জ (গাইবান্ধা)
সুন্দরগঞ্জ পৌরসভার রামডাকুয়ায় তিস্তা নদীর ওপর নির্মিত সেতুর সংযোগ সড়কের সংস্কার কাজ শুরু করা হয়েছে। তবে এতে সন্তোষ না সেতুর দুপাশের মানুষ।
এর আগে গতকাল মঙ্গলবার আজকের পত্রিকা অনলাইনে ‘উদ্বোধনের আগেই সেতুর সংযোগ সড়কে ধস’ ও আজ বুধবার পত্রিকায় ‘সেতু উদ্বোধনের আগেই ধস’ শিরোনামে সংবাদ প্রকাশিত হয় দৈনিক আজকের পত্রিকায়। বিষয়টি সংশ্লিষ্ট কর্তাদের নজরে আসলে দ্রুত তাঁরা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন এবং সংস্কার করতে নির্দেশ দেন।
উপজেলা প্রকৌশলী মোহাম্মদ আবুল মনছুর বলেন, সংবাদ প্রকাশের পর বিষয়টি আমার নজরে আসে। দ্রুত ঘটনাস্থল পরিদর্শন করি এবং সংস্কার করতে নির্দেশ দিই সংশ্লিষ্ট ঠিকাদার প্রতিষ্ঠানকে। সংস্কার কাজও শুরু করেছেন তাঁরা।
আবুল মনছুর আরও বলেন, ‘সংযোগ সড়কের স্লোপ যে পরিমাণ লম্বা দেওয়ার কথা ছিল সে পরিমাণ লম্বা করতে পারিনি আমরা। পার্শ্ববর্তী জমির মালিকগণ এতে অসহযোগিতা করেছেন। সে কারণে আজ এ অবস্থা। সংস্কার কাজ চলছে, দেখি কি হয়। তবে বৃষ্টির পানি নিষ্কাশনে কাজের শুরুতে সংযোগ সড়কের দুপাশে দুটি ঢাল দেওয়া লাগত।’ সংযোগ সড়কে আর যাই হোক সেতুর কোনো ক্ষতি হবে না বলেও জানান এ কর্মকর্তা।
সংস্কার কাজে নিয়োজিত মিস্ত্রি মামুনুর রশীদ নিলু বলেন, ধসে যাওয়া অংশটুকুই মেরামত করতে বলা হয়েছে আমাদের। এতে সংযোগ সড়কে ঝুঁকি থেকেই গেল।
স্থানীয় প্রভাষক আশরাফুল ইসলাম খন্দকার বলেন, কাজের শুরুতেই তাঁরা ভুল করেছেন। সংযোগ সড়ক রক্ষায় সড়কের দু’পাশে থাকা গার্ড ওয়াল দুটিতে টানা দেওয়া উচিত ছিল। এখনই গার্ড ওয়াল দুটি হেলে পড়েছে। আবার কোথাও কোথাও ফাটলও দেখা দিয়েছে। ভরা বর্ষায় এ ব্রিজ ব্যবহার করতে পারবেন কি’না তা নিয়ে শঙ্কায় প্রকাশ করেন তিনি।
উপজেলা প্রকৌশলী অফিস সূত্রে জানা যায়, ২০১৯ সালে রামডাকুয়া সেতুটির নির্মাণকাজ শুরু করেন এলজিইডি। এ কাজের দায়িত্ব পায় ঢাকার ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান পুরকৌশল প্রযুক্তি লিমিটেড। পিসি গার্ডার সেতুটির দুই পাশের সংযোগ সড়কসহ ৯৬ মিটার লম্বা। নির্মাণকাজে ব্যয় ধরা হয়েছে ৫ কোটি ৫৭ লাখ ৯৮ হাজার ৪৪৪ টাকা। গত মার্চ-এপ্রিলের দিকে সেতুটির নির্মাণকাজ শেষ হলেও এখনো আনুষ্ঠানিকভাবে উদ্বোধন করা হয়নি।
স্থানীয়রা বলেন, উপজেলার বেলকা, হরিপুর, তারাপুর ইউনিয়নসহ পার্শ্ববর্তী কুড়িগ্রাম জেলার উলিপুর ও চিলমারী উপজেলার প্রায় ২০ গ্রামের লোকজন প্রতিদিন যাতায়াত করে তিস্তার এই শাখা নদী দিয়ে। সেতু না থাকায় কখনো নৌকা, কখনো বাঁশের সাঁকো আবার কখনো কাঠের সাঁকো দিয়ে চলাচল করতেন তাঁরা। কিন্তু তাঁদের দীর্ঘদিনের দাবি ছিল এখানে একটি সেতু নির্মাণ করা। অবশেষ ২০১৯ সালে শুরু হয় সেতুটির নির্মাণকাজ। শেষ হয় গত মার্চ-এপ্রিল মাসের দিকে। আনুষ্ঠানিকভাবে উদ্বোধন করা হয়নি। তবে লোকজনসহ সব ধরনের যানবাহন চলাচল করছে সেতুটি দিয়ে।
এরই মধ্যে গত রোববার বিকেলে মুষলধারে বৃষ্টি হয় ঘণ্টা দু-এক। এতেই সেতুর পূর্ব পাশের সংযোগ সড়কে ধস দেওয়া দেয়।
ক্ষোভ প্রকাশ করে তাঁরা বলেন, সেতু নির্মাণের শুরু থেকেই নিম্নমানের সামগ্রী ব্যবহার ও কাজে ব্যাপক অনিয়ম ছিল। আমরা ৪ / ৫ বার অভিযোগ করেছিলাম। কিন্তু ঠিকার বা এলজিইডি অফিসের লোকজন আমাদের কথায় গুরুত্ব দেননি। মনগড়া কাজ করেছেন তাঁরা।
সুন্দরগঞ্জ পৌরসভার রামডাকুয়ায় তিস্তা নদীর ওপর নির্মিত সেতুর সংযোগ সড়কের সংস্কার কাজ শুরু করা হয়েছে। তবে এতে সন্তোষ না সেতুর দুপাশের মানুষ।
এর আগে গতকাল মঙ্গলবার আজকের পত্রিকা অনলাইনে ‘উদ্বোধনের আগেই সেতুর সংযোগ সড়কে ধস’ ও আজ বুধবার পত্রিকায় ‘সেতু উদ্বোধনের আগেই ধস’ শিরোনামে সংবাদ প্রকাশিত হয় দৈনিক আজকের পত্রিকায়। বিষয়টি সংশ্লিষ্ট কর্তাদের নজরে আসলে দ্রুত তাঁরা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন এবং সংস্কার করতে নির্দেশ দেন।
উপজেলা প্রকৌশলী মোহাম্মদ আবুল মনছুর বলেন, সংবাদ প্রকাশের পর বিষয়টি আমার নজরে আসে। দ্রুত ঘটনাস্থল পরিদর্শন করি এবং সংস্কার করতে নির্দেশ দিই সংশ্লিষ্ট ঠিকাদার প্রতিষ্ঠানকে। সংস্কার কাজও শুরু করেছেন তাঁরা।
আবুল মনছুর আরও বলেন, ‘সংযোগ সড়কের স্লোপ যে পরিমাণ লম্বা দেওয়ার কথা ছিল সে পরিমাণ লম্বা করতে পারিনি আমরা। পার্শ্ববর্তী জমির মালিকগণ এতে অসহযোগিতা করেছেন। সে কারণে আজ এ অবস্থা। সংস্কার কাজ চলছে, দেখি কি হয়। তবে বৃষ্টির পানি নিষ্কাশনে কাজের শুরুতে সংযোগ সড়কের দুপাশে দুটি ঢাল দেওয়া লাগত।’ সংযোগ সড়কে আর যাই হোক সেতুর কোনো ক্ষতি হবে না বলেও জানান এ কর্মকর্তা।
সংস্কার কাজে নিয়োজিত মিস্ত্রি মামুনুর রশীদ নিলু বলেন, ধসে যাওয়া অংশটুকুই মেরামত করতে বলা হয়েছে আমাদের। এতে সংযোগ সড়কে ঝুঁকি থেকেই গেল।
স্থানীয় প্রভাষক আশরাফুল ইসলাম খন্দকার বলেন, কাজের শুরুতেই তাঁরা ভুল করেছেন। সংযোগ সড়ক রক্ষায় সড়কের দু’পাশে থাকা গার্ড ওয়াল দুটিতে টানা দেওয়া উচিত ছিল। এখনই গার্ড ওয়াল দুটি হেলে পড়েছে। আবার কোথাও কোথাও ফাটলও দেখা দিয়েছে। ভরা বর্ষায় এ ব্রিজ ব্যবহার করতে পারবেন কি’না তা নিয়ে শঙ্কায় প্রকাশ করেন তিনি।
উপজেলা প্রকৌশলী অফিস সূত্রে জানা যায়, ২০১৯ সালে রামডাকুয়া সেতুটির নির্মাণকাজ শুরু করেন এলজিইডি। এ কাজের দায়িত্ব পায় ঢাকার ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান পুরকৌশল প্রযুক্তি লিমিটেড। পিসি গার্ডার সেতুটির দুই পাশের সংযোগ সড়কসহ ৯৬ মিটার লম্বা। নির্মাণকাজে ব্যয় ধরা হয়েছে ৫ কোটি ৫৭ লাখ ৯৮ হাজার ৪৪৪ টাকা। গত মার্চ-এপ্রিলের দিকে সেতুটির নির্মাণকাজ শেষ হলেও এখনো আনুষ্ঠানিকভাবে উদ্বোধন করা হয়নি।
স্থানীয়রা বলেন, উপজেলার বেলকা, হরিপুর, তারাপুর ইউনিয়নসহ পার্শ্ববর্তী কুড়িগ্রাম জেলার উলিপুর ও চিলমারী উপজেলার প্রায় ২০ গ্রামের লোকজন প্রতিদিন যাতায়াত করে তিস্তার এই শাখা নদী দিয়ে। সেতু না থাকায় কখনো নৌকা, কখনো বাঁশের সাঁকো আবার কখনো কাঠের সাঁকো দিয়ে চলাচল করতেন তাঁরা। কিন্তু তাঁদের দীর্ঘদিনের দাবি ছিল এখানে একটি সেতু নির্মাণ করা। অবশেষ ২০১৯ সালে শুরু হয় সেতুটির নির্মাণকাজ। শেষ হয় গত মার্চ-এপ্রিল মাসের দিকে। আনুষ্ঠানিকভাবে উদ্বোধন করা হয়নি। তবে লোকজনসহ সব ধরনের যানবাহন চলাচল করছে সেতুটি দিয়ে।
এরই মধ্যে গত রোববার বিকেলে মুষলধারে বৃষ্টি হয় ঘণ্টা দু-এক। এতেই সেতুর পূর্ব পাশের সংযোগ সড়কে ধস দেওয়া দেয়।
ক্ষোভ প্রকাশ করে তাঁরা বলেন, সেতু নির্মাণের শুরু থেকেই নিম্নমানের সামগ্রী ব্যবহার ও কাজে ব্যাপক অনিয়ম ছিল। আমরা ৪ / ৫ বার অভিযোগ করেছিলাম। কিন্তু ঠিকার বা এলজিইডি অফিসের লোকজন আমাদের কথায় গুরুত্ব দেননি। মনগড়া কাজ করেছেন তাঁরা।
চট্টগ্রাম নগরে পরীর পাহাড়ে যাতায়াতের দুর্ভোগ কমাতে বছরখানেক আগে সড়কের পাশের ২৩ শতক জায়গার ওপর গড়ে ওঠা অবৈধ দখলদারদের স্থাপনা ভেঙে দিয়েছিলেন তৎকালীন জেলা প্রশাসক। উচ্ছেদের পর সেখানে জনস্বার্থে প্রকল্প বাস্তবায়নের কথা ছিল। জুলাই-আগস্ট অভ্যুত্থানের পর ডিসি রদবদল হলে সেই উদ্ধার করা জায়গা আরেক দখলদারের
৩৫ মিনিট আগেসিলেটের ১৩৩ বছরের পুরোনো এমসি কলেজ। এর ছাত্রাবাসের সপ্তম ব্লকে ১২৮ জন শিক্ষার্থীর পাশাপাশি কলেজের কয়েকজন কর্মচারীও থাকেন। কিন্তু বেশ কয়েক দিন ধরে পানির তীব্র সংকট থাকায় ভোগান্তিতে পড়েছেন শিক্ষার্থীরা। গোসল করা দূরে থাক, প্রয়োজনীয় খাওয়ার পানিও পাচ্ছেন না তাঁরা। তাই অনেকে বাধ্য হয়ে নিজ নিজ বাড়িতে চলে
৪১ মিনিট আগেটানা বৃষ্টি আর উজানের ঢলে পদ্মা নদীতে বৃদ্ধি পাচ্ছে পানি। এতে চাঁপাইনবাবগঞ্জ সদর ও শিবগঞ্জ উপজেলার চরাঞ্চল ডুবে পানিবন্দী হয়ে পড়েছে পাঁচটি ইউনিয়নের নিম্নাঞ্চলের সাড়ে ৬ হাজার পরিবার। অন্যদিকে কুষ্টিয়ার দৌলতপুরের পদ্মার চরের নিম্নাঞ্চলের আবাদি জমি ও চলাচলের রাস্তা ডুবে গেছে। ইতিমধ্যে রামকৃষ্ণপুর
১ ঘণ্টা আগেরংপুরের তারাগঞ্জে গণপিটুনিতে শ্বশুর রূপলাল দাস (৪৫) ও জামাই প্রদীপ লালের (৩৫) প্রাণহানির পেছনে আইনশৃঙ্খলাহীনতাকে দুষছেন স্থানীয় লোকজন। তাঁরা বলছেন, গত কয়েক দিনের চুরি, ছিনতাই ও হত্যাকাণ্ড-সংশ্লিষ্ট অপরাধের কারণে স্থানীয় জনতার ভেতর মবের মনোভাব তৈরি হয়েছে। পাশাপাশি পুলিশও সেভাবে তৎপর নয়। এসব কারণেই শ্
১ ঘণ্টা আগে