প্রতিনিধি
পঞ্চগড়: গভীর রাতে ছোট ছোট আলো নড়াচড়া করছে। দূর থেকে হঠাৎ কেউ দেখলে ভূত–প্রেত ভেবে ভয় পেয়ে যেতে পারেন। কল্পনায় যাদের ভূত–প্রেত ভাবছেন, এঁরা মূলত রাতের চা–শ্রমিক। রাত ২টা বাজার সঙ্গে সঙ্গে মাথায় টর্চ বেঁধে চা–বাগানে নেমে পড়েন তাঁরা। আবার তাঁরাই দিনের বেলা হয়ে যান পাথর শ্রমিক।
সোমবার পঞ্চগড়ের পাথর তোলার বিভিন্ন এলাকা এবং বাগানগুলোতে গিয়ে এমন দৃশ্য দেখা যায়। দিনের বেলায় পাথর তোলার কাজ এবং রাতে দল বেঁধে চা সংগ্রহ করছেন তাঁরা। প্রতিটি দলে ১০ থেকে ১৫ জন শ্রমিক দেখা যায়।
চা–বাগানের একাধিক শ্রমিকের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, একসময় দিনের বেলায় সূর্যের কড়া তাপ সয়েই তাঁদের চা–পাতা তোলার কষ্টসাধ্য কাজ করতে হতো। এতে যেমন তাঁদের ভোগান্তি পোহাতে হতো, তেমনি শুকিয়ে যেত পাতা। কারখানার মালিকেরাও নিতে চাইতেন না শুকনো পাতা। বছরখানিক ধরে শ্রমিকদের মধ্যরাত থেকে পাতা তোলার কাজ শুরু হয়। দিনদিন বাড়তে থাকে রাতের শ্রমিকদের সংখ্যা। প্রতি কেজি কাঁচা চা–পাতা তোলার বিনিময়ে বাগানমালিকেরা শ্রমিকদের মজুরি দেন তিন টাকা। একজন রাতের শ্রমিক প্রতিদিন পাতা তুলতে পারেন ২০০ থেকে ২৫০ কেজি। সেই হিসাবে তাঁদের দৈনিক ৬০০ থেকে ৮০০ টাকা পর্যন্ত আয় হয় বলে জানা যায়।
শ্রমিকেরা আরও জানান, রাত ৯টা থেকে ১০টার মধ্যেই তাঁরা ঘুমিয়ে পড়েন। রাত ২টা বাজার সঙ্গে সঙ্গে উঠে পড়েন বিছানা থেকে। তারপর হাতে চা–পাতা কাটার চাকু আর মাথায় সার্চলাইট বা মোবাইলের লাইট বেঁধে নেমে পড়েন চা–বাগানে। সকাল ১০টার মধ্যেই পাতা তুলে তা কারখানায় পাঠানোর পর বাড়ি ফেরেন তাঁরা। এ ছাড়া পরদিন দিনের বেলা আবার অন্য কাজ করেন বলে জানান তাঁরা।
তেঁতুলিয়া উপজেলার সফল চা–বাগানের মালিক কাজী আনিছুর রহমান জানান, মূলত যাঁরা এখন চা–বাগানে কাজ করছেন, তাঁরা আগে পাথর সংগ্রহের কাজ করতেন। পাথর সংগ্রহে মজুরি বেশি। এসব শ্রমিকই এখন রাতের আঁধারে চা প্লাকিং–এর কাজ করছেন, আবার দিনে তুলছেন নদীর পাথর। এভাবে তারা আর্থিকভাবে লাভবান হচ্ছেন।
পঞ্চগড় সদর উপজেলার রাতের চা–শ্রমিক বাবুল হোসেন বলেন, `আমি বছরখানিক ধরে রাতে চা–পাতা তোলার কাজ করছি। রাত ২টা থেকে সকাল ১০টা পর্যন্ত কাজ করি আমরা। এতে জনপ্রতি ৬০০ থেকে ৮০০ টাকা মজুরি পাই। আবার দিনের বেলায় অন্য কাজ করতে পারি। এই দুইভাবে কাজ করে আমাদের সংসার ভালো চলছে।'
ফারুক ইসলাম বলেন, আগে দিনে চা–পাতা তোলার কাজ করতাম। কিন্তু প্রচণ্ড রোদের কারণে বেশিক্ষণ তোলা যেত না। বেশি পাতা তুলতেও পারতাম না। রাতে পরিবেশ শান্ত থাকে, রোদের ভয় নাই, তাই রাতে চা–পাতা তোলা শুরু করি। মাথার মধ্যে লাইট বেঁধে নিয়ে কাজ শুরু করি। রাতে দ্রুত ও আরামে কাজ করা যায়।
বাংলাদেশ চা বোর্ড পঞ্চগড় আঞ্চলিক অফিসের ঊর্ধ্বতন বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ড. মোহাম্মদ শামীম আল মামুন বলেন, পঞ্চগড়ের চা–শিল্পে চাষিদের পাশাপাশি ২০ থেকে ২৫ হাজার শ্রমিকের কর্মসংস্থান হয়েছে। তাঁরা আগে অলস সময় কাটাতেন। তাঁদের কোনো কাজ ছিল না। এখন চা–বাগানে কাজ করে তাঁরা সচ্ছলতা পেয়েছেন। বিশেষ করে যাঁরা রাতে চা–পাতা তোলার কাজ করছেন, তাঁরা বেশি লাভবান হচ্ছেন। তাঁরা রাতে চা–বাগানে পাতা তোলার কাজ করছেন এবং দিনের বেলায় অন্য কাজ করছেন। এই দ্বৈত আয়ে সংসার ভালো চলছে তাঁদের।
পঞ্চগড়: গভীর রাতে ছোট ছোট আলো নড়াচড়া করছে। দূর থেকে হঠাৎ কেউ দেখলে ভূত–প্রেত ভেবে ভয় পেয়ে যেতে পারেন। কল্পনায় যাদের ভূত–প্রেত ভাবছেন, এঁরা মূলত রাতের চা–শ্রমিক। রাত ২টা বাজার সঙ্গে সঙ্গে মাথায় টর্চ বেঁধে চা–বাগানে নেমে পড়েন তাঁরা। আবার তাঁরাই দিনের বেলা হয়ে যান পাথর শ্রমিক।
সোমবার পঞ্চগড়ের পাথর তোলার বিভিন্ন এলাকা এবং বাগানগুলোতে গিয়ে এমন দৃশ্য দেখা যায়। দিনের বেলায় পাথর তোলার কাজ এবং রাতে দল বেঁধে চা সংগ্রহ করছেন তাঁরা। প্রতিটি দলে ১০ থেকে ১৫ জন শ্রমিক দেখা যায়।
চা–বাগানের একাধিক শ্রমিকের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, একসময় দিনের বেলায় সূর্যের কড়া তাপ সয়েই তাঁদের চা–পাতা তোলার কষ্টসাধ্য কাজ করতে হতো। এতে যেমন তাঁদের ভোগান্তি পোহাতে হতো, তেমনি শুকিয়ে যেত পাতা। কারখানার মালিকেরাও নিতে চাইতেন না শুকনো পাতা। বছরখানিক ধরে শ্রমিকদের মধ্যরাত থেকে পাতা তোলার কাজ শুরু হয়। দিনদিন বাড়তে থাকে রাতের শ্রমিকদের সংখ্যা। প্রতি কেজি কাঁচা চা–পাতা তোলার বিনিময়ে বাগানমালিকেরা শ্রমিকদের মজুরি দেন তিন টাকা। একজন রাতের শ্রমিক প্রতিদিন পাতা তুলতে পারেন ২০০ থেকে ২৫০ কেজি। সেই হিসাবে তাঁদের দৈনিক ৬০০ থেকে ৮০০ টাকা পর্যন্ত আয় হয় বলে জানা যায়।
শ্রমিকেরা আরও জানান, রাত ৯টা থেকে ১০টার মধ্যেই তাঁরা ঘুমিয়ে পড়েন। রাত ২টা বাজার সঙ্গে সঙ্গে উঠে পড়েন বিছানা থেকে। তারপর হাতে চা–পাতা কাটার চাকু আর মাথায় সার্চলাইট বা মোবাইলের লাইট বেঁধে নেমে পড়েন চা–বাগানে। সকাল ১০টার মধ্যেই পাতা তুলে তা কারখানায় পাঠানোর পর বাড়ি ফেরেন তাঁরা। এ ছাড়া পরদিন দিনের বেলা আবার অন্য কাজ করেন বলে জানান তাঁরা।
তেঁতুলিয়া উপজেলার সফল চা–বাগানের মালিক কাজী আনিছুর রহমান জানান, মূলত যাঁরা এখন চা–বাগানে কাজ করছেন, তাঁরা আগে পাথর সংগ্রহের কাজ করতেন। পাথর সংগ্রহে মজুরি বেশি। এসব শ্রমিকই এখন রাতের আঁধারে চা প্লাকিং–এর কাজ করছেন, আবার দিনে তুলছেন নদীর পাথর। এভাবে তারা আর্থিকভাবে লাভবান হচ্ছেন।
পঞ্চগড় সদর উপজেলার রাতের চা–শ্রমিক বাবুল হোসেন বলেন, `আমি বছরখানিক ধরে রাতে চা–পাতা তোলার কাজ করছি। রাত ২টা থেকে সকাল ১০টা পর্যন্ত কাজ করি আমরা। এতে জনপ্রতি ৬০০ থেকে ৮০০ টাকা মজুরি পাই। আবার দিনের বেলায় অন্য কাজ করতে পারি। এই দুইভাবে কাজ করে আমাদের সংসার ভালো চলছে।'
ফারুক ইসলাম বলেন, আগে দিনে চা–পাতা তোলার কাজ করতাম। কিন্তু প্রচণ্ড রোদের কারণে বেশিক্ষণ তোলা যেত না। বেশি পাতা তুলতেও পারতাম না। রাতে পরিবেশ শান্ত থাকে, রোদের ভয় নাই, তাই রাতে চা–পাতা তোলা শুরু করি। মাথার মধ্যে লাইট বেঁধে নিয়ে কাজ শুরু করি। রাতে দ্রুত ও আরামে কাজ করা যায়।
বাংলাদেশ চা বোর্ড পঞ্চগড় আঞ্চলিক অফিসের ঊর্ধ্বতন বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ড. মোহাম্মদ শামীম আল মামুন বলেন, পঞ্চগড়ের চা–শিল্পে চাষিদের পাশাপাশি ২০ থেকে ২৫ হাজার শ্রমিকের কর্মসংস্থান হয়েছে। তাঁরা আগে অলস সময় কাটাতেন। তাঁদের কোনো কাজ ছিল না। এখন চা–বাগানে কাজ করে তাঁরা সচ্ছলতা পেয়েছেন। বিশেষ করে যাঁরা রাতে চা–পাতা তোলার কাজ করছেন, তাঁরা বেশি লাভবান হচ্ছেন। তাঁরা রাতে চা–বাগানে পাতা তোলার কাজ করছেন এবং দিনের বেলায় অন্য কাজ করছেন। এই দ্বৈত আয়ে সংসার ভালো চলছে তাঁদের।
লালমনিরহাটের পাটগ্রামের দহগ্রাম ইউনিয়নের বাসিন্দাদের গবাদিপশু এবং কৃষিপণ্য পরিবহনের গাড়ি প্রবেশে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী (বিএসএফ) প্রায়ই বাধা দেয়। যাতায়াতে এ হয়রানির প্রতিবাদে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী দহগ্রাম ইউনিয়ন শাখার উদ্যোগে বিক্ষোভ মিছিল ও প্রতিবাদ সমাবেশ করা হয়েছে। শুক্রবার (২২ আগস্ট)
১০ মিনিট আগেদুটি পরিবারের মধ্যে ঝগড়া চলছিল। এতে এক ব্যক্তিকে থানায় আসতে বাধা দেওয়ার অভিযোগে ৯৯৯ নম্বরে কল পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে যায়। এ সময় অভিযোগকারী ব্যক্তিকে উদ্ধার করে পুলিশ নিয়ে আসার পথে প্রতিপক্ষের লোকজন তাদের ওপর হামলা চালান।
১৩ মিনিট আগেজনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. মোখলেস উর রহমান সিলেটের সাদাপাথর পর্যটনকেন্দ্র পরিদর্শন করেছেন। এ সময় তিনি বলেছেন, ‘সাদাপাথরের কাছেই বিজিবির সুন্দর একটি ক্যাম্প দেখতে পাচ্ছি। এই ক্যাম্পের সামনে এত বড় একটা ঘটনা ঘটল এবং এক দিনে না কয়েক দিনে। আমরা পত্রিকায় দেখেছি যে লুট হয়েছে। আর আজকে এসে মনে হয়েছে,
১৩ মিনিট আগেচলন্ত বাসে হাত-পা বেঁধে কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের (কুবি) এক শিক্ষার্থীকে ধর্ষণচেষ্টার অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় দুজনকে গ্রেপ্তার করে অজামিনযোগ্য কারাদণ্ড দিয়েছেন ভ্রাম্যমাণ আদালত। আজ শুক্রবার ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের কুমিল্লার পদুয়ার বাজার এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
৩৫ মিনিট আগে