Ajker Patrika

সংবাদ প্রকাশের পর সুন্দরগঞ্জে সেতুর সংযোগ সংস্কার শুরু

প্রতিনিধি, সুন্দরগঞ্জ (গাইবান্ধা)
আপডেট : ১৮ আগস্ট ২০২১, ২০: ১৬
সংবাদ প্রকাশের পর সুন্দরগঞ্জে সেতুর সংযোগ সংস্কার শুরু

সুন্দরগঞ্জ পৌরসভার রামডাকুয়ায় তিস্তা নদীর ওপর নির্মিত সেতুর সংযোগ সড়কের সংস্কার কাজ শুরু করা হয়েছে। তবে এতে সন্তোষ না সেতুর দুপাশের মানুষ।

এর আগে গতকাল মঙ্গলবার আজকের পত্রিকা অনলাইনে ‘উদ্বোধনের আগেই সেতুর সংযোগ সড়কে ধস’ ও আজ বুধবার পত্রিকায় ‘সেতু উদ্বোধনের আগেই ধস’ শিরোনামে সংবাদ প্রকাশিত হয় দৈনিক আজকের পত্রিকায়। বিষয়টি সংশ্লিষ্ট কর্তাদের নজরে আসলে দ্রুত তাঁরা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন এবং সংস্কার করতে নির্দেশ দেন।

উপজেলা প্রকৌশলী মোহাম্মদ আবুল মনছুর বলেন, সংবাদ প্রকাশের পর বিষয়টি আমার নজরে আসে। দ্রুত ঘটনাস্থল পরিদর্শন করি এবং সংস্কার করতে নির্দেশ দিই সংশ্লিষ্ট ঠিকাদার প্রতিষ্ঠানকে। সংস্কার কাজও শুরু করেছেন তাঁরা।

আবুল মনছুর আরও বলেন, ‘সংযোগ সড়কের স্লোপ যে পরিমাণ লম্বা দেওয়ার কথা ছিল সে পরিমাণ লম্বা করতে পারিনি আমরা। পার্শ্ববর্তী জমির মালিকগণ এতে অসহযোগিতা করেছেন। সে কারণে আজ এ অবস্থা। সংস্কার কাজ চলছে, দেখি কি হয়। তবে বৃষ্টির পানি নিষ্কাশনে কাজের শুরুতে সংযোগ সড়কের দুপাশে দুটি ঢাল দেওয়া লাগত।’ সংযোগ সড়কে আর যাই হোক সেতুর কোনো ক্ষতি হবে না বলেও জানান এ কর্মকর্তা। 

সংস্কার কাজে নিয়োজিত মিস্ত্রি মামুনুর রশীদ নিলু বলেন, ধসে যাওয়া অংশটুকুই মেরামত করতে বলা হয়েছে আমাদের। এতে সংযোগ সড়কে ঝুঁকি থেকেই গেল। 

স্থানীয় প্রভাষক আশরাফুল ইসলাম খন্দকার বলেন, কাজের শুরুতেই তাঁরা ভুল করেছেন। সংযোগ সড়ক রক্ষায় সড়কের দু’পাশে থাকা গার্ড ওয়াল দুটিতে টানা দেওয়া উচিত ছিল। এখনই গার্ড ওয়াল দুটি হেলে পড়েছে। আবার কোথাও কোথাও ফাটলও দেখা দিয়েছে। ভরা বর্ষায় এ ব্রিজ ব্যবহার করতে পারবেন কি’না তা নিয়ে শঙ্কায় প্রকাশ করেন তিনি। 

উপজেলা প্রকৌশলী অফিস সূত্রে জানা যায়, ২০১৯ সালে রামডাকুয়া সেতুটির নির্মাণকাজ শুরু করেন এলজিইডি। এ কাজের দায়িত্ব পায় ঢাকার ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান পুরকৌশল প্রযুক্তি লিমিটেড। পিসি গার্ডার সেতুটির দুই পাশের সংযোগ সড়কসহ ৯৬ মিটার লম্বা। নির্মাণকাজে ব্যয় ধরা হয়েছে ৫ কোটি ৫৭ লাখ ৯৮ হাজার ৪৪৪ টাকা। গত মার্চ-এপ্রিলের দিকে সেতুটির নির্মাণকাজ শেষ হলেও এখনো আনুষ্ঠানিকভাবে উদ্বোধন করা হয়নি। 

স্থানীয়রা বলেন, উপজেলার বেলকা, হরিপুর, তারাপুর ইউনিয়নসহ পার্শ্ববর্তী কুড়িগ্রাম জেলার উলিপুর ও চিলমারী উপজেলার প্রায় ২০ গ্রামের লোকজন প্রতিদিন যাতায়াত করে তিস্তার এই শাখা নদী দিয়ে। সেতু না থাকায় কখনো নৌকা, কখনো বাঁশের সাঁকো আবার কখনো কাঠের সাঁকো দিয়ে চলাচল করতেন তাঁরা। কিন্তু তাঁদের দীর্ঘদিনের দাবি ছিল এখানে একটি সেতু নির্মাণ করা। অবশেষ ২০১৯ সালে শুরু হয় সেতুটির নির্মাণকাজ। শেষ হয় গত মার্চ-এপ্রিল মাসের দিকে। আনুষ্ঠানিকভাবে উদ্বোধন করা হয়নি। তবে লোকজনসহ সব ধরনের যানবাহন চলাচল করছে সেতুটি দিয়ে। 

এরই মধ্যে গত রোববার বিকেলে মুষলধারে বৃষ্টি হয় ঘণ্টা দু-এক। এতেই সেতুর পূর্ব পাশের সংযোগ সড়কে ধস দেওয়া দেয়। 

ক্ষোভ প্রকাশ করে তাঁরা বলেন, সেতু নির্মাণের শুরু থেকেই নিম্নমানের সামগ্রী ব্যবহার ও কাজে ব্যাপক অনিয়ম ছিল। আমরা ৪ / ৫ বার অভিযোগ করেছিলাম। কিন্তু ঠিকার বা এলজিইডি অফিসের লোকজন আমাদের কথায় গুরুত্ব দেননি। মনগড়া কাজ করেছেন তাঁরা।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

হরমুজ প্রণালিতে প্রবেশ করে ইউটার্ন নিল দুটি জাহাজ

ইসরায়েলে ২০ লাখ রুশভাষীর বাস, রাশিয়াকে তাঁদের কথা ভাবতে হয়: পুতিন

গুমে জড়িত ছিল ভারতের গোয়েন্দা সংস্থা: গুম কমিশনের প্রতিবেদন

ইরানের হামলার তীব্র নিন্দা কাতারের, পাল্টা জবাবের হুঁশিয়ারি

মধ্যপ্রাচ্যের চার দেশে পরবর্তী ঘোষণার আগপর্যন্ত বাংলাদেশি সব ফ্লাইট বাতিল

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত